কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলার এক এজাহারভুক্ত আসামিকে অংশ নিতে দেখা গেছে। আজ সোমবার সকালে কুষ্টিয়া পৌরসভা চত্বর থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বের হওয়া আনন্দ শোভাযাত্রার ব্যানারের সামনের সারিতে ছিলেন তিনি।
ওই ব্যক্তির নাম মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেম। তিনি কুষ্টিয়া পৌর ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কুষ্টিয়া বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি হয়ে দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
এদিকে জেলা প্রশাসনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনে মামলার আসামি ও আওয়ামী লীগ নেতাকে শোভাযাত্রার ব্যানারে দেখতে পেয়ে রাজনৈতিক ও সাধারণ মহলে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন নেটিজেনরা। তবে এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কিছু জানেন না জানালেও মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেম শোভাযাত্রায় উপস্থিত থাকার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আজ বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে নানা আয়োজন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৮টায় কুষ্টিয়া পৌরসভা চত্বর থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। মজমপুরগেটসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে বনবীথিতে এসে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের আনন্দ শোভাযাত্রার ব্যানার ধরে সামনের সারিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের সঙ্গে মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেমকেও দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোকারম হোসেন ৫ আগস্ট কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় তামজিদ হোসেন জনি নামে এক যুবককে হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত ৪২ নম্বর আসামি। ওই মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক এমপি মাহবুব উল আলম হানিফ। মামলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করা ছাড়াও আরও ৪০ থেকে ৪৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায় দায়ের করা ওই মামলার বাদী ভুক্তভোগী বড় ভাই জিলহজ হোসেন।

জানতে চাইলে মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেম প্রথমে মামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আজ সকালে জেলা প্রশাসনের বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলাম। মামলার প্রমাণ রয়েছে জানালে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা আছে জানিয়ে তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা করতে চান।’

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি সুলতান মারুফ তালহা বলেন, ‘একজন জুলাই যোদ্ধা হিসেবে আমি বলব, যারাই ফ্যাসিস্টদের সহযোগীদের নিয়ে পথ চলবে, তারাই নিন্দনীয় হবে। সে, আমি হই, ডিসি হন, বিএনপি হোক আর জামায়াত হোক।’
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমনাটা কেন হলো। ব্যাপারটি নিয়ে আমি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, কোনোভাবেই আমি কিছু জানি না। এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. তৌফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমি তাকে চিনি না। খেয়ালও করিনি। তিনি মামলার আসামি হলে আমি পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলব।’

কুষ্টিয়ায় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলার এক এজাহারভুক্ত আসামিকে অংশ নিতে দেখা গেছে। আজ সোমবার সকালে কুষ্টিয়া পৌরসভা চত্বর থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বের হওয়া আনন্দ শোভাযাত্রার ব্যানারের সামনের সারিতে ছিলেন তিনি।
ওই ব্যক্তির নাম মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেম। তিনি কুষ্টিয়া পৌর ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কুষ্টিয়া বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি হয়ে দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
এদিকে জেলা প্রশাসনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনে মামলার আসামি ও আওয়ামী লীগ নেতাকে শোভাযাত্রার ব্যানারে দেখতে পেয়ে রাজনৈতিক ও সাধারণ মহলে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন নেটিজেনরা। তবে এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কিছু জানেন না জানালেও মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেম শোভাযাত্রায় উপস্থিত থাকার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আজ বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে নানা আয়োজন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৮টায় কুষ্টিয়া পৌরসভা চত্বর থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। মজমপুরগেটসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে বনবীথিতে এসে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের আনন্দ শোভাযাত্রার ব্যানার ধরে সামনের সারিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের সঙ্গে মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেমকেও দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোকারম হোসেন ৫ আগস্ট কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় তামজিদ হোসেন জনি নামে এক যুবককে হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত ৪২ নম্বর আসামি। ওই মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক এমপি মাহবুব উল আলম হানিফ। মামলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৭৩ জনের নাম উল্লেখ করা ছাড়াও আরও ৪০ থেকে ৪৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায় দায়ের করা ওই মামলার বাদী ভুক্তভোগী বড় ভাই জিলহজ হোসেন।

জানতে চাইলে মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেম প্রথমে মামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আজ সকালে জেলা প্রশাসনের বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলাম। মামলার প্রমাণ রয়েছে জানালে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা আছে জানিয়ে তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা করতে চান।’

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি সুলতান মারুফ তালহা বলেন, ‘একজন জুলাই যোদ্ধা হিসেবে আমি বলব, যারাই ফ্যাসিস্টদের সহযোগীদের নিয়ে পথ চলবে, তারাই নিন্দনীয় হবে। সে, আমি হই, ডিসি হন, বিএনপি হোক আর জামায়াত হোক।’
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমনাটা কেন হলো। ব্যাপারটি নিয়ে আমি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, কোনোভাবেই আমি কিছু জানি না। এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. তৌফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমি তাকে চিনি না। খেয়ালও করিনি। তিনি মামলার আসামি হলে আমি পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলব।’

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৪ ঘণ্টা আগে