ফাতিমা পারভীন

১৫ই আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায়। এই অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। ছোটবেলা থেকেই আমার বাবা বলতেন, 'পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাইলে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘুরে দেখো, প্রিয় বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখবে'। কিন্তু এই বাড়িটি ঘুরে দেখতে আমার বেশ দেরি হয়েছে। আমার এই সৌভাগ্য হয়েছিল ২০১৪ সালে। ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে গল্প শুনলেও প্রথমবারের মতো নিজের চোখে দেখলাম বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়িটি।
আমি তো বাড়িতে কোন বাসিন্দার দেখা পাইনি। দেখলাম, বাড়ির মূল কাঠামো পরিবর্তন না করে এখানেই গড়ে তোলা হয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর। এখানে সুনিপুণভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের ব্যবহার্য বিভিন্ন সামগ্রী। ভেবেছিলাম এত বড় একজন নেতার বাড়ি, হয়তো বিপুল বিত্তবৈভব ও বিলাসী জীবনের ছোঁয়া পাব। কিন্তু ভেতরে গিয়ে কিছুটা অবাকই হয়েছি। এত আটপৌরে অতিসাধারণ আসবাবপত্র, টিভি, রেডিও আর কাপড়-চোপড় দেখে অবাক না হয়ে আর উপায় কী।
জাদুঘরটির দেয়াল ও বিভিন্ন জায়গায় ঘাতকের বুলেটের চিহ্ন। এ চিহ্নগুলো দেখলে '৭৫-এর এ হত্যাকাণ্ড কতটা নির্মম ও বীভৎস ছিল তা সহজেই অনুমান করা যায়। দেয়ালে বুলেটের চিহ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ চোখ আটকে গেল একটি রক্তাক্ত সিঁড়িতে। তবে বেশি সময় নজর স্থির রাখতে পারিনি। জানলাম, গুলিবিদ্ধ হয়ে এই সিঁড়িতেই শহীদ হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। জাদুঘরের প্রথম তলার প্রথম কক্ষটিতে বঙ্গবন্ধু ও বিশ্বনেতাদের ছবি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রোগ্রামের ছবি ও পরিবারের অন্য শাহাদত বরণকারীদের তৈলচিত্র। দোতলায় বঙ্গবন্ধুর শয়নকক্ষ। ১৫ আগস্ট ভোরে বেগম মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল এই কক্ষেই ছিলেন। এই কক্ষটিতে এখন টেলিফোন সেট, রেডিও, রক্তমাখা পোশাক রাখা আছে। সামনে খাবার ঘরে রয়েছে পরিবারের ব্যবহার্য তৈজসপত্র। এসব তৈজসপত্রেও রয়েছে সাদামাটা জীবন যাপনের ছাপ।
বঙ্গবন্ধুর কক্ষের ঠিক উল্টো দিকে শেখ জামালের কক্ষ। এখানে দেখা গেল তাঁর সামরিক পোশাক। ওই একই তলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার শয়নকক্ষ। এ কক্ষটিও অতি সাধারণ। বাড়ির তৃতীয় তলায় শেখ কামালের কক্ষ। পর্যায়ক্রমে বাড়িতে রাখা আছে বঙ্গমাতার ব্যবহার্য অতি সাধারণ জিনিসপত্র, সুলতানা কামালের নতুন সবুজ বেনারসি, লাল ঢাকাই জামদানি, বিয়ের জুতা, ভাঙা কাঁচের চুরি, চুলের কাঁটা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। শিশু শেখ রাসেলের রক্তমাখা ছোট্ট জামাটি দেখে বুকের মধ্যে ধক করে উঠল। রক্তমাখা জামাটি যেন আমার মাতৃত্বে সজোরে ধাক্কা দিল।
সামনে যেতে যেতে বারবার চোখে পড়ে ছোট্ট শিশু রাসেলের ছবি, তাঁর ব্যবহার্য জিনিসপত্র আর ছোট্ট একটি বাইসাইকেল। এই দৃশ্যগুলো যেন আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিল। মনে হলো এসব ব্যবহার্য জিনিসের অন্তরালে এখনো ছোট্ট এক শিশুর কোমল স্পর্শ, মান-অভিমান, ভালোবাসার ছোঁয়া লেগে আছে। মুহূর্তে মনে হলো শিশু রাসেল স্কুলে চলে গেছে, স্কুল ছুটি হলে সে আবার ফিরে আসবে; স্পর্শ করবে প্রিয় জিনিসপত্র। মান-অভিমান করবে, হাসবে, খেলবে, দুরন্ত মন তার ছুটবে যোজন যোজন মাইল। হৈ-হুল্লোড়ে মাতিয়ে তুলবে সারা বাড়ি কিংবা নতুন আদুরে কণ্ঠে ডাকবে ‘হাসু আপা’। এসব ভাবতে গিয়ে আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না; চলে এলাম।
বাকরুদ্ধ হয়ে বেরিয়ে আসছিলাম। বের হতে দেখে একজন দর্শনার্থী বললেন, ছয় তলা ভবনটি দেখা যাওয়ার জন্য। আমি তাকে কোনো জবাব দিতে পারলাম না। বেঁকেচুরে হেলে পড়া আমার দেহের ভার কিছুতেই আর বইতে পারছিলাম না। ওই ছোট্ট শিশুর মানবাধিকার লঙ্ঘনের আর্তচিৎকার আজও আমাকে ব্যাকুল করে।
পরে অবশ্য সেদিনের অদেখা সেই ছয় তলা ভবনটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। আবার যখন গিয়েছি মনে হয়েছে, জীবনকে বাঙালির অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর বক্তব্য, মানবিকতা, রাজনৈতিক সংকটে প্রদত্ত সমাধান, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে গৃহীত পদক্ষেপে গণশক্তি প্রকাশ পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি দেখার পরে তাঁকে অনেক বেশি অনুধাবন করতে পেরেছি।
আজ বাবা বেঁচে নেই। আগস্ট মাস চলছে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাবার বলা কথাগুলো খুব বেশি মনে পড়ছে। বাবার নির্দেশনায়ই প্রথম এই বাড়িতে গিয়েছিলাম। নিজের চোখে দেখার সুযোগ পেয়েছি একজন মহান ব্যক্তিত্বের অতিসাধারণ জীবনযাপন। আজও 'প্রকৃত মানুষ' হতে পেরেছি কিনা জানি না। তবে মানুষ ও প্রিয় জন্মভূমিকে ভালোবাসতে শিখেছি, এটা বলতে পারি।
লেখক: ভাইস-চেয়ারম্যান, পাথরঘাটা, বরগুনা

১৫ই আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায়। এই অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। ছোটবেলা থেকেই আমার বাবা বলতেন, 'পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাইলে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘুরে দেখো, প্রিয় বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখবে'। কিন্তু এই বাড়িটি ঘুরে দেখতে আমার বেশ দেরি হয়েছে। আমার এই সৌভাগ্য হয়েছিল ২০১৪ সালে। ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে গল্প শুনলেও প্রথমবারের মতো নিজের চোখে দেখলাম বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়িটি।
আমি তো বাড়িতে কোন বাসিন্দার দেখা পাইনি। দেখলাম, বাড়ির মূল কাঠামো পরিবর্তন না করে এখানেই গড়ে তোলা হয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর। এখানে সুনিপুণভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের ব্যবহার্য বিভিন্ন সামগ্রী। ভেবেছিলাম এত বড় একজন নেতার বাড়ি, হয়তো বিপুল বিত্তবৈভব ও বিলাসী জীবনের ছোঁয়া পাব। কিন্তু ভেতরে গিয়ে কিছুটা অবাকই হয়েছি। এত আটপৌরে অতিসাধারণ আসবাবপত্র, টিভি, রেডিও আর কাপড়-চোপড় দেখে অবাক না হয়ে আর উপায় কী।
জাদুঘরটির দেয়াল ও বিভিন্ন জায়গায় ঘাতকের বুলেটের চিহ্ন। এ চিহ্নগুলো দেখলে '৭৫-এর এ হত্যাকাণ্ড কতটা নির্মম ও বীভৎস ছিল তা সহজেই অনুমান করা যায়। দেয়ালে বুলেটের চিহ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ চোখ আটকে গেল একটি রক্তাক্ত সিঁড়িতে। তবে বেশি সময় নজর স্থির রাখতে পারিনি। জানলাম, গুলিবিদ্ধ হয়ে এই সিঁড়িতেই শহীদ হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। জাদুঘরের প্রথম তলার প্রথম কক্ষটিতে বঙ্গবন্ধু ও বিশ্বনেতাদের ছবি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রোগ্রামের ছবি ও পরিবারের অন্য শাহাদত বরণকারীদের তৈলচিত্র। দোতলায় বঙ্গবন্ধুর শয়নকক্ষ। ১৫ আগস্ট ভোরে বেগম মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল এই কক্ষেই ছিলেন। এই কক্ষটিতে এখন টেলিফোন সেট, রেডিও, রক্তমাখা পোশাক রাখা আছে। সামনে খাবার ঘরে রয়েছে পরিবারের ব্যবহার্য তৈজসপত্র। এসব তৈজসপত্রেও রয়েছে সাদামাটা জীবন যাপনের ছাপ।
বঙ্গবন্ধুর কক্ষের ঠিক উল্টো দিকে শেখ জামালের কক্ষ। এখানে দেখা গেল তাঁর সামরিক পোশাক। ওই একই তলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার শয়নকক্ষ। এ কক্ষটিও অতি সাধারণ। বাড়ির তৃতীয় তলায় শেখ কামালের কক্ষ। পর্যায়ক্রমে বাড়িতে রাখা আছে বঙ্গমাতার ব্যবহার্য অতি সাধারণ জিনিসপত্র, সুলতানা কামালের নতুন সবুজ বেনারসি, লাল ঢাকাই জামদানি, বিয়ের জুতা, ভাঙা কাঁচের চুরি, চুলের কাঁটা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। শিশু শেখ রাসেলের রক্তমাখা ছোট্ট জামাটি দেখে বুকের মধ্যে ধক করে উঠল। রক্তমাখা জামাটি যেন আমার মাতৃত্বে সজোরে ধাক্কা দিল।
সামনে যেতে যেতে বারবার চোখে পড়ে ছোট্ট শিশু রাসেলের ছবি, তাঁর ব্যবহার্য জিনিসপত্র আর ছোট্ট একটি বাইসাইকেল। এই দৃশ্যগুলো যেন আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিল। মনে হলো এসব ব্যবহার্য জিনিসের অন্তরালে এখনো ছোট্ট এক শিশুর কোমল স্পর্শ, মান-অভিমান, ভালোবাসার ছোঁয়া লেগে আছে। মুহূর্তে মনে হলো শিশু রাসেল স্কুলে চলে গেছে, স্কুল ছুটি হলে সে আবার ফিরে আসবে; স্পর্শ করবে প্রিয় জিনিসপত্র। মান-অভিমান করবে, হাসবে, খেলবে, দুরন্ত মন তার ছুটবে যোজন যোজন মাইল। হৈ-হুল্লোড়ে মাতিয়ে তুলবে সারা বাড়ি কিংবা নতুন আদুরে কণ্ঠে ডাকবে ‘হাসু আপা’। এসব ভাবতে গিয়ে আমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না; চলে এলাম।
বাকরুদ্ধ হয়ে বেরিয়ে আসছিলাম। বের হতে দেখে একজন দর্শনার্থী বললেন, ছয় তলা ভবনটি দেখা যাওয়ার জন্য। আমি তাকে কোনো জবাব দিতে পারলাম না। বেঁকেচুরে হেলে পড়া আমার দেহের ভার কিছুতেই আর বইতে পারছিলাম না। ওই ছোট্ট শিশুর মানবাধিকার লঙ্ঘনের আর্তচিৎকার আজও আমাকে ব্যাকুল করে।
পরে অবশ্য সেদিনের অদেখা সেই ছয় তলা ভবনটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। আবার যখন গিয়েছি মনে হয়েছে, জীবনকে বাঙালির অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর বক্তব্য, মানবিকতা, রাজনৈতিক সংকটে প্রদত্ত সমাধান, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে গৃহীত পদক্ষেপে গণশক্তি প্রকাশ পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি দেখার পরে তাঁকে অনেক বেশি অনুধাবন করতে পেরেছি।
আজ বাবা বেঁচে নেই। আগস্ট মাস চলছে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাবার বলা কথাগুলো খুব বেশি মনে পড়ছে। বাবার নির্দেশনায়ই প্রথম এই বাড়িতে গিয়েছিলাম। নিজের চোখে দেখার সুযোগ পেয়েছি একজন মহান ব্যক্তিত্বের অতিসাধারণ জীবনযাপন। আজও 'প্রকৃত মানুষ' হতে পেরেছি কিনা জানি না। তবে মানুষ ও প্রিয় জন্মভূমিকে ভালোবাসতে শিখেছি, এটা বলতে পারি।
লেখক: ভাইস-চেয়ারম্যান, পাথরঘাটা, বরগুনা

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
৩ মিনিট আগে
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়।
১০ মিনিট আগে
উন্নত চিকিৎসার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার ১টা ৫৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
৩০ মিনিট আগে
বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
১ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
মতিউর রহমান সাগর বলেছেন, ‘এই হাউস থেকে আরও কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দিই, আওয়ামী লীগের যে সমস্ত ভাইয়েরা এলাকায় আছেন, যারা বিগত দিনে আকাম-কুকাম করেছেন, বিভিন্ন অরাজকতা করেছেন, আপনাদের আমরা মাফ করে দেব, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাই না। আপনারা এলাকায় থাকবেন, আপনারা চিন্তা কইরা দেখেন আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতেছে, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে হইলেও, আপনাদের সুবিধা-অসুবিধার জন্য হইলেও, আপনারা বিএনপির পাশে থাকবেন। যদি আপনাদের দল কখনো পুনর্বাসন হয়, আপনাদের দল যদি আবার কখনো এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়, তখন যদি আপনারা আমাদের ছেড়ে চলে যান, আমাদের আপত্তি থাকবে না। কিন্তু আপনারা আমাদের চোখের সামনে দিয়ে ওই জামায়াত-রাজাকারদের ভোট দেবেন, আর আপনারা বাড়িতে শান্তিতে থাকবেন, ওই শান্তিতে কিন্তু আমি থাকতে দেব না। আওয়ামী লীগকে বলি, আপনারা ভোট দিলে বিএনপিকে দেবেন, না দিলে ঘরে শুয়ে থাকবেন।’
মতিউর রহমান সাগর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তাঁর এ বক্তব্য সরাসরি প্রচার করেন।
প্রায় ১৩ মিনিটের লাইভ ভিডিওটি ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে তিনি তাঁর আইডি থেকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেন। ততক্ষণে ভিডিওটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে শরীয়তপুর-২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল বলেন, ‘নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর জনসম্মুখে যে বক্তব্য দিয়েছে, তা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। তার কাছ থেকে এমন বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যেন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।’
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা মতিউর রহমান সাগর গতকাল রোববার দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘হঠাৎ জরুরি ভিত্তিতে ফেসবুক লাইভে আসতে বাধ্য হয়েছি। একটি ভিডিও আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কে বা কারা আমার একটি বক্তব্য এআইর মাধ্যমে কাটছাঁট করে ভাইরাল করেছে। ওই বক্তব্য আমার নয়। একটি দুষ্ট চক্র বিভ্রান্ত ছড়ানোর জন্য এআইর মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আপনাদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে শরীয়তপুর-২ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘ভিডিওটি আমাদের হাতে এসেছে। এটি স্পষ্টতই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। তবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট ইলেকটোরাল কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি দাদন মুন্সি বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য আমরা সমর্থন করি না। এতে নির্বাচনী পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ঘটনা সত্য হলে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এবার শরীয়তপুর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান কিরণ এবং জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
মতিউর রহমান সাগর বলেছেন, ‘এই হাউস থেকে আরও কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দিই, আওয়ামী লীগের যে সমস্ত ভাইয়েরা এলাকায় আছেন, যারা বিগত দিনে আকাম-কুকাম করেছেন, বিভিন্ন অরাজকতা করেছেন, আপনাদের আমরা মাফ করে দেব, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাই না। আপনারা এলাকায় থাকবেন, আপনারা চিন্তা কইরা দেখেন আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতেছে, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে হইলেও, আপনাদের সুবিধা-অসুবিধার জন্য হইলেও, আপনারা বিএনপির পাশে থাকবেন। যদি আপনাদের দল কখনো পুনর্বাসন হয়, আপনাদের দল যদি আবার কখনো এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়, তখন যদি আপনারা আমাদের ছেড়ে চলে যান, আমাদের আপত্তি থাকবে না। কিন্তু আপনারা আমাদের চোখের সামনে দিয়ে ওই জামায়াত-রাজাকারদের ভোট দেবেন, আর আপনারা বাড়িতে শান্তিতে থাকবেন, ওই শান্তিতে কিন্তু আমি থাকতে দেব না। আওয়ামী লীগকে বলি, আপনারা ভোট দিলে বিএনপিকে দেবেন, না দিলে ঘরে শুয়ে থাকবেন।’
মতিউর রহমান সাগর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তাঁর এ বক্তব্য সরাসরি প্রচার করেন।
প্রায় ১৩ মিনিটের লাইভ ভিডিওটি ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে তিনি তাঁর আইডি থেকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেন। ততক্ষণে ভিডিওটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে শরীয়তপুর-২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল বলেন, ‘নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর জনসম্মুখে যে বক্তব্য দিয়েছে, তা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। তার কাছ থেকে এমন বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যেন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।’
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা মতিউর রহমান সাগর গতকাল রোববার দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘হঠাৎ জরুরি ভিত্তিতে ফেসবুক লাইভে আসতে বাধ্য হয়েছি। একটি ভিডিও আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কে বা কারা আমার একটি বক্তব্য এআইর মাধ্যমে কাটছাঁট করে ভাইরাল করেছে। ওই বক্তব্য আমার নয়। একটি দুষ্ট চক্র বিভ্রান্ত ছড়ানোর জন্য এআইর মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আপনাদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে শরীয়তপুর-২ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘ভিডিওটি আমাদের হাতে এসেছে। এটি স্পষ্টতই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। তবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট ইলেকটোরাল কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি দাদন মুন্সি বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য আমরা সমর্থন করি না। এতে নির্বাচনী পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ঘটনা সত্য হলে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এবার শরীয়তপুর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান কিরণ এবং জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বাবা বলতেন, 'পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাইলে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘুরে দেখো, প্রিয় বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখবে'। কিন্তু এই বাড়িটি ঘুরে দেখতে আমার বেশ দেরি হয়েছে। আমার এই সৌভাগ্য হয়েছিল ২০১৪ সালে। ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে গল্প শুনলেও প্রথমবারের মতো
১৪ আগস্ট ২০২১
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়।
১০ মিনিট আগে
উন্নত চিকিৎসার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার ১টা ৫৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
৩০ মিনিট আগে
বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কেউ ইতিমধ্যে মারা গেছেন, কেউ রয়েছেন হাজতে, আবার কেউ আছেন প্রবাসে, তারপরও সবাইকে আসামি করা হয়েছে যুবদল নেতার করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায়। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়। মামলার বাদী দাবি করছেন, সিনিয়র নেতাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী তিনি বাদী হয়েছেন। তবে পৌর ও উপজেলা বিএনপি নেতারা বলছেন, এ বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। তাঁদের দাবি, এ ধরনের মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়। শুধু তা-ই নয়, একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আবু হানিফ ৩১ জুলাই থেকে হাজতে থাকা অবস্থায়ও আসামি হয়েছেন। তিনি এই মামলার ২৯ নম্বর আসামি।
নুরুজ্জামান বাবু নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান দুই মাস ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন; বিদেশে থাকা অবস্থায় তাঁর নামও তোলা হয়েছে আসামির তালিকায়। তাঁকে করা হয়েছে ৪ নম্বর আসামি। এ ছাড়া ছাত্রদল-বিএনপি কর্মীদের নামও যুক্ত রয়েছে মামলায়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর রাত ১টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার শ্রীরামদী এলাকায় কমিউনিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে গাছ কেটে ফেলে ও টায়ারে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে এবং তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ সরিয়ে সড়কে যান চলাচলের উপযোগী করে।
এ ঘটনায় পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খুর্শিদ আলম বাদী হয়ে ২ ডিসেম্বর পাকুন্দিয়া থানায় ৩৯ জনের নামোল্লেখ করে ও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।
হাজতি আবু হানিফের স্ত্রী কল্পনা আক্তার বলেন, ‘১ নভেম্বর পুলিশ আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। তিনি তখন থেকেই হাজতে। হাজতে থাকা মানুষ কীভাবে রাস্তায় অবরোধ করবে? বাদীও বলেছেন, তিনি আমার স্বামীকে চেনেন না।’
আবু হানিফের মেয়ে মেহেরুন্নেছা বলেন, ‘আমরা চার বোন। বাবা হাজতে থাকায় মাসহ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
এদিকে মৃত শামসউদ্দিনের পরিবারও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাঁর ভাই পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা বংশগতভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মারধর, বাড়িছাড়া, সবই সহ্য করেছি। এখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আমার মৃত ভাইও আসামি! এই ধরনের মামলায় দলেরও বদনাম হয়।’
বিএনপি কর্মী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মৃত শামসউদ্দিনের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত।’
পাকুন্দিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ‘১৪ নভেম্বর রাতে সড়কে গাছ ফেলে অবরোধের ঘটনায় ২ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে, কিন্তু আমাকে কেউ জানায়নি। বাদীও এই এলাকার না। মামলায় থাকা অনেকেই অন্য এলাকার। আমি মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাই।’
ছাত্রদল কর্মী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘আমার বোন জামাইয়ের সঙ্গে পৌর বিএনপি নেতা লিমনের ঝামেলার জেরে আমাকে রাজনৈতিক মামলায় আসামি করা হয়েছে।’
মামলার বাদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খুর্শিদ আলম বলেন, ‘ওপরের সিনিয়র নেতারাই তালিকা দিয়েছেন, সব আমি জানি না। হাজতি হানিফ আমার আত্মীয়, তার স্ত্রী এসে কেঁদেছেন, আমি সান্ত্বনা দিয়েছি। বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতারা নাম পাঠিয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম যে দিয়েছেন, তিনি ভুল করেছেন। আমি দিইনি। ১ তারিখ সন্ধ্যায় এজাহার দিয়েছি, ২ তারিখে রুজু হয়েছে। উপজেলা মিলেই তালিকা করা হয়েছে। কোনো অসংগতি থাকলে বাদ দেওয়া হবে।’
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমি তখন ছিলাম না। এই বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত করব। তদন্তে যদি কেউ নির্দোষ থাকে তাহলে তা বিবেচনা করা হবে।’
কিশোরগঞ্জ মানবাধিকার আইনজীবী পরিষদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদা বেগম বলেন, ‘মৃত ব্যক্তি, হাজতে থাকা ব্যক্তি বা প্রবাসী—এরা কীভাবে মামলার আসামি হন? এ ধরনের মামলায় সাধারণত উদ্দেশ্য থাকে বাণিজ্য আর হয়রানি।’

কেউ ইতিমধ্যে মারা গেছেন, কেউ রয়েছেন হাজতে, আবার কেউ আছেন প্রবাসে, তারপরও সবাইকে আসামি করা হয়েছে যুবদল নেতার করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায়। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়। মামলার বাদী দাবি করছেন, সিনিয়র নেতাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী তিনি বাদী হয়েছেন। তবে পৌর ও উপজেলা বিএনপি নেতারা বলছেন, এ বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। তাঁদের দাবি, এ ধরনের মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়। শুধু তা-ই নয়, একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আবু হানিফ ৩১ জুলাই থেকে হাজতে থাকা অবস্থায়ও আসামি হয়েছেন। তিনি এই মামলার ২৯ নম্বর আসামি।
নুরুজ্জামান বাবু নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান দুই মাস ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন; বিদেশে থাকা অবস্থায় তাঁর নামও তোলা হয়েছে আসামির তালিকায়। তাঁকে করা হয়েছে ৪ নম্বর আসামি। এ ছাড়া ছাত্রদল-বিএনপি কর্মীদের নামও যুক্ত রয়েছে মামলায়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর রাত ১টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার শ্রীরামদী এলাকায় কমিউনিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে গাছ কেটে ফেলে ও টায়ারে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে এবং তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ সরিয়ে সড়কে যান চলাচলের উপযোগী করে।
এ ঘটনায় পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খুর্শিদ আলম বাদী হয়ে ২ ডিসেম্বর পাকুন্দিয়া থানায় ৩৯ জনের নামোল্লেখ করে ও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।
হাজতি আবু হানিফের স্ত্রী কল্পনা আক্তার বলেন, ‘১ নভেম্বর পুলিশ আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। তিনি তখন থেকেই হাজতে। হাজতে থাকা মানুষ কীভাবে রাস্তায় অবরোধ করবে? বাদীও বলেছেন, তিনি আমার স্বামীকে চেনেন না।’
আবু হানিফের মেয়ে মেহেরুন্নেছা বলেন, ‘আমরা চার বোন। বাবা হাজতে থাকায় মাসহ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
এদিকে মৃত শামসউদ্দিনের পরিবারও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাঁর ভাই পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা বংশগতভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মারধর, বাড়িছাড়া, সবই সহ্য করেছি। এখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আমার মৃত ভাইও আসামি! এই ধরনের মামলায় দলেরও বদনাম হয়।’
বিএনপি কর্মী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মৃত শামসউদ্দিনের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত।’
পাকুন্দিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ‘১৪ নভেম্বর রাতে সড়কে গাছ ফেলে অবরোধের ঘটনায় ২ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে, কিন্তু আমাকে কেউ জানায়নি। বাদীও এই এলাকার না। মামলায় থাকা অনেকেই অন্য এলাকার। আমি মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাই।’
ছাত্রদল কর্মী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘আমার বোন জামাইয়ের সঙ্গে পৌর বিএনপি নেতা লিমনের ঝামেলার জেরে আমাকে রাজনৈতিক মামলায় আসামি করা হয়েছে।’
মামলার বাদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খুর্শিদ আলম বলেন, ‘ওপরের সিনিয়র নেতারাই তালিকা দিয়েছেন, সব আমি জানি না। হাজতি হানিফ আমার আত্মীয়, তার স্ত্রী এসে কেঁদেছেন, আমি সান্ত্বনা দিয়েছি। বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতারা নাম পাঠিয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম যে দিয়েছেন, তিনি ভুল করেছেন। আমি দিইনি। ১ তারিখ সন্ধ্যায় এজাহার দিয়েছি, ২ তারিখে রুজু হয়েছে। উপজেলা মিলেই তালিকা করা হয়েছে। কোনো অসংগতি থাকলে বাদ দেওয়া হবে।’
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমি তখন ছিলাম না। এই বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত করব। তদন্তে যদি কেউ নির্দোষ থাকে তাহলে তা বিবেচনা করা হবে।’
কিশোরগঞ্জ মানবাধিকার আইনজীবী পরিষদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদা বেগম বলেন, ‘মৃত ব্যক্তি, হাজতে থাকা ব্যক্তি বা প্রবাসী—এরা কীভাবে মামলার আসামি হন? এ ধরনের মামলায় সাধারণত উদ্দেশ্য থাকে বাণিজ্য আর হয়রানি।’

বাবা বলতেন, 'পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাইলে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘুরে দেখো, প্রিয় বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখবে'। কিন্তু এই বাড়িটি ঘুরে দেখতে আমার বেশ দেরি হয়েছে। আমার এই সৌভাগ্য হয়েছিল ২০১৪ সালে। ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে গল্প শুনলেও প্রথমবারের মতো
১৪ আগস্ট ২০২১
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
৩ মিনিট আগে
উন্নত চিকিৎসার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার ১টা ৫৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
৩০ মিনিট আগে
বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

উন্নত চিকিৎসার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার ১টা ৫৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
এর আগে বেলা ১১টা ২২ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
ওসমান হাদির বড় দুই ভাই ওমর ফারুক ও আবু বকর সিদ্দিক তাঁর সঙ্গে যাচ্ছেন।
জানা যায়, বেলা সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে করে ওসমান হাদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে নেওয়া হয়। বেলা দেড়টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করে।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
এরপর গতকাল রোববার ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

উন্নত চিকিৎসার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার ১টা ৫৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
এর আগে বেলা ১১টা ২২ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
ওসমান হাদির বড় দুই ভাই ওমর ফারুক ও আবু বকর সিদ্দিক তাঁর সঙ্গে যাচ্ছেন।
জানা যায়, বেলা সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে করে ওসমান হাদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে নেওয়া হয়। বেলা দেড়টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করে।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
এরপর গতকাল রোববার ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

বাবা বলতেন, 'পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাইলে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘুরে দেখো, প্রিয় বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখবে'। কিন্তু এই বাড়িটি ঘুরে দেখতে আমার বেশ দেরি হয়েছে। আমার এই সৌভাগ্য হয়েছিল ২০১৪ সালে। ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে গল্প শুনলেও প্রথমবারের মতো
১৪ আগস্ট ২০২১
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
৩ মিনিট আগে
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়।
১০ মিনিট আগে
বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
সোমবার ময়মনসিংহ নগরীর খাগডহর বিজিবি ক্যাম্পে তিনি আরও জানান, শুক্রবার ৯টার মধ্যে বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সম্ভাব্য পাচারের রুটগুলো চিহ্নিত করে টহল এবং চেকপোস্ট বসানো হয় সীমান্তের অধিকাংশ স্থানে। পরদিন অর্থাৎ শনিবারে পুলিশ এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ অপারেশনের প্ল্যান করা হয়। ঢাকা থেকে আগত পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বিজিবি ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডারের নিয়মিত যোগাযোগ এবং অপারেশন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আলোচনায় দুটি স্থানে একসঙ্গে অপারেশনের প্ল্যান করা হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অবস্থানরত ফিলিপ স্নালকে আটকের পরিকল্পনা করা হয়। পুলিশের আরেকটি টিম হালুয়াঘাট এলাকায় অপারেশনের প্ল্যান করে। হালুয়াঘাটে অপারেশনের বিষয়ে বিজিবির সোর্স এবং অন্যান্য বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করেছে। অপর দিকে নালিতাবাড়ীর বারোমারি এলাকায় অপারেশন পরিচালিত হয় বিজিবির নেতৃত্বে এবং ঢাকা হতে আগত ও হালুয়াঘাট থানার পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে। কিন্তু ফিলিপকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী ডেলটা চিরান, শ্বশুর ইয়ারসন রংডি এবং মানব পাচারকারী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়।’
তাঁদের পরিবারের তিনজনসহ এ পর্যন্ত বিজিবি চারজনকে আটক করেছে। এঁদের মধ্যে সোমবার সকালে মানব পাচারকারী বেঞ্জামিন চিরামকে আটক করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারী ব্যক্তিরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কি না—তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
সোমবার ময়মনসিংহ নগরীর খাগডহর বিজিবি ক্যাম্পে তিনি আরও জানান, শুক্রবার ৯টার মধ্যে বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সম্ভাব্য পাচারের রুটগুলো চিহ্নিত করে টহল এবং চেকপোস্ট বসানো হয় সীমান্তের অধিকাংশ স্থানে। পরদিন অর্থাৎ শনিবারে পুলিশ এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ অপারেশনের প্ল্যান করা হয়। ঢাকা থেকে আগত পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বিজিবি ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডারের নিয়মিত যোগাযোগ এবং অপারেশন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আলোচনায় দুটি স্থানে একসঙ্গে অপারেশনের প্ল্যান করা হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অবস্থানরত ফিলিপ স্নালকে আটকের পরিকল্পনা করা হয়। পুলিশের আরেকটি টিম হালুয়াঘাট এলাকায় অপারেশনের প্ল্যান করে। হালুয়াঘাটে অপারেশনের বিষয়ে বিজিবির সোর্স এবং অন্যান্য বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করেছে। অপর দিকে নালিতাবাড়ীর বারোমারি এলাকায় অপারেশন পরিচালিত হয় বিজিবির নেতৃত্বে এবং ঢাকা হতে আগত ও হালুয়াঘাট থানার পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে। কিন্তু ফিলিপকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী ডেলটা চিরান, শ্বশুর ইয়ারসন রংডি এবং মানব পাচারকারী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়।’
তাঁদের পরিবারের তিনজনসহ এ পর্যন্ত বিজিবি চারজনকে আটক করেছে। এঁদের মধ্যে সোমবার সকালে মানব পাচারকারী বেঞ্জামিন চিরামকে আটক করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বাবা বলতেন, 'পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাইলে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘুরে দেখো, প্রিয় বাংলাদেশকে ভালোবাসতে শিখবে'। কিন্তু এই বাড়িটি ঘুরে দেখতে আমার বেশ দেরি হয়েছে। আমার এই সৌভাগ্য হয়েছিল ২০১৪ সালে। ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে গল্প শুনলেও প্রথমবারের মতো
১৪ আগস্ট ২০২১
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
৩ মিনিট আগে
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়।
১০ মিনিট আগে
উন্নত চিকিৎসার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার ১টা ৫৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
৩০ মিনিট আগে