Ajker Patrika

সীতাকুণ্ডের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ না করায় মান্নার ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ জুন ২০২২, ১৫: ৪৬
সীতাকুণ্ডের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ না করায় মান্নার ক্ষোভ

সীতাকুণ্ডের এত বড় মর্মান্তিক ঘটনার পরেও শেখ হাসিনাকে কেউ দুঃখ প্রকাশ করতে দেখেছেন? এমন প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। 

আজ বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শন ও আহতদের খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে সাতদলীয় জোট নেতাদের ওপর ছাত্রলীগ, যুবলীগের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

মান্না বলেন, ‘২০১৮ সালে নির্বাচনের নামে রাত্রিবেলা ভোট ডাকাতি করার পরে আমরা যখন রাস্তায় প্রতিবাদ করেছি, তখন তিনি মিডিয়ার সামনে মায়াকান্না করে বলেছিলেন এত সুন্দর একটা নির্বাচন করলাম আর ওরা মানছে না! তিনি একটা মিথ্যা ঘটনার ওপরে কাঁদতে পারেন, পিতার মৃত্যুর কারণে ৪৫ বছর ধরে কাঁদতে পারেন, এতগুলো নিরীহ মানুষ প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে পুরে মারা গেল, সেটার জন্য আপনারা শেখ হাসিনাকে কাঁদতে দেখেননি।’

মানুষ পুড়ে মারা যাক, শেখ হাসিনার কিছু যায়-আসে না বলেও মন্তব্য করেন মান্না। তিনি বলেন, ‘মানুষ আগুনে পুড়ে মারা গেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কিছু যায়-আসে না। মানুষ আগুনে পুড়ে মারা যাক, নদীতে ডুবে মারা যাক, না খেয়ে মারা যাক, র‍্যাব-পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে ক্রসফায়ার করে মেরে ফেলুক, তাতে শেখ হাসিনার কিছু যায়-আসে না।’ 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘মানুষ বলে, আইয়ুব যাবে যে পথে হাসিনা যাবে সেই পথে। আমি বলি, আইয়ুব যেই পথে গেছে, সেই পথে তো হাসিনা যাচ্ছেন না। আইয়ুব কোন পথে গেছেন? উনসত্তরের বিরাট গণ-অভ্যুত্থানের পরে সামরিক শাসক ইযাহইয়া খানের সামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। আপনারা কি মনে করছেন শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা দিয়ে চলে যাবে? জান যাবে, তবু ক্ষমতা ছাড়বে না।’ 

চট্টগ্রামে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খানসহ অন্য নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার জোরালো প্রতিবাদ করেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নূরুল হক নুর। এখনো সাতদলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি, তাতেই সরকারের ঘাম ঝরছে। নবীন-প্রবীণদের সমন্বয়ে গঠিত এই প্ল্যাটফর্ম সরকারের পতন ঘটাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে যদি এই ছাত্রলীগ, যুবলীগের গুন্ডাপান্ডা দিয়ে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য করে শেখ হাসিনা যদি ভেবে থাকেন তাঁরা ক্ষমতায় থাকবেন, মসনদ টিকিয়ে রাখবেন, তাহলে তিনি ভুল করছেন। আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, শেখ হাসিনার মতো একজন মানুষ আমাদের রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ আসনে বসে আছেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আসনে বসে প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলছেন, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন, প্রহসন করছেন। আমরা যখন তাঁকে নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছি, সমালোচনা করছি, তখন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে দেবতা বানাতে চায়, নবী-রাসুল বানাতে চায়। তাকে নিয়ে কোনো ধরনের সমালোচনা করতে দিতে চায় না।’ 

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেদ খান, ফারুক হাসান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ আরও অনেকে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোটযুদ্ধে নেমে পড়ার আহ্বান তারেকের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৪৭
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভোটযুদ্ধে নেমে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ধানের শীষকে জেতাতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। ধানের শীষকে জেতানোর মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করতে হবে।

রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এই আহ্বান জানান তারেক রহমান। বিএনপি আয়োজিত এই আলোচনা সভায় যুবদল ও কৃষক দলের নেতারা যোগ দিয়েছিলেন।

বিএনপির পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘আর কোনো রাজনৈতিক দল এ রকম পরিকল্পনা দিতে পারেনি। একমাত্র বিএনপি এই পরিকল্পনা দিয়েছে। কাজেই এখন আপনার বসে থাকার সময় নেই। আপনাকে যুদ্ধে নেমে পড়তে হবে। কী যুদ্ধ? মানুষের পক্ষে, মানুষের জন্য, দেশের পক্ষে, মানুষের জন্য। কারণ, আমাদের কাছে প্রথম বাংলাদেশ আমার, শেষ বাংলাদেশ আমার। আমাদের কাছে সবার আগে বাংলাদেশ—এই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে আমাদের।’

দলের পরিকল্পনা ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণকে বোঝাতে হবে, এই কঠিন কাজটি করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। জনগণকে সাথে নিয়ে যেমন আমরা আন্দোলন করেছি, জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি বিভিন্ন জায়গায় দেখলাম কিছু ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে তাঁদের কথা বলছেন। তাঁরা যদি বলতে পারেন, আপনি কেন বলতে পারবেন না। বললে সবাই বলবেন, না বললে কেউ বলতে পারবেন না। আপনি আপনার এলাকায় সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’

এই আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের নেতা (তারেক রহমান) খুব শিগগির আমাদের মাঝে আসবেন। আমাদের নেতা যেদিন আমাদের কাছে আসবেন, যেদিন বাংলাদেশে পা দেবেন, সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এখন সংগ্রাম-লড়াই হচ্ছে, এই নির্বাচনে আমাদের জয়লাভ করবার সংগ্রাম। এই নির্বাচনে পুরোপুরিভাবে জয়লাভ করতে হবে। যাতে করে আমরা বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অন্যরা মসজিদে গিয়ে কথা বলতে পারলে আপনারা কেন পারবেন না: তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪১
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমি বিভিন্ন জায়গায় দেখলাম কিছু ব্যক্তি মসজিদে গিয়ে তাঁদের কথা বলছেন। তাঁরা যদি বলতে পারেন, আপনি কেন বলতে পারবেন না। বললে সবাই বলবেন, না বললে কেউ বলতে পারবেন না। আপনি আপনার এলাকায় সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনার কর্মসূচি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

‘ভোটযুদ্ধ’ মোকাবিলায় নেতা-কর্মীদের একযোগে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারা পরীক্ষিত নেতা-কর্মী। শত অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্যেও আপনারা এ দলকে ধরে রেখেছেন। সেই ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্র থেকে শুরু করে গত স্বৈরাচারের ১৫ বছরের ষড়যন্ত্র সব আপনারা মোকাবিলা করেছেন। তাহলে এখন কেন সামনের যে নির্বাচনী যুদ্ধ, এই যুদ্ধ মোকাবিলা করতে পারবেন না?’

তারেক বলেন, ‘আপনার দলের যে পরিকল্পনা জনগণকে ঘিরে, দেশকে ঘিরে কেন সেটা জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারবেন না। চাইলেই আপনারা এটা করতে পারবেন, এটা করতে হবে। দেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দিতে হলে আমাদের জনগণের সমর্থন প্রয়োজন এবং জনগণের সমর্থনকে দলের পেছনে আনতে হলে আপনাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগ প্রয়োজন।’

কর্মশালায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে যেহেতু বাংলাদেশের সব এখানে উপস্থিত আছেন, আমাদের নেতারা উপস্থিত আছেন; আমি আপনাদেরকে জানাতে চাই, আমাদের নেতা শিগগিরই আমাদের মাঝে আসবেন। আমাদের নেতা যেদিন আমাদের কাছে আসবেন, যেদিন বাংলাদেশে পা দেবেন; সেদিন যেন সারা দেশ কেঁপে ওঠে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন সংগ্রাম-লড়াই হচ্ছে—এই নির্বাচনে আমাদের জয়লাভ করার সংগ্রাম। এই নির্বাচনে পুরোপুরিভাবে জয়লাভ করতে হবে, যাতে করে আমরা বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাই।’

বিএনপির মহাসচিব যোগ করেন, ‘অনেক বাধা আসবে, অনেক বিপত্তি আসবে, আমাদের বিরুদ্ধে অনেক প্রচারণা হচ্ছে, হতে থাকবে। কিন্তু এগুলোকে কাটিয়ে উঠে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। বিএনপি কোনো দিনই পরাজিত হয়নি, পরাজিত হবে না।’

বিএনপি হচ্ছে এই দেশের জনগণের দল, বিএনপি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের দল, বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের সংগ্রামের দল; নেতা-কর্মীদের এ কথাগুলো সব সময় মাথায় রাখার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

ফখরুল আরও বলেন, ‘একটা কথা আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৭১ সাল আমাদের অস্তিত্ব; এ কথাটা খুব জোরেশোরে মনে রাখবেন। আজকে আমি পত্রিকায় দেখলাম, ১৯৭১ সালের প্রজন্ম নাকি নিকৃষ্টতম প্রজন্ম। কোন সাহসে এই কথা বলার দুঃসাহস দেখান তারা; ঔদ্ধত্য দেখান তারা? আজকে মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের প্রিয় ধর্মকে ব্যবহার করে তারা আজকে বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে কি না? সেই শক্তির বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

ফখরুল বলেন, ‘আজকে নতুন সে লড়াই একদিকে আমাদের বাংলাদেশকে একটা রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে দৃঢ় অবস্থানের মধ্যে দাঁড় করার লড়াই। আরেকদিকে হচ্ছে, এই অপশক্তিকে রুখে দেওয়ার লড়াই; এ দুটিকে নিয়েই আপনাদেরকে এগোতে হবে। আমরা সব সময় ইতিবাচক রাজনীতি করি, আমরা সব সময় অগ্রবর্তী চিন্তা করি।’

‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় বিএনপির অন্য নেতারা কর্মশালায় বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তৃণমূল এনসিপি গঠনের ঘোষণা দিলেন সেই মুনতাসির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বহিষ্কৃত নেতা মুনতাসির মাহমুদ।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বহিষ্কৃত নেতা মুনতাসির মাহমুদ।

তৃণমূল এনসিপি গঠনে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বহিষ্কৃত নেতা মুনতাসির মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

ফেসবুক পোস্টে মুনতাসির লিখেছেন, ‘খুব দ্রুত তৃণমূল এনসিপির কার্যক্রম শুরু হবে। যারা জুলাইকে ধারণ করে সততা ও নীতির ওপরে থেকে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চান, তাঁরা যোগাযোগ করুন।’

অন্তর্বর্তী সরকার থেকে সদ্য পদত্যাগ করা দুজন ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে ‘তৃণমূল এনসিপি’র ব্যানারে কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন মুনতাসির।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার পর তিনি ফেসবুক পোস্টে বলেন, প্রাক্তন দুই ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজের দুর্নীতির তদন্ত ও বিচারের দাবিতে তৃণমূল এনসিপির আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল হবে। রাত ৯টায় বাংলামোটর রূপায়ণ টাওয়ারের সামনে থেকে এই মিছিল শুরু হবে।

এর আগে, মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টে এনসিপির বহিষ্কৃত এই নেতা বলেন, ‘তৃণমূল এনসিপি গঠন এখন সময়ের দাবি। সারা দেশ থেকে যোগ্য ও ত্যাগী নেতা-কর্মীরা যোগাযোগ করছেন। সব জায়গা থেকে ভালো সাড়া পেলে আমি আল্লাহর ওপর ভরসা করে উদ্যোগ নেব, ইনশা আল্লাহ।’

এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক ছিলেন মুনতাসির মাহমুদ। গত ১২ অক্টোবর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে মুনতাসির মাহমুদকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এরপর ৫ নভেম্বর তাঁকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেয় এনসিপি।

মুনতাসির মাহমুদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘মব’ তৈরি প্রচেষ্টার অভিযোগ ছিল। তিনি সংস্থাটিতে উপপরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। গত ১২ অক্টোবর তিনি মগবাজারে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করেন। সেদিনই মুনতাসিরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই দিন রেড ক্রিসেন্টের চাকরিও হারান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৮ দল সংঘাত চায় না, নির্বাচনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে: গোলাম পরওয়ার

খুলনা প্রতিনিধি
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও খুলনা-৫ (ফুলতলা ও ডুমুরিয়া) আসনের প্রার্থী মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ বৃহস্পতিবার ডুমুরিয়ায় ইটভাটায় মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও খুলনা-৫ (ফুলতলা ও ডুমুরিয়া) আসনের প্রার্থী মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ বৃহস্পতিবার ডুমুরিয়ায় ইটভাটায় মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আট দল যে আন্দোলনে রয়েছে, তারা দেশ ও জাতির কথা বিবেচনায় এই আন্দোলনের মাধ্যমে কোনো সংঘাত, রক্তপাত হোক সেটা চায় না। তাই গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

তবে জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে সবাইকে নিয়ে সরকার গঠনের মাধ্যমে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা হবে, যোগ করেন আট দলের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনা-৫ (ফুলতলা ও ডুমুরিয়া) আসনের জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী গোলাম পরওয়ার ডুমুরিয়া উপজেলায় গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে উপজেলার কুলবাড়িয়া আজিজুর ইসলামের আল্লারদান ইটভাটায় মালিক-শ্রমিকদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর সব কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে আসেন। কোনো দলের বিশেষ প্রার্থীকে বিজয়ী করতে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা সুযোগ দেবেন, তা প্রত্যাশিত নয়।’

তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব দলের জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা) তৈরি করতে হবে। আর এই দায়িত্ব প্রশাসনের।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনের জামায়াতের প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী, খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, কর্মপরিষদ সদস্য আবু ইউসুফ মোল্লা, ডুমুরিয়া উপজেলার আমির মোক্তার হোসেন, নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান ও গাজী সাইফুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের

সভাপতি মাওলানা ওমর আলী, খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আবু সাঈদ আহমুদ, খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আবদুল কাইয়ুম জমাদ্দার, ইসলামী আন্দোলনের নেতা আবদুস সালাম ও মুফতি মাহবুবুর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ প্রমুখ। সভায় ইটভাটা মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা আবদুল লতিফ জমাদ্দার সভাপতিত্ব করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত