সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারত’–এর নামে যে মানচিত্র রাখা হয়েছে, তা যদি কুমতলবে করা হয়ে থাকে, তাহলে ভারতকে এ জন্য খেসারত দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম)।
আজ শনিবার বিকেলে সখীপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। কাদেরিয়া বাহিনী ’৭১ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘ভারতের নতুন সংসদ ভবনের অখণ্ড ভারতের মানচিত্র কুমতলবে করে থাকলে, ভারতকে এর খেসারত দিতে হবে। এটা যদি অবুঝের মতো করে থাকে তাহলে একরকম কথা, আর যদি শতবর্ষ আগের মহাভারতের মহান ভারতের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য করে থাকে, তবে তা ভিন্ন কথা।’
শঙ্কা প্রকাশ করে বীর উত্তম কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘কত বছর পরে কী হবে জানি না, সম্প্রতি ভারতে একটি নতুন সংসদ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তা দেখতে অনেকটাই খ্রিষ্টানদের লাশ বহন করে নিয়ে যাওয়ার বাক্সের মতো। সেখানে ভারতের একটি মানচিত্র দেওয়া হয়েছে। সেই মানচিত্রের মধ্যে নেপাল, ভূটান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশও আছে। তাহলে ওটা কি মহাভারতের মানচিত্র? নাকি আজকের ভারতের মানচিত্র?’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া ভারতের নতুন সংসদ ভবনে একটি ‘অখণ্ড ভারত’–এর মানচিত্র রাখা হয়েছে। সেখানে আফগানিস্তান থেকে শুরু করে পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং শ্রীলঙ্কা– এসব দেশকে দেখানো হয়েছে।
‘অখণ্ড ভারত’-এর ধারণাটি মূলত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) মতাদর্শের অন্যতম অংশ। এই ধারণায় বলা হয়ে থাকে, প্রাচীন কালে ইরান থেকে বর্তমানের মিয়ানমার, উত্তরে তিব্বত, নেপাল, ভূটান আর দক্ষিণে বর্তমানের শ্রীলঙ্কা— সবই অখণ্ড ভারতের অন্তর্ভুক্ত।
এ নিয়ে এরই মধ্যে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে নেপাল। সমালোচনা চলছে খোদ ভারতেও।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। তিলাওয়াত শেষে মাওলানা ‘জয় বাংলা’ বলে মাইক্রোফোন রাখেন। বক্তব্যে এ প্রসঙ্গ তুলে বীর উত্তম কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘জয় বাংলার সঙ্গে কোরআন তিলাওয়াতের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি জয় বাংলার পাগল, জয় বাংলা আমাদের দ্বারাই সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই স্লোগানটি তৈরি করেছিলেন বিপ্লবী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আমরা সেখান থেকেই নিয়েছিলাম। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি, এখন পশ্চিমবঙ্গরা সব সময় জয়বাংলা বলে।’
বঙ্গবীর বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় পতাকার মধ্যে আমরা দেশের মানচিত্র দিয়েছিলাম। আমরা ওই মানচিত্র না দিলে ভারত আমাদের এত সমর্থন দিত কি না জানি না। মানচিত্র না দিলে ভারত হয়তো ভাবতে পারত, তাদের সীমানা নিয়েও বাংলাদেশ টানাটানি করতে পারে। তাই ওই সময় পতাকায় মানচিত্র দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল।’
সম্প্রতি আমেরিকার ভিসা ইস্যু নিয়ে বঙ্গবীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপিকে জাত করার জন্য পাসপোর্টের এই হুমকি। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, আওয়ামী লীগকে সোজা করার জন্যই এই হুমকি। কিন্তু আমি মনে করি পাসপোর্টের এই হুমকি দেওয়া বাংলাদেশের জন্য লজ্জাকর এবং অপমানের।’
কাদেরিয়া বাহিনীর স্বাস্থ্য বিভাগীয় প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আমজাদ হোসেনের রচিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস সিকদার সভাপতিত্ব করেন। এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আমজাদ হোসেন বিএসসি, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, কাদের সিদ্দিকীর সহোদর শামীম আল মুনসুর আজাদ সিদ্দিকী, দলটির টাঙ্গাইল জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ও গণি, অধ্যাপক আলীম মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারত’–এর নামে যে মানচিত্র রাখা হয়েছে, তা যদি কুমতলবে করা হয়ে থাকে, তাহলে ভারতকে এ জন্য খেসারত দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম)।
আজ শনিবার বিকেলে সখীপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। কাদেরিয়া বাহিনী ’৭১ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘ভারতের নতুন সংসদ ভবনের অখণ্ড ভারতের মানচিত্র কুমতলবে করে থাকলে, ভারতকে এর খেসারত দিতে হবে। এটা যদি অবুঝের মতো করে থাকে তাহলে একরকম কথা, আর যদি শতবর্ষ আগের মহাভারতের মহান ভারতের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য করে থাকে, তবে তা ভিন্ন কথা।’
শঙ্কা প্রকাশ করে বীর উত্তম কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘কত বছর পরে কী হবে জানি না, সম্প্রতি ভারতে একটি নতুন সংসদ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তা দেখতে অনেকটাই খ্রিষ্টানদের লাশ বহন করে নিয়ে যাওয়ার বাক্সের মতো। সেখানে ভারতের একটি মানচিত্র দেওয়া হয়েছে। সেই মানচিত্রের মধ্যে নেপাল, ভূটান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশও আছে। তাহলে ওটা কি মহাভারতের মানচিত্র? নাকি আজকের ভারতের মানচিত্র?’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া ভারতের নতুন সংসদ ভবনে একটি ‘অখণ্ড ভারত’–এর মানচিত্র রাখা হয়েছে। সেখানে আফগানিস্তান থেকে শুরু করে পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং শ্রীলঙ্কা– এসব দেশকে দেখানো হয়েছে।
‘অখণ্ড ভারত’-এর ধারণাটি মূলত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) মতাদর্শের অন্যতম অংশ। এই ধারণায় বলা হয়ে থাকে, প্রাচীন কালে ইরান থেকে বর্তমানের মিয়ানমার, উত্তরে তিব্বত, নেপাল, ভূটান আর দক্ষিণে বর্তমানের শ্রীলঙ্কা— সবই অখণ্ড ভারতের অন্তর্ভুক্ত।
এ নিয়ে এরই মধ্যে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে নেপাল। সমালোচনা চলছে খোদ ভারতেও।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। তিলাওয়াত শেষে মাওলানা ‘জয় বাংলা’ বলে মাইক্রোফোন রাখেন। বক্তব্যে এ প্রসঙ্গ তুলে বীর উত্তম কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘জয় বাংলার সঙ্গে কোরআন তিলাওয়াতের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি জয় বাংলার পাগল, জয় বাংলা আমাদের দ্বারাই সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই স্লোগানটি তৈরি করেছিলেন বিপ্লবী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আমরা সেখান থেকেই নিয়েছিলাম। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি, এখন পশ্চিমবঙ্গরা সব সময় জয়বাংলা বলে।’
বঙ্গবীর বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় পতাকার মধ্যে আমরা দেশের মানচিত্র দিয়েছিলাম। আমরা ওই মানচিত্র না দিলে ভারত আমাদের এত সমর্থন দিত কি না জানি না। মানচিত্র না দিলে ভারত হয়তো ভাবতে পারত, তাদের সীমানা নিয়েও বাংলাদেশ টানাটানি করতে পারে। তাই ওই সময় পতাকায় মানচিত্র দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল।’
সম্প্রতি আমেরিকার ভিসা ইস্যু নিয়ে বঙ্গবীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপিকে জাত করার জন্য পাসপোর্টের এই হুমকি। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, আওয়ামী লীগকে সোজা করার জন্যই এই হুমকি। কিন্তু আমি মনে করি পাসপোর্টের এই হুমকি দেওয়া বাংলাদেশের জন্য লজ্জাকর এবং অপমানের।’
কাদেরিয়া বাহিনীর স্বাস্থ্য বিভাগীয় প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আমজাদ হোসেনের রচিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস সিকদার সভাপতিত্ব করেন। এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আমজাদ হোসেন বিএসসি, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, কাদের সিদ্দিকীর সহোদর শামীম আল মুনসুর আজাদ সিদ্দিকী, দলটির টাঙ্গাইল জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ও গণি, অধ্যাপক আলীম মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারত’–এর নামে যে মানচিত্র রাখা হয়েছে, তা যদি কুমতলবে করা হয়ে থাকে, তাহলে ভারতকে এ জন্য খেসারত দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম)।
আজ শনিবার বিকেলে সখীপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। কাদেরিয়া বাহিনী ’৭১ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘ভারতের নতুন সংসদ ভবনের অখণ্ড ভারতের মানচিত্র কুমতলবে করে থাকলে, ভারতকে এর খেসারত দিতে হবে। এটা যদি অবুঝের মতো করে থাকে তাহলে একরকম কথা, আর যদি শতবর্ষ আগের মহাভারতের মহান ভারতের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য করে থাকে, তবে তা ভিন্ন কথা।’
শঙ্কা প্রকাশ করে বীর উত্তম কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘কত বছর পরে কী হবে জানি না, সম্প্রতি ভারতে একটি নতুন সংসদ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তা দেখতে অনেকটাই খ্রিষ্টানদের লাশ বহন করে নিয়ে যাওয়ার বাক্সের মতো। সেখানে ভারতের একটি মানচিত্র দেওয়া হয়েছে। সেই মানচিত্রের মধ্যে নেপাল, ভূটান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশও আছে। তাহলে ওটা কি মহাভারতের মানচিত্র? নাকি আজকের ভারতের মানচিত্র?’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া ভারতের নতুন সংসদ ভবনে একটি ‘অখণ্ড ভারত’–এর মানচিত্র রাখা হয়েছে। সেখানে আফগানিস্তান থেকে শুরু করে পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং শ্রীলঙ্কা– এসব দেশকে দেখানো হয়েছে।
‘অখণ্ড ভারত’-এর ধারণাটি মূলত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) মতাদর্শের অন্যতম অংশ। এই ধারণায় বলা হয়ে থাকে, প্রাচীন কালে ইরান থেকে বর্তমানের মিয়ানমার, উত্তরে তিব্বত, নেপাল, ভূটান আর দক্ষিণে বর্তমানের শ্রীলঙ্কা— সবই অখণ্ড ভারতের অন্তর্ভুক্ত।
এ নিয়ে এরই মধ্যে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে নেপাল। সমালোচনা চলছে খোদ ভারতেও।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। তিলাওয়াত শেষে মাওলানা ‘জয় বাংলা’ বলে মাইক্রোফোন রাখেন। বক্তব্যে এ প্রসঙ্গ তুলে বীর উত্তম কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘জয় বাংলার সঙ্গে কোরআন তিলাওয়াতের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি জয় বাংলার পাগল, জয় বাংলা আমাদের দ্বারাই সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই স্লোগানটি তৈরি করেছিলেন বিপ্লবী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আমরা সেখান থেকেই নিয়েছিলাম। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি, এখন পশ্চিমবঙ্গরা সব সময় জয়বাংলা বলে।’
বঙ্গবীর বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় পতাকার মধ্যে আমরা দেশের মানচিত্র দিয়েছিলাম। আমরা ওই মানচিত্র না দিলে ভারত আমাদের এত সমর্থন দিত কি না জানি না। মানচিত্র না দিলে ভারত হয়তো ভাবতে পারত, তাদের সীমানা নিয়েও বাংলাদেশ টানাটানি করতে পারে। তাই ওই সময় পতাকায় মানচিত্র দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল।’
সম্প্রতি আমেরিকার ভিসা ইস্যু নিয়ে বঙ্গবীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপিকে জাত করার জন্য পাসপোর্টের এই হুমকি। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, আওয়ামী লীগকে সোজা করার জন্যই এই হুমকি। কিন্তু আমি মনে করি পাসপোর্টের এই হুমকি দেওয়া বাংলাদেশের জন্য লজ্জাকর এবং অপমানের।’
কাদেরিয়া বাহিনীর স্বাস্থ্য বিভাগীয় প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আমজাদ হোসেনের রচিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস সিকদার সভাপতিত্ব করেন। এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আমজাদ হোসেন বিএসসি, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, কাদের সিদ্দিকীর সহোদর শামীম আল মুনসুর আজাদ সিদ্দিকী, দলটির টাঙ্গাইল জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ও গণি, অধ্যাপক আলীম মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারত’–এর নামে যে মানচিত্র রাখা হয়েছে, তা যদি কুমতলবে করা হয়ে থাকে, তাহলে ভারতকে এ জন্য খেসারত দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম)।
আজ শনিবার বিকেলে সখীপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। কাদেরিয়া বাহিনী ’৭১ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘ভারতের নতুন সংসদ ভবনের অখণ্ড ভারতের মানচিত্র কুমতলবে করে থাকলে, ভারতকে এর খেসারত দিতে হবে। এটা যদি অবুঝের মতো করে থাকে তাহলে একরকম কথা, আর যদি শতবর্ষ আগের মহাভারতের মহান ভারতের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য করে থাকে, তবে তা ভিন্ন কথা।’
শঙ্কা প্রকাশ করে বীর উত্তম কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘কত বছর পরে কী হবে জানি না, সম্প্রতি ভারতে একটি নতুন সংসদ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তা দেখতে অনেকটাই খ্রিষ্টানদের লাশ বহন করে নিয়ে যাওয়ার বাক্সের মতো। সেখানে ভারতের একটি মানচিত্র দেওয়া হয়েছে। সেই মানচিত্রের মধ্যে নেপাল, ভূটান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশও আছে। তাহলে ওটা কি মহাভারতের মানচিত্র? নাকি আজকের ভারতের মানচিত্র?’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া ভারতের নতুন সংসদ ভবনে একটি ‘অখণ্ড ভারত’–এর মানচিত্র রাখা হয়েছে। সেখানে আফগানিস্তান থেকে শুরু করে পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং শ্রীলঙ্কা– এসব দেশকে দেখানো হয়েছে।
‘অখণ্ড ভারত’-এর ধারণাটি মূলত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) মতাদর্শের অন্যতম অংশ। এই ধারণায় বলা হয়ে থাকে, প্রাচীন কালে ইরান থেকে বর্তমানের মিয়ানমার, উত্তরে তিব্বত, নেপাল, ভূটান আর দক্ষিণে বর্তমানের শ্রীলঙ্কা— সবই অখণ্ড ভারতের অন্তর্ভুক্ত।
এ নিয়ে এরই মধ্যে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে নেপাল। সমালোচনা চলছে খোদ ভারতেও।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। তিলাওয়াত শেষে মাওলানা ‘জয় বাংলা’ বলে মাইক্রোফোন রাখেন। বক্তব্যে এ প্রসঙ্গ তুলে বীর উত্তম কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘জয় বাংলার সঙ্গে কোরআন তিলাওয়াতের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি জয় বাংলার পাগল, জয় বাংলা আমাদের দ্বারাই সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই স্লোগানটি তৈরি করেছিলেন বিপ্লবী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আমরা সেখান থেকেই নিয়েছিলাম। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি, এখন পশ্চিমবঙ্গরা সব সময় জয়বাংলা বলে।’
বঙ্গবীর বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় পতাকার মধ্যে আমরা দেশের মানচিত্র দিয়েছিলাম। আমরা ওই মানচিত্র না দিলে ভারত আমাদের এত সমর্থন দিত কি না জানি না। মানচিত্র না দিলে ভারত হয়তো ভাবতে পারত, তাদের সীমানা নিয়েও বাংলাদেশ টানাটানি করতে পারে। তাই ওই সময় পতাকায় মানচিত্র দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল।’
সম্প্রতি আমেরিকার ভিসা ইস্যু নিয়ে বঙ্গবীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপিকে জাত করার জন্য পাসপোর্টের এই হুমকি। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, আওয়ামী লীগকে সোজা করার জন্যই এই হুমকি। কিন্তু আমি মনে করি পাসপোর্টের এই হুমকি দেওয়া বাংলাদেশের জন্য লজ্জাকর এবং অপমানের।’
কাদেরিয়া বাহিনীর স্বাস্থ্য বিভাগীয় প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আমজাদ হোসেনের রচিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস সিকদার সভাপতিত্ব করেন। এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আমজাদ হোসেন বিএসসি, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, কাদের সিদ্দিকীর সহোদর শামীম আল মুনসুর আজাদ সিদ্দিকী, দলটির টাঙ্গাইল জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ও গণি, অধ্যাপক আলীম মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৮ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক।
১২ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোর রাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগেঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার সার নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। দুর্ঘটনায় ট্রাকের চালক ও হেলপার সামান্য আহত হয়েছেন।
ট্রাকটিতে বিভিন্ন প্রকারের সারের প্রায় ৫৫০টি বস্তা ছিল। ঘিওরের ক্ষতিগ্রস্ত সার ব্যবসায়ী ওয়াজেদ আলী জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘিওর ফুলহারা বাজারের ডিলারদের জন্য সার নিয়ে ট্রাকটি ঘিওর বাজারের উদ্দেশে আসছিল। তবে চালক মূল সড়ক ব্যবহার না করে ভুলবশত একটি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা দিয়ে বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করলে ট্রাকটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে যায়। তিনি চালকের ‘খামখেয়ালি’ আচরণকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আশিষ, আবুল হোসেন, জবেদ আলী জানান, ঘিওর কুস্তা বন্দর গরুহাট-সংলগ্ন রাস্তাটি অনেক দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সাধারণত এই পথে বড় যানবাহন চলাচল করে না। আজ সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ করে সারবোঝাই ট্রাকটি ওই রাস্তায় ঢুকতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহাবুব বলেন, দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। সার ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নদীতে পড়ে যাওয়া সার উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
এদিকে নদীর স্বল্প পানিতে সার মিশে যাওয়ায় পরিবেশ দূষণ, মাছের ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন জানান, ট্রাক উদ্ধারের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার সার নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। দুর্ঘটনায় ট্রাকের চালক ও হেলপার সামান্য আহত হয়েছেন।
ট্রাকটিতে বিভিন্ন প্রকারের সারের প্রায় ৫৫০টি বস্তা ছিল। ঘিওরের ক্ষতিগ্রস্ত সার ব্যবসায়ী ওয়াজেদ আলী জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘিওর ফুলহারা বাজারের ডিলারদের জন্য সার নিয়ে ট্রাকটি ঘিওর বাজারের উদ্দেশে আসছিল। তবে চালক মূল সড়ক ব্যবহার না করে ভুলবশত একটি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা দিয়ে বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করলে ট্রাকটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে যায়। তিনি চালকের ‘খামখেয়ালি’ আচরণকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আশিষ, আবুল হোসেন, জবেদ আলী জানান, ঘিওর কুস্তা বন্দর গরুহাট-সংলগ্ন রাস্তাটি অনেক দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সাধারণত এই পথে বড় যানবাহন চলাচল করে না। আজ সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ করে সারবোঝাই ট্রাকটি ওই রাস্তায় ঢুকতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহাবুব বলেন, দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। সার ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নদীতে পড়ে যাওয়া সার উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
এদিকে নদীর স্বল্প পানিতে সার মিশে যাওয়ায় পরিবেশ দূষণ, মাছের ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন জানান, ট্রাক উদ্ধারের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কত বছর পরে কী হবে জানি না, সম্প্রতি ভারতে একটি নতুন সংসদ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তা দেখতে অনেকটাই খ্রিষ্টানদের লাশ বহন করে নিয়ে যাওয়ার বাক্সের মতো। সেখানেও একটি ভারতের মানচিত্র দেওয়া হয়েছে। সেই মানচিত্রের মধ্যে নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশও আছে। তাহলে ওটা কি মহাভারতের মানচিত্র? নাকি আজকের ভারতে
০৩ জুন ২০২৩
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৮ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক।
১২ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোর রাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ-সংক্রান্ত আদেশের চিঠি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান রশিদুল হাসান স্বাক্ষরিত আদেশ থেকে জানা গেছে, সাবেক এমডিসহ চার কর্মকর্তাকে গুরুদণ্ড হিসেবে আগামী ৩০ জুন ২০২৮ সাল পর্যন্ত তাঁদের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে। অপর ছয়জনকে লঘুদণ্ড হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কেরু চিনিকলে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণপ্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। ২০২৩ সালের মে মাসে যখন দেশের সব চিনিকলের মৌসুমি শ্রমিক ও কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়, তখন সারা দেশে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেরু চিনিকলে ১৪০ জন শ্রমিক ও কর্মচারী পরীক্ষায় অংশ নেন।
কিন্তু কেরু চিনিকলে মূল অভিযোগ ওঠে স্থায়ীকরণে মেধাভিত্তিক নির্বাচন উপেক্ষা করা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের। এ বিষয়ে বঞ্চিত কর্মচারীদের লিখিত অভিযোগ ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের সচিব চৌধুরী শহিদুল্লাহ কায়ছার ২০২৩ সালের ১৫ মে এক জরুরি পত্রে কেরু চিনিকলের এমডিকে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের সব কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
দেশের অন্যান্য চিনিকল এই নির্দেশনা মেনে নিলেও কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৪০ জনের মধ্যে ১০৪ জনকে উত্তীর্ণ দেখিয়ে স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তৎকালীন করপোরেশন চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম ২০২৩ সালের ১৭ মে কেরু চিনিকলের এমডি মোশাররফ হোসেনের কাছে কৈফিয়ত তলব করেন। ঘটনাটি পরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হয়। তদন্ত শেষে ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আদেশপত্র থেকে জানা গেছে, তৎকালীন এমডি মো. মোশাররফ হোসেন, সদর দপ্তরের কর্মকর্তা সাইফুল আলম, কেরু চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ইউসুফ আলী ও লেবার অফিসার মো. আল আমিনের বিরুদ্ধে করপোরেশন প্রবিধিমালা অনুযায়ী গুরুদণ্ড ও বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে। এই শাস্তি আগামী ৩০ জুন ২০২৮ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এ ছাড়া ওই আদেশে মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) আব্দুস সাত্তার, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারি) রাজিবুল হাসান, ব্যবস্থাপক (খামার) সুমন কুমার ও পরিবহন প্রকৌশলী আবু সাঈদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশে আরও বলা হয়, ১৯৮৯ সালের প্রবিধিমালার ৩৮ ধারা অনুযায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনা দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই শাস্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হবে না।
এ বিষয়ে দর্শনা কেরু চিনিকলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। তবে এটি অফিশিয়াল বিষয় হওয়ায় এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ-সংক্রান্ত আদেশের চিঠি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান রশিদুল হাসান স্বাক্ষরিত আদেশ থেকে জানা গেছে, সাবেক এমডিসহ চার কর্মকর্তাকে গুরুদণ্ড হিসেবে আগামী ৩০ জুন ২০২৮ সাল পর্যন্ত তাঁদের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে। অপর ছয়জনকে লঘুদণ্ড হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কেরু চিনিকলে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণপ্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। ২০২৩ সালের মে মাসে যখন দেশের সব চিনিকলের মৌসুমি শ্রমিক ও কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়, তখন সারা দেশে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেরু চিনিকলে ১৪০ জন শ্রমিক ও কর্মচারী পরীক্ষায় অংশ নেন।
কিন্তু কেরু চিনিকলে মূল অভিযোগ ওঠে স্থায়ীকরণে মেধাভিত্তিক নির্বাচন উপেক্ষা করা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের। এ বিষয়ে বঞ্চিত কর্মচারীদের লিখিত অভিযোগ ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের সচিব চৌধুরী শহিদুল্লাহ কায়ছার ২০২৩ সালের ১৫ মে এক জরুরি পত্রে কেরু চিনিকলের এমডিকে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের সব কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
দেশের অন্যান্য চিনিকল এই নির্দেশনা মেনে নিলেও কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৪০ জনের মধ্যে ১০৪ জনকে উত্তীর্ণ দেখিয়ে স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তৎকালীন করপোরেশন চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম ২০২৩ সালের ১৭ মে কেরু চিনিকলের এমডি মোশাররফ হোসেনের কাছে কৈফিয়ত তলব করেন। ঘটনাটি পরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হয়। তদন্ত শেষে ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আদেশপত্র থেকে জানা গেছে, তৎকালীন এমডি মো. মোশাররফ হোসেন, সদর দপ্তরের কর্মকর্তা সাইফুল আলম, কেরু চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ইউসুফ আলী ও লেবার অফিসার মো. আল আমিনের বিরুদ্ধে করপোরেশন প্রবিধিমালা অনুযায়ী গুরুদণ্ড ও বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে। এই শাস্তি আগামী ৩০ জুন ২০২৮ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এ ছাড়া ওই আদেশে মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) আব্দুস সাত্তার, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারি) রাজিবুল হাসান, ব্যবস্থাপক (খামার) সুমন কুমার ও পরিবহন প্রকৌশলী আবু সাঈদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশে আরও বলা হয়, ১৯৮৯ সালের প্রবিধিমালার ৩৮ ধারা অনুযায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনা দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই শাস্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হবে না।
এ বিষয়ে দর্শনা কেরু চিনিকলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। তবে এটি অফিশিয়াল বিষয় হওয়ায় এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’

কত বছর পরে কী হবে জানি না, সম্প্রতি ভারতে একটি নতুন সংসদ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তা দেখতে অনেকটাই খ্রিষ্টানদের লাশ বহন করে নিয়ে যাওয়ার বাক্সের মতো। সেখানেও একটি ভারতের মানচিত্র দেওয়া হয়েছে। সেই মানচিত্রের মধ্যে নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশও আছে। তাহলে ওটা কি মহাভারতের মানচিত্র? নাকি আজকের ভারতে
০৩ জুন ২০২৩
মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক।
১২ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোর রাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগেকেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক। প্রতিবারই বেরিয়ে আসছিলেন বড় বড় বস্তা, কাপড়ের থান আর ঝুট নিয়ে। সেগুলো নিরাপদ জায়গায় ফেলে আবারও অন্ধকারের ভেতরে মিলিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
এভাবেই গতকাল শনিবার কেরানীগঞ্জের আগানগরে জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অচেনা ব্যবসায়ীদের মালামাল আগুনের হাত থেকে রক্ষা করছিলেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীর শহীদ নগরের বাসিন্দা শাহীন শিকদার।
নিজ জেলা শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে ছোটবেলাতেই শাহীন আশ্রয় নেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে। সেখানেই বড় হয়েছেন। ফুটপাতে ছোট ব্যবসা করে কোনোমতে চলে তাঁর ছয় সদস্যের সংসার। নিজের জীবনে অভাব-অনটন থাকলেও মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে কখনো পিছপা হন না তিনি।
গতকাল জাবালে নূর টাওয়ারে আগুন লাগার খবর পেয়ে সকালে ছুটে যান শাহীন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে হাত লাগান। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হওয়ায় সকাল ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু দুপুরের পরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার খবর পেয়ে আর ঘরে থাকতে পারেননি। আবার ছুটে যান আগুনের মুখে।

দুপুরের পর আগুন যখন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন কাপড়ের বস্তা আর থানই আগুন বাড়ার বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আগুনের ভয়াবহতা দেখে শাহীন আর অপেক্ষা করেননি। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে কাপড় বস্তা টেনে বের করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলতে থাকেন। ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে এলে সঙ্গে থাকা অন্য স্বেচ্ছাসেবী ও ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য নিয়ে কাজ চালিয়ে যান।
সেদিন কালো কালিতে আচ্ছন্ন তাঁর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন শাহীন। আজ রোববার সকালে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘মানবতার টানেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে নেমেছিলাম। মরব না বাঁচব সেটা তখন মাথায় ছিল না। শুধু মনে হচ্ছিল, আগুন যেন আর না বাড়ে।’
জাবালে নূর টাওয়ারের এক ব্যবসায়ী আসিফ বলেন, ‘এই লোকটির অবদান কখনো ভোলার মতো না। আমরা তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’ প্রত্যক্ষদর্শী তানাকা ইসলাম বলেন, ‘আজ সবার চাইতে বেশি কাজ করেছে এই মানুষটা।’
বন্ধু নাসির উদ্দীন বলেন, ‘শাহীন এমনই। কোনো স্বার্থ ছাড়া যেকোনো মানবিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অহংকার নেই। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। কখনো খারাপ ব্যবহার করেনি। এমন বন্ধু পেয়ে আমরা গর্বিত।’
শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ভেঙে গেছে শাহীনের শৈশবের বাড়ি। ভাঙেনি স্বপ্ন, ভাঙেনি মানবতা। আগুনের ভেতর দাঁড়িয়ে শাহীন প্রমাণ করেছেন, মানুষ বড় হয় সম্পদে নয় বড় হয় হৃদয়ে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক। প্রতিবারই বেরিয়ে আসছিলেন বড় বড় বস্তা, কাপড়ের থান আর ঝুট নিয়ে। সেগুলো নিরাপদ জায়গায় ফেলে আবারও অন্ধকারের ভেতরে মিলিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
এভাবেই গতকাল শনিবার কেরানীগঞ্জের আগানগরে জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অচেনা ব্যবসায়ীদের মালামাল আগুনের হাত থেকে রক্ষা করছিলেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীর শহীদ নগরের বাসিন্দা শাহীন শিকদার।
নিজ জেলা শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে ছোটবেলাতেই শাহীন আশ্রয় নেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে। সেখানেই বড় হয়েছেন। ফুটপাতে ছোট ব্যবসা করে কোনোমতে চলে তাঁর ছয় সদস্যের সংসার। নিজের জীবনে অভাব-অনটন থাকলেও মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে কখনো পিছপা হন না তিনি।
গতকাল জাবালে নূর টাওয়ারে আগুন লাগার খবর পেয়ে সকালে ছুটে যান শাহীন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে হাত লাগান। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হওয়ায় সকাল ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু দুপুরের পরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার খবর পেয়ে আর ঘরে থাকতে পারেননি। আবার ছুটে যান আগুনের মুখে।

দুপুরের পর আগুন যখন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন কাপড়ের বস্তা আর থানই আগুন বাড়ার বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আগুনের ভয়াবহতা দেখে শাহীন আর অপেক্ষা করেননি। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে কাপড় বস্তা টেনে বের করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলতে থাকেন। ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে এলে সঙ্গে থাকা অন্য স্বেচ্ছাসেবী ও ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য নিয়ে কাজ চালিয়ে যান।
সেদিন কালো কালিতে আচ্ছন্ন তাঁর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন শাহীন। আজ রোববার সকালে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘মানবতার টানেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে নেমেছিলাম। মরব না বাঁচব সেটা তখন মাথায় ছিল না। শুধু মনে হচ্ছিল, আগুন যেন আর না বাড়ে।’
জাবালে নূর টাওয়ারের এক ব্যবসায়ী আসিফ বলেন, ‘এই লোকটির অবদান কখনো ভোলার মতো না। আমরা তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’ প্রত্যক্ষদর্শী তানাকা ইসলাম বলেন, ‘আজ সবার চাইতে বেশি কাজ করেছে এই মানুষটা।’
বন্ধু নাসির উদ্দীন বলেন, ‘শাহীন এমনই। কোনো স্বার্থ ছাড়া যেকোনো মানবিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অহংকার নেই। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। কখনো খারাপ ব্যবহার করেনি। এমন বন্ধু পেয়ে আমরা গর্বিত।’
শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ভেঙে গেছে শাহীনের শৈশবের বাড়ি। ভাঙেনি স্বপ্ন, ভাঙেনি মানবতা। আগুনের ভেতর দাঁড়িয়ে শাহীন প্রমাণ করেছেন, মানুষ বড় হয় সম্পদে নয় বড় হয় হৃদয়ে।

কত বছর পরে কী হবে জানি না, সম্প্রতি ভারতে একটি নতুন সংসদ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তা দেখতে অনেকটাই খ্রিষ্টানদের লাশ বহন করে নিয়ে যাওয়ার বাক্সের মতো। সেখানেও একটি ভারতের মানচিত্র দেওয়া হয়েছে। সেই মানচিত্রের মধ্যে নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশও আছে। তাহলে ওটা কি মহাভারতের মানচিত্র? নাকি আজকের ভারতে
০৩ জুন ২০২৩
মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৮ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোর রাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোররাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিভীষণ সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবদুল মান্নান বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাঁরা যশোর, নড়াইল, খুলনা ও মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্য ২ জন শিশু, ৯ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ আছে।
তাঁরা হলো আব্দুল খালেক (৫৫), রিয়া পলি (১৩), নাসিমা খাতুন (৩৮), ফরিদা বেগম (৪০), ফতেজা আক্তার (৩৬), আলমাস আহমেদ (৩৬), অহিদ সরকার (৩৮), নজরুল ইসলাম (৪৭) সালমা বেগম (৪০), রুনা (৩৬), ছুফিয়া বেগম (৪০), জরিনা বেগম (৩০), রাকিব (৯), পারভিন (৪৮) ও বিথি খাতুন (৯)।
আবদুল মান্নান আরও বলেন, ভোরে সীমান্তে টহলের সময় আন্তর্জাতিক পিলার ২১৯ / ৭১ আরএস হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লালমাটিয়া নামক স্থানে ওই ১৫ জনকে দেখতে পান বিজিবি সদস্যরা। এ সময় তাদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। তাঁরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। তাঁদের গোমস্তাপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুশ ইনের শিকার ১৫ বাংলাদেশি নাগরিককে রহনপুর ডাকবাংলোতে গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে রাখা আছে। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁদের অভিভাবকদের ডেকে এনে সত্যতা যাচাই করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোররাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিভীষণ সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবদুল মান্নান বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাঁরা যশোর, নড়াইল, খুলনা ও মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্য ২ জন শিশু, ৯ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ আছে।
তাঁরা হলো আব্দুল খালেক (৫৫), রিয়া পলি (১৩), নাসিমা খাতুন (৩৮), ফরিদা বেগম (৪০), ফতেজা আক্তার (৩৬), আলমাস আহমেদ (৩৬), অহিদ সরকার (৩৮), নজরুল ইসলাম (৪৭) সালমা বেগম (৪০), রুনা (৩৬), ছুফিয়া বেগম (৪০), জরিনা বেগম (৩০), রাকিব (৯), পারভিন (৪৮) ও বিথি খাতুন (৯)।
আবদুল মান্নান আরও বলেন, ভোরে সীমান্তে টহলের সময় আন্তর্জাতিক পিলার ২১৯ / ৭১ আরএস হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লালমাটিয়া নামক স্থানে ওই ১৫ জনকে দেখতে পান বিজিবি সদস্যরা। এ সময় তাদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। তাঁরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। তাঁদের গোমস্তাপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুশ ইনের শিকার ১৫ বাংলাদেশি নাগরিককে রহনপুর ডাকবাংলোতে গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে রাখা আছে। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁদের অভিভাবকদের ডেকে এনে সত্যতা যাচাই করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

কত বছর পরে কী হবে জানি না, সম্প্রতি ভারতে একটি নতুন সংসদ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তা দেখতে অনেকটাই খ্রিষ্টানদের লাশ বহন করে নিয়ে যাওয়ার বাক্সের মতো। সেখানেও একটি ভারতের মানচিত্র দেওয়া হয়েছে। সেই মানচিত্রের মধ্যে নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশও আছে। তাহলে ওটা কি মহাভারতের মানচিত্র? নাকি আজকের ভারতে
০৩ জুন ২০২৩
মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৮ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক।
১২ মিনিট আগে