Ajker Patrika

আ.লীগ নেতা বাবুল হত্যা: পৌর মেয়রের সম্পৃক্ততা তদন্তে স্থানীয় সরকার বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৪, ১৩: ০৬
আ.লীগ নেতা বাবুল হত্যা: পৌর মেয়রের সম্পৃক্ততা তদন্তে স্থানীয় সরকার বিভাগ

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে (৫০) পৌর মেয়র আক্কাস আলী কুপিয়েছেন কি না, তার তদন্ত করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে (ডিসি) ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

গত ২২ জুন সংঘর্ষের পর একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলী আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন।’ এই সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকারের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান এক চিঠিতে ২৭ জুন বিষয়টি তদন্তের জন্য চিঠি ইস্যু করেন। চিঠিতে জেলা প্রশাসককে সরেজমিন তদন্ত করে মতামতসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

এ চিঠি ইস্যুর আগের দিন ২৬ জুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল মারা যান। পরদিন জানাজার নামাজে বাবুলের লাশ সামনে রেখে স্থানীয় এমপি শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘খুনি আক্কাস (পৌর মেয়র), খুনি মেরাজ (পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম) আর তাঁদের পেছনে থেকে মদদদাতা এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটির মেয়র) এবং আসাদুজ্জামান আসাদ (রাজশাহী-৩ আসনের এমপি)’। শাহরিয়ার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দেন।

শাহরিয়ার আলমের এই বক্তব্যের পর রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়ায়। খুনের ঘটনা বাদ দিয়ে আলোচনা ঘুরে যায় আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন্দলের দিকে। তবে বাবুলের লাশ নিয়ে রাজনীতি চায় না তাঁর পরিবার। এসব দলাদলির কারণে বাবুলের প্রকৃত খুনিরা আড়ালে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

নিহত বাবুলের স্ত্রী জরিনা বেগম বেবী বলেন, ‘লিটন ভাই ও আসাদ ভাইয়ের সঙ্গে কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব ছিল না। একসময় আমার স্বামী তাঁদের সঙ্গেই রাজনীতি করতেন। সবার সঙ্গেই আমাদের ভালো সম্পর্ক ছিল। তাঁদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ ছিল না। আমরা লাশ নিয়ে রাজনীতি চাই না। প্রকৃত খুনির বিচার চাই।’

নিহত বাবুলের ছেলে আশিক জাবেদ বলেন, ‘লিটন-আসাদ ইস্যুতে এখন আলোচনা ভিন্নদিকে মোড় নিয়েছে। তাতে প্রকৃত খুনিরা আড়ালে চলে যেতে পারেন। আমরা এই বর্বর হত্যার বিচার চাই।’

বাবুলের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করেন উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু। এজাহারে বলা হয়, ১ নম্বর আসামি মেয়র আক্কাস আলী এবং ২ নম্বর আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল তাঁদের হাতে থাকা চায়নিজ কুড়াল দিয়ে আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে কুপিয়েছেন।

নিহত বাবুলের স্ত্রী জরিনা খাতুন বলেন, আহত হওয়ার পরদিন হাসপাতালে বাবুলের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছিল। তখন তিনি হামলাকারীর সম্পর্কে জানতে স্বামীকে প্রশ্ন করেছিলেন। বাবুল তাঁকে জানিয়েছিলেন, হামলাকারীকে তিনি চেনেন না। তবে চেহারা দেখলে চিনতে পারবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়র আক্কাস আলী ঘটনার দিন বাবুলকে কুপিয়েছিলেন কি না, তা তদন্ত করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ আমাকে চিঠি দিয়েছে। আমি এটি আমার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আশরাফুল ইসলামকে দিয়ে তদন্ত করাচ্ছি। তিনি তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে তিনি প্রতিবেদন দিলে ঢাকায় পাঠানো হবে।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের পর থেকে স্থানীয় এমপি শাহরিয়ার আলম বাঘা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির কমিটি দিয়ে আসছিলেন। এই সমিতি জমি রেজিস্ট্রির সময় ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আসছিল। মেয়র আক্কাস আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু, ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম ও তাঁদের অনুসারী দলিল লেখকেরা এর প্রতিবাদ করে আসছিলেন। প্রশাসনের বিভিন্ন সভায় তাঁরা বিষয়টি তুলেছেন। অতিরিক্ত টাকা তোলা বন্ধে তাঁরা লিখিত আবেদনও করেছেন।

গত ৯ জুন স্থানীয় এমপি শাহরিয়ার আলম দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হিসেবে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শাহিনুর রহমান পিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শামিউল আলম নয়নের নাম লিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠান।

পরদিন পিন্টু ও নয়ন দায়িত্ব নিতে গেলে দলিল লেখকদের একাংশের বিরোধিতার মুখে পড়েন। সেদিন দলিল লেখকদের সংঘর্ষে দুপক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে মেয়র আক্কাসের অনুসারী দলিল লেখকেরা ২০ জুন মানববন্ধন করেন। মেয়র আক্কাস, উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন ও ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজ সেখানে বক্তব্য দেন।

পরে ২২ জুন দলিল লেখক সমিতির দৌরাত্ম্য বন্ধের দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দেন। পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে একই দিন মেয়র আক্কাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মানববন্ধনের ডাক দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির দিন দুপক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন বাবুল। চার দিন পর তিনি মারা যান। বাবুল মেয়র আক্কাসের বিরুদ্ধে আয়োজন করা মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন। ওই সংঘর্ষে দুপক্ষের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় দুপক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামায়াত নেতাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আহত জামায়াত নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত জামায়াত নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে আপেল মাহমুদ (৩৫) নামের এক জামায়াত নেতাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পলাশবাড়ী পৌরসভার গোয়ালপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত জামায়াত নেতা পৌরসভার বাড়াইপাড়ার বাসিন্দা। তিনি পলাশবাড়ী পৌর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বায়তুলমাল সম্পাদক।

অভিযুক্ত হাসান মিয়া একই পৌরসভার গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রশান্ত কুমার আজ শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আপেল মাহমুদ শুক্রবার রাতে পলাশবাড়ী থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। গোয়ালপাড়া এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ হাসান মিয়া চায়নিজ কুড়াল হাতে নিয়ে আপেল মাহমুদের ওপর হামলা করেন। চায়নিজ কুড়াল দিয়ে আপেল মাহমুদের বাঁ হাতে আঘাত করেন। এ সময় আপেল মাহমুদ চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হাসান মিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় আপেল মাহমুদকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানার ওসি প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আজ দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে আমরা খোঁজখবর রাখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইসলাম বিজয়ী হলে মানবতা প্রতিষ্ঠিত হবে: ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে খায়রুল হাসান

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান আলোচক গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান আলোচক গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ওলামা মাশায়েখ পরিষদের উদ্যোগে ‘ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজ মাঠে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আলেম-ওলামাদের অংশগ্রহণে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন, দেশ-জাতির সংকটকালে আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সম্মেলনে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। তিনি বলেন, ‘ইসলাম নিছক কোনো পূজা-পার্বণের সমষ্টি নয়; এটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইতিহাসে যখনই ইসলামি অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, মানুষের অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে। বর্তমান অস্থিরতা থেকে উত্তরণের পথ রাসুল (সা.)-এর দেখানো পথ।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসলাম বিজয়ী হলে মানবতা প্রতিষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রে ইনসাফ কায়েম করতে ইসলামের আদর্শে সবাইকে এক হতে হবে।’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কালীগঞ্জ উপজেলা ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা যাকারিয়া হোসাইন বিন কবির। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তা’মিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিদ মাওলানা যাইনুল আবেদীন। তিনি বলেন, ‘আলেমরা নবীদের উত্তরসূরি। দুঃসময়ে জাতিকে দিশা দিতে আলেমদেরই সামনে আসতে হবে। বিভেদ ভুলে ঐক্যের ভিত্তিতে দ্বীনের খেদমত করতে হবে।’

বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান আলোচক গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান আলোচক গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাওলানা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মাওলানা শিহাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমির আফতাবউদ্দিন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ছাইদুল হক, গাজীপুর জেলা নায়েবে আমির মাওলানা সেফাউল হক, ড. মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা জাকারিয়া, মাওলানা ফেরদৌস খান সালেহী এবং মাওলানা এস এম আব্দুল হান্নান বেলালী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম কালীগঞ্জের সভাপতি খুরশীদ আলম, উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা রুহুল আমিন গাজীপুরি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র সভাপতি আবু হানিফসহ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতিব এবং রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতারা।

ইসলামি সংগীত পরিবেশন করে দর্শকদের মুগ্ধ করে কালীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ। মোনাজাতের মাধ্যমে সম্মেলন শেষ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বহিষ্কারের নির্দেশ ডিজির

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান ও ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনার সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে এক চিকিৎসকের বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মনকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাগ্‌বিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

শনিবার সকালে শিশুদের মূত্রাশয় ও প্রজননতন্ত্র-সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসাবিষয়ক চলমান চিকিৎসার সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে একটি সেমিনারে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রধান অতিথি হিসেবে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর। সেমিনারে অংশগ্রহণের আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সেবার মান, জরুরি বিভাগ পরিচালনা, রোগী ব্যবস্থাপনা ও স্টাফদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ সময় ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন তাঁর বিভাগের সীমাবদ্ধতা, জনবল-সংকট এবং দায়িত্ব পালনের চাপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে ডিজি ও তাঁর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে ডা. ধনদেব বর্মনকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন খান বলেন, ‘পরিদর্শনে সেবার মান নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্যার এবং ডা. ধনদেব বর্মনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে, যা মোটেও কাম্য নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ৮ দলের সমাবেশ শুরু

সিলেট প্রতিনিধি
সমাবেশ সফল করতে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমাবেশ সফল করতে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ৮ দলের সমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জড়ো হতে দেখা গেছে ৮ দলের নেতা-কর্মীদের। বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে তাঁরা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে আসছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোট, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ পাঁচ দাবি ও গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয় নিশ্চিতে সিলেটে ইসলামী ও সমমনা ৮ দলের বিভাগীয় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শনিবার দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ শুরু হয়ে আসরের আগে সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশ সফল করতে ৮ দলের পক্ষ থেকে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সমাবেশে ৮ দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক চাঁন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত