Ajker Patrika

রাজধানীতে ‘ব্লক রেইড’: টার্গেট শিক্ষার্থী ও বিরোধীরা

শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৪, ১৫: ১৩
রাজধানীতে ‘ব্লক রেইড’: টার্গেট শিক্ষার্থী ও বিরোধীরা

রাত ১১টা। আকাশে হেলিকপ্টারে টহল। সাইরেন বাজিয়ে হঠাৎ মহল্লার চারপাশ ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। হ্যান্ডমাইকে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাবে।

কেউ বাসা থেকে বের হবেন না।’ ঘোষণা শেষ হতেই সড়কের বাতি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। বাসায় ঢুকেই পুলিশের প্রশ্ন—আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে সহিংসতা চালিয়েছে, এমন কেউ বাসায় আছেন কি না। এরপর প্রশ্ন চলে একের পর এক, সঙ্গে চালানো হয় ঘরের প্রতিটি কোনায় তল্লাশি। জবাবের হেরফের হলেই গ্রেপ্তার।

রাজধানীর শাহীনবাগ এলাকায় গত বৃহস্পতিবার পুলিশের ‘ব্লক রেইড’-এর সময় তৈরি হওয়া এমন ভীতিকর পরিস্থিতি তুলে ধরেন মুদিদোকানি হাফিজুর ইসলাম। তাঁর দাবি, সে রাতে এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

অভিযানসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকায় যাঁরা সহিংসতা চালিয়েছেন এবং তাঁদের যাঁরা মদদ দিয়েছেন, তাঁদের ধরতেই এই অভিযান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এলাকা ভাগ করে সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়। পরে তাঁদের যাচাই-বাছাই করে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। সূত্র আরও জানায়, গত কয়েক দিনে রাজধানীর উত্তরা, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, ঢাকার বসুন্ধরা, রামপুরা, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, মহাখালী, শাহীনবাগ ও মগবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব এলাকা থেকে হাজারখানেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সন্দেহভাজনদের কিসের ভিত্তিতে আটক করা হচ্ছে, সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুটি অংশে অভিযান চালায় পুলিশ। একাংশ অভিযান চালায় বিএনপি-জামায়াত ও তাঁদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর নেতা-কর্মীদের ধরতে। অন্য অংশের পুলিশ কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়।

ব্লক রেইডের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলন ঘিরে যাঁরা সহিংসতা চালিয়েছেন, তাঁদের ধরতে অভিযান চলছে। যত দিন পর্যন্ত জড়িতদের 
আইনের আওতায় না আনা যাবে, তত দিন অভিযান চলবে।’

কোন এলাকা আর কী কী বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে অভিযান চালানো হচ্ছে, জানতে চাইলে পুলিশের এই পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, দু-তিন দিন বিরতি দিয়ে এলাকা ধরে ধরে কিছু কৌশল নিয়ে আগানো হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন সব অপরাধীকে ধরা যাবে, অন্যদিকে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানির শিকার হতে হবে না।

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে সহিংসতা, হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাঁচ দিন ধরে অচল করে রাখা হয় রামপুরা, বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী, কদমতলী এলাকা। সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয় সরকারি স্থাপনায়। কয়েক দিনের এই সংঘর্ষে সারা দেশে নিহত হয় দুই শতাধিক মানুষ। দেশব্যাপী এমন পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আনার পর গত রোববার রাত থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ছবি এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে নাশকতাকারীদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারে ব্লক রেইড চলছে।

গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশ এক বার্তায় জানিয়েছে, ঢাকায় সহিংসতার ঘটনায় ২০৭টি মামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৫৩৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আটককৃতদের অনেককে পুরোনো মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। তবে সারা দেশ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ দিনে (১৭-২৭ জুলাই) সারা দেশে মোট গ্রেপ্তার ৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

সর্বশেষ গত শুক্রবার উত্তরা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। অপূর্ব হাসান নামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এক শিক্ষার্থী জানান, তাঁরা কয়েকজন বন্ধু মেস করে বেশ কয়েক মাস ধরে একসঙ্গে থাকেন। সে রাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য হঠাৎ কড়া নেড়ে বাসায় প্রবেশ করেন। পরিচয়পত্র দেখার পর আন্দোলনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চান। পাশাপাশি শরীরে কোনো ক্ষতস্থান আছে কি না, তা দেখতে চান। যাওয়ার সময় নেটের লাইন কেটে দিয়ে চলে যান।

রাইড শেয়ারিং পেশায় নিয়োজিত বনশ্রীর এক বাসিন্দা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১টায় তাঁর বাসায় রেইড দেওয়া হয়। পুলিশের কয়েকজন সদস্য বাসার বাইরে রাস্তায় অবস্থান নেন। আর কয়েকজন তাঁদের বাসায় প্রবেশ করেন। তাঁদের কাছে থাকা তালিকার সঙ্গে নাম-ঠিকানা মিলিয়ে নেন। আগামী কয়েক দিন ঢাকার বাইরে থাকা আত্মীয়দের বাসায় আনতে নিরুৎসাহিত করে তাঁরা চলে যান।

এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ব্লক রেইড নামে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। দলটির অভিযোগ, গতকাল যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের বাসায় তল্লাশি করে তাঁকে না পেয়ে তাঁর ভায়রা, শ্যালক ও শ্যালকের ছেলেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফকে তাঁর বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। তল্লাশি করা হয়েছে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও ইউট্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের বাসায়।

‘ব্লক রেইড’ দিয়ে গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিরোধী দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি এখন কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরও ব্লক রেইড দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আইডি কার্ড দেখামাত্রই গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে।

আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, সহিংসতাকে কেন্দ্র করে চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। এরই মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত