হৃদয় হোসেন মুন্না, বেতাগী (বরগুনা)

দেশের উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে প্রায় দুইমাস সময় ধরে নেই মুরগির রানীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন না পেয়ে প্রতিদিন খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে মুরগি ও কবুতর পালনকারী প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মুরগি ও কবুতরের রানীক্ষেত রোগ দেখা দিলেও দুই মাসের বেশি সময় ধরে রোগের প্রতিষেধক না থাকায় অসংখ্য মুরগি ও কবুতর মারা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুরগির ভাইরাসজনিত রোগ রানীক্ষেতের আক্রমণের আক্রান্ত মুরগির শতকরা ৯০ শতাংশ মারা যায়। তাই প্রতিরোধক হিসেবে নির্দিষ্ট বয়সে ছানাদের ভ্যাকসিন দিতে হয়। ৬ দিন বয়সী ছানাদের এক ডোজ ও ২১ দিন বয়সী ছানাদের ২য় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। শীত মৌসুমে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় আগেভাগেই জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে প্রতিটি উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী আর ভিডি প্রতিষেধক সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
কিন্তু বর্তমানে সাপ্লাইয়ের অভাবে তা সরবরাহ করা হচ্ছে না। এই অবস্থায় প্রাণী সম্পদ অফিসে ভ্যাকসিন না পেয়ে বাধ্য হয়েই অনেকে বাইরে থেকে অতিরিক্ত দামে ভ্যাকসিন কিনছেন।
বেতাগী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বরগুনা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে সর্বশেষ গত ১২ নভেম্বর ১৩০ ইমপুল আর ভিডি সরবরাহ করা হয়। এগুলো থেকে ২৮ হাজার মুরগি বা কবুতরকে টিকা দেওয়া সম্ভব। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে এর পর আর কোনো ভি ডি ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়নি।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এসব প্রতিষেধকের একটি অংশ বাইরের ফার্মেসিতে বিক্রি করেন। ফলে প্রতি বছরই সংকটের সৃষ্টি হয়। এতে পোলট্রি খামারি মালিক ও গৃহস্থ ব্যক্তিরা ক্ষতির মুখে পড়েন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেওড়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বারবার প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়েও প্রতিষেধক মেলেনি। অপেক্ষা করতে করতে অনেক মুরগিরই ততক্ষণে মারা গেছে। যেগুলো বেঁচে আছে তা নিয়েও এখন আতঙ্কে রয়েছি।’
একই ইউনিয়নের বাসিন্দা আয়শা বেগম বেগম বলেন, ‘আমার ১০টি মুরগি ছিল। ভাইরাসে সবগুলোই মারা গেছে। একাধিকবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়েও প্রতিষেধক পাইনি। অফিসের লোকেরা বাইর থেকে ভ্যাকসিন কিনতে বলে।’
গতকাল রোববার সরেজমিনে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় অনেকেই প্রতিষেধক না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। তখন কথা হয় পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল মজিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি গত কয়েকদিন ধরে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে এসেও ভ্যাকসিন পাইনি। গত ১৫ দিনে আমার প্রতিবেশী বিমল ও আলেয়ার কয়েকটি মুরগি মারা গেছে। অন্যরা মুরগি মারা যাওয়ার আশঙ্কায় সুস্থ মুরগি জবাই করে খেয়ে ফেলেছেন। তবে আমি বিকল্প হিসেবে প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ওষুধ খাইয়ে দিয়েছি।’
বেতাগী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোসা. নারগিস আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত মাস থেকে ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছি। প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে বেশ কয়েকবার এসেও ভ্যাকসিন পাইনি। তারা ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন কেনার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু ফার্মেসির লোকেরা বলে তাদের কাছে দেশীয় জাতের মুরগির জন্য কোনো ভ্যাকসিন নেই। তারা শুধু পোলট্রি জাতের মুরগির জন্য প্রতিষেধক বিক্রি করেন।’
উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের একাধিক ক্ষুদ্র পোলট্রি খামারিরা বলেন, ‘শীতের শুরুতে মুরগির বিভিন্ন রোগে প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। কিন্তু প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে ভ্যাকসিন না পাওয়ায় বাইরে থেকে চড়া দামে এসব ভ্যাকসিন কিনতে হয়। প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে ভ্যাকসিন না পাওয়ায় এবারে অনেকেই খামারে মুরগির বাচ্চা তোলেননি। আর যারা তুলেছেন এর মধ্যে অনেকের শত শত মুরগি মারা যাওয়ায় তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন।’
বেতাগী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. আশরাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলায় সাপ্লাই না থাকায় আমাদেরকে তারা ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারেনি। তবে খুব দ্রুতই ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। আর ভ্যাকসিন বাইরে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এসব অপপ্রচার। আমরা সঠিকভাবেই ওষুধ বিতরণ করি।’

দেশের উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে প্রায় দুইমাস সময় ধরে নেই মুরগির রানীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন না পেয়ে প্রতিদিন খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে মুরগি ও কবুতর পালনকারী প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মুরগি ও কবুতরের রানীক্ষেত রোগ দেখা দিলেও দুই মাসের বেশি সময় ধরে রোগের প্রতিষেধক না থাকায় অসংখ্য মুরগি ও কবুতর মারা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুরগির ভাইরাসজনিত রোগ রানীক্ষেতের আক্রমণের আক্রান্ত মুরগির শতকরা ৯০ শতাংশ মারা যায়। তাই প্রতিরোধক হিসেবে নির্দিষ্ট বয়সে ছানাদের ভ্যাকসিন দিতে হয়। ৬ দিন বয়সী ছানাদের এক ডোজ ও ২১ দিন বয়সী ছানাদের ২য় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। শীত মৌসুমে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় আগেভাগেই জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে প্রতিটি উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী আর ভিডি প্রতিষেধক সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
কিন্তু বর্তমানে সাপ্লাইয়ের অভাবে তা সরবরাহ করা হচ্ছে না। এই অবস্থায় প্রাণী সম্পদ অফিসে ভ্যাকসিন না পেয়ে বাধ্য হয়েই অনেকে বাইরে থেকে অতিরিক্ত দামে ভ্যাকসিন কিনছেন।
বেতাগী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বরগুনা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে সর্বশেষ গত ১২ নভেম্বর ১৩০ ইমপুল আর ভিডি সরবরাহ করা হয়। এগুলো থেকে ২৮ হাজার মুরগি বা কবুতরকে টিকা দেওয়া সম্ভব। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে এর পর আর কোনো ভি ডি ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়নি।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এসব প্রতিষেধকের একটি অংশ বাইরের ফার্মেসিতে বিক্রি করেন। ফলে প্রতি বছরই সংকটের সৃষ্টি হয়। এতে পোলট্রি খামারি মালিক ও গৃহস্থ ব্যক্তিরা ক্ষতির মুখে পড়েন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেওড়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বারবার প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়েও প্রতিষেধক মেলেনি। অপেক্ষা করতে করতে অনেক মুরগিরই ততক্ষণে মারা গেছে। যেগুলো বেঁচে আছে তা নিয়েও এখন আতঙ্কে রয়েছি।’
একই ইউনিয়নের বাসিন্দা আয়শা বেগম বেগম বলেন, ‘আমার ১০টি মুরগি ছিল। ভাইরাসে সবগুলোই মারা গেছে। একাধিকবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়েও প্রতিষেধক পাইনি। অফিসের লোকেরা বাইর থেকে ভ্যাকসিন কিনতে বলে।’
গতকাল রোববার সরেজমিনে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় অনেকেই প্রতিষেধক না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। তখন কথা হয় পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল মজিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি গত কয়েকদিন ধরে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে এসেও ভ্যাকসিন পাইনি। গত ১৫ দিনে আমার প্রতিবেশী বিমল ও আলেয়ার কয়েকটি মুরগি মারা গেছে। অন্যরা মুরগি মারা যাওয়ার আশঙ্কায় সুস্থ মুরগি জবাই করে খেয়ে ফেলেছেন। তবে আমি বিকল্প হিসেবে প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ওষুধ খাইয়ে দিয়েছি।’
বেতাগী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোসা. নারগিস আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত মাস থেকে ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছি। প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে বেশ কয়েকবার এসেও ভ্যাকসিন পাইনি। তারা ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন কেনার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু ফার্মেসির লোকেরা বলে তাদের কাছে দেশীয় জাতের মুরগির জন্য কোনো ভ্যাকসিন নেই। তারা শুধু পোলট্রি জাতের মুরগির জন্য প্রতিষেধক বিক্রি করেন।’
উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের একাধিক ক্ষুদ্র পোলট্রি খামারিরা বলেন, ‘শীতের শুরুতে মুরগির বিভিন্ন রোগে প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। কিন্তু প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে ভ্যাকসিন না পাওয়ায় বাইরে থেকে চড়া দামে এসব ভ্যাকসিন কিনতে হয়। প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে ভ্যাকসিন না পাওয়ায় এবারে অনেকেই খামারে মুরগির বাচ্চা তোলেননি। আর যারা তুলেছেন এর মধ্যে অনেকের শত শত মুরগি মারা যাওয়ায় তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন।’
বেতাগী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. আশরাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলায় সাপ্লাই না থাকায় আমাদেরকে তারা ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারেনি। তবে খুব দ্রুতই ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। আর ভ্যাকসিন বাইরে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এসব অপপ্রচার। আমরা সঠিকভাবেই ওষুধ বিতরণ করি।’
হৃদয় হোসেন মুন্না, বেতাগী (বরগুনা)

দেশের উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে প্রায় দুইমাস সময় ধরে নেই মুরগির রানীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন না পেয়ে প্রতিদিন খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে মুরগি ও কবুতর পালনকারী প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মুরগি ও কবুতরের রানীক্ষেত রোগ দেখা দিলেও দুই মাসের বেশি সময় ধরে রোগের প্রতিষেধক না থাকায় অসংখ্য মুরগি ও কবুতর মারা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুরগির ভাইরাসজনিত রোগ রানীক্ষেতের আক্রমণের আক্রান্ত মুরগির শতকরা ৯০ শতাংশ মারা যায়। তাই প্রতিরোধক হিসেবে নির্দিষ্ট বয়সে ছানাদের ভ্যাকসিন দিতে হয়। ৬ দিন বয়সী ছানাদের এক ডোজ ও ২১ দিন বয়সী ছানাদের ২য় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। শীত মৌসুমে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় আগেভাগেই জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে প্রতিটি উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী আর ভিডি প্রতিষেধক সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
কিন্তু বর্তমানে সাপ্লাইয়ের অভাবে তা সরবরাহ করা হচ্ছে না। এই অবস্থায় প্রাণী সম্পদ অফিসে ভ্যাকসিন না পেয়ে বাধ্য হয়েই অনেকে বাইরে থেকে অতিরিক্ত দামে ভ্যাকসিন কিনছেন।
বেতাগী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বরগুনা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে সর্বশেষ গত ১২ নভেম্বর ১৩০ ইমপুল আর ভিডি সরবরাহ করা হয়। এগুলো থেকে ২৮ হাজার মুরগি বা কবুতরকে টিকা দেওয়া সম্ভব। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে এর পর আর কোনো ভি ডি ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়নি।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এসব প্রতিষেধকের একটি অংশ বাইরের ফার্মেসিতে বিক্রি করেন। ফলে প্রতি বছরই সংকটের সৃষ্টি হয়। এতে পোলট্রি খামারি মালিক ও গৃহস্থ ব্যক্তিরা ক্ষতির মুখে পড়েন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেওড়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বারবার প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়েও প্রতিষেধক মেলেনি। অপেক্ষা করতে করতে অনেক মুরগিরই ততক্ষণে মারা গেছে। যেগুলো বেঁচে আছে তা নিয়েও এখন আতঙ্কে রয়েছি।’
একই ইউনিয়নের বাসিন্দা আয়শা বেগম বেগম বলেন, ‘আমার ১০টি মুরগি ছিল। ভাইরাসে সবগুলোই মারা গেছে। একাধিকবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়েও প্রতিষেধক পাইনি। অফিসের লোকেরা বাইর থেকে ভ্যাকসিন কিনতে বলে।’
গতকাল রোববার সরেজমিনে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় অনেকেই প্রতিষেধক না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। তখন কথা হয় পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল মজিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি গত কয়েকদিন ধরে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে এসেও ভ্যাকসিন পাইনি। গত ১৫ দিনে আমার প্রতিবেশী বিমল ও আলেয়ার কয়েকটি মুরগি মারা গেছে। অন্যরা মুরগি মারা যাওয়ার আশঙ্কায় সুস্থ মুরগি জবাই করে খেয়ে ফেলেছেন। তবে আমি বিকল্প হিসেবে প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ওষুধ খাইয়ে দিয়েছি।’
বেতাগী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোসা. নারগিস আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত মাস থেকে ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছি। প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে বেশ কয়েকবার এসেও ভ্যাকসিন পাইনি। তারা ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন কেনার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু ফার্মেসির লোকেরা বলে তাদের কাছে দেশীয় জাতের মুরগির জন্য কোনো ভ্যাকসিন নেই। তারা শুধু পোলট্রি জাতের মুরগির জন্য প্রতিষেধক বিক্রি করেন।’
উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের একাধিক ক্ষুদ্র পোলট্রি খামারিরা বলেন, ‘শীতের শুরুতে মুরগির বিভিন্ন রোগে প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। কিন্তু প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে ভ্যাকসিন না পাওয়ায় বাইরে থেকে চড়া দামে এসব ভ্যাকসিন কিনতে হয়। প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে ভ্যাকসিন না পাওয়ায় এবারে অনেকেই খামারে মুরগির বাচ্চা তোলেননি। আর যারা তুলেছেন এর মধ্যে অনেকের শত শত মুরগি মারা যাওয়ায় তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন।’
বেতাগী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. আশরাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলায় সাপ্লাই না থাকায় আমাদেরকে তারা ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারেনি। তবে খুব দ্রুতই ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। আর ভ্যাকসিন বাইরে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এসব অপপ্রচার। আমরা সঠিকভাবেই ওষুধ বিতরণ করি।’

দেশের উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে প্রায় দুইমাস সময় ধরে নেই মুরগির রানীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন না পেয়ে প্রতিদিন খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে মুরগি ও কবুতর পালনকারী প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মুরগি ও কবুতরের রানীক্ষেত রোগ দেখা দিলেও দুই মাসের বেশি সময় ধরে রোগের প্রতিষেধক না থাকায় অসংখ্য মুরগি ও কবুতর মারা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুরগির ভাইরাসজনিত রোগ রানীক্ষেতের আক্রমণের আক্রান্ত মুরগির শতকরা ৯০ শতাংশ মারা যায়। তাই প্রতিরোধক হিসেবে নির্দিষ্ট বয়সে ছানাদের ভ্যাকসিন দিতে হয়। ৬ দিন বয়সী ছানাদের এক ডোজ ও ২১ দিন বয়সী ছানাদের ২য় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। শীত মৌসুমে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় আগেভাগেই জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে প্রতিটি উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী আর ভিডি প্রতিষেধক সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
কিন্তু বর্তমানে সাপ্লাইয়ের অভাবে তা সরবরাহ করা হচ্ছে না। এই অবস্থায় প্রাণী সম্পদ অফিসে ভ্যাকসিন না পেয়ে বাধ্য হয়েই অনেকে বাইরে থেকে অতিরিক্ত দামে ভ্যাকসিন কিনছেন।
বেতাগী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বরগুনা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে সর্বশেষ গত ১২ নভেম্বর ১৩০ ইমপুল আর ভিডি সরবরাহ করা হয়। এগুলো থেকে ২৮ হাজার মুরগি বা কবুতরকে টিকা দেওয়া সম্ভব। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে এর পর আর কোনো ভি ডি ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়নি।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এসব প্রতিষেধকের একটি অংশ বাইরের ফার্মেসিতে বিক্রি করেন। ফলে প্রতি বছরই সংকটের সৃষ্টি হয়। এতে পোলট্রি খামারি মালিক ও গৃহস্থ ব্যক্তিরা ক্ষতির মুখে পড়েন।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেওড়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বারবার প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়েও প্রতিষেধক মেলেনি। অপেক্ষা করতে করতে অনেক মুরগিরই ততক্ষণে মারা গেছে। যেগুলো বেঁচে আছে তা নিয়েও এখন আতঙ্কে রয়েছি।’
একই ইউনিয়নের বাসিন্দা আয়শা বেগম বেগম বলেন, ‘আমার ১০টি মুরগি ছিল। ভাইরাসে সবগুলোই মারা গেছে। একাধিকবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়েও প্রতিষেধক পাইনি। অফিসের লোকেরা বাইর থেকে ভ্যাকসিন কিনতে বলে।’
গতকাল রোববার সরেজমিনে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় অনেকেই প্রতিষেধক না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। তখন কথা হয় পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল মজিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি গত কয়েকদিন ধরে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে এসেও ভ্যাকসিন পাইনি। গত ১৫ দিনে আমার প্রতিবেশী বিমল ও আলেয়ার কয়েকটি মুরগি মারা গেছে। অন্যরা মুরগি মারা যাওয়ার আশঙ্কায় সুস্থ মুরগি জবাই করে খেয়ে ফেলেছেন। তবে আমি বিকল্প হিসেবে প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ওষুধ খাইয়ে দিয়েছি।’
বেতাগী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোসা. নারগিস আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত মাস থেকে ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছি। প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে বেশ কয়েকবার এসেও ভ্যাকসিন পাইনি। তারা ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন কেনার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু ফার্মেসির লোকেরা বলে তাদের কাছে দেশীয় জাতের মুরগির জন্য কোনো ভ্যাকসিন নেই। তারা শুধু পোলট্রি জাতের মুরগির জন্য প্রতিষেধক বিক্রি করেন।’
উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের একাধিক ক্ষুদ্র পোলট্রি খামারিরা বলেন, ‘শীতের শুরুতে মুরগির বিভিন্ন রোগে প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। কিন্তু প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে ভ্যাকসিন না পাওয়ায় বাইরে থেকে চড়া দামে এসব ভ্যাকসিন কিনতে হয়। প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে ভ্যাকসিন না পাওয়ায় এবারে অনেকেই খামারে মুরগির বাচ্চা তোলেননি। আর যারা তুলেছেন এর মধ্যে অনেকের শত শত মুরগি মারা যাওয়ায় তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন।’
বেতাগী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. আশরাফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলায় সাপ্লাই না থাকায় আমাদেরকে তারা ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারেনি। তবে খুব দ্রুতই ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। আর ভ্যাকসিন বাইরে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এসব অপপ্রচার। আমরা সঠিকভাবেই ওষুধ বিতরণ করি।’

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২৯ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

দেশের উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে প্রায় দুইমাস সময় ধরে নেই মুরগির রানীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন না পেয়ে প্রতিদিন খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে মুরগি ও কবুতর পালনকারী প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মুরগি ও কবুতরের রানীক্ষেত রোগ দেখা দ
০৪ মার্চ ২০২৪
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

দেশের উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে প্রায় দুইমাস সময় ধরে নেই মুরগির রানীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন না পেয়ে প্রতিদিন খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে মুরগি ও কবুতর পালনকারী প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মুরগি ও কবুতরের রানীক্ষেত রোগ দেখা দ
০৪ মার্চ ২০২৪
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২৯ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

দেশের উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে প্রায় দুইমাস সময় ধরে নেই মুরগির রানীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন না পেয়ে প্রতিদিন খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে মুরগি ও কবুতর পালনকারী প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মুরগি ও কবুতরের রানীক্ষেত রোগ দেখা দ
০৪ মার্চ ২০২৪
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২৯ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

দেশের উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে প্রায় দুইমাস সময় ধরে নেই মুরগির রানীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন না পেয়ে প্রতিদিন খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে মুরগি ও কবুতর পালনকারী প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মুরগি ও কবুতরের রানীক্ষেত রোগ দেখা দ
০৪ মার্চ ২০২৪
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২৯ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগে