Ajker Patrika

দখিনের ইলিশ গ্যালো কই

রুদ্র রুহান (বরিশাল) বরগুনা
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২১, ০৩: ৫৩
দখিনের ইলিশ গ্যালো কই

২২টা দিন খাইয়া না খাইয়া গুরাগারা লইয়া দিন কাডাইছি, অবরোধ শ্যাষ অওয়ার লগে লগে নাও জাল লইয়া গাঙ্গে নাইম্মা ৩০ কেজির মত মাছ পাইছিলাম। বেইচ্চা বাড়তে চাউল ডাইল কিন্না আনছি। পরেরদিন দুইফির খ্যাও দিয়া ৬ কেজি মাছ পাইছি। এহন আর গাঙ্গে ইলিশ পাইনা, এত ইলিশ আচুক্কা (হঠাত) কোম্মে উধাও অইয়া গ্যাছে! প্রশ্নটা ঘুরপাক খায় কালুর মনে। কালুর মত বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা এই তিন নদীর তীরবর্তি প্রায় ৪০ হাজার জেলের মনে এখন এমন প্রশ্ন।

গত ৪ অক্টোবর থেকে পরবর্তি টানা ২২ দিন প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকার বন্ধ ছিল। ২৬ অক্টোবর আটঘাট বেধে নদীতে ইলিশ শিকারে নামেন জেলেরা। মাত্র একদিন বরগুনার নদ-নদীতে ইলিশ ধরা পড়েছে। কিন্ত এরপর থেকে আর ইলিশের দেখা মিলছে না। এতে যারপরনাই হতাশ উপকূলের প্রান্তিক জেলেরা। 

জেলেরা বলছেন, গোটা মৌসুমেই এবার এই দিকে কাঙ্খিত ইলিশ ধরা পড়েনি। মৎস্য বিভাগের পরিসংখ্যানের সঙ্গে জেলেদের সমীকরণ মিলে যায়। দেশের ২য় বৃহত্তম পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র তথ্যমতে সাথে মৌসুম শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২১৯.৪০ মেট্রিকটন ইলিশ অবতরণ হয়েছে। যা গত ১০ বছরের ২য় সর্বনিম্ন। এর আগের বছর ২০২০-২১ বছরে মৌসুমে পাথরঘাটায় অবতরণ হয় মাত্র ১ হাজার ১১.২০ মেট্রিকটন ইলিশ।

বিএফডিসি পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশ অবতরণের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায় গত ১০ বছরের ইলিশ অবতরণের পরিমান এ তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। ২০১০-১১ থেকে ২০১৬-১৭ পর্যন্ত পাঁচ বছরে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মোট ১৭ হাজার ৭৬৫ মেট্রিকটন ইলিশ অবতরণ হয়। কিন্ত ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২০২১ এর সেপ্টেম্বও পর্যন্ত পাঁচ বছরে মোট অবতরণ হয় ১১ হাজার ৩০৭ মেট্রিকটন। গত পাঁচ বছরে ৬ হাজার ৪৫৮ মেট্রিকটন ইলিশ কম অবতরণ হয়েছে। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে ইলিশের অবতরণ এক তৃতীয়াংশ কমে গিয়েছে। 

জেলে, ট্রলার মালিক ও মৎস্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত দুই বছরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ইলিশের  দক্ষিণের মোকামে ইলিশের অবতরণ কম হওয়ার প্রধান কারণ হিশেবে মনে করছেন বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ডুবোচর ও অবৈধ বেহুন্দি জালের বিস্তার। 

৩০ বছর ধরে সাগরে ইলিশ শিকার করছেন পাথরঘাটার ট্রলার মালিক আব্বাস মিয়া। তিনি বলেন, ‘মোহনায় ডুবা চর জাইগা এমন অবস্থা অইছে যে ইলিশ যে এইহানে ডিম পাড়তে আসব হেইয়া পারতে আসে না। চরের লাইগা বাধা পাইয়া মাছ ফিররা যায়। হেইয়ার কারণে মোরা এইহানে ইলিশ মাছ পাইতেছিনা।‘

বাংলাদেশ ট্রলার মালিক সমিতি সভাপতি পাথরঘাটার মোস্তফা চৌধুরির বক্তব্যও ঠিক একই রকম। তিনি বলেন, মৌসুমে পাথরঘাটা থেকে গড়ে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার ট্রলার সাগরে ইলিশ শিকারে যায়। কিন্ত গত দুই বছর ধরে আমরা কাঙ্খিত ইলিশ পাই না। এর অন্যতম কারণ, প্রজননস্থলে ইলিশের অবাধ বিচরণের পরিবেশ নেই। বিশেষ করে বিষখালী বলেশ্বর ও পায়রা নদীর  মোহনায় অসংখ্য ডুবোচর জেগেছে। এতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ইলিশ গতিপথ পরিবর্তন করে মেঘনা ও পদ্মার দিকে ধাবিত হয়েছে। এ বছর পদ্মা মেঘনায় ইলিশ ধরা পড়েছে, অবরোধের পরও সেখানে ইলিশ পাওয়া যায়, কিন্ত আমাদের নদীতে ইলিশ নেই।

মহিপুর মৎস্য আড়ত সমবায় সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম বেপারী বলেন, গত বছর থেকে ইলিশের পরিমান আশঙ্কাজন হারে কমেছে। তিনি বলেন, মহিপুর, আলীপুর ও কুয়াকাটার ১৮৯টি আড়তে মৌসুমে শত শত মন ইলিশ আসত। কিন্ত এখন ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। কোটি কোটি টাকা লগ্নি করেও কেউই এবারও ব্যবসায় লাভ করতে পারেনি।  

আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ত সমবায় সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, অবরোধের কিছুদিন আগে মাত্র চারদিন ইলিশ ধরা পড়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গভীর সমুদ্রগামী জেলেরা এখানে ইলিশ বিক্রি করতে আসেন। এখানে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন ইলিশ বিক্রি হয়েছে। তবে এসব ইলিশের বেশিরভাগই সাগরের, নদীর ইলিশ কম। নদীতে ইলিশ নেই বলা চলে।

গবেষকরা বলছেন, ইলিশের জন্য মোহনা এখন আর নিরাপদ নয়। নাব্যতা সংকট, নিষিদ্ধ জালের অধিক ব্যবহার এবং অতি আহরণে ইলিশের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক ড. আনিসুর রহমান বলেন, ‘নাব্যতা সংকটের বিষয়টিই প্রধান, তার উপর ক্ষেত্রে বিশেষে অনেক জায়গায় দূষণও আছে। এই ধরনের কারণে তারা এখনও প্রধান নদ-নদীতে ওইভাবে আসছে না। যেটার শঙ্কার কারণ রয়েছে।’

ড. আনিসুর রহমান আরও বলেন, ‘মেইন স্ট্রিম ঠিক রাখা, নদীর স্রোত ঠিক রাখা অর্থাৎ সেখানে ইলিশের অভিপ্রায়ণশীল পথ রাখা। তাতে শুধু ইলিশেরই উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে না অন্যান্য মাছের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।’ 
ইলিশ গবেষকেরাও মনে করেন, যে কোনো কারণেই হোক ইলিশ দখিনের নদীতে প্রবেশ করতে পারছে না। আর এ কারণেই নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছেনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

থানা কমপ্লেক্সের ভেতরে গরু চরাতে নিষেধ করায় পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
আটক করা অভিযুক্ত যুবক বাহাদুর হোসেন বাদল। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক করা অভিযুক্ত যুবক বাহাদুর হোসেন বাদল। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম মডেল থানা কমপ্লেক্সের ভেতরে গরু চরাতে বাধা দেওয়ায় এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে যুবকের বিরুদ্ধে।

এই অভিযোগে অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক বাহাদুর হোসেন বাদল পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। আহত পুলিশ সদস্যের নাম শরীফুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে থানা কমপ্লেক্সের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে।

থানা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত বাদলের বাড়ি থানা কমপ্লেক্সের পাশেই। তিনি প্রায়ই গৃহপালিত গরু নিয়ে থানা কমপ্লেক্সের ভেতরে প্রবেশ করে ঘাস খাওয়াতেন। এতে থানার ভেতরের ফুলবাগান ও ফলদ গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। বিষয়টি নজরে এলে পুলিশ সদস্য শরীফুল ইসলাম তাঁকে একাধিকবার নিষেধ করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে নিষেধ অমান্য করে বাদল আবারও গরু নিয়ে থানা কমপ্লেক্সে ঢুকলে শরীফুল ইসলাম বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদল দা দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। পুলিশ সদস্যের চিৎকার শুনে অন্য পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) গুলজার আলম বলেন, অভিযুক্ত যুবক দীর্ঘদিন ধরে থানার ভেতরে গরু চরাতেন। আগেও তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে সতর্ক করা হয়েছিল। মঙ্গলবার ফের একই ঘটনা ঘটালে বাধা দেওয়ায় তিনি হামলা করেন। আহত পুলিশ সদস্য শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে আজ বুধবার সকালে মামলা করেছেন। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনা-৩ আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল, বৈধ ৯টি

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-আড়ংঘাটা) আসনে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এই আসনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং ৩ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের এই তথ্য জানান।

ফয়সাল কাদের জানান, ঋণখেলাপিসহ বিভিন্ন কারণে যাঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ মোল্যা, আবুল হাসান সিদ্দিক ও আরিফুর রহমান মিঠু। তবে তাঁরা চাইলে বিধি অনুযায়ী আপিল করতে পারবেন।

এই আসনে যাঁদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁরা হলেন ইসলামী আন্দোলনের মো. আউয়াল, বিএনপির রকিবুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর মাহফুজুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ খান লিটন ও মইন মোহাম্মদ মায়াজ, বাসদের জনার্দন দত্ত, খেলাফত মজলিসের এফ এম হারুন অর রশিদ, এনডিএমের শেখ আরমান হোসেন এবং জাতীয় পার্টির আব্দুল্লাহ আল মামুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড়, থার্টি ফার্স্ট নাইটে ৭ দফা বিধিনিষেধ পুলিশের

মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ০৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রতিবছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে। এ বছরও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা কক্সবাজারে এসেছেন। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সারা দেশে শোকের আবহ বিরাজ করায় অনেকেই ভ্রমণ বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে ৭ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, নাশকতা কিংবা সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ থাকবে।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার শহর ও সমুদ্রসৈকতে আতশবাজি ও পটকা বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। একই সময়ে উন্মুক্ত স্থান ও রাস্তায় কোনো কনসার্ট কিংবা নাচগানের আয়োজন করা যাবে না। পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বার ও মদের দোকানে বেচাকেনা বন্ধ থাকবে।

অলক বিশ্বাস জানান, বিধিনিষেধ কার্যকরের পাশাপাশি শহরের প্রবেশমুখসহ গুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে নজরদারি জোরদার করা হবে।

পর্যটকের উপস্থিতি

বছরের শেষ দিন ও নতুন বছরের শুরুতে কক্সবাজারে সাধারণত পর্যটকের ঢল নামে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারাও সৈকতে ভিড় জমান। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে ৮-৯ বছর ধরে সৈকতে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের উন্মুক্ত কোনো আয়োজন হচ্ছে না। শহরের কয়েকটি মানসম্মত হোটেল ও রিসোর্টে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান হলেও এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সেসব আয়োজনও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেলের মালিকেরা।

হোটেল ও রিসোর্টের মালিকেরা বলেন, ‘শোকাবহ পরিস্থিতির কারণে অনেক পর্যটক বুধবারের কক্ষ বুকিং বাতিল করেছেন। আবার যাঁরা মঙ্গল বা বুধবার কক্সবাজারে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁদের বড় অংশই সফর স্থগিত করেছেন।’

কক্সবাজার শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস ও কটেজে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং রয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খানসামায় গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে গ্রাম সমিতির অফিসের বারান্দায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ভ্যানযোগে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাছেত সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশটির পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। মৃত্যুর কারণ ও পরিচয় উদ্‌ঘাটনে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত