আবু তাহের খান

১৩ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন দেশটির ২০১০-১৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী ৫৭ বছর বয়সী ডেভিড উইলিয়াম ডোনাল্ড ক্যামেরন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকা বা না থাকার প্রশ্নে অনুষ্ঠিত গণভোটে ব্রেক্সিটপন্থী মতামত, অর্থাৎ ইইউতে থাকার অভিমত জয়লাভ করলে ক্যামেরন ২০১৬ সালের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ রক্ষণশীল দলের সাম্প্রতিক সময়ের অন্য প্রধানমন্ত্রী ও শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে ক্যামেরনের সঙ্গেই ইসরায়েলের পাশাপাশি সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের আরও কিছু দেশের বিশেষ সুসম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়। সেই সুসম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে সৃষ্ট ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে মনে করেই হয়তো প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা ও পারঙ্গমতার ওপর ক্যামেরনের নিজের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে বলেই হয়তো তিনিও সেই দায়িত্ব নিতে বিন্দুমাত্র কোনো সংকোচ বোধ করেননি; বরং সানন্দ্যচিত্তে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা গ্রহণ করেছেন। তাঁর এই নিঃসংকোচ দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে ধারণা করা যায়, ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন দেশটির বর্তমান সরকার চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি ইস্যু মোকাবিলায় কিছুটা হলেও বাড়তি শক্তি ও আস্থা খুঁজে পাবে।
একসময় ক্যামেরনই ছিলেন ঋষি সুনাকের দলীয় নেতা। তো সেই নেতাই যখন তাঁর কনিষ্ঠ সহকর্মীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিপরিষদে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন, তখন সে বিষয়টি সাধারণের মাঝে যথেষ্টই কৌতূহল জাগায় বৈকি! আর সেই কৌতূহল যতটা না তাঁর দেশের ভেতরে তৈরি হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি জাগে দূরদেশে, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো সমাজে, যেখানে ক্ষমতার লিপ্সায় রাজনীতিকদের প্রায় উন্মাদের মতো কিংবা সার্কাসের ভাঁড়ের মতো আচরণ করতে দেখা যায়। যতটুকু ধারণা করা যায়, ক্যামেরন তাঁর এই নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনের আশায়। শেষ পর্যন্ত তিনি তা কতটা পারবেন বা আদৌ পারবেন কি না, আমরা এর কিছুই জানি না। কিন্তু বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে বা প্রয়োজনে পদাবস্থান ভুলে গিয়ে নিবেদিতচিত্ত হয়ে দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে তাঁর এই যে আগ্রহ, সেটাই বস্তুত একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিকের মূল বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত বলে মনে করি। এ ক্ষেত্রে তাঁকে পরিমাপের মানদণ্ড হিসেবে কোনোভাবেই শুধু তাঁর সাফল্য বা ব্যর্থতাকে গণ্য করা ঠিক হবে না; বরং তাঁর ইচ্ছার ধরন এবং এ কাজে তাঁর নিবেদনের গভীরতাই হওয়া উচিত মূল্যায়নের মূল মাপকাঠি।
প্রশ্ন হচ্ছে, ক্যামেরন যা করলেন এর সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতিকদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের তুলনা করলে বিষয়টি কী দাঁড়ায়? জবাবে বলব, ক্যামেরনের কাছে দেশের হয়ে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনই যেখানে মুখ্য, সেখানে বাংলাদেশের রাজনীতিকদের কাছে যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা বা হৃত ক্ষমতা পুনরুদ্ধারই হচ্ছে মূল বিবেচনা। এর একটি কারণ অবশ্যই সামাজিক সংস্কৃতির মধ্যকার পার্থক্য। তবে এটিই একমাত্র কারণ বলে মনে হয় না। ৫২ বছর আগে এই সমাজের মূলধারার মানুষেরাই ক্ষমতার লোভ, ব্যক্তিস্বার্থ ও সব রকমের মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। এমনকি আজ যাঁরা জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে হলেও ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখতে কিংবা ক্ষমতায় আরোহণ করতে চান, তাঁদের পূর্বসূরিরা ১৯৭১ সালে অভিন্ন ঐক্যের অংশীদার ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, একাত্তরের ঐক্যের অংশীদারদের আজকের উত্তরসূরিদের মধ্যে সেই সব বৈশিষ্ট্যের প্রায় কিছুই অবশিষ্ট নেই।
তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, এটি কেন ও কীভাবে ঘটল? ঘটল প্রথমত এ কারণে যে নতুন এই উত্তরসূরিদের প্রায় কেউই তৃণমূল পর্যায় থেকে ধারাবাহিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কাছাকাছি রাজনীতিতে যুক্ত হননি। তাঁদের একটি বড় অংশই রাজনীতিতে এসেছেন মধ্যযুগের রাজা-বাদশাহদের মতো পারিবারিক উত্তরাধিকার মেনে। ফলে তাঁদের চিন্তা ও মননে জনস্বার্থের বোধ ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে তেমন গভীর কোনো চিন্তাভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। অত্যন্ত যৌক্তিক কারণে তা না থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ তাঁদের এই ক্ষমতাঘনিষ্ঠ জীবন দেশের কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ মানুষের যাপিত জীবনের পাশাপাশি অবস্থান থেকে উঠে আসেনি। তাঁদের উত্তরসূরিদের রাজনৈতিক দল যখন বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ সাংগঠনিক সমস্যায় নিপতিত হয়েছে, তখনই তাঁদের শিখণ্ডী হিসেবে ব্যবহার করে সাময়িকভাবে লেপ-পোঁচ দিয়ে সমস্যা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে টেনে আনা হয়েছে। আর এই প্রক্রিয়ায় রাজনীতিতে এসে একপর্যায়ে তাঁরা যখন ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে যান, তখন এটাই হয়ে দাঁড়ায় তাঁদের জীবনের মূল ধ্যানজ্ঞান এবং বেঁচে থাকার একমাত্র উপলক্ষ ও অবলম্বন।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং (প্রধানমন্ত্রিত্বের কার্যকাল: ২০০৪-১৪) রাজনীতিতে আসার আগে পুরো পেশাগত জীবনে ছিলেন একজন আমলা। কিন্তু তারপরও তাঁর প্রশংসনীয় রাজনৈতিক কার্যকলাপ এখনো মানুষের কাছে প্রবাদতুল্য হয়ে আছে। অতএব দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে না এলেও ব্যক্তিগত চিন্তা ও মেধার গুণেও মানুষ অতি উচ্চ রাজনৈতিক গুণসম্পন্ন রাষ্ট্রনেতা হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশই রাষ্ট্র ও জনগণের প্রয়োজনে উঠে আসেননি, উঠে এসেছেন নিজ নিজ দলীয় সাংগঠনিক বিপর্যয়ের মুখে ভাঙনের হাত থেকে দলকে রক্ষা করার জন্য এবং পরে সেটাকেই তাঁরা ওপরে ওঠার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে এখন ক্ষমতাকেই জীবনের মূল আশ্রয় হিসেবে বেছে নিয়েছেন, যা আগেও উল্লেখ করা হয়েছে।
পারিবারিক ঐতিহ্যের সূত্র ধরে রাজনীতিতে আসার মধ্যে দোষের কিছু নেই; বরং পৃথিবীর বহু দেশের রাজনীতিতেই এরূপ নির্দোষ ও মহৎ উদ্যোগের দৃষ্টান্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি ভ্রাতাত্রয় (প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট এফ কেনেডি ও সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডি) এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে উজ্জ্বল উদাহরণ। কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর সন্তান জাস্টিন ট্রুডোও (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) এ ক্ষেত্রে স্বনামধন্য উত্তরাধিকারী। অন্যদিকে উপরিউক্ত দুই উদাহরণের বিপরীতে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোসের কাছ থেকে পারিবারিক সূত্রে ক্ষমতার অংশীদার হয়ে ওঠা তাঁর স্ত্রী ইমেলদা মার্কোস কিংবা উত্তর কোরিয়ার সাবেক নেতা কিম জং-ইলের পুত্র হিসেবে ক্ষমতায় আরোহণকারী কিম জং-উনের কথাও উল্লেখ করা যেতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ কোন দৃষ্টান্ত ও বিকল্পের পথে হাঁটবে?
ডেভিড ক্যামেরন ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও এখন আবার তাঁর কনিষ্ঠ সহকর্মীর নেতৃত্বাধীন পরিষদে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন দেখে বাংলাদেশের মতো হীন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সমাজে কিছুটা বিস্ময় সৃষ্টি হতেই পারে। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহল ভালো করেই জানে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার গণতান্ত্রিক দেশগুলোয় ক্ষমতাসীন রাজনীতিকেরা তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের বিষয়ে নাগরিকদের পক্ষ থেকে কোনোরূপ অভিযোগ ওঠামাত্রই নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করে থাকেন। আর এরূপ দৃষ্টান্ত সেই দেশগুলোতে আরও বহু যুগ আগে থেকেই চালু রয়েছে, এর মধ্যে ব্রিটেন অন্যতম। তো সেই ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক শাসনের আওতায় প্রায় ২০০ বছর কাটানোর পরও এ মানসিকতাটি বাংলাদেশের রাজনীতিকেরা
কেন অর্জন করতে পারলেন না, তা এক গুরুতর প্রশ্ন বৈকি। তবে ২০০ বছরে সেটি না পারলেও মাত্র ২৩ বছর পাকিস্তানের সঙ্গে থেকেই ক্ষমতা নিয়ে হানাহানি ও কামড়াকামড়ির পাকিস্তানি সংস্কৃতিটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ উভয় শক্তিই প্রায় সমানভাবে রপ্ত করে নিয়েছে।
আর এ থেকে এটাই প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশের রাজনীতির কদর্য দিকগুলোর জন্য বাইরের কোনো প্রভাব নয়; বরং দেশের রাজনীতিকদের অন্তরে লুকিয়ে থাকা ক্লেদ ও কালিমাই মূলত দায়ী।
হৃদয়ের অন্তর্গত ক্লেদ ও কালিমা ছাড়া আর কী কী এ অবস্থার জন্য দায়ী, তা নিয়ে হয়তো আরও বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তবে বিরাজমান পরিস্থিতি দেখে কেবলই মনে হয়, শুধু ক্যামেরন কেন, ব্রিটেনের শ্রমিক ও রক্ষণশীল উভয় দলের বেঁচে থাকা সব সাবেক প্রধানমন্ত্রীও (শ্রমিক দলের টনি ব্লেয়ার এবং রক্ষণশীল দলের থেরেসা মে, বরিস জনসন ও লিজ ট্রাস) যদি ঋষি সুনাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন, তাহলেও তা দেখে বাংলাদেশের রাজনীতিকেরা তাঁদের ক্ষমতালিপ্সা একবিন্দু ত্যাগ করতে পারবেন বলে মনে হয় না। তারপরও বলব, আমরা যে শুধু ব্রিটেন বা ক্যামেরনকে দেখেই শিক্ষা নেব, তা-ই নয়, এ ক্ষেত্রে আমরা যেন আমাদের বিবেককেও নিজেদের জ্ঞান, মেধা, শিক্ষা ও দেশের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সেই অনুযায়ী ব্যবহারের চেষ্টা করি।
আবু তাহের খান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত

১৩ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন দেশটির ২০১০-১৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী ৫৭ বছর বয়সী ডেভিড উইলিয়াম ডোনাল্ড ক্যামেরন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকা বা না থাকার প্রশ্নে অনুষ্ঠিত গণভোটে ব্রেক্সিটপন্থী মতামত, অর্থাৎ ইইউতে থাকার অভিমত জয়লাভ করলে ক্যামেরন ২০১৬ সালের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ রক্ষণশীল দলের সাম্প্রতিক সময়ের অন্য প্রধানমন্ত্রী ও শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে ক্যামেরনের সঙ্গেই ইসরায়েলের পাশাপাশি সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের আরও কিছু দেশের বিশেষ সুসম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়। সেই সুসম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে সৃষ্ট ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে মনে করেই হয়তো প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা ও পারঙ্গমতার ওপর ক্যামেরনের নিজের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে বলেই হয়তো তিনিও সেই দায়িত্ব নিতে বিন্দুমাত্র কোনো সংকোচ বোধ করেননি; বরং সানন্দ্যচিত্তে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা গ্রহণ করেছেন। তাঁর এই নিঃসংকোচ দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে ধারণা করা যায়, ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন দেশটির বর্তমান সরকার চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি ইস্যু মোকাবিলায় কিছুটা হলেও বাড়তি শক্তি ও আস্থা খুঁজে পাবে।
একসময় ক্যামেরনই ছিলেন ঋষি সুনাকের দলীয় নেতা। তো সেই নেতাই যখন তাঁর কনিষ্ঠ সহকর্মীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিপরিষদে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন, তখন সে বিষয়টি সাধারণের মাঝে যথেষ্টই কৌতূহল জাগায় বৈকি! আর সেই কৌতূহল যতটা না তাঁর দেশের ভেতরে তৈরি হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি জাগে দূরদেশে, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো সমাজে, যেখানে ক্ষমতার লিপ্সায় রাজনীতিকদের প্রায় উন্মাদের মতো কিংবা সার্কাসের ভাঁড়ের মতো আচরণ করতে দেখা যায়। যতটুকু ধারণা করা যায়, ক্যামেরন তাঁর এই নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনের আশায়। শেষ পর্যন্ত তিনি তা কতটা পারবেন বা আদৌ পারবেন কি না, আমরা এর কিছুই জানি না। কিন্তু বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে বা প্রয়োজনে পদাবস্থান ভুলে গিয়ে নিবেদিতচিত্ত হয়ে দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে তাঁর এই যে আগ্রহ, সেটাই বস্তুত একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিকের মূল বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত বলে মনে করি। এ ক্ষেত্রে তাঁকে পরিমাপের মানদণ্ড হিসেবে কোনোভাবেই শুধু তাঁর সাফল্য বা ব্যর্থতাকে গণ্য করা ঠিক হবে না; বরং তাঁর ইচ্ছার ধরন এবং এ কাজে তাঁর নিবেদনের গভীরতাই হওয়া উচিত মূল্যায়নের মূল মাপকাঠি।
প্রশ্ন হচ্ছে, ক্যামেরন যা করলেন এর সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতিকদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের তুলনা করলে বিষয়টি কী দাঁড়ায়? জবাবে বলব, ক্যামেরনের কাছে দেশের হয়ে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনই যেখানে মুখ্য, সেখানে বাংলাদেশের রাজনীতিকদের কাছে যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা বা হৃত ক্ষমতা পুনরুদ্ধারই হচ্ছে মূল বিবেচনা। এর একটি কারণ অবশ্যই সামাজিক সংস্কৃতির মধ্যকার পার্থক্য। তবে এটিই একমাত্র কারণ বলে মনে হয় না। ৫২ বছর আগে এই সমাজের মূলধারার মানুষেরাই ক্ষমতার লোভ, ব্যক্তিস্বার্থ ও সব রকমের মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। এমনকি আজ যাঁরা জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে হলেও ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখতে কিংবা ক্ষমতায় আরোহণ করতে চান, তাঁদের পূর্বসূরিরা ১৯৭১ সালে অভিন্ন ঐক্যের অংশীদার ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, একাত্তরের ঐক্যের অংশীদারদের আজকের উত্তরসূরিদের মধ্যে সেই সব বৈশিষ্ট্যের প্রায় কিছুই অবশিষ্ট নেই।
তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, এটি কেন ও কীভাবে ঘটল? ঘটল প্রথমত এ কারণে যে নতুন এই উত্তরসূরিদের প্রায় কেউই তৃণমূল পর্যায় থেকে ধারাবাহিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কাছাকাছি রাজনীতিতে যুক্ত হননি। তাঁদের একটি বড় অংশই রাজনীতিতে এসেছেন মধ্যযুগের রাজা-বাদশাহদের মতো পারিবারিক উত্তরাধিকার মেনে। ফলে তাঁদের চিন্তা ও মননে জনস্বার্থের বোধ ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে তেমন গভীর কোনো চিন্তাভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। অত্যন্ত যৌক্তিক কারণে তা না থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ তাঁদের এই ক্ষমতাঘনিষ্ঠ জীবন দেশের কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ মানুষের যাপিত জীবনের পাশাপাশি অবস্থান থেকে উঠে আসেনি। তাঁদের উত্তরসূরিদের রাজনৈতিক দল যখন বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ সাংগঠনিক সমস্যায় নিপতিত হয়েছে, তখনই তাঁদের শিখণ্ডী হিসেবে ব্যবহার করে সাময়িকভাবে লেপ-পোঁচ দিয়ে সমস্যা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে টেনে আনা হয়েছে। আর এই প্রক্রিয়ায় রাজনীতিতে এসে একপর্যায়ে তাঁরা যখন ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে যান, তখন এটাই হয়ে দাঁড়ায় তাঁদের জীবনের মূল ধ্যানজ্ঞান এবং বেঁচে থাকার একমাত্র উপলক্ষ ও অবলম্বন।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং (প্রধানমন্ত্রিত্বের কার্যকাল: ২০০৪-১৪) রাজনীতিতে আসার আগে পুরো পেশাগত জীবনে ছিলেন একজন আমলা। কিন্তু তারপরও তাঁর প্রশংসনীয় রাজনৈতিক কার্যকলাপ এখনো মানুষের কাছে প্রবাদতুল্য হয়ে আছে। অতএব দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে না এলেও ব্যক্তিগত চিন্তা ও মেধার গুণেও মানুষ অতি উচ্চ রাজনৈতিক গুণসম্পন্ন রাষ্ট্রনেতা হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশই রাষ্ট্র ও জনগণের প্রয়োজনে উঠে আসেননি, উঠে এসেছেন নিজ নিজ দলীয় সাংগঠনিক বিপর্যয়ের মুখে ভাঙনের হাত থেকে দলকে রক্ষা করার জন্য এবং পরে সেটাকেই তাঁরা ওপরে ওঠার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে এখন ক্ষমতাকেই জীবনের মূল আশ্রয় হিসেবে বেছে নিয়েছেন, যা আগেও উল্লেখ করা হয়েছে।
পারিবারিক ঐতিহ্যের সূত্র ধরে রাজনীতিতে আসার মধ্যে দোষের কিছু নেই; বরং পৃথিবীর বহু দেশের রাজনীতিতেই এরূপ নির্দোষ ও মহৎ উদ্যোগের দৃষ্টান্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি ভ্রাতাত্রয় (প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট এফ কেনেডি ও সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডি) এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে উজ্জ্বল উদাহরণ। কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর সন্তান জাস্টিন ট্রুডোও (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) এ ক্ষেত্রে স্বনামধন্য উত্তরাধিকারী। অন্যদিকে উপরিউক্ত দুই উদাহরণের বিপরীতে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোসের কাছ থেকে পারিবারিক সূত্রে ক্ষমতার অংশীদার হয়ে ওঠা তাঁর স্ত্রী ইমেলদা মার্কোস কিংবা উত্তর কোরিয়ার সাবেক নেতা কিম জং-ইলের পুত্র হিসেবে ক্ষমতায় আরোহণকারী কিম জং-উনের কথাও উল্লেখ করা যেতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ কোন দৃষ্টান্ত ও বিকল্পের পথে হাঁটবে?
ডেভিড ক্যামেরন ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও এখন আবার তাঁর কনিষ্ঠ সহকর্মীর নেতৃত্বাধীন পরিষদে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন দেখে বাংলাদেশের মতো হীন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সমাজে কিছুটা বিস্ময় সৃষ্টি হতেই পারে। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহল ভালো করেই জানে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার গণতান্ত্রিক দেশগুলোয় ক্ষমতাসীন রাজনীতিকেরা তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের বিষয়ে নাগরিকদের পক্ষ থেকে কোনোরূপ অভিযোগ ওঠামাত্রই নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করে থাকেন। আর এরূপ দৃষ্টান্ত সেই দেশগুলোতে আরও বহু যুগ আগে থেকেই চালু রয়েছে, এর মধ্যে ব্রিটেন অন্যতম। তো সেই ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক শাসনের আওতায় প্রায় ২০০ বছর কাটানোর পরও এ মানসিকতাটি বাংলাদেশের রাজনীতিকেরা
কেন অর্জন করতে পারলেন না, তা এক গুরুতর প্রশ্ন বৈকি। তবে ২০০ বছরে সেটি না পারলেও মাত্র ২৩ বছর পাকিস্তানের সঙ্গে থেকেই ক্ষমতা নিয়ে হানাহানি ও কামড়াকামড়ির পাকিস্তানি সংস্কৃতিটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ উভয় শক্তিই প্রায় সমানভাবে রপ্ত করে নিয়েছে।
আর এ থেকে এটাই প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশের রাজনীতির কদর্য দিকগুলোর জন্য বাইরের কোনো প্রভাব নয়; বরং দেশের রাজনীতিকদের অন্তরে লুকিয়ে থাকা ক্লেদ ও কালিমাই মূলত দায়ী।
হৃদয়ের অন্তর্গত ক্লেদ ও কালিমা ছাড়া আর কী কী এ অবস্থার জন্য দায়ী, তা নিয়ে হয়তো আরও বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তবে বিরাজমান পরিস্থিতি দেখে কেবলই মনে হয়, শুধু ক্যামেরন কেন, ব্রিটেনের শ্রমিক ও রক্ষণশীল উভয় দলের বেঁচে থাকা সব সাবেক প্রধানমন্ত্রীও (শ্রমিক দলের টনি ব্লেয়ার এবং রক্ষণশীল দলের থেরেসা মে, বরিস জনসন ও লিজ ট্রাস) যদি ঋষি সুনাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন, তাহলেও তা দেখে বাংলাদেশের রাজনীতিকেরা তাঁদের ক্ষমতালিপ্সা একবিন্দু ত্যাগ করতে পারবেন বলে মনে হয় না। তারপরও বলব, আমরা যে শুধু ব্রিটেন বা ক্যামেরনকে দেখেই শিক্ষা নেব, তা-ই নয়, এ ক্ষেত্রে আমরা যেন আমাদের বিবেককেও নিজেদের জ্ঞান, মেধা, শিক্ষা ও দেশের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সেই অনুযায়ী ব্যবহারের চেষ্টা করি।
আবু তাহের খান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

ডেভিড ক্যামেরন ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও এখন আবার তাঁর কনিষ্ঠ সহকর্মীর নেতৃত্বাধীন পরিষদে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন দেখে বাংলাদেশের মতো হীন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সমাজে কিছুটা বিস্ময় সৃষ্টি হতেই পারে।
২৫ নভেম্বর ২০২৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

ডেভিড ক্যামেরন ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও এখন আবার তাঁর কনিষ্ঠ সহকর্মীর নেতৃত্বাধীন পরিষদে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন দেখে বাংলাদেশের মতো হীন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সমাজে কিছুটা বিস্ময় সৃষ্টি হতেই পারে।
২৫ নভেম্বর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ডেভিড ক্যামেরন ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও এখন আবার তাঁর কনিষ্ঠ সহকর্মীর নেতৃত্বাধীন পরিষদে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন দেখে বাংলাদেশের মতো হীন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সমাজে কিছুটা বিস্ময় সৃষ্টি হতেই পারে।
২৫ নভেম্বর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

ডেভিড ক্যামেরন ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও এখন আবার তাঁর কনিষ্ঠ সহকর্মীর নেতৃত্বাধীন পরিষদে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন দেখে বাংলাদেশের মতো হীন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সমাজে কিছুটা বিস্ময় সৃষ্টি হতেই পারে।
২৫ নভেম্বর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫