বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় সন্তুষ্ট না হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। দেশের সব পলিটেকনিকে ইনস্টিটিউট এবং কারিগরি ছাত্র আন্দোলন সম্মিলিতভাবে কঠোর কর্মসূচি দেবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেহানা ইয়াসমিনের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন কারিগরির শিক্ষার্থীরা।
বৈঠক শেষে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক করানো হবে। কিন্তু শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের মাঝে উপস্থিত হননি। সচিব মহোদয় রংপুরে ছিলেন বলে তিনিও উপস্থিত হতে পারেন নাই। এখানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
মাশফিক বলেন, ‘তারা বলছে যে তারা নিয়োগবিধি সংশোধন করেছে, স্টাফদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু আমরা দৃশ্যমান কোনো ফলাফল পাচ্ছি না। তাদের সকল কিছুতেই সময় লাগবে, সময়ক্ষেপণ করার প্রস্তুতি আসছে। সে ক্ষেত্রে আজকের বৈঠকে আমরা কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কোনোভাবেই সন্তুষ্ট নই। আমাদের ডেকে তারা কোনো সন্তোষজনক সমাধান দিতে পারে নাই। এ জন্য সারা দেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্মিলিতভাবে এবং কারিগরি ছাত্র আন্দোলন কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচির দিকে যাবে। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা যেভাবে আন্দোলন চলমান রেখেছি, আমরা সেভাবে আন্দোলন চলমান রাখব।’
ছয় দফা দাবিতে গতকাল বুধবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে তাঁরা আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতির কোটা বাতিল; ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল; উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রীয়, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা; কারিগরি খাত পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষা বহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করা; স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা’ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন এবং পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা।
শিক্ষকদের দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা কেন মাঠে নেমেছেন, সেই প্রশ্নে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আল ইমরান বলেন, ‘শুরু থেকে কারিগরির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দিয়ে অধিদপ্তর এবং শিক্ষা বোর্ড নিয়ন্ত্রিত হতো। কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে ষড়যন্ত্র করে নিয়োগবিধি পরিবর্তন করা হয়েছে। আমরা বর্তমানে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থী কিন্তু পড়াশোনা শেষ করে আমরাও সেই জায়গায় যাব। সেই জায়গাটা যদি ব্লক হয়ে যায়, আমরা যদি সংশ্লিষ্ট পদে যেতে না পারি তাহলে এই মাথাব্যথা তো আমাদেরই।’
কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্রধান কার্যনির্বাহী সদস্য জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, ‘গত ৯ সেপ্টেম্বর যখন সাতরাস্তা অবরোধ করেছিলাম, সেদিন আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছয় দফার বাস্তবায়ন আজ পর্যন্ত দেখিনি। আমরা বাধ্য হয়ে রাজপথে নেমে এসেছি।’
আলোচনায় আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি জানিয়ে জুবায়ের বলেন, ‘সচিবের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও আমরা সফল হয়নি। এমনকি আজকেও আমরা ব্যর্থ তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে। আজকে আমাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ প্রতারণা করা হয়েছে। আমাদের কর্মসূচি যেভাবে চলমান ছিল, সেভাবে চলমান থাকবে। জনদুর্ভোগ হোক যতটা কমিয়ে আন্দোলন পরিচালনা করা যায়, আমরা সেই চেষ্টা করব।’
এদিকে গতকাল রাতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান খানকে সরিয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন—
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় সন্তুষ্ট না হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। দেশের সব পলিটেকনিকে ইনস্টিটিউট এবং কারিগরি ছাত্র আন্দোলন সম্মিলিতভাবে কঠোর কর্মসূচি দেবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেহানা ইয়াসমিনের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন কারিগরির শিক্ষার্থীরা।
বৈঠক শেষে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক করানো হবে। কিন্তু শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের মাঝে উপস্থিত হননি। সচিব মহোদয় রংপুরে ছিলেন বলে তিনিও উপস্থিত হতে পারেন নাই। এখানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
মাশফিক বলেন, ‘তারা বলছে যে তারা নিয়োগবিধি সংশোধন করেছে, স্টাফদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু আমরা দৃশ্যমান কোনো ফলাফল পাচ্ছি না। তাদের সকল কিছুতেই সময় লাগবে, সময়ক্ষেপণ করার প্রস্তুতি আসছে। সে ক্ষেত্রে আজকের বৈঠকে আমরা কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কোনোভাবেই সন্তুষ্ট নই। আমাদের ডেকে তারা কোনো সন্তোষজনক সমাধান দিতে পারে নাই। এ জন্য সারা দেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্মিলিতভাবে এবং কারিগরি ছাত্র আন্দোলন কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচির দিকে যাবে। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা যেভাবে আন্দোলন চলমান রেখেছি, আমরা সেভাবে আন্দোলন চলমান রাখব।’
ছয় দফা দাবিতে গতকাল বুধবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে তাঁরা আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতির কোটা বাতিল; ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল; উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রীয়, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা; কারিগরি খাত পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষা বহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করা; স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা’ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন এবং পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা।
শিক্ষকদের দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা কেন মাঠে নেমেছেন, সেই প্রশ্নে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আল ইমরান বলেন, ‘শুরু থেকে কারিগরির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দিয়ে অধিদপ্তর এবং শিক্ষা বোর্ড নিয়ন্ত্রিত হতো। কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে ষড়যন্ত্র করে নিয়োগবিধি পরিবর্তন করা হয়েছে। আমরা বর্তমানে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থী কিন্তু পড়াশোনা শেষ করে আমরাও সেই জায়গায় যাব। সেই জায়গাটা যদি ব্লক হয়ে যায়, আমরা যদি সংশ্লিষ্ট পদে যেতে না পারি তাহলে এই মাথাব্যথা তো আমাদেরই।’
কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্রধান কার্যনির্বাহী সদস্য জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, ‘গত ৯ সেপ্টেম্বর যখন সাতরাস্তা অবরোধ করেছিলাম, সেদিন আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছয় দফার বাস্তবায়ন আজ পর্যন্ত দেখিনি। আমরা বাধ্য হয়ে রাজপথে নেমে এসেছি।’
আলোচনায় আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি জানিয়ে জুবায়ের বলেন, ‘সচিবের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও আমরা সফল হয়নি। এমনকি আজকেও আমরা ব্যর্থ তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে। আজকে আমাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ প্রতারণা করা হয়েছে। আমাদের কর্মসূচি যেভাবে চলমান ছিল, সেভাবে চলমান থাকবে। জনদুর্ভোগ হোক যতটা কমিয়ে আন্দোলন পরিচালনা করা যায়, আমরা সেই চেষ্টা করব।’
এদিকে গতকাল রাতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান খানকে সরিয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন—
তামিম রাতে ইটেরপুল এলাকায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনটি মোটরসাইকেলে একদল দুর্বৃত্ত এসে তামিমের উপর হামলা চালায়। এ সময় তামিমকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
১৩ মিনিট আগেবগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ইকবাল বাহার এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ’মতিন সরকারের বিরুদ্ধে ডজনখানেক হত্যা মামলা ছাড়াও অস্ত্র, মাদক আইনেও একাধিক মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন করে একাধিক হত্যা মামলায় আসামি হওয়ায় তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। জেলা ডিবির একটি টিম গোপন সংবাদে
২৭ মিনিট আগেবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বোরহানউদ্দিন উপজেলা শাখার সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দেউলা ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো: রাকিব ব্যাপারি ও একই উপজেলার টবগী ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: তুহিন ফরাজীকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সাংগঠন
২৯ মিনিট আগেশনিবার (২১ জুন) রাত পৌনে ১০টার দিকে জহুরপুর বেলপাড়া সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই বিজিবি সদস্যকে হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু।
১ ঘণ্টা আগে