ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গত সপ্তাহে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই কার্যত ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই সুযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাসহ মন্দির–বসতবাড়ি ভাঙচুরসহ লুটপাটের ঘটনা।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ নামে দুটি সংগঠন দাবি করেছে, শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের ৫২টি জেলায় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার মধ্যেই সাম্প্রদায়িক হামলার নামে এক্সে (সাবেক টুইটার) ক্রমাগত ছড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন ভুল তথ্য সংবলিত দাবি, অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও। এসব অ্যাকাউন্টের মধ্যে ভারতীয়দের দ্বারা পরিচালিত অ্যাকাউন্ট যেমন আছে, তেমনি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশের অ্যাকাউন্টও আছে। এসব দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
দাবি ১: বাংলাদেশি ছোটপর্দার অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী করের বাড়িতে নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর হামলা
‘বাবা বানারাস (Baba Banaras)’ নামে একটি ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে গত শুক্রবার (৯ আগস্ট) বাংলাদেশি ছোটপর্দার অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী করের একটি ছবি টুইট করে দাবি করা হয়, তাঁর বাড়িতে নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী করের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। ঊর্মিলা দাবিটিকে গুজব উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। তাঁর বাড়িতে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।’
দাবি ২: হিন্দুদের ওপর হামলা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
‘বাবা বানারাস (Baba Banaras)’ নামের একই অ্যাকাউন্ট থেকে আজ রোববার ২৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও টুইট করে দাবি করা হয়, জামায়াতে ইসলামীই নয় কেবল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও হিন্দুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। ভিডিওটিতে দাবি করা হয়, হিন্দুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় যেসব হিন্দু প্রতিবাদ জানাচ্ছে, সেসব হিন্দুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, দুই তরুণকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুই সদস্য লাঠিপেটা করছেন। ভিডিওটিতে ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহ আকবার’ স্লোগান দিতে শোনা যাচ্ছে।
ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে ‘Kranchy’ নামের একটি অ্যাকাউন্টে মূল ভিডিওটি পাওয়া যায়। অ্যাকাউন্টটি থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, হিন্দুদের ওপর সেনাবাহিনীর হামলার দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটি চট্টগ্রাম থেকে ধারণ করা। ভিডিওটিতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা যাদের লাঠিপেটা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়ার দাবি করা হয়েছে ভিডিওটিতে। ভিডিওটিতে কোনো ধর্মীয় স্লোগান শোনা যায়নি।
প্রসঙ্গত, ‘বাবা বানারাস (Baba Banaras)’ অ্যাকাউন্টটি থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার দাবিতে ক্রমাগত ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এর আগেও আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ অ্যাকাউন্টটি থেকে একাধিক সাম্প্রদায়িক হামলার দাবিতে প্রচারিত ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে।
দাবি ৩: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার দাবিতে বগুড়ার রথযাত্রার দুর্ঘটনার ভিডিও প্রচার
‘মি. ন্যাশনালিস্ট’ নামের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ১ মিনিটের একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, বর্তমানে বাংলাদেশের হিন্দুদের অবস্থা এটি। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন নারী–পুরুষ সড়কে এবং সড়ক বিভাজকে পড়ে আছেন। কেউ কেউ তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে হিন্দুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার কোনো সম্পর্ক নেই। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের ইউটিউব চ্যানেলে গত ৭ জুলাই হুবহু একই ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওটি বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুতায়িত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু এবং অন্তত ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনার। বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী আমতলী মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দাবি ৪: ছাত্রলীগ নেত্রীর ভিডিও ব্যবহার করে মনগড়া গল্প
‘মি. ন্যাশনালিস্ট’ নামের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে গত শুক্রবার (৯ আগস্ট) ৩১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও টুইট করা হয়। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক তরুণী কান ধরে ওঠবস করছেন এবং আশপাশে অন্য তরুণীরা সেই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ‘এই মেয়ের নাম জ্যোতিকা বসু চ্যাটার্জি। তিনি বাংলাদেশে একটি মানবিক সহায়তা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি হিন্দুদের থেকে প্রাপ্ত সহায়তা দিয়ে মুসলিমদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করেন। তবে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলা শুরু হওয়ার মানুষ সব ভুলে গিয়ে জ্যোতিকাকে কান ধরে ওঠবস করায়। পরে প্রায় ২০ জন তাঁকে উলঙ্গ করে ধর্ষণ করে ধর্মীয় স্লোগান তুলে জীবন্ত পুড়িয়ে দেয়। জ্যোতিকার ভাই এই ঘটনায় ভিডিও বার্তায় ভারত সরকারের সহযোগিতা চান। পরে তাঁকেও আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়।’
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘মি. ন্যাশনালিস্ট’ এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ৩১ সেকেন্ডের ভিডিও টুইট করে যে দাবিটি করা হচ্ছে, সেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ভাইরাল ভিডিওটি গত ১৭ জুলাইয়ের এবং এ ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িক হামলার কোনো সম্পর্ক নেই।
ভিডিওটি সম্পর্কে অনুসন্ধানে একটি বাংলা জাতীয় দৈনিকে গত ২৬ জুলাইয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভিডিওর ঘটনাটি গত ১৭ জুলাইয়ের।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ছাত্রলীগ নেত্রীর নাম সাগরিকা, ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুস্মিতা বাড়ৈ গ্রুপের কর্মী হিসেবে পরিচিত। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রীরা। তিনিও তাঁদের একজন। আরেকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘আজকে ইডেনের শিক্ষার্থীদের জন্য ঈদের দিন’ শিরোনামে একটি ফেসবুক ভিডিও পোস্টে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে কান ধরে ওঠবস করাচ্ছেন।
দাবি ৫: ঈদযাত্রার ভিডিওকে হিন্দুদের বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার বলে দাবি
‘হুদা জান্নাত (Hoda_Jannat)’ নামের একটি ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে আজ রোববার নদীতে কিছু যাত্রীবাহী লঞ্চের ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ইসলামি উগ্রপন্থীদের হামলায় হিন্দুরা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। ভিডিওটি থেকে কিছু কি–ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ‘Gola Bazar Gorakhpur’ নামের একটি ফেসবুক পেজে পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত ৩০ মে পেজটিতে পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে ইংরেজিতে লেখা, ‘ঈদ উপলক্ষে লঞ্চের ছাদে অনেক যাত্রী।’ অর্থাৎ ভাইরাল ভিডিওটি বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই ইন্টারনেটে বিদ্যমান।
দাবি ৬: ভারতে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে মুসলিমদের ওপর হামলা
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের গাজিয়াবাদে বসবাসকারী বেশ কয়েকটি মুসলিম শ্রমিক পরিবারকে অবৈধ বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে মিস্টার সিনহা নামের একটি ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল শনিবার (১০ আগস্ট) একটি ভিডিও টুইট করা হয়। টুইটটিতে দাবি করা হয়, এই বাংলাদেশিরা তাঁদের অস্থায়ী তাঁবুতে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হিন্দুদের ওপর হামলা উদ্যাপন করছিল। ভারতের হিন্দু রক্ষা দল (এইচআরডি) এটি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁদের তাঁবুগুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় কাউকে আঘাত করা হয়নি।
তবে ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এরপর এইচআরডির দুই নেতা ওই এলাকার মুসলমানদের বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। গতকাল শনিবার দেশটির পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিষেক শ্রীবাস্তব নামে এক সহকারী পুলিশ কমিশনারের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এ ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। হামলার শিকাররা মুসলিম পরিবার, কিন্তু তাঁদের কেউই বাংলাদেশের নন।’

বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গত সপ্তাহে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই কার্যত ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই সুযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাসহ মন্দির–বসতবাড়ি ভাঙচুরসহ লুটপাটের ঘটনা।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ নামে দুটি সংগঠন দাবি করেছে, শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের ৫২টি জেলায় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার মধ্যেই সাম্প্রদায়িক হামলার নামে এক্সে (সাবেক টুইটার) ক্রমাগত ছড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন ভুল তথ্য সংবলিত দাবি, অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও। এসব অ্যাকাউন্টের মধ্যে ভারতীয়দের দ্বারা পরিচালিত অ্যাকাউন্ট যেমন আছে, তেমনি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশের অ্যাকাউন্টও আছে। এসব দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
দাবি ১: বাংলাদেশি ছোটপর্দার অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী করের বাড়িতে নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর হামলা
‘বাবা বানারাস (Baba Banaras)’ নামে একটি ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে গত শুক্রবার (৯ আগস্ট) বাংলাদেশি ছোটপর্দার অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী করের একটি ছবি টুইট করে দাবি করা হয়, তাঁর বাড়িতে নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী করের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। ঊর্মিলা দাবিটিকে গুজব উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। তাঁর বাড়িতে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।’
দাবি ২: হিন্দুদের ওপর হামলা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
‘বাবা বানারাস (Baba Banaras)’ নামের একই অ্যাকাউন্ট থেকে আজ রোববার ২৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও টুইট করে দাবি করা হয়, জামায়াতে ইসলামীই নয় কেবল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও হিন্দুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। ভিডিওটিতে দাবি করা হয়, হিন্দুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় যেসব হিন্দু প্রতিবাদ জানাচ্ছে, সেসব হিন্দুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, দুই তরুণকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুই সদস্য লাঠিপেটা করছেন। ভিডিওটিতে ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহ আকবার’ স্লোগান দিতে শোনা যাচ্ছে।
ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে ‘Kranchy’ নামের একটি অ্যাকাউন্টে মূল ভিডিওটি পাওয়া যায়। অ্যাকাউন্টটি থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, হিন্দুদের ওপর সেনাবাহিনীর হামলার দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটি চট্টগ্রাম থেকে ধারণ করা। ভিডিওটিতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা যাদের লাঠিপেটা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়ার দাবি করা হয়েছে ভিডিওটিতে। ভিডিওটিতে কোনো ধর্মীয় স্লোগান শোনা যায়নি।
প্রসঙ্গত, ‘বাবা বানারাস (Baba Banaras)’ অ্যাকাউন্টটি থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার দাবিতে ক্রমাগত ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এর আগেও আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ অ্যাকাউন্টটি থেকে একাধিক সাম্প্রদায়িক হামলার দাবিতে প্রচারিত ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে।
দাবি ৩: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার দাবিতে বগুড়ার রথযাত্রার দুর্ঘটনার ভিডিও প্রচার
‘মি. ন্যাশনালিস্ট’ নামের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ১ মিনিটের একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, বর্তমানে বাংলাদেশের হিন্দুদের অবস্থা এটি। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন নারী–পুরুষ সড়কে এবং সড়ক বিভাজকে পড়ে আছেন। কেউ কেউ তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে হিন্দুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার কোনো সম্পর্ক নেই। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের ইউটিউব চ্যানেলে গত ৭ জুলাই হুবহু একই ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওটি বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুতায়িত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু এবং অন্তত ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনার। বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী আমতলী মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দাবি ৪: ছাত্রলীগ নেত্রীর ভিডিও ব্যবহার করে মনগড়া গল্প
‘মি. ন্যাশনালিস্ট’ নামের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে গত শুক্রবার (৯ আগস্ট) ৩১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও টুইট করা হয়। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক তরুণী কান ধরে ওঠবস করছেন এবং আশপাশে অন্য তরুণীরা সেই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ‘এই মেয়ের নাম জ্যোতিকা বসু চ্যাটার্জি। তিনি বাংলাদেশে একটি মানবিক সহায়তা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি হিন্দুদের থেকে প্রাপ্ত সহায়তা দিয়ে মুসলিমদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করেন। তবে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলা শুরু হওয়ার মানুষ সব ভুলে গিয়ে জ্যোতিকাকে কান ধরে ওঠবস করায়। পরে প্রায় ২০ জন তাঁকে উলঙ্গ করে ধর্ষণ করে ধর্মীয় স্লোগান তুলে জীবন্ত পুড়িয়ে দেয়। জ্যোতিকার ভাই এই ঘটনায় ভিডিও বার্তায় ভারত সরকারের সহযোগিতা চান। পরে তাঁকেও আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়।’
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘মি. ন্যাশনালিস্ট’ এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ৩১ সেকেন্ডের ভিডিও টুইট করে যে দাবিটি করা হচ্ছে, সেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ভাইরাল ভিডিওটি গত ১৭ জুলাইয়ের এবং এ ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িক হামলার কোনো সম্পর্ক নেই।
ভিডিওটি সম্পর্কে অনুসন্ধানে একটি বাংলা জাতীয় দৈনিকে গত ২৬ জুলাইয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভিডিওর ঘটনাটি গত ১৭ জুলাইয়ের।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ছাত্রলীগ নেত্রীর নাম সাগরিকা, ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুস্মিতা বাড়ৈ গ্রুপের কর্মী হিসেবে পরিচিত। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রীরা। তিনিও তাঁদের একজন। আরেকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘আজকে ইডেনের শিক্ষার্থীদের জন্য ঈদের দিন’ শিরোনামে একটি ফেসবুক ভিডিও পোস্টে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে কান ধরে ওঠবস করাচ্ছেন।
দাবি ৫: ঈদযাত্রার ভিডিওকে হিন্দুদের বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার বলে দাবি
‘হুদা জান্নাত (Hoda_Jannat)’ নামের একটি ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে আজ রোববার নদীতে কিছু যাত্রীবাহী লঞ্চের ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ইসলামি উগ্রপন্থীদের হামলায় হিন্দুরা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। ভিডিওটি থেকে কিছু কি–ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ‘Gola Bazar Gorakhpur’ নামের একটি ফেসবুক পেজে পাওয়া যায়। ভিডিওটি গত ৩০ মে পেজটিতে পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে ইংরেজিতে লেখা, ‘ঈদ উপলক্ষে লঞ্চের ছাদে অনেক যাত্রী।’ অর্থাৎ ভাইরাল ভিডিওটি বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই ইন্টারনেটে বিদ্যমান।
দাবি ৬: ভারতে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে মুসলিমদের ওপর হামলা
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের গাজিয়াবাদে বসবাসকারী বেশ কয়েকটি মুসলিম শ্রমিক পরিবারকে অবৈধ বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে মিস্টার সিনহা নামের একটি ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল শনিবার (১০ আগস্ট) একটি ভিডিও টুইট করা হয়। টুইটটিতে দাবি করা হয়, এই বাংলাদেশিরা তাঁদের অস্থায়ী তাঁবুতে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হিন্দুদের ওপর হামলা উদ্যাপন করছিল। ভারতের হিন্দু রক্ষা দল (এইচআরডি) এটি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁদের তাঁবুগুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় কাউকে আঘাত করা হয়নি।
তবে ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এরপর এইচআরডির দুই নেতা ওই এলাকার মুসলমানদের বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। গতকাল শনিবার দেশটির পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিষেক শ্রীবাস্তব নামে এক সহকারী পুলিশ কমিশনারের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এ ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। হামলার শিকাররা মুসলিম পরিবার, কিন্তু তাঁদের কেউই বাংলাদেশের নন।’

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গত সপ্তাহে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই কার্যত ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই সুযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাসহ মন্দির–বসতবাড়ি ভাঙচুরস
১১ আগস্ট ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গত সপ্তাহে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই কার্যত ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই সুযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাসহ মন্দির–বসতবাড়ি ভাঙচুরস
১১ আগস্ট ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গত সপ্তাহে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই কার্যত ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই সুযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাসহ মন্দির–বসতবাড়ি ভাঙচুরস
১১ আগস্ট ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গত সপ্তাহে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই কার্যত ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই সুযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাসহ মন্দির–বসতবাড়ি ভাঙচুরস
১১ আগস্ট ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫