আগামী অক্টোবর মাসে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত গ্যাস ভিত্তিক সোনারগাঁও ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডের (ইউএমপিএল) ৫৮৪ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আজ বুধবার সকালে প্রকল্পটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন—সোনারগাঁও ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডের (ইউএমপিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ইউএমপিএলের চেয়ারম্যান মো. নুর আলী, মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক ইউনিটের প্রধান জোসেফ গিবলিন, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জহির উদ্দিন মোল্লা, গ্যাস পাওয়ারের দক্ষিণ এশিয়ার সিইও দীনেশ নান্দা, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) রেজওয়ান উল ইসলাম, সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলমসহ প্রমুখ।
এ সময় পিটার হাস বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এক নম্বরে আছে। দিন দিন আরও নতুন করে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। বিনিয়োগের পরিবেশ ভালো থাকায় ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখব।’
ইউএমপিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী নাফিজ সরাফাত গণমাধ্যমকে জানান, ২০১৮ সালের ২৫ জুন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স লিমিটেড ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড এবং জিই এর কনসোর্টিয়ামকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন গ্যাস ভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সম্মতিপত্র প্রদান করেন। পরবর্তী পর্যায়ে নেব্রাস পাওয়ার কিউপিএসসি এর প্রতিষ্ঠান ২৪ ভাগ ইক্যুইটি অংশীদারত্ব নিয়ে প্রকল্পে যুক্ত হয়। ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির সঙ্গে প্রজেক্ট বাস্তবায়ন চুক্তি বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডেও সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি এবং তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ চুক্তি হয়।
বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ইউএমপিএলের কর্মকর্তারা অবহিত করে বলেন, এ প্রকল্পটি পরিবেশবান্ধব। এখানে কার্বন নিঃসরণ কমাতে ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পটি সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখছে। এ প্রকল্পের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। প্রজেক্ট কোম্পানির স্থানীয় সুবিধা বঞ্চিতদের মাসিক ভাতা, নদীতে ঘাট নির্মাণ, ঘাটের অ্যাপ্রোচ রাস্তা, হতদরিদ্রদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ও গ্রামবাসীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করেছে।
ইউএমপিলের চেয়ারম্যান মো. নুর আলী বলেন, ‘এ প্রকল্পটি দেশের বেসরকারি খাতের সক্ষমতার প্রতীক এটি দক্ষ উচ্চ প্রযুক্তির বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতের মাস্টার প্ল্যান ও ভিশন ২০৪১ এর লক্ষ্য অর্জনে একধাপ এগিয়ে যাবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন শুরু হলে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার কম হবে। কেন্দ্রটিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রায় ৭ লাখ বাড়িতে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে