
ভারতের পাঁচ রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামে অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজ্যসভা নির্বাচন। ভারতের প্রধান সারির দুটি সংবাদমাধ্যমের বুথফেরত জরিপ থেকে অনুমান করা হচ্ছে, এই নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেস দুটি করে রাজ্যে জয় পেতে যাচ্ছে। অপর রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলোই প্রাধান্য বিস্তার করে রেখেছে।
এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ বলছে, এত দিন কংগ্রেসের শাসনাধীনে থাকা রাজস্থান কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। রাজ্যটির ১৯৯ আসনের রাজ্যসভায় বিজেপির দখলে যেতে পারে ১০৪টি আসন ও কংগ্রেস পেতে পারে ৮৫টি। রাজ্যটির বর্তমান সরকার কংগ্রেসের। অশোক গেহলটের নেতৃত্বে কংগ্রেস ১০০ আসন নিয়ে সরকার গঠন করেছিল। তবে এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসের হাতছাড়া হতে যাচ্ছে রাজ্যটি।
রাজস্থান নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ বলছে, বিজেপি ৯৪ থেকে ১১৪টি আসন পেতে পারে। কংগ্রেসের দখলে যেতে পারে ৭১ থেকে ৯১টি আসন। অন্যান্য দল নিয়ে যেতে পারে ৯ থেকে ১৯টি আসন।
বর্তমানের বিজেপি নিয়ন্ত্রণে থাকা মধ্যপ্রদেশে আবারও সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দলটি। এমনটাই বলছে এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ। রাজ্যটির ২৩০ আসনের রাজ্যসভায় বিজেপি পেতে পারে ১২৪টি আসন এবং কংগ্রেস ১০২টি। তবে এই রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ বলছে, রাজ্যটিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় যেতে পারে। দলটি ১১৩ থেকে ১৩৭টি আসন পেতে পারে। বিপরীতে বিজেপির আসনসংখ্যা কমে নামতে পারে ৮৮ থেকে ১১২ তে।
রাজাস্থানের নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কা থাকলেও ছত্তিশগড়ে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখবে কংগ্রেস। আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ বলছে, ৯০ আসনের রাজ্যসভায় কংগ্রেস পেতে পারে ৪১ থেকে ৫৩টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৩৮ থেকে ৪৮টি আসন। সরকার গঠনের জন্য এই রাজ্যসভায় আসন দখলে থাকতে হবে অন্তত ৪৬টি। এই বড় দুই দলের বাইরে অন্যান্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দখলে যেতে পারে সর্বোচ্চ চারটি আসন।
এনডিটিভির বুথফেরত জরিপেও ছত্তিশগড়ে এগিয়ে আছে কংগ্রেস। এই রাজ্যে কংগ্রেস ৪৯ আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে বলে বলছে এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ। বিপরীতে বিজেপি পাবে ৩৮টি আসন।
ছত্তিশগড়ের পাশাপাশি তেলেঙ্গানা এবার যুক্ত হতে পারে কংগ্রেসের ঝুলিতে। এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ বলছে, ১১৯ আসনের রাজ্যসভায় কংগ্রেস ৬২ আসন নিয়ে এগিয়ে থাকবে। বিপরীতে বিজেপি পাবে মাত্র সাতটি আসন। তবে বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি পাবে ৪৪টি আসন। এই রাজ্যে কংগ্রেসকেই এগিয়ে রাখছে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ। তাদের হিসাব অনুসারে, তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস পাবে ৪৯ থেকে ৬৫ আসন, ভারত রাষ্ট্র সমিতি পাবে ৩৮ থেকে ৫৪ আসন এবং বিজেপি পাবে ৫ থেকে ১৩টি আসন।
তবে মিজোরামে কংগ্রেস বা বিজেপির কোনো দখল নেই। রাজ্যটির শাসনভার স্থানীয় দলগুলোর হাতেই থাকছে। এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ অনুসারে, ৪০ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস বড়জোর সাতটি আসন পেলেও এখানে বিজেপির পক্ষে একটি আসন দখলও সম্ভব নয়।
বিজেপির মিত্র বলে পরিচিত মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট প্রধান বিরোধী দল হতে পারে। ৪০ আসনের রাজ্যসভায় দলটি পেতে পারে ১৪টি আসন। এবারে রাজ্যটিতে চমক দেখাতে পারে নতুন দল জোরাম পিপলস মুভমেন্ট। এককভাবে দলটি সরকার গঠন করতে না পারলেও দলটি ১৭ আসন নিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে। এ ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সহায়তা নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে তারা।
তবে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ এর বিপরীত ইঙ্গিতই দিচ্ছে। তাদের জরিপ বলছে, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট ১৫ থেকে ২১টি আসন নিয়ে এগিয়ে থাকবে। বিপরীতে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট পাবে ১২ থেকে ১৮টি আসন। এই রাজ্যে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ অনুসারে কংগ্রেস পেতে পারে দুই থেকে সর্বোচ্চ আটটি আসন।
উল্লেখ্য, আগামী ৫ ডিসেম্বর এই পাঁচ রাজ্যের রাজ্যসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবে।

ভারতের পাঁচ রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামে অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজ্যসভা নির্বাচন। ভারতের প্রধান সারির দুটি সংবাদমাধ্যমের বুথফেরত জরিপ থেকে অনুমান করা হচ্ছে, এই নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেস দুটি করে রাজ্যে জয় পেতে যাচ্ছে। অপর রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলোই প্রাধান্য বিস্তার করে রেখেছে।
এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ বলছে, এত দিন কংগ্রেসের শাসনাধীনে থাকা রাজস্থান কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। রাজ্যটির ১৯৯ আসনের রাজ্যসভায় বিজেপির দখলে যেতে পারে ১০৪টি আসন ও কংগ্রেস পেতে পারে ৮৫টি। রাজ্যটির বর্তমান সরকার কংগ্রেসের। অশোক গেহলটের নেতৃত্বে কংগ্রেস ১০০ আসন নিয়ে সরকার গঠন করেছিল। তবে এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসের হাতছাড়া হতে যাচ্ছে রাজ্যটি।
রাজস্থান নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ বলছে, বিজেপি ৯৪ থেকে ১১৪টি আসন পেতে পারে। কংগ্রেসের দখলে যেতে পারে ৭১ থেকে ৯১টি আসন। অন্যান্য দল নিয়ে যেতে পারে ৯ থেকে ১৯টি আসন।
বর্তমানের বিজেপি নিয়ন্ত্রণে থাকা মধ্যপ্রদেশে আবারও সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দলটি। এমনটাই বলছে এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ। রাজ্যটির ২৩০ আসনের রাজ্যসভায় বিজেপি পেতে পারে ১২৪টি আসন এবং কংগ্রেস ১০২টি। তবে এই রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ বলছে, রাজ্যটিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় যেতে পারে। দলটি ১১৩ থেকে ১৩৭টি আসন পেতে পারে। বিপরীতে বিজেপির আসনসংখ্যা কমে নামতে পারে ৮৮ থেকে ১১২ তে।
রাজাস্থানের নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কা থাকলেও ছত্তিশগড়ে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখবে কংগ্রেস। আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ বলছে, ৯০ আসনের রাজ্যসভায় কংগ্রেস পেতে পারে ৪১ থেকে ৫৩টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৩৮ থেকে ৪৮টি আসন। সরকার গঠনের জন্য এই রাজ্যসভায় আসন দখলে থাকতে হবে অন্তত ৪৬টি। এই বড় দুই দলের বাইরে অন্যান্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দখলে যেতে পারে সর্বোচ্চ চারটি আসন।
এনডিটিভির বুথফেরত জরিপেও ছত্তিশগড়ে এগিয়ে আছে কংগ্রেস। এই রাজ্যে কংগ্রেস ৪৯ আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে বলে বলছে এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ। বিপরীতে বিজেপি পাবে ৩৮টি আসন।
ছত্তিশগড়ের পাশাপাশি তেলেঙ্গানা এবার যুক্ত হতে পারে কংগ্রেসের ঝুলিতে। এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ বলছে, ১১৯ আসনের রাজ্যসভায় কংগ্রেস ৬২ আসন নিয়ে এগিয়ে থাকবে। বিপরীতে বিজেপি পাবে মাত্র সাতটি আসন। তবে বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি পাবে ৪৪টি আসন। এই রাজ্যে কংগ্রেসকেই এগিয়ে রাখছে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ। তাদের হিসাব অনুসারে, তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস পাবে ৪৯ থেকে ৬৫ আসন, ভারত রাষ্ট্র সমিতি পাবে ৩৮ থেকে ৫৪ আসন এবং বিজেপি পাবে ৫ থেকে ১৩টি আসন।
তবে মিজোরামে কংগ্রেস বা বিজেপির কোনো দখল নেই। রাজ্যটির শাসনভার স্থানীয় দলগুলোর হাতেই থাকছে। এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ অনুসারে, ৪০ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস বড়জোর সাতটি আসন পেলেও এখানে বিজেপির পক্ষে একটি আসন দখলও সম্ভব নয়।
বিজেপির মিত্র বলে পরিচিত মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট প্রধান বিরোধী দল হতে পারে। ৪০ আসনের রাজ্যসভায় দলটি পেতে পারে ১৪টি আসন। এবারে রাজ্যটিতে চমক দেখাতে পারে নতুন দল জোরাম পিপলস মুভমেন্ট। এককভাবে দলটি সরকার গঠন করতে না পারলেও দলটি ১৭ আসন নিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে। এ ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সহায়তা নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে তারা।
তবে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ এর বিপরীত ইঙ্গিতই দিচ্ছে। তাদের জরিপ বলছে, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট ১৫ থেকে ২১টি আসন নিয়ে এগিয়ে থাকবে। বিপরীতে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট পাবে ১২ থেকে ১৮টি আসন। এই রাজ্যে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ অনুসারে কংগ্রেস পেতে পারে দুই থেকে সর্বোচ্চ আটটি আসন।
উল্লেখ্য, আগামী ৫ ডিসেম্বর এই পাঁচ রাজ্যের রাজ্যসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবে।

ভারতের পাঁচ রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামে অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজ্যসভা নির্বাচন। ভারতের প্রধান সারির দুটি সংবাদমাধ্যমের বুথফেরত জরিপ থেকে অনুমান করা হচ্ছে, এই নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেস দুটি করে রাজ্যে জয় পেতে যাচ্ছে। অপর রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলোই প্রাধান্য বিস্তার করে রেখেছে।
এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ বলছে, এত দিন কংগ্রেসের শাসনাধীনে থাকা রাজস্থান কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। রাজ্যটির ১৯৯ আসনের রাজ্যসভায় বিজেপির দখলে যেতে পারে ১০৪টি আসন ও কংগ্রেস পেতে পারে ৮৫টি। রাজ্যটির বর্তমান সরকার কংগ্রেসের। অশোক গেহলটের নেতৃত্বে কংগ্রেস ১০০ আসন নিয়ে সরকার গঠন করেছিল। তবে এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসের হাতছাড়া হতে যাচ্ছে রাজ্যটি।
রাজস্থান নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ বলছে, বিজেপি ৯৪ থেকে ১১৪টি আসন পেতে পারে। কংগ্রেসের দখলে যেতে পারে ৭১ থেকে ৯১টি আসন। অন্যান্য দল নিয়ে যেতে পারে ৯ থেকে ১৯টি আসন।
বর্তমানের বিজেপি নিয়ন্ত্রণে থাকা মধ্যপ্রদেশে আবারও সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দলটি। এমনটাই বলছে এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ। রাজ্যটির ২৩০ আসনের রাজ্যসভায় বিজেপি পেতে পারে ১২৪টি আসন এবং কংগ্রেস ১০২টি। তবে এই রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ বলছে, রাজ্যটিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় যেতে পারে। দলটি ১১৩ থেকে ১৩৭টি আসন পেতে পারে। বিপরীতে বিজেপির আসনসংখ্যা কমে নামতে পারে ৮৮ থেকে ১১২ তে।
রাজাস্থানের নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কা থাকলেও ছত্তিশগড়ে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখবে কংগ্রেস। আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ বলছে, ৯০ আসনের রাজ্যসভায় কংগ্রেস পেতে পারে ৪১ থেকে ৫৩টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৩৮ থেকে ৪৮টি আসন। সরকার গঠনের জন্য এই রাজ্যসভায় আসন দখলে থাকতে হবে অন্তত ৪৬টি। এই বড় দুই দলের বাইরে অন্যান্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দখলে যেতে পারে সর্বোচ্চ চারটি আসন।
এনডিটিভির বুথফেরত জরিপেও ছত্তিশগড়ে এগিয়ে আছে কংগ্রেস। এই রাজ্যে কংগ্রেস ৪৯ আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে বলে বলছে এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ। বিপরীতে বিজেপি পাবে ৩৮টি আসন।
ছত্তিশগড়ের পাশাপাশি তেলেঙ্গানা এবার যুক্ত হতে পারে কংগ্রেসের ঝুলিতে। এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ বলছে, ১১৯ আসনের রাজ্যসভায় কংগ্রেস ৬২ আসন নিয়ে এগিয়ে থাকবে। বিপরীতে বিজেপি পাবে মাত্র সাতটি আসন। তবে বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি পাবে ৪৪টি আসন। এই রাজ্যে কংগ্রেসকেই এগিয়ে রাখছে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ। তাদের হিসাব অনুসারে, তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস পাবে ৪৯ থেকে ৬৫ আসন, ভারত রাষ্ট্র সমিতি পাবে ৩৮ থেকে ৫৪ আসন এবং বিজেপি পাবে ৫ থেকে ১৩টি আসন।
তবে মিজোরামে কংগ্রেস বা বিজেপির কোনো দখল নেই। রাজ্যটির শাসনভার স্থানীয় দলগুলোর হাতেই থাকছে। এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ অনুসারে, ৪০ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস বড়জোর সাতটি আসন পেলেও এখানে বিজেপির পক্ষে একটি আসন দখলও সম্ভব নয়।
বিজেপির মিত্র বলে পরিচিত মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট প্রধান বিরোধী দল হতে পারে। ৪০ আসনের রাজ্যসভায় দলটি পেতে পারে ১৪টি আসন। এবারে রাজ্যটিতে চমক দেখাতে পারে নতুন দল জোরাম পিপলস মুভমেন্ট। এককভাবে দলটি সরকার গঠন করতে না পারলেও দলটি ১৭ আসন নিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে। এ ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সহায়তা নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে তারা।
তবে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ এর বিপরীত ইঙ্গিতই দিচ্ছে। তাদের জরিপ বলছে, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট ১৫ থেকে ২১টি আসন নিয়ে এগিয়ে থাকবে। বিপরীতে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট পাবে ১২ থেকে ১৮টি আসন। এই রাজ্যে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ অনুসারে কংগ্রেস পেতে পারে দুই থেকে সর্বোচ্চ আটটি আসন।
উল্লেখ্য, আগামী ৫ ডিসেম্বর এই পাঁচ রাজ্যের রাজ্যসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবে।

ভারতের পাঁচ রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামে অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজ্যসভা নির্বাচন। ভারতের প্রধান সারির দুটি সংবাদমাধ্যমের বুথফেরত জরিপ থেকে অনুমান করা হচ্ছে, এই নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেস দুটি করে রাজ্যে জয় পেতে যাচ্ছে। অপর রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলোই প্রাধান্য বিস্তার করে রেখেছে।
এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ বলছে, এত দিন কংগ্রেসের শাসনাধীনে থাকা রাজস্থান কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। রাজ্যটির ১৯৯ আসনের রাজ্যসভায় বিজেপির দখলে যেতে পারে ১০৪টি আসন ও কংগ্রেস পেতে পারে ৮৫টি। রাজ্যটির বর্তমান সরকার কংগ্রেসের। অশোক গেহলটের নেতৃত্বে কংগ্রেস ১০০ আসন নিয়ে সরকার গঠন করেছিল। তবে এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসের হাতছাড়া হতে যাচ্ছে রাজ্যটি।
রাজস্থান নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ বলছে, বিজেপি ৯৪ থেকে ১১৪টি আসন পেতে পারে। কংগ্রেসের দখলে যেতে পারে ৭১ থেকে ৯১টি আসন। অন্যান্য দল নিয়ে যেতে পারে ৯ থেকে ১৯টি আসন।
বর্তমানের বিজেপি নিয়ন্ত্রণে থাকা মধ্যপ্রদেশে আবারও সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দলটি। এমনটাই বলছে এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ। রাজ্যটির ২৩০ আসনের রাজ্যসভায় বিজেপি পেতে পারে ১২৪টি আসন এবং কংগ্রেস ১০২টি। তবে এই রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ বলছে, রাজ্যটিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় যেতে পারে। দলটি ১১৩ থেকে ১৩৭টি আসন পেতে পারে। বিপরীতে বিজেপির আসনসংখ্যা কমে নামতে পারে ৮৮ থেকে ১১২ তে।
রাজাস্থানের নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কা থাকলেও ছত্তিশগড়ে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখবে কংগ্রেস। আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ বলছে, ৯০ আসনের রাজ্যসভায় কংগ্রেস পেতে পারে ৪১ থেকে ৫৩টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৩৮ থেকে ৪৮টি আসন। সরকার গঠনের জন্য এই রাজ্যসভায় আসন দখলে থাকতে হবে অন্তত ৪৬টি। এই বড় দুই দলের বাইরে অন্যান্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দখলে যেতে পারে সর্বোচ্চ চারটি আসন।
এনডিটিভির বুথফেরত জরিপেও ছত্তিশগড়ে এগিয়ে আছে কংগ্রেস। এই রাজ্যে কংগ্রেস ৪৯ আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে বলে বলছে এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ। বিপরীতে বিজেপি পাবে ৩৮টি আসন।
ছত্তিশগড়ের পাশাপাশি তেলেঙ্গানা এবার যুক্ত হতে পারে কংগ্রেসের ঝুলিতে। এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ বলছে, ১১৯ আসনের রাজ্যসভায় কংগ্রেস ৬২ আসন নিয়ে এগিয়ে থাকবে। বিপরীতে বিজেপি পাবে মাত্র সাতটি আসন। তবে বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি পাবে ৪৪টি আসন। এই রাজ্যে কংগ্রেসকেই এগিয়ে রাখছে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ। তাদের হিসাব অনুসারে, তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস পাবে ৪৯ থেকে ৬৫ আসন, ভারত রাষ্ট্র সমিতি পাবে ৩৮ থেকে ৫৪ আসন এবং বিজেপি পাবে ৫ থেকে ১৩টি আসন।
তবে মিজোরামে কংগ্রেস বা বিজেপির কোনো দখল নেই। রাজ্যটির শাসনভার স্থানীয় দলগুলোর হাতেই থাকছে। এনডিটিভির বুথফেরত জরিপ অনুসারে, ৪০ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস বড়জোর সাতটি আসন পেলেও এখানে বিজেপির পক্ষে একটি আসন দখলও সম্ভব নয়।
বিজেপির মিত্র বলে পরিচিত মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট প্রধান বিরোধী দল হতে পারে। ৪০ আসনের রাজ্যসভায় দলটি পেতে পারে ১৪টি আসন। এবারে রাজ্যটিতে চমক দেখাতে পারে নতুন দল জোরাম পিপলস মুভমেন্ট। এককভাবে দলটি সরকার গঠন করতে না পারলেও দলটি ১৭ আসন নিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে। এ ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সহায়তা নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে তারা।
তবে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ এর বিপরীত ইঙ্গিতই দিচ্ছে। তাদের জরিপ বলছে, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট ১৫ থেকে ২১টি আসন নিয়ে এগিয়ে থাকবে। বিপরীতে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট পাবে ১২ থেকে ১৮টি আসন। এই রাজ্যে আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রুপের বুথফেরত জরিপ অনুসারে কংগ্রেস পেতে পারে দুই থেকে সর্বোচ্চ আটটি আসন।
উল্লেখ্য, আগামী ৫ ডিসেম্বর এই পাঁচ রাজ্যের রাজ্যসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবে।

পুলিশ সূত্রের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় দুজন হামলাকারী জড়িত ছিলেন। নিহত ১০ জনের মধ্যে একজন বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। অন্য বন্দুকধারী আহত অবস্থায় রয়েছেন এবং তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটিতে বিদেশি দক্ষ শ্রমশক্তি নিয়োগ দেওয়ার ভিসা এইচ–১ বি’র ফি বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ২০টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
৪ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
৭ ঘণ্টা আগেঅস্ট্রেলিয়ার বন্ডি বিচে বন্দুকধারীদের গুলি, নিহত অন্তত ১০
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র বন্ডি বিচে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।
পুলিশের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দুক হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হামলাকারী বা বন্দুকধারীও রয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১২ জন সাধারণ নাগরিক, দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, হামলার সময় বন্ডি বিচে ইহুদিদের অন্যতম প্রধান উৎসব হানুক্কার প্রথম দিনের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘চানুকা বাই দ্য সি ২০২৫’ এবং এটি আজ রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে বিচসংলগ্ন শিশুদের খেলার মাঠের কাছে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। চাবাদ অব বন্ডি নামের একটি ইহুদি কেন্দ্র এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
হামলার সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা প্রত্যক্ষদর্শী ব্যারি জানান, তিনি তাঁর সন্তানদের নিয়ে হানুক্কার অনুষ্ঠানে ছিলেন, তখনই গুলির শব্দ শুরু হয়। তিনি দেখতে পান, দুজন ব্যক্তি একটি ব্রিজের ওপর থেকে জনসমাবেশের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। তিনি ঘটনাস্থলে একাধিক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি সন্তানদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে বন্ধুর গাড়িতে পালিয়ে যান। ব্যারি এ সময় অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে একটি ইহুদি অনুষ্ঠানে এমন হামলা হওয়াকে ‘অবিশ্বাস্য’ বলে বর্ণনা করেন।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী, যিনি ব্রোন্টে বিচে ছিলেন, তিনি প্রায় ২০টি গুলির শব্দ শুনতে পান। প্রথমে ভেবেছিলেন, আতশবাজির শব্দ। পরে হেলিকপ্টার উড়তে দেখে ও শুটিংয়ের খবর পেয়ে তিনি ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পারেন।
অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি বন্দুকধারীদের অস্ত্র নামিয়ে রাখার অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু তাঁরা সে কথায় কান দেননি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ও যাচাই করা ভিডিওগুলোতে বন্ডি বিচের ঘটনার পরের ভয়ংকর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্যাম্পবেল প্যারেডের কারপার্ক থেকে সমুদ্রসৈকতের দিকে যাওয়া একটি ছোট সেতু থেকে দুজন বন্দুকধারী গুলি চালাচ্ছেন। সেতুটি বন্ডি পার্ক প্লেগ্রাউন্ড থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত।
অন্য একটি যাচাই করা ভিডিওতে দেখা যায়, একই সেতুর ওপর বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। একজনের বুকে সিপিআর দেওয়া হচ্ছে আর অন্য একজন চিৎকার করে বলছেন, ‘সে মারা গেছে, সে মারা গেছে।’ আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, নিথর পড়ে থাকা অন্য এক ব্যক্তির জামাকাপড় কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়া হচ্ছে। মেঝেতে রক্তের দাগ, একটি বুলেটপ্রুফ ভেস্ট এবং কমপক্ষে আটটি গুলির খোসা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত ঘটনাস্থলে একটি বিশেষ নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করেছে এবং হাতে তৈরি বিস্ফোরক (আইইডি) নিষ্ক্রিয় করার জন্য বিশেষ দল ও সরঞ্জাম আনা হয়েছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এই এক্সক্লুশন জোনের সঠিক অবস্থান এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র বন্ডি বিচে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।
পুলিশের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দুক হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হামলাকারী বা বন্দুকধারীও রয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১২ জন সাধারণ নাগরিক, দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, হামলার সময় বন্ডি বিচে ইহুদিদের অন্যতম প্রধান উৎসব হানুক্কার প্রথম দিনের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘চানুকা বাই দ্য সি ২০২৫’ এবং এটি আজ রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে বিচসংলগ্ন শিশুদের খেলার মাঠের কাছে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। চাবাদ অব বন্ডি নামের একটি ইহুদি কেন্দ্র এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
হামলার সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা প্রত্যক্ষদর্শী ব্যারি জানান, তিনি তাঁর সন্তানদের নিয়ে হানুক্কার অনুষ্ঠানে ছিলেন, তখনই গুলির শব্দ শুরু হয়। তিনি দেখতে পান, দুজন ব্যক্তি একটি ব্রিজের ওপর থেকে জনসমাবেশের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। তিনি ঘটনাস্থলে একাধিক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি সন্তানদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে বন্ধুর গাড়িতে পালিয়ে যান। ব্যারি এ সময় অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে একটি ইহুদি অনুষ্ঠানে এমন হামলা হওয়াকে ‘অবিশ্বাস্য’ বলে বর্ণনা করেন।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী, যিনি ব্রোন্টে বিচে ছিলেন, তিনি প্রায় ২০টি গুলির শব্দ শুনতে পান। প্রথমে ভেবেছিলেন, আতশবাজির শব্দ। পরে হেলিকপ্টার উড়তে দেখে ও শুটিংয়ের খবর পেয়ে তিনি ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পারেন।
অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি বন্দুকধারীদের অস্ত্র নামিয়ে রাখার অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু তাঁরা সে কথায় কান দেননি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ও যাচাই করা ভিডিওগুলোতে বন্ডি বিচের ঘটনার পরের ভয়ংকর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্যাম্পবেল প্যারেডের কারপার্ক থেকে সমুদ্রসৈকতের দিকে যাওয়া একটি ছোট সেতু থেকে দুজন বন্দুকধারী গুলি চালাচ্ছেন। সেতুটি বন্ডি পার্ক প্লেগ্রাউন্ড থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত।
অন্য একটি যাচাই করা ভিডিওতে দেখা যায়, একই সেতুর ওপর বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। একজনের বুকে সিপিআর দেওয়া হচ্ছে আর অন্য একজন চিৎকার করে বলছেন, ‘সে মারা গেছে, সে মারা গেছে।’ আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, নিথর পড়ে থাকা অন্য এক ব্যক্তির জামাকাপড় কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়া হচ্ছে। মেঝেতে রক্তের দাগ, একটি বুলেটপ্রুফ ভেস্ট এবং কমপক্ষে আটটি গুলির খোসা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত ঘটনাস্থলে একটি বিশেষ নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করেছে এবং হাতে তৈরি বিস্ফোরক (আইইডি) নিষ্ক্রিয় করার জন্য বিশেষ দল ও সরঞ্জাম আনা হয়েছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এই এক্সক্লুশন জোনের সঠিক অবস্থান এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

ভারতের পাঁচ রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামে অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজ্যসভা নির্বাচন। ভারতের প্রধান সারির দুটি সংবাদমাধ্যমের বুথফেরত জরিপ থেকে অনুমান করা হচ্ছে, এই নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেস দুটি করে রাজ্যে জয় পেতে যাচ্ছে। অপর রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলোই প্রাধান্য বিস্তার করে রেখেছে
০১ ডিসেম্বর ২০২৩
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটিতে বিদেশি দক্ষ শ্রমশক্তি নিয়োগ দেওয়ার ভিসা এইচ–১ বি’র ফি বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ২০টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
৪ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটিতে বিদেশি দক্ষ শ্রমশক্তি নিয়োগ দেওয়ার ভিসা এইচ–১ বি’র ফি বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ২০টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বনটা গত শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, এইচ–১বি ভিসা আবেদনের ফি বাড়িয়ে ১ লাখ মার্কিন ডলার করায় ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়া ও আরও উনিশটি রাজ্য মামলা করছে।
বনটা দাবি করেন, দক্ষ কর্মীদের জন্য নির্ধারিত এই ভিসার জন্য ফি বৃদ্ধি বেআইনি। কারণ, এটি কংগ্রেসে অনুমোদিত সীমা ছাড়িয়ে গেছে এবং এই কর্মসূচি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাদের মূল উদ্দেশ্যকে ক্ষুণ্ন করছে। মামলার সঙ্গে যুক্ত সকল রাজ্যেই অ্যাটর্নি জেনারেলরা ডেমোক্র্যাট দলের।
সান ফ্রান্সিসকোতে একটি সংবাদ সম্মেলনে বনটা সাফ বলেন, ‘কোনো প্রেসিডেন্টের প্রশাসন অভিবাসন আইনকে নতুন করে লিখতে পারে না। কোনো প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের মতো সরকারকে উপেক্ষা করতে পারেন না, সংবিধান বা আইনকেও এড়িয়ে যেতে পারেন না।’
এই ভিসার সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারী হলো বড় টেক কোম্পানিগুলো, যারা দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়ে আসে। ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন ক্যাম্পেইনের রিপাবলিকান সমর্থকেরা অভিযোগ করছেন, কোম্পানিগুলো সস্তা শ্রমের জন্য আমেরিকানদের পাশ কাটিয়ে এই কর্মসূচির অপব্যবহার করছে। কিন্তু বনটা যুক্তি দেন, এই ফি আরোপের ফলে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য খাতেও শ্রমিকের ঘাটতি আরও বাড়বে। এতে চিকিৎসক, গবেষক, শিক্ষক, নার্স ও সরকারি সেবাকর্মীর মতো পদগুলো পূরণ করা আরও কঠিন হবে।
তিনি এও সতর্ক করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সেপ্টেম্বরে এক নির্বাহী ঘোষণায় যে ১ লাখ ডলারের ফি ধার্য করেছেন, তা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোমের ইচ্ছানুযায়ী বেছে বেছে প্রয়োগ করা হতে পারে। দক্ষ অভিবাসন এবং বিশেষ করে এইচ–১বি ভিসা এর আগেও ট্রাম্পের জনতুষ্টিমূলক সমর্থক আর বিশ্বজুড়ে প্রতিভা আকর্ষণে চিন্তিত সিলিকন ভ্যালির মিত্রদের মধ্যে মতভেদের কারণ হয়েছিল।
এই নীতি ঘোষণার পর এবং প্রোগ্রামটি ব্যবহারকারী প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার পর প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থানে খানিকটা নমনীয় হয়েছেন বলেই মনে হয়। গত মাসে ফক্স নিউজের উপস্থাপক লরা ইনগ্রাহামের সঙ্গে এইচ–১বি ভিসা নিয়ে আলোচনার সময় তিনি এই দাবি অস্বীকার করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে যথেষ্ট প্রতিভাবান মানুষ রয়েছে; তিনি তখন বলেছিলেন যে কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কর্মীর প্রয়োজন এখনো আছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র টেইলর রজার্স গত শুক্রবার প্রশাসনের পদক্ষেপের পক্ষ নিয়ে বলেন, এটি কেবল আইনসম্মতই নয়, বরং এটি ‘এইচ–১বি প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয় সংস্কারের দিকে একটি জরুরি, প্রাথমিক, ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপ।’
মামলার জবাবে এক বিবৃতিতে রজার্স বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকান কর্মীদের প্রথম স্থানে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এবং এইচ–১বি ভিসার ওপর তাঁর এই সাধারণ পদক্ষেপ সে কাজটাই করছে। এটি কোম্পানিগুলোকে সিস্টেমের অপব্যবহার করতে নিরুৎসাহিত করবে এবং আমেরিকানদের মজুরি কমিয়ে দেওয়া থেকে বিরত রাখবে, আবার যে সকল নিয়োগকর্তার বিদেশ থেকে সেরা প্রতিভা আনার প্রয়োজন, তাঁদের কাছে নিশ্চয়তাও দেবে।’
বনটা শুক্রবার এইচ–১বি প্রক্রিয়ায় সুনির্দিষ্ট কোনো সংস্কারের সুপারিশ করেননি, যদিও তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন যে যেকোনো প্রোগ্রাম বা নীতির মতোই এরও ‘সম্ভবত উন্নতির সুযোগ রয়েছে।’ চলতি বছরের শুরুর দিকে ইউএস চেম্বার অব কমার্স একটি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় গোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে এই নতুন ফি-এর বিরুদ্ধে আলাদা একটি মামলা দায়ের করেছিল। তাদের আপত্তি ছিল যে প্রশাসন এইচ–১বি প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী আইনের বিধানগুলো অগ্রাহ্য করেছে। এ ছাড়া, ভিন্ন ভিন্ন খাতের শ্রমিক সংগঠনসহ আরও বড় একটি গোষ্ঠী থেকেও আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নতুন মামলা ম্যাসাচুসেটসের ফেডারেল আদালতে দায়ের করা হবে এবং এর নেতৃত্ব দেবেন বনটা ও বে স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল আন্দ্রেয়া জয় ক্যাম্পবেল। এই নিয়ে বনটা চলতি বছর ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ৪৯ বারের মতো আদালতে গেলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটিতে বিদেশি দক্ষ শ্রমশক্তি নিয়োগ দেওয়ার ভিসা এইচ–১ বি’র ফি বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ২০টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বনটা গত শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, এইচ–১বি ভিসা আবেদনের ফি বাড়িয়ে ১ লাখ মার্কিন ডলার করায় ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়া ও আরও উনিশটি রাজ্য মামলা করছে।
বনটা দাবি করেন, দক্ষ কর্মীদের জন্য নির্ধারিত এই ভিসার জন্য ফি বৃদ্ধি বেআইনি। কারণ, এটি কংগ্রেসে অনুমোদিত সীমা ছাড়িয়ে গেছে এবং এই কর্মসূচি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাদের মূল উদ্দেশ্যকে ক্ষুণ্ন করছে। মামলার সঙ্গে যুক্ত সকল রাজ্যেই অ্যাটর্নি জেনারেলরা ডেমোক্র্যাট দলের।
সান ফ্রান্সিসকোতে একটি সংবাদ সম্মেলনে বনটা সাফ বলেন, ‘কোনো প্রেসিডেন্টের প্রশাসন অভিবাসন আইনকে নতুন করে লিখতে পারে না। কোনো প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের মতো সরকারকে উপেক্ষা করতে পারেন না, সংবিধান বা আইনকেও এড়িয়ে যেতে পারেন না।’
এই ভিসার সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারী হলো বড় টেক কোম্পানিগুলো, যারা দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়ে আসে। ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন ক্যাম্পেইনের রিপাবলিকান সমর্থকেরা অভিযোগ করছেন, কোম্পানিগুলো সস্তা শ্রমের জন্য আমেরিকানদের পাশ কাটিয়ে এই কর্মসূচির অপব্যবহার করছে। কিন্তু বনটা যুক্তি দেন, এই ফি আরোপের ফলে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য খাতেও শ্রমিকের ঘাটতি আরও বাড়বে। এতে চিকিৎসক, গবেষক, শিক্ষক, নার্স ও সরকারি সেবাকর্মীর মতো পদগুলো পূরণ করা আরও কঠিন হবে।
তিনি এও সতর্ক করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সেপ্টেম্বরে এক নির্বাহী ঘোষণায় যে ১ লাখ ডলারের ফি ধার্য করেছেন, তা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোমের ইচ্ছানুযায়ী বেছে বেছে প্রয়োগ করা হতে পারে। দক্ষ অভিবাসন এবং বিশেষ করে এইচ–১বি ভিসা এর আগেও ট্রাম্পের জনতুষ্টিমূলক সমর্থক আর বিশ্বজুড়ে প্রতিভা আকর্ষণে চিন্তিত সিলিকন ভ্যালির মিত্রদের মধ্যে মতভেদের কারণ হয়েছিল।
এই নীতি ঘোষণার পর এবং প্রোগ্রামটি ব্যবহারকারী প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার পর প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থানে খানিকটা নমনীয় হয়েছেন বলেই মনে হয়। গত মাসে ফক্স নিউজের উপস্থাপক লরা ইনগ্রাহামের সঙ্গে এইচ–১বি ভিসা নিয়ে আলোচনার সময় তিনি এই দাবি অস্বীকার করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে যথেষ্ট প্রতিভাবান মানুষ রয়েছে; তিনি তখন বলেছিলেন যে কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কর্মীর প্রয়োজন এখনো আছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র টেইলর রজার্স গত শুক্রবার প্রশাসনের পদক্ষেপের পক্ষ নিয়ে বলেন, এটি কেবল আইনসম্মতই নয়, বরং এটি ‘এইচ–১বি প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয় সংস্কারের দিকে একটি জরুরি, প্রাথমিক, ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপ।’
মামলার জবাবে এক বিবৃতিতে রজার্স বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকান কর্মীদের প্রথম স্থানে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এবং এইচ–১বি ভিসার ওপর তাঁর এই সাধারণ পদক্ষেপ সে কাজটাই করছে। এটি কোম্পানিগুলোকে সিস্টেমের অপব্যবহার করতে নিরুৎসাহিত করবে এবং আমেরিকানদের মজুরি কমিয়ে দেওয়া থেকে বিরত রাখবে, আবার যে সকল নিয়োগকর্তার বিদেশ থেকে সেরা প্রতিভা আনার প্রয়োজন, তাঁদের কাছে নিশ্চয়তাও দেবে।’
বনটা শুক্রবার এইচ–১বি প্রক্রিয়ায় সুনির্দিষ্ট কোনো সংস্কারের সুপারিশ করেননি, যদিও তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন যে যেকোনো প্রোগ্রাম বা নীতির মতোই এরও ‘সম্ভবত উন্নতির সুযোগ রয়েছে।’ চলতি বছরের শুরুর দিকে ইউএস চেম্বার অব কমার্স একটি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় গোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে এই নতুন ফি-এর বিরুদ্ধে আলাদা একটি মামলা দায়ের করেছিল। তাদের আপত্তি ছিল যে প্রশাসন এইচ–১বি প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী আইনের বিধানগুলো অগ্রাহ্য করেছে। এ ছাড়া, ভিন্ন ভিন্ন খাতের শ্রমিক সংগঠনসহ আরও বড় একটি গোষ্ঠী থেকেও আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নতুন মামলা ম্যাসাচুসেটসের ফেডারেল আদালতে দায়ের করা হবে এবং এর নেতৃত্ব দেবেন বনটা ও বে স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল আন্দ্রেয়া জয় ক্যাম্পবেল। এই নিয়ে বনটা চলতি বছর ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ৪৯ বারের মতো আদালতে গেলেন।

ভারতের পাঁচ রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামে অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজ্যসভা নির্বাচন। ভারতের প্রধান সারির দুটি সংবাদমাধ্যমের বুথফেরত জরিপ থেকে অনুমান করা হচ্ছে, এই নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেস দুটি করে রাজ্যে জয় পেতে যাচ্ছে। অপর রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলোই প্রাধান্য বিস্তার করে রেখেছে
০১ ডিসেম্বর ২০২৩
পুলিশ সূত্রের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় দুজন হামলাকারী জড়িত ছিলেন। নিহত ১০ জনের মধ্যে একজন বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। অন্য বন্দুকধারী আহত অবস্থায় রয়েছেন এবং তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
৪ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
দিল্লির ৪০টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সব কটিতেই বাতাসের দূষণ নির্দেশক সূচক ‘লাল’, অর্থাৎ বাতাসের মান ‘গুরুতর’ পর্যায়ে রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রোহিণীতে একিউআই রেকর্ড করা হয়েছে ৪৯৯। সেখানে প্রধান দূষক ছিল পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ বা পিএম ২.৫ কণা। এর পরেই আছে জাহাঙ্গীরপুরী ও বিবেক বিহার, যেখানে একিউআই ছিল ৪৯৫।
স্মগ বা ধোঁয়াশার কারণে দিল্লির একাধিক এলাকায় দৃষ্টিসীমা কমে গেছে। পূর্ব দিল্লির পাটপারগঞ্জ থেকে পাওয়া দৃশ্যে দেখা যায়, সকাল ৬টায় সেখানে একিউআই ছিল ৪৮৮ এবং মানুষজন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছেন।
একিউআই বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স হলো—জনস্বাস্থ্যের একটি সূচক, যার মাধ্যমে বাতাসে দূষণের মাত্রা বা বায়ুর গুণমান সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানানো হয়। সিপিসিবির তথ্য অনুযায়ী, কোনো এলাকার একিউআই নির্ধারণে আটটি দূষককে প্রধান সূচক হিসেবে ধরা হয়। এগুলো হলো পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএস) ১০, পিএম ২.৫, ওজোন, সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সিসা এবং অ্যামোনিয়া।
সিপিসিবি জানায়, একিউআই যদি ০ থেকে ৫০—এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো।’ ৫১ থেকে ১০০ হলে ‘সন্তোষজনক’, ১০১ থেকে ২০০ ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ ‘অত্যন্ত খারাপ’ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ হলে তা ‘গুরুতর’ হিসেবে ধরা হয়। এই প্রতিটি স্তরই দূষণের মাত্রা এবং তার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়। যেমন, একিউআই যদি ‘গুরুতর’ পর্যায়ে থাকে, তাহলে তা সুস্থ মানুষের জন্যও বিপজ্জনক। এ অবস্থায় বাইরে বের হওয়া বা খোলা জায়গায় শরীরচর্চা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই অবস্থায় দিল্লির দূষণ বর্তমানে একিউআইয়ের সর্বোচ্চ সীমা ৫০০ ছাড়াতে পারে কী—এই প্রশ্নও সামনে এসেছে। ভারতের একিউআই স্কেল সর্বোচ্চ ৫০০ পর্যন্ত নির্ধারিত। অর্থাৎ ৫০০-এর বেশি হলে সেটিও ‘গুরুতর’ শ্রেণির মধ্যেই ধরা হয়, যা একটি জনস্বাস্থ্য জরুরি পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজের চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক ড. গুফরান বেগ বলেন, ‘৪০০-এর ওপরে একিউআই অত্যন্ত বিপজ্জনক। ধরে নেওয়া হয়, একিউআই ৫০০ আর একিউআই ৯০০-এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব প্রায় একই। তাই বেশি সংখ্যা দেখিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করার প্রয়োজন নেই।’
তবে এনভায়রোক্যাটালিস্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বিশ্লেষক সুনীল দাহিয়া বলেন, একিউআই ৫০০-তে সীমাবদ্ধ রাখার পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই, যদিও প্রযুক্তিগতভাবে এর চেয়েও বেশি মান নির্ণয় করা সম্ভব। তাঁর ভাষায়, ‘এটা ঠিক যে, দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তুলনামূলক কম ঘনত্বে বেশি হয় এবং খুব উচ্চ ঘনত্বে বাড়লেও তা ধীরে বাড়ে। কিন্তু তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তখন অনেক বেশি হয়। বিশেষ করে দূষণ হঠাৎ খুব বেড়ে গেলে হৃদ্রোগী, শ্বাসকষ্টে ভোগা মানুষ এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য তা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খড় পোড়ানোর মৌসুম বা দীপাবলির সময় আমরা এমন পরিস্থিতি বারবার দেখেছি।’
দিল্লিতে বাড়তে থাকা বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে শনিবার বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কমিশন গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান বা গ্র্যাপ-এর তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধ জারি করে। পরে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেটি আরও কঠোর করে গ্র্যাপ-৪ কার্যকর করা হয়।
একিউআই হঠাৎ খারাপ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংস্থাটি জানায়, উত্তর-পশ্চিম ভারতে ধেয়ে আসা দুর্বল পশ্চিমা ঝঞ্ঝাই ছিল এর প্রধান কারণ, স্থানীয় নির্গমন নয়। কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিতে বাতাসের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, অনেক সময় একেবারেই স্থির হয়ে পড়ছে। বাতাসের দিক পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে ঘুরেছে এবং নিম্ন বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়েছে। শীতকালীন এ ধরনের পরিস্থিতি ধোঁয়াশা ও কুয়াশা তৈরির জন্য অনুকূল, ফলে দূষকগুলো সহজে ছড়িয়ে না পড়ে ভূপৃষ্ঠের কাছেই আটকে থাকে। এই বিরূপ আবহাওয়ার কারণেই হঠাৎ করে বায়ুর মানের অবনতি ঘটেছে।
গ্র্যাপ-৪-এর আওতায় একাধিক কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। দিল্লিতে অপ্রয়োজনীয় ট্রাকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে যেসব ট্রাক জরুরি পণ্য বা পরিষেবা বহন করে, অথবা এলএনজি, সিএনজি, বিদ্যুৎ চালিত কিংবা বিএস-ফাইভ ডিজেলে চলে, সেগুলো এর বাইরে থাকবে। দিল্লিতে নিবন্ধিত মাঝারি ও ভারী পণ্যবাহী ডিজেলচালিত যানবাহন, বিশেষ করে বিএস-৪ ও তার আগের মানের যান, নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু জরুরি পরিষেবায় ব্যবহৃত যানবাহন এ ক্ষেত্রে ছাড় পাবে। দিল্লির বাইরে নিবন্ধিত হালকা বাণিজ্যিক যান, যেগুলো ইভি, সিএনজি বা বিএস-৬ ডিজেল মান পূরণ করে না, সেগুলোর প্রবেশও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া সব ধরনের নির্মাণ ও ভাঙচুর কার্যক্রম, এমনকি মহাসড়কের মতো সরকারি প্রকল্পও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি ও ভারতের কেন্দ্রীয় রাজধানী অঞ্চল যেসব রাজ্যের মধ্যে পড়েছে সেসব রাজ্যের সরকারগুলোতে ষষ্ঠ থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সশরীরে ক্লাসের বদলে অনলাইন ক্লাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সরকারি, পৌর এবং বেসরকারি দপ্তরগুলোকে অন্তত ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অফিসের সময় ধাপে ধাপে নির্ধারণ করার কথাও বলা হয়েছে, যাতে ব্যস্ত সময়ের যানজট ও দূষণ কিছুটা কমানো যায়।

ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
দিল্লির ৪০টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সব কটিতেই বাতাসের দূষণ নির্দেশক সূচক ‘লাল’, অর্থাৎ বাতাসের মান ‘গুরুতর’ পর্যায়ে রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রোহিণীতে একিউআই রেকর্ড করা হয়েছে ৪৯৯। সেখানে প্রধান দূষক ছিল পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ বা পিএম ২.৫ কণা। এর পরেই আছে জাহাঙ্গীরপুরী ও বিবেক বিহার, যেখানে একিউআই ছিল ৪৯৫।
স্মগ বা ধোঁয়াশার কারণে দিল্লির একাধিক এলাকায় দৃষ্টিসীমা কমে গেছে। পূর্ব দিল্লির পাটপারগঞ্জ থেকে পাওয়া দৃশ্যে দেখা যায়, সকাল ৬টায় সেখানে একিউআই ছিল ৪৮৮ এবং মানুষজন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছেন।
একিউআই বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স হলো—জনস্বাস্থ্যের একটি সূচক, যার মাধ্যমে বাতাসে দূষণের মাত্রা বা বায়ুর গুণমান সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানানো হয়। সিপিসিবির তথ্য অনুযায়ী, কোনো এলাকার একিউআই নির্ধারণে আটটি দূষককে প্রধান সূচক হিসেবে ধরা হয়। এগুলো হলো পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএস) ১০, পিএম ২.৫, ওজোন, সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সিসা এবং অ্যামোনিয়া।
সিপিসিবি জানায়, একিউআই যদি ০ থেকে ৫০—এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো।’ ৫১ থেকে ১০০ হলে ‘সন্তোষজনক’, ১০১ থেকে ২০০ ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ ‘অত্যন্ত খারাপ’ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ হলে তা ‘গুরুতর’ হিসেবে ধরা হয়। এই প্রতিটি স্তরই দূষণের মাত্রা এবং তার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়। যেমন, একিউআই যদি ‘গুরুতর’ পর্যায়ে থাকে, তাহলে তা সুস্থ মানুষের জন্যও বিপজ্জনক। এ অবস্থায় বাইরে বের হওয়া বা খোলা জায়গায় শরীরচর্চা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই অবস্থায় দিল্লির দূষণ বর্তমানে একিউআইয়ের সর্বোচ্চ সীমা ৫০০ ছাড়াতে পারে কী—এই প্রশ্নও সামনে এসেছে। ভারতের একিউআই স্কেল সর্বোচ্চ ৫০০ পর্যন্ত নির্ধারিত। অর্থাৎ ৫০০-এর বেশি হলে সেটিও ‘গুরুতর’ শ্রেণির মধ্যেই ধরা হয়, যা একটি জনস্বাস্থ্য জরুরি পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজের চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক ড. গুফরান বেগ বলেন, ‘৪০০-এর ওপরে একিউআই অত্যন্ত বিপজ্জনক। ধরে নেওয়া হয়, একিউআই ৫০০ আর একিউআই ৯০০-এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব প্রায় একই। তাই বেশি সংখ্যা দেখিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করার প্রয়োজন নেই।’
তবে এনভায়রোক্যাটালিস্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বিশ্লেষক সুনীল দাহিয়া বলেন, একিউআই ৫০০-তে সীমাবদ্ধ রাখার পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই, যদিও প্রযুক্তিগতভাবে এর চেয়েও বেশি মান নির্ণয় করা সম্ভব। তাঁর ভাষায়, ‘এটা ঠিক যে, দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তুলনামূলক কম ঘনত্বে বেশি হয় এবং খুব উচ্চ ঘনত্বে বাড়লেও তা ধীরে বাড়ে। কিন্তু তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তখন অনেক বেশি হয়। বিশেষ করে দূষণ হঠাৎ খুব বেড়ে গেলে হৃদ্রোগী, শ্বাসকষ্টে ভোগা মানুষ এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য তা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খড় পোড়ানোর মৌসুম বা দীপাবলির সময় আমরা এমন পরিস্থিতি বারবার দেখেছি।’
দিল্লিতে বাড়তে থাকা বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে শনিবার বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কমিশন গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান বা গ্র্যাপ-এর তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধ জারি করে। পরে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেটি আরও কঠোর করে গ্র্যাপ-৪ কার্যকর করা হয়।
একিউআই হঠাৎ খারাপ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংস্থাটি জানায়, উত্তর-পশ্চিম ভারতে ধেয়ে আসা দুর্বল পশ্চিমা ঝঞ্ঝাই ছিল এর প্রধান কারণ, স্থানীয় নির্গমন নয়। কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিতে বাতাসের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, অনেক সময় একেবারেই স্থির হয়ে পড়ছে। বাতাসের দিক পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে ঘুরেছে এবং নিম্ন বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়েছে। শীতকালীন এ ধরনের পরিস্থিতি ধোঁয়াশা ও কুয়াশা তৈরির জন্য অনুকূল, ফলে দূষকগুলো সহজে ছড়িয়ে না পড়ে ভূপৃষ্ঠের কাছেই আটকে থাকে। এই বিরূপ আবহাওয়ার কারণেই হঠাৎ করে বায়ুর মানের অবনতি ঘটেছে।
গ্র্যাপ-৪-এর আওতায় একাধিক কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। দিল্লিতে অপ্রয়োজনীয় ট্রাকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে যেসব ট্রাক জরুরি পণ্য বা পরিষেবা বহন করে, অথবা এলএনজি, সিএনজি, বিদ্যুৎ চালিত কিংবা বিএস-ফাইভ ডিজেলে চলে, সেগুলো এর বাইরে থাকবে। দিল্লিতে নিবন্ধিত মাঝারি ও ভারী পণ্যবাহী ডিজেলচালিত যানবাহন, বিশেষ করে বিএস-৪ ও তার আগের মানের যান, নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু জরুরি পরিষেবায় ব্যবহৃত যানবাহন এ ক্ষেত্রে ছাড় পাবে। দিল্লির বাইরে নিবন্ধিত হালকা বাণিজ্যিক যান, যেগুলো ইভি, সিএনজি বা বিএস-৬ ডিজেল মান পূরণ করে না, সেগুলোর প্রবেশও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া সব ধরনের নির্মাণ ও ভাঙচুর কার্যক্রম, এমনকি মহাসড়কের মতো সরকারি প্রকল্পও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি ও ভারতের কেন্দ্রীয় রাজধানী অঞ্চল যেসব রাজ্যের মধ্যে পড়েছে সেসব রাজ্যের সরকারগুলোতে ষষ্ঠ থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সশরীরে ক্লাসের বদলে অনলাইন ক্লাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সরকারি, পৌর এবং বেসরকারি দপ্তরগুলোকে অন্তত ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অফিসের সময় ধাপে ধাপে নির্ধারণ করার কথাও বলা হয়েছে, যাতে ব্যস্ত সময়ের যানজট ও দূষণ কিছুটা কমানো যায়।

ভারতের পাঁচ রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামে অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজ্যসভা নির্বাচন। ভারতের প্রধান সারির দুটি সংবাদমাধ্যমের বুথফেরত জরিপ থেকে অনুমান করা হচ্ছে, এই নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেস দুটি করে রাজ্যে জয় পেতে যাচ্ছে। অপর রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলোই প্রাধান্য বিস্তার করে রেখেছে
০১ ডিসেম্বর ২০২৩
পুলিশ সূত্রের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় দুজন হামলাকারী জড়িত ছিলেন। নিহত ১০ জনের মধ্যে একজন বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। অন্য বন্দুকধারী আহত অবস্থায় রয়েছেন এবং তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটিতে বিদেশি দক্ষ শ্রমশক্তি নিয়োগ দেওয়ার ভিসা এইচ–১ বি’র ফি বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ২০টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

ভারতের পাঁচ রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামে অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজ্যসভা নির্বাচন। ভারতের প্রধান সারির দুটি সংবাদমাধ্যমের বুথফেরত জরিপ থেকে অনুমান করা হচ্ছে, এই নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেস দুটি করে রাজ্যে জয় পেতে যাচ্ছে। অপর রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলোই প্রাধান্য বিস্তার করে রেখেছে
০১ ডিসেম্বর ২০২৩
পুলিশ সূত্রের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় দুজন হামলাকারী জড়িত ছিলেন। নিহত ১০ জনের মধ্যে একজন বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। অন্য বন্দুকধারী আহত অবস্থায় রয়েছেন এবং তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটিতে বিদেশি দক্ষ শ্রমশক্তি নিয়োগ দেওয়ার ভিসা এইচ–১ বি’র ফি বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ২০টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
৪ ঘণ্টা আগে