Ajker Patrika

রামেক হাসপাতাল: অডিটরদের খুশি করতে ওয়ার্ড ইনচার্জদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ

রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০: ২৮
রামেক হাসপাতাল: অডিটরদের খুশি করতে ওয়ার্ড ইনচার্জদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ

অডিটরদের খুশি করতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডের ইনচার্জদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হয়েছে। মাথাপিছু এই চাঁদার পরিমাণ ১ হাজার ২০০ টাকা। গত শনি থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত চাঁদা তোলা হয়।

গত রোববার (২১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তা হাসপাতালটিতে নিরীক্ষায় এসেছিলেন। গতকাল তাঁরা ফিরে গেছেন। 

অডিটরদের খুশি করার নামে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে চাঁদা তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এফ এম শামীম আহম্মদ আজ বুধবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, দাপ্তরিক কাজে তিনি সচিবালয়ে গেছেন। অভিযোগটি হয় সত্য, না হয় মিথ্যা। কারা এই কাজ করেছেন, তিনি তা তদন্ত করে দেখবেন। প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রামেক হাসপাতালে রোগীদের মোট ৫৭টি ওয়ার্ড। কয়েকজন ওয়ার্ড ইনচার্জ আজকের পত্রিকার কাছে স্বীকার করেছেন, তাঁরা চাঁদা দিয়েছেন। তবে তাঁরা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

ওয়ার্ড ইনচার্জরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক সুফিয়া খাতুন ও নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কামরুন্নাহার পান্নার মাধ্যমে এই চাঁদা তুলেছেন। এই টাকা আসলেই অডিটরদের দেওয়া হয়েছে নাকি, ওই তিন কর্মকর্তা আত্মসাৎ করেছেন তা তাঁরা জানেন না। 

নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন ওয়ার্ড ইনচার্জ ও নার্সদের ফোনকল করে চাঁদা দিতে বলছেন, এমন একাধিক অডিও রেকর্ড পাওয়া গেছে। এতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘অডিটররা কিছু চাচ্ছে।’ এই টাকা যেন দ্রুত নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনে পৌঁছে দেওয়া হয়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত রোববার তিনজন নিরীক্ষক হাসপাতালে আসার পরই সেবা তত্ত্বাবধায়ক সুফিয়া খাতুন ও নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন চাঁদা তোলার ছক কষেন। তাঁরা প্রতিটি ওয়ার্ডের ইনচার্জের কাছ থেকে টাকা তোলার জন্য নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কামরুন্নাহার পান্নাকে নির্দেশনা দেন। 

এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার কামরুন্নাহার পান্না ওয়ার্ড ইনচার্জদের ডেকে সভা করেন। সেখানে তিনি মাথাপিছু ১ হাজার ২০০ টাকা করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। 

অ্যাসোসিয়েশনে মো. তারেক নামে এক ব্রাদারকে (নার্স) টাকা আদায়কারী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তারেক গত শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে বসে টাকা আদায় করেন। 

কত টাকা আদায় হয়েছে, এমন প্রশ্নে আজ বুধবার তারেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টাকার হিসাব আমার কাছে নাই। এটা পান্না ম্যাডাম বলতে পারবেন।’ 

যোগাযোগ করা হলে কামরুন্নাহার পান্না বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি কথা বলতে চাচ্ছি না।’ কথা বলতে তিনি তাঁর কার্যালয়ে যেতে বলেন। 

ওয়ার্ড ইনচার্জরা জানিয়েছেন, প্রতিবছরই ওয়ার্ডে বিতরণ করা ওষুধ, স্যালাইনসহ অন্যান্য দ্রব্যের হিসাব নিতে অডিট হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই হিসাবের স্টক লেজার খাতা অডিট হয়নি। মূলত এই লেজার খাতা অডিট করানোর কথা বলেই চাঁদা তোলা হয়। এ জন্য সেবা তত্ত্বাবধায়ক সুফিয়া খাতুন তাঁর সহকারী জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে স্টক লেজার খাতা জমা দিতে বলেন। 

ইনচার্জরা তাঁর কাছে খাতা জমাও দেন। কিন্তু আজ খাতা হাতে নিয়ে দেখেন তা নিরীক্ষিত হয়নি। ইনচার্জরা জানতে চান, কিসের অডিট হলো? তখন জান্নাতুল ফেরদৌস হিসাব শাখার নিরীক্ষিত একটি কাগজ দেন। এতে স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা ও হিসাব কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের স্বাক্ষর রয়েছে। 

ইনচার্জরা জানান, অডিটররা মূলত হাসপাতালের হিসাব শাখার ধোলাই বিল, যাতায়াত বিল ও যন্ত্রপাতি মেরামত খরচের অডিট করেছেন। এই ব্যয়ের সঙ্গে ওয়ার্ড ইনচার্জদের ওষুধপত্রের হিসাবের কোনো সম্পর্ক নেই। এরপরও নিরীক্ষা দলকে দেখিয়ে ইনচার্জদের কাছ থেকেও চাঁদা তুলেছেন সেবা তত্ত্বাবধায়ক সুফিয়া খাতুন, নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন ও নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কামরুন্নাহার পান্না। 

এ টাকা অডিটরদের দেওয়া হয়েছে নাকি এ তিন কর্মকর্তা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। 

জানতে চাইলে নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিবছর অডিটের সময়ই এভাবে টাকা তোলা হয়।’ এর বেশি তিনি কথা বলতে চাননি।

কথা বলার জন্য সেবা তত্ত্বাবধায়ক সুফিয়া খাতুনের ফোনে কয়েক দফা কল করা হলেও ধরেননি। এসএমএসের মাধ্যমে বক্তব্য জানতে চাইলেও তিনি সাড়া দেননি। ফোনকল ধরেননি সুফিয়া খাতুনের সহকারী জান্নাতুল ফেরদৌসও।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা ও হিসাব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অডিটে গিয়ে আমরা কোনো টাকা-পয়সা নিইনি। এ বিষয়ে কিছু জানি না। এটা হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ যাচাই–বাছাই করে ব্যবস্থা নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাঠে পড়ে ছিল মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।

নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।

থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।

ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত