Ajker Patrika

অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা কাটেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৪, ২২: ৩২
অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা কাটেনি

রাজধানীর রমনার বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের পরিচয় ও মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা কাটেনি। পরিচয় জটিলতা নিরসন না হওয়ায় আজ শনিবার পর্যন্ত তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করতে পারেনি পুলিশ। তাঁর মরদেহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের মর্গে রাখা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার পর মরদেহ হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রমনা থানা-পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শাহ আলম মোহাম্মদ আখতারুল ইসলাম বলেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রী বা বৃষ্টি খাতুনের পরিচয় নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও জন্মনিবন্ধন সনদে বাবার দুই ধরনের নাম এসেছে। এ ছাড়া তাঁর আরও কিছু বিষয় পরিপূর্ণভাবে যাচাই না করে মরদেহ হস্তান্তর করা সম্ভব হবে না। 

তিনি বলেন, রমনা কালীমন্দিরের কর্তৃপক্ষ এবং কুষ্টিয়ার এক ব্যক্তি তাঁর মেয়ে বলে মরদেহ দাবি করেছেন। এ জন্য লাশের ময়নাতদন্তের পাশাপাশি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া মরদেহ দাবি করা স্বজনদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। 

গত বৃহস্পতিবার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এই তরুণী নিহত হওয়ার পর গতকাল শুক্রবার কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে শাবলুল আলম সবুজ নামে এক ব্যক্তি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসে অভিশ্রুতিকে বৃষ্টি খাতুন বলে শনাক্ত করেন এবং এই তরুণী তাঁর নিজের মেয়ে বলে দাবি করে মরদেহ নিতে চান। তিনি যে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসেন, সেখানে ওই তরুণীর নাম বৃষ্টি খাতুন উল্লেখ রয়েছে। তবে তিনি আসার আগেই রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা মর্গে অভিশ্রুতিকে শনাক্ত করেন। তিনি এই তরুণীর নাম অভিশ্রুতি বলে জানান। তিনি পুলিশকে বলেন, অভিশ্রুতি ৯ মাস ধরে রমনা কালীমন্দিরে আসতেন। সনাতন ধর্মের অনুসারী। তিনি কুষ্টিয়ায় ছোটবেলায় দত্তক হয়ে ওই পরিবারে ছিলেন।

অভিশ্রুতিকে বৃষ্টি বলায় গতকাল শাবলুল আলম সবুজকে প্রতারক ভেবে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রী তাঁর মেয়ে বৃষ্টি খাতুন। তিনি ওই তরুণীর প্রাথমিক কলেজ শিক্ষাজীবনের বিভিন্ন সনদ, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দেখান। এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্রও দেখান। তবে দুই পক্ষ মরদেহ দাবি করায় পুলিশ শাবলুল আলম সবুজ ও রমনা কালীমন্দির কর্তৃপক্ষকে লিখিত আবেদন করতে বলে। এরপর তারা লিখিত আবেদন করে। পুলিশ শাবলুল আলম সবুজের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে।

অভিশ্রুতি বা বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ নিতে চাওয়ার বিষয়ে যুক্তি দিয়ে রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা বলেন, ‘আমরা এই তরুণীকে অভিশ্রুতি নামেই চিনতাম। তিনি ৯ মাস ধরে আমাদের মন্দিরে সনাতন ধর্মীর অনুসারী হিসেবে পূজা করেছেন।’ 

তিনি জানিয়েছিলেন, ‘তাঁর বাড়ি ভারতের বেনারসে। ছোটবেলা তাঁর মা-বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর দাদুর হাত ধরে কুষ্টিয়া আসেন। একটি বোর্ডিং স্কুলে ছিলেন। সেখান থেকে ওই পরিবারটি তাঁকে দত্তক নেয়, আমাদের কাছে তাই জানিয়েছিলেন অভিশ্রুতি। তাই আমরা তাঁর মরদেহ দাবি করেছি। তবে শাবলুল আলম সবুজের সঙ্গে তাঁর ডিএনএ ম্যাচ করলে আমাদের আর কোনো দাবি নেই।’ 

বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মরদেহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে রাখা হয়েছে। কুষ্টিয়ার খোকসায় বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি বলে তাঁর বাবা পরিচয় দেওয়া শাবলুল আলম সবুজ বলেন, ‘এটা আমার মেয়ে, এখন এই বিপদেও আমাকে প্রমাণ করতে হচ্ছে। এর চেয়ে দুঃখ আর কী আছে।’

এদিকে বৃষ্টির ছোট বোন বর্ষা খাতুন বলেন, ‘অভিশ্রুতি বৃষ্টি নামে একটি ফেসবুকের ফেক আইডি চালাতেন বৃষ্টি। এ ছাড়া সে অন্য ধর্ম গ্রহণ করেছে—এমন কিছু এর আগে আমরা জানি নাই। তিন মাস আগেও বাড়ি এসেছিল। গত বৃহস্পতিবার দুপুরেও মায়ের সঙ্গে বৃষ্টির শেষবার মুঠো ফোনে কথা হয়।’

শাবলুল আলম সবুজের কাছ থেকে এবং এই তরুণীর আঙুলের ছাপ নিয়ে পুলিশ যেসব কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে তাতে গরমিল দেখা গেছে। তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র, ইডেন কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার প্রবেশপত্রে নাম বৃষ্টি খাতুন। কিন্তু তাঁর জন্মনিবন্ধন সনদ ও তৈরি করা চাকরির জীবনবৃত্তান্তে নিজের ও মা-বাবার নামে ভিন্নতা রয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, ২০২১ সালের ৬ জুলাই ইস্যু করা জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম বৃষ্টি খাতুন হিসেবেই রয়েছে। সেখানে পিতার নাম সবুজ শেখ এবং মাতার নাম বিউটি বেগম। কলেজের প্রবেশপত্রেও তাঁর একই রকম তথ্য আছে। তবে ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর ইস্যু করা জন্মনিবন্ধন সনদে তাঁর নাম আছে অভিশ্রুতি, বাবার নাম লেখা হয়েছে মো. শাবরুল আলম এবং মায়ের নাম বিউটি বেগম। অন্যদিকে, চাকরির জীবনবৃত্তান্তে নিজের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী, বাবার নাম লিখেছেন শাবরুল আলম এবং মায়ের নাম অপর্ণা শাস্ত্রী। জন্মনিবন্ধন সনদ এবং জীবনবৃত্তান্তে জন্ম তারিখ ২০০০ সালের ২৫ ডিসেম্বর রয়েছে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্রে তাঁর জন্ম তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯৮।

বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি ঢাকায় দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ নামে একটি নিউজ পোর্টালে সাংবাদিকতা করতেন। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে কেস্টারটেক নামে একটি অনলাইন মাল্টিমিডিয়া প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তাঁর পরিচিত সহকর্মীরা অনেকেই তাঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেছেন। পরিচিতরা এ তথ্য জানিয়েছেন। 

শাবরুল আলম সবুজ বলেন, ‘যাকে আপনারা অভিশ্রুতি বলছেন, সে বৃষ্টি। সে আমার মেয়ে। তার সকল শিক্ষাজীবনের কাগজে এই নাম। এই ঘটনার পর তার মা সংজ্ঞাহীন। আমি আমার মেয়ের মরদেহ নিতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

নরসিংদী প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’

নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’

বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৬৭ বছর পর রামেক হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।

হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।

এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।

এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।

কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’

পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।

সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত