মাগুরায় শিশু ধর্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার’ শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকেরা আশা করছেন, দু-এক দিনের মধ্যে তার অবস্থার আরও কিছুটা উন্নতি হবে। তবে এখনো শঙ্কামুক্ত নয় সে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শিশুটির মা ও সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার এসব কথা জানানো হয়েছে।
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার চার আসামিকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আদালত প্রাঙ্গণে গত রোববার দিনের বেলায় জনতার বিক্ষোভের কারণে আসামিদের হাজির করা সম্ভব না হওয়ায় ওই দিন গভীর রাতে শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন মাগুরার আদালত।
গত বুধবার রাতে বোনের শ্বশুরবাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। এরপর সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় মাগুরা ও ফরিদপুরের হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল হয়ে তাকে এখন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) রাখা হয়েছে তাকে।
গতকাল সোমবার বেলা পৌনে ১টার দিকে সিএমএইচে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বললেও হাসপাতালের ভেতরে যাওয়ার কোনো অনুমতি পাওয়া যায়নি। পরে ফোনে শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা হয়।
ফোনে শিশুটির মা বলেন, ‘মেয়ের হাত-পায়ে চাবি দিয়ে আঁচড় দিলে একটু নড়ে। কিন্তু মাথাটা এখনো নড়াচাড়া করে না। ডাক্তার আমার সামনেই চাবি দিয়ে আঁচড় দেওয়ার সময় আমি ছিলাম। তখন দেখলাম। ডাক্তাররা বলেছেন, ভালো হয়ে যাবে। তবে সময় লাগবে।’ তিনি বলেন, আগে তো এই নড়াচাড়াও করেনি।
শিশুটির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গতকাল দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, শিশুটি গতকাল সকালে প্রথমবারের মতো চোখের পাতা নেড়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থার খুব সামান্যই উন্নতি হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, শিশুটির স্বাস্থ্যের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। আজকেও তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে শ্বাসনালির সমস্যার কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। শিশুটির মস্তিষ্কে পানি জমে গিয়েছিল। সেটি এখনো অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বুকের মধ্যে যে বাতাস জমে ছিল, সেটি দূর করা গেছে। চিকিৎসকেরা আশাবাদী, দু-এক দিনের মধ্যে তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে।
এর মধ্যে গত রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুটির মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে মধ্যরাতে এক খুদে বার্তায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী জানান, শিশুটি বেঁচে আছে। তার অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
গতকাল বিকেলে শিশুটির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে আইএসপিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামি রিমান্ডে
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার গভীর রাতে আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদনের শুনানি করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে মূল অভিযুক্ত শিশুটির বড় বোনের শ্বশুরকে সাত দিন এবং স্বামী, ভাশুর ও শাশুড়িকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন গতকাল জানান, মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তিনি। কিন্তু আসামিদের দ্রুত বিচারের দাবিতে দিনভর আদালত প্রাঙ্গণে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলায় আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে গভীর রাতে আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আসামিদের সহায়তা দেবেন না কোনো আইনজীবী
মামলার আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আইনি সহায়তা দেবেন না বলে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতি ঘোষণা করেছে। গতকাল সমিতির আয়োজনে এক মানববন্ধনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ হাসান টগর এ তথ্য জানান। সকালে জেলা জজ আদালতের সামনে মানববন্ধনে সমিতির শতাধিক সদস্য অংশ নেন।
মানববন্ধনে আইনজীবীরা জানান, এমন ঘটনা যেন সমাজে আর না ঘটে, সে জন্য দোষীদের কঠিন শাস্তি দিতে তাঁরা আদালতের কাছে দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে পুরো বিচারপ্রক্রিয়ায় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সব ধরনের আইনি সহযোগিতা করা হবে।
এদিকে গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কর্মীরা কয়েক দলে বিভক্ত হয়ে কলেজ থেকে আদালত ফটক পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁরা বেলা দেড়টা পর্যন্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে এসব কর্মসূচির ফলে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রমে কোনো বাধা সৃষ্টি হয়নি।
পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে মাগুরায় শিশুটি বড় বোনের বাড়িতে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়। পরে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢামেক হাসপাতালে। শুক্রবার রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরদিন শনিবার বিকেলে শিশুটিকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার’ শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকেরা আশা করছেন, দু-এক দিনের মধ্যে তার অবস্থার আরও কিছুটা উন্নতি হবে। তবে এখনো শঙ্কামুক্ত নয় সে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শিশুটির মা ও সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার এসব কথা জানানো হয়েছে।
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার চার আসামিকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আদালত প্রাঙ্গণে গত রোববার দিনের বেলায় জনতার বিক্ষোভের কারণে আসামিদের হাজির করা সম্ভব না হওয়ায় ওই দিন গভীর রাতে শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন মাগুরার আদালত।
গত বুধবার রাতে বোনের শ্বশুরবাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। এরপর সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় মাগুরা ও ফরিদপুরের হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল হয়ে তাকে এখন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) রাখা হয়েছে তাকে।
গতকাল সোমবার বেলা পৌনে ১টার দিকে সিএমএইচে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বললেও হাসপাতালের ভেতরে যাওয়ার কোনো অনুমতি পাওয়া যায়নি। পরে ফোনে শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা হয়।
ফোনে শিশুটির মা বলেন, ‘মেয়ের হাত-পায়ে চাবি দিয়ে আঁচড় দিলে একটু নড়ে। কিন্তু মাথাটা এখনো নড়াচাড়া করে না। ডাক্তার আমার সামনেই চাবি দিয়ে আঁচড় দেওয়ার সময় আমি ছিলাম। তখন দেখলাম। ডাক্তাররা বলেছেন, ভালো হয়ে যাবে। তবে সময় লাগবে।’ তিনি বলেন, আগে তো এই নড়াচাড়াও করেনি।
শিশুটির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গতকাল দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, শিশুটি গতকাল সকালে প্রথমবারের মতো চোখের পাতা নেড়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থার খুব সামান্যই উন্নতি হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, শিশুটির স্বাস্থ্যের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। আজকেও তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে শ্বাসনালির সমস্যার কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। শিশুটির মস্তিষ্কে পানি জমে গিয়েছিল। সেটি এখনো অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বুকের মধ্যে যে বাতাস জমে ছিল, সেটি দূর করা গেছে। চিকিৎসকেরা আশাবাদী, দু-এক দিনের মধ্যে তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে।
এর মধ্যে গত রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুটির মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে মধ্যরাতে এক খুদে বার্তায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী জানান, শিশুটি বেঁচে আছে। তার অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
গতকাল বিকেলে শিশুটির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে আইএসপিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামি রিমান্ডে
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার গভীর রাতে আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদনের শুনানি করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে মূল অভিযুক্ত শিশুটির বড় বোনের শ্বশুরকে সাত দিন এবং স্বামী, ভাশুর ও শাশুড়িকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন গতকাল জানান, মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তিনি। কিন্তু আসামিদের দ্রুত বিচারের দাবিতে দিনভর আদালত প্রাঙ্গণে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলায় আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে গভীর রাতে আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আসামিদের সহায়তা দেবেন না কোনো আইনজীবী
মামলার আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আইনি সহায়তা দেবেন না বলে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতি ঘোষণা করেছে। গতকাল সমিতির আয়োজনে এক মানববন্ধনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ হাসান টগর এ তথ্য জানান। সকালে জেলা জজ আদালতের সামনে মানববন্ধনে সমিতির শতাধিক সদস্য অংশ নেন।
মানববন্ধনে আইনজীবীরা জানান, এমন ঘটনা যেন সমাজে আর না ঘটে, সে জন্য দোষীদের কঠিন শাস্তি দিতে তাঁরা আদালতের কাছে দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে পুরো বিচারপ্রক্রিয়ায় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সব ধরনের আইনি সহযোগিতা করা হবে।
এদিকে গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কর্মীরা কয়েক দলে বিভক্ত হয়ে কলেজ থেকে আদালত ফটক পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁরা বেলা দেড়টা পর্যন্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে এসব কর্মসূচির ফলে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রমে কোনো বাধা সৃষ্টি হয়নি।
পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে মাগুরায় শিশুটি বড় বোনের বাড়িতে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়। পরে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢামেক হাসপাতালে। শুক্রবার রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরদিন শনিবার বিকেলে শিশুটিকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার’ শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকেরা আশা করছেন, দু-এক দিনের মধ্যে তার অবস্থার আরও কিছুটা উন্নতি হবে। তবে এখনো শঙ্কামুক্ত নয় সে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শিশুটির মা ও সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার এসব কথা জানানো হয়েছে।
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার চার আসামিকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আদালত প্রাঙ্গণে গত রোববার দিনের বেলায় জনতার বিক্ষোভের কারণে আসামিদের হাজির করা সম্ভব না হওয়ায় ওই দিন গভীর রাতে শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন মাগুরার আদালত।
গত বুধবার রাতে বোনের শ্বশুরবাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। এরপর সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় মাগুরা ও ফরিদপুরের হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল হয়ে তাকে এখন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) রাখা হয়েছে তাকে।
গতকাল সোমবার বেলা পৌনে ১টার দিকে সিএমএইচে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বললেও হাসপাতালের ভেতরে যাওয়ার কোনো অনুমতি পাওয়া যায়নি। পরে ফোনে শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা হয়।
ফোনে শিশুটির মা বলেন, ‘মেয়ের হাত-পায়ে চাবি দিয়ে আঁচড় দিলে একটু নড়ে। কিন্তু মাথাটা এখনো নড়াচাড়া করে না। ডাক্তার আমার সামনেই চাবি দিয়ে আঁচড় দেওয়ার সময় আমি ছিলাম। তখন দেখলাম। ডাক্তাররা বলেছেন, ভালো হয়ে যাবে। তবে সময় লাগবে।’ তিনি বলেন, আগে তো এই নড়াচাড়াও করেনি।
শিশুটির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গতকাল দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, শিশুটি গতকাল সকালে প্রথমবারের মতো চোখের পাতা নেড়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থার খুব সামান্যই উন্নতি হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, শিশুটির স্বাস্থ্যের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। আজকেও তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে শ্বাসনালির সমস্যার কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। শিশুটির মস্তিষ্কে পানি জমে গিয়েছিল। সেটি এখনো অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বুকের মধ্যে যে বাতাস জমে ছিল, সেটি দূর করা গেছে। চিকিৎসকেরা আশাবাদী, দু-এক দিনের মধ্যে তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে।
এর মধ্যে গত রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুটির মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে মধ্যরাতে এক খুদে বার্তায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী জানান, শিশুটি বেঁচে আছে। তার অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
গতকাল বিকেলে শিশুটির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে আইএসপিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামি রিমান্ডে
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার গভীর রাতে আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদনের শুনানি করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে মূল অভিযুক্ত শিশুটির বড় বোনের শ্বশুরকে সাত দিন এবং স্বামী, ভাশুর ও শাশুড়িকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন গতকাল জানান, মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তিনি। কিন্তু আসামিদের দ্রুত বিচারের দাবিতে দিনভর আদালত প্রাঙ্গণে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলায় আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে গভীর রাতে আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আসামিদের সহায়তা দেবেন না কোনো আইনজীবী
মামলার আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আইনি সহায়তা দেবেন না বলে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতি ঘোষণা করেছে। গতকাল সমিতির আয়োজনে এক মানববন্ধনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ হাসান টগর এ তথ্য জানান। সকালে জেলা জজ আদালতের সামনে মানববন্ধনে সমিতির শতাধিক সদস্য অংশ নেন।
মানববন্ধনে আইনজীবীরা জানান, এমন ঘটনা যেন সমাজে আর না ঘটে, সে জন্য দোষীদের কঠিন শাস্তি দিতে তাঁরা আদালতের কাছে দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে পুরো বিচারপ্রক্রিয়ায় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সব ধরনের আইনি সহযোগিতা করা হবে।
এদিকে গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কর্মীরা কয়েক দলে বিভক্ত হয়ে কলেজ থেকে আদালত ফটক পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁরা বেলা দেড়টা পর্যন্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে এসব কর্মসূচির ফলে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রমে কোনো বাধা সৃষ্টি হয়নি।
পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে মাগুরায় শিশুটি বড় বোনের বাড়িতে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়। পরে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢামেক হাসপাতালে। শুক্রবার রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরদিন শনিবার বিকেলে শিশুটিকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার’ শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকেরা আশা করছেন, দু-এক দিনের মধ্যে তার অবস্থার আরও কিছুটা উন্নতি হবে। তবে এখনো শঙ্কামুক্ত নয় সে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শিশুটির মা ও সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার এসব কথা জানানো হয়েছে।
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার চার আসামিকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আদালত প্রাঙ্গণে গত রোববার দিনের বেলায় জনতার বিক্ষোভের কারণে আসামিদের হাজির করা সম্ভব না হওয়ায় ওই দিন গভীর রাতে শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন মাগুরার আদালত।
গত বুধবার রাতে বোনের শ্বশুরবাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। এরপর সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় মাগুরা ও ফরিদপুরের হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল হয়ে তাকে এখন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) রাখা হয়েছে তাকে।
গতকাল সোমবার বেলা পৌনে ১টার দিকে সিএমএইচে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বললেও হাসপাতালের ভেতরে যাওয়ার কোনো অনুমতি পাওয়া যায়নি। পরে ফোনে শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা হয়।
ফোনে শিশুটির মা বলেন, ‘মেয়ের হাত-পায়ে চাবি দিয়ে আঁচড় দিলে একটু নড়ে। কিন্তু মাথাটা এখনো নড়াচাড়া করে না। ডাক্তার আমার সামনেই চাবি দিয়ে আঁচড় দেওয়ার সময় আমি ছিলাম। তখন দেখলাম। ডাক্তাররা বলেছেন, ভালো হয়ে যাবে। তবে সময় লাগবে।’ তিনি বলেন, আগে তো এই নড়াচাড়াও করেনি।
শিশুটির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গতকাল দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, শিশুটি গতকাল সকালে প্রথমবারের মতো চোখের পাতা নেড়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থার খুব সামান্যই উন্নতি হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, শিশুটির স্বাস্থ্যের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। আজকেও তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থার খুব সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে শ্বাসনালির সমস্যার কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। শিশুটির মস্তিষ্কে পানি জমে গিয়েছিল। সেটি এখনো অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বুকের মধ্যে যে বাতাস জমে ছিল, সেটি দূর করা গেছে। চিকিৎসকেরা আশাবাদী, দু-এক দিনের মধ্যে তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে।
এর মধ্যে গত রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুটির মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে মধ্যরাতে এক খুদে বার্তায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী জানান, শিশুটি বেঁচে আছে। তার অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
গতকাল বিকেলে শিশুটির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে আইএসপিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামি রিমান্ডে
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার গভীর রাতে আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদনের শুনানি করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে মূল অভিযুক্ত শিশুটির বড় বোনের শ্বশুরকে সাত দিন এবং স্বামী, ভাশুর ও শাশুড়িকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন গতকাল জানান, মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তিনি। কিন্তু আসামিদের দ্রুত বিচারের দাবিতে দিনভর আদালত প্রাঙ্গণে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলায় আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে গভীর রাতে আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আসামিদের সহায়তা দেবেন না কোনো আইনজীবী
মামলার আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আইনি সহায়তা দেবেন না বলে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতি ঘোষণা করেছে। গতকাল সমিতির আয়োজনে এক মানববন্ধনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ হাসান টগর এ তথ্য জানান। সকালে জেলা জজ আদালতের সামনে মানববন্ধনে সমিতির শতাধিক সদস্য অংশ নেন।
মানববন্ধনে আইনজীবীরা জানান, এমন ঘটনা যেন সমাজে আর না ঘটে, সে জন্য দোষীদের কঠিন শাস্তি দিতে তাঁরা আদালতের কাছে দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে পুরো বিচারপ্রক্রিয়ায় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সব ধরনের আইনি সহযোগিতা করা হবে।
এদিকে গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কর্মীরা কয়েক দলে বিভক্ত হয়ে কলেজ থেকে আদালত ফটক পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁরা বেলা দেড়টা পর্যন্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে এসব কর্মসূচির ফলে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রমে কোনো বাধা সৃষ্টি হয়নি।
পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে মাগুরায় শিশুটি বড় বোনের বাড়িতে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়। পরে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢামেক হাসপাতালে। শুক্রবার রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরদিন শনিবার বিকেলে শিশুটিকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪২ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার’ শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকেরা আশা করছেন, দু-এক দিনের মধ্যে তার অবস্থার আরও কিছুটা উন্নতি হবে। তবে এখনো শঙ্কামুক্ত নয় সে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শিশুটির মা ও সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার এসব কথা জানানো হয়েছ
১১ মার্চ ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪২ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার’ শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকেরা আশা করছেন, দু-এক দিনের মধ্যে তার অবস্থার আরও কিছুটা উন্নতি হবে। তবে এখনো শঙ্কামুক্ত নয় সে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শিশুটির মা ও সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার এসব কথা জানানো হয়েছ
১১ মার্চ ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১৯ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার’ শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকেরা আশা করছেন, দু-এক দিনের মধ্যে তার অবস্থার আরও কিছুটা উন্নতি হবে। তবে এখনো শঙ্কামুক্ত নয় সে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শিশুটির মা ও সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার এসব কথা জানানো হয়েছ
১১ মার্চ ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার’ শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকেরা আশা করছেন, দু-এক দিনের মধ্যে তার অবস্থার আরও কিছুটা উন্নতি হবে। তবে এখনো শঙ্কামুক্ত নয় সে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শিশুটির মা ও সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার এসব কথা জানানো হয়েছ
১১ মার্চ ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪২ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে