ফিচার ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ এখন আর শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি একটি দেশের সামাজিক অগ্রগতির পরিমাপকও বটে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের তথ্য বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীরা বিভিন্ন খাতে যুক্ত হয়ে জাতীয় উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ কোনো একক পরিমাপকের ওপর নির্ভর করে না। এটি নির্ধারিত হয় সমাজের মূল্যবোধ, সরকারি নীতিমালা, সংস্কৃতি ও কর্মপরিবেশের সমন্বয়ে। নারীর জন্য সঠিক কর্মপরিবেশ দেওয়ার দিক থেকে ইউরোপীয় দেশগুলো উদাহরণ হতে পারে উন্নয়নশীল দেশের জন্য। কারণ, সেখানে নারীদের জন্য যে সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা কেবল নীতির কারণে নয়; বরং সেটি দীর্ঘদিনের সংগ্রাম ও সামাজিক সচেতনতার ফল। নারীর কাজের পরিবেশ শুধু একটি চাকরির বিষয় নয়, এটি একধরনের স্বাধীনতা, যা জাতি গঠনের পূর্বশর্ত।
নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি, এমন ৩০টি দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। জরিপটি ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে করা হয়েছে, যাঁরা কাজ করছেন বা কাজ খুঁজছেন।
এ তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, খুব গরিব অথবা খুব ধনী দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি। কিন্তু মাঝারি আয়ের দেশে তা তুলনামূলকভাবে কম। যেমন আইসল্যান্ড উচ্চ আয়ের দেশ আর মাদাগাস্কার নিম্ন আয়ের দেশ। দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের দেশ হয়েও নারীদের কর্মসংস্থান হারের দিক থেকে দেশ দুটি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে। বিশ্বব্যাপী সমতা নিশ্চিত করতে হলে, সব দেশেই নারীদের জন্য উপযোগী ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি।
আফ্রিকান দেশগুলোতে নারীরা মূলত কৃষিকেন্দ্রিক কাজে নিয়োজিত। যেমন মাদাগাস্কারে কর্মজীবী ৮৪ শতাংশ নারীর বেশির ভাগ চায়ের খামারে কাজ করেন। তানজানিয়ায় ৮২ শতাংশ কর্মজীবী নারীর মধ্যে বেশির ভাগই মাছ প্রক্রিয়াজাত ও কৃষিকাজে এবং নাইজেরিয়ার কর্মজীবী নারীরা হস্তশিল্প ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় সক্রিয়। যদিও এসব কাজের অনেকটাই আনুষ্ঠানিক খাতের বাইরে। তারপরও পরিবার ও অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে নারীরা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, স্বাবলম্বী নারীদের মহাদেশ আফ্রিকা।
এশিয়ায় নারী শ্রমশক্তির চিত্র দ্বিমুখী। উত্তর কোরিয়ায় সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ নারী কাজ করেন প্রধানত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও কারখানায়। কম্বোডিয়া, কাজাখস্তান ও জাপানে নারীরা পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও প্রযুক্তি খাতে যুক্ত। উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশের নারীরা কাজ করলেও খাতভেদে ভিন্নতা লক্ষণীয়। উন্নত এশীয় দেশগুলোতে নারীরা প্রযুক্তিনির্ভর কাজ করলেও দরিদ্র দেশে তাঁরা পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত।
ইউরোপে নারীরা তুলনামূলকভাবে সমান সুযোগ ও সুরক্ষিত কর্মপরিবেশে কাজ করছেন। আইসল্যান্ড, সুইডেন ও নেদারল্যান্ডসে নারীরা প্রশাসন, গবেষণা, প্রযুক্তি ও খেলাধুলার মতো আনুষ্ঠানিক খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের নারীরা কৃষি ও উদ্যোক্তা খাতে দক্ষ ও পেশাদার শ্রমিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করছেন। সেখানে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের মিলনে গড়ে উঠছে নারীশক্তি। সেই অঞ্চলে নারীরা কৃষি, খামার ব্যবস্থাপনা এবং হস্তশিল্পে দক্ষভাবে যুক্ত। তাঁরা শুধু শ্রমিক নন, উদ্যোক্তাও বটে।
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে নারীরা হস্তশিল্প ও খামার ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় নারীরা হসপিটালিটি, প্রক্রিয়াজাত শিল্পে সক্রিয়। যদিও এই অংশগ্রহণের হার ইউরোপ বা আফ্রিকার তুলনায় কম। বাহামাসে ৭৬ শতাংশ নারী হোটেল ও উৎপাদন খাতে যুক্ত, যা শহুরে জীবনে নারীদের অংশগ্রহণের প্রমাণ।
বিশ্বের ধনী ও গরিব—উভয় দেশের নারীরা কর্মক্ষম হলেও তাঁদের কাজের ধরন, পরিবেশ ও স্বীকৃতিতে রয়েছে বড় ধরনের বৈচিত্র্য। নারীর শ্রমশক্তিকে সম্মান ও সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারে একটি জাতি—এটিই এই বৈশ্বিক চিত্রের মূল বার্তা।

বিশ্বব্যাপী নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ এখন আর শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি একটি দেশের সামাজিক অগ্রগতির পরিমাপকও বটে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের তথ্য বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীরা বিভিন্ন খাতে যুক্ত হয়ে জাতীয় উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ কোনো একক পরিমাপকের ওপর নির্ভর করে না। এটি নির্ধারিত হয় সমাজের মূল্যবোধ, সরকারি নীতিমালা, সংস্কৃতি ও কর্মপরিবেশের সমন্বয়ে। নারীর জন্য সঠিক কর্মপরিবেশ দেওয়ার দিক থেকে ইউরোপীয় দেশগুলো উদাহরণ হতে পারে উন্নয়নশীল দেশের জন্য। কারণ, সেখানে নারীদের জন্য যে সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা কেবল নীতির কারণে নয়; বরং সেটি দীর্ঘদিনের সংগ্রাম ও সামাজিক সচেতনতার ফল। নারীর কাজের পরিবেশ শুধু একটি চাকরির বিষয় নয়, এটি একধরনের স্বাধীনতা, যা জাতি গঠনের পূর্বশর্ত।
নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি, এমন ৩০টি দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। জরিপটি ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে করা হয়েছে, যাঁরা কাজ করছেন বা কাজ খুঁজছেন।
এ তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, খুব গরিব অথবা খুব ধনী দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি। কিন্তু মাঝারি আয়ের দেশে তা তুলনামূলকভাবে কম। যেমন আইসল্যান্ড উচ্চ আয়ের দেশ আর মাদাগাস্কার নিম্ন আয়ের দেশ। দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের দেশ হয়েও নারীদের কর্মসংস্থান হারের দিক থেকে দেশ দুটি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে। বিশ্বব্যাপী সমতা নিশ্চিত করতে হলে, সব দেশেই নারীদের জন্য উপযোগী ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি।
আফ্রিকান দেশগুলোতে নারীরা মূলত কৃষিকেন্দ্রিক কাজে নিয়োজিত। যেমন মাদাগাস্কারে কর্মজীবী ৮৪ শতাংশ নারীর বেশির ভাগ চায়ের খামারে কাজ করেন। তানজানিয়ায় ৮২ শতাংশ কর্মজীবী নারীর মধ্যে বেশির ভাগই মাছ প্রক্রিয়াজাত ও কৃষিকাজে এবং নাইজেরিয়ার কর্মজীবী নারীরা হস্তশিল্প ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় সক্রিয়। যদিও এসব কাজের অনেকটাই আনুষ্ঠানিক খাতের বাইরে। তারপরও পরিবার ও অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে নারীরা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, স্বাবলম্বী নারীদের মহাদেশ আফ্রিকা।
এশিয়ায় নারী শ্রমশক্তির চিত্র দ্বিমুখী। উত্তর কোরিয়ায় সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ নারী কাজ করেন প্রধানত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও কারখানায়। কম্বোডিয়া, কাজাখস্তান ও জাপানে নারীরা পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও প্রযুক্তি খাতে যুক্ত। উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশের নারীরা কাজ করলেও খাতভেদে ভিন্নতা লক্ষণীয়। উন্নত এশীয় দেশগুলোতে নারীরা প্রযুক্তিনির্ভর কাজ করলেও দরিদ্র দেশে তাঁরা পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত।
ইউরোপে নারীরা তুলনামূলকভাবে সমান সুযোগ ও সুরক্ষিত কর্মপরিবেশে কাজ করছেন। আইসল্যান্ড, সুইডেন ও নেদারল্যান্ডসে নারীরা প্রশাসন, গবেষণা, প্রযুক্তি ও খেলাধুলার মতো আনুষ্ঠানিক খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের নারীরা কৃষি ও উদ্যোক্তা খাতে দক্ষ ও পেশাদার শ্রমিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করছেন। সেখানে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের মিলনে গড়ে উঠছে নারীশক্তি। সেই অঞ্চলে নারীরা কৃষি, খামার ব্যবস্থাপনা এবং হস্তশিল্পে দক্ষভাবে যুক্ত। তাঁরা শুধু শ্রমিক নন, উদ্যোক্তাও বটে।
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে নারীরা হস্তশিল্প ও খামার ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় নারীরা হসপিটালিটি, প্রক্রিয়াজাত শিল্পে সক্রিয়। যদিও এই অংশগ্রহণের হার ইউরোপ বা আফ্রিকার তুলনায় কম। বাহামাসে ৭৬ শতাংশ নারী হোটেল ও উৎপাদন খাতে যুক্ত, যা শহুরে জীবনে নারীদের অংশগ্রহণের প্রমাণ।
বিশ্বের ধনী ও গরিব—উভয় দেশের নারীরা কর্মক্ষম হলেও তাঁদের কাজের ধরন, পরিবেশ ও স্বীকৃতিতে রয়েছে বড় ধরনের বৈচিত্র্য। নারীর শ্রমশক্তিকে সম্মান ও সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারে একটি জাতি—এটিই এই বৈশ্বিক চিত্রের মূল বার্তা।
ফিচার ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ এখন আর শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি একটি দেশের সামাজিক অগ্রগতির পরিমাপকও বটে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের তথ্য বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীরা বিভিন্ন খাতে যুক্ত হয়ে জাতীয় উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ কোনো একক পরিমাপকের ওপর নির্ভর করে না। এটি নির্ধারিত হয় সমাজের মূল্যবোধ, সরকারি নীতিমালা, সংস্কৃতি ও কর্মপরিবেশের সমন্বয়ে। নারীর জন্য সঠিক কর্মপরিবেশ দেওয়ার দিক থেকে ইউরোপীয় দেশগুলো উদাহরণ হতে পারে উন্নয়নশীল দেশের জন্য। কারণ, সেখানে নারীদের জন্য যে সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা কেবল নীতির কারণে নয়; বরং সেটি দীর্ঘদিনের সংগ্রাম ও সামাজিক সচেতনতার ফল। নারীর কাজের পরিবেশ শুধু একটি চাকরির বিষয় নয়, এটি একধরনের স্বাধীনতা, যা জাতি গঠনের পূর্বশর্ত।
নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি, এমন ৩০টি দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। জরিপটি ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে করা হয়েছে, যাঁরা কাজ করছেন বা কাজ খুঁজছেন।
এ তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, খুব গরিব অথবা খুব ধনী দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি। কিন্তু মাঝারি আয়ের দেশে তা তুলনামূলকভাবে কম। যেমন আইসল্যান্ড উচ্চ আয়ের দেশ আর মাদাগাস্কার নিম্ন আয়ের দেশ। দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের দেশ হয়েও নারীদের কর্মসংস্থান হারের দিক থেকে দেশ দুটি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে। বিশ্বব্যাপী সমতা নিশ্চিত করতে হলে, সব দেশেই নারীদের জন্য উপযোগী ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি।
আফ্রিকান দেশগুলোতে নারীরা মূলত কৃষিকেন্দ্রিক কাজে নিয়োজিত। যেমন মাদাগাস্কারে কর্মজীবী ৮৪ শতাংশ নারীর বেশির ভাগ চায়ের খামারে কাজ করেন। তানজানিয়ায় ৮২ শতাংশ কর্মজীবী নারীর মধ্যে বেশির ভাগই মাছ প্রক্রিয়াজাত ও কৃষিকাজে এবং নাইজেরিয়ার কর্মজীবী নারীরা হস্তশিল্প ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় সক্রিয়। যদিও এসব কাজের অনেকটাই আনুষ্ঠানিক খাতের বাইরে। তারপরও পরিবার ও অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে নারীরা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, স্বাবলম্বী নারীদের মহাদেশ আফ্রিকা।
এশিয়ায় নারী শ্রমশক্তির চিত্র দ্বিমুখী। উত্তর কোরিয়ায় সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ নারী কাজ করেন প্রধানত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও কারখানায়। কম্বোডিয়া, কাজাখস্তান ও জাপানে নারীরা পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও প্রযুক্তি খাতে যুক্ত। উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশের নারীরা কাজ করলেও খাতভেদে ভিন্নতা লক্ষণীয়। উন্নত এশীয় দেশগুলোতে নারীরা প্রযুক্তিনির্ভর কাজ করলেও দরিদ্র দেশে তাঁরা পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত।
ইউরোপে নারীরা তুলনামূলকভাবে সমান সুযোগ ও সুরক্ষিত কর্মপরিবেশে কাজ করছেন। আইসল্যান্ড, সুইডেন ও নেদারল্যান্ডসে নারীরা প্রশাসন, গবেষণা, প্রযুক্তি ও খেলাধুলার মতো আনুষ্ঠানিক খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের নারীরা কৃষি ও উদ্যোক্তা খাতে দক্ষ ও পেশাদার শ্রমিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করছেন। সেখানে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের মিলনে গড়ে উঠছে নারীশক্তি। সেই অঞ্চলে নারীরা কৃষি, খামার ব্যবস্থাপনা এবং হস্তশিল্পে দক্ষভাবে যুক্ত। তাঁরা শুধু শ্রমিক নন, উদ্যোক্তাও বটে।
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে নারীরা হস্তশিল্প ও খামার ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় নারীরা হসপিটালিটি, প্রক্রিয়াজাত শিল্পে সক্রিয়। যদিও এই অংশগ্রহণের হার ইউরোপ বা আফ্রিকার তুলনায় কম। বাহামাসে ৭৬ শতাংশ নারী হোটেল ও উৎপাদন খাতে যুক্ত, যা শহুরে জীবনে নারীদের অংশগ্রহণের প্রমাণ।
বিশ্বের ধনী ও গরিব—উভয় দেশের নারীরা কর্মক্ষম হলেও তাঁদের কাজের ধরন, পরিবেশ ও স্বীকৃতিতে রয়েছে বড় ধরনের বৈচিত্র্য। নারীর শ্রমশক্তিকে সম্মান ও সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারে একটি জাতি—এটিই এই বৈশ্বিক চিত্রের মূল বার্তা।

বিশ্বব্যাপী নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ এখন আর শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি একটি দেশের সামাজিক অগ্রগতির পরিমাপকও বটে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের তথ্য বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীরা বিভিন্ন খাতে যুক্ত হয়ে জাতীয় উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
নারীদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ কোনো একক পরিমাপকের ওপর নির্ভর করে না। এটি নির্ধারিত হয় সমাজের মূল্যবোধ, সরকারি নীতিমালা, সংস্কৃতি ও কর্মপরিবেশের সমন্বয়ে। নারীর জন্য সঠিক কর্মপরিবেশ দেওয়ার দিক থেকে ইউরোপীয় দেশগুলো উদাহরণ হতে পারে উন্নয়নশীল দেশের জন্য। কারণ, সেখানে নারীদের জন্য যে সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা কেবল নীতির কারণে নয়; বরং সেটি দীর্ঘদিনের সংগ্রাম ও সামাজিক সচেতনতার ফল। নারীর কাজের পরিবেশ শুধু একটি চাকরির বিষয় নয়, এটি একধরনের স্বাধীনতা, যা জাতি গঠনের পূর্বশর্ত।
নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি, এমন ৩০টি দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। জরিপটি ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে করা হয়েছে, যাঁরা কাজ করছেন বা কাজ খুঁজছেন।
এ তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, খুব গরিব অথবা খুব ধনী দেশগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার বেশি। কিন্তু মাঝারি আয়ের দেশে তা তুলনামূলকভাবে কম। যেমন আইসল্যান্ড উচ্চ আয়ের দেশ আর মাদাগাস্কার নিম্ন আয়ের দেশ। দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের দেশ হয়েও নারীদের কর্মসংস্থান হারের দিক থেকে দেশ দুটি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে। বিশ্বব্যাপী সমতা নিশ্চিত করতে হলে, সব দেশেই নারীদের জন্য উপযোগী ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি।
আফ্রিকান দেশগুলোতে নারীরা মূলত কৃষিকেন্দ্রিক কাজে নিয়োজিত। যেমন মাদাগাস্কারে কর্মজীবী ৮৪ শতাংশ নারীর বেশির ভাগ চায়ের খামারে কাজ করেন। তানজানিয়ায় ৮২ শতাংশ কর্মজীবী নারীর মধ্যে বেশির ভাগই মাছ প্রক্রিয়াজাত ও কৃষিকাজে এবং নাইজেরিয়ার কর্মজীবী নারীরা হস্তশিল্প ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় সক্রিয়। যদিও এসব কাজের অনেকটাই আনুষ্ঠানিক খাতের বাইরে। তারপরও পরিবার ও অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে নারীরা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, স্বাবলম্বী নারীদের মহাদেশ আফ্রিকা।
এশিয়ায় নারী শ্রমশক্তির চিত্র দ্বিমুখী। উত্তর কোরিয়ায় সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ নারী কাজ করেন প্রধানত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও কারখানায়। কম্বোডিয়া, কাজাখস্তান ও জাপানে নারীরা পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও প্রযুক্তি খাতে যুক্ত। উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশের নারীরা কাজ করলেও খাতভেদে ভিন্নতা লক্ষণীয়। উন্নত এশীয় দেশগুলোতে নারীরা প্রযুক্তিনির্ভর কাজ করলেও দরিদ্র দেশে তাঁরা পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত।
ইউরোপে নারীরা তুলনামূলকভাবে সমান সুযোগ ও সুরক্ষিত কর্মপরিবেশে কাজ করছেন। আইসল্যান্ড, সুইডেন ও নেদারল্যান্ডসে নারীরা প্রশাসন, গবেষণা, প্রযুক্তি ও খেলাধুলার মতো আনুষ্ঠানিক খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের নারীরা কৃষি ও উদ্যোক্তা খাতে দক্ষ ও পেশাদার শ্রমিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করছেন। সেখানে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের মিলনে গড়ে উঠছে নারীশক্তি। সেই অঞ্চলে নারীরা কৃষি, খামার ব্যবস্থাপনা এবং হস্তশিল্পে দক্ষভাবে যুক্ত। তাঁরা শুধু শ্রমিক নন, উদ্যোক্তাও বটে।
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে নারীরা হস্তশিল্প ও খামার ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় নারীরা হসপিটালিটি, প্রক্রিয়াজাত শিল্পে সক্রিয়। যদিও এই অংশগ্রহণের হার ইউরোপ বা আফ্রিকার তুলনায় কম। বাহামাসে ৭৬ শতাংশ নারী হোটেল ও উৎপাদন খাতে যুক্ত, যা শহুরে জীবনে নারীদের অংশগ্রহণের প্রমাণ।
বিশ্বের ধনী ও গরিব—উভয় দেশের নারীরা কর্মক্ষম হলেও তাঁদের কাজের ধরন, পরিবেশ ও স্বীকৃতিতে রয়েছে বড় ধরনের বৈচিত্র্য। নারীর শ্রমশক্তিকে সম্মান ও সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারে একটি জাতি—এটিই এই বৈশ্বিক চিত্রের মূল বার্তা।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ‘লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলন’। অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপে ১৯৩০-৩১ সাল জুড়ে অনুষ্ঠিত হয় লবণ সত্যাগ্রহ। এই আন্দোলনে নারীরা যে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছিলেন, তা সামনে নিয়ে এসেছে সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া কতগুলো ছবি।
৫ দিন আগে
বৈষম্যবিরোধী স্লোগান দিয়ে রাজনৈতিক পরিবর্তন আনা হলেও প্রশাসন থেকে সমাজ—সব স্তরেই বৈষম্য রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। তিনি বলেন, খাদ্য, জমি ও সম্পত্তিতে নারীর অধিকার নেই বললেই চলে। সচেতনতার অভাব এবং সামাজিক কাঠামোর বৈষম্য নারীদের এগিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে।
৭ দিন আগে
ঘরে ও বাইরে সর্বত্র নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। নারীরা কোথাও নিরাপদ বোধ করছেন না। নারীর সাফল্য অনেক পুরুষকে শঙ্কিত করে, এই শঙ্কা সহিংসতাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে ১৬ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন...
৮ দিন আগে
রীমা খাতুনের জন্ম রাজশাহীতে। সেখান থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সম্পন্ন করেছেন অনার্স-মাস্টার্স। স্বপ্ন ছিল চাকরি করার। গয়না নিয়ে কাজ করার বা এর প্রশিক্ষক হওয়ার কোনো ইচ্ছাই তাঁর ছিল না। তবু শিক্ষকতা থেকে শুরু হওয়া পথচলা তাঁকে নিয়ে এল এক ভিন্ন জগতে।
৯ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ‘লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলন’। অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপে ১৯৩০-৩১ সাল জুড়ে অনুষ্ঠিত হয় লবণ সত্যাগ্রহ। এই আন্দোলনে নারীরা যে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছিলেন, তা সামনে নিয়ে এসেছে সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া কতগুলো ছবি। এসব ছবিতে প্রমাণ মিলেছে, মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে শুরু হওয়া ওই আন্দোলনে নারীরা শুধু অংশগ্রহণই করেননি, বরং অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা পুরুষদের পেছনে ফেলে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
রোববার (৩০ নভেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৩০ সালে লবণ উৎপাদনে ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নোনাজল থেকে লবণ সংগ্রহ করেছিলেন গান্ধী। তাঁর এই কর্মসূচির মধ্য দিয়েই ভারতবর্ষে প্রথমবারের মতো আইন অমান্য করার আন্দোলনের সূচনা হয়। দেশজুড়ে শুরু হয় বিদেশি পণ্য বর্জন, লবণ উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য এবং লাঠিধারী পুলিশের সামনে বিক্ষোভ।
ঐতিহাসিকেরা মনে করেন, এই আন্দোলনের দুটি দিক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, ওই সময়টিতে নারীরা নজিরবিহীন হারে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। শুরুতে গান্ধী তাঁদের অংশগ্রহণে আপত্তি জানালেও নারী নেত্রীদের চাপে তিনি সিদ্ধান্ত বদলান।
দ্বিতীয়ত, কংগ্রেস নেতারা রেডিও, চলচ্চিত্র এবং ফটোগ্রাফির মতো আধুনিক মিডিয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক সংগ্রাম আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে পৌঁছেছিল।

সেই ইতিহাসকেই আবারও সামনে নিয়ে এসেছে দুই দশক আগে লন্ডনের এক নিলামে ওঠা একটি ছোট ছবির অ্যালবাম। ধূসর রঙের ছোট অ্যালবামের মলাটে লেখা ছিল—‘ওল্ড কংগ্রেস পার্টি—কে এল নার্সি’। এই নামটি কার, তা কেউই জানত না। আর টাইপরাইটারে লেখা ক্যাপশনে ছিল অসংখ্য ভুল। তাই অ্যালবামটি দীর্ঘদিন গুরুত্বহীনভাবে অদেখা অবস্থায়ই পড়ে ছিল দিল্লির আলকাজি ফাউন্ডেশনে। ২০১৯ সালে ফাউন্ডেশনের কিউরেটর এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক ওই অ্যালবামটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন এবং রীতিমতো বিস্মিত হন।
ছবিগুলোতে তাঁরা দেখতে পান—১৯৩০ সালে বোম্বের (বর্তমান মুম্বাই) রাস্তায় উত্তেজনা, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, আহত স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্ধার, বৃষ্টিতে ভিজে মিছিল, আর সর্বোপরি নারীদের নেতৃত্ব! গবেষক সুমাথি রামাস্বামী বলেন, ‘প্রথম দেখায়ই নারীদের সক্রিয় উপস্থিতি চোখে পড়ে।’

এক ছবিতে দেখা যায়, গুজরাটের সাহসী কংগ্রেস নেত্রী লীলাবতী মুনশি সরকারি লবণ কেন্দ্র দখল করতে পুরুষ স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। অন্য ছবিতে তাঁকে দেখা যায় একটি ব্রিটিশ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বয়কট কর্মসূচি চালাচ্ছেন। চারপাশে ব্রিটিশ পুলিশ, কিন্তু তিনি তাঁর কর্মসূচিতে অটল। স্লিভলেস ব্লাউজে তাঁর সেই দৃঢ় ভঙ্গি নারীর নতুন আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।

নারীরা যে শুধু নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তা নয়, ছবিগুলোতে প্রমাণ পাওয়া যায়—‘দেশ সেবিকা’ নামে শুধু নারীদের একটি বাহিনী পুলিশের সঙ্গে লড়াই করে পতাকা রক্ষা করছেন, লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনের অংশ হিসেবে চৌপাট্টি সৈকতে হাজারো নারী সমুদ্রের পানি থেকে লবণ তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো—অনেক নারী নিজেদের সন্তান, বিশেষ করে কন্যাদেরও আন্দোলনে নিয়ে এসেছিলেন, যেন নতুন প্রজন্মও আন্দোলনের চেতনায় গড়ে ওঠে।
ছবিগুলোতে আরও দেখা যায়—বোম্বের রাস্তায় নারীদের লম্বা মিছিল, আর দুই পাশে পুরুষেরা দাঁড়িয়ে ছিলেন দর্শকের ভূমিকায়। এই উল্টোচিত্র সমাজের পরিবর্তনকে ইঙ্গিত করেছিল।


গবেষকেরা উল্লেখ করেছেন, শুধু গান্ধী নন—বোম্বের সাধারণ মানুষই এই আন্দোলনকে বৃহৎ রূপ দিয়েছিল। ক্যামেরা সেই সত্যকে ধরেছে, যেখানে দেখা যায়—নারীরা পুলিশের মুখোমুখি, জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছেন, বয়কট সংগঠিত করছেন, গ্রেপ্তার হচ্ছেন।
অ্যালবামটিতে তখনকার দিনে বোম্বের নগর রূপও দেখা যায়। বর্তমানে এই ছবিগুলো ‘ফটোগ্রাফিং সিভিল ডিজ-অবিডিয়েন্স’ নামে একটি বইয়ের আকারে নতুনভাবে প্রকাশিত হয়েছে। প্রায় এক শতাব্দী পরও ছবিগুলোতে নারীদের দৃঢ়তা, নেতৃত্ব ও আত্মমর্যাদা অম্লান। ছবিগুলো যেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিস্মৃত নায়িকাদের প্রতি প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দিচ্ছে।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ‘লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলন’। অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপে ১৯৩০-৩১ সাল জুড়ে অনুষ্ঠিত হয় লবণ সত্যাগ্রহ। এই আন্দোলনে নারীরা যে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছিলেন, তা সামনে নিয়ে এসেছে সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া কতগুলো ছবি। এসব ছবিতে প্রমাণ মিলেছে, মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে শুরু হওয়া ওই আন্দোলনে নারীরা শুধু অংশগ্রহণই করেননি, বরং অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা পুরুষদের পেছনে ফেলে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
রোববার (৩০ নভেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৩০ সালে লবণ উৎপাদনে ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নোনাজল থেকে লবণ সংগ্রহ করেছিলেন গান্ধী। তাঁর এই কর্মসূচির মধ্য দিয়েই ভারতবর্ষে প্রথমবারের মতো আইন অমান্য করার আন্দোলনের সূচনা হয়। দেশজুড়ে শুরু হয় বিদেশি পণ্য বর্জন, লবণ উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য এবং লাঠিধারী পুলিশের সামনে বিক্ষোভ।
ঐতিহাসিকেরা মনে করেন, এই আন্দোলনের দুটি দিক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, ওই সময়টিতে নারীরা নজিরবিহীন হারে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। শুরুতে গান্ধী তাঁদের অংশগ্রহণে আপত্তি জানালেও নারী নেত্রীদের চাপে তিনি সিদ্ধান্ত বদলান।
দ্বিতীয়ত, কংগ্রেস নেতারা রেডিও, চলচ্চিত্র এবং ফটোগ্রাফির মতো আধুনিক মিডিয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক সংগ্রাম আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে পৌঁছেছিল।

সেই ইতিহাসকেই আবারও সামনে নিয়ে এসেছে দুই দশক আগে লন্ডনের এক নিলামে ওঠা একটি ছোট ছবির অ্যালবাম। ধূসর রঙের ছোট অ্যালবামের মলাটে লেখা ছিল—‘ওল্ড কংগ্রেস পার্টি—কে এল নার্সি’। এই নামটি কার, তা কেউই জানত না। আর টাইপরাইটারে লেখা ক্যাপশনে ছিল অসংখ্য ভুল। তাই অ্যালবামটি দীর্ঘদিন গুরুত্বহীনভাবে অদেখা অবস্থায়ই পড়ে ছিল দিল্লির আলকাজি ফাউন্ডেশনে। ২০১৯ সালে ফাউন্ডেশনের কিউরেটর এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক ওই অ্যালবামটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন এবং রীতিমতো বিস্মিত হন।
ছবিগুলোতে তাঁরা দেখতে পান—১৯৩০ সালে বোম্বের (বর্তমান মুম্বাই) রাস্তায় উত্তেজনা, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, আহত স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্ধার, বৃষ্টিতে ভিজে মিছিল, আর সর্বোপরি নারীদের নেতৃত্ব! গবেষক সুমাথি রামাস্বামী বলেন, ‘প্রথম দেখায়ই নারীদের সক্রিয় উপস্থিতি চোখে পড়ে।’

এক ছবিতে দেখা যায়, গুজরাটের সাহসী কংগ্রেস নেত্রী লীলাবতী মুনশি সরকারি লবণ কেন্দ্র দখল করতে পুরুষ স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। অন্য ছবিতে তাঁকে দেখা যায় একটি ব্রিটিশ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বয়কট কর্মসূচি চালাচ্ছেন। চারপাশে ব্রিটিশ পুলিশ, কিন্তু তিনি তাঁর কর্মসূচিতে অটল। স্লিভলেস ব্লাউজে তাঁর সেই দৃঢ় ভঙ্গি নারীর নতুন আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।

নারীরা যে শুধু নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তা নয়, ছবিগুলোতে প্রমাণ পাওয়া যায়—‘দেশ সেবিকা’ নামে শুধু নারীদের একটি বাহিনী পুলিশের সঙ্গে লড়াই করে পতাকা রক্ষা করছেন, লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনের অংশ হিসেবে চৌপাট্টি সৈকতে হাজারো নারী সমুদ্রের পানি থেকে লবণ তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো—অনেক নারী নিজেদের সন্তান, বিশেষ করে কন্যাদেরও আন্দোলনে নিয়ে এসেছিলেন, যেন নতুন প্রজন্মও আন্দোলনের চেতনায় গড়ে ওঠে।
ছবিগুলোতে আরও দেখা যায়—বোম্বের রাস্তায় নারীদের লম্বা মিছিল, আর দুই পাশে পুরুষেরা দাঁড়িয়ে ছিলেন দর্শকের ভূমিকায়। এই উল্টোচিত্র সমাজের পরিবর্তনকে ইঙ্গিত করেছিল।


গবেষকেরা উল্লেখ করেছেন, শুধু গান্ধী নন—বোম্বের সাধারণ মানুষই এই আন্দোলনকে বৃহৎ রূপ দিয়েছিল। ক্যামেরা সেই সত্যকে ধরেছে, যেখানে দেখা যায়—নারীরা পুলিশের মুখোমুখি, জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছেন, বয়কট সংগঠিত করছেন, গ্রেপ্তার হচ্ছেন।
অ্যালবামটিতে তখনকার দিনে বোম্বের নগর রূপও দেখা যায়। বর্তমানে এই ছবিগুলো ‘ফটোগ্রাফিং সিভিল ডিজ-অবিডিয়েন্স’ নামে একটি বইয়ের আকারে নতুনভাবে প্রকাশিত হয়েছে। প্রায় এক শতাব্দী পরও ছবিগুলোতে নারীদের দৃঢ়তা, নেতৃত্ব ও আত্মমর্যাদা অম্লান। ছবিগুলো যেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিস্মৃত নায়িকাদের প্রতি প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দিচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ এখন আর শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি একটি দেশের সামাজিক অগ্রগতির পরিমাপকও বটে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের তথ্য বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীরা বিভিন্ন খাতে যুক্ত হয়ে জাতীয় উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
২০ আগস্ট ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী স্লোগান দিয়ে রাজনৈতিক পরিবর্তন আনা হলেও প্রশাসন থেকে সমাজ—সব স্তরেই বৈষম্য রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। তিনি বলেন, খাদ্য, জমি ও সম্পত্তিতে নারীর অধিকার নেই বললেই চলে। সচেতনতার অভাব এবং সামাজিক কাঠামোর বৈষম্য নারীদের এগিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে।
৭ দিন আগে
ঘরে ও বাইরে সর্বত্র নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। নারীরা কোথাও নিরাপদ বোধ করছেন না। নারীর সাফল্য অনেক পুরুষকে শঙ্কিত করে, এই শঙ্কা সহিংসতাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে ১৬ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন...
৮ দিন আগে
রীমা খাতুনের জন্ম রাজশাহীতে। সেখান থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সম্পন্ন করেছেন অনার্স-মাস্টার্স। স্বপ্ন ছিল চাকরি করার। গয়না নিয়ে কাজ করার বা এর প্রশিক্ষক হওয়ার কোনো ইচ্ছাই তাঁর ছিল না। তবু শিক্ষকতা থেকে শুরু হওয়া পথচলা তাঁকে নিয়ে এল এক ভিন্ন জগতে।
৯ দিন আগেজেএনএনপিএফের মতবিনিময় সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী স্লোগান দিয়ে রাজনৈতিক পরিবর্তন আনা হলেও প্রশাসন থেকে সমাজ—সব স্তরেই বৈষম্য রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। তিনি বলেন, খাদ্য, জমি ও সম্পত্তিতে নারীর অধিকার নেই বললেই চলে। সচেতনতার অভাব এবং সামাজিক কাঠামোর বৈষম্য নারীদের এগিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ (জেএনএনপিএফ) ফোরামের আয়োজনে ‘জেএনএনপিএফ: ১৯ বছরের অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও বার্ষিক সাধারণ সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় এনজিও ফোরামের সেন্ট্রাল ট্রেনিং সেন্টারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২৫টি জেলার ২৬টি সংস্থার সমন্বয়ে জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরাম গঠিত হয়েছে। এর আগে জেএনএনপিএফের সভাপতি মমতাজ আরা বেগমের সভাপতিত্বে ও একশনএইডের এলআরপির সমন্বয়ক নুরুন নাহারের পরিচালনায় জেএনএনপিএফের ১৯ বছরের কার্যাবলি নিয়ে কথা বলেন কনসালট্যান্ট কাশফিয়া ফিরোজ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেএনএনপিএফের সভাপতি মমতাজ আরা বেগম, একশনএইডের ডেপুটি ম্যানেজার মৌসুমি বিশ্বাস, নারীপক্ষের সদস্য রিনা রায়।
স্বাধীন বিচার বিভাগ গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শামসুল হুদা আরও বলেন, এটি প্রান্তিক মানুষ ও নারীর জন্য কার্যকর না হলে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না। সংবিধানে রাষ্ট্র জনগণের উল্লেখ করা হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ যে রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যাশা করেছিল, ৫৫ বছর পরও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি উল্লেখ করেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানকে নানা দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা হলেও নিহত মানুষদের ভুলে গেলে চলবে না। নারীর অধিকার রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, প্রথম কমিশনে নারী কমিশন না থাকা এবং পরে ঐকমত্য কমিশনের প্রভাবে নারী কমিশন কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাঁর অভিযোগ, নারী কমিশনের কাজ যেন কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
সভায় জেএনএনপিএফের সভাপতি মমতাজ আরা বেগম বলেন, নারীর প্রতি নির্যাতন অতীতেও ছিল, এখনো আছে। একজন নির্যাতনকারী হঠাৎ তৈরি হয় না—পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক পরিবেশই তাকে গড়ে তোলে। তিনি বলেন, নারীরা আজও রাতে বের হতে ভয় পান; সমাজে এমন নিরাপত্তাহীনতা দূর করতে আইনপ্রণেতা থেকে বিচার বিভাগ—সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা জরুরি। তাঁর মতে, নিজের বিবেককে শাণিত না করলে কোনো পরিবর্তনই সম্ভব নয়।
নারীপক্ষের সদস্য রিনা রায় বলেন, ৪২৩টি সুপারিশের মধ্যে ৩টিতে আপত্তি দেওয়া হয়। এই ৩টিকে যারা আপত্তি জানিয়েছে, তাদেরকেও বাদ দিতে হবে। প্রান্তিক নারীরা একে অপরকে সম্মান দেয় না। স্বার্থ যেখানে আছে, সেখানে সবাই যায়। নিজের স্বামী সম্পত্তি নিতে চাইলেও সমস্যা হতে পারে। তাই নারীর যুদ্ধ করতে হবে।
নারীদের পাঁচ ঘণ্টা কাজের ব্যাপারে রিনা রায় বলেন, কর্মঘণ্টা কমানোর ব্যাপারে আমরা একমত নই। পরিবার ও সমাজকে নারীকে দাঁড় করানোর জন্য কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রীয় বিষয়ে যে বিষয়গুলো আঘাত করে, সেটা যারা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কাজ করে, তাদের জানাতে হবে। সংসদে নারীর আসন নিয়ে তিনি বলেন, এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত নারী আসন নিয়ে আলাদা নির্বাচন করতে হবে, কিন্তু এটা কেউ মানে না। রাজনৈতিক দলগুলো ৫ শতাংশের বেশি দিতে চাচ্ছে না।
একশনএইডের ডেপুটি ম্যানেজার মৌসুমি বিশ্বাস বলেন, নারীর সম্পত্তির অধিকারকে রাষ্ট্র প্রায় অকার্যকর করে রেখেছে। তিনি অভিযোগ করেন, আইন থাকলেও প্রয়োগ না হওয়ায় নারীরা তাদের অর্থনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রাষ্ট্রকে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী স্লোগান দিয়ে রাজনৈতিক পরিবর্তন আনা হলেও প্রশাসন থেকে সমাজ—সব স্তরেই বৈষম্য রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। তিনি বলেন, খাদ্য, জমি ও সম্পত্তিতে নারীর অধিকার নেই বললেই চলে। সচেতনতার অভাব এবং সামাজিক কাঠামোর বৈষম্য নারীদের এগিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ (জেএনএনপিএফ) ফোরামের আয়োজনে ‘জেএনএনপিএফ: ১৯ বছরের অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও বার্ষিক সাধারণ সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় এনজিও ফোরামের সেন্ট্রাল ট্রেনিং সেন্টারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২৫টি জেলার ২৬টি সংস্থার সমন্বয়ে জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরাম গঠিত হয়েছে। এর আগে জেএনএনপিএফের সভাপতি মমতাজ আরা বেগমের সভাপতিত্বে ও একশনএইডের এলআরপির সমন্বয়ক নুরুন নাহারের পরিচালনায় জেএনএনপিএফের ১৯ বছরের কার্যাবলি নিয়ে কথা বলেন কনসালট্যান্ট কাশফিয়া ফিরোজ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেএনএনপিএফের সভাপতি মমতাজ আরা বেগম, একশনএইডের ডেপুটি ম্যানেজার মৌসুমি বিশ্বাস, নারীপক্ষের সদস্য রিনা রায়।
স্বাধীন বিচার বিভাগ গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শামসুল হুদা আরও বলেন, এটি প্রান্তিক মানুষ ও নারীর জন্য কার্যকর না হলে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না। সংবিধানে রাষ্ট্র জনগণের উল্লেখ করা হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ যে রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যাশা করেছিল, ৫৫ বছর পরও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি উল্লেখ করেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানকে নানা দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা হলেও নিহত মানুষদের ভুলে গেলে চলবে না। নারীর অধিকার রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, প্রথম কমিশনে নারী কমিশন না থাকা এবং পরে ঐকমত্য কমিশনের প্রভাবে নারী কমিশন কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাঁর অভিযোগ, নারী কমিশনের কাজ যেন কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
সভায় জেএনএনপিএফের সভাপতি মমতাজ আরা বেগম বলেন, নারীর প্রতি নির্যাতন অতীতেও ছিল, এখনো আছে। একজন নির্যাতনকারী হঠাৎ তৈরি হয় না—পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক পরিবেশই তাকে গড়ে তোলে। তিনি বলেন, নারীরা আজও রাতে বের হতে ভয় পান; সমাজে এমন নিরাপত্তাহীনতা দূর করতে আইনপ্রণেতা থেকে বিচার বিভাগ—সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা জরুরি। তাঁর মতে, নিজের বিবেককে শাণিত না করলে কোনো পরিবর্তনই সম্ভব নয়।
নারীপক্ষের সদস্য রিনা রায় বলেন, ৪২৩টি সুপারিশের মধ্যে ৩টিতে আপত্তি দেওয়া হয়। এই ৩টিকে যারা আপত্তি জানিয়েছে, তাদেরকেও বাদ দিতে হবে। প্রান্তিক নারীরা একে অপরকে সম্মান দেয় না। স্বার্থ যেখানে আছে, সেখানে সবাই যায়। নিজের স্বামী সম্পত্তি নিতে চাইলেও সমস্যা হতে পারে। তাই নারীর যুদ্ধ করতে হবে।
নারীদের পাঁচ ঘণ্টা কাজের ব্যাপারে রিনা রায় বলেন, কর্মঘণ্টা কমানোর ব্যাপারে আমরা একমত নই। পরিবার ও সমাজকে নারীকে দাঁড় করানোর জন্য কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রীয় বিষয়ে যে বিষয়গুলো আঘাত করে, সেটা যারা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কাজ করে, তাদের জানাতে হবে। সংসদে নারীর আসন নিয়ে তিনি বলেন, এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত নারী আসন নিয়ে আলাদা নির্বাচন করতে হবে, কিন্তু এটা কেউ মানে না। রাজনৈতিক দলগুলো ৫ শতাংশের বেশি দিতে চাচ্ছে না।
একশনএইডের ডেপুটি ম্যানেজার মৌসুমি বিশ্বাস বলেন, নারীর সম্পত্তির অধিকারকে রাষ্ট্র প্রায় অকার্যকর করে রেখেছে। তিনি অভিযোগ করেন, আইন থাকলেও প্রয়োগ না হওয়ায় নারীরা তাদের অর্থনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রাষ্ট্রকে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্বব্যাপী নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ এখন আর শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি একটি দেশের সামাজিক অগ্রগতির পরিমাপকও বটে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের তথ্য বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীরা বিভিন্ন খাতে যুক্ত হয়ে জাতীয় উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
২০ আগস্ট ২০২৫
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ‘লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলন’। অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপে ১৯৩০-৩১ সাল জুড়ে অনুষ্ঠিত হয় লবণ সত্যাগ্রহ। এই আন্দোলনে নারীরা যে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছিলেন, তা সামনে নিয়ে এসেছে সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া কতগুলো ছবি।
৫ দিন আগে
ঘরে ও বাইরে সর্বত্র নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। নারীরা কোথাও নিরাপদ বোধ করছেন না। নারীর সাফল্য অনেক পুরুষকে শঙ্কিত করে, এই শঙ্কা সহিংসতাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে ১৬ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন...
৮ দিন আগে
রীমা খাতুনের জন্ম রাজশাহীতে। সেখান থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সম্পন্ন করেছেন অনার্স-মাস্টার্স। স্বপ্ন ছিল চাকরি করার। গয়না নিয়ে কাজ করার বা এর প্রশিক্ষক হওয়ার কোনো ইচ্ছাই তাঁর ছিল না। তবু শিক্ষকতা থেকে শুরু হওয়া পথচলা তাঁকে নিয়ে এল এক ভিন্ন জগতে।
৯ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘরে ও বাইরে সর্বত্র নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। নারীরা কোথাও নিরাপদ বোধ করছেন না। নারীর সাফল্য অনেক পুরুষকে শঙ্কিত করে, এই শঙ্কা সহিংসতাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আজ বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ’ উপলক্ষে ১৬ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) আয়োজিত এক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ফর এসডিজি, বাংলাদেশের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নারীরা এখন কোথাও আর্থিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা রাজনৈতিক নিরাপত্তা অনুভব করছেন না। পরিবারের মধ্যেও অনেক সময় তাঁরা নিরাপত্তা বোধ করছেন না, এসব বলে কোনো লাভ হচ্ছে না। এই হতাশা দূর করতে হলে কেবল আইন বা নীতিমালা নয়, সামাজিক শক্তিকেও তৃণমূল থেকে সক্রিয় করতে হবে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতিতে মেয়েদের নিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। রাজনৈতিক দলগুলো কেন আলাদা ‘‘নারী শাখা’’ রাখবে? নারীরা তো মূলধারার রাজনীতিতেই সমানভাবে কাজ করতে পারবে—এটি স্বীকার করার মানসিকতা এখনো তৈরি হয়নি। তরুণ-তরুণী উভয়ের মাঝেই একটি পশ্চাৎপদতার ন্যারেটিভ তৈরি হচ্ছে। এটি ভেঙে নতুন সচেতনতা, সমতা ও সম্মানের ন্যারেটিভ গড়ে তুলতে হবে।’
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। তিনি জানান, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবরে সহিংসতায় নারীমৃত্যুর ঘটনা ৫০৩টি এবং শিশুদের ওপর ৯০৫টি যৌন সহিংসতার ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে ৭৮ শতাংশের বেশি নারী ডিজিটাল সহিংসতার শিকার, বিশেষত ফেসবুকে। শাহীন আনাম আবেদন জানান, নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতাকে জরুরি ও জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে দেখা দরকার।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন দপ্তর এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ বিভাগের ভূতপূর্ব পরিচালক সেলিম জাহান বলেন, নারীর সাফল্য অনেক পুরুষকে শঙ্কিত করে। আর এ শঙ্কাই সহিংসতাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। নারীর অর্জন যেন সহিংসতার কারণ না হয়, এটা সমাজকে নিশ্চিত করতে হবে। নারী-পুরুষ সমতার কথা উঠলেই এখনো অনেকে আঁতকে ওঠেন। এমনকি কর্মঘণ্টা কমানোর মতো যুক্তি তুলে নারীর সামনে অদৃশ্য বাধা তৈরি করা হয়। নারীর অধিকার ও সমতার পথ রুদ্ধ হলে সমাজ কখনো উন্নত হতে পারে না।
সংলাপে আরও অংশ নেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ; বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি; ইউএন উইমেন, বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ গীতাঞ্জলি সিং; কানাডিয়ান হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (ডেভেলপমেন্ট-জেন্ডার ইকুয়ালিটি) স্টেফানি সেন্ট-লরেন্ট ব্রাসার্ড, সুইডেন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ও ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের প্রধান ইভা স্মেডবার্গ, ব্রিটিশ হাইকমিশন ঢাকার ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর মার্টিন ডসন প্রমুখ।

ঘরে ও বাইরে সর্বত্র নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। নারীরা কোথাও নিরাপদ বোধ করছেন না। নারীর সাফল্য অনেক পুরুষকে শঙ্কিত করে, এই শঙ্কা সহিংসতাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আজ বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ’ উপলক্ষে ১৬ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) আয়োজিত এক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ফর এসডিজি, বাংলাদেশের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নারীরা এখন কোথাও আর্থিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা রাজনৈতিক নিরাপত্তা অনুভব করছেন না। পরিবারের মধ্যেও অনেক সময় তাঁরা নিরাপত্তা বোধ করছেন না, এসব বলে কোনো লাভ হচ্ছে না। এই হতাশা দূর করতে হলে কেবল আইন বা নীতিমালা নয়, সামাজিক শক্তিকেও তৃণমূল থেকে সক্রিয় করতে হবে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতিতে মেয়েদের নিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। রাজনৈতিক দলগুলো কেন আলাদা ‘‘নারী শাখা’’ রাখবে? নারীরা তো মূলধারার রাজনীতিতেই সমানভাবে কাজ করতে পারবে—এটি স্বীকার করার মানসিকতা এখনো তৈরি হয়নি। তরুণ-তরুণী উভয়ের মাঝেই একটি পশ্চাৎপদতার ন্যারেটিভ তৈরি হচ্ছে। এটি ভেঙে নতুন সচেতনতা, সমতা ও সম্মানের ন্যারেটিভ গড়ে তুলতে হবে।’
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। তিনি জানান, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবরে সহিংসতায় নারীমৃত্যুর ঘটনা ৫০৩টি এবং শিশুদের ওপর ৯০৫টি যৌন সহিংসতার ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে ৭৮ শতাংশের বেশি নারী ডিজিটাল সহিংসতার শিকার, বিশেষত ফেসবুকে। শাহীন আনাম আবেদন জানান, নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতাকে জরুরি ও জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে দেখা দরকার।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন দপ্তর এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ বিভাগের ভূতপূর্ব পরিচালক সেলিম জাহান বলেন, নারীর সাফল্য অনেক পুরুষকে শঙ্কিত করে। আর এ শঙ্কাই সহিংসতাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। নারীর অর্জন যেন সহিংসতার কারণ না হয়, এটা সমাজকে নিশ্চিত করতে হবে। নারী-পুরুষ সমতার কথা উঠলেই এখনো অনেকে আঁতকে ওঠেন। এমনকি কর্মঘণ্টা কমানোর মতো যুক্তি তুলে নারীর সামনে অদৃশ্য বাধা তৈরি করা হয়। নারীর অধিকার ও সমতার পথ রুদ্ধ হলে সমাজ কখনো উন্নত হতে পারে না।
সংলাপে আরও অংশ নেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ; বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি; ইউএন উইমেন, বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ গীতাঞ্জলি সিং; কানাডিয়ান হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (ডেভেলপমেন্ট-জেন্ডার ইকুয়ালিটি) স্টেফানি সেন্ট-লরেন্ট ব্রাসার্ড, সুইডেন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ও ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের প্রধান ইভা স্মেডবার্গ, ব্রিটিশ হাইকমিশন ঢাকার ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর মার্টিন ডসন প্রমুখ।
বিশ্বব্যাপী নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ এখন আর শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি একটি দেশের সামাজিক অগ্রগতির পরিমাপকও বটে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের তথ্য বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীরা বিভিন্ন খাতে যুক্ত হয়ে জাতীয় উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
২০ আগস্ট ২০২৫
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ‘লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলন’। অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপে ১৯৩০-৩১ সাল জুড়ে অনুষ্ঠিত হয় লবণ সত্যাগ্রহ। এই আন্দোলনে নারীরা যে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছিলেন, তা সামনে নিয়ে এসেছে সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া কতগুলো ছবি।
৫ দিন আগে
বৈষম্যবিরোধী স্লোগান দিয়ে রাজনৈতিক পরিবর্তন আনা হলেও প্রশাসন থেকে সমাজ—সব স্তরেই বৈষম্য রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। তিনি বলেন, খাদ্য, জমি ও সম্পত্তিতে নারীর অধিকার নেই বললেই চলে। সচেতনতার অভাব এবং সামাজিক কাঠামোর বৈষম্য নারীদের এগিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে।
৭ দিন আগে
রীমা খাতুনের জন্ম রাজশাহীতে। সেখান থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সম্পন্ন করেছেন অনার্স-মাস্টার্স। স্বপ্ন ছিল চাকরি করার। গয়না নিয়ে কাজ করার বা এর প্রশিক্ষক হওয়ার কোনো ইচ্ছাই তাঁর ছিল না। তবু শিক্ষকতা থেকে শুরু হওয়া পথচলা তাঁকে নিয়ে এল এক ভিন্ন জগতে।
৯ দিন আগেকাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা

রীমা খাতুনের জন্ম রাজশাহীতে। সেখান থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সম্পন্ন করেছেন অনার্স-মাস্টার্স। স্বপ্ন ছিল চাকরি করার। গয়না নিয়ে কাজ করার বা এর প্রশিক্ষক হওয়ার কোনো ইচ্ছাই তাঁর ছিল না। তবু শিক্ষকতা থেকে শুরু হওয়া পথচলা তাঁকে নিয়ে এল এক ভিন্ন জগতে। সেখানে এখন তিনি ‘আয়নাবিবির গহনা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও প্রশিক্ষক।
অপ্রত্যাশিত এক শুরু এনজিওতে শিক্ষকতা
২০১৬ সালে নাগরিক উদ্যোগ নামে একটি এনজিওতে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন রীমা। সেখানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা লেখাপড়া করত। একটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে শিশুদের নাচের প্রস্তুতি চলাকালে তিনি বুঝতে পারেন, তাদের নাচের পোশাক থাকলেও মানানসই গয়নার বাজেট নেই। সেই শিশুদের জন্যই রীমা প্রথমবারের মতো গয়না তৈরি করেন। শৈশবে রাজশাহীতে বড় আপুদের দেখে টুকটাক গয়না বানানোর অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি পুঁতি, সুই ও সুতা জোগাড় করে ১৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য পুঁতির গয়না সেট তৈরি করে ফেলেন। শিশুদের এই পারফরম্যান্স এনজিওর প্রধানের মন ছুঁয়ে যায়। এরপর তিনি রীমাকে শুধু গয়নার উপকরণই কিনে দিলেন না, বরং শিশুদের গয়না তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়ার অনুরোধও করলেন।
২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নাগরিক উদ্যোগে চাকরির পাশাপাশি শুরু হয় রীমার গয়না তৈরির কাজ।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও অনলাইন যাত্রা
২০২০ সালে রীমা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে শিক্ষক হিসেবে নতুন চাকরিতে যোগ দেন। এই সময়টাতে করোনা মহামারির কারণে সবাই ঘরবন্দী। তৎকালীন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আবুল হোসেন একদিন রীমাকে ডেকে নারীদের জন্য একটি ফ্রি অনলাইন ট্রেনিং চালু করার কথা বলেন। উদ্দেশ্য ছিল, নারীদের ঘরে বসে শেখানো ও আয়ের পথ তৈরি করে দেওয়া। তাঁর উদ্যোগে সেখানে শুরু হয় সেট প্রোগ্রাম ফর উইমেন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে গয়না, ক্রিস্টাল ও গ্রাফিকস—তিনটি ট্রেডে ফ্রি ট্রেনিং শুরু হয়।

করোনার সময়ে ফ্রি ট্রেনিংয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নারী রেজিস্ট্রেশন করে। ইস্টিমইয়ার্ডের মাধ্যমে শুরু হয় অনলাইন ক্লাস। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ফল হিসেবে ২০২১ সালে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বছরের জন্য নারীদের ফ্রি কোর্স ও অনুদানের ব্যবস্থা করে। এই সময় প্রতিষ্ঠানটির পরিচিতি আরও বেড়ে যায় এবং হাজার হাজার নারী প্রশিক্ষণের জন্য যোগাযোগ করতে শুরু করে। রীমা সেখানে লুমবিডিং, রেজিন, গামছা গয়নাসহ দেশি সব ধরনের গয়না কৌশল সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করেন। এই প্রকল্পের সফল সমাপ্তির পর ২০২৩ সালে তাঁরা আবারও জয়িতা ফাউন্ডেশন থেকে এক বছরের জন্য একটি প্রকল্প পান।
‘আয়নাবিবির গহনা’ ও নারী উদ্যোক্তা তৈরির প্ল্যাটফর্ম
একসময় রীমা তাঁর শিক্ষার্থীদের কাজের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আয়নাবিবির গহনা নামে একটি ফেসবুক পেজ খোলেন। আয়না যেমন মানুষের সৌন্দর্য দেখায়, তেমনি তাঁর শিক্ষার্থীরা তাঁদের কাজের মাধ্যমে নিজেদের গুণ ও সম্ভাবনাকে প্রকাশ করবে, এটিই ছিল এই নামকরণের মূল ভাবনা। ২০২১ সাল থেকে তিনি ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অফলাইনেও প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করেন। প্রশিক্ষণের সময় তিনি বুঝতে শুরু করেন, নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ থাকলেও তাদের তৈরি পণ্য বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মের অভাব রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে আসেন তাঁর স্কুলজীবনের বান্ধবী। তাঁর সহযোগিতায় রীমা শিক্ষার্থীদের তৈরি গয়না পাইকারি দামে কিনে নিয়ে বিক্রির ব্যবস্থা করেন। দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্যোক্তারা তাঁদের মেলা, অনুষ্ঠান বা ক্রেতা সম্মেলনের জন্য রীমা খাতুনের কাছ থেকে পাইকারি দামে গয়না নিতে শুরু করেন। বিশেষত লুমবিডিং গয়না বা তাঁতের গয়না।

একঝাঁক নারীর কর্মসংস্থান
রীমা অনলাইন ও অফলাইনে বাংলাদেশ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, সুইডেনসহ আরও কয়েকটি দেশের ৫ হাজারের বেশি নারীকে গয়না তৈরি শেখার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করছেন শতাধিক নারী। এই নারীরা তাঁকে গয়না সরবরাহ করেন। তাঁদের বেশির ভাগই গৃহিণী বা অবসরপ্রাপ্ত নারী, যাঁরা নিজেদের সময় ও সুযোগমতো কাজ করেন। রীমা শুধু লুমবিডিং গয়না কিনে নেন।

রীমা খাতুন বিশ্বাস করেন, নারীদের হাতের কাজ শেখা এবং টাকা আয় করা জরুরি। তাঁর এই কাজের মূল অনুপ্রেরণা তাঁর নানি ফজিলাতুন্নেছা। তিনি সব সময় রীমাকে গয়না নিয়ে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন। রীমা ইতিমধ্যে কেয়ার, কুমিল্লা ইউএনও পরিষদসহ দেশের বিভিন্ন জেলার উদ্যোক্তা সংগঠন, টেলিভিশনের দূরশিক্ষণমূলক অনুষ্ঠানে এবং মাদ্রাসার নারী শিক্ষার্থীদেরও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এখন তিনি ছায়াতল বাংলাদেশ, অপরাজয় বাংলাদেশ এবং সেট প্রোগ্রাম ফর উইমেনে গয়না তৈরির ট্রেনার হিসেবে কর্মরত।
প্রতিবন্ধকতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
রীমা খাতুন তাঁর শিক্ষার্থীদের তৈরি করা গয়না ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেন। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে প্রকৃত উদ্যোক্তা কম। যাঁরা নিজেদের উদ্যোক্তা বলে পরিচয় দেন, তাঁদের অনেকেরই নিজস্ব পণ্য নেই। তাঁরা অন্যের পণ্য প্রদর্শন করেন এবং এই কারণে প্রকৃত উদ্যোক্তারা আড়ালে থেকে যান। ভবিষ্যতে রীমার একটি কারখানা দেওয়ার ইচ্ছা আছে। এ ছাড়া তিনি হোলসেল বা পাইকারি পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করতে চান।
শিক্ষকতা থেকে গয়না প্রশিক্ষক ও উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা করেছেন রীমা। এই যাত্রায় ফুটে উঠেছে একজন নারীর নিজস্ব শক্তি আবিষ্কারের দারুণ এক গল্প।

রীমা খাতুনের জন্ম রাজশাহীতে। সেখান থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সম্পন্ন করেছেন অনার্স-মাস্টার্স। স্বপ্ন ছিল চাকরি করার। গয়না নিয়ে কাজ করার বা এর প্রশিক্ষক হওয়ার কোনো ইচ্ছাই তাঁর ছিল না। তবু শিক্ষকতা থেকে শুরু হওয়া পথচলা তাঁকে নিয়ে এল এক ভিন্ন জগতে। সেখানে এখন তিনি ‘আয়নাবিবির গহনা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও প্রশিক্ষক।
অপ্রত্যাশিত এক শুরু এনজিওতে শিক্ষকতা
২০১৬ সালে নাগরিক উদ্যোগ নামে একটি এনজিওতে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন রীমা। সেখানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা লেখাপড়া করত। একটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে শিশুদের নাচের প্রস্তুতি চলাকালে তিনি বুঝতে পারেন, তাদের নাচের পোশাক থাকলেও মানানসই গয়নার বাজেট নেই। সেই শিশুদের জন্যই রীমা প্রথমবারের মতো গয়না তৈরি করেন। শৈশবে রাজশাহীতে বড় আপুদের দেখে টুকটাক গয়না বানানোর অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি পুঁতি, সুই ও সুতা জোগাড় করে ১৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য পুঁতির গয়না সেট তৈরি করে ফেলেন। শিশুদের এই পারফরম্যান্স এনজিওর প্রধানের মন ছুঁয়ে যায়। এরপর তিনি রীমাকে শুধু গয়নার উপকরণই কিনে দিলেন না, বরং শিশুদের গয়না তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়ার অনুরোধও করলেন।
২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নাগরিক উদ্যোগে চাকরির পাশাপাশি শুরু হয় রীমার গয়না তৈরির কাজ।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও অনলাইন যাত্রা
২০২০ সালে রীমা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে শিক্ষক হিসেবে নতুন চাকরিতে যোগ দেন। এই সময়টাতে করোনা মহামারির কারণে সবাই ঘরবন্দী। তৎকালীন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আবুল হোসেন একদিন রীমাকে ডেকে নারীদের জন্য একটি ফ্রি অনলাইন ট্রেনিং চালু করার কথা বলেন। উদ্দেশ্য ছিল, নারীদের ঘরে বসে শেখানো ও আয়ের পথ তৈরি করে দেওয়া। তাঁর উদ্যোগে সেখানে শুরু হয় সেট প্রোগ্রাম ফর উইমেন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে গয়না, ক্রিস্টাল ও গ্রাফিকস—তিনটি ট্রেডে ফ্রি ট্রেনিং শুরু হয়।

করোনার সময়ে ফ্রি ট্রেনিংয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নারী রেজিস্ট্রেশন করে। ইস্টিমইয়ার্ডের মাধ্যমে শুরু হয় অনলাইন ক্লাস। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ফল হিসেবে ২০২১ সালে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বছরের জন্য নারীদের ফ্রি কোর্স ও অনুদানের ব্যবস্থা করে। এই সময় প্রতিষ্ঠানটির পরিচিতি আরও বেড়ে যায় এবং হাজার হাজার নারী প্রশিক্ষণের জন্য যোগাযোগ করতে শুরু করে। রীমা সেখানে লুমবিডিং, রেজিন, গামছা গয়নাসহ দেশি সব ধরনের গয়না কৌশল সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করেন। এই প্রকল্পের সফল সমাপ্তির পর ২০২৩ সালে তাঁরা আবারও জয়িতা ফাউন্ডেশন থেকে এক বছরের জন্য একটি প্রকল্প পান।
‘আয়নাবিবির গহনা’ ও নারী উদ্যোক্তা তৈরির প্ল্যাটফর্ম
একসময় রীমা তাঁর শিক্ষার্থীদের কাজের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আয়নাবিবির গহনা নামে একটি ফেসবুক পেজ খোলেন। আয়না যেমন মানুষের সৌন্দর্য দেখায়, তেমনি তাঁর শিক্ষার্থীরা তাঁদের কাজের মাধ্যমে নিজেদের গুণ ও সম্ভাবনাকে প্রকাশ করবে, এটিই ছিল এই নামকরণের মূল ভাবনা। ২০২১ সাল থেকে তিনি ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অফলাইনেও প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করেন। প্রশিক্ষণের সময় তিনি বুঝতে শুরু করেন, নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ থাকলেও তাদের তৈরি পণ্য বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মের অভাব রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে আসেন তাঁর স্কুলজীবনের বান্ধবী। তাঁর সহযোগিতায় রীমা শিক্ষার্থীদের তৈরি গয়না পাইকারি দামে কিনে নিয়ে বিক্রির ব্যবস্থা করেন। দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্যোক্তারা তাঁদের মেলা, অনুষ্ঠান বা ক্রেতা সম্মেলনের জন্য রীমা খাতুনের কাছ থেকে পাইকারি দামে গয়না নিতে শুরু করেন। বিশেষত লুমবিডিং গয়না বা তাঁতের গয়না।

একঝাঁক নারীর কর্মসংস্থান
রীমা অনলাইন ও অফলাইনে বাংলাদেশ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, সুইডেনসহ আরও কয়েকটি দেশের ৫ হাজারের বেশি নারীকে গয়না তৈরি শেখার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করছেন শতাধিক নারী। এই নারীরা তাঁকে গয়না সরবরাহ করেন। তাঁদের বেশির ভাগই গৃহিণী বা অবসরপ্রাপ্ত নারী, যাঁরা নিজেদের সময় ও সুযোগমতো কাজ করেন। রীমা শুধু লুমবিডিং গয়না কিনে নেন।

রীমা খাতুন বিশ্বাস করেন, নারীদের হাতের কাজ শেখা এবং টাকা আয় করা জরুরি। তাঁর এই কাজের মূল অনুপ্রেরণা তাঁর নানি ফজিলাতুন্নেছা। তিনি সব সময় রীমাকে গয়না নিয়ে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন। রীমা ইতিমধ্যে কেয়ার, কুমিল্লা ইউএনও পরিষদসহ দেশের বিভিন্ন জেলার উদ্যোক্তা সংগঠন, টেলিভিশনের দূরশিক্ষণমূলক অনুষ্ঠানে এবং মাদ্রাসার নারী শিক্ষার্থীদেরও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এখন তিনি ছায়াতল বাংলাদেশ, অপরাজয় বাংলাদেশ এবং সেট প্রোগ্রাম ফর উইমেনে গয়না তৈরির ট্রেনার হিসেবে কর্মরত।
প্রতিবন্ধকতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
রীমা খাতুন তাঁর শিক্ষার্থীদের তৈরি করা গয়না ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেন। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে প্রকৃত উদ্যোক্তা কম। যাঁরা নিজেদের উদ্যোক্তা বলে পরিচয় দেন, তাঁদের অনেকেরই নিজস্ব পণ্য নেই। তাঁরা অন্যের পণ্য প্রদর্শন করেন এবং এই কারণে প্রকৃত উদ্যোক্তারা আড়ালে থেকে যান। ভবিষ্যতে রীমার একটি কারখানা দেওয়ার ইচ্ছা আছে। এ ছাড়া তিনি হোলসেল বা পাইকারি পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করতে চান।
শিক্ষকতা থেকে গয়না প্রশিক্ষক ও উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা করেছেন রীমা। এই যাত্রায় ফুটে উঠেছে একজন নারীর নিজস্ব শক্তি আবিষ্কারের দারুণ এক গল্প।
বিশ্বব্যাপী নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ এখন আর শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি একটি দেশের সামাজিক অগ্রগতির পরিমাপকও বটে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের তথ্য বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীরা বিভিন্ন খাতে যুক্ত হয়ে জাতীয় উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
২০ আগস্ট ২০২৫
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ‘লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলন’। অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপে ১৯৩০-৩১ সাল জুড়ে অনুষ্ঠিত হয় লবণ সত্যাগ্রহ। এই আন্দোলনে নারীরা যে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছিলেন, তা সামনে নিয়ে এসেছে সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া কতগুলো ছবি।
৫ দিন আগে
বৈষম্যবিরোধী স্লোগান দিয়ে রাজনৈতিক পরিবর্তন আনা হলেও প্রশাসন থেকে সমাজ—সব স্তরেই বৈষম্য রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। তিনি বলেন, খাদ্য, জমি ও সম্পত্তিতে নারীর অধিকার নেই বললেই চলে। সচেতনতার অভাব এবং সামাজিক কাঠামোর বৈষম্য নারীদের এগিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছে।
৭ দিন আগে
ঘরে ও বাইরে সর্বত্র নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। নারীরা কোথাও নিরাপদ বোধ করছেন না। নারীর সাফল্য অনেক পুরুষকে শঙ্কিত করে, এই শঙ্কা সহিংসতাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে ১৬ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন...
৮ দিন আগে