Ajker Patrika

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে হাতপাখার প্রার্থীকে শোকজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ০৯ মে ২০২৩, ১৫: ৩৬
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে হাতপাখার প্রার্থীকে শোকজ

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বরিশাল সিটি করপোরেশনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবীর গতকাল সোমবার রাতে ফয়জুলকে এই নোটিশ দেন।

গতকাল সোমবার বিকেলে হাজারো মোটরসাইকেল নিয়ে নগরীতে শোভাযাত্রা করেন ফয়জুল করীম। তিনি ঢাকা থেকে সড়কপথে বরিশালে পৌঁছালে নগরের প্রবেশমুখ গড়িয়ারপাড় মোড় থেকে মোটর শোভাযাত্রা করে আলেকান্দা আমতলা মোড়ে নিয়ে যান দলীয় নেতা-কর্মীরা। সেখানে তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া শোকজ নোটিশে উল্লেখ করা হয়, মোটরসাইকেল, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে নির্বাচনী প্রতীক হাতপাখা প্রদর্শন করে আচরণবিধি ৫ ৭ (ক) ১১ (২) ও ১৩ (৩) ধারা লঙ্ঘন করেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী।

কাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত অথবা মৌখিক ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ফয়জুলকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁর আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনার খবর জানতে পেরে আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আগেই মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা উপেক্ষা করা হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী মিডিয়া সেলের সদস্য নাসির আহমেদ নাইস আজ মঙ্গলবার বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শোকজ নোটিশ নগরের চাঁদমারিতে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছানো হয়। ইসলামী আন্দোলনের মহানগরের সহসভাপতি মাওলানা নাসির আহমেদ কাওছার স্বাক্ষর দিয়ে নোটিশ গ্রহণ করেন।

নাইস আরও বলেন, শোকজ নোটিশটি ষড়যন্ত্রমূলক। গত ২০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বরিশালে পৌঁছালে ব্যাপক শোভাযাত্রা করা হয়। প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এর নেতৃত্ব দেন। এটাও আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে। তখন আওয়ামী লীগকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে হাতপাখার প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম সাংবাদিকদের বলেন, তিনি দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। তাই আইনিভাবে তিনি এখনো প্রার্থী নন। দীর্ঘদিন ঢাকায় অবস্থানের পর গতকাল সোমবার বরিশালে ফিরলে দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির হিসেবে উৎসুক নেতা-কর্মীরা তাঁকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। জেলা প্রশাসন ও মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি নিয়েই তা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গয়েশ্বর চন্দ্রের আসনে বিএনপির বিদ্রোহী তিন বড় নেতাসহ ১৬ প্রার্থী, শক্ত লড়াইয়ের আভাস

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফাইল ছবি

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে গতকাল সোমবার ঢাকা-৩ সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আসন হিসেবে পরিচিত এই আসনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ মোট ১৬ জন এদিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এতে নির্বাচনী মাঠে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে এই আসনে শক্ত লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে, সে আভাসই মিলেছে।

এদিন ঢাকা-২ ও ঢাকা-৩ আসনে ধানের শীষ, দাঁড়িপাল্লা ও হাতপাখা প্রতীকে একজন করে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। পাশাপাশি গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, গণসংহতি আন্দোলন এবং একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের দৌড়ে যুক্ত হন।

গতকাল বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ওমর ফারুকের কাছে তাঁর মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই দিনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহীনুর ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সুলতান আহমেদ খানও মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এদিন ঢাকা-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া বিএনপির একাধিক বিদ্রোহী নেতা ও সমর্থকের উপস্থিতি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিএনপির তিনজন বড় নেতা ও তিনজন সমর্থক রয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও অবিভক্ত কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী নাজিমউদ্দীন মাস্টার, জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল কবির পল এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেত আলী বাবু। তাঁদের মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল কবির পল অনেক দিন ধরে ঢাকা-৩ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপ করেছেন। শেষ পর্যন্ত দল গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কেই মনোনয়ন দেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন।

এ ছাড়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিএনপির সমর্থকদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়েও এলাকায় কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাজ্জাত হোসেন, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি পাভেল মোল্লার মা পারুল মোল্লাসহ আরও কয়েকজন। বিএনপি নেতাদের একটি অংশের দাবি, কৌশলগত কারণেই এসব প্রার্থীকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনী মাঠে রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া একই আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী সাজ্জাদ আল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মোহাম্মদ জাফর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী বাচ্চু ভূঁইয়া, গণফোরামের প্রার্থী মোহাম্মদ রওশন ইয়াজদানি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বেলাল হোসেন, মো. ফারুক, মো. সাজ্জাদ ও মো. শোয়েব মাহমুদ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্রভাবে বিএনপির একাধিক প্রভাবশালী নেতা ও সমর্থকের অংশগ্রহণে ঢাকা-৩ আসনের নির্বাচনী সমীকরণ শুরুতেই জটিল হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী দলের পাশাপাশি বিএনপির ভেতরের এই বহুমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জন্য এবারের নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে এভারকেয়ারের সামনে ভিড়, পুলিশের ব্যারিকেড

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এভারকেয়ারের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে বেষ্টনী দিয়ে রেখেছে পুলিশ। এছাড়া র‍্যাব ও বিজিবিসহ আরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে শেষবারের মতো এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নানান পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ছুটে এসেছেন এক পলক দেখতে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে শতশত মানুষ ভিড় জমতে দেখা গেছে। কেউ কেউ তাঁদের নেত্রীকে একপলক দেখার জন্য এসেছেন, কেউ কেউ ভালোবাসার টানে ছুটে এসেছেন।

ঢাকায় থাকা দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রায় সবাই ইতিমধ্যে হাসপাতালের ভেতরে অবস্থান করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পীরগঞ্জে তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন গাছের মাথা কেটে দিলেন পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা

পীরগঞ্জ (রংপুর) সংবাদদাতা
সড়কের তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সড়কের তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের পীরগঞ্জে বিদ্যুৎ লাইনের নিরাপত্তার কথা বলে তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের গাছের মাথা কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলছেন, প্রায় অর্ধশত গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা বা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা ছাড়াই এসব গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব গাছে ফল ধরবে কি না, তা নিয়েও চিন্তিত তাঁরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার খালাশপীর থেকে চতরা সড়কের মঞ্জিলার দরগা হয়ে পত্নীচড়া পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে এবং আশপাশের বসতবাড়ি এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তাল, খেজুর, কলাসহ বিভিন্ন গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার পত্নীচড়া গ্রামের মোস্তফা মিয়া বলেন, ‘এই গাছগুলো আমাদের ছায়া দিত, ফল দিত এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করত। কোনো ধরনের আগাম নোটিশ ছাড়াই গাছগুলোর মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

ছোট রসুলপুর গ্রামের নুর আমিন বলেন, বিদ্যুৎ লাইনের নিরাপত্তা অবশ্যই প্রয়োজন, কিন্তু পুরো গাছের মাথা কেটে দেওয়া কোনো সমাধান হতে পারে না। এতে গাছগুলো স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উজিরপুর গ্রামের তাহাজুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক গাছে হয়তো আর ফল ধরবে না। এতে পরিবেশের পাশাপাশি আমাদের আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।’

এ বিষয়ে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) রবিউল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ লাইনের ঝুঁকি এড়াতেই কাজটি করা হয়েছে।

বড় আলমপুর ইউনিয়নের প্রশাসক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি অভিভাবকসুলভ নেতৃত্বকে হারাল: চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সিইউজের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি এক অভিভাবকসুলভ নেতৃত্বকে হারাল।

বিজ্ঞপ্তিতে সিইউজের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ বলেন, ‘খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক অবিস্মরণী ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব। রাষ্ট্র পরিচালনা, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বহুদলীয় রাজনীতির বিকাশে তাঁর অবদান ইতিহাসে অসামান্য। একজন সাহসী ও আপসহীন রাজনৈতিক চরিত্র হিসেবে তিনি দেশের মানুষের অধিকার ও মর্যাদার প্রশ্নে আজন্ম সংগ্রামী নেত্রী। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানসহ দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক রূপান্তরে তিনি এক অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ তাঁর মৃত্যুতে জাতি এক অভিভাবকসুলভ নেতৃত্বকে হারিয়েছে। এই শোকাবহ মুহূর্তে সিইউজে মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় ফজরের নামাজের ঠিক পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিলেন ৮০ বছর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত