নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজেদের ফ্ল্যাটে মা ও মেয়ে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন ‘গৃহকর্মী আয়েশাকে’ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর প্রকৃত নাম-পরিচয় ও তাঁর স্বামীর নামও জেনেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ওই তরুণীকে শনাক্ত ও নাম-পরিচয় বের করা হলেও তাঁকে গ্রেপ্তারের পর তা প্রকাশ করা হবে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কারণ জানা যাবে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
‘আয়েশা’কে গ্রেপ্তার এবং এই জোড়া খুনের রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্তে নেমেছে পুলিশ, র্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গৃহকর্মী তাঁর প্রকৃত নাম ও ঠিকানা দেননি। তাঁকে কেউ চিনতেও পারছিলেন না। ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে কোনো মোবাইল ফোনও ছিল না। বাসা থেকে তিনি যে ফোন নিয়ে গেছেন, সেটাও বের হয়েই বন্ধ করে দিয়েছেন। আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল না থাকায় ওই বাড়ির গেট থেকে বের হয়ে রিকশা নিয়ে কোনদিকে গেছেন, তা নিশ্চিত হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
সূত্র বলেছে, ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে ওই তরুণীর চার দিনের মোবাইল ফোনে কোনো যোগাযোগ ছিল না। সব সময় বোরকা পরে থাকায় ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরায়ও তাঁর মুখ স্পষ্টভাবে ধরা পড়েনি। ফলে তাঁকে শনাক্তে ম্যানুয়ালি কাজ করতে হয়। সম্ভাব্য সব ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করে তাঁকে শনাক্ত করা হয়।
এর আগে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্মীর নাম-ঠিকানা ও কোনো মোবাইল ফোন না থাকায় পরিচয় জানা যাচ্ছে না। দ্রুতই তাঁকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
জোড়া হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে ‘গৃহকর্মী আয়েশা’কে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলার এজাহারে বলা হয়, সোমবার সকাল ৭টার দিকে তিনি উত্তরায় স্কুলে চলে যান। সেখানে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তিনি বাসায় ফিরে স্ত্রী ও মেয়ের রক্তে ভেজা লাশ দেখেন। ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে কাজ করার জন্য বাসায় আসেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস নিয়ে যান।
বাদী এজাহারে আরও বলেন, অজ্ঞাত কারণে গৃহকর্মী আয়েশা তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি অথবা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেছেন।
সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর মেয়ে নাফিসার শরীরে ৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ অভিযুক্তকে শনাক্তের চেষ্টা করছে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে লায়লা ও তাঁর মেয়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সকালে তাঁদের গ্রামের বাড়ি নাটোর পৌরসভার দক্ষিণ বড়গাছায় নেওয়া হয়। জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের মরদেহ দাফন করা হয়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজেদের ফ্ল্যাটে মা ও মেয়ে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন ‘গৃহকর্মী আয়েশাকে’ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর প্রকৃত নাম-পরিচয় ও তাঁর স্বামীর নামও জেনেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ওই তরুণীকে শনাক্ত ও নাম-পরিচয় বের করা হলেও তাঁকে গ্রেপ্তারের পর তা প্রকাশ করা হবে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কারণ জানা যাবে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
‘আয়েশা’কে গ্রেপ্তার এবং এই জোড়া খুনের রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্তে নেমেছে পুলিশ, র্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গৃহকর্মী তাঁর প্রকৃত নাম ও ঠিকানা দেননি। তাঁকে কেউ চিনতেও পারছিলেন না। ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে কোনো মোবাইল ফোনও ছিল না। বাসা থেকে তিনি যে ফোন নিয়ে গেছেন, সেটাও বের হয়েই বন্ধ করে দিয়েছেন। আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল না থাকায় ওই বাড়ির গেট থেকে বের হয়ে রিকশা নিয়ে কোনদিকে গেছেন, তা নিশ্চিত হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
সূত্র বলেছে, ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে ওই তরুণীর চার দিনের মোবাইল ফোনে কোনো যোগাযোগ ছিল না। সব সময় বোরকা পরে থাকায় ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরায়ও তাঁর মুখ স্পষ্টভাবে ধরা পড়েনি। ফলে তাঁকে শনাক্তে ম্যানুয়ালি কাজ করতে হয়। সম্ভাব্য সব ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করে তাঁকে শনাক্ত করা হয়।
এর আগে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্মীর নাম-ঠিকানা ও কোনো মোবাইল ফোন না থাকায় পরিচয় জানা যাচ্ছে না। দ্রুতই তাঁকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
জোড়া হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে ‘গৃহকর্মী আয়েশা’কে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলার এজাহারে বলা হয়, সোমবার সকাল ৭টার দিকে তিনি উত্তরায় স্কুলে চলে যান। সেখানে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তিনি বাসায় ফিরে স্ত্রী ও মেয়ের রক্তে ভেজা লাশ দেখেন। ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে কাজ করার জন্য বাসায় আসেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস নিয়ে যান।
বাদী এজাহারে আরও বলেন, অজ্ঞাত কারণে গৃহকর্মী আয়েশা তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি অথবা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেছেন।
সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর মেয়ে নাফিসার শরীরে ৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ অভিযুক্তকে শনাক্তের চেষ্টা করছে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে লায়লা ও তাঁর মেয়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সকালে তাঁদের গ্রামের বাড়ি নাটোর পৌরসভার দক্ষিণ বড়গাছায় নেওয়া হয়। জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের মরদেহ দাফন করা হয়।

নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বরগুনার বেতাগী উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে করা একটি বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার পর সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা নিজেদের ফেসবুকে নবঘোষিত কমিটি
৮ মিনিট আগে
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরির অভিযোগে নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার গহিন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নুর উদ্দিন জেলার চন্দ্রগঞ্জে অবস্থিত নোহা অটো ট্রেডার্স
৪৩ মিনিট আগে
যানজটের নগরী ঢাকায় যাতায়াতে কিছুটা স্বস্তি আনা মেট্রোরেলের চলাচল হঠাৎ হঠাৎ থমকে যাচ্ছে। গত প্রায় দেড় বছরে ১০ বার বিঘ্ন ঘটেছে চলাচলে। বিঘ্ন ঘটার বেশির ভাগ কারণই মানবসৃষ্ট। বাকিগুলো বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি।
৭ ঘণ্টা আগে
সারি সারি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প, ডিফিব্রিলেটর, রক্তের গ্যাস বিশ্লেষকসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। এর সঙ্গে রয়েছে অক্সিজেন থেরাপি মেশিন, ফিডিং টিউব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেফ্রিজারেটরসহ আইসিইউ পরিচালনার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।
৭ ঘণ্টা আগেবরগুনা প্রতিনিধি

নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বরগুনার বেতাগী উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে করা একটি বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার পর সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা নিজেদের ফেসবুকে নবঘোষিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট দেন।
জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে প্রকাশিত সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের চারটি পদে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য অনুমোদিত এই কমিটিতে স্বাক্ষর করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান।
নবঘোষিত কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন সোহেল আমিন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক শিফাত সিকদার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শাওন মৃধা। সহসভাপতি পদে রয়েছেন ১৭ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একজন এবং সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন ৮ জন।
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হঠাৎ করে গভীর রাতে নতুন কমিটি ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের নেতারা।

নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বরগুনার বেতাগী উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে করা একটি বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার পর সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা নিজেদের ফেসবুকে নবঘোষিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট দেন।
জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে প্রকাশিত সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের চারটি পদে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য অনুমোদিত এই কমিটিতে স্বাক্ষর করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান।
নবঘোষিত কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন সোহেল আমিন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক শিফাত সিকদার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শাওন মৃধা। সহসভাপতি পদে রয়েছেন ১৭ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একজন এবং সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন ৮ জন।
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হঠাৎ করে গভীর রাতে নতুন কমিটি ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের নেতারা।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজেদের ফ্ল্যাটে মা ও মেয়ে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন ‘গৃহকর্মী আয়েশাকে’ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর প্রকৃত নাম-পরিচয় ও তাঁর স্বামীর নামও জেনেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
৯ ঘণ্টা আগে
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরির অভিযোগে নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার গহিন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নুর উদ্দিন জেলার চন্দ্রগঞ্জে অবস্থিত নোহা অটো ট্রেডার্স
৪৩ মিনিট আগে
যানজটের নগরী ঢাকায় যাতায়াতে কিছুটা স্বস্তি আনা মেট্রোরেলের চলাচল হঠাৎ হঠাৎ থমকে যাচ্ছে। গত প্রায় দেড় বছরে ১০ বার বিঘ্ন ঘটেছে চলাচলে। বিঘ্ন ঘটার বেশির ভাগ কারণই মানবসৃষ্ট। বাকিগুলো বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি।
৭ ঘণ্টা আগে
সারি সারি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প, ডিফিব্রিলেটর, রক্তের গ্যাস বিশ্লেষকসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। এর সঙ্গে রয়েছে অক্সিজেন থেরাপি মেশিন, ফিডিং টিউব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেফ্রিজারেটরসহ আইসিইউ পরিচালনার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।
৭ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরির অভিযোগে নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার গহিন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নুর উদ্দিন জেলার চন্দ্রগঞ্জে অবস্থিত নোহা অটো ট্রেডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা। রাত ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রায়হান কাজেমী জানান, লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের দেওপাড়া গ্রামের নুর উদ্দিনের মালিকানাধীন নোহা অটো ট্রেডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরি করা হয়। গত ১ ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। তবে নুর উদ্দিন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
পরে গত ৭ ডিসেম্বর চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকা সংলগ্ন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামে মুনু মাঝির বাড়ির সফিউল্যার কবরের পাশে ঝোপের ভেতর থেকে পাঁচটি একনলা বন্দুক ও একটি এলজি উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই অস্ত্রগুলোও নুর উদ্দিনের ওয়ার্কশপে তৈরি করা হয়। তিনি আরও জানান, অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরির অভিযোগে নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার গহিন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নুর উদ্দিন জেলার চন্দ্রগঞ্জে অবস্থিত নোহা অটো ট্রেডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা। রাত ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রায়হান কাজেমী জানান, লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের দেওপাড়া গ্রামের নুর উদ্দিনের মালিকানাধীন নোহা অটো ট্রেডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরি করা হয়। গত ১ ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। তবে নুর উদ্দিন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
পরে গত ৭ ডিসেম্বর চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকা সংলগ্ন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামে মুনু মাঝির বাড়ির সফিউল্যার কবরের পাশে ঝোপের ভেতর থেকে পাঁচটি একনলা বন্দুক ও একটি এলজি উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই অস্ত্রগুলোও নুর উদ্দিনের ওয়ার্কশপে তৈরি করা হয়। তিনি আরও জানান, অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজেদের ফ্ল্যাটে মা ও মেয়ে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন ‘গৃহকর্মী আয়েশাকে’ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর প্রকৃত নাম-পরিচয় ও তাঁর স্বামীর নামও জেনেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
৯ ঘণ্টা আগে
নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বরগুনার বেতাগী উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে করা একটি বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার পর সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা নিজেদের ফেসবুকে নবঘোষিত কমিটি
৮ মিনিট আগে
যানজটের নগরী ঢাকায় যাতায়াতে কিছুটা স্বস্তি আনা মেট্রোরেলের চলাচল হঠাৎ হঠাৎ থমকে যাচ্ছে। গত প্রায় দেড় বছরে ১০ বার বিঘ্ন ঘটেছে চলাচলে। বিঘ্ন ঘটার বেশির ভাগ কারণই মানবসৃষ্ট। বাকিগুলো বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি।
৭ ঘণ্টা আগে
সারি সারি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প, ডিফিব্রিলেটর, রক্তের গ্যাস বিশ্লেষকসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। এর সঙ্গে রয়েছে অক্সিজেন থেরাপি মেশিন, ফিডিং টিউব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেফ্রিজারেটরসহ আইসিইউ পরিচালনার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।
৭ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

যানজটের নগরী ঢাকায় যাতায়াতে কিছুটা স্বস্তি আনা মেট্রোরেলের চলাচল হঠাৎ হঠাৎ থমকে যাচ্ছে। গত প্রায় দেড় বছরে ১০ বার বিঘ্ন ঘটেছে চলাচলে। বিঘ্ন ঘটার বেশির ভাগ কারণই মানবসৃষ্ট। বাকিগুলো বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি। মানুষের অসচেতনতা আধুনিক এই গণপরিবহন সেবার নিরাপত্তায় বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সূত্র বলেছে, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে যাত্রীসংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানবসৃষ্ট সমস্যাগুলো অবশ্যই আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। এ জন্য জনসচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। কারণ, মানুষ সচেতন না হলে মেট্রোরেল লাইনের ওপর পুরোপুরি বেড়া দিয়ে ঘেরা সম্ভব নয়। পাশাপাশি আমাদের নজরদারি বা এনফোর্সমেন্ট আরও জোরদার করতে হবে। যান্ত্রিক ত্রুটি স্বাভাবিকভাবে ঘটতেই পারে। কিন্তু বেশি বিঘ্ন ঘটাচ্ছে মানবসৃষ্ট নানা ধরনের সমস্যা।’
ডিএমটিসিএলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের সব নোটিশ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১০ বার মেট্রোরেল চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৬টির বেশি কারণ মানবসৃষ্ট, বাকিগুলো কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি। মানবসৃষ্ট কারণের মধ্যে রয়েছে মেট্রোরেলের লাইনে কাপড়, ব্যাগ, ড্রোন, বৈদ্যুতিক লাইনে তার নিক্ষেপ এবং ট্রেনের ছাদে ওঠা। এ ছাড়া বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার কারণে দুবার চলাচল কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেট্রোরেল লাইনে কোনো বস্তু পড়লে বা কোনো ধরনের বাধা শনাক্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে এটি মেট্রোরেলের একটি বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা। তবে চলমান অবস্থায় হঠাৎ ট্রেন থেমে যাওয়ায় যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ডিএমটিসিএলের ফেসবুক পেজের পোস্ট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর উত্তরা উত্তর-উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের মাঝপথে মেট্রোলাইনের ওপর কাপড় পড়ে যাওয়ায় ১৫ মিনিট ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এর তিন দিন আগে ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশনে এক কিশোর ট্রেনের দুটি কোচের মধ্যবর্তী স্থানে উঠে গেলে নিরাপত্তাজনিত কারণে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকে। ২৫ নভেম্বর লাইনে পড়ে থাকা ব্যাগের জন্য ২০ মিনিট চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ২২ নভেম্বর উত্তরা সেন্টার-উত্তরা দক্ষিণ অংশে লাইনে ড্রোন পড়ে থাকায় কিছু সময় ট্রেন বন্ধ থাকে। ২ নভেম্বর পল্লবী-মিরপুর ১১ ঢালের মাঝে বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর বাইরে থেকে তার নিক্ষেপ করা হলে ৩০ মিনিট ট্রেন চলেনি। এসবই মানবসৃষ্ট। এমন অসচেতনতায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটনার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছে।
যান্ত্রিক ত্রুটিও চলাচল বিঘ্নের কারণ
যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত কারণেও মেট্রোরেল চলাচলে কয়েকবার বিঘ্ন ঘটেছে। এর মধ্যে ২৬ অক্টোবর বিয়ারিং প্যাডে ত্রুটি দেখা দিলে ট্রেন চলাচল থামাতে হয়। ২৮ মে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ট্রেনের দরজায় সমস্যা হলে সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে ২০ মিনিট চলাচল বন্ধ থাকে। ২৫ জানুয়ারি দুবার বিঘ্ন ঘটে। সেদিন সকালে দরজা বিকল হয়ে ৯টা ২৩ থেকে ৯টা ৪৯ পর্যন্ত সেবা বন্ধ থাকে। সিগন্যালের সমস্যার জন্য আবার বেলা ১টা ৩৩ থেকে ২টা ৬ মিনিট পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকে। সেদিন ধাপে ধাপে রুট খুলে পুরো নেটওয়ার্ক সন্ধ্যায় স্বাভাবিক হয়।
২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ফার্মগেটে একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়লে ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে। চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেটে আবারও ৮০ কেজি ওজনের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় কয়েক ঘণ্টা পুরো ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে প্রথমে উত্তরা-আগারগাঁও অংশে এবং এর কয়েক ঘণ্টা পর মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করে।
ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, যেসব ঘটনায় মেট্রোরেল চলাচল ব্যাহত হয়েছে, তার অধিকাংশই যাত্রী, পথচারী বা লাইনের আশপাশের মানুষদের সচেতনতা থাকলে এড়ানো যেত। কাপড় বা ব্যাগ লাইনে পড়ে থাকা, ড্রোন ওড়ানো, বৈদ্যুতিক লাইনে বস্তু নিক্ষেপ; এগুলো শুধু ট্রেন চলাচলই ব্যাহত করেনি, যাত্রীদেরও ভোগান্তিতে ফেলেছে। একই সঙ্গে বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ঘটনা এড়াতে মেট্রো স্টেশন ও লাইনে নজরদারি আরও শক্তিশালী করতে হবে। বহিরাগত বস্তু শনাক্তের সেন্সর ও মনিটরিং বাড়াতে হবে এবং জনসচেতনতা তৈরিতে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি মেট্রোর পরিকল্পনাগত ত্রুটি। লাইনে কাপড়, ব্যাগ বা অন্য বস্তু পড়লে দ্রুত শনাক্ত করতে অবজেক্ট ডিটেকশন সেন্সর ও এআই-চালিত সিসিটিভি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ড্রোন প্রতিরোধে ড্রোন ডিটেকশন রাডার ও জিওফেন্সিং সিস্টেম ব্যবহার করলে অনুমতিহীন ড্রোন লাইনের কাছে এলেই সতর্কতা জারি হবে। বৈদ্যুতিক লাইনের পাশে সুরক্ষা নেট বসালে বাইরে থেকে তার বা বস্তু নিক্ষেপ রোধ করা সম্ভব। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে দরজার সমস্যা কমাতে দরজা-সেন্সর ও সফটওয়্যার উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যস্ত স্টেশনে রিয়েল-টাইম যাত্রী ব্যবস্থাপনা চালু করা যেতে পারে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রোরেল আমাদের সবার সম্পদ, তাই এটি রক্ষার দায়িত্বও সবার। এই সংস্কৃতি এক দিনে তৈরি হয় না। সময়ে সময়ে সচেতনতা ও অভ্যাস গড়ে তুলতেই হবে।’

যানজটের নগরী ঢাকায় যাতায়াতে কিছুটা স্বস্তি আনা মেট্রোরেলের চলাচল হঠাৎ হঠাৎ থমকে যাচ্ছে। গত প্রায় দেড় বছরে ১০ বার বিঘ্ন ঘটেছে চলাচলে। বিঘ্ন ঘটার বেশির ভাগ কারণই মানবসৃষ্ট। বাকিগুলো বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি। মানুষের অসচেতনতা আধুনিক এই গণপরিবহন সেবার নিরাপত্তায় বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সূত্র বলেছে, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে যাত্রীসংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানবসৃষ্ট সমস্যাগুলো অবশ্যই আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। এ জন্য জনসচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। কারণ, মানুষ সচেতন না হলে মেট্রোরেল লাইনের ওপর পুরোপুরি বেড়া দিয়ে ঘেরা সম্ভব নয়। পাশাপাশি আমাদের নজরদারি বা এনফোর্সমেন্ট আরও জোরদার করতে হবে। যান্ত্রিক ত্রুটি স্বাভাবিকভাবে ঘটতেই পারে। কিন্তু বেশি বিঘ্ন ঘটাচ্ছে মানবসৃষ্ট নানা ধরনের সমস্যা।’
ডিএমটিসিএলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের সব নোটিশ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১০ বার মেট্রোরেল চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৬টির বেশি কারণ মানবসৃষ্ট, বাকিগুলো কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি। মানবসৃষ্ট কারণের মধ্যে রয়েছে মেট্রোরেলের লাইনে কাপড়, ব্যাগ, ড্রোন, বৈদ্যুতিক লাইনে তার নিক্ষেপ এবং ট্রেনের ছাদে ওঠা। এ ছাড়া বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার কারণে দুবার চলাচল কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেট্রোরেল লাইনে কোনো বস্তু পড়লে বা কোনো ধরনের বাধা শনাক্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে এটি মেট্রোরেলের একটি বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা। তবে চলমান অবস্থায় হঠাৎ ট্রেন থেমে যাওয়ায় যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ডিএমটিসিএলের ফেসবুক পেজের পোস্ট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর উত্তরা উত্তর-উত্তরা দক্ষিণ স্টেশনের মাঝপথে মেট্রোলাইনের ওপর কাপড় পড়ে যাওয়ায় ১৫ মিনিট ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এর তিন দিন আগে ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশনে এক কিশোর ট্রেনের দুটি কোচের মধ্যবর্তী স্থানে উঠে গেলে নিরাপত্তাজনিত কারণে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকে। ২৫ নভেম্বর লাইনে পড়ে থাকা ব্যাগের জন্য ২০ মিনিট চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ২২ নভেম্বর উত্তরা সেন্টার-উত্তরা দক্ষিণ অংশে লাইনে ড্রোন পড়ে থাকায় কিছু সময় ট্রেন বন্ধ থাকে। ২ নভেম্বর পল্লবী-মিরপুর ১১ ঢালের মাঝে বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর বাইরে থেকে তার নিক্ষেপ করা হলে ৩০ মিনিট ট্রেন চলেনি। এসবই মানবসৃষ্ট। এমন অসচেতনতায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটনার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছে।
যান্ত্রিক ত্রুটিও চলাচল বিঘ্নের কারণ
যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত কারণেও মেট্রোরেল চলাচলে কয়েকবার বিঘ্ন ঘটেছে। এর মধ্যে ২৬ অক্টোবর বিয়ারিং প্যাডে ত্রুটি দেখা দিলে ট্রেন চলাচল থামাতে হয়। ২৮ মে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ট্রেনের দরজায় সমস্যা হলে সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে ২০ মিনিট চলাচল বন্ধ থাকে। ২৫ জানুয়ারি দুবার বিঘ্ন ঘটে। সেদিন সকালে দরজা বিকল হয়ে ৯টা ২৩ থেকে ৯টা ৪৯ পর্যন্ত সেবা বন্ধ থাকে। সিগন্যালের সমস্যার জন্য আবার বেলা ১টা ৩৩ থেকে ২টা ৬ মিনিট পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকে। সেদিন ধাপে ধাপে রুট খুলে পুরো নেটওয়ার্ক সন্ধ্যায় স্বাভাবিক হয়।
২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ফার্মগেটে একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়লে ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে। চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেটে আবারও ৮০ কেজি ওজনের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় কয়েক ঘণ্টা পুরো ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে প্রথমে উত্তরা-আগারগাঁও অংশে এবং এর কয়েক ঘণ্টা পর মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করে।
ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, যেসব ঘটনায় মেট্রোরেল চলাচল ব্যাহত হয়েছে, তার অধিকাংশই যাত্রী, পথচারী বা লাইনের আশপাশের মানুষদের সচেতনতা থাকলে এড়ানো যেত। কাপড় বা ব্যাগ লাইনে পড়ে থাকা, ড্রোন ওড়ানো, বৈদ্যুতিক লাইনে বস্তু নিক্ষেপ; এগুলো শুধু ট্রেন চলাচলই ব্যাহত করেনি, যাত্রীদেরও ভোগান্তিতে ফেলেছে। একই সঙ্গে বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ঘটনা এড়াতে মেট্রো স্টেশন ও লাইনে নজরদারি আরও শক্তিশালী করতে হবে। বহিরাগত বস্তু শনাক্তের সেন্সর ও মনিটরিং বাড়াতে হবে এবং জনসচেতনতা তৈরিতে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি মেট্রোর পরিকল্পনাগত ত্রুটি। লাইনে কাপড়, ব্যাগ বা অন্য বস্তু পড়লে দ্রুত শনাক্ত করতে অবজেক্ট ডিটেকশন সেন্সর ও এআই-চালিত সিসিটিভি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ড্রোন প্রতিরোধে ড্রোন ডিটেকশন রাডার ও জিওফেন্সিং সিস্টেম ব্যবহার করলে অনুমতিহীন ড্রোন লাইনের কাছে এলেই সতর্কতা জারি হবে। বৈদ্যুতিক লাইনের পাশে সুরক্ষা নেট বসালে বাইরে থেকে তার বা বস্তু নিক্ষেপ রোধ করা সম্ভব। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে দরজার সমস্যা কমাতে দরজা-সেন্সর ও সফটওয়্যার উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যস্ত স্টেশনে রিয়েল-টাইম যাত্রী ব্যবস্থাপনা চালু করা যেতে পারে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রোরেল আমাদের সবার সম্পদ, তাই এটি রক্ষার দায়িত্বও সবার। এই সংস্কৃতি এক দিনে তৈরি হয় না। সময়ে সময়ে সচেতনতা ও অভ্যাস গড়ে তুলতেই হবে।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজেদের ফ্ল্যাটে মা ও মেয়ে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন ‘গৃহকর্মী আয়েশাকে’ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর প্রকৃত নাম-পরিচয় ও তাঁর স্বামীর নামও জেনেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
৯ ঘণ্টা আগে
নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বরগুনার বেতাগী উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে করা একটি বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার পর সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা নিজেদের ফেসবুকে নবঘোষিত কমিটি
৮ মিনিট আগে
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরির অভিযোগে নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার গহিন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নুর উদ্দিন জেলার চন্দ্রগঞ্জে অবস্থিত নোহা অটো ট্রেডার্স
৪৩ মিনিট আগে
সারি সারি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প, ডিফিব্রিলেটর, রক্তের গ্যাস বিশ্লেষকসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। এর সঙ্গে রয়েছে অক্সিজেন থেরাপি মেশিন, ফিডিং টিউব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেফ্রিজারেটরসহ আইসিইউ পরিচালনার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।
৭ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

সারি সারি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প, ডিফিব্রিলেটর, রক্তের গ্যাস বিশ্লেষকসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। এর সঙ্গে রয়েছে অক্সিজেন থেরাপি মেশিন, ফিডিং টিউব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেফ্রিজারেটরসহ আইসিইউ পরিচালনার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। এর সামনেই রয়েছে আধুনিক অভ্যর্থনাকক্ষ, চিকিৎসক ও সেবিকাকক্ষ। বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের ৭ম তলায় থাকা আইসিইউর দৃশ্য এটি। তবে কোটি টাকা মূল্যের এসব মেশিনারিজ ও শয্যা থাকলেও এক বছর ধরে কোনো মুমূর্ষু রোগী এই আইসিইউর সেবা পায়নি। প্রায় ২০ লাখ মানুষের এই জেলার একমাত্র আইসিইউতে সেবা চালু না থাকায় মুমূর্ষু রোগীদের যেতে হয় খুলনাসহ বড় শহরে। যার ফলে রোগীদের ভোগান্তি ও ব্যয় দুটোই বেড়ে যায়। অনেক সময় টাকার অভাবে রোগীকে খুলনা নিতে পারেন না দরিদ্র স্বজনেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনাকালে ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে তিনটি শয্যার মাধ্যমে আইসিইউ সেবা চালু করা হয়। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময় আরও ৭টি শয্যা যুক্ত করে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর মোট ১০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আইসিইউ চালু ছিল। প্রকল্প শেষ হওয়ায় জনবলও উঠিয়ে নেয় মন্ত্রণালয়। আইসিইউ ব্যবস্থাপনায় দক্ষ জনবল বরাদ্দ না থাকায় আইসিইউটি চালু করা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত পড়ে থাকায় মূল্যবান এসব যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। চালু থাকা অবস্থায় বেশির ভাগ সময় ১০টি শয্যাই পূর্ণ থাকত বলে জানান নার্স ও সহায়ক কর্মীরা।
রক্তদাতা সংগঠন ব্লাড ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম যাদু বলেন, ‘এখানে অনেকে আইসিইউ সাপোর্ট না পেয়ে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে বাধ্য হচ্ছেন খুলনা দৌড়াতে। আর যাঁরা গরিব, তাঁরা নিতে পারছেন না আইসিইউর সেবা। অবিলম্বে এই আইসিইউ সেবা চালুর জোর দাবি জানাই।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), বাগেরহাটের সাধারণ সম্পাদক এস কে এ হাসিব বলেন, ‘যাবতীয় যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও সদর হাসপাতালে আইসিইউ সেবা বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ যদি উদ্যোগী হয়ে এই আইসিইউ চালু করে, তাহলে আমরা বাগেরহাটবাসী এই সুবিধা পেতে পারি। এটি চালু না থাকার কারণে আমরা আইসিইউ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজর ও আইসিইউতে দায়িত্ব পালন করা নার্স বাসন্তী নারী দাস বলেন, এখানে অনেক দিন যাবৎ আইসিইউ অচল অবস্থায় আছে। ডাক্তাররা বাধ্য হয়ে রোগীকে উন্নত সেবার জন্য রেফার্ড করে খুলনায় পাঠান। ১০ বেডের এই আইসিইউ যখন সচল ছিল, তখন বেশির ভাগ সময় পরিপূর্ণ থাকত।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘কোভিড-১৯ নামের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে আইসিইউ সেবাটি চলত। প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আইসিইউ সেবা বন্ধ রয়েছে। দক্ষ জনবল না থাকায় আমরা আইসিইউ সেবা দিতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘বাগেরহাটে কোথাও আইসিইউ সেবার ব্যবস্থা নেই। তাই জেলার ২০ লাখ মানুষের জন্য সদর হাসপাতালে আইসিইউ সেবা থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।’ তিনি আরও বলেন, ১০ শয্যার আইসিইউ চালাতে তিনজন কনসালট্যান্ট, চারজন মেডিকেল অফিসার, ১২ জন নার্স ও ১৬ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী প্রয়োজন।

সারি সারি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প, ডিফিব্রিলেটর, রক্তের গ্যাস বিশ্লেষকসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। এর সঙ্গে রয়েছে অক্সিজেন থেরাপি মেশিন, ফিডিং টিউব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেফ্রিজারেটরসহ আইসিইউ পরিচালনার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। এর সামনেই রয়েছে আধুনিক অভ্যর্থনাকক্ষ, চিকিৎসক ও সেবিকাকক্ষ। বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের ৭ম তলায় থাকা আইসিইউর দৃশ্য এটি। তবে কোটি টাকা মূল্যের এসব মেশিনারিজ ও শয্যা থাকলেও এক বছর ধরে কোনো মুমূর্ষু রোগী এই আইসিইউর সেবা পায়নি। প্রায় ২০ লাখ মানুষের এই জেলার একমাত্র আইসিইউতে সেবা চালু না থাকায় মুমূর্ষু রোগীদের যেতে হয় খুলনাসহ বড় শহরে। যার ফলে রোগীদের ভোগান্তি ও ব্যয় দুটোই বেড়ে যায়। অনেক সময় টাকার অভাবে রোগীকে খুলনা নিতে পারেন না দরিদ্র স্বজনেরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনাকালে ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে তিনটি শয্যার মাধ্যমে আইসিইউ সেবা চালু করা হয়। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময় আরও ৭টি শয্যা যুক্ত করে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর মোট ১০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আইসিইউ চালু ছিল। প্রকল্প শেষ হওয়ায় জনবলও উঠিয়ে নেয় মন্ত্রণালয়। আইসিইউ ব্যবস্থাপনায় দক্ষ জনবল বরাদ্দ না থাকায় আইসিইউটি চালু করা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত পড়ে থাকায় মূল্যবান এসব যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। চালু থাকা অবস্থায় বেশির ভাগ সময় ১০টি শয্যাই পূর্ণ থাকত বলে জানান নার্স ও সহায়ক কর্মীরা।
রক্তদাতা সংগঠন ব্লাড ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম যাদু বলেন, ‘এখানে অনেকে আইসিইউ সাপোর্ট না পেয়ে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে বাধ্য হচ্ছেন খুলনা দৌড়াতে। আর যাঁরা গরিব, তাঁরা নিতে পারছেন না আইসিইউর সেবা। অবিলম্বে এই আইসিইউ সেবা চালুর জোর দাবি জানাই।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), বাগেরহাটের সাধারণ সম্পাদক এস কে এ হাসিব বলেন, ‘যাবতীয় যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও সদর হাসপাতালে আইসিইউ সেবা বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ যদি উদ্যোগী হয়ে এই আইসিইউ চালু করে, তাহলে আমরা বাগেরহাটবাসী এই সুবিধা পেতে পারি। এটি চালু না থাকার কারণে আমরা আইসিইউ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজর ও আইসিইউতে দায়িত্ব পালন করা নার্স বাসন্তী নারী দাস বলেন, এখানে অনেক দিন যাবৎ আইসিইউ অচল অবস্থায় আছে। ডাক্তাররা বাধ্য হয়ে রোগীকে উন্নত সেবার জন্য রেফার্ড করে খুলনায় পাঠান। ১০ বেডের এই আইসিইউ যখন সচল ছিল, তখন বেশির ভাগ সময় পরিপূর্ণ থাকত।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘কোভিড-১৯ নামের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে আইসিইউ সেবাটি চলত। প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আইসিইউ সেবা বন্ধ রয়েছে। দক্ষ জনবল না থাকায় আমরা আইসিইউ সেবা দিতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘বাগেরহাটে কোথাও আইসিইউ সেবার ব্যবস্থা নেই। তাই জেলার ২০ লাখ মানুষের জন্য সদর হাসপাতালে আইসিইউ সেবা থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।’ তিনি আরও বলেন, ১০ শয্যার আইসিইউ চালাতে তিনজন কনসালট্যান্ট, চারজন মেডিকেল অফিসার, ১২ জন নার্স ও ১৬ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী প্রয়োজন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজেদের ফ্ল্যাটে মা ও মেয়ে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন ‘গৃহকর্মী আয়েশাকে’ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর প্রকৃত নাম-পরিচয় ও তাঁর স্বামীর নামও জেনেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
৯ ঘণ্টা আগে
নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বরগুনার বেতাগী উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে করা একটি বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার পর সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা নিজেদের ফেসবুকে নবঘোষিত কমিটি
৮ মিনিট আগে
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরির অভিযোগে নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার গহিন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নুর উদ্দিন জেলার চন্দ্রগঞ্জে অবস্থিত নোহা অটো ট্রেডার্স
৪৩ মিনিট আগে
যানজটের নগরী ঢাকায় যাতায়াতে কিছুটা স্বস্তি আনা মেট্রোরেলের চলাচল হঠাৎ হঠাৎ থমকে যাচ্ছে। গত প্রায় দেড় বছরে ১০ বার বিঘ্ন ঘটেছে চলাচলে। বিঘ্ন ঘটার বেশির ভাগ কারণই মানবসৃষ্ট। বাকিগুলো বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়াসহ কারিগরি বা যান্ত্রিক ত্রুটি।
৭ ঘণ্টা আগে