
আজ (১৮ মার্চ) বিশ্ব ঘুম দিবস। সুস্থ থাকার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ঘুম যেমন জরুরি। তেমনি শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাপ্তবয়স্করা সাধারণত একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস গড়তে পারেন। সেটি দিনে বা রাতের যেকোনো সময়ে হতে পারে।
কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে সমস্যা হলো—এরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের প্যাটার্ন ও অভ্যাস পরিবর্তন হয়। ফলে মা বা যিনি শিশুর যত্ন নেওয়ার দায়িত্বে থাকেন, তাঁর নিজেকেও সে অনুযায়ী প্রস্তুত করতে হয়, অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হয়। আপনার সোনামণির প্রথম বছরের রাতের রুটিনের সঙ্গে নিজেকে গুছিয়ে নিতে নিচের গাইডলাইনটি অনুসরণ করতে পারেন।
নবজাতকের ঘুমানোর অভ্যাস
নবজাতক এই সময়টাতে দিন এবং রাতের মধ্যে কোনো পার্থক্য বোঝে না। ২৪ ঘণ্টার বেশির ভাগ সময়ই সে বেঘোরে ঘুমায়। যেহেতু ঘুম তাদের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সুতরাং দিনরাত তার ঘুমের রুটিনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিন। তার ঘুম ও বিশ্রামের জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া নিশ্চিত করুন।
কিছু শিশু আবার শরীরে মৃদু চেপে থাকা নরম পোশাক পছন্দ করে। বিশেষ করে শীতের সময় এটা খেয়াল করুন। বেশি গরমকালে কাপড়ের কারণে যাতে ঘেমে না যায়। তাহলে ঠান্ডা বসে গিয়ে সর্দি-কাশি এমনকি নিউমোনিয়া বেঁধে যেতে পারে।
নবজাতকদের সাধারণত দিনে ১৬ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। রাতে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা এবং দিনে ৮ ঘণ্টা—এভাবে ঘুমাতে পারে তারা।
৩ মাসের শিশুর ঘুমের অভ্যাস
এই পর্যায়ে শিশুরা খাওয়ার পরে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে না। তবে অবশ্যই ঘুমের জন্য পরিবেশ প্রস্তুত করতে হবে। শিশুকে ঘুম পাড়ানোর সময় চারদিকে ঘেরাও দেওয়া দোলনা বা বিছানায় রাখা ভালো। তাকে এভাবে বিছানা বা দোলনায় ঘুমানোর অভ্যাস করতে ঘুমপাড়ানি গান গাইতে পারেন বা কাছাকাছি শুধু দাঁড়িয়ে, শুয়ে বা বসে থাকুন।
তিন মাসের শিশুর সাধারণত প্রায় ১৫ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। রাতে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা এবং দিনের বেলা ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ঘুমাতে পারে।
এই সময়টাতে শিশুর ঘুমের অভ্যাস ঠিক করার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ একটা রুটিন বেঁধে তার দেহঘড়ি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করুন। রাত নামলেই তাকে বোঝানোর জন্য চেষ্টা করুন। ঘরের আলো কমিয়ে দিন। পরিবারের অন্য লোকদের জোরে কথা বলতে বারণ করুন।
প্রতি রাতে নির্দিষ্ট সময়ে তাকে ঘুমানোরা চেষ্টা করুন। কুসুম গরম পানিতে গোসল, উষ্ণ খাবার, ডায়াপার পরিবর্তন করে এরপর ঘুমানোর ব্যবস্থা করুন। এতে ভালো ঘুম হবে। শিশুকে ঘুমপাড়ানি গান শোনান, কপালে চুমু দিন। আমাদের দেশের শিশুরা সাধারণত মায়ের কাছেই ঘুমায়। আবার কিছু শিশু কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমাতেও পছন্দ করে।
৬ মাসের শিশুর ঘুমের অভ্যাস
বিকাশের এই পর্যায়ে রাতের বেলা শিশুকে না খাওয়ানোই ভালো। ঘুমের মধ্যে খাওয়ালে বারবার ডায়াপার ভিজিয়ে ফেলতে পারে। এতে মাঝপথে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। অর্থাৎ সারা রাত ঘুমানোর মতো যথেষ্ট বিরতি দিয়ে শিশুকে খেতে দেওয়া উচিত।
ঘুমের মধ্যে শিশু গভীর ঘুম থেকে হালকা বা প্রায় চেতন—এমন অবস্থার মধ্যে থাকবে। তাকে একা একা বিষয়টা হ্যান্ডল করতে দিন। অর্থাৎ অর্ধচেতন থেকে একা একা আবার গভীর ঘুমে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
আপনার ছয় মাসের শিশুর সাধারণত প্রায় ১৪ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। এর মধ্যে রাতে ১০ ঘণ্টা এবং দিনের বেলা ৪ ঘণ্টা দরকার।
রাতে শিশুর কান্নার মানে কিন্তু এই নয় যে সে পুরোপুরি জেগে আছে। আপনি তার কান্নার আওয়াজের দিকে মনোযোগ দিন, তাহলে ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন সে ব্যথা পাচ্ছে বা ভয় পাচ্ছে কি না। যদি এমনটি মনে হয়, তাহলে প্রশান্তিমূলক (যেমন: শ…. শ….) শব্দ বা হালকা ম্যাসাজ দিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করুন। তাকে বিছানা থেকে তুলে নেবেন না। দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যেই সে ঘুমাতে যাবে। কান্না দীর্ঘ না হলে আপনি আবার নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যেতে পারেন।
এক বছরের শিশুর ঘুমের অভ্যাস
এই বয়সী একটা শিশুর জন্য ঘুমাতে যাওয়া মানে পার্টি মিস করা! বাবা-মা ভাই-বোন স্বজনদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া। এ কারণে ঘুমের সময় যতই এগিয়ে আসবে, ততই তার স্বাধীন হওয়ার অভ্যাস বা লক্ষণগুলো অদৃশ্য হয়ে যেতে থাকবে। যেমন, যে শিশু দিনের বেলায় দুধ বা স্যুপ খায় কাপ বা গ্লাসে করে, সে রাতের বেলা (ঘুমানোর সময় হলে) বোতল (ফিডার) চাইতে পারে।
শিশুকে শান্ত রাখতে এবং তাকে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত করতে রুটিন মেনে কিছু কাজ করুন। এই সময়টাতে সবকিছু একটু ধীরগতির করে ফেলুন। খুব মজার বা উত্তেজনাকর কিছু করা থেকে বিরত থাকুন। ঘুমপাড়ানির গল্প বলা সবচেয়ে ভালো কৌশল।
ঘুমানোর সময় তাকে একটু বেশি আদর দিন। কোলে নিয়ে মৃদু দোলাতে থাকুন। আদুরে কথা বলুন। এভাবে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে এটি ঘুমানোর সময়।
আপনার এক বছর বয়সী শিশুর সাধারণত প্রায় ১৪ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। রাতে ১১ ঘণ্টা এবং দিনে ৩ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
জেনে রাখা ভালো
শিশুদের আপনার বিছানায় ঘুমাতে দেওয়া বা টেলিভিশন চলে এমন কক্ষে ঘুমিয়ে রাখা ভালো নয়। শিশুর নিজের বিছানায় একা ঘুমাতে অভ্যস্ত করা সবচেয়ে ভালো। তবে অবশ্যই শিশুর বিছানার কাছাকাছি থাকুন।
সূত্র: প্যারেন্টস ম্যাগাজিন

আজ (১৮ মার্চ) বিশ্ব ঘুম দিবস। সুস্থ থাকার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ঘুম যেমন জরুরি। তেমনি শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাপ্তবয়স্করা সাধারণত একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস গড়তে পারেন। সেটি দিনে বা রাতের যেকোনো সময়ে হতে পারে।
কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে সমস্যা হলো—এরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের প্যাটার্ন ও অভ্যাস পরিবর্তন হয়। ফলে মা বা যিনি শিশুর যত্ন নেওয়ার দায়িত্বে থাকেন, তাঁর নিজেকেও সে অনুযায়ী প্রস্তুত করতে হয়, অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হয়। আপনার সোনামণির প্রথম বছরের রাতের রুটিনের সঙ্গে নিজেকে গুছিয়ে নিতে নিচের গাইডলাইনটি অনুসরণ করতে পারেন।
নবজাতকের ঘুমানোর অভ্যাস
নবজাতক এই সময়টাতে দিন এবং রাতের মধ্যে কোনো পার্থক্য বোঝে না। ২৪ ঘণ্টার বেশির ভাগ সময়ই সে বেঘোরে ঘুমায়। যেহেতু ঘুম তাদের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সুতরাং দিনরাত তার ঘুমের রুটিনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিন। তার ঘুম ও বিশ্রামের জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া নিশ্চিত করুন।
কিছু শিশু আবার শরীরে মৃদু চেপে থাকা নরম পোশাক পছন্দ করে। বিশেষ করে শীতের সময় এটা খেয়াল করুন। বেশি গরমকালে কাপড়ের কারণে যাতে ঘেমে না যায়। তাহলে ঠান্ডা বসে গিয়ে সর্দি-কাশি এমনকি নিউমোনিয়া বেঁধে যেতে পারে।
নবজাতকদের সাধারণত দিনে ১৬ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। রাতে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা এবং দিনে ৮ ঘণ্টা—এভাবে ঘুমাতে পারে তারা।
৩ মাসের শিশুর ঘুমের অভ্যাস
এই পর্যায়ে শিশুরা খাওয়ার পরে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে না। তবে অবশ্যই ঘুমের জন্য পরিবেশ প্রস্তুত করতে হবে। শিশুকে ঘুম পাড়ানোর সময় চারদিকে ঘেরাও দেওয়া দোলনা বা বিছানায় রাখা ভালো। তাকে এভাবে বিছানা বা দোলনায় ঘুমানোর অভ্যাস করতে ঘুমপাড়ানি গান গাইতে পারেন বা কাছাকাছি শুধু দাঁড়িয়ে, শুয়ে বা বসে থাকুন।
তিন মাসের শিশুর সাধারণত প্রায় ১৫ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। রাতে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা এবং দিনের বেলা ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ঘুমাতে পারে।
এই সময়টাতে শিশুর ঘুমের অভ্যাস ঠিক করার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ একটা রুটিন বেঁধে তার দেহঘড়ি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করুন। রাত নামলেই তাকে বোঝানোর জন্য চেষ্টা করুন। ঘরের আলো কমিয়ে দিন। পরিবারের অন্য লোকদের জোরে কথা বলতে বারণ করুন।
প্রতি রাতে নির্দিষ্ট সময়ে তাকে ঘুমানোরা চেষ্টা করুন। কুসুম গরম পানিতে গোসল, উষ্ণ খাবার, ডায়াপার পরিবর্তন করে এরপর ঘুমানোর ব্যবস্থা করুন। এতে ভালো ঘুম হবে। শিশুকে ঘুমপাড়ানি গান শোনান, কপালে চুমু দিন। আমাদের দেশের শিশুরা সাধারণত মায়ের কাছেই ঘুমায়। আবার কিছু শিশু কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমাতেও পছন্দ করে।
৬ মাসের শিশুর ঘুমের অভ্যাস
বিকাশের এই পর্যায়ে রাতের বেলা শিশুকে না খাওয়ানোই ভালো। ঘুমের মধ্যে খাওয়ালে বারবার ডায়াপার ভিজিয়ে ফেলতে পারে। এতে মাঝপথে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। অর্থাৎ সারা রাত ঘুমানোর মতো যথেষ্ট বিরতি দিয়ে শিশুকে খেতে দেওয়া উচিত।
ঘুমের মধ্যে শিশু গভীর ঘুম থেকে হালকা বা প্রায় চেতন—এমন অবস্থার মধ্যে থাকবে। তাকে একা একা বিষয়টা হ্যান্ডল করতে দিন। অর্থাৎ অর্ধচেতন থেকে একা একা আবার গভীর ঘুমে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
আপনার ছয় মাসের শিশুর সাধারণত প্রায় ১৪ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। এর মধ্যে রাতে ১০ ঘণ্টা এবং দিনের বেলা ৪ ঘণ্টা দরকার।
রাতে শিশুর কান্নার মানে কিন্তু এই নয় যে সে পুরোপুরি জেগে আছে। আপনি তার কান্নার আওয়াজের দিকে মনোযোগ দিন, তাহলে ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন সে ব্যথা পাচ্ছে বা ভয় পাচ্ছে কি না। যদি এমনটি মনে হয়, তাহলে প্রশান্তিমূলক (যেমন: শ…. শ….) শব্দ বা হালকা ম্যাসাজ দিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করুন। তাকে বিছানা থেকে তুলে নেবেন না। দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যেই সে ঘুমাতে যাবে। কান্না দীর্ঘ না হলে আপনি আবার নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যেতে পারেন।
এক বছরের শিশুর ঘুমের অভ্যাস
এই বয়সী একটা শিশুর জন্য ঘুমাতে যাওয়া মানে পার্টি মিস করা! বাবা-মা ভাই-বোন স্বজনদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া। এ কারণে ঘুমের সময় যতই এগিয়ে আসবে, ততই তার স্বাধীন হওয়ার অভ্যাস বা লক্ষণগুলো অদৃশ্য হয়ে যেতে থাকবে। যেমন, যে শিশু দিনের বেলায় দুধ বা স্যুপ খায় কাপ বা গ্লাসে করে, সে রাতের বেলা (ঘুমানোর সময় হলে) বোতল (ফিডার) চাইতে পারে।
শিশুকে শান্ত রাখতে এবং তাকে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত করতে রুটিন মেনে কিছু কাজ করুন। এই সময়টাতে সবকিছু একটু ধীরগতির করে ফেলুন। খুব মজার বা উত্তেজনাকর কিছু করা থেকে বিরত থাকুন। ঘুমপাড়ানির গল্প বলা সবচেয়ে ভালো কৌশল।
ঘুমানোর সময় তাকে একটু বেশি আদর দিন। কোলে নিয়ে মৃদু দোলাতে থাকুন। আদুরে কথা বলুন। এভাবে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে এটি ঘুমানোর সময়।
আপনার এক বছর বয়সী শিশুর সাধারণত প্রায় ১৪ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। রাতে ১১ ঘণ্টা এবং দিনে ৩ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
জেনে রাখা ভালো
শিশুদের আপনার বিছানায় ঘুমাতে দেওয়া বা টেলিভিশন চলে এমন কক্ষে ঘুমিয়ে রাখা ভালো নয়। শিশুর নিজের বিছানায় একা ঘুমাতে অভ্যস্ত করা সবচেয়ে ভালো। তবে অবশ্যই শিশুর বিছানার কাছাকাছি থাকুন।
সূত্র: প্যারেন্টস ম্যাগাজিন

ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১২ মিনিট আগে
দীর্ঘদিনের শুকনো কাশি একটি বিরক্তিকর সমস্যা। অনেক সময় সাধারণ সর্দি-জ্বরের পরেও সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা কখনো মাসের পর মাস স্থায়ী হতে পারে এ ধরনের কাশি। ফলে দৈনন্দিন কাজে অস্বস্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, মানসিক চাপ ও কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়।
২৬ মিনিট আগে
ঠান্ডার সময় ব্যায়াম শুরুর আগে অনেকে তা নিষেধ করেন। কারণ, ঠান্ডা আবহাওয়া হাঁপানি উদ্রেককারী হিসেবে ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া বায়ুদূষণের কারণেও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে। তবে কিছু সতর্কতা মেনে ব্যায়াম করা যেতে পারে।
৩৮ মিনিট আগে
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন পড়তে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। অ্যামক্সিসিলিন নাকি অন্য কিছু—চিকিৎসকের সেই দুর্বোধ্য হাতের লেখা অনেক সময় রোগী ও ফার্মাসিস্টদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবার সেই চিরাচরিত সমস্যার সমাধানে ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি) দেশব্যাপী...
২ দিন আগেফিচার ডেস্ক

ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার এমন এক সমস্যা, যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে অবচেতন অবস্থায় রান্নাঘরে চলে যায় এবং খাবার খেতে শুরু করে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, পরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তার এই ঘটনা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র স্মৃতি থাকে না। সাধারণত এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায় প্রতি রাতেই এমনটা করে। এক রাতে একাধিকবারও ঘুমের ঘোরে খাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।
খাদ্যাভ্যাসের বিচিত্র রূপ
এই অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির খাওয়ার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত ঘুমের ঘোরে খাওয়ার সময় তিন ধরনের ঘটনা ঘটে।
উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া: আক্রান্ত হওয়া মানুষ সাধারণত ক্যান্ডি, চিপস অথবা কেকের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে।
অস্বাভাবিক সংমিশ্রণের খাবার খাওয়া: অনেক সময় তারা অত্যন্ত অদ্ভুত ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের সংমিশ্রণ তৈরি করে। যেমন সিগারেটে মাখন মাখিয়ে খাওয়া কিংবা অন্য কোনো অখাদ্য বস্তু খাওয়া।
দ্রুততম সময়ে খাবার খাওয়া: বিছানা থেকে রান্নাঘর হয়ে পুনরায় বিছানায় ফিরে আসার পুরো প্রক্রিয়াটি মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ হতে পারে। ফলে তারা খুব দ্রুত খাবার খেয়ে ফেলে।
ঝুঁকি ও স্বাস্থ্যগত প্রভাব
এসআরইডির প্রভাব কেবল ঘুমের ব্যাঘাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি দীর্ঘ মেয়াদে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এসব প্রভাবের মধ্যে আছে—
কেন এমন হয়
এসআরইডির নির্দিষ্ট কোনো একক কারণ না থাকলেও বেশ কিছু বিষয় লক্ষণীয়। যেমন—
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: বিষণ্নতা বা ঘুমের সমস্যার জন্য ব্যবহৃত কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের প্রভাবে এটি হতে পারে।
অন্যান্য রোগ: রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম বা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো সমস্যা এর পেছনে থাকতে পারে।
জীবনযাত্রা: অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অনিয়মিত ঘুম এবং অ্যালকোহল অথবা মাদক ত্যাগের পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা
এই রহস্যময় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসা জরুরি। এর প্রতিকারে যা করা যেতে পারে—
সূত্র: সিএনএন হেলথ, এএসএসএম

ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার এমন এক সমস্যা, যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে অবচেতন অবস্থায় রান্নাঘরে চলে যায় এবং খাবার খেতে শুরু করে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, পরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তার এই ঘটনা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র স্মৃতি থাকে না। সাধারণত এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায় প্রতি রাতেই এমনটা করে। এক রাতে একাধিকবারও ঘুমের ঘোরে খাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।
খাদ্যাভ্যাসের বিচিত্র রূপ
এই অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির খাওয়ার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত ঘুমের ঘোরে খাওয়ার সময় তিন ধরনের ঘটনা ঘটে।
উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া: আক্রান্ত হওয়া মানুষ সাধারণত ক্যান্ডি, চিপস অথবা কেকের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে।
অস্বাভাবিক সংমিশ্রণের খাবার খাওয়া: অনেক সময় তারা অত্যন্ত অদ্ভুত ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের সংমিশ্রণ তৈরি করে। যেমন সিগারেটে মাখন মাখিয়ে খাওয়া কিংবা অন্য কোনো অখাদ্য বস্তু খাওয়া।
দ্রুততম সময়ে খাবার খাওয়া: বিছানা থেকে রান্নাঘর হয়ে পুনরায় বিছানায় ফিরে আসার পুরো প্রক্রিয়াটি মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ হতে পারে। ফলে তারা খুব দ্রুত খাবার খেয়ে ফেলে।
ঝুঁকি ও স্বাস্থ্যগত প্রভাব
এসআরইডির প্রভাব কেবল ঘুমের ব্যাঘাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি দীর্ঘ মেয়াদে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এসব প্রভাবের মধ্যে আছে—
কেন এমন হয়
এসআরইডির নির্দিষ্ট কোনো একক কারণ না থাকলেও বেশ কিছু বিষয় লক্ষণীয়। যেমন—
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: বিষণ্নতা বা ঘুমের সমস্যার জন্য ব্যবহৃত কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের প্রভাবে এটি হতে পারে।
অন্যান্য রোগ: রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম বা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো সমস্যা এর পেছনে থাকতে পারে।
জীবনযাত্রা: অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অনিয়মিত ঘুম এবং অ্যালকোহল অথবা মাদক ত্যাগের পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা
এই রহস্যময় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসা জরুরি। এর প্রতিকারে যা করা যেতে পারে—
সূত্র: সিএনএন হেলথ, এএসএসএম

নবজাতক এ সময়টাতে দিন এবং রাতের মধ্যে কোনো পার্থক্য বোঝে না। ২৪ ঘণ্টার বেশিরভাগ সময়ই সে বেঘোরে ঘুমায়। যেহেতু ঘুম তাদের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সুতরাং দিনরাত তার ঘুমের রুটিনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিন। তার ঘুম ও বিশ্রামের জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া নিশ্চিত করুন।
১৮ মার্চ ২০২২
দীর্ঘদিনের শুকনো কাশি একটি বিরক্তিকর সমস্যা। অনেক সময় সাধারণ সর্দি-জ্বরের পরেও সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা কখনো মাসের পর মাস স্থায়ী হতে পারে এ ধরনের কাশি। ফলে দৈনন্দিন কাজে অস্বস্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, মানসিক চাপ ও কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়।
২৬ মিনিট আগে
ঠান্ডার সময় ব্যায়াম শুরুর আগে অনেকে তা নিষেধ করেন। কারণ, ঠান্ডা আবহাওয়া হাঁপানি উদ্রেককারী হিসেবে ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া বায়ুদূষণের কারণেও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে। তবে কিছু সতর্কতা মেনে ব্যায়াম করা যেতে পারে।
৩৮ মিনিট আগে
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন পড়তে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। অ্যামক্সিসিলিন নাকি অন্য কিছু—চিকিৎসকের সেই দুর্বোধ্য হাতের লেখা অনেক সময় রোগী ও ফার্মাসিস্টদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবার সেই চিরাচরিত সমস্যার সমাধানে ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি) দেশব্যাপী...
২ দিন আগেডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী

দীর্ঘদিনের শুকনো কাশি একটি বিরক্তিকর সমস্যা। অনেক সময় সাধারণ সর্দি-জ্বরের পরেও সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা কখনো মাসের পর মাস স্থায়ী হতে পারে এ ধরনের কাশি। ফলে দৈনন্দিন কাজে অস্বস্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, মানসিক চাপ ও কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়। কাশি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার পেছনে নির্দিষ্ট এবং চিকিৎসাযোগ্য ছয়টি কারণ থাকে।
কফ ভ্যারিয়েন্ট অ্যাজমা
অ্যাজমার একটি বিশেষ ধরন এটি। এতে সাধারণ অ্যাজমার মতো শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ বা সাঁ সাঁ শব্দ না-ও থাকতে পারে; বরং অবিরাম শুকনো কাশিই এর প্রধান এবং অন্যতম উপসর্গ হয়ে দেখা দেয়। এই ধরনের কাশি সাধারণত রাতে বেশি হয় এবং ধুলাবালি, ঠান্ডা বাতাস, ঘরবাড়ির অ্যালার্জেন, এমনকি ঋতু পরিবর্তনের সময় শীতের শুরুতেও উপসর্গ তীব্র হয়ে উঠতে পারে।
উপসর্গ বারবার দেখা দিলে চিকিৎসক শ্বাসক্রিয়া পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ণয় করতে পারেন। স্পাইরোমেট্রি ফুসফুসের ক্ষমতা এবং বায়ুপ্রবাহ পরিমাপ করে, যা হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) মতো অবস্থা নির্ণয় করতে সাহায্য করতে পারে। প্রয়োজন হলে রোগ নিয়ন্ত্রণে উপযোগী ইনহেলার সাময়িক ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়। সঠিক সময়ে এ রোগ শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ করা গেলে দীর্ঘ মেয়াদে জটিলতার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
পোস্টন্যাসাল ড্রিপ
নাক কিংবা সাইনাসে অতিরিক্ত মিউকাস তৈরি হলে তা ধীরে ধীরে গলার পেছন দিকে গড়িয়ে যায়। এই মিউকাস গলার সংবেদনশীল নার্ভগুলো উত্তেজিত করে। ফলে শুকনো ও বিরক্তিকর কাশি হয়। শোয়ার সময় মিউকাস গলায় জমে বলে এটি রাত ও ভোরে বেশি হয়। তবে ঘুম থেকে ওঠার পরও কাশি দেখা যায়। অ্যালার্জিজনিত হাঁচি-সর্দি, সাইনোসাইটিস, নাকের হাড় বাঁকা হওয়ার সমস্যা, নাক বন্ধ বা ধুলাবালিতে সংবেদনশীলতা যাঁদের আছে, তাঁদের এই সমস্যা বেশি হয়। দীর্ঘস্থায়ী শুকনো কাশির অন্যতম প্রচলিত উৎস এই পোস্টন্যাসাল ড্রিপ।
জিইআরডি
পাকস্থলীর অ্যাসিড ওপরের দিকে উঠে এলে টক ঢেকুর, বুকজ্বালা, গলায় জ্বালাপোড়া এবং সঙ্গে ধারাবাহিক কাশি দেখা দিতে পারে। মসলাদার খাবার, ভাজাপোড়া, চকলেট, কফি, টক খাবার—এসব জিইআরডি বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান বা অতিরিক্ত খাবার খাওয়াও ঝুঁকির মাত্রা বাড়ায়। জিইআরডি নিয়ন্ত্রণে আনলে অনেক ক্ষেত্রে কাশি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
ভাইরাল সংক্রমণের পর দীর্ঘস্থায়ী কাশি
অনেক সময় সর্দি-জ্বরের উপসর্গ সেরে গেলেও শ্বাসনালি কিছুদিন অতি সংবেদনশীল থাকে। এর ফলে কাশি স্থায়ী হতে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। সাধারণত বিশেষ চিকিৎসা ছাড়াই ধীরে ধীরে এর উপসর্গ কমে আসে। হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা এবং আদা, লেবু, মধু, লবঙ্গ বা দারুচিনিযুক্ত গরম চা উপসর্গ কমাতে সহায়তা করে।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এসিই ইনহিবিটর শ্রেণির ওষুধ অনেক রোগীর ক্ষেত্রে শুকনো কাশির কারণ হতে পারে। নিয়মিত কাশির কারণ খুঁজেনা পেলে ওষুধের ইতিহাস পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে চিকিৎসক বিকল্প ওষুধ বেছে নেন।
ধূমপান
দীর্ঘদিন ধূমপান, বিশেষত প্রতিদিন ২০টি সিগারেট বা ২০ বছর অথবা তার বেশি সময় ধরে ধূমপান ক্রনিক ব্রংকাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এতে বছরের বিভিন্ন সময়ে ক্রনিক কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে এটি গুরুতর অবস্থায় রূপ নিতে পারে। ধূমপান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণের মূল উপায়।
দীর্ঘস্থায়ী বা অবিরাম কাশি সব সময় গুরুতর রোগের লক্ষণ না হলেও উপেক্ষা করা উচিত নয়। উপসর্গ যদি কয়েক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে কারণ নির্ণয় করার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সহকারী অধ্যাপক (ইএনটি), সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

দীর্ঘদিনের শুকনো কাশি একটি বিরক্তিকর সমস্যা। অনেক সময় সাধারণ সর্দি-জ্বরের পরেও সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা কখনো মাসের পর মাস স্থায়ী হতে পারে এ ধরনের কাশি। ফলে দৈনন্দিন কাজে অস্বস্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, মানসিক চাপ ও কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়। কাশি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার পেছনে নির্দিষ্ট এবং চিকিৎসাযোগ্য ছয়টি কারণ থাকে।
কফ ভ্যারিয়েন্ট অ্যাজমা
অ্যাজমার একটি বিশেষ ধরন এটি। এতে সাধারণ অ্যাজমার মতো শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ বা সাঁ সাঁ শব্দ না-ও থাকতে পারে; বরং অবিরাম শুকনো কাশিই এর প্রধান এবং অন্যতম উপসর্গ হয়ে দেখা দেয়। এই ধরনের কাশি সাধারণত রাতে বেশি হয় এবং ধুলাবালি, ঠান্ডা বাতাস, ঘরবাড়ির অ্যালার্জেন, এমনকি ঋতু পরিবর্তনের সময় শীতের শুরুতেও উপসর্গ তীব্র হয়ে উঠতে পারে।
উপসর্গ বারবার দেখা দিলে চিকিৎসক শ্বাসক্রিয়া পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ণয় করতে পারেন। স্পাইরোমেট্রি ফুসফুসের ক্ষমতা এবং বায়ুপ্রবাহ পরিমাপ করে, যা হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) মতো অবস্থা নির্ণয় করতে সাহায্য করতে পারে। প্রয়োজন হলে রোগ নিয়ন্ত্রণে উপযোগী ইনহেলার সাময়িক ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়। সঠিক সময়ে এ রোগ শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ করা গেলে দীর্ঘ মেয়াদে জটিলতার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
পোস্টন্যাসাল ড্রিপ
নাক কিংবা সাইনাসে অতিরিক্ত মিউকাস তৈরি হলে তা ধীরে ধীরে গলার পেছন দিকে গড়িয়ে যায়। এই মিউকাস গলার সংবেদনশীল নার্ভগুলো উত্তেজিত করে। ফলে শুকনো ও বিরক্তিকর কাশি হয়। শোয়ার সময় মিউকাস গলায় জমে বলে এটি রাত ও ভোরে বেশি হয়। তবে ঘুম থেকে ওঠার পরও কাশি দেখা যায়। অ্যালার্জিজনিত হাঁচি-সর্দি, সাইনোসাইটিস, নাকের হাড় বাঁকা হওয়ার সমস্যা, নাক বন্ধ বা ধুলাবালিতে সংবেদনশীলতা যাঁদের আছে, তাঁদের এই সমস্যা বেশি হয়। দীর্ঘস্থায়ী শুকনো কাশির অন্যতম প্রচলিত উৎস এই পোস্টন্যাসাল ড্রিপ।
জিইআরডি
পাকস্থলীর অ্যাসিড ওপরের দিকে উঠে এলে টক ঢেকুর, বুকজ্বালা, গলায় জ্বালাপোড়া এবং সঙ্গে ধারাবাহিক কাশি দেখা দিতে পারে। মসলাদার খাবার, ভাজাপোড়া, চকলেট, কফি, টক খাবার—এসব জিইআরডি বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান বা অতিরিক্ত খাবার খাওয়াও ঝুঁকির মাত্রা বাড়ায়। জিইআরডি নিয়ন্ত্রণে আনলে অনেক ক্ষেত্রে কাশি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
ভাইরাল সংক্রমণের পর দীর্ঘস্থায়ী কাশি
অনেক সময় সর্দি-জ্বরের উপসর্গ সেরে গেলেও শ্বাসনালি কিছুদিন অতি সংবেদনশীল থাকে। এর ফলে কাশি স্থায়ী হতে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। সাধারণত বিশেষ চিকিৎসা ছাড়াই ধীরে ধীরে এর উপসর্গ কমে আসে। হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা এবং আদা, লেবু, মধু, লবঙ্গ বা দারুচিনিযুক্ত গরম চা উপসর্গ কমাতে সহায়তা করে।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এসিই ইনহিবিটর শ্রেণির ওষুধ অনেক রোগীর ক্ষেত্রে শুকনো কাশির কারণ হতে পারে। নিয়মিত কাশির কারণ খুঁজেনা পেলে ওষুধের ইতিহাস পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে চিকিৎসক বিকল্প ওষুধ বেছে নেন।
ধূমপান
দীর্ঘদিন ধূমপান, বিশেষত প্রতিদিন ২০টি সিগারেট বা ২০ বছর অথবা তার বেশি সময় ধরে ধূমপান ক্রনিক ব্রংকাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এতে বছরের বিভিন্ন সময়ে ক্রনিক কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে এটি গুরুতর অবস্থায় রূপ নিতে পারে। ধূমপান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণের মূল উপায়।
দীর্ঘস্থায়ী বা অবিরাম কাশি সব সময় গুরুতর রোগের লক্ষণ না হলেও উপেক্ষা করা উচিত নয়। উপসর্গ যদি কয়েক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে কারণ নির্ণয় করার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সহকারী অধ্যাপক (ইএনটি), সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

নবজাতক এ সময়টাতে দিন এবং রাতের মধ্যে কোনো পার্থক্য বোঝে না। ২৪ ঘণ্টার বেশিরভাগ সময়ই সে বেঘোরে ঘুমায়। যেহেতু ঘুম তাদের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সুতরাং দিনরাত তার ঘুমের রুটিনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিন। তার ঘুম ও বিশ্রামের জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া নিশ্চিত করুন।
১৮ মার্চ ২০২২
ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১২ মিনিট আগে
ঠান্ডার সময় ব্যায়াম শুরুর আগে অনেকে তা নিষেধ করেন। কারণ, ঠান্ডা আবহাওয়া হাঁপানি উদ্রেককারী হিসেবে ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া বায়ুদূষণের কারণেও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে। তবে কিছু সতর্কতা মেনে ব্যায়াম করা যেতে পারে।
৩৮ মিনিট আগে
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন পড়তে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। অ্যামক্সিসিলিন নাকি অন্য কিছু—চিকিৎসকের সেই দুর্বোধ্য হাতের লেখা অনেক সময় রোগী ও ফার্মাসিস্টদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবার সেই চিরাচরিত সমস্যার সমাধানে ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি) দেশব্যাপী...
২ দিন আগেফিচার ডেস্ক

ঠান্ডার সময় ব্যায়াম শুরুর আগে অনেকে তা নিষেধ করেন। কারণ, ঠান্ডা আবহাওয়া হাঁপানি উদ্রেককারী হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
এ ছাড়া বায়ুদূষণের কারণেও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে। তবে কিছু সতর্কতা মেনে ব্যায়াম করা যেতে পারে। সেগুলো হলো—
মোটা পোশাক পরে বাইরে যেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, বেশি মোটা পোশাক পরা যাবে না। এতে ব্যায়াম করতে অসুবিধা হয় এবং তা শ্বাসকষ্টের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এ ছাড়া খুব গরম পোশাক পরলে প্রচুর ঘাম হয়। যখন ঠান্ডা বাতাস এসে শরীরে লাগে, তখন ঘাম দ্রুত শুকিয়ে যায়; ফলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
গুরুতর হাঁপানির ক্ষেত্রে প্রস্তুতি
হাঁপানির চিকিৎসা নির্ভর করে লক্ষণগুলো কতটা গুরুতর, তার ওপর। গুরুতর হাঁপানির সংক্রমণে নিয়মিত চিকিৎসা উপকারে আসে না। তাই জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। গুরুতর হাঁপানির রোগীরা রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ জানতে পালস অক্সিমিটার সঙ্গে রাখতে পারেন। তবে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ার আগে অবশ্যই তাকে হাসপাতালে যেতে হবে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।

ঠান্ডার সময় ব্যায়াম শুরুর আগে অনেকে তা নিষেধ করেন। কারণ, ঠান্ডা আবহাওয়া হাঁপানি উদ্রেককারী হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
এ ছাড়া বায়ুদূষণের কারণেও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে। তবে কিছু সতর্কতা মেনে ব্যায়াম করা যেতে পারে। সেগুলো হলো—
মোটা পোশাক পরে বাইরে যেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, বেশি মোটা পোশাক পরা যাবে না। এতে ব্যায়াম করতে অসুবিধা হয় এবং তা শ্বাসকষ্টের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এ ছাড়া খুব গরম পোশাক পরলে প্রচুর ঘাম হয়। যখন ঠান্ডা বাতাস এসে শরীরে লাগে, তখন ঘাম দ্রুত শুকিয়ে যায়; ফলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
গুরুতর হাঁপানির ক্ষেত্রে প্রস্তুতি
হাঁপানির চিকিৎসা নির্ভর করে লক্ষণগুলো কতটা গুরুতর, তার ওপর। গুরুতর হাঁপানির সংক্রমণে নিয়মিত চিকিৎসা উপকারে আসে না। তাই জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। গুরুতর হাঁপানির রোগীরা রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ জানতে পালস অক্সিমিটার সঙ্গে রাখতে পারেন। তবে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ার আগে অবশ্যই তাকে হাসপাতালে যেতে হবে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।

নবজাতক এ সময়টাতে দিন এবং রাতের মধ্যে কোনো পার্থক্য বোঝে না। ২৪ ঘণ্টার বেশিরভাগ সময়ই সে বেঘোরে ঘুমায়। যেহেতু ঘুম তাদের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সুতরাং দিনরাত তার ঘুমের রুটিনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিন। তার ঘুম ও বিশ্রামের জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া নিশ্চিত করুন।
১৮ মার্চ ২০২২
ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১২ মিনিট আগে
দীর্ঘদিনের শুকনো কাশি একটি বিরক্তিকর সমস্যা। অনেক সময় সাধারণ সর্দি-জ্বরের পরেও সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা কখনো মাসের পর মাস স্থায়ী হতে পারে এ ধরনের কাশি। ফলে দৈনন্দিন কাজে অস্বস্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, মানসিক চাপ ও কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়।
২৬ মিনিট আগে
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন পড়তে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। অ্যামক্সিসিলিন নাকি অন্য কিছু—চিকিৎসকের সেই দুর্বোধ্য হাতের লেখা অনেক সময় রোগী ও ফার্মাসিস্টদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবার সেই চিরাচরিত সমস্যার সমাধানে ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি) দেশব্যাপী...
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন পড়তে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। অ্যামোক্সিসিলিন নাকি অন্য কিছু—চিকিৎসকের সেই দুর্বোধ্য হাতের লেখা অনেক সময় রোগী ও ফার্মাসিস্টদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবার সেই চিরাচরিত সমস্যার সমাধানে ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি) দেশব্যাপী এক কঠোর নির্দেশ জারি করেছে। এখন থেকে চিকিৎসকদের অবশ্যই পরিষ্কার ও পাঠযোগ্য হাতের লেখায় প্রেসক্রিপশন লিখতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশনের কারণে ভুল ওষুধ সেবন এবং এর ফলে হওয়া শারীরিক ক্ষতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন আদালত ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট এই বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নেন। আদালত স্পষ্টভাবে জানান, অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশন ভুল ওষুধ এবং ভুল মাত্রার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, যা শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আদালতের মতে, পাঠযোগ্য প্রেসক্রিপশন পাওয়া রোগীর সংবিধানপ্রদত্ত ‘স্বাস্থ্যের অধিকার’-এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এনএমসির দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী, রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে:
স্পষ্ট হাতের লেখা—প্রেসক্রিপশন অবশ্যই অস্পষ্টতামুক্ত এবং স্পষ্ট হাতের লেখায় লিখতে হবে। সম্ভব হলে বড় হাতের অক্ষরে (ক্যাপিটেল লেটার) লেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জেনেরিক নাম—প্রতিটি ওষুধের স্পষ্টভাবে জেনেরিক নামে লিখতে হবে।
তদারকি কমিটি—ভারতের প্রতিটি মেডিকেল কলেজে একটি করে সাব-কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি প্রেসক্রিপশন লেখার ধরন নিয়মিত তদারকি করবে এবং চিকিৎসকেরা নিয়ম মানছেন কি না, তা নিশ্চিত করবে।
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ—মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে এখন থেকে ‘স্পষ্ট প্রেসক্রিপশন লিখন’-কে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
কেন এটি জরুরি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মনে করে, ওষুধের ভুল (medication error) বিশ্বব্যাপী রোগীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশনের কারণে ভুল ওষুধ বা ভুল মাত্রা সেবনের ফলে দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে মৃত্যুও হতে পারে। এনএমসির এই পদক্ষেপটি চিকিৎসাব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার একটি বড় ধাপ।
ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও প্রেসক্রিপশন স্পষ্ট করে লেখা নিয়ে উচ্চ আদালতের পুরোনো একটি নির্দেশনা রয়েছে। ২০১৭ সালে চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) স্পষ্টভাবে বা বড় অক্ষরে বা ছাপানো আকারে দিতে চিকিৎসকদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। স্বাস্থ্যসচিব এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন পড়তে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। অ্যামোক্সিসিলিন নাকি অন্য কিছু—চিকিৎসকের সেই দুর্বোধ্য হাতের লেখা অনেক সময় রোগী ও ফার্মাসিস্টদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এবার সেই চিরাচরিত সমস্যার সমাধানে ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি) দেশব্যাপী এক কঠোর নির্দেশ জারি করেছে। এখন থেকে চিকিৎসকদের অবশ্যই পরিষ্কার ও পাঠযোগ্য হাতের লেখায় প্রেসক্রিপশন লিখতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশনের কারণে ভুল ওষুধ সেবন এবং এর ফলে হওয়া শারীরিক ক্ষতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন আদালত ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট এই বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নেন। আদালত স্পষ্টভাবে জানান, অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশন ভুল ওষুধ এবং ভুল মাত্রার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, যা শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আদালতের মতে, পাঠযোগ্য প্রেসক্রিপশন পাওয়া রোগীর সংবিধানপ্রদত্ত ‘স্বাস্থ্যের অধিকার’-এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এনএমসির দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী, রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে:
স্পষ্ট হাতের লেখা—প্রেসক্রিপশন অবশ্যই অস্পষ্টতামুক্ত এবং স্পষ্ট হাতের লেখায় লিখতে হবে। সম্ভব হলে বড় হাতের অক্ষরে (ক্যাপিটেল লেটার) লেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জেনেরিক নাম—প্রতিটি ওষুধের স্পষ্টভাবে জেনেরিক নামে লিখতে হবে।
তদারকি কমিটি—ভারতের প্রতিটি মেডিকেল কলেজে একটি করে সাব-কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি প্রেসক্রিপশন লেখার ধরন নিয়মিত তদারকি করবে এবং চিকিৎসকেরা নিয়ম মানছেন কি না, তা নিশ্চিত করবে।
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ—মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে এখন থেকে ‘স্পষ্ট প্রেসক্রিপশন লিখন’-কে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
কেন এটি জরুরি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মনে করে, ওষুধের ভুল (medication error) বিশ্বব্যাপী রোগীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশনের কারণে ভুল ওষুধ বা ভুল মাত্রা সেবনের ফলে দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে মৃত্যুও হতে পারে। এনএমসির এই পদক্ষেপটি চিকিৎসাব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার একটি বড় ধাপ।
ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও প্রেসক্রিপশন স্পষ্ট করে লেখা নিয়ে উচ্চ আদালতের পুরোনো একটি নির্দেশনা রয়েছে। ২০১৭ সালে চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) স্পষ্টভাবে বা বড় অক্ষরে বা ছাপানো আকারে দিতে চিকিৎসকদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। স্বাস্থ্যসচিব এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

নবজাতক এ সময়টাতে দিন এবং রাতের মধ্যে কোনো পার্থক্য বোঝে না। ২৪ ঘণ্টার বেশিরভাগ সময়ই সে বেঘোরে ঘুমায়। যেহেতু ঘুম তাদের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সুতরাং দিনরাত তার ঘুমের রুটিনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিন। তার ঘুম ও বিশ্রামের জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া নিশ্চিত করুন।
১৮ মার্চ ২০২২
ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
১২ মিনিট আগে
দীর্ঘদিনের শুকনো কাশি একটি বিরক্তিকর সমস্যা। অনেক সময় সাধারণ সর্দি-জ্বরের পরেও সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা কখনো মাসের পর মাস স্থায়ী হতে পারে এ ধরনের কাশি। ফলে দৈনন্দিন কাজে অস্বস্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, মানসিক চাপ ও কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়।
২৬ মিনিট আগে
ঠান্ডার সময় ব্যায়াম শুরুর আগে অনেকে তা নিষেধ করেন। কারণ, ঠান্ডা আবহাওয়া হাঁপানি উদ্রেককারী হিসেবে ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া বায়ুদূষণের কারণেও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে। তবে কিছু সতর্কতা মেনে ব্যায়াম করা যেতে পারে।
৩৮ মিনিট আগে