Ajker Patrika

রাবিতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলো যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও রাবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩, ১৭: ১৬
রাবিতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলো যেভাবে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দফা দফায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র‍্যাব এবং সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ঘটনার সূত্রপাত এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাস কন্ডাক্টরের বাগ্‌বিতণ্ডা থেকে। বগুড়া থেকে মোহাম্মদ পরিবহনের একটি বাসে রাজশাহী আসছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন আকাশ। বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়িচালক শরিফুল ও তাঁর সহযোগী রিপনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আকাশের। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিনোদপুর বাজারে বাস থেকে নামার সময় তাঁদের মধ্যে আবারও কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় বিনোদপুর বাজারের একজন ব্যবসায়ী বাসচালকের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। তখন আকাশসহ বিনোদপুর বাজারে আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া রাবির কয়েক শিক্ষার্থীর সঙ্গে গাড়ির চালক, তাঁর সহযোগী ও বাজারের ব্যবসায়ীর কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।

খবর পেয়ে সেখানে যান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। এ সময় ব্যবসায়ীরা তাঁর মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করেন এবং ধাওয়া দিয়ে তাঁকেসহ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকিয়ে দেন। এতেই ঘটনা বড় হয়ে যায়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবশিক হল থেকে বের হয়ে বিনোদপুর গেটের পাশে অবস্থান নেন। 

দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষে দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। ছবি: আজকের পত্রিকাআর ব্যবসায়ীরা অবস্থান নেন রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে বিনোদপুর বাজারে। তখন এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর রাতের অন্ধকারে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তখন শত শত শিক্ষার্থীর মধ্যে পড়া ইটের আঘাতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। 

আহতদের মধ্যে ক্যাম্পাসে কর্মরত কয়েকজন সাংবাদিকও আছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহতের সংখ্যা দুই শতাধিক দাবি করা হয়েছে। 

পরিস্থিতি সামাল দিতে সন্ধ্যার পরেই ঘটনাস্থলে যান বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া তাঁরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কোনো চেষ্টা করেননি। রাত ৮টার দিকে বিনোদপুর গেটের পাশে থাকা পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিনোদপুর বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মুহূর্তেই বিনোদপুর বাজারে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। 

এ সময় অন্ধকারের মধ্যে বিনোদপুর বাজার থেকে ক্যাম্পাসের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে বিনোদপুর বাজারের দিকে অসংখ্য পেট্রলবোমা উড়ে আসতে দেখা যায়। ক্যাম্পাসের আবাসিক হলগুলো থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও লাঠিসোঁটা এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিতে দেখা যায়। 

এমন পরিস্থিতিতে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে বিনোদপুর বাজারের সামনে দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিনোদপুর বাজারে আসেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এ এইচ এম খাইরুজ্জামান লিটন। তিনি দুই পক্ষকেই শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। 

দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষে দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসার পর রাত ৯টা ৫ মিনিটের দিকে প্রথম অ্যাকশন শুরু করে পুলিশ। পুলিশ লাঠিপেটা ও ধাওয়া দিয়ে বিনোদপুর বাজার থেকে ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। রাজশাহীর নগর পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম এবং র‍্যাবের সদস্যরা এই অভিযানে অংশ নেন। দাঙ্গা দমনের কাজে ব্যবহৃত পুলিশের একটি এপিসি গাড়ি দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে দেখা যায়। তার পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি এসে দোকানপাটগুলোর আগুন নিভিয়েছে। 

রাত সাড়ে ১০টায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে বের হয়ে মহাসড়কে চলে আসে। তাঁরা আবারও দোকানপাটে আগুন দিতে শুরু করেন। এ সময় পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে। 

সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে এসে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে ব্যবসায়ীরা শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরাতে সাহস পেয়েছে। এ ঘটনায় তাঁরা বিচার চান। 

দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষে দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। ছবি: আজকের পত্রিকাঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিনোদপুর বাজার বণিক সমিতির উপদেষ্টা আবদুল আজিজ বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রথমে ইমরান নামের এক দোকানির দোকানে ঢুকিয়ে বাসের চালক ও হেলপারকে মারধর করছিলেন। তাঁদের রক্ষার চেষ্টা করায় তাঁরা ব্যবসায়ীদের ওপর ক্ষুব্ধ হন। এ ঘটনার জন্য ব্যবসায়ীদের কোনো দোষ নেই বলে তিনি দাবি করেন। 

ঘটনার ব্যাপারে রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ বক্তব্য দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত শিক্ষার্থী আহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। ঘটনার তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন এসব ব্যাখ্যা করার সময় নয়, কাজ করার সময়। আমাদের কাজ করতে দিন।’

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত
অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘আমি ভোট ডাকাতের এমপি হতে চাই না, ভোট চুরির এমপি হতে চাই না। এই সমাজকে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে আমি এমপি হতে চাই।’

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহের শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ বাজারে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমি দুর্নীতি বা আলিশান বাড়ি করার জন্য এমপি হতে চাইনি। আল্লাহ আমাকে বাড়ি-গাড়ি দিয়েছেন, সন্তান দিয়েছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে একটি সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমি স্বপ্ন দেখেছি।’

আসাদুজ্জামান বলেন, বিগত ১৭ বছর পর আপনারা দেশের মানুষ ভোট দিতে যাবেন। আপনারা এত দিন ভোট দিতে পারেননি। ভোট আপনার সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকার কেড়ে রাখা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘আমি শৈলকুপার শিক্ষক প্রতিনিধিদের বলেছি, প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে আপনি শুধু নিশ্চিত করবেন, প্রতিটা ভোটার যাতে তাঁর ভোট প্রয়োগ করতে পারেন।’ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমার শৈলকুপার প্রতিটি ঘরে ঘরে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস অফিসার তৈরি হবে। ভালো ব্যবসায়ী, সৎ মানুষ তৈরি হবে। এ রকম একটি শৈলকুপার স্বপ্ন দেখে আমি আগামী দিনে আপনাদের সামনে আসছি। আপনাদের পাশে থাকব। দেখা হবে রাজপথে, কথা হবে ধানের শীষের মিছিলে। উন্নয়নের মিছিলে, গণতন্ত্রের মিছিলে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মিছিলে। একটি স্বপ্নের শৈলকুপার মিছিলে আপনাদের সঙ্গে আমার দেখা হবে।’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমরা জানি, আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়। আমরা জানি না আমাদের বেহেশত হবে না দোজখ হবে, সেটা নির্ধারিত হবে কিয়ামতের দিন। অথচ একটি রাজনৈতিক দলের মহিলা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেহেশতের টিকিট বিক্রি করছে। আসলে এটা শিরক করা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ধর্ষণের অভিযোগ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীর, থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সুয়ান আল তালুকদার (২৪) নামের এক যুবককে আসামি করে ১৮ ডিসেম্বর বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নেত্রী।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন উল ইসলাম মামলার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।’

অভিযুক্ত আসামি সুয়ান আল তালুকদার বরিশাল নগরের কাউনিয়া থানাধীন মনষা বাড়ি তালুকদার ভিলার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর তালুকদারের ছেলে। বিভিন্ন আন্দোলনে বরিশালে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন সুয়ান। সুয়ান নিজেকে জুলাই আন্দোলনের পক্ষের শক্তি দাবি করেন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কমিটির একজন নেত্রী। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় তাঁর সঙ্গে সুয়ানের পরিচয় হয়। যেখান থেকে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক। পরবর্তীকালে অভিযুক্ত যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

গত ১১ অক্টোবর নগরের সদর রোডের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বাদীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। কিন্তু বিবাহের জন্য চাপ দিলে সুয়ান বাদীকে ঘোরাতে থাকেন। পরবর্তীকালে বিয়ের কথা বলে ১৭ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় বাদীকে নবগ্রাম রোডে নিয়ে যান সুয়ান এবং জানান তিনি বিয়ে করবেন না।

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত সুয়ান হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর মোটরসাইকেলের হেলমেট দিয়ে বাদীর মাথায় আঘাত করেন। তবে বাদী মাথা সরিয়ে নিলে সেই আঘাত মুখে লাগে এবং রক্তাক্ত জখম হয়।

১৮ ডিসেম্বর মামলার বাদী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসে সুয়ানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন; যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুয়ানও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর বক্তব্য লিখিত আকারে তুলে ধরেন। ১৮ ডিসেম্বর সুয়ানের বিরুদ্ধে বাদীর করা মামলা আমলে নেয় পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সুয়ান আল তালুকদারকে ফোন দেওয়া হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চলন্ত ফেরি থেকে মাঝনদীতে পড়ল ট্রাকসহ ৫ যান

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ০১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে ধলেশ্বরী নদী পার হওয়ার সময় ফেরি থেকে পড়ে গেছে ট্রাকসহ পাঁচটি যানবাহন। এতে এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে মাঝনদীতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বক্তাবলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. রকিবুজ্জামান।

মো. রকিবুজ্জামান বলেন, ‘বক্তাবলীর পূর্বপাশের ঘাট থেকে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে ফেরিটি ছাড়ে। মাঝনদীতে হঠাৎ একটি ট্রাক চালু হয়ে যায়।’

এ সময় ট্রাকটি ছাড়াও সামনে থাকা একটা মোটরসাইকেল, দুটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও একটি ভ্যানগাড়ি পানিতে পড়ে যায়। এ ঘটনার পর ট্রাকের চালক সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ভ্যানের চালক নিখোঁজ বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাটের চারটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

বাগেরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৫৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে জানান মনোনয়নপ্রাপ্তরা।

মনোনয়ন পেলেন যাঁরা—বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট) আসনে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল, বাগেরহাট-২-এ (সদর ও কচুয়া) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন, বাগেরহাট-৩-এ (মোংলা-রামপাল) জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম ও বাগেরহাট-৪-এ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে।

মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা মোবাইল ফোনে তাঁদের মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত