Ajker Patrika

নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে শহীদ মিনারে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ জুন ২০২৪, ২১: ৫১
নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে শহীদ মিনারে মানববন্ধন

নতুন শিক্ষা কারিকুলাম সম্পূর্ণ বাতিল, নম্বরভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু এবং শিক্ষার্থীদের দলগত কাজে ডিভাইসমুখী হতে নিরুৎসাহিত করাসহ ৮ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেছে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।

মানববন্ধনে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক নাসির আহমেদসহ ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শতাধিক অভিভাবক যোগ দেন।

এ সময় নতুন কারিকুলাম বন্ধের দাবি জানিয়ে রাখাল রাহা বলেন, ‘একটি কারিকুলাম প্রণয়নে বিভিন্ন মহলে আলোচনা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী কি না, সেটি ভাবার প্রয়োজন ছিল। সংসদে ও মন্ত্রিপরিষদে এই কারিকুলাম নিয়ে আলোচনা হওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এসব হয়েছে কি না, আমরা জানি না। যদি হতো, তাহলে এমন কারিকুলাম প্রণয়ন করা হতো না।’

নতুন এই কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের বইবিমুখ করে ডিভাইসের প্রতি আসক্ত করে তুলবে এমনটা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাহুল রাহা। তিনি বলেন, ‘করোনার সময় ৫০০ দিনের বেশি স্কুল বন্ধ ছিল। সেই সময় অনলাইনে ক্লাসের নামে শিক্ষার্থীরা অতিমাত্রায় ডিভাইসে আসক্ত হয়ে পড়েছিল, যদিও ক্লাস সাকসেসফুল হতো না। কিন্তু এখন যখন তারা মুক্তির দিকে যাচ্ছিল, তখন নতুন এই কারিকুলামের কারণে তারা আবার ডিভাইসে আসক্ত হয়ে পড়ছে। পড়ালেখায় তাত্ত্বিক যে বিষয়, সেগুলো তারা শিখছে না। শুধু তারা কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস শিখছে। গুগল ব্রাউজ করে দেখে দেখে লেখা বা অ্যাসাইনমেন্ট করা তাদের ওপর চাপ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের আহ্বান থাকবে, অবিলম্বে আমাদের শিক্ষার্থী ও জাতি ধ্বংসের এই কারিকুলামের প্রকল্প বন্ধ করুন। দেশের পরবর্তী প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে এই কারিকুলাম বন্ধ করার বিকল্প নেই।’ 

নতুন এই কারিকুলাম বাতিল ও সংশোধন না করলে রাজপথে নামার হুমকি দিয়েছেন সেন্ট জোসেফ স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ডালিয়া আক্তার। তিনি বলেন, ‘নতুন এই কারিকুলামে আমাদের ব্যয়ও বাড়ছে। আমরা এত ব্যয় কুলিয়ে উঠতে পারছি না। প্রতিদিন কাগজ, কলম ও পেনসিলের পাশাপাশি এখন নতুন নতুন সরঞ্জাম যুক্ত করা হচ্ছে। শিক্ষা ব্যয়ের দিকেও রাষ্ট্রকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এই কারিকুলাম বাচ্চাদের সঠিক মেধার বিকাশ বাধাগ্রস্ত করছে। একজন দোকানকার, রিপোর্টার কী করে, সেটা আমার শিশু বাচ্চা জেনে কী করবে? তার দরকার পুথিগত বিদ্যা, যেটা আমরা মা-বাবা হিসেবে বুঝি। আমাদের অভিভাবকদের দাবি মানা না হলে রাজপথে রক্ত দেব আমরা।’

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে মানববন্ধনসমাবেশে অভিভাবক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, নতুন এই কারিকুলাম ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে, যা সর্বজনীন নয়। দাবি থাকবে শিক্ষা কারিকুলাম সবার কথা মাথায় রেখে প্রণয়ন করার। 

সমাবেশ শেষে আগামী ৫ ডিসেম্বর প্রতিটি জেলার প্রশাসকদের কাছে স্মারকলিপি প্রধান এবং যেকোনো দিন যার যার সুবিধামতো স্কুলের সামনে অভিভাবকদের অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের আহ্বায়ক রাহুল রাহা। 

দাবিগুলো হলো—

১. শিক্ষানীতি বিরোধী নতুন কারিকুলাম সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে। 

২. নম্বর ভিত্তিক ২টা সাময়িক লিখিত পরীক্ষা (৬০ নম্বর) চালু রাখতে হবে এবং ধারাবাহিক মূল্যায়ন হিসেবে ৪০ নম্বর রাখতে হবে। 

৩. নবম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীর আগ্রহ অনুযায়ী বিষয় নির্বাচনের সুযোগ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ রাখতে হবে। 

৪. ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বা ইন্ডিকেটর বাতিল করে নম্বর ও গ্রেড ভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি রাখতে হবে। 

৫. সকল সময়ে সকল শিখন, প্রোজেক্ট ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক ক্লাসের ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং স্কুল পিরিয়ডেই সকল প্রোজেক্ট সম্পন্ন হতে হবে। 

৬. শিক্ষার্থীদের দলগত ও প্রোজেক্টের কাজে ডিভাইসমুখী হতে অনুৎসাহিত করতে হবে এবং তান্ত্রিক বিষয়ে অধ্যয়নমুখী করতে হবে। 

৭. প্রতিবছর প্রতি ক্লাসে নিবন্ধন ও সনদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা চালু রাখতে হবে এবং এসএসসি ও এইচএসসি দুটি পাবলিক পরীক্ষা বহাল রাখতে হবে। 

৮. সকল সময়ে সকল শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই তা মন্ত্রী পরিষদ এবং সংসদে উত্থাপন করতে হবে। 

পুলিশি অনুরোধে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে সমাবেশ শেষ করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন অভিভাবকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুমৃত্যুর অভিযোগ, চা-শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মৌলভীবাজার, প্রতিনিধি
আলীনগর চা-বাগানে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আলীনগর চা-বাগানে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চিকিৎসকের অবহেলায় এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছেন চা-শ্রমিকেরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের আলীনগর চা-বাগানে এ ঘটনা ঘটে। পরে চা-বাগানের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককে প্রত্যাহার, তদন্ত কমিটি গঠন ও শিশুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

জানা গেছে, আলীনগর চা-বাগানের দেওয়াল টিলার বাসিন্দা সুকুমার নায়েকের দুই মাস বয়সী শিশুকে গতকাল বুধবার ডানকান ব্রাদার্স পরিচালিত আলীনগর চা-বাগান হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। একপর্যায়ে শিশুটির অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ক্যামেলিয়া ডানকান হাসপাতালে নিতে চায় পরিবার। কিন্তু চিকিৎসক সুকর্ণা প্রীতি ঊষা কালক্ষেপণ করে শিশুটিকে ওই হাসপাতালে স্থানান্তর না করতে না দেওয়ায় রাত ৮টার দিকে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার অভিযোগ তুলেছে।

চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুমৃত্যুর অভিযোগ তুলে আজ সকাল ৮টা থেকে আলীনগর চা-বাগানের শত শত চা-শ্রমিক প্রথমে চা-বাগান হাসপাতাল ঘেরাও করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল করে বাগানের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ চা-শ্রমিকেরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। বিষয়টি কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অবহিত করা হয়। ইউএনওর নির্দেশে কমলগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চা-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক বসে বাগান কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। এ সময় বাগান কর্তৃপক্ষ, পুলিশ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবুল হোসেন, চা-বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি গণেশ পাত্র, সম্পাদক চন্দন ব্যক্তি, চা ছাত্র-যুব পরিষদ নেতা সজল কৈরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে আলীনগর চা-বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক এ জে এ রফিউল আলম দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককে প্রত্যাহার, ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন ও শিশুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ আশ্বাসে দিলে চা শ্রমিকেরা শান্ত হন।

এ ব্যাপারে মৃত শিশুটির বাবা সুকুমার নায়েক বলেন, ‘ঠান্ডাজনিত রোগে আমার বাচ্চাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। কিন্তু চিকিৎসকের অবহেলার কারণে আমার বাচ্চা মারা গেছে।’

আলীনগর চা-বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক এ জে এ রফিউল আলম বলেন, ঘটনার পর চিকিৎসককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন ও শিশুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, দুই দফায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাদি, সিঙ্গাপুরে অস্ত্রোপচারে সম্মতি দিয়েছে পরিবার: ইনকিলাব মঞ্চ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। ফাইল ছবি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। ফাইল ছবি

সিঙ্গাপুরেই শরিফ ওসমান বিন হাদির জরুরি অস্ত্রোপচারের অনুমতি পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ইনকিলাব মঞ্চের এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি বর্তমানে ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’ রয়েছেন।

জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গেলে হাদির ওপর হামলা হয়। চলন্ত একটি রিকশায় থাকা অবস্থায় চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা এক আততায়ী তাঁকে গুলি করেন। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গত সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে হাদিকে দেখে গতকাল বুধবার রাতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে অবহিত করেন। ফোনালাপে তিনি জানান, হাদির অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’।

আজ বিকেলে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে দেওয়া আরেকটি পোস্টে সবাইকে দোয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ‘আল্লাহ যেন তাঁকে হায়াতে তাইয়্যেবাহ নসিব করেন। আর ওসমান হাদী যদি রবের ডাকে সাড়া দিয়ে শহীদের কাতারে শামিল হন, সেক্ষেত্রে পুরো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মজলুম জনতাকে সার্বভৌমত্ব নিশ্চিতকরণে শাহবাগে জড়ো হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

একই সঙ্গে ইনকিলাব মঞ্চ জানায়, হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত তারা শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে এবং প্রয়োজন হলে পুরো দেশ অচল করে দেওয়ার কর্মসূচি দেওয়া হবে।

পোস্টে আরও বলা হয়, হামলার সঙ্গে জড়িত কেউ ভারতে পালিয়ে গেলে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে যেকোনো মূল্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

এদিকে হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতি নিয়ে গত রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়। ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের মামলাটি করেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ফয়সাল করিম মাসুদকে। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, বাবা, মা ও হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবির এবং ফয়সাল করিমকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সন্দেহ করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় আদালত প্রাঙ্গণে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার

খুলনা প্রতিনিধি
র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার যুবক
র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার যুবক

খুলনায় আদালত প্রাঙ্গণে জোড়া খুনের ঘটনায় মো. এজাজুল হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাব-৬-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নিস্তার আহমেদ।

গ্রেপ্তার এজাজুল রূপসা উপজেলার আইচগাতি এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে। গতকাল বুধবার বিকেলে আইচগাতি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব কর্মকর্তা নিস্তার আহমেদ বলেন, গত ৩০ নভেম্বর খুলনা মহানগরীর আদালত চত্বরের প্রধান ফটকের সামনে ফজলে রাব্বী রাজন (৩০) ও হাসিব হাওলাদারকে (৪০) প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে র‍্যাব-৬-এর একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তসমূহ সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও সংগ্রহ করে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় জোড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত, মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে সরাসরি দৃশ্যমান এজাজুল হোসেন নামে এক অভিযুক্তকে রূপসার আইচগাতি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার এজাজুল জোড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। একই সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকা সাতজনের নাম প্রকাশ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অভিমুখে যাত্রা, পুলিশি বাধায় পণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে মার্চ টু ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীতে মার্চ টু ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীতে মার্চ টু ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কর্মসূচি পালন করেছে ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী ‘জুলাই ৩৬ মঞ্চ’। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরের ভদ্রা মোড় থেকে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কার্যালয় পর্যন্ত মার্চ কর্মসূচি শুরু করে তারা। তবে মাঝপথে পুলিশের বাধায় কর্মসূচি পণ্ড হয়ে গেছে।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মার্চ শুরু হলে সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের প্রায় ১০০ মিটার আগেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলটি আটকে দেয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান নেন এবং সামনে অগ্রসর হওয়ার অনুমতি চান।

তবে প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষার পরও অনুমতি না পাওয়ায় তাঁরা জোরপূর্বক সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। এতে পুলিশ বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ করেন।

ঘটনার পর অংশগ্রহণকারীরা ব্যারিকেডের সামনে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এক ঘণ্টার বেশি সময় তাঁরা সেখানে অবস্থান করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনোভাবেই সহকারী হাইকমিশন-সংলগ্ন সড়কে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি।

এ সময় জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক হযরত আনাস, রাজশাহী মহানগরের অব্যাহতিপ্রাপ্ত যুগ্ম সদস্যসচিব সোয়েব আহমেদ, জেলা এনসিপি থেকে পদত্যাগ করা সাংগঠনিক সম্পাদক ইফফাত উদ্দিন আবির, জুলাই যোদ্ধা আবু রায়হান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাটোর জেলার মুখপাত্র বুশরাসহ ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

পরে জুলাই যোদ্ধা মিফতাহুল জান্নাত বিভা জানান, ভারত পলাতক সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়েছে। তাই এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। এ সময় তিনি তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ভারতে সব পলাতক আসামিকে ফেরত পাঠাতে হবে, তাঁদের ফেরত না দিলে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় হাইকমিশনকে প্রত্যাহার বা স্থগিতাদেশ দিতে হবে এবং এই কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার জন্য জবাবদিহি করতে হবে।

এসব দাবি লেখা একটি কাগজ তাঁরা নগরের বোয়ালিয়া জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) গোলাম রাব্বানী শেখের কাছে হস্তান্তর করেন। গোলাম রাব্বানী শেখ বলেন, ‘তিনটি দাবির মধ্যে দুটি জাতীয় পর্যায়ের বিষয়। আমরা এই চিঠি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেব। আর পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সেটা আমরা ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত