Ajker Patrika

‘অফিস খরচের’ নামে ঘুষ বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ

রুদ্র রুহান, বরগুনা
‘অফিস খরচের’ নামে ঘুষ  বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) প্রকল্পের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, বরগুনা সদর উপজেলার ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তারা জেলা ‘অফিস ম্যানেজের’ নামে ঘুষ নিচ্ছেন এবং প্রকল্পের একটি বড় অংশ নিজের পকেটে পুড়ছেন। এ বিষয়ে বিআরডিবির সমবায় সমিতির সুবিধাভোগী কয়েকজন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতনদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বিআরডিবি বরগুনা কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে বিআরডিবি বরগুনা জেলার আওতাধীন বরগুনা সদর উপজেলায় ‘অংশীদারত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ এর অধীনে বিভিন্ন গ্রামে টিউবওয়েল, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গেট, রাস্তা, ঘাটলা, ঈদগাহ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য প্রায় ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়।

নিয়মানুযায়ী সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা বাজেটে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রকল্পের বাজেট থেকে ১৫ শতাংশ সমবায় সমিতির সুবিধাভোগী সদস্যরা ও বাকি ৫ শতাংশ অর্থ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ জোগান দেবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সুবিধাভোগীদের সমিতি।

বরগুনা সদর উপজেলায় বিআরডিবির বাস্তবায়ন করা কয়েকটি প্রকল্প ঘুরে ও সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমন নিয়ম শুধুমাত্র কাগজেই, বাস্তবে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ১৫% টাকা অগ্রিম জমা নিয়ে নিজের মত কাজ করিয়েছেন বিআরডিবির উপজেলার উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র।

বরগুনা সদর উপজেলার ১ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের রিপন হাওলাদার ও রোজিনা দম্পতির বাড়িতে ১ লাখ টাকা ব্যয়ে টিউবওয়েল স্থাপন করেছে বিআরডিবি। নিয়মানুযায়ী প্রকল্প থেকে তাদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। নিয়মানুযায়ী ১৫ হাজার টাকা রিপন বহন করলেও জলা অফিস ম্যানেজর নামে আরও ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন প্রবীর চন্দ্র।

রিপন বলেন, নিয়মানুযায়ী ১ লাখ টাকা বাজেটের নলকূপ স্থাপনে আমার কাছ থেকে ঘুষসহ মোট ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে ৬০ হাজার টাকা খরচা করে বাকি টাকা পকেটে পুড়েছেন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র। একই অভিযোগ ওই এলাকার শিউলি বেগমেরও। সদর উপজেলার পূর্ব বাওয়ালকর, মধ্য বাওয়ালকর, গৌরীচন্না ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরতলা, দক্ষিণ লাকুরতলাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২০ টিরও বেশি নলকূপ স্থাপনের নামে প্রবীর চন্দ্র একই প্রক্রিয়ায় অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।

শুধু নলকূপই না, বরগুনা সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গেট, রাস্তা, ঘাটলা, ঈদগাহ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য বিআরডিবির কর্মকর্তারা অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছেন বলে সুবিধাভোগীদের অভিযোগ রয়েছে। সদরের বদরখালী ইউনিয়নের মধ্য বাওয়ালকর ও গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণ লাকুতলা এলাকায় প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে দুটি রাস্তায় ইটের সলিং করার জন্য অংশীদারত্বমূলক বাজেট ছিল এক লাখ টাকা।

সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা জমা ও ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে মাত্র ৬০ হাজার টাকার কাজ করিয়েছে বিআরডিবি। অর্থাৎ প্রকল্পের বরাদ্দের ৮০ হাজার টাকাও খরচা হয়নি। ওই এলাকার বিআরডিবির সদস্য আখিরুজ্জামান বলেন, মাত্র ৬০ হাজার টাকা খরচায় ইটের সলিং করা হয়েছে কিন্তু অংশীদারত্বমূলক বাজেট ছিল ১ লাখ টাকা। বাকি টাকা ভাগাভাগি করেছেন বিআরডিবির উপপরিচালক মো. আবদুর রহমান ও ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র।

কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের (ইউসিসিএ) বরগুনা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন বলেন, বিআরডিবি বরগুনা জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের এই দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। জেলা কর্মকর্তা আবদুর রহমান ও ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র এই দুজনে এখন বিআরডিবিতে লুটপাট করছে। সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে প্রকল্পের নামে বরাদ্দ অর্থ নিজেরা যেনতেনভাবে খরচা করে বাকি টাকা তারা পকেটে পুড়ছেন। আমরা এ বিষয়ে বিআরডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

বিআরডিবি বরগুনা সদর উপজেলার ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়, আমি নিয়মানুযায়ী কাজ করিয়েছি। যারা অভিযোগ করেছেন তারা সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন, পায়নি বলেই এমন অভিযোগ করেছেন। বিআরডিবি বরগুনা উপপরিচালক আবদুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পে টাকা পয়সা লেনদেনের কোন সুযোগ নেই। ইউনিয়ন উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রবীর চন্দ্র যদি জেলা অফিস ম্যানেজের নামে কোনো টাকা পয়সা নিয়ে থাকে তবে আমি তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাঠে পড়ে ছিল মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।

নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।

থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।

ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাসার দরজা ভেঙে চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

চবি প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।

দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বদলি নিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ শিক্ষক নেতার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। ছবি: সংগৃহীত ক্যাটা: সারা দেশ, ময়মনসিংহ
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। ছবি: সংগৃহীত ক্যাটা: সারা দেশ, ময়মনসিংহ

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত