Ajker Patrika

ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরাতে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
ঘরের অপ্রয়োজনীয়  জিনিস সরাতে

সবার বাড়িতেই কমবেশি 
কিছু জিনিস রয়েছে, যা একদমই অপ্রয়োজনীয়। বিভিন্ন সময় আমরা নানা জিনিস কিনে ঘর ভরিয়ে ফেলি। একসময় দেখা যায়, সেসব জিনিস আমাদের তেমন কোনো কাজে তো লাগেই না বরং শেলফ বা ঘরের বিভিন্ন কোণে জমে থাকে বলে ঘর অপরিচ্ছন্ন দেখায়। তাই অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বিদায় করে বাসা করে তুলুন প্রশান্তির জায়গা। 

তালিকা তৈরি করুন
বাসায় যেসব জিনিস কোনো কাজেই আসছে না বা আর ব্যবহার করা হবে না, সেগুলোর একটা তালিকা তৈরি করুন। যেমন খালি বোতল, পুরোনো খেলনা, মেয়াদোত্তীর্ণ জিনিস, ফ্রিজের অপ্রয়োজনীয় জিনিস, ভাঙা বা পুরোনো শো-পিস, পুরোনো থালাবাসন ইত্যাদি। তারপর একে একে সব বের করে ফেলে দিন। 

একটা দিন ঠিক করুন
যেহেতু তালিকা ধরে অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দেওয়ার কাজটি সময়সাপেক্ষ, তাই অবশ্যই যেকোনো ছুটির দিনকে এই কাজের জন্য বেছে নিন। সেদিন কোন সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করবেন, সেটিও আগেই ঠিক করে নিন।

জিনিসগুলো তিন ভাগে ভাগ করুন
রিসাইকেল, কাউকে দিয়ে দেওয়া, ফেলে দেওয়া—এই তিন ভাগে জিনিসগুলো ভাগ করে নিন। কারণ, পুরোনো বলেই যে সব একেবারে ফেলে দিতে হবে, তা নয়। কিছু রিসাইকেল করে পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা যায়। আর কিছু জিনিস একেবারে ফেলে না দিয়ে কাউকে দিয়ে দিন। 

মন স্থির রাখুন
অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো জড়ো করার পরও আমরা ফেলে দিই না। আবার তুলে রাখি এই ভেবে যে পরে হয়তো কাজে লাগবে। এমনটা করবেন না। মনে মনে একদম স্থির করুন যে আজকে বাসা থেকে সব অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়েই ছাড়ব। 

অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা বন্ধ করুন
বাসা থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরানোর পর দেখবেন অনেক ভালো লাগবে, প্রশান্তি লাগবে। তাই এর পর থেকে কোনো কিছু কেনার আগে অবশ্যই নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে ভুলবেন না যে জিনিসটা আদৌ আপনার লাগবে কি না। দেখবেন এভাবে কেনাকাটা করলে বাসায় আর অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের স্তূপ তৈরি 
হবে না। 

সূত্র: কান্ট্রি লিভিং

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: দিনটা কাটবে স্বপ্নের মতো, সৃজনশীলতা উপচে পড়বে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আজকের রাশিফল: দিনটা কাটবে স্বপ্নের মতো, সৃজনশীলতা উপচে পড়বে

মেষ

আজ আপনার ভেতরের অ্যাড্রেনালিন আদা-জল খেয়ে জেগে উঠবে। আপনার শক্তি থাকবে তুঙ্গে, কিন্তু মনে রাখবেন, এই শক্তি যেন শেষ পর্যন্ত নেটফ্লিক্স সিরিয়ালের রিমোট কার হাতে থাকবে, এই ছোট ঝগড়ার পেছনে অপচয় না হয়। কর্মক্ষেত্রে, এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন যা কেউ জানতেও পারেনি যে সেটা সমস্যা ছিল। সন্ধ্যায়, আপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে সোফার আকর্ষণ কাটিয়ে উঠে রাতের খাবার বানানো। সাবধান, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস বশে ফ্রিজের দরজাটা যেন নিজেই খুলে না যায়!

বৃষ

আজ আপনার বিলাসবহুল আরামের প্রতি টানটা চরমে পৌঁছাবে। কেউ আপনাকে যদি বলে যে ‘পাঁচ মিনিট হাঁটো’, এক সেকেন্ডের জন্য ভাববেন যে হাঁটাটা কি আপনার প্রিয় কম্বলের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা নয়? আর্থিক দিক থেকে, আজ ‘অতিরিক্ত’ খরচ করতে পারেন—বিশেষ করে কোনো নতুন ধরনের চিজ বা বিরল চকলেট কেনার জন্য। প্রেমের ক্ষেত্রে, সঙ্গীর কাছ থেকে শুধু একটাই প্রত্যাশা থাকবে: ‘ডিনারে কী আছে?’

মিথুন

আজ আপনার মস্তিষ্ক যেন একটি অতি দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের মতো কাজ করবে, যেখানে একসঙ্গে দশটি ট্যাব খোলা থাকবে। আপনি একাধারে চারটি কথোপকথনে অংশ নেবেন, তিনটি অ্যাপে চ্যাট করবেন এবং হয়তো নিজের সঙ্গেই উচ্চ স্বরে কথা বলবেন। আপনার আজকের প্রধান দক্ষতা হবে—কথা বলার মাঝে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বিষয়ে লাফিয়ে চলে যাওয়া, যাতে অন্যেরা কিছুটা বিভ্রান্ত হয়। মনে রাখবেন, সব গোপন কথাই সব বন্ধুকে বলা যায় না; কিছু রহস্য নিজের কাছেও রেখে দিন...পরের সপ্তাহের জন্য!

কর্কট

আজকের দিনটা আবেগ-তাড়িত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। দিনের বেলায় সামান্য কারণে আপনার চোখে পানি আসতে পারে, যেমন হয়তো দেখলেন একটি মিষ্টি কুকুরছানা পার্কে দৌড়াচ্ছে—সেটা দেখেও আপনার মনে হবে, ‘আহ, জীবন কত সুন্দর কিন্তু ক্ষণস্থায়ী!’ সন্ধ্যায়, চাইবেন প্রিয়জনেরা আপনার জন্য পৃথিবীর সমস্ত আরাম নিয়ে আসুক, আর আপনি সেই আরামের মধ্যে শুয়ে শুয়ে ভাবুন যে জীবন কত কঠিন!

সিংহ

আজ নিজেকে লাইমলাইটে রাখার চেষ্টা করবেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, লাইমলাইটটা হয়তো আপনার জুতায় লেগে থাকা কাদার দিকে চলে যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে, আপনার দুর্দান্ত আইডিয়া হয়তো সামান্য দেরিতে আসবে, ঠিক যখন বসের মন অন্য দিকে চলে গেছে। প্রেমের ক্ষেত্রে, আপনার নাটকীয়তা একটু কমিয়ে আনুন। মনে রাখবেন, পার্টনার আপনার ফ্যান হলেও, ‘রোজ রাতে অপেরা শো’ দেখতে সে বাধ্য নয়!

কন্যা

আজ তুচ্ছ বিষয়ের ওপর বিশ্বের সেরা বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠবেন। হয়তো উপলব্ধি করবেন যে আপনার পেন হোল্ডারের পেনগুলো উচ্চতা অনুসারে সাজানো নেই, এবং এই বিষয়ে আপনার গভীর উদ্বেগ তৈরি হবে। আজ ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে এমন জিনিস খুঁজে পাবেন যা আপনি তিন বছর আগে হারিয়েছেন, আর সেটার জন্য পুরো দিনটা নষ্ট করবেন। রিলাক্স! পৃথিবী নিখুঁত না হলেও চলবে, এবং আপনার আলমারির ভেতরের জগাখিচুড়ি একমাত্র আপনিই জানেন।

তুলা

আজ আপনি ন্যায়বিচার এবং ভারসাম্যের সন্ধানে অস্থির থাকবেন, বিশেষত যখন ডিনার মেনুতে দুটি সমান লোভনীয় বিকল্প থাকবে। সবার মন জয় করতে এত ব্যস্ত থাকবেন যে শেষে নিজের কাজটি করতেই ভুলে যাবেন। কেউ যদি আপনার কাছে কোনো সমস্যার সমাধান চায়, দুটি বিপরীতধর্মী সমাধান দিয়ে বলবেন, ‘দুটোই ভালো, তুমিই ঠিক করো!’

বৃশ্চিক

আজ আপনার ভেতরের রহস্যময় গোয়েন্দা জেগে উঠবে। বন্ধুর ইনস্টাগ্রাম পোস্টের লাইকের উৎস বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে, দৃষ্টি আকর্ষণ করার দরকার নেই—আপনার রহস্যময় নীরবতাতেই কাজ হয়ে যাবে। আপনার ব্যক্তিত্বের তীব্রতা আজ এত বেশি হবে যে সাধারণ হাসির বদলে সামান্য বাঁকা হাসি দিয়েও সবাইকে ভয় পাইয়ে দিতে পারেন।

ধনু

অ্যাডভেঞ্চারের প্রতি আপনার আগ্রহ আজ চরমে, কিন্তু সম্ভবত শুধু রান্নাঘরের ভেতরের অন্ধকার ড্রয়ার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেন। একটি দুর্দান্ত প্ল্যান করবেন—যেমন পাহাড় চড়া বা বিদেশ ভ্রমণ, কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভুলে যাবেন আপনার পাসপোর্ট বা জুতা নিতে। অতিরিক্ত আশাবাদী হওয়া ভালো, তবে চশমাটা পরে নিন।

মকর

আজ মনে হঠাৎ করেই কাজ থেকে বিরতি নেওয়ার একটি মারাত্মক ইচ্ছা জাগবে। হয়তো সোফায় বসে নিজেকে বলবেন, ‘পাঁচ মিনিট আরাম করি,’ আর সেই পাঁচ মিনিট কখন পাঁচ ঘণ্টা হয়ে যাবে, টেরও পাবেন না। এরপর ভেতরের বিবেক আপনাকে অপরাধ বোধে ভোগাবে, তাই দ্রুত উঠে একটা অপ্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে আবার বসবেন। নিজেকে মনে করিয়ে দিন: পৃথিবীর সমস্ত কিছু আপনার কাঁধে নেই, সামান্য হাসুন!

কুম্ভ

আজ এমন একটি দার্শনিক ধারণার কথা ভাববেন যা মানবজাতিকে বদলে দিতে পারত, কিন্তু সেই ধারণাটি বন্ধুর পোষা বিড়ালের সঙ্গে আলোচনা করার পরপরই ভুলে যাবেন। সমাজ-সংস্কারের চেতনা আজ এতটাই বাড়বে যে হয়তো ফ্রিজের পুরোনো সবজিগুলোকেও বাঁচানোর চেষ্টা করবেন। অন্যদের কাছে আপনার কথাগুলো আজ ‘খুব বুদ্ধিদীপ্ত’ অথবা ‘পুরোপুরি এলোমেলো’ মনে হতে পারে—মাঝখানে কিছু নেই।

মীন

আজকের দিনটা আপনার জন্য স্বপ্নের মতো। হয়তো পুরো মিটিংটা পার করে দেবেন কল্পনার রাজ্যে, যেখানে আপনি জলপরি অথবা মহাকাশচারী। বাস্তব জীবনে একটু সমস্যা হতে পারে—যেমন লবণ আর চিনি গুলিয়ে ফেলা বা দু’দিকে হাঁটার চেষ্টা করা। সৃজনশীলতা আজ উপচে পড়বে, তাই আঁকার উপকরণগুলো হাতের কাছে রাখুন, কারণ আপনি হয়তো হঠাৎ করেই বসের একটি কার্টুন এঁকে ফেলতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতে উলের পোশাকের যত্ন নেবেন যেভাবে

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
উলের তৈরি যেকোনো শীতের পোশাকই ধোয়া, শুকানো ও আলমারিতে রাখার ভুলে উজ্জ্বলতা হারাতে পারে। ছবি: ফ্রিপিক
উলের তৈরি যেকোনো শীতের পোশাকই ধোয়া, শুকানো ও আলমারিতে রাখার ভুলে উজ্জ্বলতা হারাতে পারে। ছবি: ফ্রিপিক

অগ্রহায়ণ মাস শেষের দিকে। আর কয়েক দিন পরই ক্যালেন্ডারের পাতায় ঘোষণা দিয়ে জাঁকে বসবে শীত। এখনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাপমাত্রা নেমে গেছে বেশ খানিকটা। ভোরে বা সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হলে গায়ে গরম কাপড় চাপাতেই হয়। উলের সোয়েটার থেকে শুরু করে উলের নানা ধরনের শীতের পোশাক তাই এখনই আলমারি বা স্টোর থেকে বের করার উপযুক্ত সময়। শীতের পোশাক আমরা বছরের পর বছর পরি। তাই মৌসুম এলে এগুলো শুধু বের করে পরলেই চলে না, যত্নও নিতে হয়। উলের যেকোনো শীতের পোশাকই ধোয়া, শুকানো ও আলমারিতে রাখার ভুলে উজ্জ্বলতা হারাতে পারে। জেনে নিন, উলের কাপড় দীর্ঘদিন ভালো রাখার উপায়।

উলের পোশাক ধোয়ার কারণেই বেশির ভাগ সময় নষ্ট হয়। অনেকেই ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য গরম পানিতে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে উলের কাপড় ভিজিয়ে রেখে তারপর কেচে ধুয়ে নেন। কিন্তু উলের পোশাক গরম পানিতে ধোয়া উচিত নয়। ডিটারজেন্ট উলের চরম শত্রু। তাই এগুলো পরিষ্কারের জন্য কম ক্ষারের তরল সাবান ব্যবহার করুন। গরম পানির পরিবর্তে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে উলের কাপড় ভিজিয়ে রাখুন। তবে ১৫ মিনিটের বেশি নয়। তার পর সাবধানে অল্প ঘষে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন। উলের পোশাক ধোয়ার জন্য সাবানের পরিবর্তে শ্যাম্পু ব্যবহার করলে আরও ভালো হয়। এখন বাজারে বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পরিষ্কারক পাওয়া যায়। তাই উলের পোশাকের জন্য বিশেষ ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।

উলের পোশাক দ্রুত শুকানোর জন্য অনেকেই ধোয়ার পর খুব ভালোভাবে নিংড়ে নেন; কিন্তু এটা অনুচিত। উলের পোশাক ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে অতিরিক্ত পানি অপসারণ করতে হবে। এরপর দরকার হলে ঝাঁঝরিতে রেখে অতিরিক্ত আরও পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।

উলের পোশাকের আকৃতি নষ্ট হয় মূলত শুকাতে দেওয়ার ভুলে। উলের কোনো পোশাকই দড়িতে বা হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে শুকাতে দেবেন না। ছাদে কিংবা বারান্দায়, ভালো রোদ আসে এমন জায়গায় মাটিতে পরিষ্কার পাটি, বেডশিট বা তোয়ালে পেতে শুকাতে দিন।

গরম পানির পরিবর্তে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে উলের কাপড় ধুয়ে ফেলুন। ছবি: পেক্সেলস
গরম পানির পরিবর্তে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে উলের কাপড় ধুয়ে ফেলুন। ছবি: পেক্সেলস

উলের পোশাক ঘন ঘন ধোবেন না। বারবার ধোয়ার ফলে এগুলো কোমলতা আর ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে ফেলে। এ ধরনের পোশাকের কোনো অংশে দাগ লাগলে সেই অংশটুকু ধুয়ে নিন। পুরো পোশাকটি ধোয়ার দরকার নেই। একই পোশাকের ওপর চাপ কমাতে বেশ কয়েকটি উলের পোশাক ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ব্যবহার করুন। এতে পোশাকগুলোর উজ্জ্বলতা থাকবে অনেক দিন।

উলের পোশাকে ঘাম লাগলে তা কড়া রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর গায়ে মাখা সাবান টিস্য়ু পেপারে মুড়ে ওই পোশাকের ভেতর রেখে পোশাকটি ভাঁজ করে তবে আলমারিতে রাখুন। এতে পোশাকে তরতাজা ভাব বজায় থাকবে। পোকামাকড়ও ওই পোশাকের ধারেকাছে ঘেঁষবে না।

এ ধরনের পোশাক ইস্ত্রি করার প্রয়োজন পড়ে না। তবু যদি করতে হয় তাহলে ইস্ত্রি করার আগে উলের জামাকাপড় উল্টো করে নিয়ে তারপর ইস্ত্রি করুন। ইস্ত্রি করার সঙ্গে সঙ্গে ভাঁজ করে রাখবেন না। তাতে কাপড়টি ঘেমে গন্ধ হতে পারে।

আলমারি কাঠের হলে উলের কাপড়ে পোকামাকড়ের আক্রমণের ঝুঁকি থাকে। সে ক্ষেত্রে একটা কাগজে কয়েকটি কর্পূরের দানা আর কয়েকটি আস্ত গোলমরিচ রেখে মুড়ে দিন। সেগুলো আলমারির ফাঁকে ফাঁকে রেখে দিন। এই উপায়ে পোকামাকড়ের হাত থেকে রেহাই পাবে উলের পোশাক।

শীতের এই দুই মাস উলের কাপড়গুলো কয়েক দিন পর পর আলমারি থেকে বের করে ছাদে বা বারান্দায় রোদে উল্টো করে শুকিয়ে নিন। এতে কাপড়ের তরতাজা ভাব বজায় থাকবে, ধুলো ধুলো গন্ধও নাকে আসবে না। বাইরে থেকে ফিরে গা থেকে উলের পোশাক নামিয়ে সম্ভব হলে নরম ব্রাশ দিয়ে ঝেড়ে নিন। এতে কয়েক দিন পরপর ধোয়ার ঝামেলা থাকবে না। পোশাকটিতে ধুলাবালুও কম জমবে।

সূত্র: উলমার্ক ও টেইলর স্টিচ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উজ্জ্বল ত্বক পেতে ঘরেই বানান চকলেট ফেস মাস্ক

ফারিয়া রহমান খান
উজ্জ্বল ত্বক পেতে ঘরেই বানানো যায় চকলেট ফেস মাস্ক। ছবি: ফ্রিপিক
উজ্জ্বল ত্বক পেতে ঘরেই বানানো যায় চকলেট ফেস মাস্ক। ছবি: ফ্রিপিক

অবাক লাগলেও সত্য, চকলেট কেবল মনই ভালো করে না, এটি ত্বকের জন্যও সমান উপকারী। ডার্ক চকলেটে আছে ক্যাটেকিনস, পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনলস। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বড় উৎস। চকলেট সূর্যের ক্ষতিকর আলো থেকে ত্বক রক্ষা করে, ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায় এবং বলিরেখা কমিয়ে বয়সের ছাপ কমায়। চকলেট ফেস মাস্ক আপনার ত্বকে এনে দিতে পারে উজ্জ্বলতা। তবে এটা করতে সব সময় স্যালনে যেতে হবে, তেমনটা নয়। এটি ঘরেও করা যাবে। ঘরে তৈরি কিছু চকলেট ফেস মাস্ক সম্পর্কে জেনে নিন এখানে।

অ্যান্টি-অ্যাকনে চকলেট মাস্ক

তৈলাক্ত ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য এই মাস্ক কার্যকর। এটি তৈরি করতে ১ টেবিল চামচ চিনি, ডার্ক কোকো পাউডার, এক চিমটি দারুচিনি পাউডার এবং ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে ও গলায় লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। মধু ও কোকোর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক শুষ্ক না করেই ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করে।

কোকো-দই ব্রাইটেনিং মাস্ক

উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য এক কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ কোকো পাউডার, ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ২ টেবিল চামচ টক দই, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস ও টক দই ত্বকের দাগ দূর করে এবং কোকো ও নারকেল তেল ত্বক মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।

হাইড্রেটিং কোকো-ক্রিম মাস্ক

১ টেবিল চামচ কোকো পাউডারের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ দুধের সর মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এই মাস্ক ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২০ থেকে ৩০ মিনিট। পরে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বকে নরম, মসৃণ ও স্নিগ্ধ একটা ভাব এসেছে।

চকলেট সূর্যের ক্ষতিকর আলো থেকে ত্বক রক্ষা করে, ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায় এবং বলিরেখা কমিয়ে বয়সের ছাপ কমায়। প্রতীকী ছবি: পেক্সেলস
চকলেট সূর্যের ক্ষতিকর আলো থেকে ত্বক রক্ষা করে, ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায় এবং বলিরেখা কমিয়ে বয়সের ছাপ কমায়। প্রতীকী ছবি: পেক্সেলস

চকলেট-কলা গ্লো প্যাক

উজ্জ্বল ও নরম ত্বক পেতে প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি তৈরি করতে ১ টেবিল চামচ কোকো পাউডার, ১ টেবিল চামচ মধু, আধা কাপ পেস্ট করা পাকা কলা এবং ১ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট মতো রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কোকো ও কলা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং টক দই মসৃণতা বাড়ায়।

ওটমিল-কোকো প্যাক

এটি তৈরি করতে আধা কাপ কোকো পাউডার, ৩ টেবিল চামচ ওটমিল, ১ টেবিল চামচ দুধের সর এবং ১ টেবিল চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানান। এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ওটমিল ত্বক মৃদু এক্সফোলিয়েট করে পরিষ্কার করে সতেজ করে তোলে।

ডিমের কুসুম-কোকো হাইড্রেশন মাস্ক

আধা কাপ কোকো পাউডারের সঙ্গে ১টি ডিমের কুসুম এবং ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের রুক্ষতা দূর করে আর্দ্রতা বজায় রাখে।

অ্যাভোকাডো-কোকো ফেস মাস্ক

চেহারায় বলিরেখা ও বার্ধক্যের ছাপ কমাতে মাস্কটি বেশ কার্যকরী। এর জন্য ১ টেবিল চামচ কোকো পাউডার, ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ পেস্ট করা অ্যাভোকাডো, ২ টেবিল চামচ নারকেলের দুধ এবং ২ টেবিল চামচ জলপাই বা তিসির তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

বেসন-লেবু চকলেট মাস্ক

১ টেবিল চামচ বেসন, ১ টেবিল চামচ টক দই, আধা কাপ কোকো পাউডার এবং অর্ধেক লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। বেসন ও লেবু ত্বকের দাগ দূর করে এবং টক দই ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে।

সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুরু হয়েছে জেন জেড প্রজন্মের স্ক্রিন আসক্তি থেকে মুক্তির লড়াই

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৭
জেনারেশন জেডের দৈনন্দিন জীবনের বড় একটি অংশ স্ক্রিনের সঙ্গে জড়িত। আবার এই প্রজন্মের তরুণেরাই এই আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে বেছে নিচ্ছেন বিকল্প পথ। প্রতীকী ছবি: ফ্রিপিক
জেনারেশন জেডের দৈনন্দিন জীবনের বড় একটি অংশ স্ক্রিনের সঙ্গে জড়িত। আবার এই প্রজন্মের তরুণেরাই এই আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে বেছে নিচ্ছেন বিকল্প পথ। প্রতীকী ছবি: ফ্রিপিক

প্রযুক্তিনির্ভর জীবনযাপন জেন জেড প্রজন্মের বৈশিষ্ট্য। ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া এই তরুণেরা শৈশব থেকে স্মার্টফোন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং দ্রুতগতির কনটেন্টের মধ্যে বড় হয়েছে। ফলে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের বড় একটি অংশ স্ক্রিনের সঙ্গে জড়িত। একে বলা হচ্ছে ‘ডিজিটাল ব্রেন রট’। এটি তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য, মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।

ডিজিটাল ব্রেন রট: সমস্যা কোথায়

ডিজিটাল ব্রেন রট বা অতিরিক্ত স্ক্রিন আসক্তির ফলে মস্তিষ্কের মনোযোগ কমে যায়, দ্রুত ক্লান্তিবোধ হয়, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয় এবং গভীর চিন্তার ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মে ছোট ভিডিওর হঠাৎ উত্তেজনা, উজ্জ্বল ভিজ্যুয়াল এবং দ্রুত তথ্যের স্রোত মস্তিষ্কে ধারাবাহিকভাবে ডোপামিন তৈরি করে। এতে মস্তিষ্ক স্বল্প সময়ে দ্রুত আনন্দের প্রতি আরও নির্ভর হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের অভ্যাসের ফলে—

  • মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা কমে যায়
  • দীর্ঘ সময় ধরে পড়াশোনা বা কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে
  • স্মৃতিশক্তি স্বল্প মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হয়
  • উদ্বেগ ও ঘুমের ব্যাঘাত বাড়ে
  • ধৈর্য কমে যায়

ডিজিটাল ফিডের নিয়মিত উত্তেজনার কারণে মস্তিষ্ক স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না। যাকে ‘ব্রেন রট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন গবেষকেরা।

গবেষণা ও মেডিকেল দৃষ্টিভঙ্গি

স্ক্রিন টাইম কমানোর জন্য জেনারেশন জেড নতুন সংস্কৃতি তৈরি করছে। প্রতীকী ছবি: ফ্রিপিক
স্ক্রিন টাইম কমানোর জন্য জেনারেশন জেড নতুন সংস্কৃতি তৈরি করছে। প্রতীকী ছবি: ফ্রিপিক

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বাস্থ্য গবেষণা কেন্দ্র এই বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণা চালিয়েছে।

মনোযোগ কমে যাওয়ার প্রমাণ: স্ট্যানফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত স্ক্রিন ব্যবহারকারীদের মনোযোগ ২০০০ সালের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। দ্রুত কনটেন্ট দেখার অভ্যাসের ফলে দীর্ঘ সময় মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

স্মৃতিশক্তির ক্ষতি: এমআইটির গবেষকেরা দেখিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের টানা উত্তেজনায় মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস অংশ কম সক্রিয় হয়ে পড়ে। এই অংশ স্মৃতিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মস্তিষ্ক বার্ধক্য: মস্তিষ্কে নিয়মিত ডোপামিন ওঠা নামার কারণে নিউরাল কানেকশন দুর্বল হতে থাকে। কিছু নিউরোসায়েন্টিস্ট এটিকে ‘অ্যাক্সেলারেটেড ব্রেন এজিং’ অর্থাৎ স্বাভাবিক বয়সের তুলনায় দ্রুত স্নায়বিক ক্ষয় হিসেবে উল্লেখ করছেন।

মানসিক চাপ বৃদ্ধি: ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর গবেষণায় দেখা গেছে, ডুমস্ক্রলিং উদ্বেগ, হতাশা এবং ঘুমের ব্যাঘাত তৈরি করে, যা পরে চিন্তার স্থিতিশীলতা কমিয়ে দেয়।

জেন জেডই আবার রুখে দাঁড়াচ্ছে

অদ্ভুত বিষয় হলো, যে প্রজন্মের মধ্যে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে, তাঁরাই আবার এ বিষয়ে বেশি সচেতন। তাঁরা সাংস্কৃতিকভাবে একধরনের নতুন ডিজিটাল সচেতনতার পথ তৈরি করছেন।

বিপরীত আন্দোলন

অনেক জনপ্রিয় টিকটক ও ইনস্টাগ্রাম নির্মাতা নিয়মিত ‘অ্যান্টি-ব্রেন রট’ সিরিজ করছেন। তাঁদের ভিডিওতে থাকে—

  • সকালবেলা স্ক্রিন ছাড়াই দিন শুরু করার পরামর্শ
  • নোটিফিকেশন বন্ধ রাখার টেকনিক
  • দৈনিক ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পড়াশোনার লক্ষ্য ঠিক করা
  • ফোন ছাড়া হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম
  • ঘুমের আগে অন্তত এক ঘণ্টা ফোন বন্ধ রাখা

তরুণেরা এসব ভিডিও শেয়ার করছেন, একে অপরকে উৎসাহ দিচ্ছেন। মোবাইল ফোননির্ভর জীবনের বিরুদ্ধে একধরনের যৌথ চর্চা গড়ে উঠেছে তাঁদের মধ্যে।

মাসিক ব্যক্তিগত কারিকুলাম

জেন জেডের মধ্যে জনপ্রিয় একটি ট্রেন্ড হলো নিজস্ব ‘মাসিক কারিকুলাম’ তৈরি করা। তাঁরা মাসজুড়ে কোন বই পড়বেন, কোন কাজে দক্ষতা অর্জন করবেন, কোন রুটিন মেনে চলবেন— এসব তালিকা তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।

একটি মাসিক কারিকুলামে থাকে সাধারণত—

  • অন্তত দুটি বই পড়ার টার্গেট
  • সপ্তাহে ৩ দিন ব্যায়াম
  • স্ক্রিন টাইমের সীমা নির্ধারণ
  • নতুন কোনো শখ পূরণ
  • একদিন সম্পূর্ণ অফলাইন থাকা

এই ট্রেন্ড দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে; কারণ, এটি বাস্তবসম্মত এবং তরুণেরা নিজেরাই একে অনুসরণযোগ্য মনে করছেন।

টেক ফ্রি সামাজিক পরিবেশ

যেকোনো আড্ডায় মোবাইল ফোন দূরে রাখা এখন তরুণদের মধ্যে একটি নতুন নিয়ম হয়ে উঠছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল ফোন ফ্রি রেস্টুরেন্ট দিন দিন বাড়ছে। বন্ধুরা একসঙ্গে বসে গল্প করছে, বোর্ড গেম খেলছে বা কফি পানের সময় মোবাইল ফোন জমা রাখছে।

অ্যাপ দিয়ে অ্যাপ নিয়ন্ত্রণ

জেন জেড এমনকি প্রযুক্তিকেও ব্যবহার করছে প্রযুক্তির বিরুদ্ধে। তাঁরা স্ক্রিন টাইম সীমা সেট করা, নোটিফিকেশন বন্ধ করা বা ফোকাস মোড চালানোর জন্য বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করছেন। ফরেস্ট, ওপাল, ওয়ান সেক, ফ্রিডম—এসব অ্যাপ মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় কমাতে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।

ডিজিটাল যুগে যেকোনো ধরনের স্ক্রিন এড়ানো কঠিন। কিন্তু জেন জেড এসবের মধ্য থেকেই নিজেদের সমাধানের পথ খুঁজে নিচ্ছেন। এই সংস্কৃতি বদল পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হয়ে থাকবে বলে আশা করছেন গবেষকেরা।

সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত