নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সেশনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায়। নিয়ম অনুযায়ী রাতে ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। তবে সারা রাত আইনজীবীদের মধ্যে দফায় দফায় হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হন। পরে ভোট গণনা না করেই সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান। আর ব্যালট রয়েছে পুলিশ হেফাজতে।
ভোট গণনার বিষয়ে কথা বলতে দফায় দফায় ফোন করলেও পাওয়া যায়নি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানকে। তবে কমিটির সদস্য ইকবাল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো ভোট গণনা করিনি।’
সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো ফেসবুকের কথা। ব্যালট এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। রাতে বহিরাগতরা মিলনায়তনে প্রবেশ করে ঝামেলা করেছে।’
আওয়ামী সমর্থক প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনের পর ভোট গণনার জন্য সবাই অপেক্ষায় ছিলাম। এরই মধ্যে আমাদের কাছে খবর আসে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করেছে। তখন আমরা বললাম, যে পরিবেশ তাতে ভোট গণনা করা সম্ভব না। ওই সময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আইনজীবীদের মেরে একজনকে ঘোষণা দিতে বলেছে। পরে চাপের মুখে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।’
ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই দিন ভোট গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ব্যালট বাক্স খোলা হয়। ওই ব্যালট গণনার জন্য বাছাইও করা হয় কয়েক ঘণ্টা ধরে। ওই সময় বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও স্বতন্ত্র সম্পাদক পদপ্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও অর্ধশত আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। তবে উপস্থিত ছিলেন না সভাপতি পদ প্রার্থী এম কে রহমান, আবু সাঈদ সাগর, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক।
বাছাইতে দেখা যায়, সদস্য পদে ভোট গ্রহণের চেয়ে কিছু ব্যালট বেশি রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও নাহিদ সুলতানা যুথী। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে ১৫০টি ব্যালট বেশি থাকার কথা বলা হয়। পরে তাঁরা ভোট গণনা করতে তাগাদা দেন পরিচালনা কমিটিকে। একপর্যায়ে শুরু হয় গণনা। সে সময় সহসভাপতি প্রার্থী দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন সেতু ও রমজান আলী শিকদার এবং সহসম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লবসহ কয়েকজন ভোট গণনা করতে নিষেধ করেন।
তাঁরা বলেন, যেহেতু সব প্রার্থী এবং তাঁদের এজেন্ট উপস্থিত নেই, তাই এখনই গণনা করা যাবে না। কিছুক্ষণ পর অন্যান্য প্রার্থী বারের মিলনায়তনে আসেন। এ সময় সম্পাদক প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক দিনের আলোতে ভোট গণনা করতে অনুরোধ করেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা আলোচনা করে আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ব্যালট গণনা শুরু করা হবে বলে জানান। ওই অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নাহিদ সুলতানা যুথী ও রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ তাঁদের সমর্থকেরা ব্যালট গণনার দাবিতে অনড় থাকেন। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আইনজীবীদের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশ আসার পর অন্য প্রার্থীরা মিলনায়তন থেকে বের হয়ে যান।
পরে যুথীর সমর্থকেরা চাপ দিলে একপর্যায়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান আবুল খায়ের সম্পাদক পদে নাহিদ সুলতানা যুথীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। নাহিদ সুলতানা আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের ব্যালট বুঝিয়ে দিয়ে মিলনায়তন ত্যাগ করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ব্যালট বাক্স হেফাজতে নেয় পুলিশ।
জানতে চাইলে বিএনপি সমর্থক প্যানেলের সম্পাদক পদ প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলাম। গণনা শুরুর কিছুক্ষণ পর দেখলাম শাহ মঞ্জুরুল হকদের আপত্তির মুখে গণনা বন্ধ করল। খানিকক্ষণ পর দেখলাম সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করল। পরে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও ব্যালট খুঁজে পাইনি।’ ভোট গণনা না করেই একজনকে সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
সংঘর্ষে আহত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ) বলেন, ‘অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন মাসুদ দরজা খুলে দিলে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মিলনায়তনে প্রবেশ করে। নাহিদা সুলতানা যুথী আগেই আমার ছবি সন্ত্রাসীদের কাছে দিয়ে রেখেছিল মেরে ফেলার জন্য। তাঁর নির্দেশেই আমার ওপর হামলা হয়েছে।’ এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান তিনি।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ফোনকল করা হলে রিসিভ করেননি নাহিদা সুলতানা যুথী।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সেশনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায়। নিয়ম অনুযায়ী রাতে ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। তবে সারা রাত আইনজীবীদের মধ্যে দফায় দফায় হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হন। পরে ভোট গণনা না করেই সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান। আর ব্যালট রয়েছে পুলিশ হেফাজতে।
ভোট গণনার বিষয়ে কথা বলতে দফায় দফায় ফোন করলেও পাওয়া যায়নি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানকে। তবে কমিটির সদস্য ইকবাল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো ভোট গণনা করিনি।’
সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো ফেসবুকের কথা। ব্যালট এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। রাতে বহিরাগতরা মিলনায়তনে প্রবেশ করে ঝামেলা করেছে।’
আওয়ামী সমর্থক প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনের পর ভোট গণনার জন্য সবাই অপেক্ষায় ছিলাম। এরই মধ্যে আমাদের কাছে খবর আসে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করেছে। তখন আমরা বললাম, যে পরিবেশ তাতে ভোট গণনা করা সম্ভব না। ওই সময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আইনজীবীদের মেরে একজনকে ঘোষণা দিতে বলেছে। পরে চাপের মুখে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।’
ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই দিন ভোট গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ব্যালট বাক্স খোলা হয়। ওই ব্যালট গণনার জন্য বাছাইও করা হয় কয়েক ঘণ্টা ধরে। ওই সময় বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও স্বতন্ত্র সম্পাদক পদপ্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও অর্ধশত আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। তবে উপস্থিত ছিলেন না সভাপতি পদ প্রার্থী এম কে রহমান, আবু সাঈদ সাগর, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক।
বাছাইতে দেখা যায়, সদস্য পদে ভোট গ্রহণের চেয়ে কিছু ব্যালট বেশি রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও নাহিদ সুলতানা যুথী। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে ১৫০টি ব্যালট বেশি থাকার কথা বলা হয়। পরে তাঁরা ভোট গণনা করতে তাগাদা দেন পরিচালনা কমিটিকে। একপর্যায়ে শুরু হয় গণনা। সে সময় সহসভাপতি প্রার্থী দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন সেতু ও রমজান আলী শিকদার এবং সহসম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লবসহ কয়েকজন ভোট গণনা করতে নিষেধ করেন।
তাঁরা বলেন, যেহেতু সব প্রার্থী এবং তাঁদের এজেন্ট উপস্থিত নেই, তাই এখনই গণনা করা যাবে না। কিছুক্ষণ পর অন্যান্য প্রার্থী বারের মিলনায়তনে আসেন। এ সময় সম্পাদক প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক দিনের আলোতে ভোট গণনা করতে অনুরোধ করেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা আলোচনা করে আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ব্যালট গণনা শুরু করা হবে বলে জানান। ওই অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নাহিদ সুলতানা যুথী ও রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ তাঁদের সমর্থকেরা ব্যালট গণনার দাবিতে অনড় থাকেন। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আইনজীবীদের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশ আসার পর অন্য প্রার্থীরা মিলনায়তন থেকে বের হয়ে যান।
পরে যুথীর সমর্থকেরা চাপ দিলে একপর্যায়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান আবুল খায়ের সম্পাদক পদে নাহিদ সুলতানা যুথীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। নাহিদ সুলতানা আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের ব্যালট বুঝিয়ে দিয়ে মিলনায়তন ত্যাগ করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ব্যালট বাক্স হেফাজতে নেয় পুলিশ।
জানতে চাইলে বিএনপি সমর্থক প্যানেলের সম্পাদক পদ প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলাম। গণনা শুরুর কিছুক্ষণ পর দেখলাম শাহ মঞ্জুরুল হকদের আপত্তির মুখে গণনা বন্ধ করল। খানিকক্ষণ পর দেখলাম সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করল। পরে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও ব্যালট খুঁজে পাইনি।’ ভোট গণনা না করেই একজনকে সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
সংঘর্ষে আহত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ) বলেন, ‘অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন মাসুদ দরজা খুলে দিলে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মিলনায়তনে প্রবেশ করে। নাহিদা সুলতানা যুথী আগেই আমার ছবি সন্ত্রাসীদের কাছে দিয়ে রেখেছিল মেরে ফেলার জন্য। তাঁর নির্দেশেই আমার ওপর হামলা হয়েছে।’ এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান তিনি।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ফোনকল করা হলে রিসিভ করেননি নাহিদা সুলতানা যুথী।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সেশনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায়। নিয়ম অনুযায়ী রাতে ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। তবে সারা রাত আইনজীবীদের মধ্যে দফায় দফায় হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হন। পরে ভোট গণনা না করেই সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান। আর ব্যালট রয়েছে পুলিশ হেফাজতে।
ভোট গণনার বিষয়ে কথা বলতে দফায় দফায় ফোন করলেও পাওয়া যায়নি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানকে। তবে কমিটির সদস্য ইকবাল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো ভোট গণনা করিনি।’
সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো ফেসবুকের কথা। ব্যালট এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। রাতে বহিরাগতরা মিলনায়তনে প্রবেশ করে ঝামেলা করেছে।’
আওয়ামী সমর্থক প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনের পর ভোট গণনার জন্য সবাই অপেক্ষায় ছিলাম। এরই মধ্যে আমাদের কাছে খবর আসে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করেছে। তখন আমরা বললাম, যে পরিবেশ তাতে ভোট গণনা করা সম্ভব না। ওই সময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আইনজীবীদের মেরে একজনকে ঘোষণা দিতে বলেছে। পরে চাপের মুখে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।’
ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই দিন ভোট গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ব্যালট বাক্স খোলা হয়। ওই ব্যালট গণনার জন্য বাছাইও করা হয় কয়েক ঘণ্টা ধরে। ওই সময় বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও স্বতন্ত্র সম্পাদক পদপ্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও অর্ধশত আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। তবে উপস্থিত ছিলেন না সভাপতি পদ প্রার্থী এম কে রহমান, আবু সাঈদ সাগর, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক।
বাছাইতে দেখা যায়, সদস্য পদে ভোট গ্রহণের চেয়ে কিছু ব্যালট বেশি রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও নাহিদ সুলতানা যুথী। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে ১৫০টি ব্যালট বেশি থাকার কথা বলা হয়। পরে তাঁরা ভোট গণনা করতে তাগাদা দেন পরিচালনা কমিটিকে। একপর্যায়ে শুরু হয় গণনা। সে সময় সহসভাপতি প্রার্থী দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন সেতু ও রমজান আলী শিকদার এবং সহসম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লবসহ কয়েকজন ভোট গণনা করতে নিষেধ করেন।
তাঁরা বলেন, যেহেতু সব প্রার্থী এবং তাঁদের এজেন্ট উপস্থিত নেই, তাই এখনই গণনা করা যাবে না। কিছুক্ষণ পর অন্যান্য প্রার্থী বারের মিলনায়তনে আসেন। এ সময় সম্পাদক প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক দিনের আলোতে ভোট গণনা করতে অনুরোধ করেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা আলোচনা করে আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ব্যালট গণনা শুরু করা হবে বলে জানান। ওই অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নাহিদ সুলতানা যুথী ও রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ তাঁদের সমর্থকেরা ব্যালট গণনার দাবিতে অনড় থাকেন। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আইনজীবীদের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশ আসার পর অন্য প্রার্থীরা মিলনায়তন থেকে বের হয়ে যান।
পরে যুথীর সমর্থকেরা চাপ দিলে একপর্যায়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান আবুল খায়ের সম্পাদক পদে নাহিদ সুলতানা যুথীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। নাহিদ সুলতানা আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের ব্যালট বুঝিয়ে দিয়ে মিলনায়তন ত্যাগ করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ব্যালট বাক্স হেফাজতে নেয় পুলিশ।
জানতে চাইলে বিএনপি সমর্থক প্যানেলের সম্পাদক পদ প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলাম। গণনা শুরুর কিছুক্ষণ পর দেখলাম শাহ মঞ্জুরুল হকদের আপত্তির মুখে গণনা বন্ধ করল। খানিকক্ষণ পর দেখলাম সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করল। পরে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও ব্যালট খুঁজে পাইনি।’ ভোট গণনা না করেই একজনকে সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
সংঘর্ষে আহত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ) বলেন, ‘অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন মাসুদ দরজা খুলে দিলে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মিলনায়তনে প্রবেশ করে। নাহিদা সুলতানা যুথী আগেই আমার ছবি সন্ত্রাসীদের কাছে দিয়ে রেখেছিল মেরে ফেলার জন্য। তাঁর নির্দেশেই আমার ওপর হামলা হয়েছে।’ এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান তিনি।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ফোনকল করা হলে রিসিভ করেননি নাহিদা সুলতানা যুথী।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সেশনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায়। নিয়ম অনুযায়ী রাতে ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। তবে সারা রাত আইনজীবীদের মধ্যে দফায় দফায় হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হন। পরে ভোট গণনা না করেই সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান। আর ব্যালট রয়েছে পুলিশ হেফাজতে।
ভোট গণনার বিষয়ে কথা বলতে দফায় দফায় ফোন করলেও পাওয়া যায়নি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানকে। তবে কমিটির সদস্য ইকবাল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো ভোট গণনা করিনি।’
সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো ফেসবুকের কথা। ব্যালট এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। রাতে বহিরাগতরা মিলনায়তনে প্রবেশ করে ঝামেলা করেছে।’
আওয়ামী সমর্থক প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনের পর ভোট গণনার জন্য সবাই অপেক্ষায় ছিলাম। এরই মধ্যে আমাদের কাছে খবর আসে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করেছে। তখন আমরা বললাম, যে পরিবেশ তাতে ভোট গণনা করা সম্ভব না। ওই সময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আইনজীবীদের মেরে একজনকে ঘোষণা দিতে বলেছে। পরে চাপের মুখে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।’
ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই দিন ভোট গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ব্যালট বাক্স খোলা হয়। ওই ব্যালট গণনার জন্য বাছাইও করা হয় কয়েক ঘণ্টা ধরে। ওই সময় বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও স্বতন্ত্র সম্পাদক পদপ্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও অর্ধশত আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। তবে উপস্থিত ছিলেন না সভাপতি পদ প্রার্থী এম কে রহমান, আবু সাঈদ সাগর, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক।
বাছাইতে দেখা যায়, সদস্য পদে ভোট গ্রহণের চেয়ে কিছু ব্যালট বেশি রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও নাহিদ সুলতানা যুথী। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে ১৫০টি ব্যালট বেশি থাকার কথা বলা হয়। পরে তাঁরা ভোট গণনা করতে তাগাদা দেন পরিচালনা কমিটিকে। একপর্যায়ে শুরু হয় গণনা। সে সময় সহসভাপতি প্রার্থী দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন সেতু ও রমজান আলী শিকদার এবং সহসম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লবসহ কয়েকজন ভোট গণনা করতে নিষেধ করেন।
তাঁরা বলেন, যেহেতু সব প্রার্থী এবং তাঁদের এজেন্ট উপস্থিত নেই, তাই এখনই গণনা করা যাবে না। কিছুক্ষণ পর অন্যান্য প্রার্থী বারের মিলনায়তনে আসেন। এ সময় সম্পাদক প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক দিনের আলোতে ভোট গণনা করতে অনুরোধ করেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা আলোচনা করে আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ব্যালট গণনা শুরু করা হবে বলে জানান। ওই অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নাহিদ সুলতানা যুথী ও রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ তাঁদের সমর্থকেরা ব্যালট গণনার দাবিতে অনড় থাকেন। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আইনজীবীদের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশ আসার পর অন্য প্রার্থীরা মিলনায়তন থেকে বের হয়ে যান।
পরে যুথীর সমর্থকেরা চাপ দিলে একপর্যায়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান আবুল খায়ের সম্পাদক পদে নাহিদ সুলতানা যুথীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। নাহিদ সুলতানা আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের ব্যালট বুঝিয়ে দিয়ে মিলনায়তন ত্যাগ করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ব্যালট বাক্স হেফাজতে নেয় পুলিশ।
জানতে চাইলে বিএনপি সমর্থক প্যানেলের সম্পাদক পদ প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলাম। গণনা শুরুর কিছুক্ষণ পর দেখলাম শাহ মঞ্জুরুল হকদের আপত্তির মুখে গণনা বন্ধ করল। খানিকক্ষণ পর দেখলাম সম্পাদক পদে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করল। পরে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও ব্যালট খুঁজে পাইনি।’ ভোট গণনা না করেই একজনকে সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
সংঘর্ষে আহত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী (সাইফ) বলেন, ‘অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন মাসুদ দরজা খুলে দিলে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মিলনায়তনে প্রবেশ করে। নাহিদা সুলতানা যুথী আগেই আমার ছবি সন্ত্রাসীদের কাছে দিয়ে রেখেছিল মেরে ফেলার জন্য। তাঁর নির্দেশেই আমার ওপর হামলা হয়েছে।’ এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান তিনি।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ফোনকল করা হলে রিসিভ করেননি নাহিদা সুলতানা যুথী।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
৪ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
৯ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২১ মিনিট আগে
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
২৫ মিনিট আগেনাটোর ও লালপুর প্রতিনিধি

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন। নিহত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে মাসুদ রানাও রয়েছেন।
মাসুদ রানা নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাঁর ছোট দুই ভাই মনিরুল ইসলাম জনি ও রনি আহমেদও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত।
মাসুদের শোকে তাঁর স্ত্রী আসমাউল হুসনা আঁখি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই দম্পতির আট বছরের মেয়ে আছে। আঁখি বলেন, ‘আমার মেয়েকে এতিম করে সে চলে গেল। বাকি জীবন আমরা কীভাবে কাটাব? গতকালও (শনিবার) আমাদের সঙ্গে সে কথা বলেছিল। আজ সে নেই, ভাবতে পারছি না।’
ছেলের মৃত্যুর খবরে মা মর্জিনা খাতুন (৫৫) বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার তিন সন্তান সেনাবাহিনীতে। এক সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিল। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। সরকার যেন আমার সন্তানের বিধবা স্ত্রী ও এতিম মেয়ের কথা ভাবে। আমাদের আর কেউ নাই।’
প্রতিবেশীরা জানান, মাসুদ রানা ছিলেন শান্ত ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। পরিবারের সুখের স্বপ্ন নিয়ে তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েছিলেন।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, নিহত মাসুদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে আজ রোববার বিকেলে নাটোর আর্মি স্টেডিয়ামের সেনাক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. নাজমুল আলম আবীর নিহত শান্তিরক্ষী মাসুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, শহীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন। নিহত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে মাসুদ রানাও রয়েছেন।
মাসুদ রানা নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাঁর ছোট দুই ভাই মনিরুল ইসলাম জনি ও রনি আহমেদও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত।
মাসুদের শোকে তাঁর স্ত্রী আসমাউল হুসনা আঁখি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই দম্পতির আট বছরের মেয়ে আছে। আঁখি বলেন, ‘আমার মেয়েকে এতিম করে সে চলে গেল। বাকি জীবন আমরা কীভাবে কাটাব? গতকালও (শনিবার) আমাদের সঙ্গে সে কথা বলেছিল। আজ সে নেই, ভাবতে পারছি না।’
ছেলের মৃত্যুর খবরে মা মর্জিনা খাতুন (৫৫) বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার তিন সন্তান সেনাবাহিনীতে। এক সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিল। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। সরকার যেন আমার সন্তানের বিধবা স্ত্রী ও এতিম মেয়ের কথা ভাবে। আমাদের আর কেউ নাই।’
প্রতিবেশীরা জানান, মাসুদ রানা ছিলেন শান্ত ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। পরিবারের সুখের স্বপ্ন নিয়ে তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েছিলেন।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, নিহত মাসুদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে আজ রোববার বিকেলে নাটোর আর্মি স্টেডিয়ামের সেনাক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. নাজমুল আলম আবীর নিহত শান্তিরক্ষী মাসুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, শহীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

ভোট গণনার বিষয়ে কথা বলতে দফায় দফায় ফোন করলেও পাওয়া যায়নি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানকে। তবে কমিটির সদস্য ইকবাল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো ভোট গণনা করিনি।’
০৮ মার্চ ২০২৪
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
৯ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২১ মিনিট আগে
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
২৫ মিনিট আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ওজনে কম দেওয়া, শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, পোড়া তেল দিয়ে শিশুখাদ্য ভাজা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রস্তুতের অভিযোগে ‘আরব বেকারি’কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর বিভিন্ন ধারায় এ জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে দেখা গেছে, পার্টি কেকের ক্ষেত্রে প্রতি দুই পাউন্ডে প্রায় ৭০ গ্রাম কম দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুখাদ্য প্রস্তুতে নিষিদ্ধ রং ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নমুনা সংগ্রহকারী মো. সাকিব। অভিযানে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বলেন, অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ওজনে কম দেওয়া, শিশুখাদ্যে নিষিদ্ধ রং ব্যবহার, পোড়া তেল দিয়ে শিশুখাদ্য ভাজা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রস্তুতের অভিযোগে ‘আরব বেকারি’কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর বিভিন্ন ধারায় এ জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে দেখা গেছে, পার্টি কেকের ক্ষেত্রে প্রতি দুই পাউন্ডে প্রায় ৭০ গ্রাম কম দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুখাদ্য প্রস্তুতে নিষিদ্ধ রং ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের একাধিক প্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নমুনা সংগ্রহকারী মো. সাকিব। অভিযানে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বলেন, অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভোট গণনার বিষয়ে কথা বলতে দফায় দফায় ফোন করলেও পাওয়া যায়নি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানকে। তবে কমিটির সদস্য ইকবাল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো ভোট গণনা করিনি।’
০৮ মার্চ ২০২৪
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
৪ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২১ মিনিট আগে
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
২৫ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার মো. শাজাহান শিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শামীম জানান, উত্তর বাড্ডার এএমজেড হাসপাতালের সামনের সড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল ইসলাম বলেন, কারা বাসে আগুন দিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সে সময় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার মো. শাজাহান শিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শামীম জানান, উত্তর বাড্ডার এএমজেড হাসপাতালের সামনের সড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল ইসলাম বলেন, কারা বাসে আগুন দিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সে সময় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভোট গণনার বিষয়ে কথা বলতে দফায় দফায় ফোন করলেও পাওয়া যায়নি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানকে। তবে কমিটির সদস্য ইকবাল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো ভোট গণনা করিনি।’
০৮ মার্চ ২০২৪
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
৪ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
৯ মিনিট আগে
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
২৫ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় এক নারীর গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগে চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা সাত্তারের আদালতে ভুক্তভোগী নারী নাসরিন আক্তার মামলার আরজি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সিরাজুন নূর, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) মো. নুরুল হক, পরিচালক (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) এ এফ এম আশরাফুল করিম এবং ডেপুটি ডিরেক্টর (অ্যাডমিন-আইসিইউ) মো. আবু সাইদ চৌধুরী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রিগ্যান আচার্য্য জানান, মামলার আবেদনের পর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং মামলাটি তদন্তের জন্য ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দেন। আদালত আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। ভর্তির পর রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা তাৎক্ষণিক জরুরি চিকিৎসা দেননি বলে অভিযোগ করা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে রেখে দেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। রোগীর স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলেও আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়, এমন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, দীর্ঘ সময় লেবার রুমে ফেলে রাখার কারণে রোগীর রক্তক্ষরণ বেড়ে যায় এবং অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে। পরে একজন সিনিয়র কনসালট্যান্ট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জরুরি অস্ত্রোপচারের নির্দেশ দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই নারী মৃত সন্তান প্রসব করেন। পরে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে মায়ের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়।
বাদীপক্ষের দাবি, সময়মতো সঠিক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হলে গর্ভস্থ শিশুটিকে বাঁচানো যেত। ঘটনার পর দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি; বরং বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয় এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে দীর্ঘদিন অপেক্ষায় রাখা হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. নুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি জানলাম। তবে ওই রোগীর কাগজপত্র না দেখে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’

চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় এক নারীর গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগে চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা সাত্তারের আদালতে ভুক্তভোগী নারী নাসরিন আক্তার মামলার আরজি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সিরাজুন নূর, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) মো. নুরুল হক, পরিচালক (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) এ এফ এম আশরাফুল করিম এবং ডেপুটি ডিরেক্টর (অ্যাডমিন-আইসিইউ) মো. আবু সাইদ চৌধুরী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রিগ্যান আচার্য্য জানান, মামলার আবেদনের পর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং মামলাটি তদন্তের জন্য ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দেন। আদালত আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকালে প্রসবব্যথা নিয়ে নাসরিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর গর্ভকাল ছিল ৩৭ সপ্তাহ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভস্থ সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। ভর্তির পর রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা তাৎক্ষণিক জরুরি চিকিৎসা দেননি বলে অভিযোগ করা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে রেখে দেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। রোগীর স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলেও আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়, এমন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, দীর্ঘ সময় লেবার রুমে ফেলে রাখার কারণে রোগীর রক্তক্ষরণ বেড়ে যায় এবং অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে। পরে একজন সিনিয়র কনসালট্যান্ট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জরুরি অস্ত্রোপচারের নির্দেশ দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই নারী মৃত সন্তান প্রসব করেন। পরে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে মায়ের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়।
বাদীপক্ষের দাবি, সময়মতো সঠিক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হলে গর্ভস্থ শিশুটিকে বাঁচানো যেত। ঘটনার পর দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি; বরং বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয় এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে দীর্ঘদিন অপেক্ষায় রাখা হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. নুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি জানলাম। তবে ওই রোগীর কাগজপত্র না দেখে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’

ভোট গণনার বিষয়ে কথা বলতে দফায় দফায় ফোন করলেও পাওয়া যায়নি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানকে। তবে কমিটির সদস্য ইকবাল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখনো ভোট গণনা করিনি।’
০৮ মার্চ ২০২৪
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
৪ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীর পাথুরিয়া এলাকায় বেকারি পণ্য ও শিশুখাদ্য প্রস্তুতকারী একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে...
৯ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে অছিম পরিবহনের মিরপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
২১ মিনিট আগে