Alexa
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

সেকশন

epaper
 

হবিগঞ্জে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় আরও ৩ জন কারাগারে

আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:২১

প্রতীকী ছবি হবিগঞ্জের ভুয়া প্রকল্পের নামে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় লাখাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের (পিআইও) আরও তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্পেশাল জজ হাসানুল ইসলাম। আজ রোববার ওই তিন কর্মচারী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ১২ জানুয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ জাহানকে একই বিচারকের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অফিস সহকারী হাবিবুর রহমান ও অফিস সহায়ক মো. গোলাম কিবরিয়া।

দুদকের দায়ের করা এ মামলায় আরেক আসামি এনামুল হক মামুন পলাতক রয়েছেন। তিনি লাখাই উপজেলার বামই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়েছে, কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের আওতায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কাচা আবুর বাড়ি থেকে বামই পূর্বগ্রাম জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা পুনর্নির্মাণের জন্য ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ প্রকল্পের সভাপতি দেখানো হয় বামই ইউপির মহিলা মেম্বার লুৎফা চৌধুরীকে। একই বছরে ভাদিকারা হাড়িবাড়ি পশ্চিমের কালভার্ট থেকে হাজি আব্দুল বাছির মিয়ার বাড়ি হয়ে ভাদিকারা শুয়া মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করতে (কাবিটা) ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্রকল্প দেখানো হয়। এ ছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৮ হাজার ৭০০ টাকা ব্যয়ে ভাদিকারা জুম্মাহাটি থেকে আবুল কালামের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা উন্নয়নে (টিআর) অপর প্রকল্পে মেম্বার বিউটি আক্তারকে সভাপতি দেখানো হয়েছে।

দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শোয়ায়েব হোসেন মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন যে, কথিত প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে যাদের নাম রয়েছে তাঁরা ওই সব প্রকল্পে জড়িত ছিলেন না এবং এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্রে স্বাক্ষর বা বিল গ্রহণ করেননি। সরেজমিনে তদন্ত করেও এসব প্রকল্পে কোনো কাজ হয়নি বলে প্রতীয়মান হয়েছে। মামলার ৫ আসামি যোগসাজশ করে প্রকল্পের মাস্টার রোল পূরণ, প্রকল্প কমিটির নাম নিজেরাই তৈরি ও স্বাক্ষর করে ৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। পরবর্তীতে মামলা তদন্ত শেষে ১৭ নভেম্বর দুদক পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

জানা গেছে, মামলা দায়ের করার পর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহান হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন নেন। মেয়াদ শেষ হলে গত ১২ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন তিনি। আবেদনের শুনানি শেষে স্পেশাল জজ তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পিআইও মোহাম্মদ জাহান বর্তমানে হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় চাকরি করছেন। প্রায় দুই যুগ ধরে তিনি হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় পিআইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এরই মধ্যে তাঁর দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

মন্তব্য

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।
Show
 
    সব মন্তব্য

    ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

    এলাকার খবর

     
     

    শাকিব খানের মামলায় প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে সমন জারি

    প্রথমবারের মতো সমুদ্র পথে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের টমেটো

    তাড়াশে ভিজিডি কার্ডের নামে ৭ নারীর অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

    রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে বিভিন্ন মামলার ৭ আসামি গ্রেপ্তার 

    চাঁদপুরের যেসব গ্রামে রোজা শুরু আজ

    কয়রায় ৮২ কেজি হরিণের মাংস জব্দ 

    টস জিতে ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ড, বাদ ইয়াসির

    শাকিব খানের মামলায় প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে সমন জারি

    প্রথমবারের মতো সমুদ্র পথে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের টমেটো

    রেজিস্ট্রেশন নবায়নের দাবি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

    ২৩ মার্চ: অক্ষয় একটি দিন

    আর্জেন্টিনার ম্যাচ কখন, কীভাবে দেখবেন