খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

‘এই শহর কলকাতায় আসার পর আমার কেন যেন ভয় ভয় করতে লাগল। এক বিশাল জনসমুদ্র! আমার মনে হতে লাগল আমি এই জনসমুদ্রে হারিয়ে গিয়েছি। এ জনসমুদ্রে আমি একাকী নিঃসঙ্গ। এই জনসমুদ্রের সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। কেউ কারও সম্পর্কে কোনও খবরই রাখে না। উদাসীন নির্লিপ্ত জনজোয়ার…’
(তৃতীয় ভুবন, মৃণাল সেন)
কলকাতায় যাওয়ার আগে প্রায় সতেরো বছর ফরিদপুরে ছিলেন নির্মাতা মৃণাল সেন। মফসসলের গন্ধ মাখা ওই শহরে মৃণালের জন্ম। একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠা। ফরিদপুর তখন ছিল জাতীয় কংগ্রেসের এক বিশেষ ঘাঁটি। মৃণাল সেনের বাবা দীনেশচন্দ্র ছিলেন পেশায় আইনজীবী। রাজনীতির সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে ছিলেন তিনি।
বাবাকে নিয়ে মৃণাল সেন লিখছেন, ‘সে সময়ের বিপ্লবীরা যাঁদের অনেকের ফাঁসি হয়েছে এবং যাঁরা তখনকার স্বাধীনতা সংগ্রামী—তাঁরা সব বাবার বন্ধু ছিলেন। একটা সময় বাবাকে শাস্তি পেতে হয়েছিল, কোর্টে গিয়ে সওয়াল না করতে বাধ্য করেছিলেন বাবাকে ইংরেজ সরকার।’
মা-বাবা, প্রতিবেশি, জন্মভূমি—সবকিছুর সঙ্গে যখন ধীরে ধীরে মৃণাল সেনের স্মৃতির পাল্লা ভারী হচ্ছে, তখনই তাঁকে জন্মস্থান ছেড়ে চলে যেতে হয় কলকাতায়। সাল ১৯৪০। বাবা-মা-ই পাঠান তাঁকে কলকাতা, স্কটিশ চার্চ কলেজে বিএসসি পড়ার জন্য।
কলকাতায় যাওয়ার আগে বাবা-মাকে একদিন মজার ছলে প্রশ্ন করেছিলেন মৃণাল সেন, ‘আমার মধ্যে কি কোনো প্রতিভা আছে? আন্দাজ পেয়েছ কিছু?’ প্রশ্নটা শুনে তাঁর বাবা-মা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন। উত্তরটা মৃণাল নিজেই দিয়েছিলেন বার্ট্রান্ড রাসেলকে কোট করে, ‘দশ বছর বয়স পর্যন্ত সবাই প্রতিভাবান।’
সতেরো বছর বয়সে মৃণাল সেন ফরিদপুর ছাড়লেন। সেই যে গেলেন কলকাতা, তার পর দেশ ভাগ হলো, বড়সড় রাজনৈতিক পরিবর্তন দেখল ভারতবর্ষ। ইতিহাসের অনেক পাতাই ওল্টানো হলো। কিন্তু ফরিদপুরে আর ফিরলেন না মৃণাল।
দেশভাগের সময় তাঁর বাবা-মাও ফরিদপুর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। বাড়ি-জমি যা যা স্থাবর সম্পত্তি ছিল, জলের দরে বিক্রি করে একদিন তাঁরা মৃণালের মতোই হাজির হলেন অচেনা শহর কলকাতায়। একেবারে বাস্তুহারার মতো।
অনেক বছর পর, ১৯৯০ সালে ফরিদপুরের সেই বাড়ির সামনে আবার এসে দাঁড়ালেন মৃণাল। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী গীতা। এর আগে কয়েকবার চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশে এসেছেন মৃণাল। জন্মস্থান ফরিদপুরে যাওয়ার আমন্ত্রণও পেয়েছেন। কিন্তু যাননি। কেন? ‘সত্যি বলতে আমার কাছে এ প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই’—বলেন মৃণাল।
সেবার ঢাকা পৌঁছেই জন্মস্থানের জন্য মনটা কেমন করে উঠল তাঁর। ঠিক করলেন—চারদিনের জন্য ফরিদপুর যাবেন। মৃণাল সেনের বিভিন্ন সময়ের বয়ানে উঠে এসেছে স্মরণীয় সেই যাত্রার কথা। স্ত্রী গীতা, চিত্রগ্রাহক শশী আনন্দ, আর পথপ্রদর্শক খয়ের খাঁ—এ তিনজনকে নিয়ে মৃণাল সেন যখন ফরিদপুরের কাছাকাছি, তখন যেন উত্তেজনার আগুন পোহাচ্ছেন তিনি।
বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে গাড়ি থামল। নামলেন। এবার কিছুটা পথ যেতে হবে হেঁটে। অনেকেই এগিয়ে এলেন উষ্ণ অভ্যর্থনা, প্রশংসা আর ভালোবাসা নিয়ে। একটু খাওয়া। বিশ্রাম। তারপর পায়ে হেঁটে এগোতে থাকলেন সেই অতীতের খোঁজে। সবাইকে বললেন, ‘আমি এখানে আমার নিজের মতো করে পথ চলব, তোমরা কেউ কোনও কথা বলবে না। যদি আমি কখনও ভুল করি পথ চলতে চলতে, তা হলেও নয়।’
অবশেষে, অনেকটা পথ পেরিয়ে, অনেক স্মৃতিতে দিয়ে ডুব, কান্নাভেজা চোখে বাড়িটার সামনে এসে দাঁড়ালেন মৃণাল সেন। বাড়ির সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু মানুষ। কেউ কোনো কথা বলল না। ‘অখণ্ড অপূর্ব নীরবতা!’
বাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন এক মাঝবয়সি নারী। হাতে একগুচ্ছ ফুল। মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতার হাতে ফুলগুলো দিয়ে বললেন, ‘আপনি শ্বশুরবাড়িতে এসেছেন। আসুন, সেই পুকুর পাড়ে যাবেন তো? আপনাদের বাবার কথা আমরা রেখেছি। ভাঙচুর একটু-আধটু যা হয়েছে, তাও সারিয়েছি।’
সেই পুকুরপাড়! মৃণাল সেনের স্মৃতিতে জ্বলজ্বলে তখনও পুকুরপাড়টা। মাঝবয়সি সেই নারীর মুখে পুকুরপাড়ের কথা শুনে মৃণাল-গীতা পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করলেন। গলাটা ধরে এল মৃণালের।
ওই পুকুরপাড়ে লেপ্টে আছে রেবার স্মৃতি। মৃণালের বোন রেবা। সাত ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে সবার ছোট রেবা। বড় আদরের। পাড়া-প্রতিবেশী সবাই খুব ভালোবাসত রেবাকে। একদিন ছুটির দিন। দুপুরবেলা। সবাই খাচ্ছিলেন। রেবা সবার আগে খাওয়া শেষ করে পুকুরঘাটের দিকে চলে যায়। ঘাটটি ছিল সব ভাইবোনের প্রিয় আড্ডার জায়গা। রেবারও। সিঁড়িতে বসে পা ঝুলিয়ে বসে থাকত সে।
সেদিন দুপুরের খাবার শেষ করে পুকুরঘাটের দিকে চলে যাওয়ার পর রেবাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। কোত্থাও না। এ-পাড়া ও-পাড়া— খুঁজতে বাকি নেই কোথাও। অনেকক্ষণ পর মৃণালের মেজদা কী যেন ভেবে পুকুরে ঝাঁপ দিলেন। মুহূর্তের মধ্যে পানির নিচ থেকে টেনে নিয়ে এলেন রেবাকে। রেবার শরীরটা তখন ঠান্ডা।
মেয়ের মৃত্যুর পর মৃণালের বাবা দীনেশচন্দ্র পুকুরঘাটে রেবার স্মৃতিসৌধ তৈরি করেছিলেন। দেশভাগের সময় বাড়ি বিক্রি করে, দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে বাড়ির নতুন মালিককে অনুরোধ করেছিলেন দীনেশচন্দ্র—যেন স্মৃতিসৌধটি না ভাঙা হয়।
অনেক বছর পর নিজের জন্মভিটেয় এসে রেবার স্মৃতিসৌধটি সেভাবেই পেয়েছিলেন মৃণাল। প্রিয় বোনের স্মৃতির দিকে তাকিয়ে চোখ ছলছল করে উঠল মৃণালের। ভীষণ কান্না পেল। কিন্তু কাঁদতে পারলেন না। মাঝবয়সী সেই নারীর কথা তখনও তাঁর কানে বাজছে—‘সেই পুকুর পাড়ে যাবেন তো? আপনাদের বাবার কথা আমরা রেখেছি। ভাঙচুর একটু-আধটু যা হয়েছে, তাও সারিয়েছি।’

‘এই শহর কলকাতায় আসার পর আমার কেন যেন ভয় ভয় করতে লাগল। এক বিশাল জনসমুদ্র! আমার মনে হতে লাগল আমি এই জনসমুদ্রে হারিয়ে গিয়েছি। এ জনসমুদ্রে আমি একাকী নিঃসঙ্গ। এই জনসমুদ্রের সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। কেউ কারও সম্পর্কে কোনও খবরই রাখে না। উদাসীন নির্লিপ্ত জনজোয়ার…’
(তৃতীয় ভুবন, মৃণাল সেন)
কলকাতায় যাওয়ার আগে প্রায় সতেরো বছর ফরিদপুরে ছিলেন নির্মাতা মৃণাল সেন। মফসসলের গন্ধ মাখা ওই শহরে মৃণালের জন্ম। একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠা। ফরিদপুর তখন ছিল জাতীয় কংগ্রেসের এক বিশেষ ঘাঁটি। মৃণাল সেনের বাবা দীনেশচন্দ্র ছিলেন পেশায় আইনজীবী। রাজনীতির সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে ছিলেন তিনি।
বাবাকে নিয়ে মৃণাল সেন লিখছেন, ‘সে সময়ের বিপ্লবীরা যাঁদের অনেকের ফাঁসি হয়েছে এবং যাঁরা তখনকার স্বাধীনতা সংগ্রামী—তাঁরা সব বাবার বন্ধু ছিলেন। একটা সময় বাবাকে শাস্তি পেতে হয়েছিল, কোর্টে গিয়ে সওয়াল না করতে বাধ্য করেছিলেন বাবাকে ইংরেজ সরকার।’
মা-বাবা, প্রতিবেশি, জন্মভূমি—সবকিছুর সঙ্গে যখন ধীরে ধীরে মৃণাল সেনের স্মৃতির পাল্লা ভারী হচ্ছে, তখনই তাঁকে জন্মস্থান ছেড়ে চলে যেতে হয় কলকাতায়। সাল ১৯৪০। বাবা-মা-ই পাঠান তাঁকে কলকাতা, স্কটিশ চার্চ কলেজে বিএসসি পড়ার জন্য।
কলকাতায় যাওয়ার আগে বাবা-মাকে একদিন মজার ছলে প্রশ্ন করেছিলেন মৃণাল সেন, ‘আমার মধ্যে কি কোনো প্রতিভা আছে? আন্দাজ পেয়েছ কিছু?’ প্রশ্নটা শুনে তাঁর বাবা-মা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন। উত্তরটা মৃণাল নিজেই দিয়েছিলেন বার্ট্রান্ড রাসেলকে কোট করে, ‘দশ বছর বয়স পর্যন্ত সবাই প্রতিভাবান।’
সতেরো বছর বয়সে মৃণাল সেন ফরিদপুর ছাড়লেন। সেই যে গেলেন কলকাতা, তার পর দেশ ভাগ হলো, বড়সড় রাজনৈতিক পরিবর্তন দেখল ভারতবর্ষ। ইতিহাসের অনেক পাতাই ওল্টানো হলো। কিন্তু ফরিদপুরে আর ফিরলেন না মৃণাল।
দেশভাগের সময় তাঁর বাবা-মাও ফরিদপুর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। বাড়ি-জমি যা যা স্থাবর সম্পত্তি ছিল, জলের দরে বিক্রি করে একদিন তাঁরা মৃণালের মতোই হাজির হলেন অচেনা শহর কলকাতায়। একেবারে বাস্তুহারার মতো।
অনেক বছর পর, ১৯৯০ সালে ফরিদপুরের সেই বাড়ির সামনে আবার এসে দাঁড়ালেন মৃণাল। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী গীতা। এর আগে কয়েকবার চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশে এসেছেন মৃণাল। জন্মস্থান ফরিদপুরে যাওয়ার আমন্ত্রণও পেয়েছেন। কিন্তু যাননি। কেন? ‘সত্যি বলতে আমার কাছে এ প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই’—বলেন মৃণাল।
সেবার ঢাকা পৌঁছেই জন্মস্থানের জন্য মনটা কেমন করে উঠল তাঁর। ঠিক করলেন—চারদিনের জন্য ফরিদপুর যাবেন। মৃণাল সেনের বিভিন্ন সময়ের বয়ানে উঠে এসেছে স্মরণীয় সেই যাত্রার কথা। স্ত্রী গীতা, চিত্রগ্রাহক শশী আনন্দ, আর পথপ্রদর্শক খয়ের খাঁ—এ তিনজনকে নিয়ে মৃণাল সেন যখন ফরিদপুরের কাছাকাছি, তখন যেন উত্তেজনার আগুন পোহাচ্ছেন তিনি।
বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে গাড়ি থামল। নামলেন। এবার কিছুটা পথ যেতে হবে হেঁটে। অনেকেই এগিয়ে এলেন উষ্ণ অভ্যর্থনা, প্রশংসা আর ভালোবাসা নিয়ে। একটু খাওয়া। বিশ্রাম। তারপর পায়ে হেঁটে এগোতে থাকলেন সেই অতীতের খোঁজে। সবাইকে বললেন, ‘আমি এখানে আমার নিজের মতো করে পথ চলব, তোমরা কেউ কোনও কথা বলবে না। যদি আমি কখনও ভুল করি পথ চলতে চলতে, তা হলেও নয়।’
অবশেষে, অনেকটা পথ পেরিয়ে, অনেক স্মৃতিতে দিয়ে ডুব, কান্নাভেজা চোখে বাড়িটার সামনে এসে দাঁড়ালেন মৃণাল সেন। বাড়ির সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু মানুষ। কেউ কোনো কথা বলল না। ‘অখণ্ড অপূর্ব নীরবতা!’
বাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন এক মাঝবয়সি নারী। হাতে একগুচ্ছ ফুল। মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতার হাতে ফুলগুলো দিয়ে বললেন, ‘আপনি শ্বশুরবাড়িতে এসেছেন। আসুন, সেই পুকুর পাড়ে যাবেন তো? আপনাদের বাবার কথা আমরা রেখেছি। ভাঙচুর একটু-আধটু যা হয়েছে, তাও সারিয়েছি।’
সেই পুকুরপাড়! মৃণাল সেনের স্মৃতিতে জ্বলজ্বলে তখনও পুকুরপাড়টা। মাঝবয়সি সেই নারীর মুখে পুকুরপাড়ের কথা শুনে মৃণাল-গীতা পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করলেন। গলাটা ধরে এল মৃণালের।
ওই পুকুরপাড়ে লেপ্টে আছে রেবার স্মৃতি। মৃণালের বোন রেবা। সাত ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে সবার ছোট রেবা। বড় আদরের। পাড়া-প্রতিবেশী সবাই খুব ভালোবাসত রেবাকে। একদিন ছুটির দিন। দুপুরবেলা। সবাই খাচ্ছিলেন। রেবা সবার আগে খাওয়া শেষ করে পুকুরঘাটের দিকে চলে যায়। ঘাটটি ছিল সব ভাইবোনের প্রিয় আড্ডার জায়গা। রেবারও। সিঁড়িতে বসে পা ঝুলিয়ে বসে থাকত সে।
সেদিন দুপুরের খাবার শেষ করে পুকুরঘাটের দিকে চলে যাওয়ার পর রেবাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। কোত্থাও না। এ-পাড়া ও-পাড়া— খুঁজতে বাকি নেই কোথাও। অনেকক্ষণ পর মৃণালের মেজদা কী যেন ভেবে পুকুরে ঝাঁপ দিলেন। মুহূর্তের মধ্যে পানির নিচ থেকে টেনে নিয়ে এলেন রেবাকে। রেবার শরীরটা তখন ঠান্ডা।
মেয়ের মৃত্যুর পর মৃণালের বাবা দীনেশচন্দ্র পুকুরঘাটে রেবার স্মৃতিসৌধ তৈরি করেছিলেন। দেশভাগের সময় বাড়ি বিক্রি করে, দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে বাড়ির নতুন মালিককে অনুরোধ করেছিলেন দীনেশচন্দ্র—যেন স্মৃতিসৌধটি না ভাঙা হয়।
অনেক বছর পর নিজের জন্মভিটেয় এসে রেবার স্মৃতিসৌধটি সেভাবেই পেয়েছিলেন মৃণাল। প্রিয় বোনের স্মৃতির দিকে তাকিয়ে চোখ ছলছল করে উঠল মৃণালের। ভীষণ কান্না পেল। কিন্তু কাঁদতে পারলেন না। মাঝবয়সী সেই নারীর কথা তখনও তাঁর কানে বাজছে—‘সেই পুকুর পাড়ে যাবেন তো? আপনাদের বাবার কথা আমরা রেখেছি। ভাঙচুর একটু-আধটু যা হয়েছে, তাও সারিয়েছি।’

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান।
১৯ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
১৯ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার।
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান। গানের শিরোনাম ‘এই ব্যথা’।
‘এই ব্যথা কি তোমার অনুগত/ চাইলেই রোদে এসে পেতে দেয় গা/ এই ব্যথা কি দিনান্তে কোনো হাওয়া/ স্বপ্নের মতো সারা রাত্রি জেগে থাকা’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন মাহি ফ্লোরা। সুর করেছেন এহসান রাহি, সংগীতায়োজনে আমজাদ হোসেন। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন শুভব্রত সরকার। ১৮ ডিসেম্বর ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে এই ব্যথা শিরোনামের গানের ভিডিও। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে দেশি ও আন্তর্জাতিক মিউজিক প্ল্যাটফর্মগুলোয়।
এই ব্যথা গানটি প্রসঙ্গে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘অনেক দিন পর আয়োজন করে একটা গান করা হলো। আমি আনন্দিত। এই টিমে যারা কাজ করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ট্যালেন্টেড। সবাই তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন এই গানে। আরও আনন্দের ব্যাপার হলো, আমার বড় কন্যার জন্মদিনে গানটির প্রকাশ আমাকে মুগ্ধতার অন্য জগতে নিয়ে গেছে। গানটির ভিডিও নিয়ে একটু বলতে চাই, এই ধরনের মিউজিক ভিডিও আমাদের দেশে একেবারেই নতুন। দেশের মিউজিক ভিডিওর অঙ্গনে এই ভিডিও ভিন্নমাত্রা এনে দেবে বলে বিশ্বাস করি।’
ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কর্ণধার ধ্রুব গুহ বলেন, ‘বাপ্পাদার এই ব্যথা গানটি প্রকাশ করতে পেরে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন আনন্দিত। আমি আশা করছি, গানটি শ্রোতাদের অনেক ভালো লাগবে।’
সম্প্রতি ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কার্যালয়ে গানটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। নতুন গান প্রকাশ উপলক্ষে বাপ্পা মজুমদারকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন গীতিকার তরুণ মুন্সী, কণ্ঠশিল্পী জুয়েল মোর্শেদ, লুৎফর হাসান, কিশোর দাসসহ সংগীতাঙ্গনের অনেকে।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান। গানের শিরোনাম ‘এই ব্যথা’।
‘এই ব্যথা কি তোমার অনুগত/ চাইলেই রোদে এসে পেতে দেয় গা/ এই ব্যথা কি দিনান্তে কোনো হাওয়া/ স্বপ্নের মতো সারা রাত্রি জেগে থাকা’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন মাহি ফ্লোরা। সুর করেছেন এহসান রাহি, সংগীতায়োজনে আমজাদ হোসেন। গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন শুভব্রত সরকার। ১৮ ডিসেম্বর ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে এই ব্যথা শিরোনামের গানের ভিডিও। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে দেশি ও আন্তর্জাতিক মিউজিক প্ল্যাটফর্মগুলোয়।
এই ব্যথা গানটি প্রসঙ্গে বাপ্পা মজুমদার বলেন, ‘অনেক দিন পর আয়োজন করে একটা গান করা হলো। আমি আনন্দিত। এই টিমে যারা কাজ করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ট্যালেন্টেড। সবাই তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন এই গানে। আরও আনন্দের ব্যাপার হলো, আমার বড় কন্যার জন্মদিনে গানটির প্রকাশ আমাকে মুগ্ধতার অন্য জগতে নিয়ে গেছে। গানটির ভিডিও নিয়ে একটু বলতে চাই, এই ধরনের মিউজিক ভিডিও আমাদের দেশে একেবারেই নতুন। দেশের মিউজিক ভিডিওর অঙ্গনে এই ভিডিও ভিন্নমাত্রা এনে দেবে বলে বিশ্বাস করি।’
ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কর্ণধার ধ্রুব গুহ বলেন, ‘বাপ্পাদার এই ব্যথা গানটি প্রকাশ করতে পেরে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন আনন্দিত। আমি আশা করছি, গানটি শ্রোতাদের অনেক ভালো লাগবে।’
সম্প্রতি ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কার্যালয়ে গানটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়। নতুন গান প্রকাশ উপলক্ষে বাপ্পা মজুমদারকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন গীতিকার তরুণ মুন্সী, কণ্ঠশিল্পী জুয়েল মোর্শেদ, লুৎফর হাসান, কিশোর দাসসহ সংগীতাঙ্গনের অনেকে।

কলকাতায় যাওয়ার আগে প্রায় সতেরো বছর ফরিদপুরে ছিলেন নির্মাতা মৃণাল সেন। মফসসলের গন্ধ মাখা ওই শহরে মৃণালের জন্ম। একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠা। ফরিদপুর তখন ছিল জাতীয় কংগ্রেসের এক বিশেষ ঘাঁটি। মৃণাল সেনের বাবা দীনেশচন্দ্র ছিলেন পেশায় আইনজীবী। রাজনীতির সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে ছিলেন তিনি।
৩০ ডিসেম্বর ২০২১
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
১৯ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার।
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
হাদি ও তাঁর শিশুপুত্রের একটি ছবি শেয়ার করে ঢাকাই সিনেমার নায়ক সিয়াম আহমেদ লিখেছেন, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’
অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক লিখেছেন একাধিক পোস্ট। একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘নামটা মনে রেখো, শহীদ-বীর শরিফ ওসমান হাদি।’ অন্য একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘সে কোনো এমপি-মন্ত্রী ছিল না, কারও হক আত্মসাৎ করেনি, সাধারণ মানুষের উপর অন্যায় করেনি। তবুও-সামান্য কথার দায়ে, একটা জীবন এভাবে শেষ হতে পারে?’ ভিন্ন একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচনায় আসবে অগ্নিসংযোগ, কিন্তু আসার কথা ছিল হাদির কথা, তাঁর বীরত্বের কথা, খুনের বিচারের কথা। এ দেশে মানুষ মরলে, শোকও নিরাপদ থাকে না। সবকিছুই ঢেকে ফেলা হয় আগুনে, ভাঙচুরে, রাজনীতিতে। এখানে রক্তের রংও রাজনৈতিক। বরাবরই এখানে বিপ্লব বেদখল হয়। বরাবরই আমরা এখানে অসহায়।’
নির্মাতা অনন্য মামুন লিখেছেন, ‘মৃত্যুও পবিত্র সুন্দর হতে পারে, শহীদ হাদিকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না।’
অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ওসমান হাদির একটি ছবি প্রকাশ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান বিন হাদি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে থাকবেন।’
মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল হাদির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিখেছেন, ‘এটা সত্যিই খুব কষ্টের আর একেবারেই মেনে নেওয়ার মতো না। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন, আর তাঁর শোকাহত পরিবারকে, বিশেষ করে তাঁর ছোট্ট বাচ্চাকে ধৈর্য, শক্তি আর সান্ত্বনা দেন।’ গণমাধ্যম কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শোক জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এটি আমার হৃদয় ভেঙে দিচ্ছে। আগুন ভবন ধ্বংস করতে পারে, সাহস নয়।’
সংগীতশিল্পীদের অস্তিত্ব রক্ষা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে রাজনৈতিক সচেতনতার আহ্বান জানিয়ে অর্ণব লিখেছেন, ‘আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকতে হবে এবং ভোট দিতে হবে... নয়তো সংগীতশিল্পীরা বিপদে পড়ব। দেখুন ছায়ানটের সাথে কী করেছে! আমাদের পাল্টা লড়াইয়ের একমাত্র উপায় ভোট দেওয়া এবং অন্যদের ভোট দিতে উৎসাহিত করা।’
অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান লিখেছেন, ‘ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তাঁর পরিবার, তাঁর ছোট্ট বাবুটা এই শোক কাটিয়ে উঠুক। রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হোক। দেশে শান্তি ফিরে আসুক হে দয়াময়।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লিখেছেন, ‘ওসমান হাদি, শান্তিতে ঘুমান। আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দান করুন এবং আপনার পরিবার ও সন্তানকে শক্তি দিন। তারা হয়তো আপনাকে হত্যা করেছে কিন্তু আপনার শুরু করা লড়াই তারা থামাতে পারবে না।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির অকালমৃত্যুর প্রতিবাদের ভাষা ভাঙচুর, নৈরাজ্য হতে পারে না। এই মুহূর্তে সবার এক থাকা প্রয়োজন। দেশে বিশৃঙ্খলা যারা করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে দেশের সম্পদের আর ভবিষ্যতের বারোটা বাজায়েন না!’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
হাদি ও তাঁর শিশুপুত্রের একটি ছবি শেয়ার করে ঢাকাই সিনেমার নায়ক সিয়াম আহমেদ লিখেছেন, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’
অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক লিখেছেন একাধিক পোস্ট। একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘নামটা মনে রেখো, শহীদ-বীর শরিফ ওসমান হাদি।’ অন্য একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘সে কোনো এমপি-মন্ত্রী ছিল না, কারও হক আত্মসাৎ করেনি, সাধারণ মানুষের উপর অন্যায় করেনি। তবুও-সামান্য কথার দায়ে, একটা জীবন এভাবে শেষ হতে পারে?’ ভিন্ন একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচনায় আসবে অগ্নিসংযোগ, কিন্তু আসার কথা ছিল হাদির কথা, তাঁর বীরত্বের কথা, খুনের বিচারের কথা। এ দেশে মানুষ মরলে, শোকও নিরাপদ থাকে না। সবকিছুই ঢেকে ফেলা হয় আগুনে, ভাঙচুরে, রাজনীতিতে। এখানে রক্তের রংও রাজনৈতিক। বরাবরই এখানে বিপ্লব বেদখল হয়। বরাবরই আমরা এখানে অসহায়।’
নির্মাতা অনন্য মামুন লিখেছেন, ‘মৃত্যুও পবিত্র সুন্দর হতে পারে, শহীদ হাদিকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না।’
অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ওসমান হাদির একটি ছবি প্রকাশ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান বিন হাদি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে থাকবেন।’
মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল হাদির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিখেছেন, ‘এটা সত্যিই খুব কষ্টের আর একেবারেই মেনে নেওয়ার মতো না। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন, আর তাঁর শোকাহত পরিবারকে, বিশেষ করে তাঁর ছোট্ট বাচ্চাকে ধৈর্য, শক্তি আর সান্ত্বনা দেন।’ গণমাধ্যম কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শোক জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এটি আমার হৃদয় ভেঙে দিচ্ছে। আগুন ভবন ধ্বংস করতে পারে, সাহস নয়।’
সংগীতশিল্পীদের অস্তিত্ব রক্ষা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে রাজনৈতিক সচেতনতার আহ্বান জানিয়ে অর্ণব লিখেছেন, ‘আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকতে হবে এবং ভোট দিতে হবে... নয়তো সংগীতশিল্পীরা বিপদে পড়ব। দেখুন ছায়ানটের সাথে কী করেছে! আমাদের পাল্টা লড়াইয়ের একমাত্র উপায় ভোট দেওয়া এবং অন্যদের ভোট দিতে উৎসাহিত করা।’
অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান লিখেছেন, ‘ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তাঁর পরিবার, তাঁর ছোট্ট বাবুটা এই শোক কাটিয়ে উঠুক। রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হোক। দেশে শান্তি ফিরে আসুক হে দয়াময়।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লিখেছেন, ‘ওসমান হাদি, শান্তিতে ঘুমান। আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দান করুন এবং আপনার পরিবার ও সন্তানকে শক্তি দিন। তারা হয়তো আপনাকে হত্যা করেছে কিন্তু আপনার শুরু করা লড়াই তারা থামাতে পারবে না।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির অকালমৃত্যুর প্রতিবাদের ভাষা ভাঙচুর, নৈরাজ্য হতে পারে না। এই মুহূর্তে সবার এক থাকা প্রয়োজন। দেশে বিশৃঙ্খলা যারা করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে দেশের সম্পদের আর ভবিষ্যতের বারোটা বাজায়েন না!’

কলকাতায় যাওয়ার আগে প্রায় সতেরো বছর ফরিদপুরে ছিলেন নির্মাতা মৃণাল সেন। মফসসলের গন্ধ মাখা ওই শহরে মৃণালের জন্ম। একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠা। ফরিদপুর তখন ছিল জাতীয় কংগ্রেসের এক বিশেষ ঘাঁটি। মৃণাল সেনের বাবা দীনেশচন্দ্র ছিলেন পেশায় আইনজীবী। রাজনীতির সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে ছিলেন তিনি।
৩০ ডিসেম্বর ২০২১
অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান।
১৯ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার।
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে। প্রিন্সেস এজেন্টস এবার আসছে বাংলা ভাষায়। দীপ্ত টিভিতে ‘রহস্যময়ী’ নামে আজ ২০ ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহের শনি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট ও রাত ৮টা ৩০ মিনিটে দেখা যাবে ধারাবাহিকটি।
তিনটি অভিজাত বংশ ওয়েই, ইউয়েন আর ঝাওদের নিয়ে এগিয়ে গেছে ধারাবাহিকের গল্প। সঙ্গে যুক্ত হয় ইয়ান পরিবার এবং কয়েকটি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাদেশিক শাসনকর্তারা যেন বিদ্রোহ করতে না পারে, সে জন্য ওয়েই সম্রাট প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের একজন করে ছেলেকে নিজের কাছে এনে রাখে। মার্কুইস ডিংবেই নামে পরিচিত উত্তর ইয়ানের শাসনকর্তা ইয়ান শিচেংয়ের ছেলে প্রিন্স ইয়ান শুন সম্রাটের কাছে বড় হতে থাকে।
ইউয়েন পরিবারের দুজন উত্তরসূরি—ইউয়েন ইউয়ে ও ইউয়েন হুয়ায়। ইউয়েন ইউয়ে অত্যন্ত ধীরস্থির, সৎ এবং কোমল মানসিকতাসম্পন্ন হলেও ইউয়েন হুয়ায় বেশ নিষ্ঠুর আর চঞ্চল। সে যেভাবেই হোক ইউয়েন ইউয়েকে পথ থেকে সরিয়ে দিতে চায়। ঘটনাক্রমে ইউয়েন পরিবারে আগমন ঘটে বিখ্যাত গুপ্তচর লুহির মেয়ে চু-চিয়াওর। অতীতের কিছুই মনে করতে পারে না সে। নিজের যোগ্যতা দিয়ে সে ইউয়েন ইউয়ের ব্যক্তিগত দাসী নির্বাচিত হয়। প্রথম দেখাতেই চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় লর্ড ইউয়েন ইউয়ে। কিন্তু নিজের সামাজিক অবস্থানের জন্য বিষয়টাকে সে কোনোভাবেই প্রকাশ হতে দিতে চায় না।
অন্যদিকে মার্শাল আর্টে দক্ষতা দেখে চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। ইউয়েন, ঝাও আর ওয়েইদের মিলিত ষড়যন্ত্রে প্রিন্স ইয়ান শুনের বাবা মার্কুইস ডিংবেই এবং তার পুরো পরিবার প্রাণ হারায়। পরিবারের সঙ্গে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। কিন্তু তরুণ লর্ডরা যেভাবেই হোক ইয়ান শুনকে সরিয়ে দিতে চায়। অন্যদিকে সম্রাট চান ইয়ান শুনকে গৃহবন্দী করে উত্তর ইয়ানের ওপর নিয়ন্ত্রণ।
রহস্যময়ী ধারাবাহিকটির প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোর্শেদ সিদ্দিকী মরু, প্রযোজনা করেছেন তসলিমা তাহরিন। ধারাবাহিকটির অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন দীপ্ত টিভির নিজস্ব সংলাপ রচয়িতার দল।

প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে। প্রিন্সেস এজেন্টস এবার আসছে বাংলা ভাষায়। দীপ্ত টিভিতে ‘রহস্যময়ী’ নামে আজ ২০ ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহের শনি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট ও রাত ৮টা ৩০ মিনিটে দেখা যাবে ধারাবাহিকটি।
তিনটি অভিজাত বংশ ওয়েই, ইউয়েন আর ঝাওদের নিয়ে এগিয়ে গেছে ধারাবাহিকের গল্প। সঙ্গে যুক্ত হয় ইয়ান পরিবার এবং কয়েকটি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাদেশিক শাসনকর্তারা যেন বিদ্রোহ করতে না পারে, সে জন্য ওয়েই সম্রাট প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের একজন করে ছেলেকে নিজের কাছে এনে রাখে। মার্কুইস ডিংবেই নামে পরিচিত উত্তর ইয়ানের শাসনকর্তা ইয়ান শিচেংয়ের ছেলে প্রিন্স ইয়ান শুন সম্রাটের কাছে বড় হতে থাকে।
ইউয়েন পরিবারের দুজন উত্তরসূরি—ইউয়েন ইউয়ে ও ইউয়েন হুয়ায়। ইউয়েন ইউয়ে অত্যন্ত ধীরস্থির, সৎ এবং কোমল মানসিকতাসম্পন্ন হলেও ইউয়েন হুয়ায় বেশ নিষ্ঠুর আর চঞ্চল। সে যেভাবেই হোক ইউয়েন ইউয়েকে পথ থেকে সরিয়ে দিতে চায়। ঘটনাক্রমে ইউয়েন পরিবারে আগমন ঘটে বিখ্যাত গুপ্তচর লুহির মেয়ে চু-চিয়াওর। অতীতের কিছুই মনে করতে পারে না সে। নিজের যোগ্যতা দিয়ে সে ইউয়েন ইউয়ের ব্যক্তিগত দাসী নির্বাচিত হয়। প্রথম দেখাতেই চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় লর্ড ইউয়েন ইউয়ে। কিন্তু নিজের সামাজিক অবস্থানের জন্য বিষয়টাকে সে কোনোভাবেই প্রকাশ হতে দিতে চায় না।
অন্যদিকে মার্শাল আর্টে দক্ষতা দেখে চু-চিয়াওর প্রেমে পড়ে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। ইউয়েন, ঝাও আর ওয়েইদের মিলিত ষড়যন্ত্রে প্রিন্স ইয়ান শুনের বাবা মার্কুইস ডিংবেই এবং তার পুরো পরিবার প্রাণ হারায়। পরিবারের সঙ্গে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায় প্রিন্স ইয়ান শুন। কিন্তু তরুণ লর্ডরা যেভাবেই হোক ইয়ান শুনকে সরিয়ে দিতে চায়। অন্যদিকে সম্রাট চান ইয়ান শুনকে গৃহবন্দী করে উত্তর ইয়ানের ওপর নিয়ন্ত্রণ।
রহস্যময়ী ধারাবাহিকটির প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোর্শেদ সিদ্দিকী মরু, প্রযোজনা করেছেন তসলিমা তাহরিন। ধারাবাহিকটির অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন দীপ্ত টিভির নিজস্ব সংলাপ রচয়িতার দল।

কলকাতায় যাওয়ার আগে প্রায় সতেরো বছর ফরিদপুরে ছিলেন নির্মাতা মৃণাল সেন। মফসসলের গন্ধ মাখা ওই শহরে মৃণালের জন্ম। একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠা। ফরিদপুর তখন ছিল জাতীয় কংগ্রেসের এক বিশেষ ঘাঁটি। মৃণাল সেনের বাবা দীনেশচন্দ্র ছিলেন পেশায় আইনজীবী। রাজনীতির সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে ছিলেন তিনি।
৩০ ডিসেম্বর ২০২১
অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান।
১৯ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
১৯ ঘণ্টা আগে
দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার।
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার। এই সাফল্য কাঁধে নিয়েই নতুন জার্নি শুরু করেছেন টম। যুক্ত হয়েছেন মেক্সিকান নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতুর ‘ডিগার’ সিনেমায়।
ইনারিতুর পরিচালনায় কাজ করতে চলেছেন টম ক্রুজ, এ খবর আগেই জানানো হয়েছিল। ১৮ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমার শিরোনাম, পোস্টার এবং ৫০ সেকেন্ডের একটি অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ওয়ার্নার ব্রস ও লিজেন্ডারি এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত ডিগার মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ২ অক্টোবর। এবার আর অ্যাকশন নয়, কমেডি চরিত্রে দেখা দেবেন টম ক্রুজ। টিজারে দেখা গেল, একটি পরিত্যক্ত ভবনের নিচতলায় বেলচা হাতে নাচতে নাচতে ঢুকলেন টম। তারপর চরিত্রটিকে দেখা গেল জাহাজে। একইভাবে বেলচা হাতে নাচতে নাচতে রেলিং ধরে হাঁটছে।
জানা গেছে, ডিগার সিনেমায় রকওয়েল নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম ক্রুজ। টিজারে আলো-আঁধারিতে যতখানি দেখা গেল, তাতে মনে হচ্ছে, সম্পূর্ণ ভিন্ন এক লুকে এ সিনেমায় হাজির হবেন তিনি। সিনেমার গল্প কী, তা জানা না গেলেও ধারণা মিলেছে, এতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র হিসেবে দেখা যাবে টমকে। মানবতার ত্রাণকর্তারূপে এক ভয়ংকর মিশনে নেমেছে রকওয়েল চরিত্রটি। ‘দ্য রেভেন্যান্ট’-এর পর ডিগার দিয়ে আবার ইংরেজি ভাষার সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন ইনারিতু। যুক্তরাজ্যে ছয় মাস ধরে হয়েছে শুটিং। এতে শুধু অভিনয় নয়, ইনারিতুর সঙ্গে যৌথভাবে সিনেমাটি প্রযোজনাও করছেন টম ক্রুজ। তিনি ছাড়া অভিনয়ে আরও আছেন সান্ড্রা হুলার, জন গুডম্যান, মাইকেল স্টুলবার্গ, জেসি প্লেমন্স, সোফি ওয়াইল্ড, রিজ আহমেদ, এমা ডি’আর্সি প্রমুখ।
আগামী ২ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হবে ডিগার সিনেমার। সেখানেই ইনারিতুর তিনটি সিনেমা ‘বারদো: ফলস ক্রনিকল অব আ হ্যান্ডফুল অব ট্রুথস’, ‘বার্ডম্যান’ এবং ‘টোয়েন্টি ওয়ান গ্রামস’ প্রদর্শিত হয়েছিল। ডিগার সিনেমাকে নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতু বর্ণনা করেছেন ‘বিপর্যয়কর মাত্রার একটি নিষ্ঠুর এবং বন্য কমেডি’ হিসেবে। তিনি বলেন, ‘এটি একই সঙ্গে ভয়ংকর, মজার ও সুন্দর। আমি জানি, দর্শক আমার কিংবা টমের কাছ থেকে কমেডি সিনেমা আশা করে না। তবে এর কাহিনিতে কমেডির সঙ্গে অনেকটা ভয়ের মিশেলও থাকবে।’

দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা ইথান হান্ট হিসেবে টম ক্রুজ তাঁর যাত্রা শেষ করেছেন এ বছরের মে মাসে। ১৯৯৬ সালে ‘মিশন: ইম্পসিবল’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। শেষ হয়েছে অষ্টম সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ দিয়ে। সর্বশেষ সিনেমাটি আয় করেছে প্রায় ছয় শ মিলিয়ন ডলার। এই সাফল্য কাঁধে নিয়েই নতুন জার্নি শুরু করেছেন টম। যুক্ত হয়েছেন মেক্সিকান নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতুর ‘ডিগার’ সিনেমায়।
ইনারিতুর পরিচালনায় কাজ করতে চলেছেন টম ক্রুজ, এ খবর আগেই জানানো হয়েছিল। ১৮ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে এসেছে সিনেমার শিরোনাম, পোস্টার এবং ৫০ সেকেন্ডের একটি অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ওয়ার্নার ব্রস ও লিজেন্ডারি এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত ডিগার মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ২ অক্টোবর। এবার আর অ্যাকশন নয়, কমেডি চরিত্রে দেখা দেবেন টম ক্রুজ। টিজারে দেখা গেল, একটি পরিত্যক্ত ভবনের নিচতলায় বেলচা হাতে নাচতে নাচতে ঢুকলেন টম। তারপর চরিত্রটিকে দেখা গেল জাহাজে। একইভাবে বেলচা হাতে নাচতে নাচতে রেলিং ধরে হাঁটছে।
জানা গেছে, ডিগার সিনেমায় রকওয়েল নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম ক্রুজ। টিজারে আলো-আঁধারিতে যতখানি দেখা গেল, তাতে মনে হচ্ছে, সম্পূর্ণ ভিন্ন এক লুকে এ সিনেমায় হাজির হবেন তিনি। সিনেমার গল্প কী, তা জানা না গেলেও ধারণা মিলেছে, এতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র হিসেবে দেখা যাবে টমকে। মানবতার ত্রাণকর্তারূপে এক ভয়ংকর মিশনে নেমেছে রকওয়েল চরিত্রটি। ‘দ্য রেভেন্যান্ট’-এর পর ডিগার দিয়ে আবার ইংরেজি ভাষার সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন ইনারিতু। যুক্তরাজ্যে ছয় মাস ধরে হয়েছে শুটিং। এতে শুধু অভিনয় নয়, ইনারিতুর সঙ্গে যৌথভাবে সিনেমাটি প্রযোজনাও করছেন টম ক্রুজ। তিনি ছাড়া অভিনয়ে আরও আছেন সান্ড্রা হুলার, জন গুডম্যান, মাইকেল স্টুলবার্গ, জেসি প্লেমন্স, সোফি ওয়াইল্ড, রিজ আহমেদ, এমা ডি’আর্সি প্রমুখ।
আগামী ২ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হবে ডিগার সিনেমার। সেখানেই ইনারিতুর তিনটি সিনেমা ‘বারদো: ফলস ক্রনিকল অব আ হ্যান্ডফুল অব ট্রুথস’, ‘বার্ডম্যান’ এবং ‘টোয়েন্টি ওয়ান গ্রামস’ প্রদর্শিত হয়েছিল। ডিগার সিনেমাকে নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতু বর্ণনা করেছেন ‘বিপর্যয়কর মাত্রার একটি নিষ্ঠুর এবং বন্য কমেডি’ হিসেবে। তিনি বলেন, ‘এটি একই সঙ্গে ভয়ংকর, মজার ও সুন্দর। আমি জানি, দর্শক আমার কিংবা টমের কাছ থেকে কমেডি সিনেমা আশা করে না। তবে এর কাহিনিতে কমেডির সঙ্গে অনেকটা ভয়ের মিশেলও থাকবে।’

কলকাতায় যাওয়ার আগে প্রায় সতেরো বছর ফরিদপুরে ছিলেন নির্মাতা মৃণাল সেন। মফসসলের গন্ধ মাখা ওই শহরে মৃণালের জন্ম। একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠা। ফরিদপুর তখন ছিল জাতীয় কংগ্রেসের এক বিশেষ ঘাঁটি। মৃণাল সেনের বাবা দীনেশচন্দ্র ছিলেন পেশায় আইনজীবী। রাজনীতির সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে ছিলেন তিনি।
৩০ ডিসেম্বর ২০২১
অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক বাপ্পা মজুমদার। গানের সঙ্গেই তাঁর সতত বসবাস। বাংলা গানের এই খরার সময়েও ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন বাপ্পা মজুমদার। নিজে যেমন গাইছেন, অন্যদের জন্যেও নতুন গান বাঁধছেন নিয়মিত। এবার তিনি অন্যের কথা ও সুরে গাইলেন ভিন্ন ধাঁচের একটি গান।
১৯ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের লড়াকু যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে থমকে গেছে দেশ। শোকাহত দেশের মানুষ। শোকের ছায়া নেমেছে দেশের শোবিজ অঙ্গনেও। একই সঙ্গে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ছায়ানট ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়।
১৯ ঘণ্টা আগে
প্রাচীন চীনের ওয়েই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত চীনা ধারাবাহিক ‘প্রিন্সেস এজেন্টস’। ২০১৭ সালে চীনের হুনান টিভিতে প্রচারের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় ধারাবাহিকটি। এরপর মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, পেরুসহ অনেক দেশে অনূদিত হয়ে প্রচারিত হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে