আয়নাল হোসেন, ঢাকা

সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থাগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি জোরদার করা, সুশাসন ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে রূপকল্প-২০৪১ নির্ধারণ করা হয়। সেটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যন্ত সুশাসন নিশ্চিতে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর হয়ে আসছে নিয়মিত। কিন্তু সরকারের এই কর্মকাণ্ড মাঠ প্রশাসনে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। অর্থাৎ এমন সরকারি সেবার বিষয়ে জনগণ জানতেই পারছে না। ফলে সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিতের চুক্তি রয়ে যাচ্ছে কাগজে-কলমেই।
দেশে সুশাসন নিশ্চিতের জন্য জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, অভিযোগ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা, সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি, তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি যথাযথভাবে পালনের জন্য ২০১৪-২০১৫ অর্থবছর থেকে দেশের ৪৮টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে আসছে। অর্থাৎ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে দেশের সব মন্ত্রণালয় আগামী অর্থবছরে কী কী কাজ বাস্তবায়ন করবে, সেটির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী কাজ যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এই চুক্তির কারণে প্রতিটি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ বা জেলা জবাবদিহির আওতায় থাকছে।
জানা গেছে, সরকারের পাঁচটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য সব মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে। এসব প্রতিশ্রুতি সার্বিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ৩০ নম্বর রয়েছে। আর ৭০ নম্বর নিজ নিজ মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে। এই চুক্তি অনুযায়ী কোনো মন্ত্রণালয় ভালো কাজ করলে তাদের পুরস্কৃতও করা হচ্ছে। এতে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নম্বর রয়েছে। অসাধারণ ১০০, অতি উত্তম ৯০, উত্তম ৮০, চলতি মান ৭০ ও চলতি মানের নিচে ৬০ নম্বর ধার্য রয়েছে। ফলে মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থার মধ্যে সেবা ও প্রতিকার দেওয়ার প্রতিযোগিতা কাজ করছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদি ১০০টি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন কিনতে চায়, তবে কিছু বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। দরপত্র আহ্বান, কারা অংশগ্রহণ করেছে, কে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে—এসব তথ্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। মূল্যায়ন কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের স্বাক্ষরযুক্ত প্রতিবেদন থাকতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সেটির জন্য কোনো নম্বর পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ, প্রতিটি কাজের দালিলিক প্রমাণ থাকতে হবে।
কিন্তু মাঠ পর্যায়ে জনগণের কাজে সরকারের এসব প্রতিশ্রুতির কথা পৌঁছাচ্ছে না। এ কারণে সরকারি বিভিন্ন সেবা ও প্রতিকার নিতে এসে মানুষের হয়রানি কমছে না, দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতারণাও থামছে না। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ ও প্রতিকার, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, তথ্য অধিকার ও বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির বিষয়টি জনগণ সঠিকভাবে জানতে পারছে না। চুক্তি বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মধ্যে ব্যাপক প্রচারণা ও সম্পাদনে প্রতিযোগিতা থাকলেও বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সেটি নেই। কর্মকর্তাদের মধ্যে সময়ে সময়ে সভা-সমাবেশ হলেও তৃণমূলের নাগরিকদের কাছে সরকারের প্রতিশ্রুতির বাণী পৌঁছাচ্ছে না। এতে জনগণ কাঙ্ক্ষিত সেবা ও প্রতিকার পেতে কখনো অর্থ, কখনো ক্ষমতার উৎসের সন্ধান করছে।
ঢাকার দোহার উপজেলা প্রশাসনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত এক বছরে কেউ তথ্য অধিকার আইনে কোনো তথ্য চাননি। অথচ ২০০৯ সালে আইনটি পাশ হয়। উপজেলা প্রশাসনে এসে মানুষ কী কী সেবা পাবে, সে সংক্রান্ত কোনো প্রচারণাও সেখানে নেই। তবে ভূমি অফিসের সামনে কিছু সেবার বিষয়ে বলা আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও সেবা প্রতিশ্রুতিসংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। এমনকি সেখানে কোনো অভিযোগও জমা পড়েনি বা কেউ তথ্য অধিকার আইনে তথ্যও চাননি বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন।
সেখানকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি যোগদানের পর থেকে কেউ তথ্য চেয়ে আবেদনই করেননি। তবে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ ও প্রতিকার নিয়ে তাদের নিয়মিত সভা হচ্ছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইনের সঙ্গে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি নিয়ে কথা হয়। তিনি জানান, তথ্য অধিকার আইনে কেউ কখনো কোনো তথ্য চাননি। কোনো অভিযোগ নিয়েও কেউ আসছে না। তবে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির বিষয়ে তাদের সভা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অথচ বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি এবং সরকারি দপ্তরসমূহের দক্ষতার উন্নয়ন ও কার্যক্রমে গতিশীলতা আনা। সরকারি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করে কাজের মূল্যায়নের মাধ্যমে সরকারি দপ্তরসমূহের ব্যবস্থাপনার সামগ্রিক উন্নয়ন করাই এর মূল লক্ষ্য। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিভিন্ন পর্যায়ে সর্বমোট ৯১ হাজার ৫৯৩টি প্রতিষ্ঠান এপিএ স্বাক্ষর করছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২২৮টি প্রতিষ্ঠান এপিএএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে এপিএ স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু এ থেকে জনগণকে সুবিধাভোগী করার বিষয়টি অধরাই থেকে যাচ্ছে।
বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. সামসুল আরেফিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাঠ প্রশাসনে এপিএ বাস্তবায়নে সময় লাগবে। জনগণকে গিয়ারআপ করতে চেষ্টা চলছে।’ মানুষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমের সহযোগিতাও চান তিনি।

সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থাগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি জোরদার করা, সুশাসন ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে রূপকল্প-২০৪১ নির্ধারণ করা হয়। সেটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যন্ত সুশাসন নিশ্চিতে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর হয়ে আসছে নিয়মিত। কিন্তু সরকারের এই কর্মকাণ্ড মাঠ প্রশাসনে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। অর্থাৎ এমন সরকারি সেবার বিষয়ে জনগণ জানতেই পারছে না। ফলে সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিতের চুক্তি রয়ে যাচ্ছে কাগজে-কলমেই।
দেশে সুশাসন নিশ্চিতের জন্য জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, অভিযোগ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা, সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি, তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি যথাযথভাবে পালনের জন্য ২০১৪-২০১৫ অর্থবছর থেকে দেশের ৪৮টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে আসছে। অর্থাৎ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে দেশের সব মন্ত্রণালয় আগামী অর্থবছরে কী কী কাজ বাস্তবায়ন করবে, সেটির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী কাজ যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এই চুক্তির কারণে প্রতিটি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ বা জেলা জবাবদিহির আওতায় থাকছে।
জানা গেছে, সরকারের পাঁচটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য সব মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে। এসব প্রতিশ্রুতি সার্বিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ৩০ নম্বর রয়েছে। আর ৭০ নম্বর নিজ নিজ মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে। এই চুক্তি অনুযায়ী কোনো মন্ত্রণালয় ভালো কাজ করলে তাদের পুরস্কৃতও করা হচ্ছে। এতে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নম্বর রয়েছে। অসাধারণ ১০০, অতি উত্তম ৯০, উত্তম ৮০, চলতি মান ৭০ ও চলতি মানের নিচে ৬০ নম্বর ধার্য রয়েছে। ফলে মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থার মধ্যে সেবা ও প্রতিকার দেওয়ার প্রতিযোগিতা কাজ করছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদি ১০০টি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন কিনতে চায়, তবে কিছু বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। দরপত্র আহ্বান, কারা অংশগ্রহণ করেছে, কে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে—এসব তথ্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। মূল্যায়ন কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের স্বাক্ষরযুক্ত প্রতিবেদন থাকতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সেটির জন্য কোনো নম্বর পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ, প্রতিটি কাজের দালিলিক প্রমাণ থাকতে হবে।
কিন্তু মাঠ পর্যায়ে জনগণের কাজে সরকারের এসব প্রতিশ্রুতির কথা পৌঁছাচ্ছে না। এ কারণে সরকারি বিভিন্ন সেবা ও প্রতিকার নিতে এসে মানুষের হয়রানি কমছে না, দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতারণাও থামছে না। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ ও প্রতিকার, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, তথ্য অধিকার ও বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির বিষয়টি জনগণ সঠিকভাবে জানতে পারছে না। চুক্তি বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মধ্যে ব্যাপক প্রচারণা ও সম্পাদনে প্রতিযোগিতা থাকলেও বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সেটি নেই। কর্মকর্তাদের মধ্যে সময়ে সময়ে সভা-সমাবেশ হলেও তৃণমূলের নাগরিকদের কাছে সরকারের প্রতিশ্রুতির বাণী পৌঁছাচ্ছে না। এতে জনগণ কাঙ্ক্ষিত সেবা ও প্রতিকার পেতে কখনো অর্থ, কখনো ক্ষমতার উৎসের সন্ধান করছে।
ঢাকার দোহার উপজেলা প্রশাসনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত এক বছরে কেউ তথ্য অধিকার আইনে কোনো তথ্য চাননি। অথচ ২০০৯ সালে আইনটি পাশ হয়। উপজেলা প্রশাসনে এসে মানুষ কী কী সেবা পাবে, সে সংক্রান্ত কোনো প্রচারণাও সেখানে নেই। তবে ভূমি অফিসের সামনে কিছু সেবার বিষয়ে বলা আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও সেবা প্রতিশ্রুতিসংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। এমনকি সেখানে কোনো অভিযোগও জমা পড়েনি বা কেউ তথ্য অধিকার আইনে তথ্যও চাননি বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন।
সেখানকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি যোগদানের পর থেকে কেউ তথ্য চেয়ে আবেদনই করেননি। তবে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ ও প্রতিকার নিয়ে তাদের নিয়মিত সভা হচ্ছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইনের সঙ্গে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি নিয়ে কথা হয়। তিনি জানান, তথ্য অধিকার আইনে কেউ কখনো কোনো তথ্য চাননি। কোনো অভিযোগ নিয়েও কেউ আসছে না। তবে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির বিষয়ে তাদের সভা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অথচ বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি এবং সরকারি দপ্তরসমূহের দক্ষতার উন্নয়ন ও কার্যক্রমে গতিশীলতা আনা। সরকারি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করে কাজের মূল্যায়নের মাধ্যমে সরকারি দপ্তরসমূহের ব্যবস্থাপনার সামগ্রিক উন্নয়ন করাই এর মূল লক্ষ্য। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিভিন্ন পর্যায়ে সর্বমোট ৯১ হাজার ৫৯৩টি প্রতিষ্ঠান এপিএ স্বাক্ষর করছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২২৮টি প্রতিষ্ঠান এপিএএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে এপিএ স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু এ থেকে জনগণকে সুবিধাভোগী করার বিষয়টি অধরাই থেকে যাচ্ছে।
বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. সামসুল আরেফিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাঠ প্রশাসনে এপিএ বাস্তবায়নে সময় লাগবে। জনগণকে গিয়ারআপ করতে চেষ্টা চলছে।’ মানুষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমের সহযোগিতাও চান তিনি।
আয়নাল হোসেন, ঢাকা

সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থাগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি জোরদার করা, সুশাসন ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে রূপকল্প-২০৪১ নির্ধারণ করা হয়। সেটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যন্ত সুশাসন নিশ্চিতে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর হয়ে আসছে নিয়মিত। কিন্তু সরকারের এই কর্মকাণ্ড মাঠ প্রশাসনে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। অর্থাৎ এমন সরকারি সেবার বিষয়ে জনগণ জানতেই পারছে না। ফলে সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিতের চুক্তি রয়ে যাচ্ছে কাগজে-কলমেই।
দেশে সুশাসন নিশ্চিতের জন্য জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, অভিযোগ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা, সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি, তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি যথাযথভাবে পালনের জন্য ২০১৪-২০১৫ অর্থবছর থেকে দেশের ৪৮টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে আসছে। অর্থাৎ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে দেশের সব মন্ত্রণালয় আগামী অর্থবছরে কী কী কাজ বাস্তবায়ন করবে, সেটির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী কাজ যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এই চুক্তির কারণে প্রতিটি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ বা জেলা জবাবদিহির আওতায় থাকছে।
জানা গেছে, সরকারের পাঁচটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য সব মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে। এসব প্রতিশ্রুতি সার্বিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ৩০ নম্বর রয়েছে। আর ৭০ নম্বর নিজ নিজ মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে। এই চুক্তি অনুযায়ী কোনো মন্ত্রণালয় ভালো কাজ করলে তাদের পুরস্কৃতও করা হচ্ছে। এতে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নম্বর রয়েছে। অসাধারণ ১০০, অতি উত্তম ৯০, উত্তম ৮০, চলতি মান ৭০ ও চলতি মানের নিচে ৬০ নম্বর ধার্য রয়েছে। ফলে মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থার মধ্যে সেবা ও প্রতিকার দেওয়ার প্রতিযোগিতা কাজ করছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদি ১০০টি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন কিনতে চায়, তবে কিছু বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। দরপত্র আহ্বান, কারা অংশগ্রহণ করেছে, কে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে—এসব তথ্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। মূল্যায়ন কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের স্বাক্ষরযুক্ত প্রতিবেদন থাকতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সেটির জন্য কোনো নম্বর পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ, প্রতিটি কাজের দালিলিক প্রমাণ থাকতে হবে।
কিন্তু মাঠ পর্যায়ে জনগণের কাজে সরকারের এসব প্রতিশ্রুতির কথা পৌঁছাচ্ছে না। এ কারণে সরকারি বিভিন্ন সেবা ও প্রতিকার নিতে এসে মানুষের হয়রানি কমছে না, দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতারণাও থামছে না। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ ও প্রতিকার, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, তথ্য অধিকার ও বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির বিষয়টি জনগণ সঠিকভাবে জানতে পারছে না। চুক্তি বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মধ্যে ব্যাপক প্রচারণা ও সম্পাদনে প্রতিযোগিতা থাকলেও বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সেটি নেই। কর্মকর্তাদের মধ্যে সময়ে সময়ে সভা-সমাবেশ হলেও তৃণমূলের নাগরিকদের কাছে সরকারের প্রতিশ্রুতির বাণী পৌঁছাচ্ছে না। এতে জনগণ কাঙ্ক্ষিত সেবা ও প্রতিকার পেতে কখনো অর্থ, কখনো ক্ষমতার উৎসের সন্ধান করছে।
ঢাকার দোহার উপজেলা প্রশাসনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত এক বছরে কেউ তথ্য অধিকার আইনে কোনো তথ্য চাননি। অথচ ২০০৯ সালে আইনটি পাশ হয়। উপজেলা প্রশাসনে এসে মানুষ কী কী সেবা পাবে, সে সংক্রান্ত কোনো প্রচারণাও সেখানে নেই। তবে ভূমি অফিসের সামনে কিছু সেবার বিষয়ে বলা আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও সেবা প্রতিশ্রুতিসংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। এমনকি সেখানে কোনো অভিযোগও জমা পড়েনি বা কেউ তথ্য অধিকার আইনে তথ্যও চাননি বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন।
সেখানকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি যোগদানের পর থেকে কেউ তথ্য চেয়ে আবেদনই করেননি। তবে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ ও প্রতিকার নিয়ে তাদের নিয়মিত সভা হচ্ছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইনের সঙ্গে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি নিয়ে কথা হয়। তিনি জানান, তথ্য অধিকার আইনে কেউ কখনো কোনো তথ্য চাননি। কোনো অভিযোগ নিয়েও কেউ আসছে না। তবে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির বিষয়ে তাদের সভা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অথচ বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি এবং সরকারি দপ্তরসমূহের দক্ষতার উন্নয়ন ও কার্যক্রমে গতিশীলতা আনা। সরকারি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করে কাজের মূল্যায়নের মাধ্যমে সরকারি দপ্তরসমূহের ব্যবস্থাপনার সামগ্রিক উন্নয়ন করাই এর মূল লক্ষ্য। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিভিন্ন পর্যায়ে সর্বমোট ৯১ হাজার ৫৯৩টি প্রতিষ্ঠান এপিএ স্বাক্ষর করছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২২৮টি প্রতিষ্ঠান এপিএএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে এপিএ স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু এ থেকে জনগণকে সুবিধাভোগী করার বিষয়টি অধরাই থেকে যাচ্ছে।
বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. সামসুল আরেফিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাঠ প্রশাসনে এপিএ বাস্তবায়নে সময় লাগবে। জনগণকে গিয়ারআপ করতে চেষ্টা চলছে।’ মানুষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমের সহযোগিতাও চান তিনি।

সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থাগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি জোরদার করা, সুশাসন ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে রূপকল্প-২০৪১ নির্ধারণ করা হয়। সেটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যন্ত সুশাসন নিশ্চিতে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর হয়ে আসছে নিয়মিত। কিন্তু সরকারের এই কর্মকাণ্ড মাঠ প্রশাসনে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। অর্থাৎ এমন সরকারি সেবার বিষয়ে জনগণ জানতেই পারছে না। ফলে সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিতের চুক্তি রয়ে যাচ্ছে কাগজে-কলমেই।
দেশে সুশাসন নিশ্চিতের জন্য জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, অভিযোগ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা, সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি, তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি যথাযথভাবে পালনের জন্য ২০১৪-২০১৫ অর্থবছর থেকে দেশের ৪৮টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে আসছে। অর্থাৎ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে দেশের সব মন্ত্রণালয় আগামী অর্থবছরে কী কী কাজ বাস্তবায়ন করবে, সেটির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী কাজ যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এই চুক্তির কারণে প্রতিটি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ বা জেলা জবাবদিহির আওতায় থাকছে।
জানা গেছে, সরকারের পাঁচটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য সব মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে। এসব প্রতিশ্রুতি সার্বিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ৩০ নম্বর রয়েছে। আর ৭০ নম্বর নিজ নিজ মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে। এই চুক্তি অনুযায়ী কোনো মন্ত্রণালয় ভালো কাজ করলে তাদের পুরস্কৃতও করা হচ্ছে। এতে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নম্বর রয়েছে। অসাধারণ ১০০, অতি উত্তম ৯০, উত্তম ৮০, চলতি মান ৭০ ও চলতি মানের নিচে ৬০ নম্বর ধার্য রয়েছে। ফলে মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থার মধ্যে সেবা ও প্রতিকার দেওয়ার প্রতিযোগিতা কাজ করছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদি ১০০টি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন কিনতে চায়, তবে কিছু বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। দরপত্র আহ্বান, কারা অংশগ্রহণ করেছে, কে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে—এসব তথ্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। মূল্যায়ন কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের স্বাক্ষরযুক্ত প্রতিবেদন থাকতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সেটির জন্য কোনো নম্বর পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ, প্রতিটি কাজের দালিলিক প্রমাণ থাকতে হবে।
কিন্তু মাঠ পর্যায়ে জনগণের কাজে সরকারের এসব প্রতিশ্রুতির কথা পৌঁছাচ্ছে না। এ কারণে সরকারি বিভিন্ন সেবা ও প্রতিকার নিতে এসে মানুষের হয়রানি কমছে না, দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতারণাও থামছে না। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ ও প্রতিকার, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, তথ্য অধিকার ও বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির বিষয়টি জনগণ সঠিকভাবে জানতে পারছে না। চুক্তি বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মধ্যে ব্যাপক প্রচারণা ও সম্পাদনে প্রতিযোগিতা থাকলেও বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সেটি নেই। কর্মকর্তাদের মধ্যে সময়ে সময়ে সভা-সমাবেশ হলেও তৃণমূলের নাগরিকদের কাছে সরকারের প্রতিশ্রুতির বাণী পৌঁছাচ্ছে না। এতে জনগণ কাঙ্ক্ষিত সেবা ও প্রতিকার পেতে কখনো অর্থ, কখনো ক্ষমতার উৎসের সন্ধান করছে।
ঢাকার দোহার উপজেলা প্রশাসনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত এক বছরে কেউ তথ্য অধিকার আইনে কোনো তথ্য চাননি। অথচ ২০০৯ সালে আইনটি পাশ হয়। উপজেলা প্রশাসনে এসে মানুষ কী কী সেবা পাবে, সে সংক্রান্ত কোনো প্রচারণাও সেখানে নেই। তবে ভূমি অফিসের সামনে কিছু সেবার বিষয়ে বলা আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও সেবা প্রতিশ্রুতিসংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। এমনকি সেখানে কোনো অভিযোগও জমা পড়েনি বা কেউ তথ্য অধিকার আইনে তথ্যও চাননি বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন।
সেখানকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি যোগদানের পর থেকে কেউ তথ্য চেয়ে আবেদনই করেননি। তবে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ ও প্রতিকার নিয়ে তাদের নিয়মিত সভা হচ্ছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইনের সঙ্গে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি নিয়ে কথা হয়। তিনি জানান, তথ্য অধিকার আইনে কেউ কখনো কোনো তথ্য চাননি। কোনো অভিযোগ নিয়েও কেউ আসছে না। তবে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির বিষয়ে তাদের সভা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অথচ বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি এবং সরকারি দপ্তরসমূহের দক্ষতার উন্নয়ন ও কার্যক্রমে গতিশীলতা আনা। সরকারি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করে কাজের মূল্যায়নের মাধ্যমে সরকারি দপ্তরসমূহের ব্যবস্থাপনার সামগ্রিক উন্নয়ন করাই এর মূল লক্ষ্য। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিভিন্ন পর্যায়ে সর্বমোট ৯১ হাজার ৫৯৩টি প্রতিষ্ঠান এপিএ স্বাক্ষর করছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২২৮টি প্রতিষ্ঠান এপিএএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে এপিএ স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু এ থেকে জনগণকে সুবিধাভোগী করার বিষয়টি অধরাই থেকে যাচ্ছে।
বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. সামসুল আরেফিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাঠ প্রশাসনে এপিএ বাস্তবায়নে সময় লাগবে। জনগণকে গিয়ারআপ করতে চেষ্টা চলছে।’ মানুষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমের সহযোগিতাও চান তিনি।

দুই প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার পর দুই দেশের সম্পর্কে আবার তিক্ততা তৈরি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুই প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার পর দুই দেশের সম্পর্কে আবার তিক্ততা তৈরি হয়েছে।
দুই দেশের রাজনীতিকসহ বিভিন্নজনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য, পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক তলবের পর গতকাল বুধবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে জুলাই ঐক্যের মিছিল কর্মসূচি এবং ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র বন্ধ সম্পর্কের তিক্ততায় নতুন মাত্রা দিয়েছে। ভারতীয় ভিসার আবেদন কেন্দ্রের (আইভ্যাক) ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলার বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও বলেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যকে গতকাল তিনি নসিহত আখ্যা দিয়ে তা অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন।
বিগত আওয়ামী লীগের আমলে ‘বন্ধুত্বের শিখরে’ পৌঁছানো দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক নতুন মোড় নেয় গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর। সেদিন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে গেছেন। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাসহ আরও অনেকে সেখানে গেছেন বলে জানা গেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানকে ফেরত চেয়ে ঢাকা অনুরোধ জানালেও নয়াদিল্লি সাড়া দিচ্ছে না। এর মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করেছে ভারত। ভিসা কড়াকড়ির কারণে পর্যটনও প্রায় বন্ধ।
এ অবস্থায় ১২ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার পর সম্পর্কে নতুন করে তিক্ততা শুরু হয়েছে। গতকাল ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করে ‘জুলাই ঐক্য’। তবে পুলিশি বাধায় হাইকমিশন যাওয়ার আগেই কর্মসূচি শেষ হয়। অবশ্য এর আগে বেলা ২টা থেকে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত রোববার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবের পর গতকাল নয়াদিল্লিতে স্থানীয় সময় দুপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিএম) বি শ্যাম।
পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষভাবে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছে, কিছু ‘চরমপন্থী উপাদান’ প্রকাশ্যে ঢাকায় ভারতীয় মিশনের আশপাশে একটি নিরাপত্তা সংকট তৈরির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, এই ধরনের হুমকি কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিক, এমনটাই প্রত্যাশিত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে ‘চরমপন্থী উপাদানগুলো’র মাধ্যমে যে ‘বয়ান’ তৈরির চেষ্টা চলছে, ভারত তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে। অন্তর্বর্তী সরকার এই উদ্বেগজনক ঘটনাগুলোর কোনো পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করেনি বা ভারত সরকারের কাছে কোনো অর্থবহ প্রমাণ দেয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়, যা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক এবং মানুষে-মানুষে উদ্যোগের মাধ্যমে আরও জোরদার হয়েছে। এই সম্পর্কের ভিত্তিতেই নয়াদিল্লি বারবার বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে মত দিয়েছে। ভারত সরকার ধারাবাহিক আহ্বান জানিয়েছে, বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশে যেন অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবের কথা জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে জানানো হয়েছে, তারা যেন অবিলম্বে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতে পলাতক তাঁর সহযোগীদের ফ্যাসিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া ভারতীয় হাইকমিশনারকে ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টাকারীদের বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা রোধে ভারত সরকারের সহযোগিতা এবং তারা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাদের অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেওয়ার ও বাংলাদেশের কাছে তাদের প্রত্যর্পণ করার অনুরোধ জানানো হয়।
তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিজ্ঞপ্তির বক্তব্যসমূহ স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে ভারত। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে ভারতের অবস্থান আমরা ধারাবাহিকভাবে পুনর্ব্যক্ত করে আসছি। বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপে ভারতের ভূখণ্ড কখনোই ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।’
এদিকে গতকাল বিকেলে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা তাদের (ভারত) হাইকমিশনারকে ডেকেছি। এটার ব্যাপারে আমরা যা কিছু বলেছি, সেটা তারা গ্রহণ করেনি, তাদের কিছু দ্বিমত আছে এ বিষয়ে। একইভাবে আমাদের হাইকমিশনারকেও তারা ডেকেছে। এটা খুব অপ্রত্যাশিত নয়। সাধারণত এটা ঘটে। একজনকে ডাকলে আরেকজনকে ডাকা হয়।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সর্বশেষ যে বক্তব্য তাদের, তাতে কিছু নসিহত করা হয়েছে আমাদের। আমি মনে করি না, কোনো প্রয়োজন আছে আমাদের এভাবে নসিহত করার। বাংলাদেশে নির্বাচন কেমন হবে, এটা নিয়ে আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের উপদেশ চাই না।’ তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের এটা (নির্বাচন) নিয়ে উপদেশ দিচ্ছে। এটাকে আমি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য মনে করি। তারা (ভারত) জানে, এর আগে গত ১৫ বছর যে সরকার ছিল, তাদের সঙ্গে (ভারতের) অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক ছিল। ওই সময় নির্বাচনগুলো যে প্রহসনমূলক হয়েছিল, সে সময় তারা (ভারত) একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। এখন সামনে আমরা একটা ভালো নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি, এই মুহূর্তে আমাদের নসিহত করার তো কোনো প্রয়োজন নেই।’
‘সম্পর্কের এই টানাপোড়েন’ মেনে নিয়েই বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘তবে আমরা চাইলেই যে হবে, এমন কোনো কথা নেই। দুই পক্ষ থেকেই সম্পর্ককে এগোনোর চেষ্টা করতে হবে।’
রাজনীতিকদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য
ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে সোমবার রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বদলীয় সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারীদের ভারত আশ্রয় দিচ্ছে। এ সময় তিনি ভারত সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, তাদের আশ্রয় দিলে আমরাও বাংলাদেশে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্স (উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য) আলাদা করে দেব।’
হাসনাতের ওই বক্তব্যের পর ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গত মঙ্গলবার বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে আলাদা করার এবং বাংলাদেশের অংশ করার ব্যাপারে গত বছর থেকে বাংলাদেশে বারবার আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু ভারত খুব বড় একটি দেশ, পারমাণবিক শক্তিধর একটি দেশ এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমনটা ভাবতে পারে? তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষজনের মন-মানসিকতা ভালো না। তাদের খুব বেশি সহযোগিতা করা উচিত নয় আমাদের। আমাদের উচিত তাদের একটা শিক্ষা দেওয়া যে তারা যদি ভারতের সঙ্গে এমন ব্যবহার করে, তাহলে আমরা চুপ থাকব না।’
এর আগেও আসামের মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন। এ ছাড়া গত নভেম্বরের শুরুতে ভারতের ‘নেটওয়ার্ক-১৮’ গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল যোশীকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘কথা বলার ক্ষেত্রে মনোযোগী হওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজনাথের ওই মন্তব্যকে ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে মন্তব্য করেছিল।
হাইকমিশন অভিমুখী মিছিল আটকে দিল পুলিশ
ভারতে পালিয়ে থাকা জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে দেওয়া, সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে গতকাল বিকেলে ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি দেয় জুলাই অভ্যুত্থানের একাধিক সংগঠনের মোর্চা ‘জুলাই ঐক্য’। তবে বেলা সোয়া ৩টার দিকে শুরু হওয়া গুলশানে হাইকমিশন অভিমুখী কয়েক শ বিক্ষোভকারীর ওই মিছিল বাড্ডার হোসেন মার্কেট এলাকায় ব্যরিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভকারীদের একাংশ সড়কে বসে পড়ে। আরেকটি অংশ ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কর্মসূচি শেষ করে জুলাই ঐক্য।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার রওনক আলম সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাড্ডায় মিছিলকারীদের আটকে দেওয়া হয়। তারা বিকেলেই সেখান থেকে চলে যায়।
সীমান্তে ‘বাড়াবাড়ি’ করছে বিএসএফ
গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সীমান্তে বিএসএফের পুশ ইন ও তৎপরতা বেড়েছে। সীমান্ত হত্যাও বেড়েছে। এ নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই গত সপ্তাহে কোচবিহার জেলায় এক প্রশাসনিক বৈঠকে বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ বাড়াবাড়ি করছে। তারা ভারতীয় নাগরিকদের ধরে ধরে বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে।

দুই প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার পর দুই দেশের সম্পর্কে আবার তিক্ততা তৈরি হয়েছে।
দুই দেশের রাজনীতিকসহ বিভিন্নজনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য, পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক তলবের পর গতকাল বুধবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে জুলাই ঐক্যের মিছিল কর্মসূচি এবং ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র বন্ধ সম্পর্কের তিক্ততায় নতুন মাত্রা দিয়েছে। ভারতীয় ভিসার আবেদন কেন্দ্রের (আইভ্যাক) ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলার বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও বলেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যকে গতকাল তিনি নসিহত আখ্যা দিয়ে তা অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন।
বিগত আওয়ামী লীগের আমলে ‘বন্ধুত্বের শিখরে’ পৌঁছানো দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক নতুন মোড় নেয় গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর। সেদিন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে গেছেন। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাসহ আরও অনেকে সেখানে গেছেন বলে জানা গেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানকে ফেরত চেয়ে ঢাকা অনুরোধ জানালেও নয়াদিল্লি সাড়া দিচ্ছে না। এর মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করেছে ভারত। ভিসা কড়াকড়ির কারণে পর্যটনও প্রায় বন্ধ।
এ অবস্থায় ১২ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার পর সম্পর্কে নতুন করে তিক্ততা শুরু হয়েছে। গতকাল ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করে ‘জুলাই ঐক্য’। তবে পুলিশি বাধায় হাইকমিশন যাওয়ার আগেই কর্মসূচি শেষ হয়। অবশ্য এর আগে বেলা ২টা থেকে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত রোববার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবের পর গতকাল নয়াদিল্লিতে স্থানীয় সময় দুপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিএম) বি শ্যাম।
পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষভাবে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছে, কিছু ‘চরমপন্থী উপাদান’ প্রকাশ্যে ঢাকায় ভারতীয় মিশনের আশপাশে একটি নিরাপত্তা সংকট তৈরির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, এই ধরনের হুমকি কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিক, এমনটাই প্রত্যাশিত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে ‘চরমপন্থী উপাদানগুলো’র মাধ্যমে যে ‘বয়ান’ তৈরির চেষ্টা চলছে, ভারত তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে। অন্তর্বর্তী সরকার এই উদ্বেগজনক ঘটনাগুলোর কোনো পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করেনি বা ভারত সরকারের কাছে কোনো অর্থবহ প্রমাণ দেয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়, যা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক এবং মানুষে-মানুষে উদ্যোগের মাধ্যমে আরও জোরদার হয়েছে। এই সম্পর্কের ভিত্তিতেই নয়াদিল্লি বারবার বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে মত দিয়েছে। ভারত সরকার ধারাবাহিক আহ্বান জানিয়েছে, বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশে যেন অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবের কথা জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে জানানো হয়েছে, তারা যেন অবিলম্বে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতে পলাতক তাঁর সহযোগীদের ফ্যাসিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া ভারতীয় হাইকমিশনারকে ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টাকারীদের বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা রোধে ভারত সরকারের সহযোগিতা এবং তারা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাদের অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেওয়ার ও বাংলাদেশের কাছে তাদের প্রত্যর্পণ করার অনুরোধ জানানো হয়।
তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিজ্ঞপ্তির বক্তব্যসমূহ স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে ভারত। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে ভারতের অবস্থান আমরা ধারাবাহিকভাবে পুনর্ব্যক্ত করে আসছি। বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপে ভারতের ভূখণ্ড কখনোই ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।’
এদিকে গতকাল বিকেলে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা তাদের (ভারত) হাইকমিশনারকে ডেকেছি। এটার ব্যাপারে আমরা যা কিছু বলেছি, সেটা তারা গ্রহণ করেনি, তাদের কিছু দ্বিমত আছে এ বিষয়ে। একইভাবে আমাদের হাইকমিশনারকেও তারা ডেকেছে। এটা খুব অপ্রত্যাশিত নয়। সাধারণত এটা ঘটে। একজনকে ডাকলে আরেকজনকে ডাকা হয়।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সর্বশেষ যে বক্তব্য তাদের, তাতে কিছু নসিহত করা হয়েছে আমাদের। আমি মনে করি না, কোনো প্রয়োজন আছে আমাদের এভাবে নসিহত করার। বাংলাদেশে নির্বাচন কেমন হবে, এটা নিয়ে আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের উপদেশ চাই না।’ তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের এটা (নির্বাচন) নিয়ে উপদেশ দিচ্ছে। এটাকে আমি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য মনে করি। তারা (ভারত) জানে, এর আগে গত ১৫ বছর যে সরকার ছিল, তাদের সঙ্গে (ভারতের) অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক ছিল। ওই সময় নির্বাচনগুলো যে প্রহসনমূলক হয়েছিল, সে সময় তারা (ভারত) একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। এখন সামনে আমরা একটা ভালো নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি, এই মুহূর্তে আমাদের নসিহত করার তো কোনো প্রয়োজন নেই।’
‘সম্পর্কের এই টানাপোড়েন’ মেনে নিয়েই বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘তবে আমরা চাইলেই যে হবে, এমন কোনো কথা নেই। দুই পক্ষ থেকেই সম্পর্ককে এগোনোর চেষ্টা করতে হবে।’
রাজনীতিকদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য
ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে সোমবার রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বদলীয় সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারীদের ভারত আশ্রয় দিচ্ছে। এ সময় তিনি ভারত সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, তাদের আশ্রয় দিলে আমরাও বাংলাদেশে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্স (উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য) আলাদা করে দেব।’
হাসনাতের ওই বক্তব্যের পর ভারতের আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গত মঙ্গলবার বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে আলাদা করার এবং বাংলাদেশের অংশ করার ব্যাপারে গত বছর থেকে বাংলাদেশে বারবার আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু ভারত খুব বড় একটি দেশ, পারমাণবিক শক্তিধর একটি দেশ এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমনটা ভাবতে পারে? তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষজনের মন-মানসিকতা ভালো না। তাদের খুব বেশি সহযোগিতা করা উচিত নয় আমাদের। আমাদের উচিত তাদের একটা শিক্ষা দেওয়া যে তারা যদি ভারতের সঙ্গে এমন ব্যবহার করে, তাহলে আমরা চুপ থাকব না।’
এর আগেও আসামের মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন। এ ছাড়া গত নভেম্বরের শুরুতে ভারতের ‘নেটওয়ার্ক-১৮’ গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল যোশীকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘কথা বলার ক্ষেত্রে মনোযোগী হওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজনাথের ওই মন্তব্যকে ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে মন্তব্য করেছিল।
হাইকমিশন অভিমুখী মিছিল আটকে দিল পুলিশ
ভারতে পালিয়ে থাকা জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে দেওয়া, সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে গতকাল বিকেলে ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি দেয় জুলাই অভ্যুত্থানের একাধিক সংগঠনের মোর্চা ‘জুলাই ঐক্য’। তবে বেলা সোয়া ৩টার দিকে শুরু হওয়া গুলশানে হাইকমিশন অভিমুখী কয়েক শ বিক্ষোভকারীর ওই মিছিল বাড্ডার হোসেন মার্কেট এলাকায় ব্যরিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভকারীদের একাংশ সড়কে বসে পড়ে। আরেকটি অংশ ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কর্মসূচি শেষ করে জুলাই ঐক্য।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার রওনক আলম সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাড্ডায় মিছিলকারীদের আটকে দেওয়া হয়। তারা বিকেলেই সেখান থেকে চলে যায়।
সীমান্তে ‘বাড়াবাড়ি’ করছে বিএসএফ
গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সীমান্তে বিএসএফের পুশ ইন ও তৎপরতা বেড়েছে। সীমান্ত হত্যাও বেড়েছে। এ নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই গত সপ্তাহে কোচবিহার জেলায় এক প্রশাসনিক বৈঠকে বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ বাড়াবাড়ি করছে। তারা ভারতীয় নাগরিকদের ধরে ধরে বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে।

সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থাদের প্রতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা জোরদার করা, সুশাসন নিশ্চিত এবং সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে রূপকল্প–২০৪১ নির্ধারণ করা হয়। সেটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে শুরু করে...
০৭ জুন ২০২২
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরও চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক রিহ্যাব মাহামুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার একটি উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এসব অধিকার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নিজেদের দায়বদ্ধতার সম্মান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
আদালতে শুনানির সময় আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এই কাজই করছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে দলটির প্রতি সমর্থনের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাও রয়েছেন।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ-নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত ও বিকশিত হয়। একটি মানবাধিকারসম্মত সমাজের জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাগুলো খর্ব করতে দমনমূলক আইনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরও চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক রিহ্যাব মাহামুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার একটি উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এসব অধিকার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নিজেদের দায়বদ্ধতার সম্মান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
আদালতে শুনানির সময় আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এই কাজই করছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে দলটির প্রতি সমর্থনের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাও রয়েছেন।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ-নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত ও বিকশিত হয়। একটি মানবাধিকারসম্মত সমাজের জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাগুলো খর্ব করতে দমনমূলক আইনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থাদের প্রতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা জোরদার করা, সুশাসন নিশ্চিত এবং সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে রূপকল্প–২০৪১ নির্ধারণ করা হয়। সেটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে শুরু করে...
০৭ জুন ২০২২
দুই প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার পর দুই দেশের সম্পর্কে আবার তিক্ততা তৈরি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থাদের প্রতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা জোরদার করা, সুশাসন নিশ্চিত এবং সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে রূপকল্প–২০৪১ নির্ধারণ করা হয়। সেটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে শুরু করে...
০৭ জুন ২০২২
দুই প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার পর দুই দেশের সম্পর্কে আবার তিক্ততা তৈরি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থাদের প্রতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা জোরদার করা, সুশাসন নিশ্চিত এবং সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে রূপকল্প–২০৪১ নির্ধারণ করা হয়। সেটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে শুরু করে...
০৭ জুন ২০২২
দুই প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার পর দুই দেশের সম্পর্কে আবার তিক্ততা তৈরি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৫ ঘণ্টা আগে