নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রদ্ধা জানানোর পর মোনাজাতে অংশ নেন শেখ হাসিনা।
১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশে ফিরে আসেন শেখ মুজিবুর রহমান। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বেলা ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। দীর্ঘ সাড়ে ৯ মাস পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকার পর লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন শেখ মুজিবুর রহমান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রদ্ধা জানানোর পর মোনাজাতে অংশ নেন শেখ হাসিনা।
১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশে ফিরে আসেন শেখ মুজিবুর রহমান। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বেলা ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। দীর্ঘ সাড়ে ৯ মাস পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকার পর লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন শেখ মুজিবুর রহমান।

সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই হয়ে যেতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। এর পরেই পুরোদমে ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বে রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত দলগুলোর মধ্যে ভোটের মেরুকরণে তেমন কোনো বড় নড়চড় চোখে পড়ছে না।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তারিখ আজ রোববার চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১০ ডিসেম্বর (বুধবার) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে বিষয়গুলো অবহিত করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
২ ঘণ্টা আগে
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো সারা দেশের কারাগারগুলোতে বন্দী ব্যক্তিরাও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন (ইসি)...
২ ঘণ্টা আগে
বেবিচকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কাতার সরকার এফএআই অ্যাভিয়েশন গ্রুপের কাছ থেকে নতুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই হয়ে যেতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। এর পরেই পুরোদমে ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বে রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত দলগুলোর মধ্যে ভোটের মেরুকরণে তেমন কোনো বড় নড়চড় চোখে পড়ছে না। ক্ষমতায় যাওয়ার পথ পাকা করার কৌশলে ভোটের আগ দিয়ে জোট গড়ার আলাপ বরাবরের মতো এবারও ছিল শুরু থেকে। কিন্তু সেই আলাপ যেন কোনো পরিণতিতে গড়াচ্ছে না।
যদিও সমন্বিতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা এখনো বলে যাচ্ছে ছোট কয়েকটি দল। কিন্তু প্রথাগত নির্বাচনী জোটের ঘোষণা এখনো আসেনি কারও পক্ষ থেকে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)—এই প্রধান তিন শক্তি এবং তাদের মিত্র দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে, নির্বাচনী জোট বলতে যা বোঝায়, তা যে হচ্ছে না, সেটা এখন অনেকটাই স্পষ্ট।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগপর্যন্ত ছোট ছোট অনেক দলকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে এসেছে বিএনপি। ভোটের আলাপ শুরু হওয়ার পর থেকে দলটি তাই রাজপথের মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং জয়ী হলে সমন্বিতভাবে সরকার গঠনের কথা বলে আসছে। এখনো ওই অবস্থানে থেকেই মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, শরিকদের অবদানকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে সবার আগে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। দলের ভেতরে ও বাইরে মিত্রদের সঙ্গে আসন সমঝোতার ক্ষেত্রেও বিষয়টি সামনে আনছেন তাঁরা। নীতিনির্ধারকদের ভাষ্য অনুযায়ী, মিত্রদের সঙ্গে শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়, নির্বাচনের পরেও এই সম্পর্ক অটুট থাকবে এবং সবাইকে নিয়েও সরকার গঠন করা হবে। কিন্তু তার আগে দরকার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া। কারণ, নির্বাচনে বিজয়ী না হলে সব চেষ্টাই বৃথা হয়ে যাবে। বিষয়টি নিয়ে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যদিও এরই মধ্যে নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে শরিকদের অনেকের মধ্যে। ২৭২টি আসনে বিএনপির ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা নিয়ে এরই মধ্যে আপত্তি তুলেছে তারা।
গত শুক্রবার বিএনপির অন্যতম মিত্র ১২ দলীয় জোট সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে, শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করে বিএনপির দুই ধাপে সংসদীয় আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জোটের নেতারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন এবং সরকার গঠনের যে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ২৭২টি আসনে মনোনয়ন ঘোষণার মাধ্যমে তার বরখেলাপ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে আগামীকাল সোমবার সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট বক্তব্য তুলে ধরার কথা বলেছেন জোটের নেতারা।
শরিকদের এসব অভিযোগের বিপরীতে বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। শরিক দলগুলোকে কতটি আসন ছাড়া হবে, তার আগে দেখছেন বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু। এ ক্ষেত্রে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বাধ্যবাধকতা শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনায় আরও বেশি বিপাকে ফেলেছে বিএনপিকে। নিবন্ধিত শরিক দলের প্রার্থীরা তাঁদের নিজ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হতে পারবেন—এমন ভরসা রাখতে পারছে না বিএনপি।
নির্বাচনী জোট নিয়ে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে জানিয়ে গতকাল শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যাঁরা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলেন, তাঁদের অনেক এলাকা নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। এখনো ২৮টা আসন তো বাকি আছে। জোটের আলোচনা তো এখনো শেষ হয়নি।’
আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে নতুন বাস্তবতায় এবার বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের নেতৃত্বে ইতিমধ্যে আটটি দল একযোগে সক্রিয় মাঠের আন্দোলনে। জামায়াতের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ আটটি ইসলামপন্থী দল থাকলেও ভোটের জোট বা নির্বাচনে আসন সমঝোতার ঘোষণা এখনো আসেনি তাদের দিক থেকে।
জামায়াতের একাধিক সূত্র বলছে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই শরিকদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রতিটি আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশিত হবে। সমন্বিত কৌশলে ভোটযুদ্ধে লড়ার পরিকল্পনা চলছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আসন সমঝোতার প্রক্রিয়া শেষ হতে পারে জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তো আগেই নিজেদের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছি। এখন যেহেতু অন্য কয়েকটি দলের সঙ্গে সমঝোতা করতে হচ্ছে...এখানে আলাপ আলোচনার অনেক বিষয় আছে।’
এবার বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির কোনো জোট হয় কি না, বড় করে সেদিকেই শুরু থেকে সবার নজর। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি এখন পর্যন্ত নেই; বরং সংস্কারের পক্ষে থাকা মধ্যপন্থী দলগুলোর সঙ্গে জোটের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এনসিপি। তৃতীয় শক্তি বা তৃতীয় জোট গঠন করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার প্রশ্নে শক্তিশালী অবস্থানে থাকতে চাইছে বলে জানিয়েছেন এনসিপির একাধিক নেতা।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ মধ্যমপন্থী রাজনীতি এবং সংস্কারের পক্ষে থাকা দলগুলোর সমন্বয়ে জোটের বিষয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।
তবে জোটের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করব। তবে জোট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।’
এনসিপির একটি সূত্র অবশ্য জানিয়েছে, জোট নিয়ে এনসিপির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আটকে আছে দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদের ওপর। এর মধ্যে একজন উপদেষ্টা মনে করেন, এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোট না করে এককভাবে নির্বাচন করলেও সুবিধাভোগী হবে জামায়াতে ইসলামী। আর জোট করলে পুরো সুবিধাই জামায়াত পাবে। এ ক্ষেত্রে এনসিপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। দলটি রাজনৈতিক মাঠে অবস্থান তৈরি করতে পারবে না বলেও মনে করেন ওই উপদেষ্টা। যে কারণে দলটিতে থাকা দুই উপদেষ্টার অনুসারীরা এনসিপিকে বিএনপির দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে দলটির নেতাদের একটা অংশ জামায়াতের সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী। জোট নিয়ে নেতাদের মতভেদের কারণে এনসিপির মধ্যে বিভক্তি চলছে বলে জানা গেছে। দুই উপদেষ্টা এনসিপিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘তাঁদের (দুই উপদেষ্টা) জন্য দলের দরজা খোলাই আছে। তাঁরা চাইলেই এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন এবং নির্বাচন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আইনি বিধিনিষেধ নেই।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শরিক হিসেবে গত তিনটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হয়েছিল জাতীয় পার্টি। দলটিকে নিষিদ্ধের সঙ্গে ভোটে অযোগ্য ঘোষণার দাবিতে রাজপথে একাধিক দল আন্দোলনও করেছিল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন করা জাপার নিজস্ব সিদ্ধান্ত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে জাতীয় পার্টিতে আরেক দফা ভাঙন দেখা দেয়। আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে একটি অংশ সম্মেলন করে নতুন কমিটি দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে এরই মধ্যে। দলটি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বোধীন আওয়ামী লীগের শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি) সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। আগামীকাল সোমবার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক জোট নামে নতুন জোটের ঘোষণা দিতে পারেন তাঁরা। এ জোটে নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জনতা পার্টিসহ আরও ১৬টি রাজনৈতিক দল রয়েছে বলে জানা গেছে। তারা জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে।
অন্যদিকে গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মূল অংশ এখনো নির্বাচনী জোট তৈরির বিষয়ে আলোচনা শুরু করেনি। তবে কোনো দল তাদের আমন্ত্রণ জানালে জোট করতে আগ্রহী তাঁরা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে জোট গঠনে জাপা উদ্যোগ নেবে বলে জানা গেছে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন করলে কোনো একটা জোট হতেই পারে। জোট গঠন নিয়ে আমরা কারও সঙ্গে আলোচনা শুরু করেনি। তবে আমাদের ভোটব্যাংক রয়েছে, তাই অনেকে আমাদের জোটে নিতে আগ্রহী হবে। কারণ, আমাদের ভোট অনেক আসনে ফলাফল নির্ধারণ করবে।’
আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে একটি তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বামপন্থী, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক ধারার ৯টি দল নিয়ে নতুন জোট ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’ করার ঘোষণা দিয়েছে বামপন্থী দলগুলো। দলগুলো হলো—বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, বাসদ (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল—বাসদ (মাহবুব) ও সোনার বাংলা পার্টি। গতকাল শনিবার এক রাজনৈতিক কনভেনশনের মাধ্যমে এই নতুন জোটের ঘোষণা করেন তাঁরা। নেতারা বলছেন, জোটের কলেবর বাড়াতে ঐক্য ন্যাপ, গণমুক্তি ইউনিয়ন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চাসহ আরও কয়েকটি বামপন্থী রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
এই জোটের অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফি রতন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে যুক্তফ্রন্ট ঘোষণা করেছি। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বামপন্থী গণতান্ত্রিক দলের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও আলোচনা চলমান। একই সঙ্গে সারা দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি জনতার সনদ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছি।’

সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই হয়ে যেতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। এর পরেই পুরোদমে ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বে রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত দলগুলোর মধ্যে ভোটের মেরুকরণে তেমন কোনো বড় নড়চড় চোখে পড়ছে না। ক্ষমতায় যাওয়ার পথ পাকা করার কৌশলে ভোটের আগ দিয়ে জোট গড়ার আলাপ বরাবরের মতো এবারও ছিল শুরু থেকে। কিন্তু সেই আলাপ যেন কোনো পরিণতিতে গড়াচ্ছে না।
যদিও সমন্বিতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা এখনো বলে যাচ্ছে ছোট কয়েকটি দল। কিন্তু প্রথাগত নির্বাচনী জোটের ঘোষণা এখনো আসেনি কারও পক্ষ থেকে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)—এই প্রধান তিন শক্তি এবং তাদের মিত্র দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে, নির্বাচনী জোট বলতে যা বোঝায়, তা যে হচ্ছে না, সেটা এখন অনেকটাই স্পষ্ট।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগপর্যন্ত ছোট ছোট অনেক দলকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে এসেছে বিএনপি। ভোটের আলাপ শুরু হওয়ার পর থেকে দলটি তাই রাজপথের মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং জয়ী হলে সমন্বিতভাবে সরকার গঠনের কথা বলে আসছে। এখনো ওই অবস্থানে থেকেই মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, শরিকদের অবদানকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে সবার আগে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। দলের ভেতরে ও বাইরে মিত্রদের সঙ্গে আসন সমঝোতার ক্ষেত্রেও বিষয়টি সামনে আনছেন তাঁরা। নীতিনির্ধারকদের ভাষ্য অনুযায়ী, মিত্রদের সঙ্গে শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়, নির্বাচনের পরেও এই সম্পর্ক অটুট থাকবে এবং সবাইকে নিয়েও সরকার গঠন করা হবে। কিন্তু তার আগে দরকার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া। কারণ, নির্বাচনে বিজয়ী না হলে সব চেষ্টাই বৃথা হয়ে যাবে। বিষয়টি নিয়ে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যদিও এরই মধ্যে নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে শরিকদের অনেকের মধ্যে। ২৭২টি আসনে বিএনপির ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা নিয়ে এরই মধ্যে আপত্তি তুলেছে তারা।
গত শুক্রবার বিএনপির অন্যতম মিত্র ১২ দলীয় জোট সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে, শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করে বিএনপির দুই ধাপে সংসদীয় আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জোটের নেতারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন এবং সরকার গঠনের যে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ২৭২টি আসনে মনোনয়ন ঘোষণার মাধ্যমে তার বরখেলাপ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে আগামীকাল সোমবার সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট বক্তব্য তুলে ধরার কথা বলেছেন জোটের নেতারা।
শরিকদের এসব অভিযোগের বিপরীতে বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। শরিক দলগুলোকে কতটি আসন ছাড়া হবে, তার আগে দেখছেন বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু। এ ক্ষেত্রে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বাধ্যবাধকতা শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনায় আরও বেশি বিপাকে ফেলেছে বিএনপিকে। নিবন্ধিত শরিক দলের প্রার্থীরা তাঁদের নিজ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হতে পারবেন—এমন ভরসা রাখতে পারছে না বিএনপি।
নির্বাচনী জোট নিয়ে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে জানিয়ে গতকাল শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যাঁরা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলেন, তাঁদের অনেক এলাকা নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। এখনো ২৮টা আসন তো বাকি আছে। জোটের আলোচনা তো এখনো শেষ হয়নি।’
আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে নতুন বাস্তবতায় এবার বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের নেতৃত্বে ইতিমধ্যে আটটি দল একযোগে সক্রিয় মাঠের আন্দোলনে। জামায়াতের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ আটটি ইসলামপন্থী দল থাকলেও ভোটের জোট বা নির্বাচনে আসন সমঝোতার ঘোষণা এখনো আসেনি তাদের দিক থেকে।
জামায়াতের একাধিক সূত্র বলছে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই শরিকদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রতিটি আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশিত হবে। সমন্বিত কৌশলে ভোটযুদ্ধে লড়ার পরিকল্পনা চলছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আসন সমঝোতার প্রক্রিয়া শেষ হতে পারে জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তো আগেই নিজেদের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছি। এখন যেহেতু অন্য কয়েকটি দলের সঙ্গে সমঝোতা করতে হচ্ছে...এখানে আলাপ আলোচনার অনেক বিষয় আছে।’
এবার বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির কোনো জোট হয় কি না, বড় করে সেদিকেই শুরু থেকে সবার নজর। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি এখন পর্যন্ত নেই; বরং সংস্কারের পক্ষে থাকা মধ্যপন্থী দলগুলোর সঙ্গে জোটের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এনসিপি। তৃতীয় শক্তি বা তৃতীয় জোট গঠন করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার প্রশ্নে শক্তিশালী অবস্থানে থাকতে চাইছে বলে জানিয়েছেন এনসিপির একাধিক নেতা।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ মধ্যমপন্থী রাজনীতি এবং সংস্কারের পক্ষে থাকা দলগুলোর সমন্বয়ে জোটের বিষয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।
তবে জোটের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করব। তবে জোট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।’
এনসিপির একটি সূত্র অবশ্য জানিয়েছে, জোট নিয়ে এনসিপির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আটকে আছে দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদের ওপর। এর মধ্যে একজন উপদেষ্টা মনে করেন, এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোট না করে এককভাবে নির্বাচন করলেও সুবিধাভোগী হবে জামায়াতে ইসলামী। আর জোট করলে পুরো সুবিধাই জামায়াত পাবে। এ ক্ষেত্রে এনসিপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। দলটি রাজনৈতিক মাঠে অবস্থান তৈরি করতে পারবে না বলেও মনে করেন ওই উপদেষ্টা। যে কারণে দলটিতে থাকা দুই উপদেষ্টার অনুসারীরা এনসিপিকে বিএনপির দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে দলটির নেতাদের একটা অংশ জামায়াতের সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী। জোট নিয়ে নেতাদের মতভেদের কারণে এনসিপির মধ্যে বিভক্তি চলছে বলে জানা গেছে। দুই উপদেষ্টা এনসিপিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘তাঁদের (দুই উপদেষ্টা) জন্য দলের দরজা খোলাই আছে। তাঁরা চাইলেই এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন এবং নির্বাচন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আইনি বিধিনিষেধ নেই।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শরিক হিসেবে গত তিনটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হয়েছিল জাতীয় পার্টি। দলটিকে নিষিদ্ধের সঙ্গে ভোটে অযোগ্য ঘোষণার দাবিতে রাজপথে একাধিক দল আন্দোলনও করেছিল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন করা জাপার নিজস্ব সিদ্ধান্ত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে জাতীয় পার্টিতে আরেক দফা ভাঙন দেখা দেয়। আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে একটি অংশ সম্মেলন করে নতুন কমিটি দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে এরই মধ্যে। দলটি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বোধীন আওয়ামী লীগের শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি) সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। আগামীকাল সোমবার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক জোট নামে নতুন জোটের ঘোষণা দিতে পারেন তাঁরা। এ জোটে নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জনতা পার্টিসহ আরও ১৬টি রাজনৈতিক দল রয়েছে বলে জানা গেছে। তারা জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে।
অন্যদিকে গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মূল অংশ এখনো নির্বাচনী জোট তৈরির বিষয়ে আলোচনা শুরু করেনি। তবে কোনো দল তাদের আমন্ত্রণ জানালে জোট করতে আগ্রহী তাঁরা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে জোট গঠনে জাপা উদ্যোগ নেবে বলে জানা গেছে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন করলে কোনো একটা জোট হতেই পারে। জোট গঠন নিয়ে আমরা কারও সঙ্গে আলোচনা শুরু করেনি। তবে আমাদের ভোটব্যাংক রয়েছে, তাই অনেকে আমাদের জোটে নিতে আগ্রহী হবে। কারণ, আমাদের ভোট অনেক আসনে ফলাফল নির্ধারণ করবে।’
আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে একটি তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বামপন্থী, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক ধারার ৯টি দল নিয়ে নতুন জোট ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’ করার ঘোষণা দিয়েছে বামপন্থী দলগুলো। দলগুলো হলো—বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, বাসদ (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল—বাসদ (মাহবুব) ও সোনার বাংলা পার্টি। গতকাল শনিবার এক রাজনৈতিক কনভেনশনের মাধ্যমে এই নতুন জোটের ঘোষণা করেন তাঁরা। নেতারা বলছেন, জোটের কলেবর বাড়াতে ঐক্য ন্যাপ, গণমুক্তি ইউনিয়ন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চাসহ আরও কয়েকটি বামপন্থী রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
এই জোটের অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফি রতন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে যুক্তফ্রন্ট ঘোষণা করেছি। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বামপন্থী গণতান্ত্রিক দলের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও আলোচনা চলমান। একই সঙ্গে সারা দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি জনতার সনদ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছি।’

১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশে ফিরে আসেন শেখ মুজিবুর রহমান। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বেলা ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে...
১০ জানুয়ারি ২০২৩
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তারিখ আজ রোববার চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১০ ডিসেম্বর (বুধবার) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে বিষয়গুলো অবহিত করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
২ ঘণ্টা আগে
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো সারা দেশের কারাগারগুলোতে বন্দী ব্যক্তিরাও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন (ইসি)...
২ ঘণ্টা আগে
বেবিচকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কাতার সরকার এফএআই অ্যাভিয়েশন গ্রুপের কাছ থেকে নতুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তারিখ আজ রোববার চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১০ ডিসেম্বর (বুধবার) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে বিষয়গুলো অবহিত করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দশম কমিশন সভা শুরু হবে। এই সভায় ভোটের দিন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হওয়ায় ভোট গ্রহণের সময় ১ ঘণ্টা বাড়ানো বা বুথ ও গোপন কক্ষ বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। আজকের কমিশন সভার আগে গতকাল শনিবার কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন ইসি সচিব।
রেওয়াজ অনুযায়ী, বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সিইসির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন। সেদিন দুপুর ১২টায় সময় দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করতে পারেন সিইসি। তবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর বুধবারও তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আগামী ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেকোনো দিন ভোট গ্রহণ করা হবে।
ভোটের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি কমিশন সচিবালয় থেকে নেওয়া আছে। বাকিটা রোববার (আজ) কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এত বড় কর্মযজ্ঞে চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। চ্যালেঞ্জ থাকলেও তা উত্তরণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি জানান, সংসদ ও গণভোট একসঙ্গে হওয়ায় নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ শেষ করতে ভোটের সময় বাড়ানো, বুথের সংখ্যা বাড়ানো ও গোপন কক্ষ বাড়ানোর প্রস্তাব কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
একসঙ্গে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য গত ২৯ নভেম্বর মহড়া (মক) ভোট করে ইসি। দুটি আলাদা ব্যালটে এই ভোট নিতে একজন ভোটারের গড়ে ৩ মিনিট ৫২ সেকেন্ড সময় লেগেছে। গণভোটের প্রশ্ন না পড়ে সিল মারলে ২ মিনিট এবং পড়ে সিল মারতে ৭-৮ মিনিট সময় লেগেছে।
সংসদ নির্বাচনে সাধারণত সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা ভোট গ্রহণ করা হয়। সূত্র জানায়, এবার সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হবে বলে ভোটের সময় সকাল ও বিকেলে ৩০ মিনিট করে মোট ১ ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আজকের কমিশন সভায় নেওয়া হতে পারে। ভোট গ্রহণের সময় না বাড়লে বুথ ও গোপন কক্ষের সংখ্যা বাড়াতে পারে কমিশন।
ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, তফসিল ঘোষণার আগে কমিশনকে মনোনয়নপত্র ছাপানো, মনোনয়নপত্র পূরণের নির্দেশিকা, আসনভিত্তিক ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত রাখতে হবে। এর মধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। তবে সংশোধিত রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা এবং নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা আইন মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই-বাছাই হয়ে না আসায় মনোনয়নপত্র ছাপাতে পারেনি কমিশন। এ কারণে নির্বাচনী ম্যানুয়েলও ছাপানো যায়নি। ইসি কর্মকর্তারা আশা করছেন, দু-এক দিনের মধ্যে এসব হাতে পাবেন তাঁরা।
ইসি সূত্র বলছে, এবারও জেলা প্রশাসকেরাই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পাচ্ছেন। তবে যেসব জেলায় সংসদীয় আসন বেশি, সেখানে একাধিক রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকেও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়া হতে পারে। এ বিষয়েও আজকের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করতে ব্যানার ও লিফলেট ছাপাচ্ছে ইসি। প্রতি উপজেলায় ৫০ হাজার করে লিফলেট ও প্রতি ইউনিয়নে কয়েকটি ব্যানার দেওয়া হবে। সরকারি অফিস, মাঠপর্যায়ে সব নির্বাচন কমিশনের অফিস, জনবহুল এলাকায় এসব ব্যানার টাঙানো হবে। স্কুল-কলেজসহ জনবহুল এলাকায় লিফলেট বিলি করা হবে। লিফলেট ও ব্যানারে গণভোটের চারটি প্রশ্ন উল্লেখ থাকবে।
ইসি সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকে তফসিল অর্থাৎ মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, রিটার্নিং কর্মকর্তার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল, আপিল নিষ্পত্তি, প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ, প্রচারের সময়, ভোট গ্রহণের দিন চূড়ান্ত করা হবে। এ ছাড়া নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তফসিলের আগে-পরের কার্যক্রম, মাঠপর্যায়ে যোগাযোগ, মতবিনিময়, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের আবেদন পদ্ধতি পর্যালোচনা, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, মক ভোট থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা এবং মাঠপর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সুপারিশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তারিখ আজ রোববার চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১০ ডিসেম্বর (বুধবার) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে বিষয়গুলো অবহিত করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দশম কমিশন সভা শুরু হবে। এই সভায় ভোটের দিন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হওয়ায় ভোট গ্রহণের সময় ১ ঘণ্টা বাড়ানো বা বুথ ও গোপন কক্ষ বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। আজকের কমিশন সভার আগে গতকাল শনিবার কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন ইসি সচিব।
রেওয়াজ অনুযায়ী, বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সিইসির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন। সেদিন দুপুর ১২টায় সময় দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করতে পারেন সিইসি। তবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর বুধবারও তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আগামী ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেকোনো দিন ভোট গ্রহণ করা হবে।
ভোটের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি কমিশন সচিবালয় থেকে নেওয়া আছে। বাকিটা রোববার (আজ) কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এত বড় কর্মযজ্ঞে চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। চ্যালেঞ্জ থাকলেও তা উত্তরণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি জানান, সংসদ ও গণভোট একসঙ্গে হওয়ায় নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ শেষ করতে ভোটের সময় বাড়ানো, বুথের সংখ্যা বাড়ানো ও গোপন কক্ষ বাড়ানোর প্রস্তাব কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
একসঙ্গে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য গত ২৯ নভেম্বর মহড়া (মক) ভোট করে ইসি। দুটি আলাদা ব্যালটে এই ভোট নিতে একজন ভোটারের গড়ে ৩ মিনিট ৫২ সেকেন্ড সময় লেগেছে। গণভোটের প্রশ্ন না পড়ে সিল মারলে ২ মিনিট এবং পড়ে সিল মারতে ৭-৮ মিনিট সময় লেগেছে।
সংসদ নির্বাচনে সাধারণত সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা ভোট গ্রহণ করা হয়। সূত্র জানায়, এবার সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হবে বলে ভোটের সময় সকাল ও বিকেলে ৩০ মিনিট করে মোট ১ ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আজকের কমিশন সভায় নেওয়া হতে পারে। ভোট গ্রহণের সময় না বাড়লে বুথ ও গোপন কক্ষের সংখ্যা বাড়াতে পারে কমিশন।
ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, তফসিল ঘোষণার আগে কমিশনকে মনোনয়নপত্র ছাপানো, মনোনয়নপত্র পূরণের নির্দেশিকা, আসনভিত্তিক ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত রাখতে হবে। এর মধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। তবে সংশোধিত রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা এবং নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা আইন মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই-বাছাই হয়ে না আসায় মনোনয়নপত্র ছাপাতে পারেনি কমিশন। এ কারণে নির্বাচনী ম্যানুয়েলও ছাপানো যায়নি। ইসি কর্মকর্তারা আশা করছেন, দু-এক দিনের মধ্যে এসব হাতে পাবেন তাঁরা।
ইসি সূত্র বলছে, এবারও জেলা প্রশাসকেরাই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পাচ্ছেন। তবে যেসব জেলায় সংসদীয় আসন বেশি, সেখানে একাধিক রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকেও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়া হতে পারে। এ বিষয়েও আজকের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করতে ব্যানার ও লিফলেট ছাপাচ্ছে ইসি। প্রতি উপজেলায় ৫০ হাজার করে লিফলেট ও প্রতি ইউনিয়নে কয়েকটি ব্যানার দেওয়া হবে। সরকারি অফিস, মাঠপর্যায়ে সব নির্বাচন কমিশনের অফিস, জনবহুল এলাকায় এসব ব্যানার টাঙানো হবে। স্কুল-কলেজসহ জনবহুল এলাকায় লিফলেট বিলি করা হবে। লিফলেট ও ব্যানারে গণভোটের চারটি প্রশ্ন উল্লেখ থাকবে।
ইসি সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকে তফসিল অর্থাৎ মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, রিটার্নিং কর্মকর্তার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল, আপিল নিষ্পত্তি, প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ, প্রচারের সময়, ভোট গ্রহণের দিন চূড়ান্ত করা হবে। এ ছাড়া নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তফসিলের আগে-পরের কার্যক্রম, মাঠপর্যায়ে যোগাযোগ, মতবিনিময়, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের আবেদন পদ্ধতি পর্যালোচনা, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, মক ভোট থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা এবং মাঠপর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সুপারিশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশে ফিরে আসেন শেখ মুজিবুর রহমান। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বেলা ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে...
১০ জানুয়ারি ২০২৩
সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই হয়ে যেতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। এর পরেই পুরোদমে ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বে রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত দলগুলোর মধ্যে ভোটের মেরুকরণে তেমন কোনো বড় নড়চড় চোখে পড়ছে না।
২ ঘণ্টা আগে
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো সারা দেশের কারাগারগুলোতে বন্দী ব্যক্তিরাও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন (ইসি)...
২ ঘণ্টা আগে
বেবিচকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কাতার সরকার এফএআই অ্যাভিয়েশন গ্রুপের কাছ থেকে নতুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেমো. হুমায়ূন কবীর ও রাসেল মাহমুদ, ঢাকা

প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো সারা দেশের কারাগারগুলোতে বন্দী ব্যক্তিরাও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে কারা কর্তৃপক্ষকে দেওয়া লিংকে ভোট দিতে আগ্রহী বন্দীরা নিবন্ধন করতে পারবেন। তাঁরা যে নির্বাচনী এলাকার ভোটার, সেই আসনের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন, কারা অধিদপ্তর ও জেলা কারাগার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রগুলো বলছে, কারাগারে বন্দীরা ভোট দিতে পারলেও সেখানে নির্বাচনী প্রচার হবে না এবং প্রার্থীদের এজেন্টও থাকবে না। ভোট গ্রহণের পর বন্দীদের ব্যালট ডাক বিভাগের মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। এসব ভোট ফলাফলের সঙ্গে যোগ হবে। দেশের কারাগারগুলোতে সব মিলিয়ে প্রায় ৭৭ হাজার হাজতি ও কয়েদি রয়েছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে ‘পোস্টাল বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন চলছে। আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ব্যক্তিদের ভোটের জন্য নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু হবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর। বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছে ইসি। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সভাপতিত্বে ৪ ডিসেম্বর এ নিয়ে অনলাইনে কারা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও জেলা কারাগারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে কমিশন।
ওই সভা সূত্রে জানা যায়, তফসিল ঘোষণার পর ইসি থেকে কারা কর্তৃপক্ষকে একটি লিংক দেওয়া হবে। কারাগারের বন্দীদের মধ্যে যাঁরা ভোটদানে আগ্রহী হবেন এক্সেল শিটে তাঁদের তথ্য নেওয়া হবে। তফসিল ঘোষণার ১৫ দিনের মধ্যে বন্দীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ভোটার নম্বর দিয়ে কারাগার কর্তৃপক্ষ তালিকা তৈরি করে ইসিতে পাঠাবে। ইসি তা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা আবার কারাগারে পাঠাবে। সেই তালিকা অনুযায়ী কমিশন থেকে নির্বাচনের ৭ থেকে ১০ দিন আগে ডাক বিভাগের মাধ্যমে কারাগারগুলোতে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। কারাগারের নির্ধারিত স্থানে বুথ স্থাপন করে পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেওয়া হবে। ভোট গ্রহণ শেষে ব্যালট আবার ডাক বিভাগের মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হবে। বন্দীদের ভোট মূল ফলাফলের সঙ্গে যুক্ত হবে।
সভা সূত্রে আরও জানা যায়, কারাবিধি অনুযায়ী নির্বাচনের সময় কারাগারের ভেতরে কোনো প্রচার-প্রচারণা হবে না এবং ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীদের প্রতিনিধি থাকবেন না। কারাগারে অনুমোদিত জাতীয় টেলিভিশন, পত্রিকার মাধ্যমে বন্দীরা যতটুকু জানবেন, সেই অনুযায়ী নিজ এলাকার প্রার্থীকে ভোট দেবেন। অর্থাৎ তিনি যে আসনের ভোটার, সেই আসনের প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। তবে কারাগারে ভোটার নিবন্ধন করার পর নির্বাচনের আগে কারামুক্ত হলে বাইরে এসে ভোট দিতে পারবেন না।
ইসি সূত্র জানায়, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারদের ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ ব্যবহার করে নিবন্ধনের সুযোগ নেই। ভোট দিতে আগ্রহী বন্দীদের নিবন্ধনের জন্য প্রতিটি কারাগারে আলাদা আলাদা লিংক পাঠানো হবে। ইসির ধারণা, আইনি হেফাজতে থাকা অধিকাংশ ব্যক্তি এবার ভোটার নিবন্ধন করবেন।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন থেকে কারা কর্তৃপক্ষকে একটি লিংক দেওয়া হবে। আইনি হেফাজতে থাকা বন্দীদের মধ্যে যাঁরা ভোটদানে আগ্রহী হবে, তাঁদের তথ্য নেওয়া হবে। তালিকা যাচাই শেষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হবে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে ৭৫টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগার রয়েছে ২০টি। সব কারাগারে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৭৬ হাজার ৮৫১ জন বন্দী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ৭৪ হাজার ৯৩ ও নারী ২ হাজার ৭৫৮ জন। বন্দীদের মধ্যে হাজতি ৫৬ হাজার ১৩৭ ও কয়েদি ২০ হাজার ৭১৪ জন। সর্বোচ্চ ৯ হাজার ১৬৩ জন বন্দী রয়েছেন কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা পেলে বন্দীদের ভোট দেওয়ার জন্য করণীয় বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। অধিকাংশ বন্দী যেহেতু আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন, তাই ভোটের সময় যাঁরা বন্দী থাকবেন, তাঁদের নিবন্ধনের জন্য বলা হবে। আগের চেয়ে এবার ভোট দেওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে।
কারা সূত্রে জানা যায়, কারাগারে নিবন্ধনের পর প্রত্যেক বন্দীকে ভোট দেওয়ার জন্য তিনটি খামযুক্ত ব্যালট পেপার দেওয়া হবে। কারাগারে স্থাপিত বুথে গিয়ে তাঁরা ভোট দেবেন। ব্যালটগুলো প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকারী কারা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা হবে।
কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাগারে প্রতিদিন বন্দীর সংখ্যা বাড়ে-কমে। হাজতিরা মামলার হাজিরার জন্য আদালতে যান, কেউ জামিনে মুক্তি পান। কয়েদিদেরও কেউ কেউ মুক্তি পান। ফলে যেসব কয়েদি বা হাজতির নির্বাচন পর্যন্ত কারাগারে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে, তাঁরা ছাড়া অন্যদের নিবন্ধনের আগ্রহ থাকে না। ফলে ২০ হাজার বন্দী ভোট দিলেও তা আশাব্যঞ্জক।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, কারাগারে থাকা আগ্রহী বন্দীরা নিবন্ধন করে ভোট দিতে পারবেন। তাঁরা যে এলাকার ভোটার, সেই আসনের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। তবে কেউ কারাগারে নিবন্ধন করার পর মুক্তি পেয়ে বাইরে গেলে ভোট দিতে পারবেন না। আগের চেয়ে এবার ভোট দেওয়ার প্রবণতা বাড়তে বলে আশা করা যায়।

প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো সারা দেশের কারাগারগুলোতে বন্দী ব্যক্তিরাও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে কারা কর্তৃপক্ষকে দেওয়া লিংকে ভোট দিতে আগ্রহী বন্দীরা নিবন্ধন করতে পারবেন। তাঁরা যে নির্বাচনী এলাকার ভোটার, সেই আসনের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন, কারা অধিদপ্তর ও জেলা কারাগার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রগুলো বলছে, কারাগারে বন্দীরা ভোট দিতে পারলেও সেখানে নির্বাচনী প্রচার হবে না এবং প্রার্থীদের এজেন্টও থাকবে না। ভোট গ্রহণের পর বন্দীদের ব্যালট ডাক বিভাগের মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। এসব ভোট ফলাফলের সঙ্গে যোগ হবে। দেশের কারাগারগুলোতে সব মিলিয়ে প্রায় ৭৭ হাজার হাজতি ও কয়েদি রয়েছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে ‘পোস্টাল বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন চলছে। আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ব্যক্তিদের ভোটের জন্য নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু হবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর। বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছে ইসি। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সভাপতিত্বে ৪ ডিসেম্বর এ নিয়ে অনলাইনে কারা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও জেলা কারাগারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে কমিশন।
ওই সভা সূত্রে জানা যায়, তফসিল ঘোষণার পর ইসি থেকে কারা কর্তৃপক্ষকে একটি লিংক দেওয়া হবে। কারাগারের বন্দীদের মধ্যে যাঁরা ভোটদানে আগ্রহী হবেন এক্সেল শিটে তাঁদের তথ্য নেওয়া হবে। তফসিল ঘোষণার ১৫ দিনের মধ্যে বন্দীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ভোটার নম্বর দিয়ে কারাগার কর্তৃপক্ষ তালিকা তৈরি করে ইসিতে পাঠাবে। ইসি তা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা আবার কারাগারে পাঠাবে। সেই তালিকা অনুযায়ী কমিশন থেকে নির্বাচনের ৭ থেকে ১০ দিন আগে ডাক বিভাগের মাধ্যমে কারাগারগুলোতে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। কারাগারের নির্ধারিত স্থানে বুথ স্থাপন করে পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেওয়া হবে। ভোট গ্রহণ শেষে ব্যালট আবার ডাক বিভাগের মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হবে। বন্দীদের ভোট মূল ফলাফলের সঙ্গে যুক্ত হবে।
সভা সূত্রে আরও জানা যায়, কারাবিধি অনুযায়ী নির্বাচনের সময় কারাগারের ভেতরে কোনো প্রচার-প্রচারণা হবে না এবং ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীদের প্রতিনিধি থাকবেন না। কারাগারে অনুমোদিত জাতীয় টেলিভিশন, পত্রিকার মাধ্যমে বন্দীরা যতটুকু জানবেন, সেই অনুযায়ী নিজ এলাকার প্রার্থীকে ভোট দেবেন। অর্থাৎ তিনি যে আসনের ভোটার, সেই আসনের প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। তবে কারাগারে ভোটার নিবন্ধন করার পর নির্বাচনের আগে কারামুক্ত হলে বাইরে এসে ভোট দিতে পারবেন না।
ইসি সূত্র জানায়, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারদের ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ ব্যবহার করে নিবন্ধনের সুযোগ নেই। ভোট দিতে আগ্রহী বন্দীদের নিবন্ধনের জন্য প্রতিটি কারাগারে আলাদা আলাদা লিংক পাঠানো হবে। ইসির ধারণা, আইনি হেফাজতে থাকা অধিকাংশ ব্যক্তি এবার ভোটার নিবন্ধন করবেন।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন থেকে কারা কর্তৃপক্ষকে একটি লিংক দেওয়া হবে। আইনি হেফাজতে থাকা বন্দীদের মধ্যে যাঁরা ভোটদানে আগ্রহী হবে, তাঁদের তথ্য নেওয়া হবে। তালিকা যাচাই শেষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হবে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে ৭৫টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে কেন্দ্রীয় ও জেলা কারাগার রয়েছে ২০টি। সব কারাগারে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৭৬ হাজার ৮৫১ জন বন্দী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ৭৪ হাজার ৯৩ ও নারী ২ হাজার ৭৫৮ জন। বন্দীদের মধ্যে হাজতি ৫৬ হাজার ১৩৭ ও কয়েদি ২০ হাজার ৭১৪ জন। সর্বোচ্চ ৯ হাজার ১৬৩ জন বন্দী রয়েছেন কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা পেলে বন্দীদের ভোট দেওয়ার জন্য করণীয় বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। অধিকাংশ বন্দী যেহেতু আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন, তাই ভোটের সময় যাঁরা বন্দী থাকবেন, তাঁদের নিবন্ধনের জন্য বলা হবে। আগের চেয়ে এবার ভোট দেওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে।
কারা সূত্রে জানা যায়, কারাগারে নিবন্ধনের পর প্রত্যেক বন্দীকে ভোট দেওয়ার জন্য তিনটি খামযুক্ত ব্যালট পেপার দেওয়া হবে। কারাগারে স্থাপিত বুথে গিয়ে তাঁরা ভোট দেবেন। ব্যালটগুলো প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকারী কারা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা হবে।
কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাগারে প্রতিদিন বন্দীর সংখ্যা বাড়ে-কমে। হাজতিরা মামলার হাজিরার জন্য আদালতে যান, কেউ জামিনে মুক্তি পান। কয়েদিদেরও কেউ কেউ মুক্তি পান। ফলে যেসব কয়েদি বা হাজতির নির্বাচন পর্যন্ত কারাগারে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে, তাঁরা ছাড়া অন্যদের নিবন্ধনের আগ্রহ থাকে না। ফলে ২০ হাজার বন্দী ভোট দিলেও তা আশাব্যঞ্জক।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, কারাগারে থাকা আগ্রহী বন্দীরা নিবন্ধন করে ভোট দিতে পারবেন। তাঁরা যে এলাকার ভোটার, সেই আসনের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। তবে কেউ কারাগারে নিবন্ধন করার পর মুক্তি পেয়ে বাইরে গেলে ভোট দিতে পারবেন না। আগের চেয়ে এবার ভোট দেওয়ার প্রবণতা বাড়তে বলে আশা করা যায়।

১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশে ফিরে আসেন শেখ মুজিবুর রহমান। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বেলা ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে...
১০ জানুয়ারি ২০২৩
সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই হয়ে যেতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। এর পরেই পুরোদমে ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বে রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত দলগুলোর মধ্যে ভোটের মেরুকরণে তেমন কোনো বড় নড়চড় চোখে পড়ছে না।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তারিখ আজ রোববার চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১০ ডিসেম্বর (বুধবার) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে বিষয়গুলো অবহিত করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
২ ঘণ্টা আগে
বেবিচকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কাতার সরকার এফএআই অ্যাভিয়েশন গ্রুপের কাছ থেকে নতুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামী মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় অবতরণের অনুমতি চেয়েছে। অনুমতি মিললে পরদিন বুধবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি খালেদা জিয়াকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, জার্মান অ্যাভিয়েশন কোম্পানি এফএআই অ্যাভিয়েশন গ্রুপ তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত ফ্লাইট শিডিউল দাখিল করেছে। এতে ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় অবতরণ ও ১০ ডিসেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। বেবিচক ইতিমধ্যে আবেদনটি প্রয়োজনীয় অনুমোদনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
বেবিচকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কাতার সরকার এফএআই অ্যাভিয়েশন গ্রুপের কাছ থেকে নতুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া করেছে।
ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি বোম্বার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার ৬০৪ (সিএল৬০) মডেলের। দীর্ঘ দূরত্বের মেডিকেল ইভাকুয়েশন ফ্লাইটে ব্যবহৃত এই মডেলটি তার শক্তিশালী ট্রান্সকন্টিনেন্টাল সক্ষমতার জন্য পরিচিত। জার্মানির শীর্ষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত বিমানটি ঢাকা-লন্ডন মেডিকেল ট্রান্সফারের জন্য উপযোগী বলে জানিয়েছে বেবিচক সূত্র।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামী মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় অবতরণের অনুমতি চেয়েছে। অনুমতি মিললে পরদিন বুধবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি খালেদা জিয়াকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, জার্মান অ্যাভিয়েশন কোম্পানি এফএআই অ্যাভিয়েশন গ্রুপ তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত ফ্লাইট শিডিউল দাখিল করেছে। এতে ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় অবতরণ ও ১০ ডিসেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। বেবিচক ইতিমধ্যে আবেদনটি প্রয়োজনীয় অনুমোদনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
বেবিচকের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কাতার সরকার এফএআই অ্যাভিয়েশন গ্রুপের কাছ থেকে নতুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া করেছে।
ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি বোম্বার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার ৬০৪ (সিএল৬০) মডেলের। দীর্ঘ দূরত্বের মেডিকেল ইভাকুয়েশন ফ্লাইটে ব্যবহৃত এই মডেলটি তার শক্তিশালী ট্রান্সকন্টিনেন্টাল সক্ষমতার জন্য পরিচিত। জার্মানির শীর্ষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত বিমানটি ঢাকা-লন্ডন মেডিকেল ট্রান্সফারের জন্য উপযোগী বলে জানিয়েছে বেবিচক সূত্র।

১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশে ফিরে আসেন শেখ মুজিবুর রহমান। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বেলা ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে...
১০ জানুয়ারি ২০২৩
সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই হয়ে যেতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। এর পরেই পুরোদমে ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বে রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত দলগুলোর মধ্যে ভোটের মেরুকরণে তেমন কোনো বড় নড়চড় চোখে পড়ছে না।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তারিখ আজ রোববার চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১০ ডিসেম্বর (বুধবার) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে বিষয়গুলো অবহিত করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
২ ঘণ্টা আগে
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো সারা দেশের কারাগারগুলোতে বন্দী ব্যক্তিরাও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন (ইসি)...
২ ঘণ্টা আগে