Ajker Patrika

মধ্যরাতে উত্তপ্ত ইডেন, দেখা মেলেনি সভাপতি-সম্পাদকের 

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪: ২৮
মধ্যরাতে উত্তপ্ত ইডেন, দেখা মেলেনি সভাপতি-সম্পাদকের 

ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার চাঁদাবাজি ও সিট বাণিজ্য নিয়ে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে মারধর, হেনস্তা এবং বাধ্য করে অশ্লীল ছবি তোলারও অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দেখা মেলেনি ক্যাম্পাসে।

গতরাত (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার সময় রাজিয়া বেগম ছাত্রীনিবাসে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর তামান্না জেসমিন রিভা ও রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে কলেজ ক্যাম্পাসে স্লোগান ও মিছিল দিতে দেখা যায়। রাত ৩টায় ক্যাম্পাসে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য এলেও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দেখা মিলেনি।

শাখা ছাত্রলীগের একাধিক নেত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনা যখন ঘটে, তখন আমরা সিনিয়ররা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করতে তাঁদের রুমে গিয়ে পাইনি। আমাদের পক্ষ থেকে অনেকেই ফোন দিলোও, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। আমরা জানতে পেরেছি গণমাধ্যমকর্মীরাও তাঁদেরকে ফোনে পাননি।’

ইডেন কলেজের ঘটনায় দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

আজ রোববার সকালে ছাত্রলীগের সভাপতি আন নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সংঘটিত বিশৃঙ্খলা তদন্তের স্বার্থে তিলোত্তমা শিকদার ও বেনজির হোসেন নিশিকে নিয়ে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। উক্ত তদন্ত কমিটিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

এদিকে রাত ৩টার সময়ে তামান্না জেসমিন রিভা ও রাজিয়া সুলতানার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে শাখা ছাত্রলীগের ১৬ জন সহসভাপতি, তিনজন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও একজন সাংগঠনিক সম্পাদক প্রায় ১০০ জন সাধারণ শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বরবার দেওয়া হয়।

স্মারকলিপির দাবিগুলো হলো:
১. প্রশাসনের কাছে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসীর ওপর অতর্কিত হামলার বিচার চাই।
২. মেয়েদের সঙ্গে পূর্বে ও বর্তমানে অকথ্য গালিগালাজের সুষ্ঠু বিচার চাই। 
৩. সাধারণ শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক অশ্লীল প্রস্তাব দেওয়ার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। 
৪. গণহারে শতাধিক রুম দখলের তদন্ত চাই।
৫. আমাদের অভিভাবক মাতৃতুল্য অধ্যক্ষকে নিয়ে কটাক্ষ করে কথা বলার জবাব চাই।
৬. ছাত্রী হলের ক্যানটিনে একচেটিয়া চাঁদাবাজি ও একচেটিয়া রাজনীতি বন্ধ চাই ৷ এ বিষয়ে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ হতে হবে ৷ 
৭. ক্যাম্পাসের কোনো সিসিটিভি ফুটেজ লুকানো যাবে না৷ সম্পূর্ণ ভিডিও ফুটেজ তদন্ত কমিটিকে প্রদান করতে হবে৷ 
৮. অবৈধভাবে যে ওয়াইফাই সংযোগ প্রবেশ করানো হয়েছে, তা অবশ্যই প্রশাসনের মাধ্যমে বের করে দিতে হবে ৷ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যে পরিমাণ অর্থ নিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ ফেরত দিতে হবে ৷ এ সময় কমিটিতে থাকা বাকি ৪২ জন নেত্রী ও কলেজ প্রশাসন উপস্থিত থাকবেন। 
৯. জান্নাতুল ফেরদৌসীর যে অশ্লীল ছবি তোলা হয়েছে, তা প্রশাসনের সামনে মুছতে হবে ৷ 
১০. বঙ্গমাতা হলের ১১ তলায় যে রুম দখল আছে তা উদ্ধার করতে হবে ৷ 
১১. রিভার অনুসারী সহসভাপতি মিম ইসলাম ও রোকসানা মেয়েদের সঙ্গে যে অত্যাচার করেছে তার বিচার করতে হবে৷ 

সার্বিক বিষয়ে জানতে তামান্না জেসমিন রিভা ও রাজিয়া সুলতানাকে ফোন দেওয়া হলে তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যকে একাধিকবার ফোন দেওয়ার হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, সম্মেলনের প্রায় তিন বছর পর গত ১৩ মে তামান্না জেসমিন রিভাকে সভাপতি ও রাজিয়া সুলতানাকে সাধারণ সম্পাদক করে ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার ওই দিন রাত ৯টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছিলেন পদবঞ্চিতরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভৈরবে গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুন, ১০ শিশুসহ দগ্ধ ১৫

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।

আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যুবকের

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি 
দুলাল মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
দুলাল মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।

মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।

জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মামলা ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
পাবনার চাটমোহরে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনার চাটমোহরে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।

জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।

সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।

সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুলশানে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেপ্তার ১

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
র‍্যাবের হাতে জব্দ হওয়া ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ। ছবি: র‍্যাব
র‍্যাবের হাতে জব্দ হওয়া ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ। ছবি: র‍্যাব

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।

আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত