
গল্পটা এক রাষ্ট্রনায়কের। আবার বিখ্যাত এক অভিনেতারও। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৯১১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন তিনি।
উত্তর-পশ্চিম ইলিনয়ের ছোট্ট এক শহর টামপিকোতে জন্ম রিগ্যানের। তাঁর পরিবার দরিদ্র হলেও পরে রিগ্যান বলেছিলেন চমৎকার একটি শৈশব কাটিয়েছিলেন। স্কুল ও কলেজে পড়ার সময় নিয়মিত ফুটবল খেলেন তিনি। যখন স্নাতক করেন, তখন অর্থনৈতিক মন্দার কারণে চাকরির বাজারের অবস্থা মোটেই ভালো নয়।
লোয়ার একটি রেডিওতে কাজ শুরু করলেন তিনি। ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলার ধারাভাষ্য দিতেন। এরই মধ্যে পরিচিত একজনের মাধ্যমে হলিউডের এক এজেন্টের সঙ্গে আলাপ হলো। ১৯৩৭ সালে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সঙ্গে সাত বছরের এক চুক্তি করলেন, সপ্তাহে ২০০ ডলার সম্মানীতে। তাঁর প্রথম ছবি মুক্তি পায় ১৯৩৭ সালে। ‘লাভ ইজ অন দ্য এয়ার’ নামের কম বাজেটের ছবিটিতে একজন রেডিও রিপোর্টারের ভূমিকায় অভিনয় করেন।
তবে কয়েক বছরের মধ্যেই তাঁকে পরিচিত করে তোলে এমন একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান। নুটে রকনি, অল আমেরিকান নামের ছবিটিতে নটর ডেমের ফুটবল খেলোয়াড় জর্জ গিপের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। কিংবদন্তি নটর ডেম কোচ নুটে রকনির (অভিনয় করেন পেট ব্রায়ান) জীবন তুলে ধরা হয় চলচ্চিত্রটিতে। ১৯৩১ সালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মারা যান রকনি। তারকা খেলোয়াড় গিপ মারা গিয়েছিলেন গলার ইনফেকশনে। মোট ৫০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন রোনাল্ড রিগ্যান।
১৯৪৮ সালে প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী জেন ওয়াইম্যানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় রিগ্যানের। ১৯৫২ সালে আরেক অভিনেত্রী ন্যান্সি ডেভিসকে বিয়ে করেন তিনি। তাঁদের দুটি সন্তান হয়, প্যাট্রিসিয়া ও রোনাল্ড। রিগ্যান ও ওয়াইম্যানেরও একটি মেয়ে সন্তান ছিল আগে থেকেই, মৌরিন। ন্যান্সি রিগ্যান পরে রাজনৈতিক কর্মজীবনে স্বামীর খুব আস্থাভাজন এবং উপদেষ্টা হয়ে ওঠেন।
যদিও হলিউডের বছরগুলোতে একজন নিবন্ধিত ডেমোক্র্যাট ছিলেন, ১৯৬২ সালে রাজনৈতিক পরিচয় বদলে রিপাবলিকানে পরিণত হন। ১৯৪১ সালে মুক্তি পাওয়া কিংস রো চলচ্চিত্রে ছোট্ট শহরের এক হিরোর ভূমিকায় অভিনয় করেন, যাঁর এক পা কাটা পড়েছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হওয়ার জন্য ভোটে দাঁড়ানোর আগে ১৯৬৫ সালে বাজারে আসা তাঁর প্রথম আত্মজীবনীর নাম হিসেবে ছবিটির একটি সংলাপ ব্যবহার করেন, ‘হয়্যার’স দ্য রেস্ট অব মি?’
পরের বছর রিগ্যান ক্যালিফোর্নিয়ার সে সময়কার গভর্নর প্যাট ব্রাউনকে প্রায় দশ লাখ ভোটে পরাজিত করে হোয়াইট হাউসে প্রবেশের পথে এক ধাপ এগিয়ে যান।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হিসেবে দুই মেয়াদ দায়িত্ব পালনের পর ১৯৭৬ সালে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের জন্য টিকিট চান। তবে প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের কাছে হেরে যান। ১৯৮০ সালে রিগ্যান রিপাবলিকানদের মনোনয়ন লাভ করেন এবং জিমি কার্টারকে পরাজিত করে আমেরিকার ৪০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
৬৯ বছর বয়সে রিগ্যান যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন, তখন তিনি মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। মানুষের মধ্যে আশা জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি সাফল্যের সঙ্গে বিভিন্ন বিপর্যয় মোকাবিলা করেছিলেন রিগ্যান। তাঁর পররাষ্ট্রনীতি ইরান-কন্ট্রা নীতির কারণে সমালোচিত হলেও স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তি এবং ১৯৮০-র দশকের শেষের দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু হওয়ার পর এর অনেকটাই পুনরুদ্ধার হয়।
১৯৮৮ সালে হোয়াইট হাউস তাঁর অনুগত ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের হাতে রেখে জনপ্রিয়তা বজায় রেখেই বিদায় নিতে সক্ষম হন রিগ্যান। ছয় বছর পরে, রিগ্যান সবাইকে চমকে দিয়ে জানান তিনি আলঝেইমারে (স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায় যে রোগে) আক্রান্ত। ২০০৪ সালের ৫ জুন ৯৩ বছর বয়সে মারা যান রোনাল্ড রিগ্যান।

গল্পটা এক রাষ্ট্রনায়কের। আবার বিখ্যাত এক অভিনেতারও। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৯১১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন তিনি।
উত্তর-পশ্চিম ইলিনয়ের ছোট্ট এক শহর টামপিকোতে জন্ম রিগ্যানের। তাঁর পরিবার দরিদ্র হলেও পরে রিগ্যান বলেছিলেন চমৎকার একটি শৈশব কাটিয়েছিলেন। স্কুল ও কলেজে পড়ার সময় নিয়মিত ফুটবল খেলেন তিনি। যখন স্নাতক করেন, তখন অর্থনৈতিক মন্দার কারণে চাকরির বাজারের অবস্থা মোটেই ভালো নয়।
লোয়ার একটি রেডিওতে কাজ শুরু করলেন তিনি। ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলার ধারাভাষ্য দিতেন। এরই মধ্যে পরিচিত একজনের মাধ্যমে হলিউডের এক এজেন্টের সঙ্গে আলাপ হলো। ১৯৩৭ সালে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সঙ্গে সাত বছরের এক চুক্তি করলেন, সপ্তাহে ২০০ ডলার সম্মানীতে। তাঁর প্রথম ছবি মুক্তি পায় ১৯৩৭ সালে। ‘লাভ ইজ অন দ্য এয়ার’ নামের কম বাজেটের ছবিটিতে একজন রেডিও রিপোর্টারের ভূমিকায় অভিনয় করেন।
তবে কয়েক বছরের মধ্যেই তাঁকে পরিচিত করে তোলে এমন একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান। নুটে রকনি, অল আমেরিকান নামের ছবিটিতে নটর ডেমের ফুটবল খেলোয়াড় জর্জ গিপের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। কিংবদন্তি নটর ডেম কোচ নুটে রকনির (অভিনয় করেন পেট ব্রায়ান) জীবন তুলে ধরা হয় চলচ্চিত্রটিতে। ১৯৩১ সালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মারা যান রকনি। তারকা খেলোয়াড় গিপ মারা গিয়েছিলেন গলার ইনফেকশনে। মোট ৫০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন রোনাল্ড রিগ্যান।
১৯৪৮ সালে প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী জেন ওয়াইম্যানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় রিগ্যানের। ১৯৫২ সালে আরেক অভিনেত্রী ন্যান্সি ডেভিসকে বিয়ে করেন তিনি। তাঁদের দুটি সন্তান হয়, প্যাট্রিসিয়া ও রোনাল্ড। রিগ্যান ও ওয়াইম্যানেরও একটি মেয়ে সন্তান ছিল আগে থেকেই, মৌরিন। ন্যান্সি রিগ্যান পরে রাজনৈতিক কর্মজীবনে স্বামীর খুব আস্থাভাজন এবং উপদেষ্টা হয়ে ওঠেন।
যদিও হলিউডের বছরগুলোতে একজন নিবন্ধিত ডেমোক্র্যাট ছিলেন, ১৯৬২ সালে রাজনৈতিক পরিচয় বদলে রিপাবলিকানে পরিণত হন। ১৯৪১ সালে মুক্তি পাওয়া কিংস রো চলচ্চিত্রে ছোট্ট শহরের এক হিরোর ভূমিকায় অভিনয় করেন, যাঁর এক পা কাটা পড়েছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হওয়ার জন্য ভোটে দাঁড়ানোর আগে ১৯৬৫ সালে বাজারে আসা তাঁর প্রথম আত্মজীবনীর নাম হিসেবে ছবিটির একটি সংলাপ ব্যবহার করেন, ‘হয়্যার’স দ্য রেস্ট অব মি?’
পরের বছর রিগ্যান ক্যালিফোর্নিয়ার সে সময়কার গভর্নর প্যাট ব্রাউনকে প্রায় দশ লাখ ভোটে পরাজিত করে হোয়াইট হাউসে প্রবেশের পথে এক ধাপ এগিয়ে যান।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হিসেবে দুই মেয়াদ দায়িত্ব পালনের পর ১৯৭৬ সালে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের জন্য টিকিট চান। তবে প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের কাছে হেরে যান। ১৯৮০ সালে রিগ্যান রিপাবলিকানদের মনোনয়ন লাভ করেন এবং জিমি কার্টারকে পরাজিত করে আমেরিকার ৪০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
৬৯ বছর বয়সে রিগ্যান যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন, তখন তিনি মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। মানুষের মধ্যে আশা জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি সাফল্যের সঙ্গে বিভিন্ন বিপর্যয় মোকাবিলা করেছিলেন রিগ্যান। তাঁর পররাষ্ট্রনীতি ইরান-কন্ট্রা নীতির কারণে সমালোচিত হলেও স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তি এবং ১৯৮০-র দশকের শেষের দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু হওয়ার পর এর অনেকটাই পুনরুদ্ধার হয়।
১৯৮৮ সালে হোয়াইট হাউস তাঁর অনুগত ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের হাতে রেখে জনপ্রিয়তা বজায় রেখেই বিদায় নিতে সক্ষম হন রিগ্যান। ছয় বছর পরে, রিগ্যান সবাইকে চমকে দিয়ে জানান তিনি আলঝেইমারে (স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায় যে রোগে) আক্রান্ত। ২০০৪ সালের ৫ জুন ৯৩ বছর বয়সে মারা যান রোনাল্ড রিগ্যান।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১০ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

গল্পটা এক রাষ্ট্রনায়কের। আবার বিখ্যাত এক অভিনেতারও। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৯১১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন তিনি।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

গল্পটা এক রাষ্ট্রনায়কের। আবার বিখ্যাত এক অভিনেতারও। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৯১১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন তিনি।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১০ ঘণ্টা আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

গল্পটা এক রাষ্ট্রনায়কের। আবার বিখ্যাত এক অভিনেতারও। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৯১১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন তিনি।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১০ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

গল্পটা এক রাষ্ট্রনায়কের। আবার বিখ্যাত এক অভিনেতারও। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৯১১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন তিনি।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১০ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে