রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৬তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা কাহাফের ৭৫ নম্বর আয়াত থেকে সুরা মারইয়াম ও সুরা তহা পড়া হবে। এই অংশে মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা, জুলকারনাইনের ঘটনা, ইয়াজুজ-মাজুজের ফেতনা, মরিয়ম ও ইসা (আ.)-এর বর্ণনা, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ ও তওবাসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা
সুরা কাহাফের ৬০ থেকে ৮২ নম্বর আয়াতে মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা রয়েছে। মুসা (আ.) একদিন সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ‘পৃথিবীতে সবচেয়ে জ্ঞানী কে?’ তিনি বললেন, ‘আমি।’ এই উত্তর আল্লাহর পছন্দ হয়নি। আল্লাহ মুসার ওপর প্রত্যাদেশ পাঠালেন, ‘দুই নদীর মোহনায় আমার এক বান্দা আছে, তোমার চেয়ে জ্ঞানী।’ মুসা খিজির (আ.)-এর সাক্ষাৎ প্রার্থনা করে তাঁর কাছে গেলেন। একাধিক শর্ত মানার অঙ্গীকারে তাঁরা পথ চললেন। তাঁদের সফরে তিনটি ঘটনা ঘটল।
এক. খিজির (আ.) একটি নৌকা ছিদ্র করে ফেলেন, অথচ নৌকার মালিক বিনা ভাড়ায় তাঁকে নৌকায় উঠিয়েছিলেন।
দুই. তিনি একটি নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করেন।
তিন. তিনি এক সম্প্রদায়ের একটি দেয়াল মেরামত করে দেন। অথচ তাদের কাছে খাবার চাইলে তারা আতিথেয়তা অস্বীকার করে।
মুসা (আ.) তিনটি ঘটনায় চুপ থাকতে পারেননি। বাহ্যত তিনটি ঘটনাই ছিল অন্যায়। খিজির (আ.) তিনটি ঘটনার ব্যাখ্যা দেন এভাবে—
এক. নৌকাটি ছিল কয়েকজন গরিব-মিসকিনের। তারা এটা দিয়ে জীবিকা অন্বেষণ করত। ওই অঞ্চলে ছিল এক জালিম বাদশাহ। তিনি বলপ্রয়োগে মানুষের নৌকা ছিনিয়ে নিতেন। তবে ছিদ্র করা নৌকা নিতেন না।
দুই. শিশুটির মা-বাবা ইমানদার। তবে সে বড় হয়ে কাফের হবে, যা তার মা-বাবার জন্য আজাবের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
তিন. ওই প্রাচীরটি ছিল নগরীর দুজন বাবা হারানো বালকের। প্রাচীরের নিচে তাদের নেককার বাবার রক্ষিত গুপ্তধন ছিল। মহান আল্লাহ চেয়েছেন যে তারা যৌবনে পদার্পণ করুক এবং নিজেদের গুপ্তধন উদ্ধার করুক।
কোরআনে এরশাদ হয়েছে, খিজির বললেন, ‘আমি এসবের কিছুই নিজ থেকে করিনি।’ (সুরা কাহাফ: ৮২)
বাদশাহ জুলকারনাইনের ঘটনা
সুরা কাহাফের ৮৩ থেকে ১০১ নম্বর আয়াতে জুলকারনাইনের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। জুলকারনাইনের প্রকৃত নাম সিকান্দার। তিনি একজন ন্যায়পরায়ণ ও সৎ বাদশাহ ছিলেন। পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত সফর করেছিলেন। সফরকালে নির্যাতিত, বঞ্চিত, শাসকের হাতে শোষিত লোকদের মুক্তি দিতেন।
দুই পর্বতের মাঝে তিনি এক জনগোষ্ঠীকে খুঁজে পেয়েছিলেন। তারা তাঁর কাছে ইয়াজুজ ও মাজুজ জনগোষ্ঠীর হাত থেকে রক্ষা পেতে একটি দেয়াল নির্মাণের আবেদন জানিয়েছিল। তিনি কাজটি করে দেন।
মরিয়ম (আ.)-এর গল্পগাথা—সুরা মারইয়াম
সুরা মারইয়াম মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৯৮। কোরআনের ১৯তম সুরা এটি। সুরায় কয়েকজন নবীর ঘটনা আলোচিত হয়েছে। যথা—জাকারিয়া (আ.), ইসা (আ.), ইবরাহিম (আ.), মুসা (আ.), হারুন (আ.) ইসমাইল (আ.) ও ইদরিস (আ.)। এ সুরায় মরিয়ম (আ.)-এর আলোচনা থাকায় এটিকে সুরা মারইয়াম বলা হয়।
যে কারণে মৃত্যু কামনা করেছিলেন মরিয়ম (আ.)
সুরা মারয়ামে ১৬ থেকে ৪০ নম্বর আয়াতে মরিয়ম (আ.) ও ইসা (আ.)-এর জন্মের ঘটনা আলোচিত হয়েছে। আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন হিসেবে মরিয়ম (আ.) গর্ভবতী হলেন। প্রসবের সময় ঘনিয়ে এলে তিনি মসজিদ ছাড়লেন। দু পায়ে পথ ধরে চললেন নির্জন ভূমিতে। যেখানে মানুষ নেই। ঘরবাড়ি নেই।
স্বামী ছাড়া সন্তান হবে; এটা তিনি নিতে পারছিলেন না। ফলে মরে যেতে চাইলেন। মানুষের স্মৃতি থেকে মুছে যেতে চাইলেন। যেখানে জিবরাইল (আ.) তাঁকে বলেছেন, ‘এই সন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে, তিনি এই সন্তানের মাধ্যমে মানবজাতির জন্য নিদর্শন ও রহমত বানাবেন। এটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।’
পৃথিবীর স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে সন্তান হবে; লোকে তাঁকে দুশ্চরিত্রা বলে অপবাদ দেবে—এই কলঙ্ক ও অপবাদের দৃশ্য কল্পনা করে তিনি এমন প্রার্থনা করেছিলেন। আল্লাহ তাঁর অভিব্যক্তি এভাবে বর্ণনা করেছেন, ‘সে বলে উঠল— হায়! এর আগেই যদি আমি মরে যেতাম আর (মানুষের) স্মৃতি থেকে পুরোপুরি মুছে যেতাম!’ (সুরা মরিয়ম: ২৩)
ইসলামে মৃত্যু কামনা নিষেধ। কবিরা গুনাহ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন বিপদে পড়ে অধৈর্য হয়ে মৃত্যু কামনা না করে।’ (বুখারি: ৫৯৮৯) অথচ আয়াতে মরিয়ম (আ.) মৃত্যু কামনা করেছেন। এই আপত্তির জবাবে মুফাসসিরগণ বলেন, তিনি মানুষের অপবাদ ও দুর্নামের ভয়াবহতায় পড়ে এমনটি বলেছেন। মৃত্যু কামনা করা তাঁর মূল উদ্দেশ্য নয়, গুনাহ বা অপবাদ থেকে বাঁচাই উদ্দেশ্য। (ইবনে কাসির; ফাতহুল কাদির)
মুসা (আ.)-এর জীবনের গল্প—সুরা তহা
সুরা তহা মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১৩৫। কোরআনের ২০ তম সুরা এটি। এ সুরার ৯ থেকে ৯৮ নম্বর আয়াতে শিশু মুসাকে আল্লাহর আদশে বাক্সে ভরে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া, শত্রুর ঘরে লালন-পালন, নবুওয়াত অর্জন, আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথন, ফেরাউনকে দীনের দাওয়াত, জাদুকরদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় মুসার বিজয়, জাদুকরদের ইসলাম গ্রহণ, বনি ইসরাইলকে নিয়ে মিসর ত্যাগ, সৈন্যসামন্ত নিয়ে নবীকে ফেরাউনের ধাওয়া ও নদীতে ডুবে ফেরাউনসহ পুরো বাহিনীর মৃত্যু, বনি ইসরাইলের অকৃজ্ঞতা, গো-বাছুরের পূজা ও তুর পাহাড়ে ধ্যানে গিয়ে মুসা (আ.)-এর তওরাত লাভ এবং ফিরে এসে ভাই হারুন (আ.)-এর প্রতি ক্রোধ প্রকাশের বর্ণনা রয়েছে।
এ ছাড়া আল্লাহর সাক্ষাৎ, তাঁর সঙ্গে শরিক করা, তাঁর অস্তিত্ব, বুড়ো বয়সে জাকারিয়া (আ.)-এর সন্তান লাভ, ইবরাহিম (আ.)-এর একত্ববাদের ঘোষণা ও তাঁর বাবার অস্বীকার, মুমিনের প্রতি আল্লাহর ভালোবাসা, মহানবীকে সান্ত্বনা, অবিশ্বাসীদের শাস্তি, মানুষের কাজ ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৬তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা কাহাফের ৭৫ নম্বর আয়াত থেকে সুরা মারইয়াম ও সুরা তহা পড়া হবে। এই অংশে মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা, জুলকারনাইনের ঘটনা, ইয়াজুজ-মাজুজের ফেতনা, মরিয়ম ও ইসা (আ.)-এর বর্ণনা, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ ও তওবাসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা
সুরা কাহাফের ৬০ থেকে ৮২ নম্বর আয়াতে মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা রয়েছে। মুসা (আ.) একদিন সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ‘পৃথিবীতে সবচেয়ে জ্ঞানী কে?’ তিনি বললেন, ‘আমি।’ এই উত্তর আল্লাহর পছন্দ হয়নি। আল্লাহ মুসার ওপর প্রত্যাদেশ পাঠালেন, ‘দুই নদীর মোহনায় আমার এক বান্দা আছে, তোমার চেয়ে জ্ঞানী।’ মুসা খিজির (আ.)-এর সাক্ষাৎ প্রার্থনা করে তাঁর কাছে গেলেন। একাধিক শর্ত মানার অঙ্গীকারে তাঁরা পথ চললেন। তাঁদের সফরে তিনটি ঘটনা ঘটল।
এক. খিজির (আ.) একটি নৌকা ছিদ্র করে ফেলেন, অথচ নৌকার মালিক বিনা ভাড়ায় তাঁকে নৌকায় উঠিয়েছিলেন।
দুই. তিনি একটি নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করেন।
তিন. তিনি এক সম্প্রদায়ের একটি দেয়াল মেরামত করে দেন। অথচ তাদের কাছে খাবার চাইলে তারা আতিথেয়তা অস্বীকার করে।
মুসা (আ.) তিনটি ঘটনায় চুপ থাকতে পারেননি। বাহ্যত তিনটি ঘটনাই ছিল অন্যায়। খিজির (আ.) তিনটি ঘটনার ব্যাখ্যা দেন এভাবে—
এক. নৌকাটি ছিল কয়েকজন গরিব-মিসকিনের। তারা এটা দিয়ে জীবিকা অন্বেষণ করত। ওই অঞ্চলে ছিল এক জালিম বাদশাহ। তিনি বলপ্রয়োগে মানুষের নৌকা ছিনিয়ে নিতেন। তবে ছিদ্র করা নৌকা নিতেন না।
দুই. শিশুটির মা-বাবা ইমানদার। তবে সে বড় হয়ে কাফের হবে, যা তার মা-বাবার জন্য আজাবের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
তিন. ওই প্রাচীরটি ছিল নগরীর দুজন বাবা হারানো বালকের। প্রাচীরের নিচে তাদের নেককার বাবার রক্ষিত গুপ্তধন ছিল। মহান আল্লাহ চেয়েছেন যে তারা যৌবনে পদার্পণ করুক এবং নিজেদের গুপ্তধন উদ্ধার করুক।
কোরআনে এরশাদ হয়েছে, খিজির বললেন, ‘আমি এসবের কিছুই নিজ থেকে করিনি।’ (সুরা কাহাফ: ৮২)
বাদশাহ জুলকারনাইনের ঘটনা
সুরা কাহাফের ৮৩ থেকে ১০১ নম্বর আয়াতে জুলকারনাইনের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। জুলকারনাইনের প্রকৃত নাম সিকান্দার। তিনি একজন ন্যায়পরায়ণ ও সৎ বাদশাহ ছিলেন। পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত সফর করেছিলেন। সফরকালে নির্যাতিত, বঞ্চিত, শাসকের হাতে শোষিত লোকদের মুক্তি দিতেন।
দুই পর্বতের মাঝে তিনি এক জনগোষ্ঠীকে খুঁজে পেয়েছিলেন। তারা তাঁর কাছে ইয়াজুজ ও মাজুজ জনগোষ্ঠীর হাত থেকে রক্ষা পেতে একটি দেয়াল নির্মাণের আবেদন জানিয়েছিল। তিনি কাজটি করে দেন।
মরিয়ম (আ.)-এর গল্পগাথা—সুরা মারইয়াম
সুরা মারইয়াম মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৯৮। কোরআনের ১৯তম সুরা এটি। সুরায় কয়েকজন নবীর ঘটনা আলোচিত হয়েছে। যথা—জাকারিয়া (আ.), ইসা (আ.), ইবরাহিম (আ.), মুসা (আ.), হারুন (আ.) ইসমাইল (আ.) ও ইদরিস (আ.)। এ সুরায় মরিয়ম (আ.)-এর আলোচনা থাকায় এটিকে সুরা মারইয়াম বলা হয়।
যে কারণে মৃত্যু কামনা করেছিলেন মরিয়ম (আ.)
সুরা মারয়ামে ১৬ থেকে ৪০ নম্বর আয়াতে মরিয়ম (আ.) ও ইসা (আ.)-এর জন্মের ঘটনা আলোচিত হয়েছে। আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন হিসেবে মরিয়ম (আ.) গর্ভবতী হলেন। প্রসবের সময় ঘনিয়ে এলে তিনি মসজিদ ছাড়লেন। দু পায়ে পথ ধরে চললেন নির্জন ভূমিতে। যেখানে মানুষ নেই। ঘরবাড়ি নেই।
স্বামী ছাড়া সন্তান হবে; এটা তিনি নিতে পারছিলেন না। ফলে মরে যেতে চাইলেন। মানুষের স্মৃতি থেকে মুছে যেতে চাইলেন। যেখানে জিবরাইল (আ.) তাঁকে বলেছেন, ‘এই সন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে, তিনি এই সন্তানের মাধ্যমে মানবজাতির জন্য নিদর্শন ও রহমত বানাবেন। এটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।’
পৃথিবীর স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে সন্তান হবে; লোকে তাঁকে দুশ্চরিত্রা বলে অপবাদ দেবে—এই কলঙ্ক ও অপবাদের দৃশ্য কল্পনা করে তিনি এমন প্রার্থনা করেছিলেন। আল্লাহ তাঁর অভিব্যক্তি এভাবে বর্ণনা করেছেন, ‘সে বলে উঠল— হায়! এর আগেই যদি আমি মরে যেতাম আর (মানুষের) স্মৃতি থেকে পুরোপুরি মুছে যেতাম!’ (সুরা মরিয়ম: ২৩)
ইসলামে মৃত্যু কামনা নিষেধ। কবিরা গুনাহ। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন বিপদে পড়ে অধৈর্য হয়ে মৃত্যু কামনা না করে।’ (বুখারি: ৫৯৮৯) অথচ আয়াতে মরিয়ম (আ.) মৃত্যু কামনা করেছেন। এই আপত্তির জবাবে মুফাসসিরগণ বলেন, তিনি মানুষের অপবাদ ও দুর্নামের ভয়াবহতায় পড়ে এমনটি বলেছেন। মৃত্যু কামনা করা তাঁর মূল উদ্দেশ্য নয়, গুনাহ বা অপবাদ থেকে বাঁচাই উদ্দেশ্য। (ইবনে কাসির; ফাতহুল কাদির)
মুসা (আ.)-এর জীবনের গল্প—সুরা তহা
সুরা তহা মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১৩৫। কোরআনের ২০ তম সুরা এটি। এ সুরার ৯ থেকে ৯৮ নম্বর আয়াতে শিশু মুসাকে আল্লাহর আদশে বাক্সে ভরে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া, শত্রুর ঘরে লালন-পালন, নবুওয়াত অর্জন, আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথন, ফেরাউনকে দীনের দাওয়াত, জাদুকরদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় মুসার বিজয়, জাদুকরদের ইসলাম গ্রহণ, বনি ইসরাইলকে নিয়ে মিসর ত্যাগ, সৈন্যসামন্ত নিয়ে নবীকে ফেরাউনের ধাওয়া ও নদীতে ডুবে ফেরাউনসহ পুরো বাহিনীর মৃত্যু, বনি ইসরাইলের অকৃজ্ঞতা, গো-বাছুরের পূজা ও তুর পাহাড়ে ধ্যানে গিয়ে মুসা (আ.)-এর তওরাত লাভ এবং ফিরে এসে ভাই হারুন (আ.)-এর প্রতি ক্রোধ প্রকাশের বর্ণনা রয়েছে।
এ ছাড়া আল্লাহর সাক্ষাৎ, তাঁর সঙ্গে শরিক করা, তাঁর অস্তিত্ব, বুড়ো বয়সে জাকারিয়া (আ.)-এর সন্তান লাভ, ইবরাহিম (আ.)-এর একত্ববাদের ঘোষণা ও তাঁর বাবার অস্বীকার, মুমিনের প্রতি আল্লাহর ভালোবাসা, মহানবীকে সান্ত্বনা, অবিশ্বাসীদের শাস্তি, মানুষের কাজ ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৫ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৬ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা কাহাফের ৭৫ নম্বর আয়াত থেকে সুরা মারইয়াম ও সুরা তহা পড়া হবে। এই অংশে মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা, জুলকারনাইনের ঘটনা, ইয়াজুজ-মাজুজের ফেতনা, মরিয়ম ও ইসা (আ.)-এর বর্ণনা, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ ও তওবাসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সং
০৪ এপ্রিল ২০২৩
পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
মহান আল্লাহ তাআলা এই দুনিয়াবি জীবনকে শুধু পরীক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে প্রেরণ করেছেন, যেখানে মৃত্যুই হচ্ছে এই পরীক্ষার অবসান এবং পরকালীন জীবনের সূচনা।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কেয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।’ (সুরা আলে ইমান: ১৮৫)
তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও অবস্থান করো, তবুও।’ (সুরা নিন্দা: ৭৮)
মৃতদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত
প্রিয়জনের মৃত্যুতে মানুষের হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। এই বিচ্ছেদ-কষ্টে ব্যথিত মন থেকে তাদের জন্য কল্যাণ কামনার অনুভূতি জাগা স্বাভাবিক। মৃতদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ আমল।
রাসুলুল্লাহ (সাধারণ) বলেছেন, ‘যখন মানুষ মারা যায়, তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তিনটি আমল অব্যাহত থাকে—সাদকায়ে জারিয়া, এমন জ্ঞান যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় এবং ওই সুসন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৩১)
রাসুল (সা.)-এর শেখানো দোয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) মৃতদের জন্য যে দোয়া করতেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলাহু ওয়ারহামহু, ওয়া আফিহি ওয়া ফু আনহু; ওয়া আকরিম নুজুলাহু, ওয়া ওয়াসসি মাদখালাহু; ওয়াগসিলহু বিল মায়ি ওয়াস সালজি ওয়াল বারাদি, ওয়ানাক্কিহি মিনাল খাতা-ইয়া কামা ইউননাককাস সাওবুল আব ইয়াযু মিনাদদানাসি; ওয়াবদিলহু দা-রান খায়রান মিন দারিহি, ওয়া আহলান খাইরান মিন আহলিহি; ওয়া যাওজান খাইরান মিন যাওজিহি। ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা, ওয়া আইজহু মিন আজাবিল কাবরি ওয়ামিন আজাবিন নার।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তাকে ক্ষমা করুন এবং দয়া করুন। শান্তিতে রাখুন এবং তার থাকার স্থানটিকে মর্যাদাশীল করুন। তার কবর প্রশস্ত করে দিন। বরফ ও তুষারের শুভ্রতা দিয়ে তাকে গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিচ্ছন্ন করে দিন—যেমন ময়লা থেকে সাদা কাপড় পরিষ্কার হয়। তাকে দুনিয়ার বাসস্থানের চেয়ে উত্তম বাসস্থান, পরিবার ও সঙ্গী দান করুন। হে মাবুদ, তাকে জান্নাতে দাখিল করুন এবং কবর ও দোজখের আজাব থেকে রক্ষা করুন।’

পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
মহান আল্লাহ তাআলা এই দুনিয়াবি জীবনকে শুধু পরীক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে প্রেরণ করেছেন, যেখানে মৃত্যুই হচ্ছে এই পরীক্ষার অবসান এবং পরকালীন জীবনের সূচনা।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কেয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।’ (সুরা আলে ইমান: ১৮৫)
তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরেও অবস্থান করো, তবুও।’ (সুরা নিন্দা: ৭৮)
মৃতদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত
প্রিয়জনের মৃত্যুতে মানুষের হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। এই বিচ্ছেদ-কষ্টে ব্যথিত মন থেকে তাদের জন্য কল্যাণ কামনার অনুভূতি জাগা স্বাভাবিক। মৃতদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ আমল।
রাসুলুল্লাহ (সাধারণ) বলেছেন, ‘যখন মানুষ মারা যায়, তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তিনটি আমল অব্যাহত থাকে—সাদকায়ে জারিয়া, এমন জ্ঞান যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় এবং ওই সুসন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৩১)
রাসুল (সা.)-এর শেখানো দোয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) মৃতদের জন্য যে দোয়া করতেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলাহু ওয়ারহামহু, ওয়া আফিহি ওয়া ফু আনহু; ওয়া আকরিম নুজুলাহু, ওয়া ওয়াসসি মাদখালাহু; ওয়াগসিলহু বিল মায়ি ওয়াস সালজি ওয়াল বারাদি, ওয়ানাক্কিহি মিনাল খাতা-ইয়া কামা ইউননাককাস সাওবুল আব ইয়াযু মিনাদদানাসি; ওয়াবদিলহু দা-রান খায়রান মিন দারিহি, ওয়া আহলান খাইরান মিন আহলিহি; ওয়া যাওজান খাইরান মিন যাওজিহি। ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা, ওয়া আইজহু মিন আজাবিল কাবরি ওয়ামিন আজাবিন নার।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তাকে ক্ষমা করুন এবং দয়া করুন। শান্তিতে রাখুন এবং তার থাকার স্থানটিকে মর্যাদাশীল করুন। তার কবর প্রশস্ত করে দিন। বরফ ও তুষারের শুভ্রতা দিয়ে তাকে গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিচ্ছন্ন করে দিন—যেমন ময়লা থেকে সাদা কাপড় পরিষ্কার হয়। তাকে দুনিয়ার বাসস্থানের চেয়ে উত্তম বাসস্থান, পরিবার ও সঙ্গী দান করুন। হে মাবুদ, তাকে জান্নাতে দাখিল করুন এবং কবর ও দোজখের আজাব থেকে রক্ষা করুন।’

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৬ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা কাহাফের ৭৫ নম্বর আয়াত থেকে সুরা মারইয়াম ও সুরা তহা পড়া হবে। এই অংশে মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা, জুলকারনাইনের ঘটনা, ইয়াজুজ-মাজুজের ফেতনা, মরিয়ম ও ইসা (আ.)-এর বর্ণনা, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ ও তওবাসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সং
০৪ এপ্রিল ২০২৩
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১. জুমার দিনের মর্যাদা অনুধাবন: জুমা মুমিনের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এদিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ, দীর্ঘ দোয়ায় মগ্ন হওয়া এবং জুমার খুতবা গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব।
২. সালাতে খুশু-খুজু অর্জন: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায়ের পাশাপাশি জুমার নামাজে আগেভাগে মসজিদে উপস্থিত হওয়া জরুরি। নামাজকে কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে আত্মিক সংযোগের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
৩. কোরআনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক: নিয়মিত তিলাওয়াতের পাশাপাশি কোরআনের অর্থ ও শিক্ষা বোঝার চেষ্টা করা উচিত। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সন্তানদের কোরআন শিক্ষায় আগ্রহী করে তোলা আমাদের কর্তব্য।
৪. তাওবা ও আত্মপর্যালোচনা: অতীতের গুনাহের জন্য আন্তরিক অনুতাপ এবং প্রকাশ্য-গোপন সব পাপ থেকে ফিরে আসার দৃঢ়সংকল্প করতে হবে। প্রতিদিনের আমল নিজে নিজে মূল্যায়নের অভ্যাস গড়ে তোলা আত্মশুদ্ধির মূল চাবিকাঠি।
৫. সবর, তাওয়াক্কুল ও তাকওয়া চর্চা: বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা ইমানের দাবি। নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে ফলাফলের জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হবে এবং সর্বদা আল্লাহভীতি (তাকওয়া) বজায় রাখতে হবে।
৬. পরিবারে ইসলামি পরিবেশ প্রতিষ্ঠা: পরিবারে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করা এবং স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করা অত্যন্ত জরুরি। পারিবারিকভাবে নামাজ ও নিয়মিত দ্বীনি আলোচনার চর্চা করা একজন মুমিনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
৭. সামাজিক দায়িত্ব ও মানবিকতা: প্রতিবেশীর হক আদায় করা, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সমাজে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা।
৮. দুনিয়াবিমুখতা ও আত্মসংযম: অতিরিক্ত ভোগবিলাস ও অপচয় পরিহার করে সহজ-সরল ও সংযত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টিকেই জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হিসেবে স্থির করতে হবে।
৯. ইসলামের মহান মনীষীদের অনুসরণ: ইসলামের মহান মনীষী ও সালাফদের জীবন থেকে সংযম, ত্যাগ ও পবিত্রতার শিক্ষা গ্রহণ করে জীবনের মূল্যবোধ ও ইমান রক্ষায় সচেতন থাকা প্রয়োজন।
১০. নতুন আমলি অঙ্গীকার: প্রতিটি জুমাকে আত্মশুদ্ধির একটি মাইলফলক হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। ছোট হলেও নিয়মিত ভালো আমলের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং গুনাহমুক্ত জীবনের পথে অবিচল থাকার প্রতিজ্ঞাই হোক আজকের জুমার শিক্ষা।
হে আল্লাহ, আপনি আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে দিন। আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের আমলগুলো কবুল করুন। জমাদিউস সানি মাসের এই বরকতময় চতুর্থ জুমাকে আমাদের জীবনে হেদায়েত ও কল্যাণের মাধ্যম হিসেবে কবুল করুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগীকল্যাণ সোসাইটি।

আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১. জুমার দিনের মর্যাদা অনুধাবন: জুমা মুমিনের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এদিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ, দীর্ঘ দোয়ায় মগ্ন হওয়া এবং জুমার খুতবা গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব।
২. সালাতে খুশু-খুজু অর্জন: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায়ের পাশাপাশি জুমার নামাজে আগেভাগে মসজিদে উপস্থিত হওয়া জরুরি। নামাজকে কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে আত্মিক সংযোগের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
৩. কোরআনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক: নিয়মিত তিলাওয়াতের পাশাপাশি কোরআনের অর্থ ও শিক্ষা বোঝার চেষ্টা করা উচিত। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে কোরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সন্তানদের কোরআন শিক্ষায় আগ্রহী করে তোলা আমাদের কর্তব্য।
৪. তাওবা ও আত্মপর্যালোচনা: অতীতের গুনাহের জন্য আন্তরিক অনুতাপ এবং প্রকাশ্য-গোপন সব পাপ থেকে ফিরে আসার দৃঢ়সংকল্প করতে হবে। প্রতিদিনের আমল নিজে নিজে মূল্যায়নের অভ্যাস গড়ে তোলা আত্মশুদ্ধির মূল চাবিকাঠি।
৫. সবর, তাওয়াক্কুল ও তাকওয়া চর্চা: বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা ইমানের দাবি। নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে ফলাফলের জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হবে এবং সর্বদা আল্লাহভীতি (তাকওয়া) বজায় রাখতে হবে।
৬. পরিবারে ইসলামি পরিবেশ প্রতিষ্ঠা: পরিবারে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করা এবং স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করা অত্যন্ত জরুরি। পারিবারিকভাবে নামাজ ও নিয়মিত দ্বীনি আলোচনার চর্চা করা একজন মুমিনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
৭. সামাজিক দায়িত্ব ও মানবিকতা: প্রতিবেশীর হক আদায় করা, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সমাজে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা।
৮. দুনিয়াবিমুখতা ও আত্মসংযম: অতিরিক্ত ভোগবিলাস ও অপচয় পরিহার করে সহজ-সরল ও সংযত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টিকেই জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হিসেবে স্থির করতে হবে।
৯. ইসলামের মহান মনীষীদের অনুসরণ: ইসলামের মহান মনীষী ও সালাফদের জীবন থেকে সংযম, ত্যাগ ও পবিত্রতার শিক্ষা গ্রহণ করে জীবনের মূল্যবোধ ও ইমান রক্ষায় সচেতন থাকা প্রয়োজন।
১০. নতুন আমলি অঙ্গীকার: প্রতিটি জুমাকে আত্মশুদ্ধির একটি মাইলফলক হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। ছোট হলেও নিয়মিত ভালো আমলের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং গুনাহমুক্ত জীবনের পথে অবিচল থাকার প্রতিজ্ঞাই হোক আজকের জুমার শিক্ষা।
হে আল্লাহ, আপনি আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে দিন। আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের আমলগুলো কবুল করুন। জমাদিউস সানি মাসের এই বরকতময় চতুর্থ জুমাকে আমাদের জীবনে হেদায়েত ও কল্যাণের মাধ্যম হিসেবে কবুল করুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগীকল্যাণ সোসাইটি।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৬ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা কাহাফের ৭৫ নম্বর আয়াত থেকে সুরা মারইয়াম ও সুরা তহা পড়া হবে। এই অংশে মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা, জুলকারনাইনের ঘটনা, ইয়াজুজ-মাজুজের ফেতনা, মরিয়ম ও ইসা (আ.)-এর বর্ণনা, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ ও তওবাসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সং
০৪ এপ্রিল ২০২৩
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৫ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
মসজিদুল হারামের এ সপ্তাহের জুমার ইমাম শায়খ মাহের মুকাইলি মুসলিম বিশ্বের একজন প্রখ্যাত আলেম ও কারি। তিনি মক্কার মসজিদুল হারামের একজন ইমাম ও খতিব।
আল-মুয়াইকিলি মদিনার টিচার্স কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন, যেখানে তিনি গণিত বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর তিনি শিক্ষক হিসেবে মক্কা আল-মুকাররমায় চলে আসেন। পরবর্তীকালে তিনি মক্কার প্রিন্স আবদুল মজিদ স্কুলে স্টুডেন্ট গাইড হিসেবে কাজ করেন।
তিনি ১৪২৫ হিজরিতে উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ ফ্যাকাল্টি থেকে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.)-এর ফিকহ শাস্ত্রের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীকালে তিনি তাফসির বিষয়ে পিএইচডি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুডিশিয়াল স্টাডিজ বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত এবং উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা বিভাগের ভাইস ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি মক্কার আল-আওয়ালি এলাকার আল-সাদি মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পবিত্র রমজান মাসে মদিনার মসজিদে নববিতে তারাবিহতে ইমামতি করেন ১৪২৬ ও ১৪২৭ হিজরিতে। এরপর ১৪২৮ হিজরির রমজানে তিনি মসজিদুল হারামে তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ নামাজের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হন এবং সেই বছর থেকেই তিনি মসজিদুল হারামের স্থায়ী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
অন্যদিকে, মসজিদে নববির এ সপ্তাহের জুমার ইমাম শায়খ আহমাদ হুজাইফি সুললিত কণ্ঠে কোরআন তিলাওয়াতের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিতি।
শায়খ ড. আহমাদ বিন আলি আল-হুজাইফি মসজিদে নববির প্রধান ইমাম ও খতিব শায়খ আলি বিন আবদুর রহমান আল-হুজাইফির সুযোগ্য সন্তান। বর্তমানে তিনি মদিনার মসজিদে নববিতে ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি মদিনার ঐতিহাসিক মসজিদে কুবার ইমাম ও খতিব ছিলেন।
তিনি মদিনার তাইবাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়েও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ফার্স্ট ক্লাস অনার্সসহ মাস্টার্স ও পিএইচডি (ডক্টরেট) ডিগ্রি অর্জন করেন। মদিনার ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সেমিনার, বক্তব্য ও গবেষণামূলক কাজে তাঁর ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়েছে।
উল্লেখ্য, মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববি মুসলিম বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত ও পবিত্র স্থান। এই দুই মসজিদে নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মসজিদে হারামে এক (ওয়াক্ত) নামাজ এক লাখ নামাজের সমান, আমার মসজিদে (মসজিদে নববি) এক নামাজ এক হাজার (ওয়াক্ত) নামাজের সমান এবং বাইতুল মুকাদ্দাসে এক (ওয়াক্ত) নামাজ ৫০০ নামাজের সমান।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ: ৪ / ১১)
অন্য হাদিসে ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার এ মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার (ওয়াক্ত) নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম। (সহিহ্ বুখারি: ১১৯০, সহিহ্ মুসলিম: ১৩৯৪)

সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারামে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন প্রখ্যাত আলেম শায়খ মাহের মুকাইলি। একই দিনে মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববিতে জুমার নামাজ পড়াবেন খ্যাতনামা কারি শায়খ আহমাদ হুজাইফি। সংবাদমাধ্যম দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন এ তথ্য জানিয়েছে।
মসজিদুল হারামের এ সপ্তাহের জুমার ইমাম শায়খ মাহের মুকাইলি মুসলিম বিশ্বের একজন প্রখ্যাত আলেম ও কারি। তিনি মক্কার মসজিদুল হারামের একজন ইমাম ও খতিব।
আল-মুয়াইকিলি মদিনার টিচার্স কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন, যেখানে তিনি গণিত বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর তিনি শিক্ষক হিসেবে মক্কা আল-মুকাররমায় চলে আসেন। পরবর্তীকালে তিনি মক্কার প্রিন্স আবদুল মজিদ স্কুলে স্টুডেন্ট গাইড হিসেবে কাজ করেন।
তিনি ১৪২৫ হিজরিতে উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ ফ্যাকাল্টি থেকে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.)-এর ফিকহ শাস্ত্রের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীকালে তিনি তাফসির বিষয়ে পিএইচডি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুডিশিয়াল স্টাডিজ বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত এবং উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা বিভাগের ভাইস ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি মক্কার আল-আওয়ালি এলাকার আল-সাদি মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পবিত্র রমজান মাসে মদিনার মসজিদে নববিতে তারাবিহতে ইমামতি করেন ১৪২৬ ও ১৪২৭ হিজরিতে। এরপর ১৪২৮ হিজরির রমজানে তিনি মসজিদুল হারামে তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ নামাজের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হন এবং সেই বছর থেকেই তিনি মসজিদুল হারামের স্থায়ী ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
অন্যদিকে, মসজিদে নববির এ সপ্তাহের জুমার ইমাম শায়খ আহমাদ হুজাইফি সুললিত কণ্ঠে কোরআন তিলাওয়াতের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিতি।
শায়খ ড. আহমাদ বিন আলি আল-হুজাইফি মসজিদে নববির প্রধান ইমাম ও খতিব শায়খ আলি বিন আবদুর রহমান আল-হুজাইফির সুযোগ্য সন্তান। বর্তমানে তিনি মদিনার মসজিদে নববিতে ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি মদিনার ঐতিহাসিক মসজিদে কুবার ইমাম ও খতিব ছিলেন।
তিনি মদিনার তাইবাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়েও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ফার্স্ট ক্লাস অনার্সসহ মাস্টার্স ও পিএইচডি (ডক্টরেট) ডিগ্রি অর্জন করেন। মদিনার ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সেমিনার, বক্তব্য ও গবেষণামূলক কাজে তাঁর ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়েছে।
উল্লেখ্য, মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববি মুসলিম বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত ও পবিত্র স্থান। এই দুই মসজিদে নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মসজিদে হারামে এক (ওয়াক্ত) নামাজ এক লাখ নামাজের সমান, আমার মসজিদে (মসজিদে নববি) এক নামাজ এক হাজার (ওয়াক্ত) নামাজের সমান এবং বাইতুল মুকাদ্দাসে এক (ওয়াক্ত) নামাজ ৫০০ নামাজের সমান।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ: ৪ / ১১)
অন্য হাদিসে ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার এ মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার (ওয়াক্ত) নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম। (সহিহ্ বুখারি: ১১৯০, সহিহ্ মুসলিম: ১৩৯৪)

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৬ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা কাহাফের ৭৫ নম্বর আয়াত থেকে সুরা মারইয়াম ও সুরা তহা পড়া হবে। এই অংশে মুসা (আ.) ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা, জুলকারনাইনের ঘটনা, ইয়াজুজ-মাজুজের ফেতনা, মরিয়ম ও ইসা (আ.)-এর বর্ণনা, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ ও তওবাসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সং
০৪ এপ্রিল ২০২৩
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৫ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বিষয় নিশ্চিত ও অলঙ্ঘনীয়—তা হলো মৃত্যু। মানবজীবনের এই অনিবার্য পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। এই চিরন্তন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার শিক্ষাই পবিত্র কোরআন আমাদের দিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
আজ জমাদিউস সানি মাসের চতুর্থ জুমা। এদিনটি একজন মুমিনের জীবনে আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ সুযোগ। এ বরকতময় দিনে নিজের ইমান, আমল ও চরিত্রকে নতুন করে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আজকের জুমার বিশেষ আমলি দিকনির্দেশনাগুলো নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১৩ ঘণ্টা আগে