নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবস আজ। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্য-বীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম শেষে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশ রচিত হয়েছিল। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। দিবসটি উপলক্ষে ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তাঁদের ভাবনা, অনুভূতি ও প্রত্যাশার কথা।বিশ্বমঞ্চে নিজেদের তুলে ধরতে হবে
অন্যায়-অত্যাচার, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে গিয়ে যাঁরা আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ করে দিয়েছেন, তাঁদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। বর্তমানে স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের রয়েছে সমৃদ্ধ ভাষা ও সংস্কৃতি। তবু এ দেশের তরুণদের মাঝে অন্য জাতি বা দেশ থেকে ধার করে আনা সংস্কৃতি ও ভাষা লালন করার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। বিষয়টি খুবই নিন্দনীয়। এ চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর চিন্তার দাসে পরিণত হয়ে উঠছি। হারিয়ে ফেলছি নিজেদের স্বকীয়তা। তাই বিজয়ের মাসে একটাই চাওয়া—দেশের ভাষা ও সংস্কৃতিকে চর্চার মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে হবে এবং জাতিগত হীনম্মন্যতাবোধ থেকে বেরিয়ে আত্মপরিচয়ের খোঁজ করতে হবে।
মো. জাহেদ হোসেন
শিক্ষার্থী, সমাজকল্যাণ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সাফল্যের ৫২ বছর
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। বিজয়ের ৫২ বছর পূর্তিতে সেই আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের মানুষের মাঝে। নানা সফলতার মধ্য দিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে প্রিয় এই দেশ। মেট্রোরেল ব্যবস্থায় বিশ্বের ৩৬তম দেশ হিসেবে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশে সুড়ঙ্গ পথ হিসেবে নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল। নিজ খরচে প্রমত্তা পদ্মার বুকে নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু। চট্টগ্রামে নির্মিত দেশের প্রথম ও একমাত্র গভীর মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর। ভবিষ্যতে বন্দরটি এই অঞ্চলের বিজনেস হাব হিসেবে গড়ে উঠবে। এভাবে উত্তরোত্তর সাফল্যের মধ্য দিয়ে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব পরিসরে এই বিজয় যেন ঠিক একাত্তরে অর্জিত বিজয়েরই অনুপ্রেরণা।
আদিবা নওমী
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মুক্তিযোদ্ধাদের নামের সঠিক তালিকা চাই
আমাদের চারপাশে অনেক মানুষের বসবাস। তাঁদের মধ্যে রিকশাচালক, শ্রমিক, জেলে কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। তাঁদের মধ্যেও কেউ কেউ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। অথচ তাঁদের নাম মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় নেই। মুক্তিযুদ্ধের পরে এ তালিকা সম্পর্কে তাঁরা খুব একটা জানতেন না। এমনকি এখনো তেমন ধারণা নেই। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বেশির ভাগই এখন বেঁচে নেই। বেঁচে আছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অনেকে কষ্টে দিন পার করছেন। এমনও হয়েছে, হঠাৎ রিকশাচালকের মুখে মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের কথা শুনে নিজেকে অপরাধী মনে হয়েছে। বিজয়ের মাসে প্রত্যাশা, তালিকার বাইরে থাকা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের অন্তিম মুহূর্তে প্রাপ্য সম্মান পাবেন।
মো. খশরু আহসান
শিক্ষার্থী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের উল্লাসে চাপা না পড়ুক শহীদের ত্যাগ
বিজয়ের ৫২ বছর পূর্ণ হলো। বিজয় মানে উল্লাস। তবে সেই উল্লাসে শহীদের বুক থেকে ঝরা তাজা রক্তের কথা ভুলে গেলে চলবে না। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আমরা পেয়েছি এক লাল-সবুজের পতাকা। সে পতাকার ছায়ায় অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ হয়ে উঠুক বাংলাদেশ। এগিয়ে যাক সমৃদ্ধির পথে। স্বাধীনতা বা বিজয় আমাদের মধ্যে যে স্পৃহা ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করে, সেই স্পৃহাকে পাথেয় করে এগিয়ে যেতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার এ যাত্রায় আমাদের ভূমিকা অনেক। আমরা তরুণেরাই পারি একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে। দেশ গড়ার এ স্বপ্নযাত্রায় যেন সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে এগিয়ে যেতে পারি, এটাই প্রত্যাশা।
তারানা তানজিনা মিতু
শিক্ষার্থী, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম
মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ও স্বপ্নপূরণ
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনতে আমাদের দীর্ঘ ৯ মাস সংগ্রাম করতে হয়েছে। বিলিয়ে দিতে হয়েছে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম। অসংখ্য ত্যাগের বিনিময়ে পরাধীনতার শিকল ভেঙে অবশেষে অর্জিত হয়েছিল সবুজ শ্যামল এই প্রকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের প্রতীক লাল-সবুজের পতাকা। কিন্তু এই পতাকার মান কি আমরা ধরে রাখতে পেরেছি? বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেই স্বপ্ন কি ধরা দিয়েছে? বিজয় দিবসে সেই স্বপ্নপূরণে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের বিজয় নিশান ছিল বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ে লালিত স্বপ্নবীজ। সেই স্বপ্নবীজ পরিচর্যা করে একবিংশ শতাব্দীর নতুন প্রজন্ম হিসেবে সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের হতে হবে বদ্ধপরিকর।
এস এম মানজুরুল ইসলাম সাজিদ
শিক্ষার্থী, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয় ৭১ অসংখ্য নিপীড়নের জবাব
সব ক্ষেত্রেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ করত পশ্চিম পাকিস্তানিরা। এই অঞ্চলের মানুষদের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হতো না। অধিকার আদায়ের জন্য ঘাতকের বুলেটে রক্তাক্ত হতো আমার দেশের মানুষ। বিজয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিলেন আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তাই শোষণ, নিপীড়ন, অত্যাচারের জবাবে রক্ত দিতেও কার্পণ্য করেননি। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অবসান হয় সেই শোষণ ও নিপীড়নের। প্রতিষ্ঠিত হয় এক স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’। ৫২ বছর পেরিয়ে বিজয়ের পতাকা আজও উড়ছে অবিরাম ধারায়। বিভিন্ন উন্নয়নের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
মো. মোজাম্মেল হোসেন শাহাদাত
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (নার্সিং)

মহান বিজয় দিবস আজ। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্য-বীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম শেষে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশ রচিত হয়েছিল। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। দিবসটি উপলক্ষে ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তাঁদের ভাবনা, অনুভূতি ও প্রত্যাশার কথা।বিশ্বমঞ্চে নিজেদের তুলে ধরতে হবে
অন্যায়-অত্যাচার, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে গিয়ে যাঁরা আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ করে দিয়েছেন, তাঁদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। বর্তমানে স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের রয়েছে সমৃদ্ধ ভাষা ও সংস্কৃতি। তবু এ দেশের তরুণদের মাঝে অন্য জাতি বা দেশ থেকে ধার করে আনা সংস্কৃতি ও ভাষা লালন করার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। বিষয়টি খুবই নিন্দনীয়। এ চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর চিন্তার দাসে পরিণত হয়ে উঠছি। হারিয়ে ফেলছি নিজেদের স্বকীয়তা। তাই বিজয়ের মাসে একটাই চাওয়া—দেশের ভাষা ও সংস্কৃতিকে চর্চার মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে হবে এবং জাতিগত হীনম্মন্যতাবোধ থেকে বেরিয়ে আত্মপরিচয়ের খোঁজ করতে হবে।
মো. জাহেদ হোসেন
শিক্ষার্থী, সমাজকল্যাণ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সাফল্যের ৫২ বছর
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। বিজয়ের ৫২ বছর পূর্তিতে সেই আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের মানুষের মাঝে। নানা সফলতার মধ্য দিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে প্রিয় এই দেশ। মেট্রোরেল ব্যবস্থায় বিশ্বের ৩৬তম দেশ হিসেবে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশে সুড়ঙ্গ পথ হিসেবে নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল। নিজ খরচে প্রমত্তা পদ্মার বুকে নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু। চট্টগ্রামে নির্মিত দেশের প্রথম ও একমাত্র গভীর মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর। ভবিষ্যতে বন্দরটি এই অঞ্চলের বিজনেস হাব হিসেবে গড়ে উঠবে। এভাবে উত্তরোত্তর সাফল্যের মধ্য দিয়ে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব পরিসরে এই বিজয় যেন ঠিক একাত্তরে অর্জিত বিজয়েরই অনুপ্রেরণা।
আদিবা নওমী
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মুক্তিযোদ্ধাদের নামের সঠিক তালিকা চাই
আমাদের চারপাশে অনেক মানুষের বসবাস। তাঁদের মধ্যে রিকশাচালক, শ্রমিক, জেলে কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। তাঁদের মধ্যেও কেউ কেউ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। অথচ তাঁদের নাম মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় নেই। মুক্তিযুদ্ধের পরে এ তালিকা সম্পর্কে তাঁরা খুব একটা জানতেন না। এমনকি এখনো তেমন ধারণা নেই। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বেশির ভাগই এখন বেঁচে নেই। বেঁচে আছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অনেকে কষ্টে দিন পার করছেন। এমনও হয়েছে, হঠাৎ রিকশাচালকের মুখে মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানের কথা শুনে নিজেকে অপরাধী মনে হয়েছে। বিজয়ের মাসে প্রত্যাশা, তালিকার বাইরে থাকা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের অন্তিম মুহূর্তে প্রাপ্য সম্মান পাবেন।
মো. খশরু আহসান
শিক্ষার্থী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়ের উল্লাসে চাপা না পড়ুক শহীদের ত্যাগ
বিজয়ের ৫২ বছর পূর্ণ হলো। বিজয় মানে উল্লাস। তবে সেই উল্লাসে শহীদের বুক থেকে ঝরা তাজা রক্তের কথা ভুলে গেলে চলবে না। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আমরা পেয়েছি এক লাল-সবুজের পতাকা। সে পতাকার ছায়ায় অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ হয়ে উঠুক বাংলাদেশ। এগিয়ে যাক সমৃদ্ধির পথে। স্বাধীনতা বা বিজয় আমাদের মধ্যে যে স্পৃহা ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করে, সেই স্পৃহাকে পাথেয় করে এগিয়ে যেতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার এ যাত্রায় আমাদের ভূমিকা অনেক। আমরা তরুণেরাই পারি একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে। দেশ গড়ার এ স্বপ্নযাত্রায় যেন সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে এগিয়ে যেতে পারি, এটাই প্রত্যাশা।
তারানা তানজিনা মিতু
শিক্ষার্থী, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম
মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ও স্বপ্নপূরণ
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনতে আমাদের দীর্ঘ ৯ মাস সংগ্রাম করতে হয়েছে। বিলিয়ে দিতে হয়েছে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম। অসংখ্য ত্যাগের বিনিময়ে পরাধীনতার শিকল ভেঙে অবশেষে অর্জিত হয়েছিল সবুজ শ্যামল এই প্রকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের প্রতীক লাল-সবুজের পতাকা। কিন্তু এই পতাকার মান কি আমরা ধরে রাখতে পেরেছি? বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেই স্বপ্ন কি ধরা দিয়েছে? বিজয় দিবসে সেই স্বপ্নপূরণে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের বিজয় নিশান ছিল বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ে লালিত স্বপ্নবীজ। সেই স্বপ্নবীজ পরিচর্যা করে একবিংশ শতাব্দীর নতুন প্রজন্ম হিসেবে সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের হতে হবে বদ্ধপরিকর।
এস এম মানজুরুল ইসলাম সাজিদ
শিক্ষার্থী, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয় ৭১ অসংখ্য নিপীড়নের জবাব
সব ক্ষেত্রেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ করত পশ্চিম পাকিস্তানিরা। এই অঞ্চলের মানুষদের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হতো না। অধিকার আদায়ের জন্য ঘাতকের বুলেটে রক্তাক্ত হতো আমার দেশের মানুষ। বিজয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিলেন আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তাই শোষণ, নিপীড়ন, অত্যাচারের জবাবে রক্ত দিতেও কার্পণ্য করেননি। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অবসান হয় সেই শোষণ ও নিপীড়নের। প্রতিষ্ঠিত হয় এক স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’। ৫২ বছর পেরিয়ে বিজয়ের পতাকা আজও উড়ছে অবিরাম ধারায়। বিভিন্ন উন্নয়নের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
মো. মোজাম্মেল হোসেন শাহাদাত
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (নার্সিং)

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবস আজ। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্য-বীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম শেষে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশ রচিত হয়েছিল। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। দ
১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবস আজ। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্য-বীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম শেষে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশ রচিত হয়েছিল। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। দ
১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

মহান বিজয় দিবস আজ। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্য-বীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম শেষে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশ রচিত হয়েছিল। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। দ
১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

মহান বিজয় দিবস আজ। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্য-বীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম শেষে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশ রচিত হয়েছিল। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। দ
১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে