Ajker Patrika

মিষ্টি মেয়েটির চলে যাওয়ার এক বছর

আজাদ আবুল কাশেম
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ২৮
মিষ্টি মেয়েটির চলে যাওয়ার এক বছর

অসংখ্য কালজয়ী বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী, দেশবরেণ্য কিংবদন্তি চিত্রনায়িকা, সবার অতি প্রিয় মিষ্টিমেয়েখ্যাত কবরী। এই মহান অভিনেত্রীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। প্রয়াণ দিবসে তাঁর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি।

কবরী (মিনা পাল/ধর্মান্তরিত নাম সারাহ বেগম কবরী), ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম শ্রীকৃষ্ণ দাস পাল, মায়ের নাম শ্রীমতি লাবণ্য প্রভা পাল।

পারিবারিকভাবে শিল্প-সংস্কৃতির আবহে বেড়ে ওঠা কবরীর জন্মস্থান বোয়ালখালী হলেও তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রাম নগরীতে। ১৯৬৩ সালে, মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব হয় কবরীর।

মিষ্টিমেয়েখ্যাত কবরীচট্টগ্রামের কৃতি সন্তান প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক সত্য সাহার মাধ্যমে ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং’ সিনেমার নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয়জীবন শুরু হয় নায়িকা কবরীর। ব্যাপক ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি ‘সুতরাং’ অর্জন করেছিল আন্তর্জাতিক পুরস্কারও।

কবরী অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- বাহানা, হীরামন, সোয়ে নদীয়া জাগে পানি, নিশি হলো ভোর, সাত ভাই চম্পা, আবির্ভাব, বাঁশরি, অরুণ বরুণ কিরণমালা, শীত বসন্ত, চোরাবালি, পারুলের সংসার, প্রতিকার, ময়নামতি, আগন্তুক, নীল আকাশের নিচে, পদ্মানদীর মাঝি, মেহেরবান, নতুন ফুলের গন্ধ, যে আগুনে পুড়ি, আঁকাবাঁকা, সন্তান, নায়িকা, দ্বীপ নেভে নাই, দর্পচূর্ণ, ক খ গ ঘ ঙ, বিনিময়, রং বদলায়, কত যে মিনতি, অধিকার, ঢেউয়ের পরে ঢেউ, আপন পর, পিতা পুত্র, ঘূর্ণিঝড়, সাধারণ মেয়ে, কাঁচকাটা হীরে, জলছবি, সুখদুঃখ, গাঁয়ের বধূ, স্মৃতিটুকু থাক, শেষ রাতের তারা, কমলরাণীর দীঘি, নিজেরে হারায়ে খুঁজি, লালন ফকির, রক্তাক্ত বাংলা, রংবাজ, খেলাঘর, বলাকা মন, যাহা বলিব সত্য বলিব, কে তুমি, তিতাস একটি নদীর নাম, অনির্বাণ, আমার জন্মভুমি, অঙ্গীকার, চোখের জলে, চাবুক, উৎস্বর্গ, মাসুদ রানা, ভুল যখন ভাঙল, বেঈমান, অবাক পৃথিবী, পরিচয়, দুইপর্ব, ত্রিরত্ন, সুজন সখী, ধন্যি মেয়ে, ডাকপিয়ন, লাভ ইন সিমলা, উপহার, জালিয়াত, চলো ঘর বাঁধি, রংবেরং, রক্তের ডাক, গুন্ডা, গোপন কথা, অনুরোধ, মতিমহল, সাগরভাসা, তৃষ্ণা, মমতা, কুয়াশা, ফরিয়াদ, রক্তশপথ, অঙ্গার, আগুনের আলো, সারেং বৌ, বধু বিদায়, দিন যায় কথা থাকে, মধুমতি, ছোট মা, আরাধনা, শহর থেকে দূরে, ঈমান, নওজোয়ান, সোনার হরিণ, সোনার তরী, কলমীলতা, লাল সবুজের পালা, স্বামীর সোহাগ, দেবদাস, আরশিনগর, আশা, প্রেমবন্ধন, সোনালী আকাশ, দুই জীবন, চেতনা, ছোট বৌ, লাখে একটা, দয়ামায়া, অপরাজিত নায়ক, দেমাগ, বিয়ের ফুল, আামাদের সন্তান, জীবনের গল্প, আয়না, মেঘের কোলে রোদ, পিতা মাতার আমানত, তুমি আমার স্বামী ইত্যাদি। 

অভিনয়ে হাজার হাজার ভক্তকে কাদাতেন কবরীচলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য নায়িকা কবরী যেসব পুরস্কার পেয়েছেন তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, ছবি-সারেং বৌ (১৯৭৮), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আজীবন সম্মাননা-২০১৩ বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, ছবি- লালন ফকির (১৯৭৩), সুজন সখী (১৯৭৫), সারেং বৌ (১৯৭৮), দুই জীবন (১৯৮৮) ও বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার আজীবন সম্মাননা-২০০৯ পান। এ ছাড়াও প্রযোজক সমিতি চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক নানা পদক ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।

কবরী টেলিভিশন নাটকেও অভিনয় করেছেন। পরিচালনাও করেছেন। তাঁর পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আয়না’ মুক্তি পায় ২০০৬ সালে। সরকারি অনুদানে ‘এই তুমি সেই তুমি’ নামে আরেকটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করছিলেন তিনি। এই ছবিটির শুটিং শেষ করে সম্পাদনার কাজ করছিলেন।

নায়িকা কবরী একসময় সরাসরি রাজনীতিতে আসেন। ‘বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট’-এর প্রথম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

রাজ্জাক-কবরী জুটি২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় কবরীর আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক’ প্রকাশিত হয়। ব্যক্তিগত জীবনে কবরী, দুইবার বিয়ে করেছেন। প্রথম বিয়ে করেন চলচ্চিত্র প্রযোজক চিত্ত চৌধুরীকে। কিছুদিন পর তাঁর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে ১৯৭৮ সালে কবরী বগুড়ার এক দরবেশের কাছে গিয়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। সেখানেই তিনি সফিউদ্দীন সরোয়ার বাবুর সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। দীর্ঘ ৩০ বছর সংসার করার পর ২০০৮ সালে তাঁদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কবরীর পাঁচ ছেলে সন্তান রয়েছে।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অসম্ভব জনপ্রিয় অভিনেত্রী কোটি কোটি ভক্ত-দর্শকদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত ছিলেন নায়িকা কবরী। আমাদের দেশের চলচ্চিত্রশিল্পকে বাণিজ্যিকভাবে সুদৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করাতে চিত্রনায়িকা কবরীর বিশেষ অবদান রয়েছে। এ দেশের চলচ্চিত্রের সফল রোমান্টিক চিত্রনায়িকা তিনি। তখনকার সময়ে সিনেমা দর্শকদের হৃদয়ে অন্যরকম এক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, রাজ্জাক-কবরী জুটি। যাঁদের অভিনয় প্রতিভায়, হিন্দি-উর্দু সিনেমার দাপটের সঙ্গে টক্কর দিয়ে টিকে থাকে আমাদের বাংলাদেশের সিনেমা। 

ফারুক-কবরী জুটিস্বাধীনতার পর রাজ্জাক-কবরী জুটি আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। জনপ্রিয়তা ও সফলতার শীর্ষে অবস্থান করেন কবরী। বাংলাদেশের সিনেমার যথার্থ চিত্রনায়িকা হিসেবে জয় করে নেন কোটি মানুষের ভালোবাসা।

কবরী সম্পর্কিত পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাপ্পা মজুমদারের নতুন গান ‘এই ব্যথা’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বাপ্পা মজুমদার
বাপ্পা মজুমদার

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান। গানের শিরোনাম ‘এই ব্যথা’।

‘এই ব্যথা কি তোমার অনুগত/ চাইলেই রোদে এসে পেতে দেয় গা/ এই ব্যথা কি দিনান্তে কোনো হাওয়া/ স্বপ্নের মতো সারা রাত্রি জেগে থাকা’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন মাহি ফ্লোরা। সুর করেছেন এহসান রাহি, সংগীতায়োজনে আমজাদ হোসেন। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন শুভব্রত সরকার। ১৮ ডিসেম্বর ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে এই ব্যথা শিরোনামের গানের ভিডিও। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে দেশি ও আন্তর্জাতিক মিউজিক প্ল্যাটফর্মগুলোয়।

এই ব্যথা গানটি প্রসঙ্গে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘অনেক দিন পর আয়োজন করে একটা গান করা হলো। আমি আনন্দিত। এই টিমে যারা কাজ করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ট্যালেন্টেড। সবাই তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন এই গানে। আরও আনন্দের ব্যাপার হলো, আমার বড় কন্যার জন্মদিনে গানটির প্রকাশ আমাকে মুগ্ধতার অন্য জগতে নিয়ে গেছে। গানটির ভিডিও নিয়ে একটু বলতে চাই, এই ধরনের মিউজিক ভিডিও আমাদের দেশে একেবারেই নতুন। দেশের মিউজিক ভিডিওর অঙ্গনে এই ভিডিও ভিন্নমাত্রা এনে দেবে বলে বিশ্বাস করি।’

ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কর্ণধার ধ্রুব গুহ বলেন, ‘বাপ্পাদার এই ব্যথা গানটি প্রকাশ করতে পেরে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন আনন্দিত। আমি আশা করছি, গানটি শ্রোতাদের অনেক ভালো লাগবে।’

সম্প্রতি ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কার্যালয়ে গানটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। নতুন গান প্রকাশ উপলক্ষে বাপ্পা মজুমদারকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন গীতিকার তরুণ মুন্সী, কণ্ঠশিল্পী জুয়েল মোর্শেদ, লুৎফর হাসান, কিশোর দাসসহ সংগীতাঙ্গনের অনেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির মৃত্যু: শিল্পী-নির্মাতাদের উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
অর্ণব, চমক, সিয়াম ও পিয়া
অর্ণব, চমক, সিয়াম ও পিয়া

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।

হাদি ও তাঁর শিশুপুত্রের একটি ছবি শেয়ার করে ঢাকাই সিনেমার নায়ক সিয়াম আহমেদ লিখেছেন, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’

অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক লিখেছেন একাধিক পোস্ট। একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘নামটা মনে রেখো, শহীদ-বীর শরিফ ওসমান হাদি।’ অন্য একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘সে কোনো এমপি-মন্ত্রী ছিল না, কারও হক আত্মসাৎ করেনি, সাধারণ মানুষের উপর অন্যায় করেনি। তবুও-সামান্য কথার দায়ে, একটা জীবন এভাবে শেষ হতে পারে?’ ভিন্ন একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচনায় আসবে অগ্নিসংযোগ, কিন্তু আসার কথা ছিল হাদির কথা, তাঁর বীরত্বের কথা, খুনের বিচারের কথা। এ দেশে মানুষ মরলে, শোকও নিরাপদ থাকে না। সবকিছুই ঢেকে ফেলা হয় আগুনে, ভাঙচুরে, রাজনীতিতে। এখানে রক্তের রংও রাজনৈতিক। বরাবরই এখানে বিপ্লব বেদখল হয়। বরাবরই আমরা এখানে অসহায়।’

নির্মাতা অনন্য মামুন লিখেছেন, ‘মৃত্যুও পবিত্র সুন্দর হতে পারে, শহীদ হাদিকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না।’

অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ওসমান হাদির একটি ছবি প্রকাশ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান বিন হাদি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে থাকবেন।’

মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল হাদির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিখেছেন, ‘এটা সত্যিই খুব কষ্টের আর একেবারেই মেনে নেওয়ার মতো না। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন, আর তাঁর শোকাহত পরিবারকে, বিশেষ করে তাঁর ছোট্ট বাচ্চাকে ধৈর্য, শক্তি আর সান্ত্বনা দেন।’ গণমাধ্যম কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শোক জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এটি আমার হৃদয় ভেঙে দিচ্ছে। আগুন ভবন ধ্বংস করতে পারে, সাহস নয়।’

সংগীতশিল্পীদের অস্তিত্ব রক্ষা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে রাজনৈতিক সচেতনতার আহ্বান জানিয়ে অর্ণব লিখেছেন, ‘আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকতে হবে এবং ভোট দিতে হবে... নয়তো সংগীতশিল্পীরা বিপদে পড়ব। দেখুন ছায়ানটের সাথে কী করেছে! আমাদের পাল্টা লড়াইয়ের একমাত্র উপায় ভোট দেওয়া এবং অন্যদের ভোট দিতে উৎসাহিত করা।’

অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান লিখেছেন, ‘ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তাঁর পরিবার, তাঁর ছোট্ট বাবুটা এই শোক কাটিয়ে উঠুক। রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হোক। দেশে শান্তি ফিরে আসুক হে দয়াময়।’

নির্মাতা আশফাক নিপুন লিখেছেন, ‘ওসমান হাদি, শান্তিতে ঘুমান। আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দান করুন এবং আপনার পরিবার ও সন্তানকে শক্তি দিন। তারা হয়তো আপনাকে হত্যা করেছে কিন্তু আপনার শুরু করা লড়াই তারা থামাতে পারবে না।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির অকালমৃত্যুর প্রতিবাদের ভাষা ভাঙচুর, নৈরাজ্য হতে পারে না। এই মুহূর্তে সবার এক থাকা প্রয়োজন। দেশে বিশৃঙ্খলা যারা করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে দেশের সম্পদের আর ভবিষ্যতের বারোটা বাজায়েন না!’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশ্বনন্দিত চীনা ধারাবাহিক এবার বাংলায়

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘রহস্যময়ী’ সিরিয়ালের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘রহস্যময়ী’ সিরিয়ালের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে। প্রিন্সেস এজেন্টস এবার আসছে বাংলা ভাষায়। দীপ্ত টিভিতে ‘রহস্যময়ী’ নামে আজ ২০ ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহের শনি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট ও রাত ৮টা ৩০ মিনিটে দেখা যাবে ধারাবাহিকটি।

তিনটি অভিজাত বংশ ওয়েই, ইউয়েন আর ঝাওদের নিয়ে এগিয়ে গেছে ধারাবাহিকের গল্প। সঙ্গে যুক্ত হয় ইয়ান পরিবার এবং কয়েকটি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাদেশিক শাসনকর্তারা যেন বিদ্রোহ করতে না পারে, সে জন্য ওয়েই সম্রাট প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের একজন করে ছেলেকে নিজের কাছে এনে রাখে। মার্কুইস ডিংবেই নামে পরিচিত উত্তর ইয়ানের শাসনকর্তা ইয়ান শিচেংয়ের ছেলে প্রিন্স ইয়ান শুন সম্রাটের কাছে বড় হতে থাকে।

ইউয়েন পরিবারের দুজন উত্তরসূরি—ইউয়েন ইউয়ে ও ইউয়েন হুয়ায়। ইউয়েন ইউয়ে অত্যন্ত ধীরস্থির, সৎ এবং কোমল মানসিকতাসম্পন্ন হলেও ইউয়েন হুয়ায় বেশ নিষ্ঠুর আর চঞ্চল। সে যেভাবেই হোক ইউয়েন ইউয়েকে পথ থেকে সরিয়ে দিতে চায়। ঘটনাক্রমে ইউয়েন পরিবারে আগমন ঘটে বিখ্যাত গুপ্তচর লুহির মেয়ে চু-চিয়াওর। অতীতের কিছুই মনে করতে পারে না সে। নিজের যোগ্যতা দিয়ে সে ইউয়েন ইউয়ের ব্যক্তিগত দাসী নির্বাচিত হয়। প্রথম দেখাতেই চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় লর্ড ইউয়েন ইউয়ে। কিন্তু নিজের সামাজিক অবস্থানের জন্য বিষয়টাকে সে কোনোভাবেই প্রকাশ হতে দিতে চায় না।

অন্যদিকে মার্শাল আর্টে দক্ষতা দেখে চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। ইউয়েন, ঝাও আর ওয়েইদের মিলিত ষড়যন্ত্রে প্রিন্স ইয়ান শুনের বাবা মার্কুইস ডিংবেই এবং তার পুরো পরিবার প্রাণ হারায়। পরিবারের সঙ্গে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। কিন্তু তরুণ লর্ডরা যেভাবেই হোক ইয়ান শুনকে সরিয়ে দিতে চায়। অন্যদিকে সম্রাট চান ইয়ান শুনকে গৃহবন্দী করে উত্তর ইয়ানের ওপর নিয়ন্ত্রণ।

রহস্যময়ী ধারাবাহিকটির প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোর্শেদ সিদ্দিকী মরু, প্রযোজনা করেছেন তসলিমা তাহরিন। ধারাবাহিকটির অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন দীপ্ত টিভির নিজস্ব সংলাপ রচয়িতার দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টম ক্রুজের নতুন সিনেমা ‘ডিগার’

বিনোদন ডেস্ক
টম ক্রুজ। ছবি: সংগৃহীত
টম ক্রুজ। ছবি: সংগৃহীত

দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার। এই সাফল্য কাঁধে নিয়েই নতুন জার্নি শুরু করেছেন টম। যুক্ত হয়েছেন মেক্সিকান নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতুর ‘ডিগার’ সিনেমায়।

ইনারিতুর পরিচালনায় কাজ করতে চলেছেন টম ক্রুজ, এ খবর আগেই জানানো হয়েছিল। ১৮ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমার শিরোনাম, পোস্টার এবং ৫০ সেকেন্ডের একটি অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ওয়ার্নার ব্রস ও লিজেন্ডারি এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত ডিগার মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ২ অক্টোবর। এবার আর অ্যাকশন নয়, কমেডি চরিত্রে দেখা দেবেন টম ক্রুজ। টিজারে দেখা গেল, একটি পরিত্যক্ত ভবনের নিচতলায় বেলচা হাতে নাচতে নাচতে ঢুকলেন টম। তারপর চরিত্রটিকে দেখা গেল জাহাজে। একইভাবে বেলচা হাতে নাচতে নাচতে রেলিং ধরে হাঁটছে।

জানা গেছে, ডিগার সিনেমায় রকওয়েল নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম ক্রুজ। টিজারে আলো-আঁধারিতে যতখানি দেখা গেল, তাতে মনে হচ্ছে, সম্পূর্ণ ভিন্ন এক লুকে এ সিনেমায় হাজির হবেন তিনি। সিনেমার গল্প কী, তা জানা না গেলেও ধারণা মিলেছে, এতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র হিসেবে দেখা যাবে টমকে। মানবতার ত্রাণকর্তারূপে এক ভয়ংকর মিশনে নেমেছে রকওয়েল চরিত্রটি। ‘দ্য রেভেন্যান্ট’-এর পর ডিগার দিয়ে আবার ইংরেজি ভাষার সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন ইনারিতু। যুক্তরাজ্যে ছয় মাস ধরে হয়েছে শুটিং। এতে শুধু অভিনয় নয়, ইনারিতুর সঙ্গে যৌথভাবে সিনেমাটি প্রযোজনাও করছেন টম ক্রুজ। তিনি ছাড়া অভিনয়ে আরও আছেন সান্ড্রা হুলার, জন গুডম্যান, মাইকেল স্টুলবার্গ, জেসি প্লেমন্স, সোফি ওয়াইল্ড, রিজ আহমেদ, এমা ডি’আর্সি প্রমুখ।

আগামী ২ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হবে ডিগার সিনেমার। সেখানেই ইনারিতুর তিনটি সিনেমা ‘বারদো: ফলস ক্রনিকল অব আ হ্যান্ডফুল অব ট্রুথস’, ‘বার্ডম্যান’ এবং ‘টোয়েন্টি ওয়ান গ্রামস’ প্রদর্শিত হয়েছিল। ডিগার সিনেমাকে নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতু বর্ণনা করেছেন ‘বিপর্যয়কর মাত্রার একটি নিষ্ঠুর এবং বন্য কমেডি’ হিসেবে। তিনি বলেন, ‘এটি একই সঙ্গে ভয়ংকর, মজার ও সুন্দর। আমি জানি, দর্শক আমার কিংবা টমের কাছ থেকে কমেডি সিনেমা আশা করে না। তবে এর কাহিনিতে কমেডির সঙ্গে অনেকটা ভয়ের মিশেলও থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত