Ajker Patrika

স্মৃতিটুকু থাক

স্মৃতিটুকু থাক

কবরীর একটা দুঃখ ছিল, জীবনে একজন ভালো বন্ধু মেলেনি, ভালো স্বামীও না। সন্তানেরা যার যার মতো করে আছে। কিন্তু সঙ্গ দেওয়ার মতো ভাগ্যে একজন ভালো মানুষ ছিল না। এমন কেউ ছিল না, যাকে বলতে পারেন, ‘এসো, এক কাপ চা খাই, একটু গল্প করি।’ এটাই হয়তো মানুষের জীবন। জীবনে কত কী পেয়েছেন! কিন্তু এই আনন্দটুকু পাননি। এটা তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় আফসোস। অকপটে বিভিন্ন সময় বলেছেনও। সারা জীবন অনেক দিয়েছেন। দুঃখ ছিল কারও কাছ থেকে কিছু পাননি। অবশ্য কারও কাছ থেকে তাঁর কোনো প্রত্যাশাও ছিল না। মৃত্যু নিয়ে তাঁর স্পষ্ট ভাবনা ছিল, ‘মানুষের জীবনে অনেকগুলো দরজা থাকে। তার মধ্যে মৃত্যু হলো শেষ দরজা। মৃত্যুর কথা মনে হলে আমার চোখ জলেতে ভরে যায়।’ কবরী আর কোনো দিন ফিরে আসবেন না, সামান্য একটু কথা বলতেও নয়। সবাইকে ছেড়ে চিরকালের জন্য চলে যেতে হবে, ভাবলেই ভয় লাগে। তাই মৃত্যুর আগপর্যন্ত মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। যত দিন বাঁচব, মানুষের কাছে আপন হয়ে থাকতে চাই, মানুষের কাছাকাছি থাকতে চাই।’

অনেক যুদ্ধ করেছেন নিজের সঙ্গে নিজেই বোধ হয়! অনেক ক্লান্ত ছিলেন। অনেক বেদনাকে ছাপিয়ে আবার হাঁটতে, পথ খুঁজেছিলেন হয়তো! শিল্পীর জীবন, হাসির আড়ালে কান্না। কেউ সেটা বোঝে না। ভক্তদের রেখে ৭১ বছর বয়সে পাড়ি জমালেন অনন্তলোকে। নীল আকাশের নিচে সবাইকে রেখে তিনি চলে গেলেন নীল আকাশের ওপারে। কবরীর বইয়ের ভাষায় বলতে হয়

—‘স্মৃতিটুকু থাক’।

অভিনয়, প্রযোজনা, পরিচালনা- তাঁর সাত দশকের জীবনটা যেন আশ্চর্য সফলতার গল্প। তারপর সব ফেলে চলে যান না–ফেরার দেশে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে নির্মাতা সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ চলচ্চিত্রে অভিষেকের মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন কবরী। কাজ করেছেন শতাধিক ছবিতে। তিনি নিজেকে শুধু সেলুলয়েড বন্দী করে রাখেননি। দেশমাতৃকার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। বিশ্ববাসীর কাছে মুক্তিযুদ্ধের চিত্র তুলে ধরেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা, চাইলেই তিনি আড়ালে থাকতে পারতেন। কিন্তু তা করেননি, কলকাতার পথে পথে ঘুরেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য, সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭৫–এর পরে যখন দেশে রদবদল ঘটল, অনেকেই সুবিধাবাদী হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তিনি ছিলেন অটল, প্রতিবাদ করেছেন। যার জন্য চক্ষুশূল হয়েছিলেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবারও চলচ্চিত্রজগতে মনোনিবেশ করেন কবরী। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি পরিচালনা করেছেন, চলচ্চিত্রের জন্য গানও লিখেছেন, রাজনীতি করেছেন, হয়েছেন সংসদ সদস্য। যুক্ত ছিলেন অসংখ্য নারী অধিকার ও সমাজসেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে। কবরী নায়িকা হিসেবে একবারই পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, এরপর অনেক বছর পর আজীবন সম্মাননা। এত বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার, মুক্তিযুদ্ধে অবদান, তবু ভাগ্যে একুশে পদক জোটেনি। শুধু একুশে পদক নয়, স্বাধীনতা পুরস্কারও তাঁর প্রাপ্য।

নায়ক রাজ্জাকের সঙ্গে তাঁর জুটি এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি, এই জুটির যখন বৃহস্পতি তুঙ্গে, তখনই রাজ্জাকের একটি কথায় সিদ্ধান্ত নেন আর রাজ্জাকের সঙ্গে ছবি করবেন না, রাজ্জাক তখন সুপারস্টার, তবু এই সিদ্ধান্ত থেকে কেউ সরাতে পারেননি। একত্র করতে প্রায় ৩০ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। যখন যেটা ভালো মনে করেছেন সেটাই করেছেন, নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকেছেন। ধর্ম পরিবর্তন, একাধিক বিয়ে– এইসব নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়লেও সবগুলোই সামলে নিয়েছেন। কীভাবে মিনা পাল থেকে কবরী হলেন, কবরী থেকে বাংলা চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে হলেন—সেটা মলাটবন্দীও করেছেন তিনি। লেখক হিসেবে আত্মজীবনী লিখেছেন ‘স্মৃতিটুকু থাক’। এককথায় পরিপূর্ণ জীবন।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের প্রথম আইকনিক নায়িকা কবরীই, পেয়েছেন মিষ্টি মেয়ের খেতাব। ষাটের দশকের তরুণদের কাছে তিনি ছিলেন স্বপ্নসুন্দরী, এখনকার যুগে যেটাকে বলা হয় ক্রাশ। বাংলাদেশের পাঁচজন নায়কের অভিষেক ঘটেছিল তাঁর বিপরীতে। তাঁর বিপরীতেই অভিষেক হয় জাফর ইকবাল, ফারুক, আলমগীর, উজ্জল ও সোহেল রানার। নায়িকাদের মধ্যে এমন রেকর্ড আর কারও নেই। তবে যখন আস্তে আস্তে অনিয়মিত হয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে, তখন ‘আয়না’ ছবি পরিচালনা করে পরিচালক হিসেবে হাজির হন তিনি। এক জীবনে প্রযোজনা করেছেন মোট তিনটি ছবি—বলাকা মন, শীত বসন্ত ও গুন্ডা। আর ছবি পরিচালনা করেছেন তিনটি। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘একাত্তরের মিছিল’ ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আয়না’ মুক্তি পেয়েছে। এই করোনাকালেও তিনি যুক্ত ছিলেন তাঁর পরিচালিত সর্বশেষ সিনেমা ‘এই তুমি সেই তুমি’ নিয়ে। শেষ করেছেন শুটিংও। তবে মুক্তি দেখে যেতে পারলেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাক্ষস সিনেমায় অভিনয়ের গুঞ্জন নাকচ করলেন ইধিকা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪২
ইধিকা পাল ছবি : সংগৃহীত
ইধিকা পাল ছবি : সংগৃহীত

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।

আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।

এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।

এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রকাশিত হলো শিরোনামহীনের ‘এই অবেলায় ২’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘এই অবেলায় ২’ ও ‘রিমেম্বার মি’ গানের পোস্টার
‘এই অবেলায় ২’ ও ‘রিমেম্বার মি’ গানের পোস্টার

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।

‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।

২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।

শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপে সোনার বাংলা সার্কাস

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।

সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই আয়োজন। শুরুতে থাকবে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনা, যেখানে শিল্পীরা রাশিয়ান সংস্কৃতির সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এরপর গান শোনাবে সোনার বাংলা সার্কাস। এ ছাড়া থাকবে আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন।

এই বিশেষ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে রাশিয়ার জনকূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস—দুটি ঐতিহাসিক মাইলফলককে, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আয়োজকেরা বলছেন, এ অনুষ্ঠান শুধুই একটি কনসার্ট নয়, এটি সংস্কৃতি, বন্ধুত্ব ও একতার উৎসব, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করবে।

রাশিয়ান হাউস, ঢাকার সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে জাম্পস্টার্ট ইনক, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘মিশন: ইম্পসিবল’সহ এসেছে যেসব সিনেমা-সিরিজ

বিনোদন ডেস্ক
‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ সিনেমার দৃশ্য ছবি: সংগৃহীত
‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ সিনেমার দৃশ্য ছবি: সংগৃহীত

অন্তরাত্মা (বাংলা সিনেমা)

  • অভিনয়: শাকিব খান, দর্শনা বণিক
  • মুক্তি: আইস্ক্রিন (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: ছোটবেলায় প্রথমের (শাকিব) মা-বাবা খুন হয় সন্ত্রাসীদের হাতে। বড় হয়ে প্রথম হয়ে ওঠে সন্ত্রাসীদের আতঙ্ক। কিছুরই অভাব নেই তার। তবে সে খুব একা। তার সঙ্গে দেখা হয় রূপকথার (দর্শনা)। তার প্রেমে পড়ে প্রথম। বিয়েও করে। তবু তার জীবনে স্থিরতা আসে না।

বিহান (রাজবংশী ভাষার সিনেমা)

  • অভিনয়: তুষার চৌধুরী, মিরান্দা দাস, সুধির রায়
  • মুক্তি: বঙ্গ (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: উত্তরবঙ্গের এক নিভৃত গ্রামে কানাই আর কোয়েলের নিষ্পাপ প্রেমের গল্প বিহান। ক্রাউড ফান্ডে সিনেমাটি বানিয়েছেন সৌরভ সাহা।

মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং (ইংরেজি সিনেমা)

  • অভিনয়: টম ক্রুজ, হেইলি অ্যাটওয়েল, ভিং র‍্যামস
  • মুক্তি: প্রাইম ভিডিও (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং দিয়ে শেষ হলো ইথান হান্টের যাত্রা। এ পর্বের পর আর এই চরিত্রে দেখা যাবে না টম ক্রুজকে। ১৯৯৬ সালে মিশন ইম্পসিবলের সঙ্গে যে জার্নি শুরু হয়েছিল টমের, ২০২৫ সালে দ্য ফাইনাল রেকনিং দিয়ে শেষ হলো সেই সফর। এ সিনেমায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাত থেকে মানবজাতিকে রক্ষার জন্য লড়াই করে ইথান হান্ট ও তার টিম।

জে কেলি (ইংরেজি সিনেমা)

  • অভিনয়: জর্জ ক্লুনি, অ্যাডাম স্যান্ডলার
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (৫ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: এক জনপ্রিয় অভিনেতা (ক্লুনি) এবং তার ম্যানেজারের (স্যান্ডলার) মধ্যকার বন্ধুত্বের গল্প। কয়েক দশক ধরে ক্যারিয়ারকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার পর জীবন নিয়ে নতুন উপলব্ধি হয় অভিনেতার। মেয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য ইউরোপের উদ্দেশে রওনা হয়। সঙ্গী হয় ম্যানেজার। এই যাত্রা অভিনেতাকে যেন নতুন জীবন দেয়।

দ্য বিলিভারস ২ (থাই সিরিজ)

  • অভিনয়: তিরাদন সুপাপুনপিনিও, পাচারা চিরাথিভাত, আচিয়ারা
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: থাইল্যান্ডের এই ক্রাইম সিরিজের দ্বিতীয় পর্বেও তিন উদ্যোক্তার ব্যবসায়িক উদ্যোগের গল্প দেখা যাবে। একটি বৌদ্ধ মন্দির পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা করে তারা। দুর্নীতিগ্রস্ত স্থানীয় রাজনীতি তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তৈরি হয় দ্বন্দ্ব, বিশৃঙ্খলা।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত