
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পাহাড়ি এলাকায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণের সময় আছড়ে পড়ে হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনা অনেকের কাছেই ধাক্কা হিসেবে এসেছে। কারণ প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার, তার পাইলট এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী ক্রুদের দেশসেরা হওয়ার কথা। তাই দেশের প্রেসিডেন্ট নিখোঁজ হবেন বা দুর্ঘটনায় পড়বেন—এটা কিছুটা অপ্রত্যাশিতই বটে।
তারপরও দুর্ঘটনায় জীবন হারিয়েছেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা। কেন তাঁদের বাহন বিধ্বস্ত হয়েছিল তা নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্বও রয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হেলিকপ্টার এবং বিমান দুর্ঘটনার কারণ এর যান্ত্রিক ত্রুটি, পাইলটের ভুল বা প্রতিকূল আবহাওয়া।
ইব্রাহিম রাইসি এখন ঢুকে পড়েছেন বিশ্বের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তালিকায়, যাঁদের মৃত্যু ঘটেছে রহস্যজনক দুর্ঘটনায়।
জাতিসংঘ মহাসচিব দ্যাগ হ্যামারশোল্ড
১৯৬১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ডিসি-৬ মডেলের যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব ও সুইডিশ কূটনীতিক দ্যাগ হ্যামারশোল্ড নিহত হন। ট্রান্সএয়ার সুইডেনের বিমানটি তখন জাতিসংঘের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
জাম্বিয়ায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। নিহত হন ১৬ জন। হ্যামারশোল্ড তখন কঙ্গোর যুদ্ধ সম্পর্কে স্পর্শকাতর আলোচনা চালাচ্ছিলেন। কঙ্গোর প্রদেশ কাতাঙ্গায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।
দুর্ঘটনার ব্যাপারে তদন্তে বিমানটির কোনো যন্ত্রাংশের ত্রুটির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়েছিল যে খুব নিচু দিয়ে ওড়ার কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। তা সত্ত্বেও, দুর্ঘটনাটি বেশ কিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্ম দিয়েছিল—যার প্রায় প্রতিটিতেই বলার চেষ্টা করা হয়েছে যে জাতিসংঘের প্রধানকে হত্যা করা হয়েছিল।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লিন বিয়াও
১৯৭১ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লিন বিয়াও একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। কমিউনিস্ট পার্টির উত্থান এবং চীনে জাপানি ও জাতীয়তাবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় একজন প্রখ্যাত কমান্ডার ছিলেন লিন বিয়াও।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন লিন বিয়াওয়ের মৃত্যু সম্পর্কে বলেছিল, লিন তাঁর সকল সামরিক কর্মকাণ্ডে জয়লাভ করলেও অন্য ধরনের একটি যুদ্ধ তাঁকে পরাজিত করেছিল। আর সেটা হলো কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক যুদ্ধ।
লিন ১৯৭১ সালে নিখোঁজ হন। চীনা সরকার তখন বলেছিল যে চেয়ারম্যান মাওকে হত্যার ব্যাপারে লিনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পরে মঙ্গোলিয়ায় একটি বিমান দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
ফ্লাইটের সময় কী ঘটেছিল এবং কীভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল তা এখনো জানা যায়নি। হকার সিডেলি এইচএস-১২১ ট্রাইডেন্ট নামের লিনকে বহনকারী বিমানটি মঙ্গোলিয়ায় বিধ্বস্ত হয়।
পানামার প্রেসিডেন্ট ওমর তরিজোস
পানামার প্রেসিডেন্ট ওমর তরিজোস ১৯৮১ সালের ৩১ জুলাই পানামার পেনোনোমের কাছে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন।
তিনি পানামা এয়ারফোর্সের ডি হ্যাভিল্যান্ড কানাডার ডিএইচসি-৬ টুইন অটারে যাচ্ছিলেন। তাঁর বিমান নিখোঁজ হওয়ার খবর দিতে এক দিন এবং দুর্ঘটনাস্থল খুঁজে পেতে বেশ কয়েক দিন লেগেছিল।
তরিজোস যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তির কাজ করছিলেন। পানামা খালের ওপর পানামাকে নিয়ন্ত্রণ দেওয়া সম্পর্কিত সেই চুক্তিকে তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বলা হয়।
অনেক বছর পর, পানামার একনায়ক ম্যানুয়েল নরিগার একজন অ্যাটর্নি জোর দিয়ে বলেছিলেন যে নরিয়েগার কাছে এমন তথ্য রয়েছে যা তরিজোসকে হত্যার ষড়যন্ত্রকে দেখায়। তবে সেই ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ মেলেনি।
মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট সামোরা ম্যাচেল
মোজাম্বিকের রাষ্ট্রপতি সামোরা ম্যাচেল ১৯৮৬ সালের ১৯ অক্টোবর বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। তিনি একটি সোভিয়েত তুপোলেভ টু-১৩৪ জেটলাইনারে ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় ৩৪ জন মারা গেলেও ১০ জন বেঁচে যান।
নিহতদের মধ্যে ম্যাচেলের সরকারের সিনিয়র সদস্যরাও ছিলেন। একটি তদন্তে দেখা গেছে, কম উচ্চতায় উড়ে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা উপেক্ষা করেছিলেন বিমানের ক্রুরা।
সে সময় অবশ্য কিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দুর্ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার জড়িত থাকার দিকে ইঙ্গিত করেছিল। ফ্লাইটটি মোজাম্বিক থেকে জাম্বিয়ার দিকে যাওয়ার কথা থাকলেও এটি দক্ষিণ আফ্রিকায় বিধ্বস্ত হয়েছিল বলে ডালপালা মেলে এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব।
দুর্ঘটনার তদন্তকারী আন্তর্জাতিক কমিশনের নেতৃত্বে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সেসিল মার্গো দুর্ঘটনার পর বলেছেন, ‘তারা কোথায় ছিল তা না জানলে নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি ক্ষমার অযোগ্য।’
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক ১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। বিমানটি বাহাওয়ালপুরে বিধ্বস্ত হয়। এটি ইসলামাবাদ পর্যন্ত ৬০০ কিলোমিটার উড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। বিমানটিতে পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্নল্ড রাফেল ছাড়াও পাকিস্তানে মার্কিন সামরিক মিশনের প্রধান এবং পাকিস্তানের সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তারা ছিলেন। বিমানটি ছিল একটি সি-১৩০। যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার সময় জিয়ার মৃত্যু ঘটে।
আফগানিস্তানে সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় ঘটে এ দুর্ঘটনা। কোনো বিমান দুর্ঘটনায় একসঙ্গে এতজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিহত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে হয়েছে অনেক চর্চা। ইসলামপন্থী চরমপন্থীদের সমর্থন এবং পাকিস্তানের রূপান্তরের জন্য দায়ী জিয়া ছিলেন একজন অতি ডানপন্থী রাজনীতিবিদ।
দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট জন গ্যারাং ডি মাবিওর
সুদানের নেতা জন গ্যারাং ডি মাবিওর ২০০৫ সালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন। নৃশংস শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দক্ষিণ সুদানের সংগ্রামের সময় সুদান পিপলস লিবারেশন আর্মির নেতৃত্ব দেন তিনি। বাহিনীটি এখন দক্ষিণ সুদান পিপলস ডিফেন্স ফোর্স নামে পরিচিত।
তিনি উগান্ডার রাষ্ট্রপতির এমআই-১৭২ হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করছিলেন। উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইউওয়েরি মুসেভেনির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি দক্ষিণ সুদানে ফিরছিলেন।
তিনি কোথায় যাচ্ছেন তা কাউকে জানাননি বলে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার অনুসন্ধানে অতিরিক্ত সময় লেগেছিল এবং কী কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে সে সম্পর্কে ছড়িয়েছিল গুজব। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ সুদানের পাহাড়ি অঞ্চলে খারাপ আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছিল বলেই জানান হয়। গ্যারাংয়ের সঙ্গে থাকা ছয়জনের সঙ্গে উগান্ডার সাতজন ক্রুও তখন নিহত হন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পাহাড়ি এলাকায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণের সময় আছড়ে পড়ে হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনা অনেকের কাছেই ধাক্কা হিসেবে এসেছে। কারণ প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার, তার পাইলট এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী ক্রুদের দেশসেরা হওয়ার কথা। তাই দেশের প্রেসিডেন্ট নিখোঁজ হবেন বা দুর্ঘটনায় পড়বেন—এটা কিছুটা অপ্রত্যাশিতই বটে।
তারপরও দুর্ঘটনায় জীবন হারিয়েছেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা। কেন তাঁদের বাহন বিধ্বস্ত হয়েছিল তা নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্বও রয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হেলিকপ্টার এবং বিমান দুর্ঘটনার কারণ এর যান্ত্রিক ত্রুটি, পাইলটের ভুল বা প্রতিকূল আবহাওয়া।
ইব্রাহিম রাইসি এখন ঢুকে পড়েছেন বিশ্বের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তালিকায়, যাঁদের মৃত্যু ঘটেছে রহস্যজনক দুর্ঘটনায়।
জাতিসংঘ মহাসচিব দ্যাগ হ্যামারশোল্ড
১৯৬১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ডিসি-৬ মডেলের যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনায় জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব ও সুইডিশ কূটনীতিক দ্যাগ হ্যামারশোল্ড নিহত হন। ট্রান্সএয়ার সুইডেনের বিমানটি তখন জাতিসংঘের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
জাম্বিয়ায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। নিহত হন ১৬ জন। হ্যামারশোল্ড তখন কঙ্গোর যুদ্ধ সম্পর্কে স্পর্শকাতর আলোচনা চালাচ্ছিলেন। কঙ্গোর প্রদেশ কাতাঙ্গায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।
দুর্ঘটনার ব্যাপারে তদন্তে বিমানটির কোনো যন্ত্রাংশের ত্রুটির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয়েছিল যে খুব নিচু দিয়ে ওড়ার কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। তা সত্ত্বেও, দুর্ঘটনাটি বেশ কিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্ম দিয়েছিল—যার প্রায় প্রতিটিতেই বলার চেষ্টা করা হয়েছে যে জাতিসংঘের প্রধানকে হত্যা করা হয়েছিল।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লিন বিয়াও
১৯৭১ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লিন বিয়াও একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। কমিউনিস্ট পার্টির উত্থান এবং চীনে জাপানি ও জাতীয়তাবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় একজন প্রখ্যাত কমান্ডার ছিলেন লিন বিয়াও।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন লিন বিয়াওয়ের মৃত্যু সম্পর্কে বলেছিল, লিন তাঁর সকল সামরিক কর্মকাণ্ডে জয়লাভ করলেও অন্য ধরনের একটি যুদ্ধ তাঁকে পরাজিত করেছিল। আর সেটা হলো কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক যুদ্ধ।
লিন ১৯৭১ সালে নিখোঁজ হন। চীনা সরকার তখন বলেছিল যে চেয়ারম্যান মাওকে হত্যার ব্যাপারে লিনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পরে মঙ্গোলিয়ায় একটি বিমান দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
ফ্লাইটের সময় কী ঘটেছিল এবং কীভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল তা এখনো জানা যায়নি। হকার সিডেলি এইচএস-১২১ ট্রাইডেন্ট নামের লিনকে বহনকারী বিমানটি মঙ্গোলিয়ায় বিধ্বস্ত হয়।
পানামার প্রেসিডেন্ট ওমর তরিজোস
পানামার প্রেসিডেন্ট ওমর তরিজোস ১৯৮১ সালের ৩১ জুলাই পানামার পেনোনোমের কাছে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন।
তিনি পানামা এয়ারফোর্সের ডি হ্যাভিল্যান্ড কানাডার ডিএইচসি-৬ টুইন অটারে যাচ্ছিলেন। তাঁর বিমান নিখোঁজ হওয়ার খবর দিতে এক দিন এবং দুর্ঘটনাস্থল খুঁজে পেতে বেশ কয়েক দিন লেগেছিল।
তরিজোস যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তির কাজ করছিলেন। পানামা খালের ওপর পানামাকে নিয়ন্ত্রণ দেওয়া সম্পর্কিত সেই চুক্তিকে তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বলা হয়।
অনেক বছর পর, পানামার একনায়ক ম্যানুয়েল নরিগার একজন অ্যাটর্নি জোর দিয়ে বলেছিলেন যে নরিয়েগার কাছে এমন তথ্য রয়েছে যা তরিজোসকে হত্যার ষড়যন্ত্রকে দেখায়। তবে সেই ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ মেলেনি।
মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট সামোরা ম্যাচেল
মোজাম্বিকের রাষ্ট্রপতি সামোরা ম্যাচেল ১৯৮৬ সালের ১৯ অক্টোবর বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। তিনি একটি সোভিয়েত তুপোলেভ টু-১৩৪ জেটলাইনারে ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় ৩৪ জন মারা গেলেও ১০ জন বেঁচে যান।
নিহতদের মধ্যে ম্যাচেলের সরকারের সিনিয়র সদস্যরাও ছিলেন। একটি তদন্তে দেখা গেছে, কম উচ্চতায় উড়ে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা উপেক্ষা করেছিলেন বিমানের ক্রুরা।
সে সময় অবশ্য কিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দুর্ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার জড়িত থাকার দিকে ইঙ্গিত করেছিল। ফ্লাইটটি মোজাম্বিক থেকে জাম্বিয়ার দিকে যাওয়ার কথা থাকলেও এটি দক্ষিণ আফ্রিকায় বিধ্বস্ত হয়েছিল বলে ডালপালা মেলে এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব।
দুর্ঘটনার তদন্তকারী আন্তর্জাতিক কমিশনের নেতৃত্বে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সেসিল মার্গো দুর্ঘটনার পর বলেছেন, ‘তারা কোথায় ছিল তা না জানলে নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি ক্ষমার অযোগ্য।’
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক ১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। বিমানটি বাহাওয়ালপুরে বিধ্বস্ত হয়। এটি ইসলামাবাদ পর্যন্ত ৬০০ কিলোমিটার উড়ে যাওয়ার কথা ছিল।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। বিমানটিতে পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্নল্ড রাফেল ছাড়াও পাকিস্তানে মার্কিন সামরিক মিশনের প্রধান এবং পাকিস্তানের সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তারা ছিলেন। বিমানটি ছিল একটি সি-১৩০। যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার সময় জিয়ার মৃত্যু ঘটে।
আফগানিস্তানে সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় ঘটে এ দুর্ঘটনা। কোনো বিমান দুর্ঘটনায় একসঙ্গে এতজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিহত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে হয়েছে অনেক চর্চা। ইসলামপন্থী চরমপন্থীদের সমর্থন এবং পাকিস্তানের রূপান্তরের জন্য দায়ী জিয়া ছিলেন একজন অতি ডানপন্থী রাজনীতিবিদ।
দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট জন গ্যারাং ডি মাবিওর
সুদানের নেতা জন গ্যারাং ডি মাবিওর ২০০৫ সালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন। নৃশংস শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দক্ষিণ সুদানের সংগ্রামের সময় সুদান পিপলস লিবারেশন আর্মির নেতৃত্ব দেন তিনি। বাহিনীটি এখন দক্ষিণ সুদান পিপলস ডিফেন্স ফোর্স নামে পরিচিত।
তিনি উগান্ডার রাষ্ট্রপতির এমআই-১৭২ হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করছিলেন। উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইউওয়েরি মুসেভেনির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি দক্ষিণ সুদানে ফিরছিলেন।
তিনি কোথায় যাচ্ছেন তা কাউকে জানাননি বলে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার অনুসন্ধানে অতিরিক্ত সময় লেগেছিল এবং কী কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে সে সম্পর্কে ছড়িয়েছিল গুজব। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ সুদানের পাহাড়ি অঞ্চলে খারাপ আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছিল বলেই জানান হয়। গ্যারাংয়ের সঙ্গে থাকা ছয়জনের সঙ্গে উগান্ডার সাতজন ক্রুও তখন নিহত হন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৩ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার, তার পাইলট এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী ক্রুদের দেশসেরা হওয়ার কথা। তাই দেশের প্রেসিডেন্ট নিখোঁজ হবেন বা দুর্ঘটনায় পড়বেন—এটা কিছুটা অপ্রত্যাশিতই বটে। তারপরও দুর্ঘটনায় জীবন হারিয়েছেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা। কেন তাদের বাহন বিধ্বস্ত হয়েছিল তা নিয়ে
২০ মে ২০২৪
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৩ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার, তার পাইলট এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী ক্রুদের দেশসেরা হওয়ার কথা। তাই দেশের প্রেসিডেন্ট নিখোঁজ হবেন বা দুর্ঘটনায় পড়বেন—এটা কিছুটা অপ্রত্যাশিতই বটে। তারপরও দুর্ঘটনায় জীবন হারিয়েছেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা। কেন তাদের বাহন বিধ্বস্ত হয়েছিল তা নিয়ে
২০ মে ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৩ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার, তার পাইলট এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী ক্রুদের দেশসেরা হওয়ার কথা। তাই দেশের প্রেসিডেন্ট নিখোঁজ হবেন বা দুর্ঘটনায় পড়বেন—এটা কিছুটা অপ্রত্যাশিতই বটে। তারপরও দুর্ঘটনায় জীবন হারিয়েছেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা। কেন তাদের বাহন বিধ্বস্ত হয়েছিল তা নিয়ে
২০ মে ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১২ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার, তার পাইলট এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী ক্রুদের দেশসেরা হওয়ার কথা। তাই দেশের প্রেসিডেন্ট নিখোঁজ হবেন বা দুর্ঘটনায় পড়বেন—এটা কিছুটা অপ্রত্যাশিতই বটে। তারপরও দুর্ঘটনায় জীবন হারিয়েছেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা। কেন তাদের বাহন বিধ্বস্ত হয়েছিল তা নিয়ে
২০ মে ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১২ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৩ ঘণ্টা আগে