Ajker Patrika

তারাবিহ-সাহ্‌রিতে বিদ্যুতের সংকট হবে না: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১৮: ১২
তারাবিহ-সাহ্‌রিতে বিদ্যুতের সংকট হবে না: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

তারাবিহ ও সাহ্‌রির সময়ে বিদ্যুতের সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সময়ে ভর্তুকি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিতরণ করার কথা জানান তিনি। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে নাটোর-১ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

তারাবিহতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা অনেক অর্থ ব্যয় করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। ভর্তুকি অর্থে তা বিতরণ করি। এখন বিশ্বব্যাপী তেল, এলএনজি, পরিবহনসহ সবকিছুর মূল্য বেড়ে গেছে। তারপরও আমাদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রচেষ্টা রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটা ঠিক যে যেহেতু আমাদের জ্বালানি তেল ও এলএনজির সংকট আছে। সেহেতু সময়-সময়ে...তা ছাড়া জানেন যে যান্ত্রিক ব্যাপার...। কোনো কোনো কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পায় বা ব্যাহত হয়।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তারাবিহের নামাজ ও সাহ্‌রির সময় বিদ্যুতের সমস্যা হবে না। বরং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সময় যদি প্রয়োজন হয়, যদি প্রয়োজন হয় দিনের কোনো একসময় যখন চাহিদা কম তখন দুই-তিন ঘণ্টা যদি লোডশেডিং কর যায়, সহনীয় পর্যায়ে থাকবে, তাহলে কিন্তু আর বিদ্যুতে সংকট হবে না। বিশেষ করে তারাবিহ ও সাহ্‌রির সময়ে সংকট হবে না। আমাদের প্রচেষ্টা সেইভাবে থাকবে।’

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে, আশা প্রধানমন্ত্রীর

একসময় দেশে ১০-১২ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকলেও এখন সেই অবস্থা নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তবে আমার মনে হয় মাঝে মাঝে (লোডশেডিং) থাকা ভালো। না হলে মানুষ অতীতকে ভুলে যাবে। অন্তত উপলব্ধি করবে কোথায় ছিলাম, আর কোথায় আছি।’

গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিত্যপণ্যের মূল্যের বিরুদ্ধে গুজব সৃষ্টির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকলকে অনুরোধ করব—গুজবে কান দেবেন না। সকলে সচেতন থাকলে আর গুজবে কান না দিলে, গুজব ছড়িয়ে কেউ সমস্যা তৈরি করতে পারবে না।’

সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আলী আজম তাঁর সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম অন্য সময় মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকলেও রমজানে ব্যতিক্রম দেখা যায়। এ সময় অধিক মুনাফালোভী কিছু ব্যক্তি অনৈতিকভাবে পণ্য গুদামজাত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করার হীন প্রচেষ্টা চালায়। এ প্রেক্ষাপটে রমজানে পণ্যের মূল্য স্বস্তির মধ্যে রাখতে সিন্ডিকেটধারী ও বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের গুজবের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মজুত যাতে করতে না পারে, তার জন্য কী কী করণীয় আগেই জানিয়েছি। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে কোনো রকম মানুষের খাদ্য নিয়ে খেলতে না পারে, সে জন্য যথেষ্ট সচেতন রয়েছি। সেই সাথে বলতে চাই—বহু পণ্য আমাদের আমদানি করতে হয়, পরনির্ভরশীল। আমরা পরনির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে চাই। নিজেদের উৎপাদন বাড়াতে চাই।’

জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগগুলো ব্যবহার করে, এতে উদ্দেশ্য সফল হয় না, দ্রব্যমূল্য কমে না। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে চোখ উল্টিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। না হলে মানুষের শান্তি আসবে না। তারা কথা শোনে না। বিষয়টি কঠোর মনিটরিংসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না।’

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মোবাইল কোর্টসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। তারপরও যদি ইচ্ছাকৃতভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে একটা কথা বলি, রমজান হচ্ছে কৃচ্ছ্রতা সাধনের মাস। রমজানে মানুষ যেন কম খাবার গ্রহণ করে, খাদ্য সংরক্ষণ করে। কিন্তু আমাদের এখানে দেখি যেন খাবার গ্রহণের বিষয়টি একটু বেড়েই যায়। প্রকৃতপক্ষে সে জন্য তো রমজান নয়। রমজান হচ্ছে সংযমের মাস। সংযম করতে হবে। বিশেষ কোনো একটা জিনিস না খেলে হবে না। রোজা রাখা যাবে না। বা ইফতার করা যাবে না। এই মানসিকতাটা বদলাতে হবে।’

সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে যে খাদ্য পাওয়া যায়, সেটা দিয়েই রোজা খুলতে পারি। কারণ, এটা না খেলে চলবেই না, এটা তো কথা নয়। অন্য সময় মানুষ কী খায়। সেভাবেই খাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাহলে একটা জিনিসের জন্য কান্নাকাটি শোনা যাবে না। তবে ইদানীং দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেকটি জিনিসের দাম কিন্তু কমেছে। একেবারেই কমেনি তা নয়। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের দাম যদি বেশি করা যায়, তাহলে কৃষক ন্যায্যমূল্য পায়। আবার যদি দাম বেশি বেড়ে যায়, তাহলে নির্দিষ্ট আয়ের লোকের কষ্ট হয়, ভোক্তার জন্য কষ্ট হয়। এ জন্য আমাদের দুটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। এ ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট সচেতন।’

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু সরকারই সব দেখবে, সেটা তো নয়। যারা নির্বাচিত প্রতিনিধি আছে, তাদেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে। বাজার মনিটরিংয়ে সকলে সহযোগিতা করলে, এই অসাধু ব্যবসায়ীরা এভাবে নিত্যপণ্যের মূল্য অসৎ উপায়ে বাড়াতে পারবে না।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জনগণকে আহ্বান করব, তারা এটার বিষয়ে নজর রাখলে সবকিছু সহজ হয়ে যায়। আর আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি। আরও পদক্ষেপ নেব। মোবাইল কোর্ট বসিয়ে শাস্তি দিচ্ছি। আমাদের যথাসাধ্য করে যাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাসনাত কি সরকারের অংশ— ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হাসনাত কি সরকারের অংশ— ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্য নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, হাসনাত সরকারের অংশ নয়, সুতরাং তাঁর বক্তব্য সরকারের বক্তব্য নয়। বাংলাদেশ কোনো ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী ব্যক্তিকে’ কখনো আশ্রয় দেবে না।

গতকাল ঢাকায় এক সমাবেশে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, সম্ভাবনা, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে বাংলাদেশে, আমরা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে যে সেভেন সিস্টার রয়েছে, সেটাকে ভারত থেকে আলাদ করে দেব।’

তার এই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা চলছে। ভারতও বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।

বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘প্রথমেই তো প্রশ্ন হচ্ছে যে, হাসনাত কি সরকারের অংশ? সে তো সরকারের অংশ না। সরকারের বক্তব্য যদি হতো, সেটা হয় আমি বলতাম নয়তো সরকারের যে সর্বোচ্চ অফিস সেখান থেকে বলতো। কাজেই এটা অনেকটাই অবান্তর।’

বিচ্ছিন্নবাদীদের ‘আশ্রয়–প্রশ্রয়’ দেওয়ার বিষয়ে হাসনাতের বক্তব্যের প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ কোনো সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করে না— এটা আপনারা জানেন আমাদের একটা নীতি আছে। আমরা কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী ব্যক্তিকে আমাদের ভূমিতে আশ্রয় দেব— অবশ্যই এটা সরকার করবে না। এবং আমি অনুমান করি, বাংলাদেশের কোনো সরকারই তা করবে না। এটা একজন ‘অ্যাক্টিভিস্ট’ রাজনীতি করেন, উনি বলতে পারেন, কিন্তু সেটা সরকারের অবস্থান অবশ্যই সেটা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেভিল হান্ট-২: এবার এক দিনে গ্রেপ্তার ১৩৯৮ জন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডেভিল হান্ট-২: এবার এক দিনে গ্রেপ্তার ১৩৯৮ জন

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এবার ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় বিভিন্ন ধরনের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ‎

‎পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, গতকাল মঙ্গলবার থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর অভিযানে সারা দেশে ১ হাজার ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৫২৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানে অবৈধ একটি পিস্তল, পাঁচটি দেশীয় অস্ত্র, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি বন্দুক, তিন রাউন্ড গুলি, একটি ফায়ার করা গুলি, তিন রাউন্ড কার্তুজ, ১১টি দেশীয় অস্ত্র ও ১২টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ডিএমপি, আরএমপি, জিএমপি, ঢাকা রেঞ্জ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ, খুলনা রেঞ্জ ও রাজশাহী রেঞ্জ ইউনিটের অভিযানে এসব অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। বেশ কয়েকটি ইউনিট চেকপোস্ট চালায়।

এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২১ হাজার ৬৩০টি মোটরসাইকেল ও ১৯ হাজার ৯৪টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে একটি একনলা বন্ধুক, দুটি ধারালো ছুরি, একটি বার্মিজ চাকু, এক রাউন্ড গুলি ও একটি ফায়ার করা গুলি উদ্ধার এবং ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। প্রথম দিন গ্রেপ্তার করা হয় ৪৭৬ জন, দ্বিতীয় দিন ৫৬৭, তৃতীয় দিন ৮২৩ ও চতুর্থ দিন ১ হাজার ৩৯৮ জন। গত চার দিনে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এ মোট গ্রেপ্তার ৩ হাজার ২৬৪ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এই সরকারের শুরু থেকেই ভারতের সঙ্গে ‘টানাপোড়েন আছে’— এটা বাস্তবতা, মেনে নেওয়াই ভালো: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৭
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: পিআইডি
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: পিআইডি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শুরু থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ‘টানাপোড়েন আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন এই সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এটা মেনে নিয়েই ‘ভালো সম্পর্ক তৈরির’ চেষ্টা সরকার করছে বলেও তিনি জানান। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তৌহিদ হোসেন।

এর আগে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে নয়াদিল্লি। বাংলাদেশে ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির’ কথা তুলে ধরা হয়।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা (দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে তলব) খুব অপ্রত্যাশিত কিছু না। সাধারণত এটা ঘটে। একজনকে ডাকলে আরেকজনকে ডাকা হয়।

তৌহিদ হোসেন বলেন, এই বাস্তবতাকে মেনে নেওয়াই ভালো যে—আসলে এই সরকারের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত (সম্পর্কে) টানাপোড়েন তো আছেই ভারতের সঙ্গে।

তবে বাস্তবতা মেনে নিয়েই বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে জানিয়েছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমরা চাইলেই যে হবে, এমন কোনো কথা নেই। দুই পক্ষ থেকেই সম্পর্ককে এগোনোর চেষ্টা করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র: এবার গুলশান থানার মামলায় গ্রেপ্তার মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩১
মেজর সাদিক ও স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন।
মেজর সাদিক ও স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন।

মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

সুমাইয়ার স্বামী মেজর সাদিকুল হকের বিরুদ্ধে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কোর্ট-মার্শাল গঠন করেছে সেনাবাহিনী।

আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সুমাইয়া জাফরিনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক মামুন।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সকালে গুলশান-১-এর জব্বার টাওয়ারের পাশে ৩০-৩৫ জন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। আসামিরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা দেশবিরোধী স্লোগান দেন। পুলিশ সেখানে গিয়ে কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিনই গুলশান থানায় মামলা করে।

আবেদনে বলা হয়, এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের জবানবন্দি ও স্থানীয়ভাবে তদন্তে জানা যায়, সুমাইয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অর্থ জোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা। তিনি সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। আসামি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত সদস্যদের অর্থ জোগান দিয়ে থাকেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই আসামি সারা দেশের আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের সুসংগঠিত করে দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে এ মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। পরে আদালত তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় ভাটারা থানায় করা মামলায় গত ৬ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ আগস্ট তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড হয়। রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট সুমাইয়া জাফরিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত