Ajker Patrika

চট্টগ্রামে হামলায় ‘নিরাপত্তাহীন’ পুলিশ

সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম 
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৮: ৪৫
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০। নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় গত শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০। নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় গত শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নগরের হালিশহর এইচ-ব্লক জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি প্রফেসর নুরুল আবছার গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদে মুসল্লিদের উদ্দেশে তাঁর এক বক্তব্যে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি রমজান মাস ঘিরে এলাকায় পুলিশের টহল ও নজরদারি চেয়ে নিকটবর্তী থানায় একটি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ সেই আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে। তাঁকে জানানো হয়েছিল, বর্তমানে পুলিশ নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এলাকাবাসীকে নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদের নিতে পরামর্শ দেয় পুলিশ।

ওই এলাকাটির মতো বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বেশির ভাগ এলাকায় আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে শঙ্কা বিরাজ করছে। সাধারণের জানমালের নিরাপত্তায় যে পুলিশ বাহিনী নিয়োজিত, তাঁরা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় আছে। গত প্রায় দুই মাসে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের ছুরিকাঘাত, মারধর বা শারীরিকভাবে হেনস্তার অন্তত সাতটি ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রাম মহানগরীতে বর্তমানে বেশির ভাগ পুলিশ সদস্য নতুন। ফলে বিশাল এই বন্দরনগরীর অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলো সম্পর্কে জানাশোনা কম থাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনতে তাঁরা হিমশিম খাচ্ছেন। চট্টগ্রাম শহরের একটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর থানার মাঠপর্যায়ে যেসব এসআই ও এএসআই রয়েছেন, তাঁদের ৯০ শতাংশ চট্টগ্রাম শহরে নতুন। কর্মস্থল, অপরাধ জোন (এলাকা) ও অপরাধীদের বিষয়ে জানাশোনা কম থাকায় তাঁদের কাজে সমস্যা হচ্ছে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার পর তাঁদের টহলে পাঠানোও কষ্ট হচ্ছে।

পুলিশের পরিদর্শক পদমর্যাদার একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মানুষের মধ্য থেকে পুলিশের ভয় কেটে গেছে বলা যায়। তুচ্ছ কারণেও মানুষ এখন পুলিশের ওপর আক্রমণাত্মক আচরণ করে। এতে দারোগারা (এসআই) টহলে যেতে চান না। দিনের বেলায় স্বাভাবিক থাকলেও বিশেষ করে গভীর রাতে দারোগাদের শাস্তির ভয় দেখিয়েও টহলে পাঠানো যায় না। এ ছাড়া পুলিশের নানা দাবিদাওয়া এখনো পূরণ না হওয়ায় তাঁরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। মামলার তদন্ত ও আসামি গ্রেপ্তার অভিযানে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না তাঁরা। এতে করে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে রুটিন পুলিশিংয়েও। এটার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীদের কয়েকটি চক্র।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশে স্কুল থেকে ছেলেকে আনতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের হাতে শারীরিক হেনস্তার শিকার হয়েছেন নগরের কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসি নেজাম উদ্দিন।

১৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটে চেকপোস্ট বসিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তল্লাশির সময় ওই গাড়িতে থাকা যাত্রীরা দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায় ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়।

৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টায় কোতোয়ালি মোড়ে সড়ক আইনে ট্রাফিক পুলিশের মামলা দেওয়ায় প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সিএনজি অটোটেম্পোচালকেরা।

১৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে চান্দগাঁও সড়কে অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোরিকশা উচ্ছেদ চালাতে গেলে ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্যের ওপর হামলা চালান চালকেরা।

২৫ ফেব্রুয়ারি নগরের ডবলমুরিং থানাধীন বারিক বিল্ডিং মোড়সংলগ্ন ছিনতাইকারীদের আস্তানায় অভিযানে গিয়ে পুলিশের দুই এসআই ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টায় হালিশহর থানাধীন বড়পোল মোড়ে মামলা করায় ব্যাটারি রিকশাচালকেরা মিলে এক ট্রাফিক পুলিশকে মারধর করেন।

সর্বশেষ ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টায় নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের চরপাড়া ঘাটের কাছে গাঁজাসেবনে বাধা দেওয়ার জেরে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে পরিকল্পিত ‘মব’ তৈরি করে মারধর করেছে সংঘবদ্ধ একটি অপরাধী চক্র। ওই কর্মকর্তার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ছাড়াও ছিনিয়ে নেওয়া হয় ওয়্যারলেস সেট।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহমুদা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর পুলিশের মনোবলে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। পরে ঊর্ধ্বতনদের দিকনির্দেশনা ও নানা পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে এটা আমরা কাটিয়ে উঠেছি। এখন পুলিশের মনোবলে কোনো সমস্যা নেই। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের টহল জোরদার আছে।’

অতিরিক্ত উপকমিশনার আরও বলেন, ‘কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা থাকবে, এটা স্বাভাবিক। এসব ঘটনায় আমরা তাৎক্ষণিক অ্যাকশনে যাচ্ছি। পতেঙ্গায় পুলিশ সদস্যের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটল, সেখানে কিন্তু পুলিশ দ্রুত ওই হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনেছে। অন্যান্য ঘটনার ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’ চট্টগ্রাম শহরে অনেকের নতুন কর্মস্থলের বিষয়ে মাহমুদা বেগম বলেন, ‘এটা সত্য। বদলিজনিত কারণে চট্টগ্রাম শহরটি অনেকের কাছে নতুন হওয়ায় নগরের ক্রাইম জোন সম্পর্কে তাঁদের ধারণা কম। এতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি, এগুলোও দুই-তিন মাসের মধ্যে কেটে যাবে।’

পতেঙ্গার হামলায় ১০ জন গ্রেপ্তার

পতেঙ্গায় আইনশৃঙ্খলা দায়িত্ব পালনের সময় এসআই মারধরের ঘটনায় আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতভর নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পতেঙ্গা থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গণপতি (৫৭), হামিদুর রহমান (৩০), রোহান (২০), আরিফ প্রামাণিক (৩৫), রাব্বি (৩৫), শুভ (১৯), জীবন (২৬), রুমেল (৩০), রেজাউল করিম (৪৫) ও সিয়াম শেখ (১৮)।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এরা মাদকসেবন ও ছিনতাইয়ে জড়িত। তারা পতেঙ্গা থানার এসআই ইউসুফ আলীকে দলবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে মারধর করেছিল।

ওই রাতে স্থানীয় জনতা দুজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত