গাজীপুরের টঙ্গীতে এক নারীকে (৩৪) ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবলীগ নেতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন টঙ্গী থানা যুবলীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মহর আলী মৃধা ও তাঁর সহযোগী শাকিল। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দত্তপাড়া বনমালা এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে পুলিশ। পরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলা দায়ের শেষে দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গতকাল সকালে টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী স্বপন মৃধা তাঁর বড় ভাই মহর মৃধা, আমিনুল, শাকিল, রাজুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা স্বপন মৃধা, আমিনুল ও রাজু পলাতক ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন দত্তপাড়া এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ করছিলেন ওই নারী। একই এলাকায় বাস করেন ছাত্রলীগ নেতা স্বপন মৃধা। তাঁদের দুজনের পরিচয় হলে মৌখিক চুক্তিতে বাড়িটির নির্মাণসামগ্রী দিতে বলেন ভুক্তভোগী নারী। এর একপর্যায়ে গত কয়েক মাস আগে ছাত্রলীগ নেতার স্বপনের সঙ্গে কক্সবাজারে বেড়াতে গেলে ধর্ষণের স্বীকার হন ওই নারী। পরে গত সোমবার অভিযুক্ত স্বপন মিয়ার বড় ভাই মহর আলী মৃধা ও তাঁর তিন সহযোগী তাঁর বাসায় ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় আমি একটি কয়েক তলা ভবন নির্মাণ করছি। ভবনটি নির্মাণসামগ্রী দিতে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা স্বপন মৃধার সঙ্গে মৌখিক চুক্তি হয়। প্রায়ই তারা আমার বাসায় যাতায়াত করত। কয়েক মাস আগে স্বপন সঙ্গে আমি কক্সবাজারে বেড়াতে যাই। তখন স্বপন আমাকে ধর্ষণ করে। গত সোমবার (১২ মার্চ) বিকেলে স্বপনের বড় ভাই মহর আলী মৃধা ও তার সঙ্গে আমিনুল, রাজু, শাকিল আমাদের বাসায় এসে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি।’
টঙ্গী থানা যুবলীগের (সাবেক) সভাপতি সাত্তার মোল্লা বলেন, মহর আলী মৃধা বর্তমানে যুবলীগের কমিটিতে নেই। তবে আগে থানা যুবলীগের কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছিলেন। থানা বিভক্ত হওয়ার পর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তাররে চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে