Ajker Patrika

পাঠকের ভিড়ে বৃষ্টির হানা

শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
মায়ের সঙ্গে গতকাল অমর একুশে বইমেলায় এসেছে এই কিশোরী। খুঁজছে পছন্দের বই। ছবি: আজকের পত্রিকা
মায়ের সঙ্গে গতকাল অমর একুশে বইমেলায় এসেছে এই কিশোরী। খুঁজছে পছন্দের বই। ছবি: আজকের পত্রিকা

দুপুর থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। বেচাকেনায় বাগড়ার ভয়ে প্রকাশক-ব্যবসায়ীদের কপালেও ছিল চিন্তার ভাঁজ। গত কয়েক বছর বইমেলার শেষ দিকে বৃষ্টি প্রায় নিয়ম মেনেই হানা দিচ্ছে। বৃষ্টি এমনিতে যতই ভালো লাগুক, বইমেলার খোলা মাঠে হাঁটার সময় তার আবির্ভাব পাঠক ও প্রকাশক কারোরই পছন্দের নয়।

ছন্দপতন ঘটিয়ে গতকাল মেলার ২২তম দিনের সন্ধ্যায় নামে বৃষ্টি। স্টলে স্টলে শুরু হয় বই বাঁচানোর হুড়োহুড়ি। ত্রিপল ঝুলিয়ে, বই সরিয়ে যতটুকু পারা যায় ভেজার হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছেন বিক্রয়কর্মীরা। বৃষ্টিতে মেলামাঠের কোথাও কোথাও অল্প পানিও জমে যায়।

গতকাল ছুটির দিন থাকায় মেলায় ছিল বেশ ভিড়। পাঠকদের অনেকেই হয়েছেন কাকভেজা। কেউ কাছাকাছি স্টল কিংবা প্যাভিলিয়নে আশ্রয় নিয়েছেন। আগে প্রস্তুতি থাকায় বইয়ের খুব বেশি ক্ষতি না হলেও বিক্রিতে ব্যাঘাত ঘটেছে বলে জানিয়েছেন প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা।

কথাপ্রকাশের বিপণন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ ইউনুস ব্যস্ততার মধ্যেই বললেন, ‘আমাদের আগে থেকেই প্রস্তুতি ছিল। তাই বৃষ্টিতে বইয়ের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে আজ পাঠক এসেছিলেন বেশি। ভালোই বিক্রি হচ্ছিল। সেদিকে কিছু ক্ষতি হয়ে গেল।’

তবে কেউ কেউ সার্বিকভাবেই বিক্রিতে মন্দার কথা বললেন। আদর্শ প্রকাশনীর কর্ণধার মাহাবুব রাহমান জানালেন, তাঁরা মনে করেছিলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির পরে বিক্রি বাড়বে। কিন্তু বিক্রি তেমন একটা বাড়েনি। বৃষ্টি এসে তা আরও কমিয়ে দিল।

পুরান ঢাকার মিলন আহমেদ এসেছিলেন মেলায় পরিবার নিয়ে। সবাইকে নিয়ে মেট্রো স্টেশনের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে। মিলন আহমেদ বললেন, ‘মেলায় আসব আসব বলে এত দিন আসা হয়নি। আজ এসেই বৃষ্টির খপ্পরে পড়লাম। এ পরিবেশে এখন বাসায় ফিরে যাওয়া ছাড়া উপায় দেখছি না।’

নতুন বইয়ের খোঁজে

ইমতিয়ার শামীমের নতুন উপন্যাস ‘শঙ্খগহন সলপকাল’ এসেছে কথাপ্রকাশ থেকে। এর প্রেক্ষাপট সিরাজগঞ্জের কৃষক বিদ্রোহ। লেখক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক গোলাম মুরশিদের আত্মজীবনী বের হয়েছে অবসর প্রকাশনী থেকে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘আত্মকথা ইতিকথা’। কথাপ্রকাশ থেকে বের হয়েছে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর প্রবন্ধের বই ‘উন্নতি উত্থান অভ্যুত্থান’। নবান্ন প্রকাশনী বের করেছে আমিনুর রহমান সুলতানের ‘সুফি গান ও জীবনকথায় সাগর দেওয়ান’। সাংবাদিক, চলচ্চিত্র গবেষক কাওসার বকুলের ‘চলচ্চিত্রবীক্ষণ: কতই রঙ্গ দেখি’ এনেছে বাংলানামা প্রকাশনী।

বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, গতকাল নতুন বই এসেছে ১৪৪টি। এ পর্যন্ত নতুন বই এসেছে ২৩৫৬টি।

বিতর্কের শক্তি বাড়ানোর তাগিদ

কথাসাহিত্যিক, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এক আলোচনায় বিতর্কে আগ্রহী হওয়ার তাগিদ দিলেন সবাইকে। বললেন, ‘একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণবন্ত বিতর্ক হতো, কিন্তু এখন বিতর্কের অফিসকক্ষটি কে দখল করবেন, সেটাই বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুশকিল হচ্ছে, আমরা যখন কেয়ার করা ছেড়ে দিয়ে চেয়ারের দিকে তাকাই, তখন আমাদের বিপর্যয় ঘটে।’

রাজধানীর বাংলামোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সুবর্ণ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বুলবুল হাসানের বই ‘অন্তহীন বিতর্কযাত্রা’-এর প্রকাশনা উৎসবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অর্থনীতিবিদ সেলিম জাহান বলেন, একটা স্বাধীন দেশে মুক্তচিন্তা, মতপ্রকাশ এবং স্বাধীনভাবে কথা বলাটা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য অপরিহার্য।

আয়োজন

মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় “কায়কোবাদের সাহিত্যে ‘শ্মশানে’র চিত্রাবলী” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইমরান কামাল। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন হাবিব আর রহমান। ইমরান কামাল বলেন, কবি হিসেবে কায়কোবাদ নিজেকে চিহ্নিত করেছিলেন ‘পুরাতন’ পথের পথিক হিসেবেই। তিনি কাহিনিনির্ভর কবি। সভাপতির বক্তব্যে আবু দায়েন বলেন, কবি কায়কোবাদ বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক।

‘লেখক বলছি’ মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক হাবিব আর রহমান এবং কবি আমিরুল মোমেনীন মানিক। গতকাল সকালে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতার পুরস্কার দেওয়া হয়।

আজ রোববার বইমেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘গণ-অভ্যুত্থান ও নারী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দৌলতপুরে বাঁশবাগানে পড়ে ছিল কলেজছাত্রের লাশ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৭
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সিয়াম হোসেন (১৭) নামের এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হওয়ার পর আজ মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি বাঁশবাগানে তার লাশ পাওয়া যায়।

সিয়াম দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মধুগাড়ি এলাকার বাসিন্দা। সে গোয়ালগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম সিপুল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে মধুগাড়ি এলাকার শেহালা উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের একটি বাঁশবাগানে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। পরে দৌলতপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

মৃত শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি সিয়াম। পরে আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী মিলে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, সকালে এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহে দৃশ্যমান কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গয়েশ্বর চন্দ্রের আসনে বিএনপির বিদ্রোহী তিন বড় নেতাসহ ১৬ প্রার্থী, শক্ত লড়াইয়ের আভাস

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফাইল ছবি

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে গতকাল সোমবার ঢাকা-৩ সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আসন হিসেবে পরিচিত এই আসনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ মোট ১৬ জন এদিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এতে নির্বাচনী মাঠে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে এই আসনে শক্ত লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে, সে আভাসই মিলেছে।

এদিন ঢাকা-২ ও ঢাকা-৩ আসনে ধানের শীষ, দাঁড়িপাল্লা ও হাতপাখা প্রতীকে একজন করে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। পাশাপাশি গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, গণসংহতি আন্দোলন এবং একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের দৌড়ে যুক্ত হন।

গতকাল বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ওমর ফারুকের কাছে তাঁর মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই দিনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহীনুর ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সুলতান আহমেদ খানও মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এদিন ঢাকা-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া বিএনপির একাধিক বিদ্রোহী নেতা ও সমর্থকের উপস্থিতি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিএনপির তিনজন বড় নেতা ও তিনজন সমর্থক রয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও অবিভক্ত কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী নাজিমউদ্দীন মাস্টার, জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল কবির পল এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেত আলী বাবু। তাঁদের মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল কবির পল অনেক দিন ধরে ঢাকা-৩ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপ করেছেন। শেষ পর্যন্ত দল গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কেই মনোনয়ন দেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন।

এ ছাড়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিএনপির সমর্থকদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়েও এলাকায় কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাজ্জাত হোসেন, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি পাভেল মোল্লার মা পারুল মোল্লাসহ আরও কয়েকজন। বিএনপি নেতাদের একটি অংশের দাবি, কৌশলগত কারণেই এসব প্রার্থীকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনী মাঠে রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া একই আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী সাজ্জাদ আল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মোহাম্মদ জাফর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী বাচ্চু ভূঁইয়া, গণফোরামের প্রার্থী মোহাম্মদ রওশন ইয়াজদানি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বেলাল হোসেন, মো. ফারুক, মো. সাজ্জাদ ও মো. শোয়েব মাহমুদ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্রভাবে বিএনপির একাধিক প্রভাবশালী নেতা ও সমর্থকের অংশগ্রহণে ঢাকা-৩ আসনের নির্বাচনী সমীকরণ শুরুতেই জটিল হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী দলের পাশাপাশি বিএনপির ভেতরের এই বহুমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জন্য এবারের নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে এভারকেয়ারের সামনে ভিড়, পুলিশের ব্যারিকেড

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এভারকেয়ারের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে বেষ্টনী দিয়ে রেখেছে পুলিশ। এছাড়া র‍্যাব ও বিজিবিসহ আরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে শেষবারের মতো এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নানান পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ছুটে এসেছেন এক পলক দেখতে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে শতশত মানুষ ভিড় জমতে দেখা গেছে। কেউ কেউ তাঁদের নেত্রীকে একপলক দেখার জন্য এসেছেন, কেউ কেউ ভালোবাসার টানে ছুটে এসেছেন।

ঢাকায় থাকা দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রায় সবাই ইতিমধ্যে হাসপাতালের ভেতরে অবস্থান করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পীরগঞ্জে তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন গাছের মাথা কেটে দিলেন পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা

পীরগঞ্জ (রংপুর) সংবাদদাতা
সড়কের তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সড়কের তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের পীরগঞ্জে বিদ্যুৎ লাইনের নিরাপত্তার কথা বলে তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের গাছের মাথা কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলছেন, প্রায় অর্ধশত গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা বা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা ছাড়াই এসব গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব গাছে ফল ধরবে কি না, তা নিয়েও চিন্তিত তাঁরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার খালাশপীর থেকে চতরা সড়কের মঞ্জিলার দরগা হয়ে পত্নীচড়া পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে এবং আশপাশের বসতবাড়ি এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তাল, খেজুর, কলাসহ বিভিন্ন গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার পত্নীচড়া গ্রামের মোস্তফা মিয়া বলেন, ‘এই গাছগুলো আমাদের ছায়া দিত, ফল দিত এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করত। কোনো ধরনের আগাম নোটিশ ছাড়াই গাছগুলোর মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

ছোট রসুলপুর গ্রামের নুর আমিন বলেন, বিদ্যুৎ লাইনের নিরাপত্তা অবশ্যই প্রয়োজন, কিন্তু পুরো গাছের মাথা কেটে দেওয়া কোনো সমাধান হতে পারে না। এতে গাছগুলো স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উজিরপুর গ্রামের তাহাজুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক গাছে হয়তো আর ফল ধরবে না। এতে পরিবেশের পাশাপাশি আমাদের আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।’

এ বিষয়ে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) রবিউল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ লাইনের ঝুঁকি এড়াতেই কাজটি করা হয়েছে।

বড় আলমপুর ইউনিয়নের প্রশাসক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত