বরগুনার আমতলী
মো. হোসাইন আলী কাজী, আমতলী (বরগুনা)
বরগুনার আমতলী উপজেলায় সম্প্রতি তিন কিলোমিটারের একটি সড়ক সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। এই কাজে সরকার ১ কোটি ৬৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রকল্পটির ঠিকাদার কাজে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। পিচ ঢালাইয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিটুমিন ব্যবহার করা হয়নি। হাত দিয়ে সামান্য একটু টান দিলেই পিচ ঢালাইয়ের আস্তরণ উঠে যাচ্ছে। তাঁদের শঙ্কা, নিম্নমানের কাজ করায় সড়কটি বেশি দিন টেকসই হবে না।
যদিও প্রকল্পটির ঠিকাদার বলছেন, তিনি সড়কের কাজ ঠিকমতোই করেছেন। তবে কাজ করলে ভুলত্রুটি হতে পারে। এতে তাঁর ফাঁসি হবে না।
জানা গেছে, আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নের লোদা সেতু থেকে ৩ হাজার ১৬০ মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর। ওই কাজে ১ কোটি ৬৭ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৯ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল কাজের দরপত্র হয়। মেসার্স রহমান ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটির দায়িত্ব পায়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক শাহীন তালুকদার। ওই বছরের ১ মে কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার এক মাস পরে কাজ শুরু করেন। গত বছরের ৩০ নভেম্বর ওই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, কাজ শুরু করেই ঠিকাদার শাহীন তালুকদার এলজিইডি বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান খান ও উপজেলা প্রকৌশলী ইদ্রিস আলীর যোগসাজশে দুই কিস্তির টাকা তুলে নেন। এরপর গত দেড় বছর ঠিকাদার কোনো কাজ করেননি। চলতি বছরের মার্চের প্রথম দিকে ওই সড়কের কাজ পুনরায় শুরু করেন ঠিকাদার। ২২ মার্চ পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুরুতেই ঠিকাদার নিম্নমানের খোয়া দিয়ে সড়কের কাজ করেছেন। দরপত্রে ৫ ইঞ্চি সাব বেজ করার কথা উল্লেখ থাকলেও ঠিকাদার শাহীন মাত্র ৩ ইঞ্চি বেজ করেছেন। এ ছাড়া খোয়ার ওপর বিটুমিন না ছিটিয়েই পুরো তিন কিলোমিটার সড়ক ঢালাই দিয়েছেন। দরপত্রে ১ ইঞ্চি ঢালাই দেওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদার দিয়েছেন মাত্র আধা ইঞ্চি।
গত মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে ঢালাই উঠে গেছে। স্থানীয় কয়েকজন হাত দিয়ে টান দিয়ে পিচ ঢালাই উঠে যাওয়ার বিষয়টি দেখান।
কাউনিয়া গ্রামের বশির উদ্দিন বলেন, ‘পায়ের ঘষাতেই সড়কের পিচ উঠে যাচ্ছে। এমন রাস্তা নির্মাণ জীবনে দেখিনি।’
একই গ্রামের শাহজাহান হাওলাদার ও জাহাঙ্গীর মিয়ার অভিযোগ, ঠিকাদার সড়কে বিটুমিন না দিয়ে ঢালাই দিয়েছেন। এতে হাত দিয়ে টান দিলেই সড়কের ঢালাই উঠে যাচ্ছে। তাঁরা বিটুমিন ছাড়া কাজ করতে নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন তা শোনেননি। উল্টো হুমকি-ধমকি দিয়েছেন।
অটোরিকশাচালক বাহাদুর ও আল আমিন বলেন, সড়কের ঢালাইয়ের কাজ শেষ হওয়ার তিন দিনের মাথায় অটোরিকশার চাকায় পিচ উঠে যাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার শাহীন তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়কের কাজ ঠিকমতোই করেছি। তবে কাজ করলে ভুলত্রুটি হতে পারে। এতে আমার ফাঁসি হবে না। পিচ উঠে গেলে আবার বিটুমিন দিয়ে ঢালাই দেওয়া হবে।’
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ‘সড়ক সংস্কারে বিটুমিন না ছিটিয়ে ঢালাই দেওয়া এবং ঢালাই উঠে যাওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। সড়কটি সরেজমিন দেখতে সহকারী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিনকে পাঠিয়েছিলাম। ঠিকাদারের সঙ্গে কাজে অনিয়মে আমার কোনো যোগসাজশ ছিল না।’
এলজিইডি বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বলেন, ঠিকাদারের সঙ্গে স্থানীয়দের দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাই তাঁরা এমন অপবাদ দিচ্ছেন। ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে টাকা আত্মসাতে সহায়তার অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘সড়কের কাজের অনিয়মের অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এলজিইডির বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোহা. নুরুল ইসলাম বলেন, সড়ক সংস্কারে অনিয়ম এবং ঠিকাদারের সঙ্গে প্রকৌশলীদের কোনো ধরনের সখ্য এবং অনিয়ম পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরগুনার আমতলী উপজেলায় সম্প্রতি তিন কিলোমিটারের একটি সড়ক সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। এই কাজে সরকার ১ কোটি ৬৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রকল্পটির ঠিকাদার কাজে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। পিচ ঢালাইয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিটুমিন ব্যবহার করা হয়নি। হাত দিয়ে সামান্য একটু টান দিলেই পিচ ঢালাইয়ের আস্তরণ উঠে যাচ্ছে। তাঁদের শঙ্কা, নিম্নমানের কাজ করায় সড়কটি বেশি দিন টেকসই হবে না।
যদিও প্রকল্পটির ঠিকাদার বলছেন, তিনি সড়কের কাজ ঠিকমতোই করেছেন। তবে কাজ করলে ভুলত্রুটি হতে পারে। এতে তাঁর ফাঁসি হবে না।
জানা গেছে, আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নের লোদা সেতু থেকে ৩ হাজার ১৬০ মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর। ওই কাজে ১ কোটি ৬৭ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৯ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল কাজের দরপত্র হয়। মেসার্স রহমান ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটির দায়িত্ব পায়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক শাহীন তালুকদার। ওই বছরের ১ মে কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার এক মাস পরে কাজ শুরু করেন। গত বছরের ৩০ নভেম্বর ওই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, কাজ শুরু করেই ঠিকাদার শাহীন তালুকদার এলজিইডি বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান খান ও উপজেলা প্রকৌশলী ইদ্রিস আলীর যোগসাজশে দুই কিস্তির টাকা তুলে নেন। এরপর গত দেড় বছর ঠিকাদার কোনো কাজ করেননি। চলতি বছরের মার্চের প্রথম দিকে ওই সড়কের কাজ পুনরায় শুরু করেন ঠিকাদার। ২২ মার্চ পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুরুতেই ঠিকাদার নিম্নমানের খোয়া দিয়ে সড়কের কাজ করেছেন। দরপত্রে ৫ ইঞ্চি সাব বেজ করার কথা উল্লেখ থাকলেও ঠিকাদার শাহীন মাত্র ৩ ইঞ্চি বেজ করেছেন। এ ছাড়া খোয়ার ওপর বিটুমিন না ছিটিয়েই পুরো তিন কিলোমিটার সড়ক ঢালাই দিয়েছেন। দরপত্রে ১ ইঞ্চি ঢালাই দেওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদার দিয়েছেন মাত্র আধা ইঞ্চি।
গত মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে ঢালাই উঠে গেছে। স্থানীয় কয়েকজন হাত দিয়ে টান দিয়ে পিচ ঢালাই উঠে যাওয়ার বিষয়টি দেখান।
কাউনিয়া গ্রামের বশির উদ্দিন বলেন, ‘পায়ের ঘষাতেই সড়কের পিচ উঠে যাচ্ছে। এমন রাস্তা নির্মাণ জীবনে দেখিনি।’
একই গ্রামের শাহজাহান হাওলাদার ও জাহাঙ্গীর মিয়ার অভিযোগ, ঠিকাদার সড়কে বিটুমিন না দিয়ে ঢালাই দিয়েছেন। এতে হাত দিয়ে টান দিলেই সড়কের ঢালাই উঠে যাচ্ছে। তাঁরা বিটুমিন ছাড়া কাজ করতে নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন তা শোনেননি। উল্টো হুমকি-ধমকি দিয়েছেন।
অটোরিকশাচালক বাহাদুর ও আল আমিন বলেন, সড়কের ঢালাইয়ের কাজ শেষ হওয়ার তিন দিনের মাথায় অটোরিকশার চাকায় পিচ উঠে যাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার শাহীন তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়কের কাজ ঠিকমতোই করেছি। তবে কাজ করলে ভুলত্রুটি হতে পারে। এতে আমার ফাঁসি হবে না। পিচ উঠে গেলে আবার বিটুমিন দিয়ে ঢালাই দেওয়া হবে।’
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ‘সড়ক সংস্কারে বিটুমিন না ছিটিয়ে ঢালাই দেওয়া এবং ঢালাই উঠে যাওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। সড়কটি সরেজমিন দেখতে সহকারী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিনকে পাঠিয়েছিলাম। ঠিকাদারের সঙ্গে কাজে অনিয়মে আমার কোনো যোগসাজশ ছিল না।’
এলজিইডি বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বলেন, ঠিকাদারের সঙ্গে স্থানীয়দের দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাই তাঁরা এমন অপবাদ দিচ্ছেন। ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে টাকা আত্মসাতে সহায়তার অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘সড়কের কাজের অনিয়মের অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এলজিইডির বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোহা. নুরুল ইসলাম বলেন, সড়ক সংস্কারে অনিয়ম এবং ঠিকাদারের সঙ্গে প্রকৌশলীদের কোনো ধরনের সখ্য এবং অনিয়ম পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ সোমবার মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ জাহিদের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। এদিন তিনজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
২১ মিনিট আগেনেত্রকোনার দুই উপজেলায় বজ্রপাতে মাদ্রাসাশিক্ষকসহ এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে ও গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৩০ মণ জাটকা জব্দ করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চরবাটার ভূঁইয়ারহাট বাজারে অভিযান চালিয়ে পিকআপ ভ্যানভর্তি এই মাছ জব্দ করে উপজেলা মৎস্য কার্যালয়। পরে এসব মাছ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেরোববার বিকেলে স্কুল থেকে বাসায় যাওয়ার পথে বহিরাগত ছেলেরা রিমনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা রিমনের পিঠে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রিমনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে