Ajker Patrika

যে ৭ প্রাচীন স্থাপনা এলিয়েনের তৈরি বলে বিশ্বাস অনেকের

আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯: ২৯
যে ৭ প্রাচীন স্থাপনা এলিয়েনের তৈরি বলে বিশ্বাস অনেকের

পৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল। ফলে অনেকেরই ধারণা, মিশরের পিরামিড, পেরুর নাজকা রেখা, ইংল্যান্ডের স্টোনহেঞ্জ–এর মতো স্থাপনাগুলো নির্মাণের পেছনে হাত রয়েছে বহির্জাগতিক শক্তি বা এলিয়েনের! 

মহাকাশের অন্য কোথাও বুদ্ধিমান প্রাণীর অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনাকে বিজ্ঞানীরা একেবারে উড়িয়ে দেন না। অনেকে মনে করেন, এলিয়েনরা পৃথিবীতে এসেছিল, বা এখনো গোপনে এসে ঘুরে যায়! 

তবে পৃথিবীতে এলিয়েনদের আগমন সম্পর্কে এখনো শক্ত কোনো তথ্য প্রমাণ নেই। এমন প্রেক্ষাপটে প্রাচীনকালে মানুষের হাতে গড়া স্থাপনার অতিপ্রাকৃত ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রাগৈতিহাসিক সভ্যতাগুলোর পৃথিবীর জটিল, রহস্যময় স্থাপনাগুলো নির্মাণে যেসব উপায় অনুসরণ করেছে, সেগুলো এড়িয়ে যাওয়া! 

এমন সাতটি স্থাপনার বর্ণনা এখানে তুলে ধরা হলো, যেসব স্থাপনা নিয়ে মানুষের ধারণা যে, এগুলো এলিয়েনের হাতে তৈরি! 

সাকসেহুয়ামান, প্রাচীন ইনকা সভ্যতার রাজধানী কুস্কোর বাইরে পেরুভিয়ান আন্দিজে অবস্থিত একটি দুর্গ। ছবি: সংগৃহীতসাকসেহুয়ামান (Sacsayhuamán) 
সাকসেহুয়ামান, প্রাচীন ইনকা সভ্যতার রাজধানী কুস্কোর বাইরে পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় অবস্থিত একটি দুর্গ। বিশাল বিশাল পাথর খোদাই করে এবং একত্রে স্তূপ করে জিগ’স পাজলের মতো জোড়া দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই দুর্গ। দুর্গটির এমন নির্মাণশৈলীর কারণে অনেকের ধারণা, বহির্জাগতিক বন্ধু বা এলিয়েনের সহায়তায় প্রাচীন সভ্যতার লোকেরা এটি নির্মাণ করেছে। প্রায় হাজার বছরের পুরোনো অবিচ্ছেদ্য পাথুরে দেয়ালে গড়া এই দুর্গ নির্মাণে ব্যবহৃত প্রতিটি পাথরের আনুমানিক ওজন ৩৬০ টন। দুর্গটি নির্মাণে পাথরগুলোকে প্রায় ২০ মাইলেরও বেশি দূরে থেকে বয়ে আনা হয়েছে। 

এই দুর্গের নির্মাণশৈলী এখনকার মানুষের মধ্যে বিস্ময় জাগালেও এর সমাধান আছে ইনকা সভ্যতার বসতবাড়ি ও নিজেদের সুরক্ষায় দুর্গ নির্মাণের কৌশলের মধ্যেই। প্রকৃতপক্ষে সাকসেহুয়ামান ইনকাদের জটিল নির্মাণশৈলীর একমাত্র উদাহরণ নয়; একই ধরনের গাঁথুনিতে গড়া দেয়াল ইনকা সাম্রাজ্যজুড়েই বিদ্যমান, যার একটি রয়েছে কুস্কোতে। সেখানে একটি ১২ কোণযুক্ত পাথর খুব সতর্কতার সঙ্গে স্থাপন করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এই অঞ্চলে পাথরের খনি থেকে সেটি শহরে পরিবহন করতে ব্যবহার করা দড়ি ও লিভার (উত্তোলক) সমন্বয়ে গড়া একটি কৌশলের খোঁজ পেয়েছেন। যা প্রমাণ করে বহির্জাগতিক কোনো কিছু নয়, মানুষই শক্তি এবং দক্ষতার ওপর নির্ভর করে গড়ে তুলেছিল এই স্থাপনা। 

পেরুর নাজকা রেখা। ছবি: সংগৃহীতপেরুর নাজকা রেখা
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর রাজধানী লিমার প্রায় ২০০ মাইল দক্ষিণ–পূর্বে একটি উচ্চ এবং শুষ্ক মালভূমিতে ৮ শতাধিক দীর্ঘ, সোজা সাদা রেখা এলোমেলোভাবে খোদাই করা। যেন কোনো শিল্পী বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পাথুরে বুকে এঁকে রেখেছে কোনো এক প্রাচীন সংকেত। এসব রেখার মধ্যে ধরা পড়ে মাকড়সা, বানর এবং হামিংবার্ডসহ ৩০০টি জ্যামিতিক আকার এবং আরও ৭০টি প্রাণীর মূর্তি। সবচেয়ে বড় আকারগুলো প্রায় ১ হাজার ২০০ ফুট জুড়ে প্রসারিত এবং আকাশ থেকে সবচেয়ে ভালো দেখা যায়। 

বিজ্ঞানীদের ধারণা, নাজকা রেখাগুলো প্রায় দুই সহস্রাব্দের পুরোনো। রেখাগুলোর বয়স, আকার, ওপর থেকে দৃশ্যময়তা এবং রহস্যময় প্রকৃতির কারণে এগুলোকে প্রায়শই পৃথিবীতে এলিয়েনদের অন্যতম সেরা কাজের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আসলেই কি এটি এলিয়েনের তৈরি না মানুষের? এই প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ। নাজকা রেখাগুলো যে মালভূমিতে অবস্থিত, সেটি আয়রন অক্সাইড পাথরে আবৃত। এর নিচে রয়েছে চুনাপাথর সমৃদ্ধ মাটি। নাজকা লাইন তৈরি হয়েছে এই পাথুরে জমি খুঁড়ে। রেখাগুলো প্রায় চার থেকে ছয় ইঞ্চি গভীর। 

নাজকা রেখাগুলো সম্পর্কে উনিশ শতকের শুরুর দিকে ধারণা ছিল, এসব নকশার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে নক্ষত্রপুঞ্জের সংযুক্তি থাকতে পারে। তবে সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, এই নকশাগুলো পানি ও উর্বরতা সম্পর্কিত ধর্মীয় আচার নির্দেশ করে। পানির সন্ধান পাওয়া যেতে পারে সেরকম স্থানগুলোকে সংযুক্ত করতেই নকশাগুলো আঁকা হয়। প্রাচীন রুক্ষ্ণ, শুষ্ক পেরু অঞ্চলের কথা ভাবলে এ রকম সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আর এই নকশাগুলো কেবল আকাশ থেকেই দেখা যায় তা নয়, বরং আশপাশের বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশ থেকেও দেখা যায়। 

মিশরের পিরামিড। ছবি: সংগৃহীতমিশরের পিরামিড
মিশরের পিরামিড পৃথিবীর বিস্ময়কর স্থাপনাগুলোর একটি। দেশটির রাজধানী কায়রোর ঠিক বাইরে, গিজায়, মিশরের সবচেয়ে বিখ্যাত পিরামিডটি অবস্থিত। সাড়ে ৪ হাজার বছরেরও বেশি আগে নির্মিত, গিজার পিরামিডগুলো মূলত সমাধি, যেখানে রানি এবং ফারাওদের সমাধিস্থ করা হতো। 

কিন্তু কীভাবে মিশরীয়রা এই স্থাপনাগুলো তৈরি করেছিল? পিরামিড লাখ লাখ পাথর কেটে তৈরি, যার প্রতিটির ওজন কমপক্ষে দুই টন। এমনকি আজকের ক্রেন এবং অন্যান্য নির্মাণ সরঞ্জাম দিয়েও ফারাও খুফুর পিরামিডের মতো বড় পিরামিড তৈরি করা কঠিন কাজ। আবার পিরামিডগুলোতে জ্যোতির্বিদ্যাগত আকৃতি–প্রকৃতিও দেখা যায়। 

তাহলে কি মিশরের পিরামিডগুলো এলিয়েনদের নিদর্শন? ঠিক, তা নয়। এটা সত্য যে, প্রাচীন মিসরীয়রা কীভাবে পিরামিডগুলো তৈরি করেছিল এবং এত দ্রুত তা করেছিল, সে সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন। তবে এই সমাধিগুলো যে হাজার হাজার মানুষের হাতে তৈরি সেটির অনেক প্রমাণ আছে। 

স্টোনহেঞ্জ
অনেকগুলো পাথর বিশাল বৃত্তাকারে সাজানো, এর মধ্যে কিছু পাথরের ওজন ৫০ টন পর্যন্ত, স্টোনহেঞ্জ নামের এমন এক স্থাপনা দাঁড়িয়ে আছে ইংল্যান্ডের উইল্টারশায়ারে। সুইস লেখক এরিখ ভন ডেনিকেন স্থাপনাটি সম্পর্কে বলেছেন, এটি সৌরজগতের একটি মডেল যা এলিয়েনদের ল্যান্ডিং প্যাড হিসেবেও কাজ করে! প্রশ্ন জাগে এই বিশাল পাথরগুলোকে কয়েকশ মাইল দূর থেকে এনে কীভাবে এখানে স্থাপন করা হয়েছে? 

স্টোনহেঞ্জ স্থাপনাটি ঠিক কী অর্থ বহন করে তা এখনো পরিষ্কার নয়। স্টোনহেঞ্জের পাথরগুলো নক্ষত্রমণ্ডল এবং সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে এর সঙ্গে এলিয়েনের যে সম্পর্ক নেই সেটি নিশ্চিত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রায় ৫ হাজার বছর আগের এমন একটি স্থাপনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা আসলেই সম্ভব। 

Teotihuacán বা তিওতিহুয়াকান শব্দের অর্থ দেবতাদের শহর। এটি মেক্সিকোর বিস্তৃত প্রাচীন একটি শহর। ছবি: সংগৃহীততিওতিহুয়াকান (Teotihuacán) 
তিওতিহুয়াকান শব্দের অর্থ দেবতাদের শহর। এটি মেক্সিকোর বিস্তৃত প্রাচীন একটি শহর। শহরটি পিরামিড আকৃতির মন্দির এবং জ্যোতির্বিদ্যাগত কনফিগারেশনের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। দুই হাজার বছরেরও বেশি আগে নির্মিত, তিওতিহুয়াকানের বয়স, আকার এবং নির্মাণশৈলীর কারণে এটিকে অনেকেই অন্য জগতের কারও নির্মিত বলে দাবি করে। আসলে এটি মানুষেরই কাজ। 

বিজ্ঞানীদের ধারণা, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, মায়া, জাপোটেক এবং মিক্সটেকসহ বিভিন্ন সভ্যতার মিথস্ক্রিয়ায় এই শহর গড়ে ওঠে। যেখানে ১ লাখেরও বেশি লোক বসবাস করত। তিওতিহুয়াকানে পাওয়া ম্যুরাল, বিভিন্ন সরঞ্জাম, পরিবহন ব্যবস্থা এবং উন্নত কৃষি পদ্ধতির কারণে শহরটিকে প্রাক–আজটেক মেক্সিকোর চেয়ে প্রযুক্তিগতভাবে অনেক বেশি উন্নত বলে মনে করা হয়। 

দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ চিলিতে অবস্থিত ইস্টার আইল্যান্ড আরেকটি স্থাপনা, যেটি ধারণা করা হয় এলিয়েনদের তৈরি। ছবি: সংগৃহীতইস্টার আইল্যান্ড
দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ চিলিতে অবস্থিত ইস্টার আইল্যান্ড আরেকটি স্থাপনা, যেটি ধারণা করা হয় এলিয়েনদের তৈরি। মৃত আগ্নেয়গিরির পাশে পাথর খোদাই করে বানানো প্রায় ৯০০টি মানবাকৃতির মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে। মূর্তিগুলো গড়ে ১৩ ফুট লম্বা ও ১৪ টন ওজনের। এগুলো ছাড়াও ৪০০ টির বেশি মূর্তি নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। 

ধারণা করা হয়, ধর্মীয় কারণে এই অঞ্চলের বাসিন্দারাই এসব ভাস্কর্য বানিয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মদের দোকানে তাণ্ডব, বাথরুমে পাওয়া গেল মাতাল র‍্যাকুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৯
মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল একটি র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত
মদ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল একটি র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র‍্যাকুন!

ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র‍্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র‍্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।

খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র‍্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

পুরো মদের দোকান তছনছ করেছিল বুনো র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত
পুরো মদের দোকান তছনছ করেছিল বুনো র‍্যাকুন। ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।

বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র‍্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র‍্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র‍্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতে প্রায় কোটি টাকার এক হিরা খুঁজে পেলেন ‘শৈশবের দুই বন্ধু’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সতীশ ও সাজিদের পাওয়া এই হিরাটি ১৫.৩৪ ক্যারেটের। ছবি: বিবিসি
সতীশ ও সাজিদের পাওয়া এই হিরাটি ১৫.৩৪ ক্যারেটের। ছবি: বিবিসি

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

সতীশের হাতে খুঁজে পাওয়া হিরাটি, পাশে সাজিদ। ছবি: বিবিসি
সতীশের হাতে খুঁজে পাওয়া হিরাটি, পাশে সাজিদ। ছবি: বিবিসি

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।

২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।

উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।

সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।

হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’

এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লিংকডইনে গার্লফ্রেন্ড চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর যা ঘটল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১২
‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। ছবি: লিংকডইন থেকে নেওয়া।
‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। ছবি: লিংকডইন থেকে নেওয়া।

চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।

টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’

প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’

দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’

লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’

আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’

তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’

একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’

শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অফিসে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ায় চাকরি হারালেন প্রকৌশলী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৯
প্রতীকী ছবি। ছবি: পিক্সাবে
প্রতীকী ছবি। ছবি: পিক্সাবে

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।

হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।

এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।

এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।

আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।

কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।

লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।

বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।

চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত