জাহাঙ্গীর আলম

হিন্দির আধিপত্য ঠেকাতে তামিলনাড়ুর মানুষের আন্দোলন ও ত্যাগ সম্ভবত অন্য অনেক ভাষা আন্দোলন থেকে আলাদা করেই উল্লেখ করার দাবি রাখে। ভাষার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং চাপিয়ে দেওয়ার নীতির সঙ্গে তামিলদের আরেকটি কঠিন ও নিষ্ঠুর বেড়াও ভাঙতে হয়েছিল, সেটি ধর্মীয়। ভাষার অধিকার আদায়ে নানা ফ্রন্টে আন্দোলন করেছিল তামিলরা। এর মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সংগ্রামটি হয়েছে সংগীতের মতো একটি বিশ্বশিল্পে।
দক্ষিণ ভারতে তখন কর্ণাটকি সংগীত বলতেই বোঝায় মূলত তেলেগু। সেই সংগীতে আবার ব্রাহ্মণ, তথা উচ্চবর্ণের হিন্দুদের আধিপত্য। আর নিম্নবর্ণের দ্রাবিড় তামিলরা তাদের কাছে অস্পৃশ্য। ফলে ভাষার ব্যাপারেও ব্রাহ্মণদের ছুতমার্গ ভয়ানক রকমের বৈষম্যমূলক ছিল। অবশ্য পণ্ডিতেরা মুখ ফুটে সে কথা কখনো বলেননি।
কিন্তু পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে তামিল ভাষার মর্যাদা ও সংগীতে এ ভাষার উপযুক্ততা প্রমাণ হওয়ায় বোঝা যায়, ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা আসলে এই অনার্য ভাষাকে জাতে তুলতে রাজি হননি। তাঁদের এই বর্ণবাদী জাত্যাভিমান একটি বৃহৎ সমৃদ্ধ জাতিগোষ্ঠীকে মুখের ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেয়।
পণ্ডিতেরা ১৯৪০-এর দশক পর্যন্তও মনে করতেন, তামিল ভাষায় গান হয় না। এ ভাষা তেলেগু মতো ছন্দময় নয়। বহু উচ্চবর্ণীয় কর্ণাটকি সংগীতজ্ঞ যুক্তি হিসেবে বলতেন, তামিল ভাষার শব্দগুলো ‘ইক’, ‘ইপ’, ‘ইচ’-এর মতো ব্যঞ্জনবর্ণে শেষ হয়। এমন ভাষা সংগীতের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। তামিলকে কখনোই তেলেগু, সংস্কৃত ও কন্নড়ের সমকক্ষ ভাবতেন না তাঁরা।
পণ্ডিতদের খপ্পরে পড়েছিলেন অনেক তামিল শিল্পী, সংগীতজ্ঞও। তাঁরা মাতৃভাষায় সংগীতচর্চা করতে সংকোচ বোধ করতেন। অবশ্য এখনো যে প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের অনেকে সংকোচ করেন না, এমন নয়।
এই বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করতেই তামিলকে সংগীতের ভাষা হিসেবে প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্য রাজ্যে একটি সংগঠিত আন্দোলন দানা বাঁধে। অথচ এই তামিলনাড়ুই থিরুভাল্লুভার, ইলাঙ্গো আদিগাল এবং সুব্রাহ্মনিয়া ভারতীর মতো কিংবদন্তি কবির জন্ম দিয়েছে।
ভারতে ভাষাভিত্তিক বর্ণবাদ এবং এর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে মূলত ১৯৩৭ সালে। ওই সময় একজাতীয় আদেশে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিন্দি বাধ্যতামূলক করা হয়। হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে তামিলনাড়ু রাজ্য। তামিল ভাষা, সাহিত্য ও পরিচয় সংরক্ষণ তখন রাজনৈতিক মতাদর্শের পাশাপাশি সরকারি নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
সংগীতে তামিল ভাষার স্থান করে নেওয়ার সংগ্রামের ইতিহাসটা সংক্ষেপে এ রকম—
থেভারাম, নালাইরা দিব্য প্রবান্ধামের মতো ভক্তিমূলক সংগীত এবং ভারতীর কবিতা বুঝে থাকলে মনে হতে পারে কর্ণাটকি সংগীতে তামিল ভাষা এবং সাহিত্যের একটা উচ্চ মর্যাদা আছে।
প্রকৃতপক্ষে তামিল ইসাই আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে, অধিকাংশ কর্ণাটকি সংগীতজ্ঞ এবং শ্রোতারা বলতেন, তামিল ভাষার শব্দগুলো ‘ইক’, ‘ইপ’, ‘ইচ’-এর মতো ব্যঞ্জনবর্ণে শেষ হয়। এটা সংগীতের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। কনসার্টে তামিল গান খুব কমই গাওয়া হতো। এমনকি কর্ণাটকি সংগীত সংকলন ‘সংগীতা পারিজাতাম’ এবং ‘গায়াকা লোচনাম’-এর মতো বইয়ে শেষের দিকে তামিল গানগুলো রাখা হয়েছে। আবার সেই অধ্যায়ের নামটাও দেওয়া হয়েছে ‘চিল্লারাই’। এটার তামিল অনুবাদ দাঁড়ায় ‘তুক্কাদা’, যার অর্থ বিবিধ, গৌণ বা তুচ্ছ।
তামিলরা মনে করেন, কর্ণাটকি গান রচনা ও গাওয়াতে তেলেগু ভাষার যে আভিজাত্য, সেটি বজায় রাখতেই সংকলনে ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করা হয়েছে। পনেরো শতকে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের কৃষ্ণদেবরায় তেলেগু গানের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। পরে স্বাধীন শাসকেরা, যারা পূর্ববর্তী বিজয়নগর সাম্রাজ্য দখল করেছিলেন, যেমন মাদুরাই, তাঞ্জোর এবং জিঞ্জির নায়েকরা কর্ণাটকি সংগীতের ক্ষেত্রে অন্যান্য ভাষার তুলনায় তেলুগু গানকেই প্রাধান্য ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিলেন।
এ ছাড়া আঠারো শতকের কৃতি ত্রয়ী হিসেবে বিখ্যাত তিন সংগীতজ্ঞ—তিয়াগরাজা, মুথুস্বামী দীক্ষিতার এবং শ্যামা শাস্ত্রী; তাঁরা খ্যাতি পেয়েছেন মূলত তেলেগু সংগীতে। তাঁদের কিছু সংস্কৃত কম্পোজিশনও বেশ জনপ্রিয়। যদিও তামিল মহাকাব্য ‘সিলপ্পাদিকারম’, যেটি তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যে রচিত বলে ধারণা করা হয়, সেখানে তামিল সংগীত নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা রয়েছে। এরপরও কর্ণাটকি সংগীতের জগতে ভাষাটি অস্পৃশ্য থেকে যায়।
তামিল ইসাই আন্দোলন
তামিল ইসাই আন্দোলনের সূচনা ১৯৩৯ সালে। ১৯৩৭ সালের সরকারি আদেশের বিরোধিতা করে সংগঠিত হয়েছিল জাস্টিস পার্টি। এই সংগঠনকে দ্রাবিড় আন্দোলনের পথিকৃৎ বলা হয়। সি রাজাগোপালাচারীর নেতৃত্বে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে ভারতের জাতীয় সরকার ওই সময় সমস্ত স্কুলে বাধ্যতামূলকভাবে হিন্দি পড়ানোর নির্দেশ দেয়। এই পটভূমিতে তামিল ইসাই আন্দোলনের নেতৃত্বে চলে আসেন রাজা স্যার আন্নামালাই চেত্তিয়ার। তিনি তৎকালীন তামিলনাড়ুর একজন সুপরিচিত শিল্পপতি এবং জনহিতৈষী ছিলেন। আন্নামালাই বিশেষ করে কর্ণাটকি সংগীতে তামিল ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেমেছিলেন।
পরের বছরগুলোতে চিদাম্বরমে প্রথম তামিল ইসাই সম্মেলন ডাকেন আন্নামালাই। এর পর আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে তৎকালীন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির কারাইকুডি এবং মাদুরাইয়ের মতো বড় শহরগুলোতে সম্মেলন আয়োজনের জন্য অর্থ সাহায্য করেন।
ভারতের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টিও প্রতিষ্ঠা করেন আন্নামালাই চেট্টিয়ার। তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগকে শুধু তামিল সংগীতের প্রচার ও উন্নয়নের জন্য উৎসর্গ করার পদক্ষেপ নেন। বিভাগে শুধু তামিল কম্পোজারদের বই রাখার ব্যবস্থা করেন। আন্নামালাইয়ের এ উদ্যোগকে তামিল সংগীতের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট মনে করা হয়।
১৯৪১ সালে আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ে তামিল ইসাই সম্মেলনের উদ্বোধনীতে আন্নামালাই চেত্তিয়ার বলেন, সংগীত পরিবেশনা শুরু হবে তামিল গান দিয়ে, শেষও হবে তামিল গানেই। কনসার্টের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তামিল ভাষায় হওয়া উচিত। ‘তামিল ইসাই অ্যাজ এ চ্যালেঞ্জ টু ব্রাহ্মানিক্যাল মিউজিক কালচার ইন সাউথ ইন্ডিয়া’ শীর্ষক একটি গবেষণায় এমনটিই বলেছেন গবেষক ইয়োশিতাকা তেরাদা। তিনি জাপানের ওসাকায় ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব এথনোলজির একাডেমিক এবং অধ্যাপক।
আন্নামালাই চেত্তিয়ারের জেদের কারণেই সম্মেলনে একটি রেজুলেশন পাস করা হয়। সেটি কর্ণাটকি সংগীতজনদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। ব্রাহ্মণ্যবাদী সংগীতকারদের প্রতি এটি ছিল একটি শক্ত বার্তা।
তৎকালীন কর্ণাটকি সংগীতের হর্তাকর্তারা বেশ ভড়কে গিয়েছিলেন এতে। তাঁদের আশঙ্কা ছিল এমন উদ্যোগে তামিল সংগীতের চাপে তেলেগু রচনাগুলোর ভবিষ্যৎ সংকটে পড়বে। মিউজিক অ্যাকাডেমি এবং সাউথ ইন্ডিয়ান ফাইন আর্টস অ্যাসোসিয়েশনের মতো প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো তামিল ইসাই আন্দোলনের বিরোধিতা করতে শুরু করে। ফলে ইস্যুটি কর্ণাটকি সংগীত জগতের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বকে দ্বিধাবিভক্ত করে দেয়।
এই আন্দোলনে পরে যুক্ত হন কল্কি কৃষ্ণমূর্তি, মুসিরি সুব্রাহ্মনিয়াম আইয়ার এবং সেমাংগুদি শ্রীনিবাস আইয়ারের মতো শিল্পীরা। এ ছাড়া কেবি সুন্দরম্বল, এনসি বসন্তকোকিলাম, এম এস সুব্বুলক্ষ্মী এবং ডি কে পাট্টম্মলের মতো গায়িকাদের ভূমিকা তামিল ইসাই আন্দোলনের প্রচারে সহায়ক ছিল।
মিউজিক অ্যাকাডেমি এবং সভাগুলোর সঙ্গে যুক্ত সংগীতজ্ঞদের সমালোচনার গভীরে গিয়ে ইয়োশিতাকা তাঁর গবেষণাপত্রে লিখেছেন, তামিল ইসাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে যুক্তিগুলো ‘শাস্ত্রীয় সংগীতের মান’ রক্ষার প্রতি কেন্দ্রীভূত ছিল। কোনো ভাষাকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে সেটির মান যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে তাঁরা সজাগ থাকার কথা বলতেন। কারণ তাঁরা বুঝেছিলেন, কনসার্টে যদি অন্য ভাষার সঙ্গে তামিল গান গাওয়ার আনুপাতিক সুযোগ থাকে, তাহলে তেলেগু এবং সংস্কৃতের ‘যোগ্য’ বা ‘প্রাচীন’ রচনাগুলোর মর্ম ও গুরুত্ব সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাবে।
তবে সংগীত একাডেমি এবং অন্যান্য সভা সমর্থনকারী সংগীতজ্ঞদের মধ্যে যে বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গিও প্রবলভাবে ছিল, সেটি উপেক্ষা করা যায় না। ইয়োশিতাকা তেরাদা সেনরি এথনোলজিক্যাল স্টাডিজ জার্নালে প্রকাশিত তাঁর গবেষণাপত্রে লিখেছেন, তামিল ইসাই আন্দোলনের অনেক সমর্থক কর্ণাটকি সংগীতে ব্রাহ্মণ্য আধিপত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। মক্কল কালাই ইল্লাকিয়া কালাহাম এবং তান্ডাই পেরিয়ার তামিল ইসাই মানরামের মতো সংগঠন, যারা তামিল ইসাই আন্দোলনের সমর্থক ছিল, তারা বলছিল, ‘তামিল ইসাই সঙ্গম’ বিদ্যমান অবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যথেষ্ট কাজ করছে না। অ-ব্রাহ্মণ শিল্পীরা যে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, সে বিষয়ে তাঁরা সোচ্চার নন।
প্রথম তামিল ইসাই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৩ সালে। সেখানে গান পরিবেশন করেন এম এস সুব্বলক্ষ্মী। তিনি শ্রোতাদের কাছ থেকে ব্যাপক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলেন।
এম এস সুব্বলক্ষ্মীর সহশিল্পী রামনারায়ণ ২০১৬ সালে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেন। ১৬ বছর একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘এমএস আম্মা ছিলেন (ইসাই) আন্দোলনের অন্যতম শক্তিশালী কণ্ঠস্বর। অন্য লাজুক এবং নিরীহ শিল্পী নিজের গুরু এবং জ্যেষ্ঠদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।’
১৯৪৯ সালে রাজা আন্নামালাই মান্দ্রামের কাজ শুরু হয়। এটিই পরে তামিল ইসাই সঙ্গমের সূতিকাগার হয়ে ওঠে। তত দিনে রাজা আন্নামালাই চেত্তিয়ার মারা গেছেন। কিন্তু তাঁর ছেলে রাজা স্যার এম এ মুথিয়া চেত্তিয়ার এবং এম এ চিদাম্বরম আন্দোলনের কাজ চালিয়ে যান। ১৯৫২ সালে কর্ণাটকি সংগীত সেশনের জন্য চেন্নাইয়ের এসপ্ল্যানেডের কোণে ২০ হাজার বর্গফুটের মিলনায়তন নির্মাণ করা হয়। তামিল ভাষায় মাসিক ও বার্ষিক কনসার্ট আয়োজনের পাশাপাশি, তামিল ইসাই সঙ্গম কলেজকে সহযোগিতা এবং একটি বাদ্যযন্ত্রের জাদুঘর করা হয়। ১৯৫৭ সাল থেকে তামিল ইসাই সঙ্গমের তরফে শিল্পীদের ‘ইসাই পেরারিগনার’ খেতাব দেওয়া হচ্ছে। বিশিষ্ট কর্ণাটকি কণ্ঠশিল্পীদের পাশাপাশি ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বও এ উদ্যোগকে সমর্থন করেছিলেন। তামিল ইসাই সঙ্গমের সংগীত উৎসবের ৬০ তম আয়োজনে এ পি জে কালাম একটি তামিল কম্পোজিশন গেয়েছিলেন।
অবশ্য পরিস্থিতির যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে এমন নয়। নতুন প্রজন্মের অনেকে তো ইসাই আন্দোলনের খবরই জানেন না। তাঁদের জন্যই আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ে তামিল সংগীতের ঐতিহ্যের সমাহার নিয়ে জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।
যেমনটি বলেন আন্নামালাই চেত্তিয়ারের নাতনি সীতা চিদাম্বরম—‘তামিল গানকে এখনো কর্ণাটকি কণ্ঠশিল্পী এবং সংগীতজ্ঞরা নিকৃষ্ট বলে মনে করে। এখনো এমন গায়ক খুঁজে পাই, যারা তেলেগু গানের অর্থ না বুঝে গাইতে পারছেন। কিন্তু মাতৃভাষা তামিলে কম্পোজিশন শিখতে এবং গাইতে অনিচ্ছুক।’
তবুও, সীতা আশাবাদী যে তামিল ইসাই আন্দোলন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য তাঁদের প্রচেষ্টা মানুষের ধারণা বদলে দেবে।
তথ্যসূত্র:
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে আরও পড়ুন

হিন্দির আধিপত্য ঠেকাতে তামিলনাড়ুর মানুষের আন্দোলন ও ত্যাগ সম্ভবত অন্য অনেক ভাষা আন্দোলন থেকে আলাদা করেই উল্লেখ করার দাবি রাখে। ভাষার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং চাপিয়ে দেওয়ার নীতির সঙ্গে তামিলদের আরেকটি কঠিন ও নিষ্ঠুর বেড়াও ভাঙতে হয়েছিল, সেটি ধর্মীয়। ভাষার অধিকার আদায়ে নানা ফ্রন্টে আন্দোলন করেছিল তামিলরা। এর মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সংগ্রামটি হয়েছে সংগীতের মতো একটি বিশ্বশিল্পে।
দক্ষিণ ভারতে তখন কর্ণাটকি সংগীত বলতেই বোঝায় মূলত তেলেগু। সেই সংগীতে আবার ব্রাহ্মণ, তথা উচ্চবর্ণের হিন্দুদের আধিপত্য। আর নিম্নবর্ণের দ্রাবিড় তামিলরা তাদের কাছে অস্পৃশ্য। ফলে ভাষার ব্যাপারেও ব্রাহ্মণদের ছুতমার্গ ভয়ানক রকমের বৈষম্যমূলক ছিল। অবশ্য পণ্ডিতেরা মুখ ফুটে সে কথা কখনো বলেননি।
কিন্তু পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে তামিল ভাষার মর্যাদা ও সংগীতে এ ভাষার উপযুক্ততা প্রমাণ হওয়ায় বোঝা যায়, ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা আসলে এই অনার্য ভাষাকে জাতে তুলতে রাজি হননি। তাঁদের এই বর্ণবাদী জাত্যাভিমান একটি বৃহৎ সমৃদ্ধ জাতিগোষ্ঠীকে মুখের ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেয়।
পণ্ডিতেরা ১৯৪০-এর দশক পর্যন্তও মনে করতেন, তামিল ভাষায় গান হয় না। এ ভাষা তেলেগু মতো ছন্দময় নয়। বহু উচ্চবর্ণীয় কর্ণাটকি সংগীতজ্ঞ যুক্তি হিসেবে বলতেন, তামিল ভাষার শব্দগুলো ‘ইক’, ‘ইপ’, ‘ইচ’-এর মতো ব্যঞ্জনবর্ণে শেষ হয়। এমন ভাষা সংগীতের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। তামিলকে কখনোই তেলেগু, সংস্কৃত ও কন্নড়ের সমকক্ষ ভাবতেন না তাঁরা।
পণ্ডিতদের খপ্পরে পড়েছিলেন অনেক তামিল শিল্পী, সংগীতজ্ঞও। তাঁরা মাতৃভাষায় সংগীতচর্চা করতে সংকোচ বোধ করতেন। অবশ্য এখনো যে প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের অনেকে সংকোচ করেন না, এমন নয়।
এই বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করতেই তামিলকে সংগীতের ভাষা হিসেবে প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্য রাজ্যে একটি সংগঠিত আন্দোলন দানা বাঁধে। অথচ এই তামিলনাড়ুই থিরুভাল্লুভার, ইলাঙ্গো আদিগাল এবং সুব্রাহ্মনিয়া ভারতীর মতো কিংবদন্তি কবির জন্ম দিয়েছে।
ভারতে ভাষাভিত্তিক বর্ণবাদ এবং এর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে মূলত ১৯৩৭ সালে। ওই সময় একজাতীয় আদেশে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিন্দি বাধ্যতামূলক করা হয়। হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে তামিলনাড়ু রাজ্য। তামিল ভাষা, সাহিত্য ও পরিচয় সংরক্ষণ তখন রাজনৈতিক মতাদর্শের পাশাপাশি সরকারি নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
সংগীতে তামিল ভাষার স্থান করে নেওয়ার সংগ্রামের ইতিহাসটা সংক্ষেপে এ রকম—
থেভারাম, নালাইরা দিব্য প্রবান্ধামের মতো ভক্তিমূলক সংগীত এবং ভারতীর কবিতা বুঝে থাকলে মনে হতে পারে কর্ণাটকি সংগীতে তামিল ভাষা এবং সাহিত্যের একটা উচ্চ মর্যাদা আছে।
প্রকৃতপক্ষে তামিল ইসাই আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে, অধিকাংশ কর্ণাটকি সংগীতজ্ঞ এবং শ্রোতারা বলতেন, তামিল ভাষার শব্দগুলো ‘ইক’, ‘ইপ’, ‘ইচ’-এর মতো ব্যঞ্জনবর্ণে শেষ হয়। এটা সংগীতের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। কনসার্টে তামিল গান খুব কমই গাওয়া হতো। এমনকি কর্ণাটকি সংগীত সংকলন ‘সংগীতা পারিজাতাম’ এবং ‘গায়াকা লোচনাম’-এর মতো বইয়ে শেষের দিকে তামিল গানগুলো রাখা হয়েছে। আবার সেই অধ্যায়ের নামটাও দেওয়া হয়েছে ‘চিল্লারাই’। এটার তামিল অনুবাদ দাঁড়ায় ‘তুক্কাদা’, যার অর্থ বিবিধ, গৌণ বা তুচ্ছ।
তামিলরা মনে করেন, কর্ণাটকি গান রচনা ও গাওয়াতে তেলেগু ভাষার যে আভিজাত্য, সেটি বজায় রাখতেই সংকলনে ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করা হয়েছে। পনেরো শতকে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের কৃষ্ণদেবরায় তেলেগু গানের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। পরে স্বাধীন শাসকেরা, যারা পূর্ববর্তী বিজয়নগর সাম্রাজ্য দখল করেছিলেন, যেমন মাদুরাই, তাঞ্জোর এবং জিঞ্জির নায়েকরা কর্ণাটকি সংগীতের ক্ষেত্রে অন্যান্য ভাষার তুলনায় তেলুগু গানকেই প্রাধান্য ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিলেন।
এ ছাড়া আঠারো শতকের কৃতি ত্রয়ী হিসেবে বিখ্যাত তিন সংগীতজ্ঞ—তিয়াগরাজা, মুথুস্বামী দীক্ষিতার এবং শ্যামা শাস্ত্রী; তাঁরা খ্যাতি পেয়েছেন মূলত তেলেগু সংগীতে। তাঁদের কিছু সংস্কৃত কম্পোজিশনও বেশ জনপ্রিয়। যদিও তামিল মহাকাব্য ‘সিলপ্পাদিকারম’, যেটি তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যে রচিত বলে ধারণা করা হয়, সেখানে তামিল সংগীত নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা রয়েছে। এরপরও কর্ণাটকি সংগীতের জগতে ভাষাটি অস্পৃশ্য থেকে যায়।
তামিল ইসাই আন্দোলন
তামিল ইসাই আন্দোলনের সূচনা ১৯৩৯ সালে। ১৯৩৭ সালের সরকারি আদেশের বিরোধিতা করে সংগঠিত হয়েছিল জাস্টিস পার্টি। এই সংগঠনকে দ্রাবিড় আন্দোলনের পথিকৃৎ বলা হয়। সি রাজাগোপালাচারীর নেতৃত্বে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে ভারতের জাতীয় সরকার ওই সময় সমস্ত স্কুলে বাধ্যতামূলকভাবে হিন্দি পড়ানোর নির্দেশ দেয়। এই পটভূমিতে তামিল ইসাই আন্দোলনের নেতৃত্বে চলে আসেন রাজা স্যার আন্নামালাই চেত্তিয়ার। তিনি তৎকালীন তামিলনাড়ুর একজন সুপরিচিত শিল্পপতি এবং জনহিতৈষী ছিলেন। আন্নামালাই বিশেষ করে কর্ণাটকি সংগীতে তামিল ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেমেছিলেন।
পরের বছরগুলোতে চিদাম্বরমে প্রথম তামিল ইসাই সম্মেলন ডাকেন আন্নামালাই। এর পর আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে তৎকালীন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির কারাইকুডি এবং মাদুরাইয়ের মতো বড় শহরগুলোতে সম্মেলন আয়োজনের জন্য অর্থ সাহায্য করেন।
ভারতের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টিও প্রতিষ্ঠা করেন আন্নামালাই চেট্টিয়ার। তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগকে শুধু তামিল সংগীতের প্রচার ও উন্নয়নের জন্য উৎসর্গ করার পদক্ষেপ নেন। বিভাগে শুধু তামিল কম্পোজারদের বই রাখার ব্যবস্থা করেন। আন্নামালাইয়ের এ উদ্যোগকে তামিল সংগীতের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট মনে করা হয়।
১৯৪১ সালে আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ে তামিল ইসাই সম্মেলনের উদ্বোধনীতে আন্নামালাই চেত্তিয়ার বলেন, সংগীত পরিবেশনা শুরু হবে তামিল গান দিয়ে, শেষও হবে তামিল গানেই। কনসার্টের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তামিল ভাষায় হওয়া উচিত। ‘তামিল ইসাই অ্যাজ এ চ্যালেঞ্জ টু ব্রাহ্মানিক্যাল মিউজিক কালচার ইন সাউথ ইন্ডিয়া’ শীর্ষক একটি গবেষণায় এমনটিই বলেছেন গবেষক ইয়োশিতাকা তেরাদা। তিনি জাপানের ওসাকায় ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব এথনোলজির একাডেমিক এবং অধ্যাপক।
আন্নামালাই চেত্তিয়ারের জেদের কারণেই সম্মেলনে একটি রেজুলেশন পাস করা হয়। সেটি কর্ণাটকি সংগীতজনদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। ব্রাহ্মণ্যবাদী সংগীতকারদের প্রতি এটি ছিল একটি শক্ত বার্তা।
তৎকালীন কর্ণাটকি সংগীতের হর্তাকর্তারা বেশ ভড়কে গিয়েছিলেন এতে। তাঁদের আশঙ্কা ছিল এমন উদ্যোগে তামিল সংগীতের চাপে তেলেগু রচনাগুলোর ভবিষ্যৎ সংকটে পড়বে। মিউজিক অ্যাকাডেমি এবং সাউথ ইন্ডিয়ান ফাইন আর্টস অ্যাসোসিয়েশনের মতো প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো তামিল ইসাই আন্দোলনের বিরোধিতা করতে শুরু করে। ফলে ইস্যুটি কর্ণাটকি সংগীত জগতের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বকে দ্বিধাবিভক্ত করে দেয়।
এই আন্দোলনে পরে যুক্ত হন কল্কি কৃষ্ণমূর্তি, মুসিরি সুব্রাহ্মনিয়াম আইয়ার এবং সেমাংগুদি শ্রীনিবাস আইয়ারের মতো শিল্পীরা। এ ছাড়া কেবি সুন্দরম্বল, এনসি বসন্তকোকিলাম, এম এস সুব্বুলক্ষ্মী এবং ডি কে পাট্টম্মলের মতো গায়িকাদের ভূমিকা তামিল ইসাই আন্দোলনের প্রচারে সহায়ক ছিল।
মিউজিক অ্যাকাডেমি এবং সভাগুলোর সঙ্গে যুক্ত সংগীতজ্ঞদের সমালোচনার গভীরে গিয়ে ইয়োশিতাকা তাঁর গবেষণাপত্রে লিখেছেন, তামিল ইসাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে যুক্তিগুলো ‘শাস্ত্রীয় সংগীতের মান’ রক্ষার প্রতি কেন্দ্রীভূত ছিল। কোনো ভাষাকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে সেটির মান যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে তাঁরা সজাগ থাকার কথা বলতেন। কারণ তাঁরা বুঝেছিলেন, কনসার্টে যদি অন্য ভাষার সঙ্গে তামিল গান গাওয়ার আনুপাতিক সুযোগ থাকে, তাহলে তেলেগু এবং সংস্কৃতের ‘যোগ্য’ বা ‘প্রাচীন’ রচনাগুলোর মর্ম ও গুরুত্ব সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাবে।
তবে সংগীত একাডেমি এবং অন্যান্য সভা সমর্থনকারী সংগীতজ্ঞদের মধ্যে যে বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গিও প্রবলভাবে ছিল, সেটি উপেক্ষা করা যায় না। ইয়োশিতাকা তেরাদা সেনরি এথনোলজিক্যাল স্টাডিজ জার্নালে প্রকাশিত তাঁর গবেষণাপত্রে লিখেছেন, তামিল ইসাই আন্দোলনের অনেক সমর্থক কর্ণাটকি সংগীতে ব্রাহ্মণ্য আধিপত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। মক্কল কালাই ইল্লাকিয়া কালাহাম এবং তান্ডাই পেরিয়ার তামিল ইসাই মানরামের মতো সংগঠন, যারা তামিল ইসাই আন্দোলনের সমর্থক ছিল, তারা বলছিল, ‘তামিল ইসাই সঙ্গম’ বিদ্যমান অবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যথেষ্ট কাজ করছে না। অ-ব্রাহ্মণ শিল্পীরা যে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, সে বিষয়ে তাঁরা সোচ্চার নন।
প্রথম তামিল ইসাই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৩ সালে। সেখানে গান পরিবেশন করেন এম এস সুব্বলক্ষ্মী। তিনি শ্রোতাদের কাছ থেকে ব্যাপক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলেন।
এম এস সুব্বলক্ষ্মীর সহশিল্পী রামনারায়ণ ২০১৬ সালে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেন। ১৬ বছর একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘এমএস আম্মা ছিলেন (ইসাই) আন্দোলনের অন্যতম শক্তিশালী কণ্ঠস্বর। অন্য লাজুক এবং নিরীহ শিল্পী নিজের গুরু এবং জ্যেষ্ঠদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।’
১৯৪৯ সালে রাজা আন্নামালাই মান্দ্রামের কাজ শুরু হয়। এটিই পরে তামিল ইসাই সঙ্গমের সূতিকাগার হয়ে ওঠে। তত দিনে রাজা আন্নামালাই চেত্তিয়ার মারা গেছেন। কিন্তু তাঁর ছেলে রাজা স্যার এম এ মুথিয়া চেত্তিয়ার এবং এম এ চিদাম্বরম আন্দোলনের কাজ চালিয়ে যান। ১৯৫২ সালে কর্ণাটকি সংগীত সেশনের জন্য চেন্নাইয়ের এসপ্ল্যানেডের কোণে ২০ হাজার বর্গফুটের মিলনায়তন নির্মাণ করা হয়। তামিল ভাষায় মাসিক ও বার্ষিক কনসার্ট আয়োজনের পাশাপাশি, তামিল ইসাই সঙ্গম কলেজকে সহযোগিতা এবং একটি বাদ্যযন্ত্রের জাদুঘর করা হয়। ১৯৫৭ সাল থেকে তামিল ইসাই সঙ্গমের তরফে শিল্পীদের ‘ইসাই পেরারিগনার’ খেতাব দেওয়া হচ্ছে। বিশিষ্ট কর্ণাটকি কণ্ঠশিল্পীদের পাশাপাশি ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বও এ উদ্যোগকে সমর্থন করেছিলেন। তামিল ইসাই সঙ্গমের সংগীত উৎসবের ৬০ তম আয়োজনে এ পি জে কালাম একটি তামিল কম্পোজিশন গেয়েছিলেন।
অবশ্য পরিস্থিতির যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে এমন নয়। নতুন প্রজন্মের অনেকে তো ইসাই আন্দোলনের খবরই জানেন না। তাঁদের জন্যই আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ে তামিল সংগীতের ঐতিহ্যের সমাহার নিয়ে জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।
যেমনটি বলেন আন্নামালাই চেত্তিয়ারের নাতনি সীতা চিদাম্বরম—‘তামিল গানকে এখনো কর্ণাটকি কণ্ঠশিল্পী এবং সংগীতজ্ঞরা নিকৃষ্ট বলে মনে করে। এখনো এমন গায়ক খুঁজে পাই, যারা তেলেগু গানের অর্থ না বুঝে গাইতে পারছেন। কিন্তু মাতৃভাষা তামিলে কম্পোজিশন শিখতে এবং গাইতে অনিচ্ছুক।’
তবুও, সীতা আশাবাদী যে তামিল ইসাই আন্দোলন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য তাঁদের প্রচেষ্টা মানুষের ধারণা বদলে দেবে।
তথ্যসূত্র:
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে আরও পড়ুন

দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের
৪ ঘণ্টা আগে
বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
১২ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, কেটি পেরি তাঁর চলমান ‘দ্য লাইফটাইমস ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ স্থগিত রেখে ট্রুডোর সঙ্গে টোকিওতে এই কূটনৈতিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
জাস্টিন ট্রুডো কিশিদার সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আপনাকে দেখে দারুণ লাগলো@kishida 230। ক্যাটি এবং আমি আপনার ও ইউকোর সঙ্গে বসে কথা বলার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। ফুমিও, আপনার বন্ধুত্বের জন্য এবং আন্তর্জাতিক নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি এবং সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যতের প্রতি আপনার অব্যাহত প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ।’
Great to see you @kishida230. Katy and I were so glad to have the chance to sit down with you and Yuko. Thank you, Fumio, for your friendship and your continued commitment to both the international rules-based order and to a better future for everyone. https://t.co/zLEuppHNST
— Justin Trudeau (@JustinTrudeau) December 4, 2025
পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, ট্রুডো একটি ধূসর স্যুট পরে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রনায়কোচিত রূপে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে, কেটি পেরি সেজেছিলেন সবুজ রঙের দু’টুকরো পোশাক, কালো টাইটস, একটি টার্টলনেক এবং বুট পরে। কিশিদা দম্পতির সঙ্গে ছবি তোলার সময় কেটি পেরিকে ট্রুডোর পেছনে হাত রেখে দাঁড়াতে দেখা যায়। কিশিদা ট্রুডোর পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘ধন্যবাদ, জাস্টিন। আপনি এবং কেটি, দু’জনকেই অবকাশের শুভেচ্ছা!’
জাস্টিন ট্রুডো এই পোস্টটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টারনেট জুড়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লেখেন, ‘মুক্ত বিশ্বের ইতিহাসে এটি সম্ভবত সবচেয়ে উন্মাদনার একটি ঘোষণা।’ আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘কেটি পেরি আন্তর্জাতিক কূটনীতি সামলাচ্ছেন। আমার টপ রিস্কস ২০২৫ তালিকায় এটা ছিল না!’
অনেক ভক্তও মজার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। একজন লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কিন্তু সঙ্গে ছুটির কার্ডের আমেজ।’ অন্য একজন মন্তব্য করেন, ‘খোদার কসম, এটা আমার বিঙ্গো কার্ডে ছিল না।’ এই কূটনৈতিক ঘোষণার মাধ্যমে পেরি ও ট্রুডো জুটি এখন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি মহলে নতুন আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, কেটি পেরি তাঁর চলমান ‘দ্য লাইফটাইমস ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ স্থগিত রেখে ট্রুডোর সঙ্গে টোকিওতে এই কূটনৈতিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
জাস্টিন ট্রুডো কিশিদার সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আপনাকে দেখে দারুণ লাগলো@kishida 230। ক্যাটি এবং আমি আপনার ও ইউকোর সঙ্গে বসে কথা বলার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। ফুমিও, আপনার বন্ধুত্বের জন্য এবং আন্তর্জাতিক নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি এবং সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যতের প্রতি আপনার অব্যাহত প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ।’
Great to see you @kishida230. Katy and I were so glad to have the chance to sit down with you and Yuko. Thank you, Fumio, for your friendship and your continued commitment to both the international rules-based order and to a better future for everyone. https://t.co/zLEuppHNST
— Justin Trudeau (@JustinTrudeau) December 4, 2025
পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, ট্রুডো একটি ধূসর স্যুট পরে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রনায়কোচিত রূপে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে, কেটি পেরি সেজেছিলেন সবুজ রঙের দু’টুকরো পোশাক, কালো টাইটস, একটি টার্টলনেক এবং বুট পরে। কিশিদা দম্পতির সঙ্গে ছবি তোলার সময় কেটি পেরিকে ট্রুডোর পেছনে হাত রেখে দাঁড়াতে দেখা যায়। কিশিদা ট্রুডোর পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘ধন্যবাদ, জাস্টিন। আপনি এবং কেটি, দু’জনকেই অবকাশের শুভেচ্ছা!’
জাস্টিন ট্রুডো এই পোস্টটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টারনেট জুড়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লেখেন, ‘মুক্ত বিশ্বের ইতিহাসে এটি সম্ভবত সবচেয়ে উন্মাদনার একটি ঘোষণা।’ আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘কেটি পেরি আন্তর্জাতিক কূটনীতি সামলাচ্ছেন। আমার টপ রিস্কস ২০২৫ তালিকায় এটা ছিল না!’
অনেক ভক্তও মজার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। একজন লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কিন্তু সঙ্গে ছুটির কার্ডের আমেজ।’ অন্য একজন মন্তব্য করেন, ‘খোদার কসম, এটা আমার বিঙ্গো কার্ডে ছিল না।’ এই কূটনৈতিক ঘোষণার মাধ্যমে পেরি ও ট্রুডো জুটি এখন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি মহলে নতুন আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন।

হিন্দির আধিপত্য ঠেকাতে তামিলনাড়ুর মানুষের আন্দোলন ও ত্যাগ সম্ভবত অন্য অনেক ভাষা আন্দোলন থেকে আলাদা করেই উল্লেখ করার দাবি রাখে। ভাষার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং চাপিয়ে...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
১২ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
বর্ষণমুখর আবহাওয়ার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। এই ভাস্কর্যটি লেস্টার স্কয়ারের ‘সিনস ইন দ্য স্কয়ার’ ট্রেইলের অংশ হিসেবে হ্যারি পটার, প্যাডিংটন এবং ব্রিজেট জোনসের ভাস্কর্যের সঙ্গে যুক্ত হলো।
লন্ডনে ভাস্কর্য উন্মোচনের ফাঁকে শাহরুখ খানের কাছে নববিবাহিত দম্পতিদের জন্য তাঁর নিজস্ব পরামর্শ জানতে চাওয়া হয়। মজা করে জবাব দেন শাহরুখ।
শাহরুখ উত্তর দেওয়ার আগেই অভিনেত্রী কাজল রসিকতা করে বলে ওঠেন, ‘ওঁর সব ছবিই তো বিয়ের আগের প্রেম নিয়ে, বিয়ের পরের প্রেম নিয়ে নয়!’
কাজলের কথায় সম্মতি জানিয়ে শাহরুখ খান হাসতে হাসতে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, তুমি ছিলে একজন যাকে আমি উপদেশ দিতে পারতাম। কিন্তু বিয়ের পর, তুমি তো এখন নিজের দায়িত্বে চলে গেছ!’ অবশ্য শাহরুখ গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপদেশ দিতে ভোলেননি। তিনি বলেন, ‘ততদিন (বিয়ের আগে) পর্যন্ত, আমার মনে হয় আমি ঠিকই করেছি। আপনাদের রোমান্স থাকতে হবে, গান গাইতে হবে।’ কাজল সঙ্গে সঙ্গে যোগ করেন, ‘এবং অবশ্যই ডিডিএলজে দেখতে হবে।’
ছবিটি সম্পর্কে যশ রাজ ফিল্মসের সিইও অক্ষয় বিধানি এটিকে ‘গৌরবের বিশাল মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেন। অন্যদিকে, হার্ট অব লন্ডন বিজনেস অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী রস মর্গ্যান বলেন, ‘ডিডিএলজে একটি সিনেমাটিক ঘটনা যা প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছে, এবং লন্ডন এই প্রথম ভারতীয় সিনেমার আন্তর্জাতিক দর্শকদের মুগ্ধ করে চলা একটি গল্পকে সম্মান জানাল।’
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করেছেন শাহরুখ খান। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো বিলিয়নেয়ার ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। এই ঘটনা তাঁকে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার এবং টেলর সুইফটের মতো বৈশ্বিক তারকাদের কাতারে নিয়ে এসেছে।
চার বছরের বিরতির পর ২০২৩ সালে চলচ্চিত্রে ফেরেন বলিউড বাদশাহ। সম্প্রতি তাঁর আসন্ন অ্যাকশন ফিল্ম ‘কিং’-এর টিজার উন্মুক্ত হয়েছে। তবে অ্যাকশন ঘরানার আরও ছবি বা পরবর্তী জেমস বন্ড হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রসিকতা করে শাহরুখ জবাব দেন: ‘না। আমার উচ্চারণ সেরকম নয়। আর আমি শেকেন মার্টিনি (বিশেষভাবে তৈরি ককটেল) পছন্দ করি না।’
এদিকে, চলচ্চিত্র জগতের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কারণে সিনেমা হলগুলোতে দর্শক কমে যাওয়া নিয়ে কাজল মনে করেন, এখন দর্শকদের হাতে বেছে নেওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘মানুষের এখন সিনেমা হলে যাওয়া বা না যাওয়ার স্বাধীনতা আছে। যখন এত বিকল্প, তখন বেছে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়।’
তবে শাহরুখ খান বিশ্বাস করেন, ‘কমিউনিটি ভিউয়িং...সবসময় থাকবে। আমরা একসঙ্গে কোনো জিনিস দেখতে এবং উপভোগ করতে ভালোবাসি।’

বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
বর্ষণমুখর আবহাওয়ার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। এই ভাস্কর্যটি লেস্টার স্কয়ারের ‘সিনস ইন দ্য স্কয়ার’ ট্রেইলের অংশ হিসেবে হ্যারি পটার, প্যাডিংটন এবং ব্রিজেট জোনসের ভাস্কর্যের সঙ্গে যুক্ত হলো।
লন্ডনে ভাস্কর্য উন্মোচনের ফাঁকে শাহরুখ খানের কাছে নববিবাহিত দম্পতিদের জন্য তাঁর নিজস্ব পরামর্শ জানতে চাওয়া হয়। মজা করে জবাব দেন শাহরুখ।
শাহরুখ উত্তর দেওয়ার আগেই অভিনেত্রী কাজল রসিকতা করে বলে ওঠেন, ‘ওঁর সব ছবিই তো বিয়ের আগের প্রেম নিয়ে, বিয়ের পরের প্রেম নিয়ে নয়!’
কাজলের কথায় সম্মতি জানিয়ে শাহরুখ খান হাসতে হাসতে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, তুমি ছিলে একজন যাকে আমি উপদেশ দিতে পারতাম। কিন্তু বিয়ের পর, তুমি তো এখন নিজের দায়িত্বে চলে গেছ!’ অবশ্য শাহরুখ গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপদেশ দিতে ভোলেননি। তিনি বলেন, ‘ততদিন (বিয়ের আগে) পর্যন্ত, আমার মনে হয় আমি ঠিকই করেছি। আপনাদের রোমান্স থাকতে হবে, গান গাইতে হবে।’ কাজল সঙ্গে সঙ্গে যোগ করেন, ‘এবং অবশ্যই ডিডিএলজে দেখতে হবে।’
ছবিটি সম্পর্কে যশ রাজ ফিল্মসের সিইও অক্ষয় বিধানি এটিকে ‘গৌরবের বিশাল মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেন। অন্যদিকে, হার্ট অব লন্ডন বিজনেস অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী রস মর্গ্যান বলেন, ‘ডিডিএলজে একটি সিনেমাটিক ঘটনা যা প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছে, এবং লন্ডন এই প্রথম ভারতীয় সিনেমার আন্তর্জাতিক দর্শকদের মুগ্ধ করে চলা একটি গল্পকে সম্মান জানাল।’
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করেছেন শাহরুখ খান। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো বিলিয়নেয়ার ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। এই ঘটনা তাঁকে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার এবং টেলর সুইফটের মতো বৈশ্বিক তারকাদের কাতারে নিয়ে এসেছে।
চার বছরের বিরতির পর ২০২৩ সালে চলচ্চিত্রে ফেরেন বলিউড বাদশাহ। সম্প্রতি তাঁর আসন্ন অ্যাকশন ফিল্ম ‘কিং’-এর টিজার উন্মুক্ত হয়েছে। তবে অ্যাকশন ঘরানার আরও ছবি বা পরবর্তী জেমস বন্ড হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রসিকতা করে শাহরুখ জবাব দেন: ‘না। আমার উচ্চারণ সেরকম নয়। আর আমি শেকেন মার্টিনি (বিশেষভাবে তৈরি ককটেল) পছন্দ করি না।’
এদিকে, চলচ্চিত্র জগতের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কারণে সিনেমা হলগুলোতে দর্শক কমে যাওয়া নিয়ে কাজল মনে করেন, এখন দর্শকদের হাতে বেছে নেওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘মানুষের এখন সিনেমা হলে যাওয়া বা না যাওয়ার স্বাধীনতা আছে। যখন এত বিকল্প, তখন বেছে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়।’
তবে শাহরুখ খান বিশ্বাস করেন, ‘কমিউনিটি ভিউয়িং...সবসময় থাকবে। আমরা একসঙ্গে কোনো জিনিস দেখতে এবং উপভোগ করতে ভালোবাসি।’

হিন্দির আধিপত্য ঠেকাতে তামিলনাড়ুর মানুষের আন্দোলন ও ত্যাগ সম্ভবত অন্য অনেক ভাষা আন্দোলন থেকে আলাদা করেই উল্লেখ করার দাবি রাখে। ভাষার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং চাপিয়ে...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের
৪ ঘণ্টা আগে
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
১২ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

হিন্দির আধিপত্য ঠেকাতে তামিলনাড়ুর মানুষের আন্দোলন ও ত্যাগ সম্ভবত অন্য অনেক ভাষা আন্দোলন থেকে আলাদা করেই উল্লেখ করার দাবি রাখে। ভাষার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং চাপিয়ে...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের
৪ ঘণ্টা আগে
বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

হিন্দির আধিপত্য ঠেকাতে তামিলনাড়ুর মানুষের আন্দোলন ও ত্যাগ সম্ভবত অন্য অনেক ভাষা আন্দোলন থেকে আলাদা করেই উল্লেখ করার দাবি রাখে। ভাষার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং চাপিয়ে...
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের
৪ ঘণ্টা আগে
বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
১২ ঘণ্টা আগে