Ajker Patrika

‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’ থেকে ৪টি শিক্ষা

আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৪, ১২: ০৫
‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’ থেকে ৪টি শিক্ষা

জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’ বিখ্যাত একটি সামাজিক উপন্যাস। ১৯৪০ সালে প্রকাশিত এ বই পড়ে ৪টি শিক্ষা পাওয়া যায়। যা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা জীবনে সফল হতে পারে। বইটি পড়ে শিক্ষাগুলো লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

স্বপ্ন দেখো
স্বপ্ন মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন। স্বপ্ন দেখার কোনো বয়স নেই। আদর্শ হিন্দু হোটেল উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হাজারি ঠাকুর ৪৬ বছর বয়সী একজন রসুয়ে বামুনে তথা একজন রাঁধুনি। তিনি রানাঘাট স্টেশনের পাশে বেচু চক্কত্তির হোটেলে মাত্র ৭ টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করেন। অর্থবিত্তহীন এই মধ্যবয়সী মানুষটার দুই চোখ ভরা স্বপ্ন। তার স্বপ্ন, একদিন তার নিজের হোটেল হবে। হোটেলের বাইরে লেখা থাকবে ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’। ৬ বছর ধরে বেচু চক্কত্তির হোটেলে কাজ করেন। কিন্তু বেতন তার এক পয়সাও বাড়ে না। তবুও হাজারি ঠাকুর প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখেন তার নিজের হোটেল হবে। নানা রকম বাধাবিঘ্ন, সংকট, শত অপমান পেরিয়ে একদিন তার স্বপ্ন সত্যি হয়। ওই রানাঘাটের স্টেশনের পাশেই আদর্শ হিন্দু হোটেল নামে নিজের হোটেল হয়। তারপর রেল স্টেশনের মধ্যে উন্নত মানের আরেকটি হোটেল হয়। বোম্বে থেকে বড় একটি কোম্পানির লোক এসে হাজারি ঠাকুরকে তাদের হোটেলগুলোর রান্না দেখাশোনা করার জন্য দেড় শ টাকা মাইনেতে চাকরি দেয়; সঙ্গে একজন চাকর ও ফ্রি কোয়ার্টার এবং পরবর্তীকালে কোম্পানির অংশীদার করে দেওয়ার অফার দেয়। হাজারি ঠাকুরের জীবন বদলে যায়। ‘বোম্বাই! সে বোম্বাই যাইতেছে! দেড়শো টাকা মাহিনায়! বিশ্বাস হয় না। সব যেন স্বপ্নের মত ঘটিয়া গেল। টাকার জন্য নয়। টাকা এখানে সে মাসে দেড়শো টাকার বেশি ছাড়া কম রোজগার করে না। কিন্তু মানুষের জীবনে টাকাটাই কি সব? পাঁচটা দেশ দেখিয়া বেড়ানো, পাঁচজনের কাছে মান-খাতির পাওয়া, নূতনতর জীবনযাত্রার আস্বাদ—এসবই তো আসল।’

সৎ থাকো
সততা যে মানুষকে অনেক বড় করে তোলে, তার অন্যতম উদাহরণ আদর্শ হিন্দু হোটেলের হাজারি ঠাকুর। হাজারি ঠাকুর জীবনে অনেক অর্থকষ্টে থাকলেও তিনি কখনো অসৎ হননি। রানাঘাটের স্টেশনের পাশে বেচু চক্কত্তির হোটেলে কাজ করার সময় তার সহকর্মী পদ্ম ঝি হোটেল থেকে বিভিন্ন জিনিস চুরি করত, খদ্দেরকে ঠকাত। সেসব দেখে রসুয়ে-বামুন হাজারি ঠাকুর স্বপ্ন দেখত, একটি হোটেল দেবে; ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’। যেখানে কোনো খদ্দেরকে ঠকানো হবে না। সেই হোটেলের খাবার হবে সতেজ-সুস্বাদু-পুষ্টিকর। তা ছাড়া হাজারি ঠাকুরের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল বিধর্মা মেয়ে কুসুম, অতসি, নতুন পাড়ের গোয়ালা বাড়ির বউয়ের। কিন্তু তাদের সঙ্গে কখনো অনৈতিক সম্পর্ক করেননি। বরং তাদের নিজের মেয়ের মতো ভালোবেসেছে। তাদের কাছে হাজারি ঠাকুর এতটাই বিশ্বস্ত হয়েছিল যে তারা গোপনে হাজারি ঠাকুরকে টাকা দিয়েছিল, হোটেল দেওয়ার জন্য। সততার কারণে হাজারি ঠাকুর অবশেষে সফল হন। তার স্বপ্নের চেয়েও অনেক বেশি সফল হন। 

বিনয়ী হও
বিনয়ী হতে জানা মস্ত বড় একটা আর্ট। হাজারি ঠাকুর যখন হোটেলের কর্মচারী ছিলেন, তখনো যেমন বিনয়ী ছিলেন, পরে হোটেলের মালিক হওয়ার পরও তিনি তেমনি বিনয়ী ছিলেন। সফলতা তার মধ্যে অহংকারের জন্ম দেয়নি। হোটেলের মালিক বেচু চক্কত্তি হাজারি ঠাকুরকে চুরির অপবাদ দিয়ে জেল খাটালেন, হোটেলের চাকরি থেকে বের করে দিলেন। পদ্ম ঝি সব সময় অপমান, খারাপ ব্যবহার করলেন, নিজে চুরি করে হাজারি ঠাকুরকে অপবাদ দিয়ে জেল খাটালেন। এদের শত অপমান, বঞ্চনা সহ্য করার পরও হাজারি ঠাকুর যখন সফল হলেন, তখনো তাদের সঙ্গে আগের মতো বিনয়ী ব্যবহার করলেন। এমনকি বেচু চক্কত্তি ও পদ্ম ঝি দুজনেই হাজারি ঠাকুরের হোটেলে চাকরি নিল, সেদিনও হাজারি ঠাকুর আগের মতই বিনয় দেখিয়ে তাদের সঙ্গে ব্যবহার করল। ‘হাজারি বিনীতভাবে বলিল—বাবু একটা কথা বলতে এলাম। বাবু আপনি আমার অন্নদাতা ছিলেন একসময়েও, আজও আপনাকে তাই বলেই ভাবি। আপনার এখানে কাজ না শিখলে আজ আমি পেটের ভাত করে খেতে পারতাম না। আপনি ব্রাহ্মণ, আমার মনিব। আমাকে এভাবে বিপদে না ফেলে যদি বলেন—হাজারি তুই হোটেল উঠিয়ে দাও, তাই আমি দেবো। আপনি হুকুম করুন।’

কর্মঠ হও
হাজারি ঠাকুর ছিলেন অত্যন্ত কর্মঠ একজন ব্যক্তি। তার পারদর্শিতার জায়গা হলো রান্না। তিনি সেই রান্না করেই এক সময় সফল হন। তিনি যখন হোটেলের কর্মচারী ছিলেন, তখনো তিনি কাজে বিন্দুমাত্র ফাঁকি দিতেন না। অন্যরা ফাঁকি দিলেও তিনি আপন মনে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজগুলো করে যেতেন। ফলে তার রান্নার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। অনেক দূরদূরান্ত থেকে তার রান্না খাওয়ার জন্য হোটেলে মানুষ আসত। যারা রান্না খেত সকলেই প্রশংসা করত। শুধু প্রশংসা করত না হোটেলের মালিক বেচু চক্কত্তি ও সহকর্মী পদ্ম ঝি। তার মাইনেও বাড়াত না। তবু তিনি আপন মনে কাজ করে যেতেন। আর এই কর্মঠ হওয়ার ফলেই একদিন তিনি তার স্বপ্নের চেয়েও বড় জায়গায় পৌঁছে যান। সততা, পরিশ্রম, বিনয়, স্বপ্ন যার মধ্যে আছে, সে যে একদিন তার স্বপ্নের সমান বড় হতে পারে, তার অনন্য দৃষ্টান্ত আদর্শ হিন্দু হোটেল উপন্যাসের হাজারি ঠাকুর। এটি একটি সামাজিক উপন্যাসের বই হলেও এটি যেন এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৬২ জনের চাকরি

চাকরি ডেস্ক 
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৬২ জনের চাকরি

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৬ ক্যাটাগরির শূন্য পদে মোট ৬২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৪ ডিসেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পদের নাম ও সংখ্যা: সহকারী লাইব্রেরিয়ান, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, ১৭টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা থাকতে হবে এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় সর্বনিম্ন ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দের গতি থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, ৩টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ এবং ইংরেজিতে ২০ শব্দের গতি থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: ওয়ার্ড মাস্টার, ৪টি।

যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং কম্পিউটার চালনার দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: টেলিফোন অপারেটর, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: অফিস সহায়ক, ৩৬ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ৩২ বছর।

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।

আবেদন ফি: ১ থেকে ৫ নম্বর ক্রমিকের জন্য আবেদন ফি বাবদ ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা । ৬ নম্বর ক্রমিকের জন্য ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা।

আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫; বিকেল ৫টা।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২০ কর্মী নেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০তম গ্রেডে বেতন

চাকরি ডেস্ক 
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩ ক্যাটাগরির শূন্য পদে মোট ২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১০ ডিসেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ১১ ডিসেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম ও সংখ্যা: নিরাপত্তাপ্রহরী, ৭টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কমপক্ষে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট থাকতে হবে।

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)।

পদের নাম ও সংখ্যা: মালি, ৩টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)।

পদের নাম ও সংখ্যা: পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ১০টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)।

আবেদন ফি: আবেদন ফি বাবদ ১০০ টাকা অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (রকেট) মাধ্যমে পেমেন্ট করে পেমেন্ট স্লিপ আবেদনপত্রের একটির সঙ্গে সংযুক্ত করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদিসহ ৩ সেট আবেদনপত্র নির্ধারিত ঠিকানায় পাঠাতে হবে।

আবেদনের পদ্ধতি: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং নিয়মাবলি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। অনলাইন আবেদন ছাড়া কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।

আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: ‘অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা’।

আবেদনের শেষ সময়: ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫; বিকেল ৫টা।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ৪৮৩

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জনবল নিয়োগের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব খাতভুক্ত ১ ক্যাটাগরির শূন্য পদে ৪৮৩ জনের নিয়োগের বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ৩ ডিসেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পদের নাম ও সংখ্যা: ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট (ডিএফএ), ৪৮৩টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে অন্যূন এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। সরকারি ভেটেরিনারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বা লাইভস্টক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এক বছরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে।

বয়সসীমা: সব প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ নভেম্বর পর্যন্ত বয়সসীমা ১৮-৩২ বছর হতে হবে। বয়স প্রমাণের জন্য এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।

ডিক্লারেশন: প্রার্থীকে অনলাইন আবেদনপত্রের ডিক্লারেশন অংশে এই মর্মে ঘোষণা করতে হবে যে প্রার্থী কর্তৃক আবেদনপত্রের প্রদত্ত সব তথ্য সঠিক ও সত্য। প্রদত্ত তথ্য অসত্য বা মিথ্যা প্রমাণিত হলে অথবা কোনো অযোগ্যতা ধরা পড়লে কিংবা কোনো প্রতারণা বা দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করলে কিংবা পরীক্ষায় নকল বা অসদুপায় অবলম্বন করলে, পরীক্ষার পূর্বে বা পরে অথবা নিয়োগের পরে যেকোনো পর্যায়ে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

আবেদনের অযোগ্যতা: বাংলাদেশের নাগরিক না হন, বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হন অথবা বাংলাদেশের ডমিসাইল না হন; এরূপ কোনো ব্যক্তিকে বিয়ে করেন অথবা বিয়ে করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন যিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন; ফৌজদারি আদালত কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত অভিযোগে দণ্ডিত হন; তবে তিনি আবেদন করার জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন না।

মৌখিক পরীক্ষার সময় যেসব কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে: অনলাইন আবেদনপত্রের হার্ড কপি, সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, সব শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনাপত্তিপত্র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদ ও জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদর্শন করতে হবে। এসব কাগজপত্রের মূল কপি প্রদর্শনপূর্বক প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মাধ্যমে সব সনদের সত্যায়িত ছায়ালিপি দাখিল করতে হবে।

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ—উভয় প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবে।

বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

আবেদন পদ্ধতি: প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র দাখিলের নিয়মাবলি ও শর্তাবলি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের মেনুতে ‘অনলাইন নিয়োগ’ অপশনে অথবা ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬; বিকেল ৫টা।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আকিজ ফুডে চাকরির সুযোগ, ২১ বছরেই করা যাবে আবেদন

চাকরি ডেস্ক 
আকিজ ফুডে চাকরির সুযোগ, ২১ বছরেই করা যাবে আবেদন

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার’ পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৭ ডিসেম্বর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

পদের নাম: সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, (পিপিএস প্ল্যান্ট)।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ডিপ্লোমা (মেকানিক্যাল/ইলেক্ট্রিক্যাল)।

অভিজ্ঞতা: ১-৩ বছর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

চাকরির ধরন: ফুলটাইম।

প্রার্থীর ধরন: শুধু পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা: ২১-২৮ বছর।

কর্মস্থল: ঢাকা (ধামরাই)।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

সুযোগ–সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বেতন ছাড়াও আরও সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত