
বাংলাদেশের বাজারে ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের বেশির ভাগের মধ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রায় ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া গেছে। এসব তেল খাওয়ার ফলে দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। দেশের ভোজ্যতেলে ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি নিয়ে প্রথমবারের মতো সমন্বিত গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।
গবেষণায় দেশের বাজারের বিভিন্ন কোম্পানির বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংগৃহীত নমুনার প্রায় ৬৭ শতাংশের মধ্যে সহনীয় হিসেবে স্বীকৃত মাত্রার (২ শতাংশ) চেয়ে বেশি ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। খোলা সয়াবিন তেলের নমুনার ক্ষেত্রে এই হার অনেক কম, প্রায় ২৫ শতাংশ। আর পাম তেলের কোনো নমুনায় সহনীয় মাত্রার বেশি ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়নি।
ট্রান্সফ্যাট নামে পরিচিত এই ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিডের (টিএফএ) ক্ষতিকর মাত্রা পরিশোধন প্রক্রিয়ার কারণে হতে পারে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, উচ্চতাপে ভোজ্যতেল পরিশোধন করা হয় বলে ট্রান্সফ্যাট বেড়ে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস্ পি গ্র্যান্ট পাবলিক হেলথ স্কুল, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি) ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশনের (জিএআইএন) যৌথ গবেষণায় এসব চিত্র উঠে এসেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহিনের নেতৃত্বে ১৩ জন গবেষক দুই বছর ধরে এই গবেষণা চালিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশে প্রথম সমন্বিত গবেষণা বলে দাবি করছেন তাঁরা।
গবেষণা জার্নাল ফুড কেমিস্ট্রি অ্যাডভান্সেসে চলতি মাসেই প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়, পাম এবং সয়াবিন তেল বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের প্রধান উৎস। বাংলাদেশে ব্যবহৃত ভোজ্যতেলের প্রায় ৭০ শতাংশ পাম তেল এবং ২০ শতাংশ আসে সয়াবিন তেল থেকে। বাংলাদেশ তেল উৎপাদনকারী দেশ না হওয়ায় সিংহভাগই আমদানি করা হয় অপরিশোধিত তেল হিসেবে। পরে এই তেল পরিশোধনের পর মানুষের ব্যবহার উপযোগী করা হয়।
বাংলাদেশে ব্র্যান্ডেড বা বোতলজাত (ব্র্যান্ডের নাম এবং প্রস্তুতকারকের বিবরণসহ সিল করা পাত্রে বিক্রীত) এবং নন-ব্র্যান্ডেড (ড্রাম বা খোলা কনটেইনারে বিক্রি করা তেল) দুই ধরনের ভোজ্যতেলই বাজারজাত করা হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ এবং জুন-আগস্টে দেশের ৮টি বিভাগ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এই গবেষণা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগের তিনটি করে বাজার (একটি শহর ও দুটি গ্রামের) থেকে সংগ্রহ করে ১ হাজার ৫২১টি তেলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট ১০৬টি ‘কম্পোজিট বা গুচ্ছ’ নমুনার ভোজ্যতেল পরীক্ষা করা হয়।
এর মধ্যে ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের ১৮টি ‘কম্পোজিট’ নমুনা ও ৪৯টি খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান থেকে খোলা তেলের নমুনা রয়েছে। পাম তেলের ব্র্যান্ডের নমুনা নেওয়া হয় ১১টি (কম্পোজিট)। খোলা পাম তেলের নমুনা নেওয়া হয় ২৮টি (কম্পোজিট)। পরে পাঁচটি কারখানা থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সংগৃহীত নমুনা ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়। গবেষণাটির ফলাফল নিয়ে ৭ জানুয়ারি ফুড কেমিস্ট্রি অ্যাডভান্সে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট সয়াবিনে, পাম তেলে নেই
বোতলজাত সয়াবিন তেলের ১৮টি ’কম্পোজিট’ নমুনার মধ্যে ১২টিতে সহনীয় মাত্রার বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে। খোলা ড্রামজাত সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে ১২টি ‘কম্পোজিট’ নমুনায় মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে। পাম তেলের কোনোটিতে মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া যায়নি।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালে খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটি অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা করে। তা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। সেখানে খাদ্যে এর সর্বোচ্চ মাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২ শতাংশ।
গবেষণায় দেখা গেছে, সয়াবিন তেলের নমুনায় গড়ে সহনীয় মাত্রার দুই থেকে চার গুণ বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে। গবেষকেরা তেল উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেননি।
ট্রান্সফ্যাট ক্ষতিকর কেন
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিএফএ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। কারণ, এটি ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা এলডিএল বৃদ্ধি করে এবং ‘ভালো’ কোলেস্টেরল বা এইচডিএল হ্রাস করে। এইচডিএলের চেয়ে এলডিএল বাড়লে করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ট্রান্সফ্যাট বেশি গ্রহণ করা হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশেও অতীতে এমন গবেষণা হয়েছে। সেখানেও বোতলজাত সয়াবিন তেলে সহনীয় মাত্রার বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে।
পরিশোধনের সময় তেলকে উচ্চ তাপমাত্রায় রাখা হয়। এই প্রক্রিয়ায় অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডের পলিমার রূপান্তরিত হয়ে ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিডে (টিএফএ) পরিণত হয়। গবেষকেরা বলছেন, শুধু কারখানায় পরিশোধনের গলদ নয়, খাবার ভাজার জন্য বারবার একই তেল (পোড়া তেল) ব্যবহার করলে ট্রান্সফ্যাট বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাবে, দেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টন তেল আমদানি হয়। আমদানি করা তেলের প্রায় ৭০ শতাংশ পাম ও বাকিটা সয়াবিন তেল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) থানা আয়-ব্যয় জরিপ বলছে, ২০২২ সালে মাথাপিছু ভোজ্যতেল গ্রহণের হার ছিল দিনে প্রায় ৩১ গ্রাম, যা ২০১৬ সালে ছিল প্রায় ২৭ গ্রাম। ফলে দেখা যাচ্ছে, ভোজ্যতেল গ্রহণ বাড়ছে।
দেশে হৃদরোগে মৃত্যু বেশি
বিবিএসের একটি জরিপের তথ্য বলছে, দেশে ২০২০ সালে প্রায় ২ লাখ ২৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে (হার্ট অ্যাটাক ও হাট ডিজিজ)। দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় এই কারণে। আর ট্রান্সফ্যাট হৃদরোগের অন্যতম কারণ।
হৃদরোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার পেছনে মানুষকে উচ্চ হারে ব্যয় করতে হয়। অনেক পরিবারকে স্বজনের হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সম্পদ বিক্রি করতে হয়। দরিদ্র পরিবারগুলো অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসাই করাতে পারে না।

বাংলাদেশের বাজারে ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের বেশির ভাগের মধ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রায় ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া গেছে। এসব তেল খাওয়ার ফলে দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। দেশের ভোজ্যতেলে ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি নিয়ে প্রথমবারের মতো সমন্বিত গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।
গবেষণায় দেশের বাজারের বিভিন্ন কোম্পানির বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংগৃহীত নমুনার প্রায় ৬৭ শতাংশের মধ্যে সহনীয় হিসেবে স্বীকৃত মাত্রার (২ শতাংশ) চেয়ে বেশি ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। খোলা সয়াবিন তেলের নমুনার ক্ষেত্রে এই হার অনেক কম, প্রায় ২৫ শতাংশ। আর পাম তেলের কোনো নমুনায় সহনীয় মাত্রার বেশি ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়নি।
ট্রান্সফ্যাট নামে পরিচিত এই ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিডের (টিএফএ) ক্ষতিকর মাত্রা পরিশোধন প্রক্রিয়ার কারণে হতে পারে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, উচ্চতাপে ভোজ্যতেল পরিশোধন করা হয় বলে ট্রান্সফ্যাট বেড়ে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস্ পি গ্র্যান্ট পাবলিক হেলথ স্কুল, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি) ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশনের (জিএআইএন) যৌথ গবেষণায় এসব চিত্র উঠে এসেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহিনের নেতৃত্বে ১৩ জন গবেষক দুই বছর ধরে এই গবেষণা চালিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশে প্রথম সমন্বিত গবেষণা বলে দাবি করছেন তাঁরা।
গবেষণা জার্নাল ফুড কেমিস্ট্রি অ্যাডভান্সেসে চলতি মাসেই প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়, পাম এবং সয়াবিন তেল বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের প্রধান উৎস। বাংলাদেশে ব্যবহৃত ভোজ্যতেলের প্রায় ৭০ শতাংশ পাম তেল এবং ২০ শতাংশ আসে সয়াবিন তেল থেকে। বাংলাদেশ তেল উৎপাদনকারী দেশ না হওয়ায় সিংহভাগই আমদানি করা হয় অপরিশোধিত তেল হিসেবে। পরে এই তেল পরিশোধনের পর মানুষের ব্যবহার উপযোগী করা হয়।
বাংলাদেশে ব্র্যান্ডেড বা বোতলজাত (ব্র্যান্ডের নাম এবং প্রস্তুতকারকের বিবরণসহ সিল করা পাত্রে বিক্রীত) এবং নন-ব্র্যান্ডেড (ড্রাম বা খোলা কনটেইনারে বিক্রি করা তেল) দুই ধরনের ভোজ্যতেলই বাজারজাত করা হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ এবং জুন-আগস্টে দেশের ৮টি বিভাগ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এই গবেষণা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগের তিনটি করে বাজার (একটি শহর ও দুটি গ্রামের) থেকে সংগ্রহ করে ১ হাজার ৫২১টি তেলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট ১০৬টি ‘কম্পোজিট বা গুচ্ছ’ নমুনার ভোজ্যতেল পরীক্ষা করা হয়।
এর মধ্যে ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের ১৮টি ‘কম্পোজিট’ নমুনা ও ৪৯টি খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান থেকে খোলা তেলের নমুনা রয়েছে। পাম তেলের ব্র্যান্ডের নমুনা নেওয়া হয় ১১টি (কম্পোজিট)। খোলা পাম তেলের নমুনা নেওয়া হয় ২৮টি (কম্পোজিট)। পরে পাঁচটি কারখানা থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সংগৃহীত নমুনা ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়। গবেষণাটির ফলাফল নিয়ে ৭ জানুয়ারি ফুড কেমিস্ট্রি অ্যাডভান্সে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট সয়াবিনে, পাম তেলে নেই
বোতলজাত সয়াবিন তেলের ১৮টি ’কম্পোজিট’ নমুনার মধ্যে ১২টিতে সহনীয় মাত্রার বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে। খোলা ড্রামজাত সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে ১২টি ‘কম্পোজিট’ নমুনায় মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে। পাম তেলের কোনোটিতে মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া যায়নি।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালে খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটি অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা করে। তা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। সেখানে খাদ্যে এর সর্বোচ্চ মাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২ শতাংশ।
গবেষণায় দেখা গেছে, সয়াবিন তেলের নমুনায় গড়ে সহনীয় মাত্রার দুই থেকে চার গুণ বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে। গবেষকেরা তেল উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেননি।
ট্রান্সফ্যাট ক্ষতিকর কেন
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিএফএ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। কারণ, এটি ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা এলডিএল বৃদ্ধি করে এবং ‘ভালো’ কোলেস্টেরল বা এইচডিএল হ্রাস করে। এইচডিএলের চেয়ে এলডিএল বাড়লে করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ট্রান্সফ্যাট বেশি গ্রহণ করা হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশেও অতীতে এমন গবেষণা হয়েছে। সেখানেও বোতলজাত সয়াবিন তেলে সহনীয় মাত্রার বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে।
পরিশোধনের সময় তেলকে উচ্চ তাপমাত্রায় রাখা হয়। এই প্রক্রিয়ায় অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডের পলিমার রূপান্তরিত হয়ে ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিডে (টিএফএ) পরিণত হয়। গবেষকেরা বলছেন, শুধু কারখানায় পরিশোধনের গলদ নয়, খাবার ভাজার জন্য বারবার একই তেল (পোড়া তেল) ব্যবহার করলে ট্রান্সফ্যাট বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাবে, দেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টন তেল আমদানি হয়। আমদানি করা তেলের প্রায় ৭০ শতাংশ পাম ও বাকিটা সয়াবিন তেল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) থানা আয়-ব্যয় জরিপ বলছে, ২০২২ সালে মাথাপিছু ভোজ্যতেল গ্রহণের হার ছিল দিনে প্রায় ৩১ গ্রাম, যা ২০১৬ সালে ছিল প্রায় ২৭ গ্রাম। ফলে দেখা যাচ্ছে, ভোজ্যতেল গ্রহণ বাড়ছে।
দেশে হৃদরোগে মৃত্যু বেশি
বিবিএসের একটি জরিপের তথ্য বলছে, দেশে ২০২০ সালে প্রায় ২ লাখ ২৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে (হার্ট অ্যাটাক ও হাট ডিজিজ)। দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় এই কারণে। আর ট্রান্সফ্যাট হৃদরোগের অন্যতম কারণ।
হৃদরোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার পেছনে মানুষকে উচ্চ হারে ব্যয় করতে হয়। অনেক পরিবারকে স্বজনের হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সম্পদ বিক্রি করতে হয়। দরিদ্র পরিবারগুলো অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসাই করাতে পারে না।

বাংলাদেশের বাজারে ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের বেশির ভাগের মধ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রায় ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া গেছে। এসব তেল খাওয়ার ফলে দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। দেশের ভোজ্যতেলে ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি নিয়ে প্রথমবারের মতো সমন্বিত গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।
গবেষণায় দেশের বাজারের বিভিন্ন কোম্পানির বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংগৃহীত নমুনার প্রায় ৬৭ শতাংশের মধ্যে সহনীয় হিসেবে স্বীকৃত মাত্রার (২ শতাংশ) চেয়ে বেশি ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। খোলা সয়াবিন তেলের নমুনার ক্ষেত্রে এই হার অনেক কম, প্রায় ২৫ শতাংশ। আর পাম তেলের কোনো নমুনায় সহনীয় মাত্রার বেশি ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়নি।
ট্রান্সফ্যাট নামে পরিচিত এই ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিডের (টিএফএ) ক্ষতিকর মাত্রা পরিশোধন প্রক্রিয়ার কারণে হতে পারে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, উচ্চতাপে ভোজ্যতেল পরিশোধন করা হয় বলে ট্রান্সফ্যাট বেড়ে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস্ পি গ্র্যান্ট পাবলিক হেলথ স্কুল, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি) ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশনের (জিএআইএন) যৌথ গবেষণায় এসব চিত্র উঠে এসেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহিনের নেতৃত্বে ১৩ জন গবেষক দুই বছর ধরে এই গবেষণা চালিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশে প্রথম সমন্বিত গবেষণা বলে দাবি করছেন তাঁরা।
গবেষণা জার্নাল ফুড কেমিস্ট্রি অ্যাডভান্সেসে চলতি মাসেই প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়, পাম এবং সয়াবিন তেল বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের প্রধান উৎস। বাংলাদেশে ব্যবহৃত ভোজ্যতেলের প্রায় ৭০ শতাংশ পাম তেল এবং ২০ শতাংশ আসে সয়াবিন তেল থেকে। বাংলাদেশ তেল উৎপাদনকারী দেশ না হওয়ায় সিংহভাগই আমদানি করা হয় অপরিশোধিত তেল হিসেবে। পরে এই তেল পরিশোধনের পর মানুষের ব্যবহার উপযোগী করা হয়।
বাংলাদেশে ব্র্যান্ডেড বা বোতলজাত (ব্র্যান্ডের নাম এবং প্রস্তুতকারকের বিবরণসহ সিল করা পাত্রে বিক্রীত) এবং নন-ব্র্যান্ডেড (ড্রাম বা খোলা কনটেইনারে বিক্রি করা তেল) দুই ধরনের ভোজ্যতেলই বাজারজাত করা হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ এবং জুন-আগস্টে দেশের ৮টি বিভাগ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এই গবেষণা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগের তিনটি করে বাজার (একটি শহর ও দুটি গ্রামের) থেকে সংগ্রহ করে ১ হাজার ৫২১টি তেলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট ১০৬টি ‘কম্পোজিট বা গুচ্ছ’ নমুনার ভোজ্যতেল পরীক্ষা করা হয়।
এর মধ্যে ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের ১৮টি ‘কম্পোজিট’ নমুনা ও ৪৯টি খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান থেকে খোলা তেলের নমুনা রয়েছে। পাম তেলের ব্র্যান্ডের নমুনা নেওয়া হয় ১১টি (কম্পোজিট)। খোলা পাম তেলের নমুনা নেওয়া হয় ২৮টি (কম্পোজিট)। পরে পাঁচটি কারখানা থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সংগৃহীত নমুনা ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়। গবেষণাটির ফলাফল নিয়ে ৭ জানুয়ারি ফুড কেমিস্ট্রি অ্যাডভান্সে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট সয়াবিনে, পাম তেলে নেই
বোতলজাত সয়াবিন তেলের ১৮টি ’কম্পোজিট’ নমুনার মধ্যে ১২টিতে সহনীয় মাত্রার বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে। খোলা ড্রামজাত সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে ১২টি ‘কম্পোজিট’ নমুনায় মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে। পাম তেলের কোনোটিতে মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া যায়নি।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালে খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটি অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা করে। তা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। সেখানে খাদ্যে এর সর্বোচ্চ মাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২ শতাংশ।
গবেষণায় দেখা গেছে, সয়াবিন তেলের নমুনায় গড়ে সহনীয় মাত্রার দুই থেকে চার গুণ বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে। গবেষকেরা তেল উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেননি।
ট্রান্সফ্যাট ক্ষতিকর কেন
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিএফএ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। কারণ, এটি ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা এলডিএল বৃদ্ধি করে এবং ‘ভালো’ কোলেস্টেরল বা এইচডিএল হ্রাস করে। এইচডিএলের চেয়ে এলডিএল বাড়লে করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ট্রান্সফ্যাট বেশি গ্রহণ করা হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশেও অতীতে এমন গবেষণা হয়েছে। সেখানেও বোতলজাত সয়াবিন তেলে সহনীয় মাত্রার বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে।
পরিশোধনের সময় তেলকে উচ্চ তাপমাত্রায় রাখা হয়। এই প্রক্রিয়ায় অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডের পলিমার রূপান্তরিত হয়ে ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিডে (টিএফএ) পরিণত হয়। গবেষকেরা বলছেন, শুধু কারখানায় পরিশোধনের গলদ নয়, খাবার ভাজার জন্য বারবার একই তেল (পোড়া তেল) ব্যবহার করলে ট্রান্সফ্যাট বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাবে, দেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টন তেল আমদানি হয়। আমদানি করা তেলের প্রায় ৭০ শতাংশ পাম ও বাকিটা সয়াবিন তেল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) থানা আয়-ব্যয় জরিপ বলছে, ২০২২ সালে মাথাপিছু ভোজ্যতেল গ্রহণের হার ছিল দিনে প্রায় ৩১ গ্রাম, যা ২০১৬ সালে ছিল প্রায় ২৭ গ্রাম। ফলে দেখা যাচ্ছে, ভোজ্যতেল গ্রহণ বাড়ছে।
দেশে হৃদরোগে মৃত্যু বেশি
বিবিএসের একটি জরিপের তথ্য বলছে, দেশে ২০২০ সালে প্রায় ২ লাখ ২৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে (হার্ট অ্যাটাক ও হাট ডিজিজ)। দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় এই কারণে। আর ট্রান্সফ্যাট হৃদরোগের অন্যতম কারণ।
হৃদরোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার পেছনে মানুষকে উচ্চ হারে ব্যয় করতে হয়। অনেক পরিবারকে স্বজনের হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সম্পদ বিক্রি করতে হয়। দরিদ্র পরিবারগুলো অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসাই করাতে পারে না।

বাংলাদেশের বাজারে ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের বেশির ভাগের মধ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রায় ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া গেছে। এসব তেল খাওয়ার ফলে দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। দেশের ভোজ্যতেলে ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি নিয়ে প্রথমবারের মতো সমন্বিত গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।
গবেষণায় দেশের বাজারের বিভিন্ন কোম্পানির বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংগৃহীত নমুনার প্রায় ৬৭ শতাংশের মধ্যে সহনীয় হিসেবে স্বীকৃত মাত্রার (২ শতাংশ) চেয়ে বেশি ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। খোলা সয়াবিন তেলের নমুনার ক্ষেত্রে এই হার অনেক কম, প্রায় ২৫ শতাংশ। আর পাম তেলের কোনো নমুনায় সহনীয় মাত্রার বেশি ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়নি।
ট্রান্সফ্যাট নামে পরিচিত এই ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিডের (টিএফএ) ক্ষতিকর মাত্রা পরিশোধন প্রক্রিয়ার কারণে হতে পারে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, উচ্চতাপে ভোজ্যতেল পরিশোধন করা হয় বলে ট্রান্সফ্যাট বেড়ে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস্ পি গ্র্যান্ট পাবলিক হেলথ স্কুল, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি) ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশনের (জিএআইএন) যৌথ গবেষণায় এসব চিত্র উঠে এসেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহিনের নেতৃত্বে ১৩ জন গবেষক দুই বছর ধরে এই গবেষণা চালিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশে প্রথম সমন্বিত গবেষণা বলে দাবি করছেন তাঁরা।
গবেষণা জার্নাল ফুড কেমিস্ট্রি অ্যাডভান্সেসে চলতি মাসেই প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়, পাম এবং সয়াবিন তেল বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের প্রধান উৎস। বাংলাদেশে ব্যবহৃত ভোজ্যতেলের প্রায় ৭০ শতাংশ পাম তেল এবং ২০ শতাংশ আসে সয়াবিন তেল থেকে। বাংলাদেশ তেল উৎপাদনকারী দেশ না হওয়ায় সিংহভাগই আমদানি করা হয় অপরিশোধিত তেল হিসেবে। পরে এই তেল পরিশোধনের পর মানুষের ব্যবহার উপযোগী করা হয়।
বাংলাদেশে ব্র্যান্ডেড বা বোতলজাত (ব্র্যান্ডের নাম এবং প্রস্তুতকারকের বিবরণসহ সিল করা পাত্রে বিক্রীত) এবং নন-ব্র্যান্ডেড (ড্রাম বা খোলা কনটেইনারে বিক্রি করা তেল) দুই ধরনের ভোজ্যতেলই বাজারজাত করা হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ এবং জুন-আগস্টে দেশের ৮টি বিভাগ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এই গবেষণা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগের তিনটি করে বাজার (একটি শহর ও দুটি গ্রামের) থেকে সংগ্রহ করে ১ হাজার ৫২১টি তেলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট ১০৬টি ‘কম্পোজিট বা গুচ্ছ’ নমুনার ভোজ্যতেল পরীক্ষা করা হয়।
এর মধ্যে ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের ১৮টি ‘কম্পোজিট’ নমুনা ও ৪৯টি খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান থেকে খোলা তেলের নমুনা রয়েছে। পাম তেলের ব্র্যান্ডের নমুনা নেওয়া হয় ১১টি (কম্পোজিট)। খোলা পাম তেলের নমুনা নেওয়া হয় ২৮টি (কম্পোজিট)। পরে পাঁচটি কারখানা থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সংগৃহীত নমুনা ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়। গবেষণাটির ফলাফল নিয়ে ৭ জানুয়ারি ফুড কেমিস্ট্রি অ্যাডভান্সে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট সয়াবিনে, পাম তেলে নেই
বোতলজাত সয়াবিন তেলের ১৮টি ’কম্পোজিট’ নমুনার মধ্যে ১২টিতে সহনীয় মাত্রার বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে। খোলা ড্রামজাত সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে ১২টি ‘কম্পোজিট’ নমুনায় মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে। পাম তেলের কোনোটিতে মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া যায়নি।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালে খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটি অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা করে। তা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। সেখানে খাদ্যে এর সর্বোচ্চ মাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২ শতাংশ।
গবেষণায় দেখা গেছে, সয়াবিন তেলের নমুনায় গড়ে সহনীয় মাত্রার দুই থেকে চার গুণ বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে। গবেষকেরা তেল উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেননি।
ট্রান্সফ্যাট ক্ষতিকর কেন
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিএফএ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। কারণ, এটি ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা এলডিএল বৃদ্ধি করে এবং ‘ভালো’ কোলেস্টেরল বা এইচডিএল হ্রাস করে। এইচডিএলের চেয়ে এলডিএল বাড়লে করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ট্রান্সফ্যাট বেশি গ্রহণ করা হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশেও অতীতে এমন গবেষণা হয়েছে। সেখানেও বোতলজাত সয়াবিন তেলে সহনীয় মাত্রার বেশি ট্রান্সফ্যাট পাওয়া গেছে।
পরিশোধনের সময় তেলকে উচ্চ তাপমাত্রায় রাখা হয়। এই প্রক্রিয়ায় অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডের পলিমার রূপান্তরিত হয়ে ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিডে (টিএফএ) পরিণত হয়। গবেষকেরা বলছেন, শুধু কারখানায় পরিশোধনের গলদ নয়, খাবার ভাজার জন্য বারবার একই তেল (পোড়া তেল) ব্যবহার করলে ট্রান্সফ্যাট বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাবে, দেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টন তেল আমদানি হয়। আমদানি করা তেলের প্রায় ৭০ শতাংশ পাম ও বাকিটা সয়াবিন তেল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) থানা আয়-ব্যয় জরিপ বলছে, ২০২২ সালে মাথাপিছু ভোজ্যতেল গ্রহণের হার ছিল দিনে প্রায় ৩১ গ্রাম, যা ২০১৬ সালে ছিল প্রায় ২৭ গ্রাম। ফলে দেখা যাচ্ছে, ভোজ্যতেল গ্রহণ বাড়ছে।
দেশে হৃদরোগে মৃত্যু বেশি
বিবিএসের একটি জরিপের তথ্য বলছে, দেশে ২০২০ সালে প্রায় ২ লাখ ২৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে (হার্ট অ্যাটাক ও হাট ডিজিজ)। দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় এই কারণে। আর ট্রান্সফ্যাট হৃদরোগের অন্যতম কারণ।
হৃদরোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার পেছনে মানুষকে উচ্চ হারে ব্যয় করতে হয়। অনেক পরিবারকে স্বজনের হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সম্পদ বিক্রি করতে হয়। দরিদ্র পরিবারগুলো অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসাই করাতে পারে না।

চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন পড়তে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। অ্যামক্সিসিলিন নাকি অন্য কিছু—চিকিৎসকের সেই দুর্বোধ্য হাতের লেখা অনেক সময় রোগী ও ফার্মাসিস্টদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবার সেই চিরাচরিত সমস্যার সমাধানে ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি) দেশব্যাপী...
২ দিন আগে
দেশে দীর্ঘদিন ধরে যক্ষ্মা একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্বের যক্ষ্মাপ্রবণ ২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) মিলে রোগটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার প্রাদুর্ভাবসহ ইতিমধ্যে ছিল নানা চ্যালেঞ্জ।
৫ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৫ দিন আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন পড়তে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। অ্যামোক্সিসিলিন নাকি অন্য কিছু—চিকিৎসকের সেই দুর্বোধ্য হাতের লেখা অনেক সময় রোগী ও ফার্মাসিস্টদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবার সেই চিরাচরিত সমস্যার সমাধানে ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি) দেশব্যাপী এক কঠোর নির্দেশ জারি করেছে। এখন থেকে চিকিৎসকদের অবশ্যই পরিষ্কার ও পাঠযোগ্য হাতের লেখায় প্রেসক্রিপশন লিখতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশনের কারণে ভুল ওষুধ সেবন এবং এর ফলে হওয়া শারীরিক ক্ষতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন আদালত ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট এই বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নেন। আদালত স্পষ্টভাবে জানান, অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশন ভুল ওষুধ এবং ভুল মাত্রার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, যা শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আদালতের মতে, পাঠযোগ্য প্রেসক্রিপশন পাওয়া রোগীর সংবিধানপ্রদত্ত ‘স্বাস্থ্যের অধিকার’-এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এনএমসির দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী, রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে:
স্পষ্ট হাতের লেখা—প্রেসক্রিপশন অবশ্যই অস্পষ্টতামুক্ত এবং স্পষ্ট হাতের লেখায় লিখতে হবে। সম্ভব হলে বড় হাতের অক্ষরে (ক্যাপিটেল লেটার) লেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জেনেরিক নাম—প্রতিটি ওষুধের স্পষ্টভাবে জেনেরিক নামে লিখতে হবে।
তদারকি কমিটি—ভারতের প্রতিটি মেডিকেল কলেজে একটি করে সাব-কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি প্রেসক্রিপশন লেখার ধরন নিয়মিত তদারকি করবে এবং চিকিৎসকেরা নিয়ম মানছেন কি না, তা নিশ্চিত করবে।
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ—মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে এখন থেকে ‘স্পষ্ট প্রেসক্রিপশন লিখন’-কে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
কেন এটি জরুরি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মনে করে, ওষুধের ভুল (medication error) বিশ্বব্যাপী রোগীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশনের কারণে ভুল ওষুধ বা ভুল মাত্রা সেবনের ফলে দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে মৃত্যুও হতে পারে। এনএমসির এই পদক্ষেপটি চিকিৎসাব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার একটি বড় ধাপ।
ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও প্রেসক্রিপশন স্পষ্ট করে লেখা নিয়ে উচ্চ আদালতের পুরোনো একটি নির্দেশনা রয়েছে। ২০১৭ সালে চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) স্পষ্টভাবে বা বড় অক্ষরে বা ছাপানো আকারে দিতে চিকিৎসকদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। স্বাস্থ্যসচিব এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন পড়তে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। অ্যামোক্সিসিলিন নাকি অন্য কিছু—চিকিৎসকের সেই দুর্বোধ্য হাতের লেখা অনেক সময় রোগী ও ফার্মাসিস্টদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবার সেই চিরাচরিত সমস্যার সমাধানে ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি) দেশব্যাপী এক কঠোর নির্দেশ জারি করেছে। এখন থেকে চিকিৎসকদের অবশ্যই পরিষ্কার ও পাঠযোগ্য হাতের লেখায় প্রেসক্রিপশন লিখতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশনের কারণে ভুল ওষুধ সেবন এবং এর ফলে হওয়া শারীরিক ক্ষতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন আদালত ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট এই বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নেন। আদালত স্পষ্টভাবে জানান, অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশন ভুল ওষুধ এবং ভুল মাত্রার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, যা শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আদালতের মতে, পাঠযোগ্য প্রেসক্রিপশন পাওয়া রোগীর সংবিধানপ্রদত্ত ‘স্বাস্থ্যের অধিকার’-এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এনএমসির দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী, রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে:
স্পষ্ট হাতের লেখা—প্রেসক্রিপশন অবশ্যই অস্পষ্টতামুক্ত এবং স্পষ্ট হাতের লেখায় লিখতে হবে। সম্ভব হলে বড় হাতের অক্ষরে (ক্যাপিটেল লেটার) লেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জেনেরিক নাম—প্রতিটি ওষুধের স্পষ্টভাবে জেনেরিক নামে লিখতে হবে।
তদারকি কমিটি—ভারতের প্রতিটি মেডিকেল কলেজে একটি করে সাব-কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি প্রেসক্রিপশন লেখার ধরন নিয়মিত তদারকি করবে এবং চিকিৎসকেরা নিয়ম মানছেন কি না, তা নিশ্চিত করবে।
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ—মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে এখন থেকে ‘স্পষ্ট প্রেসক্রিপশন লিখন’-কে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
কেন এটি জরুরি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মনে করে, ওষুধের ভুল (medication error) বিশ্বব্যাপী রোগীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশনের কারণে ভুল ওষুধ বা ভুল মাত্রা সেবনের ফলে দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে মৃত্যুও হতে পারে। এনএমসির এই পদক্ষেপটি চিকিৎসাব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার একটি বড় ধাপ।
ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও প্রেসক্রিপশন স্পষ্ট করে লেখা নিয়ে উচ্চ আদালতের পুরোনো একটি নির্দেশনা রয়েছে। ২০১৭ সালে চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) স্পষ্টভাবে বা বড় অক্ষরে বা ছাপানো আকারে দিতে চিকিৎসকদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। স্বাস্থ্যসচিব এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশের বাজারে ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের বেশিরভাগের মধ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রায় ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া গেছে। এসব তেল খাওয়ার ফলে দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। দেশের ভোজ্য তেলে ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি নিয়ে প্রথমবারের মতো সমন্বিত গবেষণায় এই চিত্র উ
১৫ জানুয়ারি ২০২৪
দেশে দীর্ঘদিন ধরে যক্ষ্মা একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্বের যক্ষ্মাপ্রবণ ২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) মিলে রোগটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার প্রাদুর্ভাবসহ ইতিমধ্যে ছিল নানা চ্যালেঞ্জ।
৫ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৫ দিন আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৬ দিন আগেমুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দেশে দীর্ঘদিন ধরে যক্ষ্মা একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্বের যক্ষ্মাপ্রবণ ২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) মিলে রোগটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার প্রাদুর্ভাবসহ ইতিমধ্যে ছিল নানা চ্যালেঞ্জ। এগুলোর মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক অর্থায়ন বন্ধের কারণে জনবল হারিয়ে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চাপে পড়তে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এতে দেশে রোগটির প্রাদুর্ভাব বাড়বে।
সংক্রামক এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ যক্ষ্মার মোকাবিলায় সরকারের প্রধান কর্মসূচি হচ্ছে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিপি)। দীর্ঘদিন ধরে এই কর্মসূচিতে অর্থায়ন করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডি। তবে ট্রাম্প সরকারের বৈশ্বিক কাটছাঁটের অংশ হিসেবে সংস্থাটি প্রায় এক বছর আগে তাদের অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। চলতি মাসের ৩১ ডিসেম্বর গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে নতুন করে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অন্তত ৬২৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছেন। এর ফলে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি দেশে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
প্রায় তিন দশক ধরে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে ‘সেক্টর কর্মসূচি’ নামে পরিচিত স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত কর্মসূচির অধীন অপারেশন প্ল্যানের (ওপি) আওতায়। ২০২৪ সালের জুনে এই কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়। চলতি বছরের মাঝামাঝি সরকার সেক্টর কর্মসূচি বিলুপ্ত করে। বর্তমানে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাইকোব্যাকটেরিয়াল ডিজিজ কন্ট্রোল (এমবিডিসি) কর্মসূচির আওতায়।
চলতি মাসের শেষেই গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে গত ২০ নভেম্বর এমবিডিসি কর্মসূচির পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আলী হাবিব স্বাক্ষরিত চিঠি পান এনটিপির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চিঠিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বর গ্লোবাল ফান্ডের ‘অর্থায়নসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত’ কার্যকর হবে বলে জানানো হয়। এতে চুক্তি অনুযায়ী অনেকের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে। নতুন অর্থের জোগান না এলে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে না।
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন বছরের শুরু থেকে সারা দেশে প্রায় ৬৫০ কেন্দ্রে যক্ষ্মা শনাক্তকরণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর আগে ইউএসএইডের অর্থায়ন বন্ধ হলে প্রায় সোয়া ২ হাজার কর্মী চাকরি হারান। ফলে মাঠপর্যায়ে অনেক এলাকায় রোগী শনাক্ত কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) বলছে, দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশের মধ্যে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে ২ দশমিক ১৬ শতাংশ। ১৯৯৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) যক্ষ্মাকে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণা করে।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ রয়েছে এমন প্রায় ৩০ লাখ মানুষের পরীক্ষা করা হয়। এতে মোট ৩ লাখ ১৩ হাজার ৬২৪ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়। ২০১০ সালে দেশে যক্ষ্মায় আনুমানিক মৃত্যুহার ছিল প্রতি লাখে ৫৪ জন। কর্মসূচি বহাল থাকায় ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি লাখে ২৬ জনে।
এদিকে শুধু চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬০৭ জন। এর মধ্যে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা (এমডিআর টিবি) রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২৫৮ জন। প্রচলিত একাধিক ওষুধে কাজ না হলে তাকে বলা হয় মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট বা এমডিআর যক্ষ্মা।
এই অবস্থায় অর্থায়ন বন্ধ হলে বাধার মুখে পড়বে গুরুত্বপূর্ণ যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। ৬৪ জন ডিস্ট্রিক্ট সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার, ৪১৪ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাবরেটরি), ৬৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওলজি), ১২ জন প্রোগ্রাম অফিসার, ৫৭ জন ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট, ১৫ জন ল্যাব সাপোর্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং একজন কমিউনিকেশন অ্যান্ড ডকুমেন্টেশন অফিসারের চাকরি ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিপির একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, গ্লোবাল ফান্ডের সঙ্গে সরকারের কথাবার্তা চলছে। কিন্তু গ্লোবাল ফান্ড আগামী জানুয়ারি থেকে আর অর্থায়ন করতে চাইছে না। এই অবস্থায় যাঁরা যক্ষ্মা কর্মসূচিতে কাজ করছেন, তাঁরা সবাই চাকরি হারাবেন বলে জানানো হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি লিখে অনুরোধ করা হয়েছে, ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত যেন তাঁদের চাকরিতে রাখা হয়।
এমনিতেই যখন দেশে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের হার কম, সেখানে অর্থায়নের জটিলতা রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে বড় বাধার মুখে ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. কাজী সাইফুদ্দিন বেননুর। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে ইউএসএআইডির অর্থায়ন বন্ধ রয়েছে। এখন গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নও বন্ধ হলে রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সমস্যা তৈরি হবে। সরকার গ্লোবাল ফান্ডের সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করছে। হয়তো তারা আবারও অর্থায়ন শুরু করবে, তবে এতে সময় লাগবে। এই সময়ে সরকারের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে কিছুটা জটিলতা দেখা দিতে পারে।’
কাজী সাইফুদ্দিন বেননুর বলেন, কার্যকরভাবে যক্ষ্মা শনাক্ত করার লক্ষ্যে সরকার কিছু জিন এক্সপার্ট আলট্রা মেশিন কিনেছিল। অর্থায়ন বা যথেষ্ট লোকবল না থাকলে এগুলো অকেজো হয়ে যাবে। এতে রোগ নিয়ন্ত্রণে শূন্য স্থান (গ্যাপ) তৈরি হবে। এক্স-রে পরীক্ষার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রাথমিক নির্ণয়ের সুযোগ থাকায় রেডিওলজির ওপর চাপ কমে। এখন সেখানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ ছাড়া যাদের ক্ষেত্রে কাশি দিয়ে কফ বের করে যক্ষ্মা শনাক্ত করা যায় না, তাদের জন্য মুখের লালা দিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল। সেটিও বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরকারের হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যায়। প্রতিদিন নতুন রোগী যোগ হয় ১ হাজার ৩৮ জন। দিনে মারা যায় ১২১ জন। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার রোগী বাড়ছে। রোগ নিরাময় হার সাধারণ যক্ষ্মায় ৯৫ শতাংশ হলেও ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় মাত্র ৭০-৮০ শতাংশ। গত বছর ১ হাজার ৭৯৯ জন ওষুধ প্রতিরোধী রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এইচআইভি-আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুর প্রধান কারণ যক্ষ্মা। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সেও সবচেয়ে বড় প্রভাবক হলো যক্ষ্মা। সংক্রামক এই রোগে আক্রান্তের বেশির ভাগ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের মানুষ।
এ বিষয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। অর্থায়ন বন্ধের বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘গ্লোবাল ফান্ড হয়তো একসঙ্গে অর্থায়ন কমাবে না বা সম্পূর্ণ বাতিল করবে না। যেটুকু অর্থায়ন তারা কমাবে, সরকার রাজস্ব থেকে তা পূরণ করবে। ফলে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে কোথাও বাধা সৃষ্টি হবে না। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যক্ষ্মা পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হব। ওপি বন্ধ হওয়ার কারণে কোনো কাজই থেমে যায়নি। সরকার রাজস্ব খাত থেকে অর্থায়ন করে সব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’

দেশে দীর্ঘদিন ধরে যক্ষ্মা একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্বের যক্ষ্মাপ্রবণ ২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) মিলে রোগটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার প্রাদুর্ভাবসহ ইতিমধ্যে ছিল নানা চ্যালেঞ্জ। এগুলোর মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক অর্থায়ন বন্ধের কারণে জনবল হারিয়ে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চাপে পড়তে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এতে দেশে রোগটির প্রাদুর্ভাব বাড়বে।
সংক্রামক এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ যক্ষ্মার মোকাবিলায় সরকারের প্রধান কর্মসূচি হচ্ছে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিপি)। দীর্ঘদিন ধরে এই কর্মসূচিতে অর্থায়ন করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডি। তবে ট্রাম্প সরকারের বৈশ্বিক কাটছাঁটের অংশ হিসেবে সংস্থাটি প্রায় এক বছর আগে তাদের অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। চলতি মাসের ৩১ ডিসেম্বর গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে নতুন করে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অন্তত ৬২৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছেন। এর ফলে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি দেশে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
প্রায় তিন দশক ধরে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে ‘সেক্টর কর্মসূচি’ নামে পরিচিত স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত কর্মসূচির অধীন অপারেশন প্ল্যানের (ওপি) আওতায়। ২০২৪ সালের জুনে এই কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়। চলতি বছরের মাঝামাঝি সরকার সেক্টর কর্মসূচি বিলুপ্ত করে। বর্তমানে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাইকোব্যাকটেরিয়াল ডিজিজ কন্ট্রোল (এমবিডিসি) কর্মসূচির আওতায়।
চলতি মাসের শেষেই গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে গত ২০ নভেম্বর এমবিডিসি কর্মসূচির পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আলী হাবিব স্বাক্ষরিত চিঠি পান এনটিপির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চিঠিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বর গ্লোবাল ফান্ডের ‘অর্থায়নসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত’ কার্যকর হবে বলে জানানো হয়। এতে চুক্তি অনুযায়ী অনেকের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে। নতুন অর্থের জোগান না এলে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে না।
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নতুন বছরের শুরু থেকে সারা দেশে প্রায় ৬৫০ কেন্দ্রে যক্ষ্মা শনাক্তকরণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর আগে ইউএসএইডের অর্থায়ন বন্ধ হলে প্রায় সোয়া ২ হাজার কর্মী চাকরি হারান। ফলে মাঠপর্যায়ে অনেক এলাকায় রোগী শনাক্ত কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) বলছে, দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশের মধ্যে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে ২ দশমিক ১৬ শতাংশ। ১৯৯৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) যক্ষ্মাকে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণা করে।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ রয়েছে এমন প্রায় ৩০ লাখ মানুষের পরীক্ষা করা হয়। এতে মোট ৩ লাখ ১৩ হাজার ৬২৪ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়। ২০১০ সালে দেশে যক্ষ্মায় আনুমানিক মৃত্যুহার ছিল প্রতি লাখে ৫৪ জন। কর্মসূচি বহাল থাকায় ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি লাখে ২৬ জনে।
এদিকে শুধু চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬০৭ জন। এর মধ্যে ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা (এমডিআর টিবি) রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২৫৮ জন। প্রচলিত একাধিক ওষুধে কাজ না হলে তাকে বলা হয় মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট বা এমডিআর যক্ষ্মা।
এই অবস্থায় অর্থায়ন বন্ধ হলে বাধার মুখে পড়বে গুরুত্বপূর্ণ যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। ৬৪ জন ডিস্ট্রিক্ট সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার, ৪১৪ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাবরেটরি), ৬৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওলজি), ১২ জন প্রোগ্রাম অফিসার, ৫৭ জন ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট, ১৫ জন ল্যাব সাপোর্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং একজন কমিউনিকেশন অ্যান্ড ডকুমেন্টেশন অফিসারের চাকরি ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিপির একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, গ্লোবাল ফান্ডের সঙ্গে সরকারের কথাবার্তা চলছে। কিন্তু গ্লোবাল ফান্ড আগামী জানুয়ারি থেকে আর অর্থায়ন করতে চাইছে না। এই অবস্থায় যাঁরা যক্ষ্মা কর্মসূচিতে কাজ করছেন, তাঁরা সবাই চাকরি হারাবেন বলে জানানো হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি লিখে অনুরোধ করা হয়েছে, ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত যেন তাঁদের চাকরিতে রাখা হয়।
এমনিতেই যখন দেশে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের হার কম, সেখানে অর্থায়নের জটিলতা রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে বড় বাধার মুখে ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. কাজী সাইফুদ্দিন বেননুর। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে ইউএসএআইডির অর্থায়ন বন্ধ রয়েছে। এখন গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নও বন্ধ হলে রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সমস্যা তৈরি হবে। সরকার গ্লোবাল ফান্ডের সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করছে। হয়তো তারা আবারও অর্থায়ন শুরু করবে, তবে এতে সময় লাগবে। এই সময়ে সরকারের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে কিছুটা জটিলতা দেখা দিতে পারে।’
কাজী সাইফুদ্দিন বেননুর বলেন, কার্যকরভাবে যক্ষ্মা শনাক্ত করার লক্ষ্যে সরকার কিছু জিন এক্সপার্ট আলট্রা মেশিন কিনেছিল। অর্থায়ন বা যথেষ্ট লোকবল না থাকলে এগুলো অকেজো হয়ে যাবে। এতে রোগ নিয়ন্ত্রণে শূন্য স্থান (গ্যাপ) তৈরি হবে। এক্স-রে পরীক্ষার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রাথমিক নির্ণয়ের সুযোগ থাকায় রেডিওলজির ওপর চাপ কমে। এখন সেখানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ ছাড়া যাদের ক্ষেত্রে কাশি দিয়ে কফ বের করে যক্ষ্মা শনাক্ত করা যায় না, তাদের জন্য মুখের লালা দিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল। সেটিও বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরকারের হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যায়। প্রতিদিন নতুন রোগী যোগ হয় ১ হাজার ৩৮ জন। দিনে মারা যায় ১২১ জন। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার রোগী বাড়ছে। রোগ নিরাময় হার সাধারণ যক্ষ্মায় ৯৫ শতাংশ হলেও ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় মাত্র ৭০-৮০ শতাংশ। গত বছর ১ হাজার ৭৯৯ জন ওষুধ প্রতিরোধী রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এইচআইভি-আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুর প্রধান কারণ যক্ষ্মা। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সেও সবচেয়ে বড় প্রভাবক হলো যক্ষ্মা। সংক্রামক এই রোগে আক্রান্তের বেশির ভাগ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের মানুষ।
এ বিষয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। অর্থায়ন বন্ধের বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘গ্লোবাল ফান্ড হয়তো একসঙ্গে অর্থায়ন কমাবে না বা সম্পূর্ণ বাতিল করবে না। যেটুকু অর্থায়ন তারা কমাবে, সরকার রাজস্ব থেকে তা পূরণ করবে। ফলে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে কোথাও বাধা সৃষ্টি হবে না। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যক্ষ্মা পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হব। ওপি বন্ধ হওয়ার কারণে কোনো কাজই থেমে যায়নি। সরকার রাজস্ব খাত থেকে অর্থায়ন করে সব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’

বাংলাদেশের বাজারে ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের বেশিরভাগের মধ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রায় ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া গেছে। এসব তেল খাওয়ার ফলে দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। দেশের ভোজ্য তেলে ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি নিয়ে প্রথমবারের মতো সমন্বিত গবেষণায় এই চিত্র উ
১৫ জানুয়ারি ২০২৪
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন পড়তে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। অ্যামক্সিসিলিন নাকি অন্য কিছু—চিকিৎসকের সেই দুর্বোধ্য হাতের লেখা অনেক সময় রোগী ও ফার্মাসিস্টদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবার সেই চিরাচরিত সমস্যার সমাধানে ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি) দেশব্যাপী...
২ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৫ দিন আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

বাংলাদেশের বাজারে ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের বেশিরভাগের মধ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রায় ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া গেছে। এসব তেল খাওয়ার ফলে দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। দেশের ভোজ্য তেলে ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি নিয়ে প্রথমবারের মতো সমন্বিত গবেষণায় এই চিত্র উ
১৫ জানুয়ারি ২০২৪
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন পড়তে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। অ্যামক্সিসিলিন নাকি অন্য কিছু—চিকিৎসকের সেই দুর্বোধ্য হাতের লেখা অনেক সময় রোগী ও ফার্মাসিস্টদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবার সেই চিরাচরিত সমস্যার সমাধানে ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি) দেশব্যাপী...
২ দিন আগে
দেশে দীর্ঘদিন ধরে যক্ষ্মা একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্বের যক্ষ্মাপ্রবণ ২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) মিলে রোগটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার প্রাদুর্ভাবসহ ইতিমধ্যে ছিল নানা চ্যালেঞ্জ।
৫ দিন আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৬ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

বাংলাদেশের বাজারে ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের বেশিরভাগের মধ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রায় ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া গেছে। এসব তেল খাওয়ার ফলে দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। দেশের ভোজ্য তেলে ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি নিয়ে প্রথমবারের মতো সমন্বিত গবেষণায় এই চিত্র উ
১৫ জানুয়ারি ২০২৪
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন পড়তে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। অ্যামক্সিসিলিন নাকি অন্য কিছু—চিকিৎসকের সেই দুর্বোধ্য হাতের লেখা অনেক সময় রোগী ও ফার্মাসিস্টদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবার সেই চিরাচরিত সমস্যার সমাধানে ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি) দেশব্যাপী...
২ দিন আগে
দেশে দীর্ঘদিন ধরে যক্ষ্মা একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্বের যক্ষ্মাপ্রবণ ২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) মিলে রোগটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার প্রাদুর্ভাবসহ ইতিমধ্যে ছিল নানা চ্যালেঞ্জ।
৫ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৫ দিন আগে