যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করা হবে। প্রতিবেদনের পয়েন্টগুলো যাচাই-বাছাই করতে একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করা হবে। এটি নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এবং জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক সেহেলি সাবরিন।
২০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, স্বাধীন মতপ্রকাশে বাধাসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের ইস্যুতে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘আরাভের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করছে। যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে সহায়তা চায় বা আমাদের যে দূতাবাস (দুবাই) আছে তাদের কোনো সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই তথ্য দিয়ে সহায়তা করব।’
আরাভের ভারতীয় পাসপোর্ট আছে। সে ক্ষেত্রে দুবাই থেকে তাঁকে ফেরানো কতটা জটিল হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সেহেলি সাবরিন বলেন, ভারতের পাসপোর্টের বিষয়টি নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। কাজেই ভারতের পাসপোর্ট বাতিল করে তাঁকে দেশে ফেরত আনা হবে কি না সেটি নিয়ে ওই মন্ত্রণালয় কাজ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিস্তায় খাল খননের বিষয়ে ভারতীয় পক্ষ থেকে কোনো তথ্য এসেছে কি না জানতে চাইলে সেহেলি সাবরিন জানান, তিস্তায় খাল খননের বিষয়ে জানতে চেয়ে ভারতীয় হাইকমিশনে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তবে এখনো উত্তর আসেনি।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশ থেকে দেশে আনতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়েও আমরা আশাবাদী। এটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আলোচনা হয়ে থাকে।
মানব পাচারের অভিযোগে সৌদি আরবে আটক বাংলাদেশি নাগরিকের বিষয়ে সেখানের বাংলাদেশ দূতাবাস খোঁজখবর রাখছে উল্লেখ করে সেহেলি সাবরিন বলেন, ‘আটক ছয় নাগরিকের বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। দূতাবাস তাঁদের জন্য কাজ করছে।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে