কাশফিয়া আলম ঝিলিক

পাট দিয়ে শৌখিন জিনিস তৈরি করতেন নাসরিনের বাবা। করোনার সময় যখন তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তখন সংসারে সাহায্য করার কথা ভাবেন নাসরিন। বাবার তৈরি পণ্য দিয়েই শুরু করেন নিজের অনলাইন ব্যবসা। যুক্ত হন ফেসবুকের উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স (উই) নামের গ্রুপটির সঙ্গে। এই গ্রুপে এসে তাঁর ব্যবসা পেয়েছে নতুন মাত্রা।
নাসরিনের মতো অনেকেই আছেন যাঁরা নিজের পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য হাল ধরেছেন সফলভাবে। উই নামের গ্রুপটি তৈরি করা হয় সেই নারীদের জন্য, যাঁরা নিজে কিছু করতে চান। এর পেছনে আছে একজন নিশার পরিশ্রমের গল্প।
শুরুর গল্প
উইয়ের প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশার জন্ম ঢাকাতেই। বেড়ে ওঠা, বিয়ে এবং কর্মক্ষেত্র সবই ঢাকায়। নির্দিষ্ট করে বললে বনানীতে। একটি যৌথ পরিবারের সন্তান নিশার হাত ধরে উইয়ের বেড়ে ওঠার গল্পটা খুব সহজ ছিল না। মেয়েদের পড়াশোনার বিষয়ে পরিবারের মনোভাব খুব ভালো ছিল না। কিন্তু নিশার পড়ালেখা করার আগ্রহ ছিল প্রবল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছে থাকলেও বাসা থেকে তা দূরে হওয়ায় সেখানে পড়ার অনুমতি মেলেনি। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকেও কাজ করা নিয়ে ছিল আপত্তি। তবে নিশার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাবা ও স্বামীর সিদ্ধান্তে ২০০৫ সাল থেকে বাবার ব্যবসার দায়িত্ব বুঝে নেন নিশা।
ব্যবসাবদল
বাবার রিয়েল এস্টেট ব্যবসা দেখাশোনা করতে গিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই নিশা বুঝতে পারেন, সেই কাজ তাঁকে দিয়ে হবে না। তাই শুরু করেন নিজের আগ্রহের জায়গা গেমিং প্ল্যাটফর্মের কাজ। মোবাইল ফোনের অ্যাপ ডেভেলপ দিয়ে শুরু করে পরে সফটওয়্যার ডেভেলপের কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবে ২০১০ সাল থেকে নিশার উদ্যোক্তা জীবনের শুরু। ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসা করতে করতে খেয়াল করেন, এমন অনেক নারীই আছেন যাঁরা প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও কাজ করতে পারছেন না। চাইলেই তাঁরা সংসারের হাল ধরতে পারছেন না। সে সময় নিশা ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সঙ্গে কাজ করছিলেন। তখন থেকেই নারীদের ই-কমার্স সেক্টরে কাজের সুযোগ নিয়ে ভাবতে থাকেন। নিজে কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই নারীদের জন্য এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার চিন্তা করলেন, যেখানে তাঁরা নিজেদের প্রতিভা কাজে লাগাতে পারেন।
উইয়ের যাত্রা শুরু
তুরস্কে এনটিএফের একটি নারীবিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশ নেন নিশা। সেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের নারীরা তাঁদের পণ্য নিয়ে হাজির হন এবং সেখানকার ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই ছিলেন নারী। মূলত সেখান থেকেই দেশের নারীদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির কথা মাথায় আসে নিশার। তত দিনে তিনি খেয়াল করেন, সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করতে গিয়েও বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। বুঝতে পারছেন না কোথায় বায়ার কিংবা সেলার পাবেন। ই-ক্যাবের তৎকালীন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেন বিষয়টি। এরপর ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর উইয়ের যাত্রা শুরু হয়।
আশীর্বাদ হয়ে আসে করোনা
করোনার সময় উই একটা নতুন মাত্রা পায়। তখন পরিবার বাঁচাতে অনেকেই ফেসবুক ঘিরে কিছু না কিছু করতে চাইছেন। সে সময় উই নারীদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসে। গ্রুপটি যেহেতু আগে থেকেই ছিল, তাই কাজটি সহজ হয়। পণ্য বিপণনের জন্য অনেকেই যুক্ত হতে থাকেন গ্রুপটিতে। কার্যক্রম বাড়তে থাকে। তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক ট্রলের শিকার হতে হয়েছিল নিশা এবং উইয়ের সদস্যদের। প্রতিদিনই বিভিন্ন নেতিবাচক জিনিস দেখতেন তিনি। কিন্তু হাল ছাড়েননি।
ধীরে ধীরে উই থেকে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। প্রথমে ঢাকাভিত্তিক হলেও পরে ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় কাজ করা শুরু করে উই। ধীরে ধীরে সারা দেশে এমনকি এখন বিদেশেও নানান আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। উইয়ের অফিসে প্রতিদিন ক্রেতা ও বিক্রেতার দেখা হয়। প্রায় ৫০ জন উদ্যোক্তা সেখানে তাঁদের পণ্য নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য। ক্রেতাদের আনা হয় উইয়ের পক্ষ থেকে।
উইয়ের সঙ্গে যুক্ত এমন অনেকেই আছেন যাঁদের পরিবার চায় না তাঁরা বাইরে কাজ করুন। সে ধরনের সদস্যরা উইকে নিজেদের ভরসার জায়গা মনে করেন।
উইকে আজকের অবস্থানে আনতে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে নিশাকে। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই উদ্যোগে তিনি পেয়েছিলেন জীবনসঙ্গীর সহায়তা। একসঙ্গে পথ চলতে চলতে ২০১৯ সালে তিনি হারান তাঁকে। উইয়ের সফলতার ভাগীদার হিসেবে তাই তাঁকে অস্বীকার করেন না নিশা। বলেন, ‘আমার পার্টনার আমাকে সব সময় বলতেন, ‘’তুমি উই কখনো ছেড়ে দিয়ো না।’’ আমি ওকে অনেক মিস করি। আমার আজকে এই অবস্থানে আসার পেছনে তাঁর অবদান অনেক।’

পাট দিয়ে শৌখিন জিনিস তৈরি করতেন নাসরিনের বাবা। করোনার সময় যখন তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তখন সংসারে সাহায্য করার কথা ভাবেন নাসরিন। বাবার তৈরি পণ্য দিয়েই শুরু করেন নিজের অনলাইন ব্যবসা। যুক্ত হন ফেসবুকের উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স (উই) নামের গ্রুপটির সঙ্গে। এই গ্রুপে এসে তাঁর ব্যবসা পেয়েছে নতুন মাত্রা।
নাসরিনের মতো অনেকেই আছেন যাঁরা নিজের পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য হাল ধরেছেন সফলভাবে। উই নামের গ্রুপটি তৈরি করা হয় সেই নারীদের জন্য, যাঁরা নিজে কিছু করতে চান। এর পেছনে আছে একজন নিশার পরিশ্রমের গল্প।
শুরুর গল্প
উইয়ের প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশার জন্ম ঢাকাতেই। বেড়ে ওঠা, বিয়ে এবং কর্মক্ষেত্র সবই ঢাকায়। নির্দিষ্ট করে বললে বনানীতে। একটি যৌথ পরিবারের সন্তান নিশার হাত ধরে উইয়ের বেড়ে ওঠার গল্পটা খুব সহজ ছিল না। মেয়েদের পড়াশোনার বিষয়ে পরিবারের মনোভাব খুব ভালো ছিল না। কিন্তু নিশার পড়ালেখা করার আগ্রহ ছিল প্রবল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছে থাকলেও বাসা থেকে তা দূরে হওয়ায় সেখানে পড়ার অনুমতি মেলেনি। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকেও কাজ করা নিয়ে ছিল আপত্তি। তবে নিশার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাবা ও স্বামীর সিদ্ধান্তে ২০০৫ সাল থেকে বাবার ব্যবসার দায়িত্ব বুঝে নেন নিশা।
ব্যবসাবদল
বাবার রিয়েল এস্টেট ব্যবসা দেখাশোনা করতে গিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই নিশা বুঝতে পারেন, সেই কাজ তাঁকে দিয়ে হবে না। তাই শুরু করেন নিজের আগ্রহের জায়গা গেমিং প্ল্যাটফর্মের কাজ। মোবাইল ফোনের অ্যাপ ডেভেলপ দিয়ে শুরু করে পরে সফটওয়্যার ডেভেলপের কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবে ২০১০ সাল থেকে নিশার উদ্যোক্তা জীবনের শুরু। ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসা করতে করতে খেয়াল করেন, এমন অনেক নারীই আছেন যাঁরা প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও কাজ করতে পারছেন না। চাইলেই তাঁরা সংসারের হাল ধরতে পারছেন না। সে সময় নিশা ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সঙ্গে কাজ করছিলেন। তখন থেকেই নারীদের ই-কমার্স সেক্টরে কাজের সুযোগ নিয়ে ভাবতে থাকেন। নিজে কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই নারীদের জন্য এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার চিন্তা করলেন, যেখানে তাঁরা নিজেদের প্রতিভা কাজে লাগাতে পারেন।
উইয়ের যাত্রা শুরু
তুরস্কে এনটিএফের একটি নারীবিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশ নেন নিশা। সেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের নারীরা তাঁদের পণ্য নিয়ে হাজির হন এবং সেখানকার ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই ছিলেন নারী। মূলত সেখান থেকেই দেশের নারীদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির কথা মাথায় আসে নিশার। তত দিনে তিনি খেয়াল করেন, সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করতে গিয়েও বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। বুঝতে পারছেন না কোথায় বায়ার কিংবা সেলার পাবেন। ই-ক্যাবের তৎকালীন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেন বিষয়টি। এরপর ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর উইয়ের যাত্রা শুরু হয়।
আশীর্বাদ হয়ে আসে করোনা
করোনার সময় উই একটা নতুন মাত্রা পায়। তখন পরিবার বাঁচাতে অনেকেই ফেসবুক ঘিরে কিছু না কিছু করতে চাইছেন। সে সময় উই নারীদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসে। গ্রুপটি যেহেতু আগে থেকেই ছিল, তাই কাজটি সহজ হয়। পণ্য বিপণনের জন্য অনেকেই যুক্ত হতে থাকেন গ্রুপটিতে। কার্যক্রম বাড়তে থাকে। তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক ট্রলের শিকার হতে হয়েছিল নিশা এবং উইয়ের সদস্যদের। প্রতিদিনই বিভিন্ন নেতিবাচক জিনিস দেখতেন তিনি। কিন্তু হাল ছাড়েননি।
ধীরে ধীরে উই থেকে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। প্রথমে ঢাকাভিত্তিক হলেও পরে ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় কাজ করা শুরু করে উই। ধীরে ধীরে সারা দেশে এমনকি এখন বিদেশেও নানান আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। উইয়ের অফিসে প্রতিদিন ক্রেতা ও বিক্রেতার দেখা হয়। প্রায় ৫০ জন উদ্যোক্তা সেখানে তাঁদের পণ্য নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য। ক্রেতাদের আনা হয় উইয়ের পক্ষ থেকে।
উইয়ের সঙ্গে যুক্ত এমন অনেকেই আছেন যাঁদের পরিবার চায় না তাঁরা বাইরে কাজ করুন। সে ধরনের সদস্যরা উইকে নিজেদের ভরসার জায়গা মনে করেন।
উইকে আজকের অবস্থানে আনতে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে নিশাকে। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই উদ্যোগে তিনি পেয়েছিলেন জীবনসঙ্গীর সহায়তা। একসঙ্গে পথ চলতে চলতে ২০১৯ সালে তিনি হারান তাঁকে। উইয়ের সফলতার ভাগীদার হিসেবে তাই তাঁকে অস্বীকার করেন না নিশা। বলেন, ‘আমার পার্টনার আমাকে সব সময় বলতেন, ‘’তুমি উই কখনো ছেড়ে দিয়ো না।’’ আমি ওকে অনেক মিস করি। আমার আজকে এই অবস্থানে আসার পেছনে তাঁর অবদান অনেক।’
কাশফিয়া আলম ঝিলিক

পাট দিয়ে শৌখিন জিনিস তৈরি করতেন নাসরিনের বাবা। করোনার সময় যখন তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তখন সংসারে সাহায্য করার কথা ভাবেন নাসরিন। বাবার তৈরি পণ্য দিয়েই শুরু করেন নিজের অনলাইন ব্যবসা। যুক্ত হন ফেসবুকের উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স (উই) নামের গ্রুপটির সঙ্গে। এই গ্রুপে এসে তাঁর ব্যবসা পেয়েছে নতুন মাত্রা।
নাসরিনের মতো অনেকেই আছেন যাঁরা নিজের পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য হাল ধরেছেন সফলভাবে। উই নামের গ্রুপটি তৈরি করা হয় সেই নারীদের জন্য, যাঁরা নিজে কিছু করতে চান। এর পেছনে আছে একজন নিশার পরিশ্রমের গল্প।
শুরুর গল্প
উইয়ের প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশার জন্ম ঢাকাতেই। বেড়ে ওঠা, বিয়ে এবং কর্মক্ষেত্র সবই ঢাকায়। নির্দিষ্ট করে বললে বনানীতে। একটি যৌথ পরিবারের সন্তান নিশার হাত ধরে উইয়ের বেড়ে ওঠার গল্পটা খুব সহজ ছিল না। মেয়েদের পড়াশোনার বিষয়ে পরিবারের মনোভাব খুব ভালো ছিল না। কিন্তু নিশার পড়ালেখা করার আগ্রহ ছিল প্রবল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছে থাকলেও বাসা থেকে তা দূরে হওয়ায় সেখানে পড়ার অনুমতি মেলেনি। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকেও কাজ করা নিয়ে ছিল আপত্তি। তবে নিশার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাবা ও স্বামীর সিদ্ধান্তে ২০০৫ সাল থেকে বাবার ব্যবসার দায়িত্ব বুঝে নেন নিশা।
ব্যবসাবদল
বাবার রিয়েল এস্টেট ব্যবসা দেখাশোনা করতে গিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই নিশা বুঝতে পারেন, সেই কাজ তাঁকে দিয়ে হবে না। তাই শুরু করেন নিজের আগ্রহের জায়গা গেমিং প্ল্যাটফর্মের কাজ। মোবাইল ফোনের অ্যাপ ডেভেলপ দিয়ে শুরু করে পরে সফটওয়্যার ডেভেলপের কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবে ২০১০ সাল থেকে নিশার উদ্যোক্তা জীবনের শুরু। ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসা করতে করতে খেয়াল করেন, এমন অনেক নারীই আছেন যাঁরা প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও কাজ করতে পারছেন না। চাইলেই তাঁরা সংসারের হাল ধরতে পারছেন না। সে সময় নিশা ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সঙ্গে কাজ করছিলেন। তখন থেকেই নারীদের ই-কমার্স সেক্টরে কাজের সুযোগ নিয়ে ভাবতে থাকেন। নিজে কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই নারীদের জন্য এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার চিন্তা করলেন, যেখানে তাঁরা নিজেদের প্রতিভা কাজে লাগাতে পারেন।
উইয়ের যাত্রা শুরু
তুরস্কে এনটিএফের একটি নারীবিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশ নেন নিশা। সেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের নারীরা তাঁদের পণ্য নিয়ে হাজির হন এবং সেখানকার ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই ছিলেন নারী। মূলত সেখান থেকেই দেশের নারীদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির কথা মাথায় আসে নিশার। তত দিনে তিনি খেয়াল করেন, সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করতে গিয়েও বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। বুঝতে পারছেন না কোথায় বায়ার কিংবা সেলার পাবেন। ই-ক্যাবের তৎকালীন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেন বিষয়টি। এরপর ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর উইয়ের যাত্রা শুরু হয়।
আশীর্বাদ হয়ে আসে করোনা
করোনার সময় উই একটা নতুন মাত্রা পায়। তখন পরিবার বাঁচাতে অনেকেই ফেসবুক ঘিরে কিছু না কিছু করতে চাইছেন। সে সময় উই নারীদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসে। গ্রুপটি যেহেতু আগে থেকেই ছিল, তাই কাজটি সহজ হয়। পণ্য বিপণনের জন্য অনেকেই যুক্ত হতে থাকেন গ্রুপটিতে। কার্যক্রম বাড়তে থাকে। তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক ট্রলের শিকার হতে হয়েছিল নিশা এবং উইয়ের সদস্যদের। প্রতিদিনই বিভিন্ন নেতিবাচক জিনিস দেখতেন তিনি। কিন্তু হাল ছাড়েননি।
ধীরে ধীরে উই থেকে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। প্রথমে ঢাকাভিত্তিক হলেও পরে ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় কাজ করা শুরু করে উই। ধীরে ধীরে সারা দেশে এমনকি এখন বিদেশেও নানান আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। উইয়ের অফিসে প্রতিদিন ক্রেতা ও বিক্রেতার দেখা হয়। প্রায় ৫০ জন উদ্যোক্তা সেখানে তাঁদের পণ্য নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য। ক্রেতাদের আনা হয় উইয়ের পক্ষ থেকে।
উইয়ের সঙ্গে যুক্ত এমন অনেকেই আছেন যাঁদের পরিবার চায় না তাঁরা বাইরে কাজ করুন। সে ধরনের সদস্যরা উইকে নিজেদের ভরসার জায়গা মনে করেন।
উইকে আজকের অবস্থানে আনতে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে নিশাকে। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই উদ্যোগে তিনি পেয়েছিলেন জীবনসঙ্গীর সহায়তা। একসঙ্গে পথ চলতে চলতে ২০১৯ সালে তিনি হারান তাঁকে। উইয়ের সফলতার ভাগীদার হিসেবে তাই তাঁকে অস্বীকার করেন না নিশা। বলেন, ‘আমার পার্টনার আমাকে সব সময় বলতেন, ‘’তুমি উই কখনো ছেড়ে দিয়ো না।’’ আমি ওকে অনেক মিস করি। আমার আজকে এই অবস্থানে আসার পেছনে তাঁর অবদান অনেক।’

পাট দিয়ে শৌখিন জিনিস তৈরি করতেন নাসরিনের বাবা। করোনার সময় যখন তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তখন সংসারে সাহায্য করার কথা ভাবেন নাসরিন। বাবার তৈরি পণ্য দিয়েই শুরু করেন নিজের অনলাইন ব্যবসা। যুক্ত হন ফেসবুকের উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স (উই) নামের গ্রুপটির সঙ্গে। এই গ্রুপে এসে তাঁর ব্যবসা পেয়েছে নতুন মাত্রা।
নাসরিনের মতো অনেকেই আছেন যাঁরা নিজের পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য হাল ধরেছেন সফলভাবে। উই নামের গ্রুপটি তৈরি করা হয় সেই নারীদের জন্য, যাঁরা নিজে কিছু করতে চান। এর পেছনে আছে একজন নিশার পরিশ্রমের গল্প।
শুরুর গল্প
উইয়ের প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশার জন্ম ঢাকাতেই। বেড়ে ওঠা, বিয়ে এবং কর্মক্ষেত্র সবই ঢাকায়। নির্দিষ্ট করে বললে বনানীতে। একটি যৌথ পরিবারের সন্তান নিশার হাত ধরে উইয়ের বেড়ে ওঠার গল্পটা খুব সহজ ছিল না। মেয়েদের পড়াশোনার বিষয়ে পরিবারের মনোভাব খুব ভালো ছিল না। কিন্তু নিশার পড়ালেখা করার আগ্রহ ছিল প্রবল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছে থাকলেও বাসা থেকে তা দূরে হওয়ায় সেখানে পড়ার অনুমতি মেলেনি। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকেও কাজ করা নিয়ে ছিল আপত্তি। তবে নিশার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাবা ও স্বামীর সিদ্ধান্তে ২০০৫ সাল থেকে বাবার ব্যবসার দায়িত্ব বুঝে নেন নিশা।
ব্যবসাবদল
বাবার রিয়েল এস্টেট ব্যবসা দেখাশোনা করতে গিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই নিশা বুঝতে পারেন, সেই কাজ তাঁকে দিয়ে হবে না। তাই শুরু করেন নিজের আগ্রহের জায়গা গেমিং প্ল্যাটফর্মের কাজ। মোবাইল ফোনের অ্যাপ ডেভেলপ দিয়ে শুরু করে পরে সফটওয়্যার ডেভেলপের কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবে ২০১০ সাল থেকে নিশার উদ্যোক্তা জীবনের শুরু। ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসা করতে করতে খেয়াল করেন, এমন অনেক নারীই আছেন যাঁরা প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও কাজ করতে পারছেন না। চাইলেই তাঁরা সংসারের হাল ধরতে পারছেন না। সে সময় নিশা ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সঙ্গে কাজ করছিলেন। তখন থেকেই নারীদের ই-কমার্স সেক্টরে কাজের সুযোগ নিয়ে ভাবতে থাকেন। নিজে কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই নারীদের জন্য এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার চিন্তা করলেন, যেখানে তাঁরা নিজেদের প্রতিভা কাজে লাগাতে পারেন।
উইয়ের যাত্রা শুরু
তুরস্কে এনটিএফের একটি নারীবিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশ নেন নিশা। সেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের নারীরা তাঁদের পণ্য নিয়ে হাজির হন এবং সেখানকার ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই ছিলেন নারী। মূলত সেখান থেকেই দেশের নারীদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির কথা মাথায় আসে নিশার। তত দিনে তিনি খেয়াল করেন, সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করতে গিয়েও বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। বুঝতে পারছেন না কোথায় বায়ার কিংবা সেলার পাবেন। ই-ক্যাবের তৎকালীন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেন বিষয়টি। এরপর ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর উইয়ের যাত্রা শুরু হয়।
আশীর্বাদ হয়ে আসে করোনা
করোনার সময় উই একটা নতুন মাত্রা পায়। তখন পরিবার বাঁচাতে অনেকেই ফেসবুক ঘিরে কিছু না কিছু করতে চাইছেন। সে সময় উই নারীদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসে। গ্রুপটি যেহেতু আগে থেকেই ছিল, তাই কাজটি সহজ হয়। পণ্য বিপণনের জন্য অনেকেই যুক্ত হতে থাকেন গ্রুপটিতে। কার্যক্রম বাড়তে থাকে। তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক ট্রলের শিকার হতে হয়েছিল নিশা এবং উইয়ের সদস্যদের। প্রতিদিনই বিভিন্ন নেতিবাচক জিনিস দেখতেন তিনি। কিন্তু হাল ছাড়েননি।
ধীরে ধীরে উই থেকে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। প্রথমে ঢাকাভিত্তিক হলেও পরে ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় কাজ করা শুরু করে উই। ধীরে ধীরে সারা দেশে এমনকি এখন বিদেশেও নানান আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। উইয়ের অফিসে প্রতিদিন ক্রেতা ও বিক্রেতার দেখা হয়। প্রায় ৫০ জন উদ্যোক্তা সেখানে তাঁদের পণ্য নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য। ক্রেতাদের আনা হয় উইয়ের পক্ষ থেকে।
উইয়ের সঙ্গে যুক্ত এমন অনেকেই আছেন যাঁদের পরিবার চায় না তাঁরা বাইরে কাজ করুন। সে ধরনের সদস্যরা উইকে নিজেদের ভরসার জায়গা মনে করেন।
উইকে আজকের অবস্থানে আনতে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে নিশাকে। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই উদ্যোগে তিনি পেয়েছিলেন জীবনসঙ্গীর সহায়তা। একসঙ্গে পথ চলতে চলতে ২০১৯ সালে তিনি হারান তাঁকে। উইয়ের সফলতার ভাগীদার হিসেবে তাই তাঁকে অস্বীকার করেন না নিশা। বলেন, ‘আমার পার্টনার আমাকে সব সময় বলতেন, ‘’তুমি উই কখনো ছেড়ে দিয়ো না।’’ আমি ওকে অনেক মিস করি। আমার আজকে এই অবস্থানে আসার পেছনে তাঁর অবদান অনেক।’

নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আলাদা বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায় সংগঠনগুলো।
৪ দিন আগে
বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি।
৫ দিন আগে
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
৬ দিন আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আলাদা বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায় সংগঠনগুলো। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হয়ে বেগম রোকেয়াকে নিয়ে ঘৃণা প্রচারমূলক ও নারীবিদ্বেষী বক্তব্য রাষ্ট্রীয় আইন এবং পেশাগত নীতিবোধের চরম লঙ্ঘন বলে মনে করে সংগঠনগুলো।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবসে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সমাজ সংস্কারক মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ-কাফির’ আখ্যায়িত করে পোস্ট দেন। এর নিন্দা জানিয়ে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘বাংলা ও বাঙালি নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া, যাঁর অবদান আমাদের শিক্ষা, সমাজচিন্তা ও মনন গঠনের ভিত্তি। তাঁকে নিয়ে এমন বিদ্বেষপূর্ণ ও উসকানিমূলক মন্তব্য কেবল নিন্দনীয়ই নয়, এটি নারীর মর্যাদার ওপর সরাসরি আক্রমণ। একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, যিনি নিজেদের পেশার নৈতিকতা, শালীনতা এবং প্রগতিশীল চেতনার প্রতীক হওয়ার কথা, তাঁর কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বজ্ঞানহীন, ঘৃণা প্রচারমূলক ও নারীবিদ্বেষী বক্তব্য পেশাগত নীতিবোধের চরম লঙ্ঘন।’
আসক মনে করে, ‘এ ধরনের মন্তব্য ব্যক্তিগত দায়িত্বহীনতার সীমা ছাড়িয়ে সমাজে বিভাজন, নারীবিদ্বেষী ও ঘৃণামূলক বক্তব্যকে উসকে দেয়। যা মানবাধিকার মানদণ্ড, রাষ্ট্রীয় আইন এবং একাডেমিক নৈতিকতার সরাসরি লঙ্ঘন। বেগম রোকেয়া শুধুই একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব নন, তিনি বাঙালি নারীর মুক্তি আন্দোলনের ভিত্তি। তাঁকে অবমাননা করা মানে বাঙালির সামষ্টিক অগ্রযাত্রাকে আঘাত করা।’
নারী অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ তাদের বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানিয়েছে। সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যারা ধর্মের অপব্যাখ্যার ওপর ভর করে নারীদের সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষক তাদেরই একজন। রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৫০ বছর আগে নারী মুক্তির যে স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন, তাঁর আদর্শ এখনো প্রাসঙ্গিক হওয়ায় নারী প্রগতিবিরোধী একটি গোষ্ঠী তাঁকে ভয় পায়। রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে যখন দেশের মেয়েরা সকল ক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখন শিক্ষক নামধারী একজন ব্যক্তির এই অপপ্রচার, তার শিক্ষকতার যোগ্যতা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।’
মহিলা পরিষদ মনে করে, ‘যখন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রোকেয়া দিবস পালন করা হচ্ছে, রোকেয়া পদকের প্রবর্তন করা হয়েছে, তখন এ ধরনের অপপ্রচার রাষ্ট্রীয় নীতিবিরোধী কাজ। এ ধরনের অপচেষ্টা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে নারীর অগ্রযাত্রা প্রতিহত করার একটি ষড়যন্ত্র এবং দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপতৎপরতা। এই অপপ্রচার সুস্থ সমাজ গঠনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। সমাজের মধ্যে বসবাসকারী নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর এ ধরনের সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড সম্মিলিতভাবে এখনই প্রতিহত করা দরকার।’
নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন নারীপক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বেগম রোকেয়া কখনোই ধর্মবিদ্বেষী ছিলেন না। বরং তিনি আজীবন অন্ধ কুসংস্কার, বৈষম্য ও অজ্ঞতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। ধর্মের ব্যবহার করে নারীকে অসম্মান-অপদস্থ করা, নারীর অধিকার খর্ব করা এবং নারীকে চার দেয়ালের অন্ধকারে আবদ্ধ করে রাখার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন।’
নারীপক্ষের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কাউকে অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে ধর্মীয় শব্দ-বাক্য ব্যবহার করা অন্যায় এবং সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়। রোকেয়াসহ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কোনো মানুষের প্রতিই এমন বক্তব্য ও আচরণের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানায় নারীপক্ষ।’

নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আলাদা বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায় সংগঠনগুলো। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হয়ে বেগম রোকেয়াকে নিয়ে ঘৃণা প্রচারমূলক ও নারীবিদ্বেষী বক্তব্য রাষ্ট্রীয় আইন এবং পেশাগত নীতিবোধের চরম লঙ্ঘন বলে মনে করে সংগঠনগুলো।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবসে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সমাজ সংস্কারক মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ-কাফির’ আখ্যায়িত করে পোস্ট দেন। এর নিন্দা জানিয়ে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘বাংলা ও বাঙালি নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া, যাঁর অবদান আমাদের শিক্ষা, সমাজচিন্তা ও মনন গঠনের ভিত্তি। তাঁকে নিয়ে এমন বিদ্বেষপূর্ণ ও উসকানিমূলক মন্তব্য কেবল নিন্দনীয়ই নয়, এটি নারীর মর্যাদার ওপর সরাসরি আক্রমণ। একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, যিনি নিজেদের পেশার নৈতিকতা, শালীনতা এবং প্রগতিশীল চেতনার প্রতীক হওয়ার কথা, তাঁর কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বজ্ঞানহীন, ঘৃণা প্রচারমূলক ও নারীবিদ্বেষী বক্তব্য পেশাগত নীতিবোধের চরম লঙ্ঘন।’
আসক মনে করে, ‘এ ধরনের মন্তব্য ব্যক্তিগত দায়িত্বহীনতার সীমা ছাড়িয়ে সমাজে বিভাজন, নারীবিদ্বেষী ও ঘৃণামূলক বক্তব্যকে উসকে দেয়। যা মানবাধিকার মানদণ্ড, রাষ্ট্রীয় আইন এবং একাডেমিক নৈতিকতার সরাসরি লঙ্ঘন। বেগম রোকেয়া শুধুই একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব নন, তিনি বাঙালি নারীর মুক্তি আন্দোলনের ভিত্তি। তাঁকে অবমাননা করা মানে বাঙালির সামষ্টিক অগ্রযাত্রাকে আঘাত করা।’
নারী অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ তাদের বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানিয়েছে। সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যারা ধর্মের অপব্যাখ্যার ওপর ভর করে নারীদের সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষক তাদেরই একজন। রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৫০ বছর আগে নারী মুক্তির যে স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন, তাঁর আদর্শ এখনো প্রাসঙ্গিক হওয়ায় নারী প্রগতিবিরোধী একটি গোষ্ঠী তাঁকে ভয় পায়। রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে যখন দেশের মেয়েরা সকল ক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখন শিক্ষক নামধারী একজন ব্যক্তির এই অপপ্রচার, তার শিক্ষকতার যোগ্যতা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।’
মহিলা পরিষদ মনে করে, ‘যখন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রোকেয়া দিবস পালন করা হচ্ছে, রোকেয়া পদকের প্রবর্তন করা হয়েছে, তখন এ ধরনের অপপ্রচার রাষ্ট্রীয় নীতিবিরোধী কাজ। এ ধরনের অপচেষ্টা স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে নারীর অগ্রযাত্রা প্রতিহত করার একটি ষড়যন্ত্র এবং দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপতৎপরতা। এই অপপ্রচার সুস্থ সমাজ গঠনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। সমাজের মধ্যে বসবাসকারী নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠীর এ ধরনের সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড সম্মিলিতভাবে এখনই প্রতিহত করা দরকার।’
নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন নারীপক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বেগম রোকেয়া কখনোই ধর্মবিদ্বেষী ছিলেন না। বরং তিনি আজীবন অন্ধ কুসংস্কার, বৈষম্য ও অজ্ঞতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। ধর্মের ব্যবহার করে নারীকে অসম্মান-অপদস্থ করা, নারীর অধিকার খর্ব করা এবং নারীকে চার দেয়ালের অন্ধকারে আবদ্ধ করে রাখার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন।’
নারীপক্ষের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কাউকে অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে ধর্মীয় শব্দ-বাক্য ব্যবহার করা অন্যায় এবং সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়। রোকেয়াসহ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কোনো মানুষের প্রতিই এমন বক্তব্য ও আচরণের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানায় নারীপক্ষ।’

পাট দিয়ে শৌখিন জিনিস তৈরি করতেন নাসরিনের বাবা। করোনার সময় যখন তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তখন সংসারে সাহায্য করার কথা ভাবেন নাসরিন। বাবার তৈরি পণ্য দিয়েই শুরু করেন নিজের অনলাইন ব্যবসা। যুক্ত হন ফেসবুকের উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স (উই) নামের গ্রুপটির সঙ্গে।
০৭ জুন ২০২৩
বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি।
৫ দিন আগে
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
৬ দিন আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি। বিখ্যাত চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।
গত মঙ্গলবার গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়েছে। ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের তথ্য নিয়ে এ গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, এমন সহিংসতার কারণে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এইডস এবং অন্যান্য ক্রনিক রোগের সংক্রমণের হারও বেশি।
এই গবেষণার জন্য ২০২৩ সালের ‘গ্লোবাল বার্ডেন ডিজিজের’ (জিবিডি) তথ্য নেওয়া হয়েছে। গবেষণায় যুক্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনসহ ৬০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। ল্যানসেটের ওই গবেষণায় বলা হচ্ছে, জীবনসঙ্গীর ওপর চালানো নির্যাতন ও শিশুদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন সহিংসতা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম একটি উপায়। এটি সমাজে এবং ভুক্তভোগীদের ওপর দীর্ঘ মেয়াদে প্রভাব ফেলছে। এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব ভয়ংকর।
তবে এটি জানার পরও বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিকারে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
এই নিয়ে ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, এমন সহিসংতার কারণে ভুক্তভোগীরা যে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি ও প্রতিবন্ধিতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এর চিত্র উঠে এসেছে গবেষণায়। নারীরা যে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছেন এর অন্যতম আটটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ বিষণ্নতা ও উদ্বেগজনিত রোগ। সহিংসতার শিকার নারীরা এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে তাদের অনেকে প্রতিবন্ধিতা বরণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ছাড়া শিশুরা যারা এমন যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে, তারা মানসিক এবং এইডস, ডায়াবেটিসসহ ক্রনিক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এদিকে জীবনসঙ্গীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বিশ্বজুড়ে ২০২৩ সালে মারা গেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে অনেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। অনেকে আত্মহত্যা করেছে। আবার নির্যাতনের কারণে এইডসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কেউ কেউ। ল্যানসেট বলছে, ২০২৩ সালে ৩০ হাজার নারীকে হত্যা করেছেন তাঁর সঙ্গী। ২০২৩ সালে যৌন সহিংসতার কারণে মারা গেছে ২ লাখ ৯০ হাজার শিশু। এর একটি বড় অংশ আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া এইডস, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে অনেকে। এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণও ছিল যৌন সহিংসতা।
দক্ষিণ এশিয়ায় এখন যাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, যারা শৈশবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাঁদের অনেকের মধ্যে আত্মঘাতী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। অনেকে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর নারীরা যাঁরা কিনা শৈশবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুশ্চিন্তাজনিত রোগ বেড়েছে।
ল্যানসেটের এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের সহকারী অধ্যাপক লুইসা সোরিও ফ্লোর। তিনি বলেন, শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে দীর্ঘ সময় ধরে যেভাবে সমাজ দেখে আসছে, নতুন এই গবেষণা সেটাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। এমন ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা কী, সেটাও সামনে এনেছে।

বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি। বিখ্যাত চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।
গত মঙ্গলবার গবেষণাটি প্রকাশ করা হয়েছে। ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের তথ্য নিয়ে এ গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, এমন সহিংসতার কারণে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এইডস এবং অন্যান্য ক্রনিক রোগের সংক্রমণের হারও বেশি।
এই গবেষণার জন্য ২০২৩ সালের ‘গ্লোবাল বার্ডেন ডিজিজের’ (জিবিডি) তথ্য নেওয়া হয়েছে। গবেষণায় যুক্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনসহ ৬০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। ল্যানসেটের ওই গবেষণায় বলা হচ্ছে, জীবনসঙ্গীর ওপর চালানো নির্যাতন ও শিশুদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন সহিংসতা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম একটি উপায়। এটি সমাজে এবং ভুক্তভোগীদের ওপর দীর্ঘ মেয়াদে প্রভাব ফেলছে। এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব ভয়ংকর।
তবে এটি জানার পরও বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিকারে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
এই নিয়ে ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, এমন সহিসংতার কারণে ভুক্তভোগীরা যে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি ও প্রতিবন্ধিতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এর চিত্র উঠে এসেছে গবেষণায়। নারীরা যে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছেন এর অন্যতম আটটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ বিষণ্নতা ও উদ্বেগজনিত রোগ। সহিংসতার শিকার নারীরা এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে তাদের অনেকে প্রতিবন্ধিতা বরণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ছাড়া শিশুরা যারা এমন যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে, তারা মানসিক এবং এইডস, ডায়াবেটিসসহ ক্রনিক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এদিকে জীবনসঙ্গীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বিশ্বজুড়ে ২০২৩ সালে মারা গেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে অনেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। অনেকে আত্মহত্যা করেছে। আবার নির্যাতনের কারণে এইডসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কেউ কেউ। ল্যানসেট বলছে, ২০২৩ সালে ৩০ হাজার নারীকে হত্যা করেছেন তাঁর সঙ্গী। ২০২৩ সালে যৌন সহিংসতার কারণে মারা গেছে ২ লাখ ৯০ হাজার শিশু। এর একটি বড় অংশ আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া এইডস, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে অনেকে। এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণও ছিল যৌন সহিংসতা।
দক্ষিণ এশিয়ায় এখন যাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ, যারা শৈশবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাঁদের অনেকের মধ্যে আত্মঘাতী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। অনেকে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর নারীরা যাঁরা কিনা শৈশবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুশ্চিন্তাজনিত রোগ বেড়েছে।
ল্যানসেটের এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের সহকারী অধ্যাপক লুইসা সোরিও ফ্লোর। তিনি বলেন, শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে দীর্ঘ সময় ধরে যেভাবে সমাজ দেখে আসছে, নতুন এই গবেষণা সেটাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। এমন ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা কী, সেটাও সামনে এনেছে।

পাট দিয়ে শৌখিন জিনিস তৈরি করতেন নাসরিনের বাবা। করোনার সময় যখন তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তখন সংসারে সাহায্য করার কথা ভাবেন নাসরিন। বাবার তৈরি পণ্য দিয়েই শুরু করেন নিজের অনলাইন ব্যবসা। যুক্ত হন ফেসবুকের উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স (উই) নামের গ্রুপটির সঙ্গে।
০৭ জুন ২০২৩
নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আলাদা বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায় সংগঠনগুলো।
৪ দিন আগে
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
৬ দিন আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৬ দিন আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছিলেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।
মা, বাবা, ভাই, ভাবি এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মাহমুদার পরিবার। সেখানে আর কেউ ছবি তোলে না; তাই ফটোগ্রাফি নিয়ে তাঁর যে জগৎ, সেটি পুরোপুরি নিজের হাতে গড়া। একাকী এই পথচলাই যেন তাঁকে আরও বিশেষ মনোযোগী করে তুলেছে, আরও অনুপ্রাণিত করেছে।
শুরুটা খুব সাধারণ, তারপরও বিশেষ
‘সুন্দর মুহূর্ত ধরে রাখতে ভালো লাগে’—এমনই এক সাধারণ অনুভূতি থেকে মাহমুদা ছবি তুলতে শুরু করেন। সময়কে কেউ থামাতে পারে না। কিন্তু ছবি সেই সময়ের ছাপকে ধরে রাখতে পারে। এই টান থেকে তাঁর ফটোগ্রাফির যাত্রা।
প্রথম ক্যামেরা? ক্যামেরা বলা যাবে না। কারণ, এখন পর্যন্ত তিনি মোবাইল ফোন দিয়েই ছবি তোলেন। এই মোবাইল যেন তাঁর হাতে এক জাদুর বাক্স।

স্বীকৃতির প্রথম ধাপ
মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা তাঁর ছবি প্রথমবার জায়গা করে নেয় ‘তরুণেরাই পরিবর্তনের প্রভাবক’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল প্রদর্শনী। সেখান থেকে তিনি পেয়েছেন একটি সার্টিফিকেট। এটি তাঁর কাছে শুধু একটি কাগজ নয়, নিজেকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার সাহস।
অনলাইন প্রতিযোগিতায় তাঁর সাফল্য রয়েছে। ‘প্রাণোচ্ছ্বাস আত্মসেবা নয়, মানবসেবা’-এর ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ফটোগ্রাফি কনটেস্টে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন।

যেসব ছবি ছুঁয়ে যায়
প্রিয় ছবির কথা উঠলে তিনি স্মরণ করেন এই নভেম্বরের এক ভোরের স্মৃতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াশাঘেরা পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখেছিলেন, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে কুয়াশা, ভোরের ঠান্ডা, নিস্তব্ধতা আর দুই বন্ধুর পথচলার মিষ্টি স্মৃতি। তিনি মোবাইল ফোনে মুহূর্তটাকে বন্দী করেছিলেন।
ভয়ের দিক
যে কাজ মানুষকে আনন্দ দেয়, সেটির পেছনেও ভয় থাকে। মাহমুদার ভয় খুব সাধারণ, কিন্তু বাস্তব। তা হলো, সব সময় অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা যায় না। কেউ যদি বিরক্ত হয়! কেউ রাগ করলে? এসব মাঝে মাঝে তাঁকে থামিয়ে দেয়।

নারী ফটোগ্রাফার হওয়ার বাড়তি চ্যালেঞ্জ
বাইরের মানুষ বাজে কথা না বললেও অনেক জায়গায় শুনতে হয়, মেয়ে হয়ে ছবি তুলছেন? বিষয়টি সবাই ভালো চোখে দেখে না। তার ওপর বিশেষ চ্যালেঞ্জ হলো, বাড়ির লোকজন এখনো জানেই না, তিনি ছবি তোলেন! তাই নিজের ভালোবাসার কাজটুকু তাঁকে চুপিচুপি, নিজের মতো করে করতে হয়।
পাখির ছবি, প্রকৃতির ছবি
মাহমুদার ভালো লাগে ল্যান্ডস্কেপ, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও পোর্ট্রেট। বারান্দায় এসে ডেকে ওঠা শালিক পাখিগুলো তাঁর ছবি তোলার নিয়মিত বিষয়। খেলা করতে করতে শালিকদের যে স্বচ্ছন্দ ভঙ্গি, সেগুলো তিনি ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টা করেন।

অভাববোধ করেন একজন গাইডের
মাহমুদার বড় আফসোস, কেউ নেই যিনি বলে দেবেন, কোন ছবি ভালো, কোনটা নয়, কোথায় ভুল, কীভাবে আরও ভালো হওয়া যায়। একজন অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে পথনির্দেশনা পেলে তিনি বিশ্বাস করেন, গল্প আরও গভীরভাবে বলতে পারবেন।
স্বপ্ন এখনো চলমান
একদিন চাকরি হবে, ব্যস্ততা তখন নিশ্চয় বাড়বে। কিন্তু ছবি তোলার নেশা কখনো হারিয়ে যাবে না। সুযোগ পেলে নিজের একটি ক্যামেরা কিনবেন; তখন আরও দক্ষভাবে, আরও গল্পময় ছবি তুলবেন। নতুন নতুন গল্পের সন্ধানে পথচলা অব্যাহত থাকবে— মাহমুদার স্বপ্ন আপাতত এতটুকুই।

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছিলেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।
মা, বাবা, ভাই, ভাবি এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মাহমুদার পরিবার। সেখানে আর কেউ ছবি তোলে না; তাই ফটোগ্রাফি নিয়ে তাঁর যে জগৎ, সেটি পুরোপুরি নিজের হাতে গড়া। একাকী এই পথচলাই যেন তাঁকে আরও বিশেষ মনোযোগী করে তুলেছে, আরও অনুপ্রাণিত করেছে।
শুরুটা খুব সাধারণ, তারপরও বিশেষ
‘সুন্দর মুহূর্ত ধরে রাখতে ভালো লাগে’—এমনই এক সাধারণ অনুভূতি থেকে মাহমুদা ছবি তুলতে শুরু করেন। সময়কে কেউ থামাতে পারে না। কিন্তু ছবি সেই সময়ের ছাপকে ধরে রাখতে পারে। এই টান থেকে তাঁর ফটোগ্রাফির যাত্রা।
প্রথম ক্যামেরা? ক্যামেরা বলা যাবে না। কারণ, এখন পর্যন্ত তিনি মোবাইল ফোন দিয়েই ছবি তোলেন। এই মোবাইল যেন তাঁর হাতে এক জাদুর বাক্স।

স্বীকৃতির প্রথম ধাপ
মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা তাঁর ছবি প্রথমবার জায়গা করে নেয় ‘তরুণেরাই পরিবর্তনের প্রভাবক’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল প্রদর্শনী। সেখান থেকে তিনি পেয়েছেন একটি সার্টিফিকেট। এটি তাঁর কাছে শুধু একটি কাগজ নয়, নিজেকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার সাহস।
অনলাইন প্রতিযোগিতায় তাঁর সাফল্য রয়েছে। ‘প্রাণোচ্ছ্বাস আত্মসেবা নয়, মানবসেবা’-এর ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ফটোগ্রাফি কনটেস্টে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন।

যেসব ছবি ছুঁয়ে যায়
প্রিয় ছবির কথা উঠলে তিনি স্মরণ করেন এই নভেম্বরের এক ভোরের স্মৃতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াশাঘেরা পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখেছিলেন, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে কুয়াশা, ভোরের ঠান্ডা, নিস্তব্ধতা আর দুই বন্ধুর পথচলার মিষ্টি স্মৃতি। তিনি মোবাইল ফোনে মুহূর্তটাকে বন্দী করেছিলেন।
ভয়ের দিক
যে কাজ মানুষকে আনন্দ দেয়, সেটির পেছনেও ভয় থাকে। মাহমুদার ভয় খুব সাধারণ, কিন্তু বাস্তব। তা হলো, সব সময় অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা যায় না। কেউ যদি বিরক্ত হয়! কেউ রাগ করলে? এসব মাঝে মাঝে তাঁকে থামিয়ে দেয়।

নারী ফটোগ্রাফার হওয়ার বাড়তি চ্যালেঞ্জ
বাইরের মানুষ বাজে কথা না বললেও অনেক জায়গায় শুনতে হয়, মেয়ে হয়ে ছবি তুলছেন? বিষয়টি সবাই ভালো চোখে দেখে না। তার ওপর বিশেষ চ্যালেঞ্জ হলো, বাড়ির লোকজন এখনো জানেই না, তিনি ছবি তোলেন! তাই নিজের ভালোবাসার কাজটুকু তাঁকে চুপিচুপি, নিজের মতো করে করতে হয়।
পাখির ছবি, প্রকৃতির ছবি
মাহমুদার ভালো লাগে ল্যান্ডস্কেপ, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও পোর্ট্রেট। বারান্দায় এসে ডেকে ওঠা শালিক পাখিগুলো তাঁর ছবি তোলার নিয়মিত বিষয়। খেলা করতে করতে শালিকদের যে স্বচ্ছন্দ ভঙ্গি, সেগুলো তিনি ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টা করেন।

অভাববোধ করেন একজন গাইডের
মাহমুদার বড় আফসোস, কেউ নেই যিনি বলে দেবেন, কোন ছবি ভালো, কোনটা নয়, কোথায় ভুল, কীভাবে আরও ভালো হওয়া যায়। একজন অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে পথনির্দেশনা পেলে তিনি বিশ্বাস করেন, গল্প আরও গভীরভাবে বলতে পারবেন।
স্বপ্ন এখনো চলমান
একদিন চাকরি হবে, ব্যস্ততা তখন নিশ্চয় বাড়বে। কিন্তু ছবি তোলার নেশা কখনো হারিয়ে যাবে না। সুযোগ পেলে নিজের একটি ক্যামেরা কিনবেন; তখন আরও দক্ষভাবে, আরও গল্পময় ছবি তুলবেন। নতুন নতুন গল্পের সন্ধানে পথচলা অব্যাহত থাকবে— মাহমুদার স্বপ্ন আপাতত এতটুকুই।

পাট দিয়ে শৌখিন জিনিস তৈরি করতেন নাসরিনের বাবা। করোনার সময় যখন তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তখন সংসারে সাহায্য করার কথা ভাবেন নাসরিন। বাবার তৈরি পণ্য দিয়েই শুরু করেন নিজের অনলাইন ব্যবসা। যুক্ত হন ফেসবুকের উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স (উই) নামের গ্রুপটির সঙ্গে।
০৭ জুন ২০২৩
নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আলাদা বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায় সংগঠনগুলো।
৪ দিন আগে
বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি।
৫ দিন আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৬ দিন আগেব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন

প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
নুসরাত জিনিয়া, মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: দীর্ঘ ১৪ বছরের মানসিক-শারীরিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক চাপ এবং ইঙ্গিতে যৌতুক দাবি করা—এ সবই আইনের চোখে অপরাধ।
যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী
এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন, তা হলো:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার সুযোগ যদি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন থাকে—
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ শাস্তির বিধান আছে।
যৌতুক মামলা করতে চাইলে কী হয়
যৌতুক মামলায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে এবং প্রমাণ পেলে মামলাটি আদালতে যাবে।
সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধা
ভরণপোষণ ও সন্তানের হেফাজতের অধিকার
আপনি পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ মামলা এবং সন্তানের হেফাজত মামলা করতে পারবেন। ৮ বছর বয়সী সন্তানের হেফাজত সাধারণত মায়ের পক্ষেই যায়, যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচারক সিদ্ধান্ত নেন।
মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয়, নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে কি না? তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
নিরাপদ আশ্রয় বা জরুরি সহায়তা যদি আপনি বিপদের মুখে থাকেন—
তবে মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয় নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে কি না?
তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলা করা আপনার প্রতি চলমান নির্যাতন এবং যৌতুকের চাপ থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
নুসরাত জিনিয়া, মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: দীর্ঘ ১৪ বছরের মানসিক-শারীরিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক চাপ এবং ইঙ্গিতে যৌতুক দাবি করা—এ সবই আইনের চোখে অপরাধ।
যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী
এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন, তা হলো:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার সুযোগ যদি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন থাকে—
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ শাস্তির বিধান আছে।
যৌতুক মামলা করতে চাইলে কী হয়
যৌতুক মামলায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে এবং প্রমাণ পেলে মামলাটি আদালতে যাবে।
সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধা
ভরণপোষণ ও সন্তানের হেফাজতের অধিকার
আপনি পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ মামলা এবং সন্তানের হেফাজত মামলা করতে পারবেন। ৮ বছর বয়সী সন্তানের হেফাজত সাধারণত মায়ের পক্ষেই যায়, যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচারক সিদ্ধান্ত নেন।
মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয়, নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে কি না? তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
নিরাপদ আশ্রয় বা জরুরি সহায়তা যদি আপনি বিপদের মুখে থাকেন—
তবে মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয় নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে কি না?
তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলা করা আপনার প্রতি চলমান নির্যাতন এবং যৌতুকের চাপ থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

পাট দিয়ে শৌখিন জিনিস তৈরি করতেন নাসরিনের বাবা। করোনার সময় যখন তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তখন সংসারে সাহায্য করার কথা ভাবেন নাসরিন। বাবার তৈরি পণ্য দিয়েই শুরু করেন নিজের অনলাইন ব্যবসা। যুক্ত হন ফেসবুকের উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স (উই) নামের গ্রুপটির সঙ্গে।
০৭ জুন ২০২৩
নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আলাদা বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায় সংগঠনগুলো।
৪ দিন আগে
বিশ্বজুড়ে এক শ কোটির বেশি মানুষ যাদের বয়স ১৫ বছর কিংবা এর বেশি; তারা শৈশবে কোনো না কোনোভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ কোটির বেশি নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা সহিসংতার শিকার হয়েছেন ২০২৩ সালে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে এমন নির্যাতনের হার সবচেয়ে বেশি।
৫ দিন আগে
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
৬ দিন আগে