মাসুদ রানা

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া। তিন বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সিন্ডিকেট এবং সমাধান নিয়ে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার মাসুদ রানা।
জিনিসপত্রের দাম এখনো না কমার কারণ কী?
একেবারেই যে কমেনি, সেটা বলার সুযোগ নেই। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুযোগ নিয়েছে ব্যবসায়ীদের একটি শ্রেণি। যারা আসলে সুযোগে অসাধু হয়ে ওঠে। সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীদের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। বিগত সরকারের আমলে তারা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। বিগত সরকার সেই সময় সিন্ডিকেটের কথা স্বীকার করলেও তাদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেনি। বর্তমান সরকার আসার পর চেষ্টা করছে বাজার নিয়ন্ত্রণের। সাধারণ ভোক্তারা যাতে ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে পারে। বর্তমানে বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না এলেও দুই দিন আগে দেখা গেছে, সবজির দাম আগের চেয়ে কমেছে। মুরগির দাম বাড়লেও ডিমের দাম কমেছে। সরকার কিছু পণ্য আমদানি করায় দাম আরও কমে আসবে বলে ক্যাবের পক্ষ থেকে মনে করছি।
ট্রেনের মাধ্যমে কৃষিপণ্য আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে কোনো উপকার হবে কি?
সরকার এটা ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা কিন্তু অনেক আগে থেকে এ কথা বলে আসছি। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেনে কৃষিপণ্য আনা গেলে যাতায়াত খরচ অনেক কমে যাবে। ফলে পণ্যের দামও কমে যাবে।
আমরা জানি, জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির মূল কারণ সিন্ডিকেট। বর্তমান সরকার কেন এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না?
সিন্ডিকেট তো এখনো বাজারে সক্রিয়। দেশে অধিকাংশ পণ্যের জোগানে অভাব নেই। পর্যাপ্ত পণ্য বাজারে আছে। কিন্তু দাম সে তুলনায় কমছে না। এটার মূল কারণ হলো ‘সিন্ডিকেট’। এ জন্য বাজার তদারকির জন্য শুধু খুচরা বাজারে গেলে হবে না, পাইকারি বাজারে যেতে হবে। মানে, যারা পণ্যের দাম বাড়ায়, তাদের কাছে যেতে হবে। কিন্তু ভোক্তা অধিকার বাজারে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করলে পণ্যের দাম কমে যায়। কিন্তু বাজার থেকে চলে গেলে পণ্যের দাম আবার বাড়ানো হয়। এটাও সিন্ডিকেটের কারণে হয়। এই সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য ক্যাবের পক্ষ থেকে পরামর্শ হলো, বাজার তদারকির জন্য ভোক্তা অধিকার ছাড়া কোনো মন্ত্রণালয় সেখানে যায় না। তাই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হচ্ছে না। সিন্ডিকেট ভাঙার ক্ষমতা একমাত্র সরকারের হাতে। ভোক্তা অধিকারের পক্ষে এটা ভাঙা সম্ভব নয়।
সরকার টাস্কফোর্স গঠনের কথা বলেছে। সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই। এতে পণ্যের দাম কমে যেতে পারে। তবে সিন্ডিকেট ভাঙা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো উপায় নেই। কারণ, ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক পণ্যের দাম বাড়ায়। দেখা যায়, কখনো পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়, কখনো ডিম বা ডালের দাম বাড়ানো হয়; কখনো আলু, কখনো মাছসহ নানা ক্ষেত্রে তারা এই অপকর্মগুলো করে থাকে। নানা সময় বিভিন্ন পণ্যের ওপর সিন্ডিকেট থাবা বসায়।
সম্প্রতি কোল্ডস্টোরেজ থেকে লাখ লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়। কোল্ডস্টোরেজে আলু থাকার কথা। কিন্তু সেখানে ডিম পাওয়া গেছে। এই যে ঘটনাগুলো, এসব নিয়ন্ত্রণ করা না
গেলে সিন্ডিকেট ভাঙা অসম্ভব। সিন্ডিকেটের ঘটনা আরেকটা ক্ষেত্রে ঘটে; যেমন কেউ যদি তার পণ্য বিক্রি না করে, সেটাও তো একধরনের সিন্ডিকেট।
আমরা মনে করি, সরকারের হাত অনেক লম্বা। তারা যদি চেষ্টা করে, তাহলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আর সব ব্যবসায়ীর কথা বলতে পারব না। তবে কিছু ব্যবসায়ী এখনো সিন্ডিকেট করে তাদের পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে।
নিত্যপণ্যের বিপণনব্যবস্থায় যে অনিয়ম আছে, সেটাকে সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে কী করা যেতে পারে?
এটা অবশ্যই সম্মিলিতভাবে করতে হবে। যেসব মন্ত্রণালয় এসবের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। যেমন কৃষি মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বিপণন অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়—সবাই যদি সমন্বিতভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে, তাহলে বাজার সিন্ডিকেট কার্যকর থাকবে না।
সরকার ডিম আমদানি করছে। তারপরেও কীভাবে বাজার থেকে ডিম উধাও হয়ে যায়? আবার সরকার যখন কোনো পণ্য আমদানির কথা ঘোষণা করে, তখন ব্যবসায়ীরা বলে, তারা এ পণ্য কম দামে বিক্রি করতে পারবে। বড় ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের ওপর একধরনের মানসিক নিপীড়ন চালায়। বড় ব্যবসায়ীরা বাজার এমনভাবে সিস্টেম করে রেখেছে, তাদের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীদের পণ্য ক্রয় করা ছাড়া উপায় থাকে না। সরকারকে এই সিস্টেমও ভেঙে দিতে হবে। এ জায়গায় মজুরি কমিশনকেও সক্রিয় করার দরকার আছে। কেউ বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করবে, তাদেরকে এলসি খোলার জন্য সহযোগিতা করতে হবে, তাহলে সিন্ডিকেট থাকবে না। সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য তো প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এখানে কোনোভাবেই পণ্যের দামের প্রতিযোগিতা হয় না। আমাদের দেশে বিশেষ করে কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে এটা হয় না।
এখানে এমন একটা মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণি আছে, তাদের ব্যবসা করার জন্য লাইসেন্স লাগে না এবং ভ্যাটও দিতে হয় না। আবার ব্যবসা করার জন্য তেমন পুঁজিরও দরকার পড়ে না। তারা শুধু মোবাইল দিয়ে যোগাযোগ করে একচেটিয়া ব্যবসা করে যাচ্ছে। এগুলোর ক্ষেত্রেও সরকারের বিশেষ তদারকির দরকার আছে।
ভোক্তা অধিকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কী ধরনের ভূমিকা পালন করছে?
তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কিছু কাজ করছে। যদিও তা যথেষ্ট নয়। কারণ, সব জেলায় তাদের প্রতিনিধি নেই। এভাবে তো বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তারা তো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজগুলো করে থাকে। ক্যাব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রতিষ্ঠানটি দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজার মনিটরিংয়ের সঙ্গে ভোক্তাদের সচেতন করার কাজও করে থাকে।
ক্যাব টাস্কফোর্সের সঙ্গে যুক্ত। যদিও ক্যাবের কোনো নির্বাহী ক্ষমতা নেই। তারা কাউকে জরিমানা করতে পারে না। রাষ্ট্রের যেসব প্রতিষ্ঠানের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আছে, তারা সেসব করতে পারে। আমরা মূলত পণ্যমূল্যের বিষয়ে ভোক্তাদের সচেতন করতে পারি। আবার ভোক্তারা যাতে নিজ থেকে সচেতন থাকেন; যেমন নিজেরা বেশি বেশি পণ্য কিনে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করেন।
প্রতিটি পণ্যবাজারের ব্যবসায়িক সমিতি আছে। আমরা তাদের সঙ্গে বসে একই কাজ করে থাকি। তারাও যেন সচেতন হয়। আমরা সমিতির নেতাদের বলি, আপনারা ব্যবসা করবেন, কিন্তু প্রান্তিক, নিম্ন আয়ের এবং নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করবেন। এভাবে আমরা তাদেরকে নৈতিকতার পরামর্শ দিয়ে থাকি। অল্প লোক নিয়ে আমরা কিন্তু সারা দেশে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। অনেক জায়গায় ক্যাবের কমিটি আছে। সেই কমিটি তাদের সাধ্যমতো স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছে।
দাম বাড়ানোর জন্য কাউকে অভিযুক্ত করে শাস্তির আওতায় আনার কোনো ব্যবস্থা আমাদের দেশে না থাকায় বাজারে স্বেচ্ছাচারিতা স্থায়ী রূপ নিয়েছে। আপনি কী মনে করেন?
এ রকম একটা দাবি আমাদেরও ছিল। যারা ভালো ব্যবসায়ী, তাদের যেমন উৎসাহিত করতে হবে, তেমনি যারা অপরাধী, কারসাজি এবং সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়ায়, তাদের যে সরকার চেনে না, বিষয়টা সে রকম নয়। তাদের শাস্তির আওতায় আনা দরকার। এখন পর্যন্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় একজনকেও আনা হয়নি। তাই আইনের প্রয়োগ করে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আর সবকিছু যে আইন দিয়ে করা যাবে, সেটা মনে করি না। মানুষকে সচেতনও করতে হবে।
তবে এ ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া না হলে সিন্ডিকেট এ অপকর্মগুলো করতেই থাকবে। তাদের সামাজিকভাবে বর্জন করতে হবে। তাদের পরিবারের লোক, আত্মীয়স্বজন জানুক, তারা হলো অসাধু ব্যবসায়ী। অসাধু ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের শাস্তি দেওয়ার কাজটা জরুরি হয়ে পড়েছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী কোনো সমাধান কি আছে?
কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধান হয় না। কখন কোথায় বন্যা, খরা বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবে, সেটা তো অগ্রিম জানার সুযোগ নেই। এটা সরকারসহ কেউ জানতে পারে না। এটা অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটে থাকে। এখন ব্যবসায়ীরা যেমন বলছে, শাকসবজির দাম বেড়েছে বন্যার কারণে। কিন্তু অনেক জেলায় তো বন্যা হয়নি। সেখানে সাপ্লাই চেইনেরও সমস্যা হয়নি। তারপরেও দাম বাড়ানো হয়েছে।
তবে স্থায়ী সমাধানের ক্ষেত্রে সরকার একটা কাজ করতে পারে, আর তা হলো দেশের যেসব জায়গায় বেশি শাকসবজি উৎপাদিত হয়, সেখানে কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ করা। তাহলে মৌসুমের সময়কার উদ্বৃত্ত সবজি মৌসুমহীন সময়ে বিক্রি করা যাবে। এটাতেও পুরোপুরি সমাধান না-ও হতে পারে। তবে যেসব অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ বুঝে পণ্যের দাম বাড়ান, তাদের এসব অপকর্ম ঠেকানোর জন্য সরকারিভাবে পণ্য সংরক্ষণ এবং বাজারজাত করতে হবে। এভাবেই সিন্ডিকেট ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে।
সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আজকের পত্রিকাকে ধন্যবাদ।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া। তিন বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সিন্ডিকেট এবং সমাধান নিয়ে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার মাসুদ রানা।
জিনিসপত্রের দাম এখনো না কমার কারণ কী?
একেবারেই যে কমেনি, সেটা বলার সুযোগ নেই। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুযোগ নিয়েছে ব্যবসায়ীদের একটি শ্রেণি। যারা আসলে সুযোগে অসাধু হয়ে ওঠে। সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীদের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। বিগত সরকারের আমলে তারা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। বিগত সরকার সেই সময় সিন্ডিকেটের কথা স্বীকার করলেও তাদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেনি। বর্তমান সরকার আসার পর চেষ্টা করছে বাজার নিয়ন্ত্রণের। সাধারণ ভোক্তারা যাতে ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে পারে। বর্তমানে বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না এলেও দুই দিন আগে দেখা গেছে, সবজির দাম আগের চেয়ে কমেছে। মুরগির দাম বাড়লেও ডিমের দাম কমেছে। সরকার কিছু পণ্য আমদানি করায় দাম আরও কমে আসবে বলে ক্যাবের পক্ষ থেকে মনে করছি।
ট্রেনের মাধ্যমে কৃষিপণ্য আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে কোনো উপকার হবে কি?
সরকার এটা ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা কিন্তু অনেক আগে থেকে এ কথা বলে আসছি। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেনে কৃষিপণ্য আনা গেলে যাতায়াত খরচ অনেক কমে যাবে। ফলে পণ্যের দামও কমে যাবে।
আমরা জানি, জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির মূল কারণ সিন্ডিকেট। বর্তমান সরকার কেন এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না?
সিন্ডিকেট তো এখনো বাজারে সক্রিয়। দেশে অধিকাংশ পণ্যের জোগানে অভাব নেই। পর্যাপ্ত পণ্য বাজারে আছে। কিন্তু দাম সে তুলনায় কমছে না। এটার মূল কারণ হলো ‘সিন্ডিকেট’। এ জন্য বাজার তদারকির জন্য শুধু খুচরা বাজারে গেলে হবে না, পাইকারি বাজারে যেতে হবে। মানে, যারা পণ্যের দাম বাড়ায়, তাদের কাছে যেতে হবে। কিন্তু ভোক্তা অধিকার বাজারে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করলে পণ্যের দাম কমে যায়। কিন্তু বাজার থেকে চলে গেলে পণ্যের দাম আবার বাড়ানো হয়। এটাও সিন্ডিকেটের কারণে হয়। এই সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য ক্যাবের পক্ষ থেকে পরামর্শ হলো, বাজার তদারকির জন্য ভোক্তা অধিকার ছাড়া কোনো মন্ত্রণালয় সেখানে যায় না। তাই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হচ্ছে না। সিন্ডিকেট ভাঙার ক্ষমতা একমাত্র সরকারের হাতে। ভোক্তা অধিকারের পক্ষে এটা ভাঙা সম্ভব নয়।
সরকার টাস্কফোর্স গঠনের কথা বলেছে। সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই। এতে পণ্যের দাম কমে যেতে পারে। তবে সিন্ডিকেট ভাঙা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো উপায় নেই। কারণ, ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক পণ্যের দাম বাড়ায়। দেখা যায়, কখনো পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়, কখনো ডিম বা ডালের দাম বাড়ানো হয়; কখনো আলু, কখনো মাছসহ নানা ক্ষেত্রে তারা এই অপকর্মগুলো করে থাকে। নানা সময় বিভিন্ন পণ্যের ওপর সিন্ডিকেট থাবা বসায়।
সম্প্রতি কোল্ডস্টোরেজ থেকে লাখ লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়। কোল্ডস্টোরেজে আলু থাকার কথা। কিন্তু সেখানে ডিম পাওয়া গেছে। এই যে ঘটনাগুলো, এসব নিয়ন্ত্রণ করা না
গেলে সিন্ডিকেট ভাঙা অসম্ভব। সিন্ডিকেটের ঘটনা আরেকটা ক্ষেত্রে ঘটে; যেমন কেউ যদি তার পণ্য বিক্রি না করে, সেটাও তো একধরনের সিন্ডিকেট।
আমরা মনে করি, সরকারের হাত অনেক লম্বা। তারা যদি চেষ্টা করে, তাহলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আর সব ব্যবসায়ীর কথা বলতে পারব না। তবে কিছু ব্যবসায়ী এখনো সিন্ডিকেট করে তাদের পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে।
নিত্যপণ্যের বিপণনব্যবস্থায় যে অনিয়ম আছে, সেটাকে সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে কী করা যেতে পারে?
এটা অবশ্যই সম্মিলিতভাবে করতে হবে। যেসব মন্ত্রণালয় এসবের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, তাদের দায়িত্ব নিতে হবে। যেমন কৃষি মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বিপণন অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়—সবাই যদি সমন্বিতভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে, তাহলে বাজার সিন্ডিকেট কার্যকর থাকবে না।
সরকার ডিম আমদানি করছে। তারপরেও কীভাবে বাজার থেকে ডিম উধাও হয়ে যায়? আবার সরকার যখন কোনো পণ্য আমদানির কথা ঘোষণা করে, তখন ব্যবসায়ীরা বলে, তারা এ পণ্য কম দামে বিক্রি করতে পারবে। বড় ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের ওপর একধরনের মানসিক নিপীড়ন চালায়। বড় ব্যবসায়ীরা বাজার এমনভাবে সিস্টেম করে রেখেছে, তাদের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীদের পণ্য ক্রয় করা ছাড়া উপায় থাকে না। সরকারকে এই সিস্টেমও ভেঙে দিতে হবে। এ জায়গায় মজুরি কমিশনকেও সক্রিয় করার দরকার আছে। কেউ বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করবে, তাদেরকে এলসি খোলার জন্য সহযোগিতা করতে হবে, তাহলে সিন্ডিকেট থাকবে না। সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য তো প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এখানে কোনোভাবেই পণ্যের দামের প্রতিযোগিতা হয় না। আমাদের দেশে বিশেষ করে কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে এটা হয় না।
এখানে এমন একটা মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণি আছে, তাদের ব্যবসা করার জন্য লাইসেন্স লাগে না এবং ভ্যাটও দিতে হয় না। আবার ব্যবসা করার জন্য তেমন পুঁজিরও দরকার পড়ে না। তারা শুধু মোবাইল দিয়ে যোগাযোগ করে একচেটিয়া ব্যবসা করে যাচ্ছে। এগুলোর ক্ষেত্রেও সরকারের বিশেষ তদারকির দরকার আছে।
ভোক্তা অধিকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কী ধরনের ভূমিকা পালন করছে?
তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কিছু কাজ করছে। যদিও তা যথেষ্ট নয়। কারণ, সব জেলায় তাদের প্রতিনিধি নেই। এভাবে তো বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তারা তো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজগুলো করে থাকে। ক্যাব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রতিষ্ঠানটি দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজার মনিটরিংয়ের সঙ্গে ভোক্তাদের সচেতন করার কাজও করে থাকে।
ক্যাব টাস্কফোর্সের সঙ্গে যুক্ত। যদিও ক্যাবের কোনো নির্বাহী ক্ষমতা নেই। তারা কাউকে জরিমানা করতে পারে না। রাষ্ট্রের যেসব প্রতিষ্ঠানের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আছে, তারা সেসব করতে পারে। আমরা মূলত পণ্যমূল্যের বিষয়ে ভোক্তাদের সচেতন করতে পারি। আবার ভোক্তারা যাতে নিজ থেকে সচেতন থাকেন; যেমন নিজেরা বেশি বেশি পণ্য কিনে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করেন।
প্রতিটি পণ্যবাজারের ব্যবসায়িক সমিতি আছে। আমরা তাদের সঙ্গে বসে একই কাজ করে থাকি। তারাও যেন সচেতন হয়। আমরা সমিতির নেতাদের বলি, আপনারা ব্যবসা করবেন, কিন্তু প্রান্তিক, নিম্ন আয়ের এবং নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করবেন। এভাবে আমরা তাদেরকে নৈতিকতার পরামর্শ দিয়ে থাকি। অল্প লোক নিয়ে আমরা কিন্তু সারা দেশে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। অনেক জায়গায় ক্যাবের কমিটি আছে। সেই কমিটি তাদের সাধ্যমতো স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছে।
দাম বাড়ানোর জন্য কাউকে অভিযুক্ত করে শাস্তির আওতায় আনার কোনো ব্যবস্থা আমাদের দেশে না থাকায় বাজারে স্বেচ্ছাচারিতা স্থায়ী রূপ নিয়েছে। আপনি কী মনে করেন?
এ রকম একটা দাবি আমাদেরও ছিল। যারা ভালো ব্যবসায়ী, তাদের যেমন উৎসাহিত করতে হবে, তেমনি যারা অপরাধী, কারসাজি এবং সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়ায়, তাদের যে সরকার চেনে না, বিষয়টা সে রকম নয়। তাদের শাস্তির আওতায় আনা দরকার। এখন পর্যন্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় একজনকেও আনা হয়নি। তাই আইনের প্রয়োগ করে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আর সবকিছু যে আইন দিয়ে করা যাবে, সেটা মনে করি না। মানুষকে সচেতনও করতে হবে।
তবে এ ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া না হলে সিন্ডিকেট এ অপকর্মগুলো করতেই থাকবে। তাদের সামাজিকভাবে বর্জন করতে হবে। তাদের পরিবারের লোক, আত্মীয়স্বজন জানুক, তারা হলো অসাধু ব্যবসায়ী। অসাধু ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের শাস্তি দেওয়ার কাজটা জরুরি হয়ে পড়েছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী কোনো সমাধান কি আছে?
কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধান হয় না। কখন কোথায় বন্যা, খরা বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবে, সেটা তো অগ্রিম জানার সুযোগ নেই। এটা সরকারসহ কেউ জানতে পারে না। এটা অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটে থাকে। এখন ব্যবসায়ীরা যেমন বলছে, শাকসবজির দাম বেড়েছে বন্যার কারণে। কিন্তু অনেক জেলায় তো বন্যা হয়নি। সেখানে সাপ্লাই চেইনেরও সমস্যা হয়নি। তারপরেও দাম বাড়ানো হয়েছে।
তবে স্থায়ী সমাধানের ক্ষেত্রে সরকার একটা কাজ করতে পারে, আর তা হলো দেশের যেসব জায়গায় বেশি শাকসবজি উৎপাদিত হয়, সেখানে কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ করা। তাহলে মৌসুমের সময়কার উদ্বৃত্ত সবজি মৌসুমহীন সময়ে বিক্রি করা যাবে। এটাতেও পুরোপুরি সমাধান না-ও হতে পারে। তবে যেসব অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ বুঝে পণ্যের দাম বাড়ান, তাদের এসব অপকর্ম ঠেকানোর জন্য সরকারিভাবে পণ্য সংরক্ষণ এবং বাজারজাত করতে হবে। এভাবেই সিন্ডিকেট ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে।
সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আজকের পত্রিকাকে ধন্যবাদ।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

একেবারেই যে কমেনি, সেটা বলার সুযোগ নেই। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুযোগ নিয়েছে ব্যবসায়ীদের একটি শ্রেণি। যারা আসলে সুযোগে অসাধু হয়ে ওঠে। সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীদের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে।
২৭ অক্টোবর ২০২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

একেবারেই যে কমেনি, সেটা বলার সুযোগ নেই। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুযোগ নিয়েছে ব্যবসায়ীদের একটি শ্রেণি। যারা আসলে সুযোগে অসাধু হয়ে ওঠে। সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীদের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে।
২৭ অক্টোবর ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

একেবারেই যে কমেনি, সেটা বলার সুযোগ নেই। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুযোগ নিয়েছে ব্যবসায়ীদের একটি শ্রেণি। যারা আসলে সুযোগে অসাধু হয়ে ওঠে। সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীদের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে।
২৭ অক্টোবর ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

একেবারেই যে কমেনি, সেটা বলার সুযোগ নেই। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুযোগ নিয়েছে ব্যবসায়ীদের একটি শ্রেণি। যারা আসলে সুযোগে অসাধু হয়ে ওঠে। সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীদের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে।
২৭ অক্টোবর ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫