জাপানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী মিনোরু তেরাদা গতকাল রোববার পদত্যাগ করেছেন। এ নিয়ে এক মাসে জাপানের তিনজন মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এর আগে এ মাসেই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার মন্ত্রী দাইশিরো ইয়ামাগিওয়া এবং বিচার মন্ত্রী ইয়াসুহিরো হানাশি পদত্যাগ করেছেন।
মিনোরু তেরাদার পদত্যাগের বিষয়ে রয়টার্স লিখেছে, তহবিল কেলেঙ্কারির অভিযোগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। তার আগেই মিনোরু তেরাদা নিজে থেকেই কিশিদার কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। এরপর আজ সোমবার কিশিদা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকাকি মাতসুমোতোকে তেরাদার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
মাতসুমোতোকে নিয়োগের পর কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির ভিত্তি হলো জনগণের আস্থা। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমাকে অবশ্যই আমার আশপাশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে জনগণের আস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরাদা বেশ কয়েকটি তহবিল কেলেঙ্কারির জন্য আলোচিত ছিলেন। তিনি স্বীকার করেছেন, তাঁর সমর্থিত একটি গোষ্ঠী একজন মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষরিত অর্থায়নের নথিপত্র জমা দিয়েছিল।
কিশিদা বলেছেন, মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরের ওপর দ্বিতীয় অতিরিক্ত বাজেট বিষয়ে আলোচনা ও সংসদীয় বিতর্ককে আগ্রাধিকার দিতেই তিনি তেরাদার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
গত ২৪ অক্টোবর থেকে তিনজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন—এমন প্রশ্নে কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছু করার নেই। এ জন্য তিনি ক্ষমা চান।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছেন, তেরাদার পদত্যাগসহ তিন মন্ত্রীর পদত্যাগ কিশিদার প্রধানমন্ত্রীত্বকে দুর্বল করতে পারে। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি জরিপে তাঁর জনপ্রিয়তা ৩০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। ফলে যে কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা এখন কিশিদার জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে