জাহাঙ্গীর আলম

এয়ার কন্ডিশনার বা এসি একটি প্রায় অনন্য খরুচে যন্ত্র। এসির একটি ছোট ইউনিট একটি ঘর শীতল করতে পারে, অথচ এটিই গড়ে চারটি ফ্রিজের সমান বিদ্যুৎ খরচ করে। আর যখন বাড়ি শীতল রাখতে একটি কেন্দ্রীয় ইউনিট ব্যবহার করা হয় তখন ১৫টির বেশি ফ্রিজের সমান বিদ্যুৎ একাই খরচ করে।
আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার (আইইএ) ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে তখন একটি ঘর ঠান্ডা রাখার মতো এসির ইউনিট ছিল ১০০ কোটির বেশি। সে হিসাবে পৃথিবীতে প্রতি সাতজনের বিপরীতে প্রায় একটি এসি। যদিও পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ চরম তাপপ্রবাহের মধ্যেও এসির শীতলতা কল্পনা করতে পারেন না।
এ নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে ছোট ইউনিটের এসি থাকবে ৪৫০ কোটির বেশি। তার মানে বর্তমানের মোবাইল ফোনের মতো সর্বব্যাপী ভোক্তাপণ্য হয়ে উঠবে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এই বিশ্বব্যাপী আধিপত্য কিন্তু অনিবার্য ছিল না। এই মাত্র ১৯৯০ সালেও বিশ্বে মাত্র ৪০ কোটি এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট ছিল, যার আবার বেশিরভাগই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত শিল্পে ব্যবহারের জন্য নির্মিত শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র শেষ পর্যন্ত মানুষের অপরিহার্য, আধুনিকতা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতীক হয়ে ওঠে। এরপরই এয়ার কন্ডিশনার বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
তবে মানতে হবে যে, সমুদ্রে সংযোগ খাল খনন বা অটোমোবাইলের মতো শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র এমন একটি প্রযুক্তি যা বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। স্বাধীন সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউ এই যন্ত্রকে ‘ইতিহাসের একটি বাঁকবদলকারী উদ্ভাবন’ বলে অভিহিত করেছেন। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশের দ্রুত আধুনিকায়নে এটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৯৮ সালে আমেরিকান শিক্ষাবিদ রিচার্ড নাথান নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, ‘নাগরিক অধিকার বিপ্লব’-এর সঙ্গে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গত তিন দশকে আমেরিকার জনসংখ্যা এবং রাজনীতি পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় অনুঘটক ছিল। এটি ব্যাপক আবাসিক উন্নয়নকে সম্ভব করে তুলেছে। বিশেষ করে গরম এবং খুব রক্ষণশীল দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের পরিবর্তনের জন্য এর অবদান অনস্বীকার্য।
অথচ মাত্র এক শতক আগেও খুব কম মানুষই এমন ভবিষ্যদ্বাণী করতে পেরেছিলেন। যদিও উদ্ভাবনের প্রথম ৫০ বছর শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা মূলত কারখানা এবং মুষ্টিমেয় পাবলিক স্পেসে সীমাবদ্ধ ছিল।
এসির প্রাথমিক উদ্ভাবনের কৃতিত্ব দেওয়া হয় উইলিস ক্যারিয়ারকে। তিনি একজন আমেরিকান প্রকৌশলী। একটি হিটিং এবং ভেন্টিলেশন কোম্পানি তাঁকে ১৯০২ সালে ব্রুকলিনের একটি মুদ্রণ কারখানায় আর্দ্রতা কমানোর দায়িত্ব দিয়েছিল। আমাদের ধারণা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের উদ্দেশ্য হলো তাপমাত্রা কমানো, কিন্তু তখনকার প্রকৌশলীরা শুধু তাপমাত্রা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না। তাঁরা শিল্প উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে স্থিতিশীল সম্ভাব্য পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। যেমন, একটি মুদ্রণ কারখানায় বেশি আর্দ্রতা থাকলে কাগজের শিট কুঁচকে যেতে পারে, এতে কালি ঝাপসা বা লেপটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ক্যারিয়ার বুঝতে পেরেছিলেন যে কারখানার বাতাস থেকে তাপ অপসারণ করলে আর্দ্রতা হ্রাস পাবে। তাই তিনি একটি জ্যাক-আপ ফ্রিজ তৈরি করার জন্য নতুন রেফ্রিজারেশন শিল্প থেকে প্রযুক্তি ধার করেন। এরপরে এখনকার মতো, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটগুলো যেমন গরম বাতাস টেনে নেয় এবং একটি শীতল পৃষ্ঠের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেয়, ফলে ঠান্ডা এবং শুষ্ক বাতাসে ঘর ভরে যায়—এমন একটি কৌশল উদ্ভাবন করেন ক্যারিয়ার।
উদ্ভাবনটি বহু শিল্পের বেশ উপকারে আসে। টেক্সটাইল, গোলাবারুদ এবং ওষুধ কারখানাগুলো এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের প্রথম দিকের গ্রাহক হয়। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসর নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে এসি লাগানো হয় ১৯২৮ সালে। পরের বছর এসি পায় হোয়াইট হাউস এবং এরপর সিনেট।
১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে, যখন এসি মানুষের বাসাবাড়িতে প্রবেশ করতে শুরু করে, তখন এয়ার কন্ডিশনার সত্যি সত্যিই আমেরিকা জয় করে ফেলেছে। তবে ইতিহাসবিদ গেইল কুপারের মতে, জনসাধারণকে এটা বোঝানোর জন্য এসি শিল্পকে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে যে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ কোনো বিলাসিতা নয় বরং প্রয়োজন।
শুরুর দিনগুলোর কিছু বিবরণও তুলে ধরেছেন কুপার। তিনি উল্লেখ করেছেন, তখনকার ম্যাগাজিনগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বাজারে ফ্লপ করেছে বর্ণনা করেছে। ফরচুন ম্যাগাজিন তো এটিকে ‘১৯৩০-এর দশকের একটি প্রধান জনহতাশা' বলে অভিহিত করেছে।
১৯৩৮ সাল নাগাদ আমেরিকার প্রতি ৪০০টি বাড়ির মধ্যে মাত্র একটিতে এসি ছিল। আর আজ এটি ১০-এর মধ্যে নয়টির কাছাকাছি চলে এসেছে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এই উত্থান কিন্তু ভোক্তা চাহিদার আকস্মিক বিস্ফোরণের ফলে ঘটেনি। বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর আবাসন শিল্পের উল্লম্ফন এসি শিল্পের জন্য আশীর্বাদ হয়। ১৯৪৬ এবং ১৯৬৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ কোটি ১০ লাখ নতুন বাড়ি নির্মাণ করা হয়। সেই ঘরগুলোতে এসি রাখা একটা আভিজাত্যের ব্যাপার হয়ে উঠেছিল। স্থপতি এবং নির্মাণ সংস্থাগুলোকে তখন জলবায়ু নিয়ে অতো ভাবতে হয়নি। তারা ডেলাওয়্যারের মতো নিউ মেক্সিকোতেও একই শৈলীর বাড়ি বিক্রি করতে পারছিল।
তখনকার প্রচলিত মানসিকতা ছিল, গরম আবহাওয়া, সস্তা নির্মাণ সামগ্রী, বাজে নকশা বা দুর্বল নগর পরিকল্পনার কারণে সৃষ্ট যে কোনও সমস্যাই উতরে যাওয়া যাবে এক এসি দিয়ে! আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস ১৯৭৩ সালে লিখেছিল, বেশি এসি ব্যবহার করেই সব দুর্বলতা ঢাকা যাবে এমন একটা মানসিকতা দেখা যাচ্ছে। ইতিহাসবিদ কুপার যেমন লিখেছেন, ‘স্থপতি, নির্মাণকারী এবং ব্যাংকাররা প্রথমে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন। সাধারণ ভোক্তাদের ব্যাপারটা তখন এমন ছিল যে, তারা মুখ ফুটে চাইলেই হাতের নাগালে চলে আসবে!’
এসির এই উত্থানের সঙ্গে সমানভাবে প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে আরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের গ্রিডে নতুন নতুন বাসাবাড়ি যুক্ত করে আয় বাড়াচ্ছিল। তবে বিশ শতকের গোড়ার দিকে তারা এই নতুন গ্রাহকদের আরও বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করার উপায় খুঁজছিল। এই প্রক্রিয়াটি তখন ‘লোড বিল্ডিং’ নামে পরিচিত ছিল। কারণ বিদ্যুতের খরচ তখন কম ছিল। তাই আয় বাড়াতে বেশি ব্যবহার উৎসাহিত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল কোম্পানিগুলো।
ভার্জিনিয়া টেকের প্রযুক্তির ইতিহাসবিদ রিচার্ড হারশ বলেন, গ্রাহকেরা বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্প্রসারণ এবং নির্মাণ চালিয়ে যাওয়া যাবে—এই ছিল কোম্পানিগুলোর লক্ষ্য।
কোম্পানিগুলো দেখল, গ্রিডে উল্লেখযোগ্য লোড বাড়ায় এসি। ১৯৩৫ সালের প্রথম দিকে, কমনওয়েলথ এডিসন, আধুনিক কন এডিসনের পূর্বসূরী, বছর শেষের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, এয়ার কন্ডিশনারের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বছরে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতের জন্য যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে এতে।
একই বছর শিল্প বাণিজ্য পত্রিকা ইলেকট্রিক লাইট অ্যান্ড পাওয়ারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বড় শহরগুলোর সরবরাহ কোম্পানিগুলো এখন শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহারের জন্য চাপ দিচ্ছে। তারা নিজেদের লাভের জন্যই এটা করছে। সমস্ত বিদ্যুৎ কোম্পানিকে এক্ষেত্রে খুব সক্রিয় হওয়া উচিত।
১৯৫০-এর দশকে, সেই কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ এসে যায়। বৈদ্যুতিক ইউটিলিটিগুলো এয়ার কন্ডিশনারের পক্ষে প্রচার-প্রচারণার জন্য প্রিন্ট, রেডিও এবং সিনেমায় বিজ্ঞাপন দিতে থাকে। সেই সঙ্গে এসি উৎপাদনকারী এবং বিক্রয় ও বিক্রয় পরবর্তী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি অর্থায়ন এবং ছাড়ের অফার দিতে শুরু করে। ১৯৫৭ সালে কমনওয়েলথ এডিসন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, প্রথমবারের মতো, সর্বোচ্চ বিদ্যুতের ব্যবহার হয়েছে গ্রীষ্মকালে। মানুষ যখন এসি চালু রেখেছে তখনই সবচেয়ে বেশি লোড পড়েছে। অথচ আগে শীতকালে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করতো মানুষ, কারণ তারা রুম হিটার ব্যবহার করতো। ১৯৭০ সালের মধ্যে, ৩৫ শতাংশ আমেরিকান বাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ঢুকে পড়ে। যা তিন দশক আগের সংখ্যার ২০০ গুণেরও বেশি!
একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের চাহিদার ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটে। কাচঘেরা আকাশচুম্বি ভবন বা অল-গ্লাস স্কাইস্ক্র্যাপার, এমন একটি বিল্ডিং শৈলী যেটির দুর্বল প্রতিফলন বৈশিষ্ট্য এবং বায়ুচলাচলের যথেষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে এসি অপরিহার্য হয়ে ওঠে। সেন্ট্রাল এসি ও ছোট ইউনিটের জন্য ভবনের চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি বিদ্যুৎ এসির জন্য সংরক্ষিত রাখতে হয়। এই ধরনের ভবনই যুক্তরাষ্ট্রে চল হয়ে ওঠে।
১৯৫০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে বাণিজ্যিক ভবনে প্রতি বর্গফুট হিসাবে বিদ্যুতের ব্যবহার দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ে। নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নির্মাণ সম্পন্ন হয় ১৯৭৪ সালে। তখনকার সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম এসি ইউনিট ছিল সেখানে। ঋতুভেদে শীতল ও গরম করার জন্য নয়টি বিশাল ইঞ্জিন এবং ২৭০ কিলোমিটারেরও বেশি পাইপিং ব্যবস্থা ছিল। সেই সময়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, এই এসি ব্যবস্থা প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার জনসংখ্যার শহর শেনেক্টাডির সমান বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।
যুদ্ধোত্তর যুক্তরাষ্ট্রে পুঁজিবাদের ঢেউয়ে নিরাপদে চড়ে বসে এসি শিল্প, নির্মাণ কোম্পানি এবং বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো। এই কোম্পানিগুলোর প্রচার প্রচারণার কারণেই এসি আমেরিকান জীবনের একটি অপরিহার্য উপাদান হয়ে ওঠে। ‘আমাদের বাচ্চারা এসি সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছে’, ১৯৬৮ সালে একটি এসি কোম্পানির নির্বাহী টাইম ম্যাগাজিনকে এমন কথাই বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এসি নেই এমন বাড়িতে বসবাস করার কথা নিশ্চয়ই ভাববেন না।’ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ নিজের অজান্তেই এসি ভালোবাসতে শুরু করে। দ্রুত এসির ব্যবহার বাড়তে থাকে। ২০০৯ সালের মধ্যে ৮৭ শতাংশ মার্কিন পরিবারে পৌঁছে যায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র।
যুদ্ধোত্তর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে নতুন নতুন আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ হতে থাকে। তখন নীতি নির্ধারকদের বিশ্বাস ছিল, এসব অবকাঠামো প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ করবে কিন্তু এতে ভবিষ্যতে গুরুতর কোনো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। ১৯৯২ সালে এনার্জি অ্যান্ড বিল্ডিংস সাময়িকীতে ব্রিটিশ রক্ষণশীল একাডেমিক গুইন প্রিন্সের একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি যুক্তি দেন, এসির প্রতি এই আমেরিকান আসক্তি তাদের গভীর অবক্ষয়েরই প্রতীক! প্রিন্স আমেরিকার এই প্রবণতার বিষয়ে বলেন, ‘তারা ভাবছে, আমরা ঠান্ডার মধ্যে থাকব, আমাদের প্লেট উপচে পড়বে এবং গ্যাস হবে প্রতি গ্যালন ১ ডলার, আমেন!’
যে সময়ে এয়ার কন্ডিশনার আমেরিকার শহরগুলোকে নতুন আকার দিচ্ছিল, ওই সময় কিন্তু বাইরের বিশ্বে এর প্রভাব তেমন পড়েনি। অবশ্য জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুর শুরুর দিকের গ্রাহক ছিল। যাইহোক, এয়ার কন্ডিশনার শেষ পর্যন্ত বিশ্বের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এসির অগ্রযাত্রা যুদ্ধোত্তর নির্মাণ খাতের উল্লম্ফন এবং মানুষের ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে এই তাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সাম্প্রতিক সম্প্রসারণ বিশ্বায়নের গতিপথ অনুসরণ করছে। বিশ্বের অন্য দেশগুলো নির্মাণ এবং জীবনযাপন পদ্ধতিতে আরও বেশি আমেরিকান হয়ে উঠতে চেয়েছে। তারাও ব্যাপকভাবে এসির ব্যবহার শুরু করেছে।
১৯৯০-এর দশকে, এশিয়ার অনেক দেশ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত হয়, যা অভূতপূর্ব নগর নির্মাণের সূচনা করে। গত তিন দশকে, ভারতের প্রায় ২০ কোটি মানুষ গ্রাম থেকে শহরে চলে গেছে; চীনে এই সংখ্যা ৫০ কোটিরও বেশি। নয়াদিল্লি থেকে সাংহাই পর্যন্ত ভারী এসি যুক্ত অফিস ভবন, হোটেল এবং শপিং মল গড়ে ওঠে রাস্তার মোড়ে মোড়ে। এই ভবনগুলোকে নিউইয়র্ক বা লন্ডনের থেকে আলাদা করা যায় না। তাছাড়া প্রায়শই একই নির্মাতা এবং স্থপতিরাই থাকেন এসব ভবন নির্মাণের পেছনে।
অশোক লাল নামে একজন ভারতীয় স্থপতি দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা বলেন, উঁচু উঁচু ভবনগুলোর জন্য বাইরের বিশ্ব থেকে যখন টাকা আসতো তখন প্রায়শই একজন আমেরিকান বা ইউরোপীয় ডিজাইনার বা পরামর্শক সংস্থাও সঙ্গে চলে আসতো। ফলে ভবনের সঙ্গে প্যাকেজ হিসেবে আসে এসি! এখানকার লোকেরা ভেবেছিল এর মানেই অগ্রগতি!

এয়ার কন্ডিশনার বা এসি একটি প্রায় অনন্য খরুচে যন্ত্র। এসির একটি ছোট ইউনিট একটি ঘর শীতল করতে পারে, অথচ এটিই গড়ে চারটি ফ্রিজের সমান বিদ্যুৎ খরচ করে। আর যখন বাড়ি শীতল রাখতে একটি কেন্দ্রীয় ইউনিট ব্যবহার করা হয় তখন ১৫টির বেশি ফ্রিজের সমান বিদ্যুৎ একাই খরচ করে।
আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার (আইইএ) ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে তখন একটি ঘর ঠান্ডা রাখার মতো এসির ইউনিট ছিল ১০০ কোটির বেশি। সে হিসাবে পৃথিবীতে প্রতি সাতজনের বিপরীতে প্রায় একটি এসি। যদিও পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ চরম তাপপ্রবাহের মধ্যেও এসির শীতলতা কল্পনা করতে পারেন না।
এ নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে ছোট ইউনিটের এসি থাকবে ৪৫০ কোটির বেশি। তার মানে বর্তমানের মোবাইল ফোনের মতো সর্বব্যাপী ভোক্তাপণ্য হয়ে উঠবে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এই বিশ্বব্যাপী আধিপত্য কিন্তু অনিবার্য ছিল না। এই মাত্র ১৯৯০ সালেও বিশ্বে মাত্র ৪০ কোটি এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট ছিল, যার আবার বেশিরভাগই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত শিল্পে ব্যবহারের জন্য নির্মিত শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র শেষ পর্যন্ত মানুষের অপরিহার্য, আধুনিকতা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতীক হয়ে ওঠে। এরপরই এয়ার কন্ডিশনার বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
তবে মানতে হবে যে, সমুদ্রে সংযোগ খাল খনন বা অটোমোবাইলের মতো শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র এমন একটি প্রযুক্তি যা বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। স্বাধীন সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউ এই যন্ত্রকে ‘ইতিহাসের একটি বাঁকবদলকারী উদ্ভাবন’ বলে অভিহিত করেছেন। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশের দ্রুত আধুনিকায়নে এটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৯৮ সালে আমেরিকান শিক্ষাবিদ রিচার্ড নাথান নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, ‘নাগরিক অধিকার বিপ্লব’-এর সঙ্গে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গত তিন দশকে আমেরিকার জনসংখ্যা এবং রাজনীতি পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় অনুঘটক ছিল। এটি ব্যাপক আবাসিক উন্নয়নকে সম্ভব করে তুলেছে। বিশেষ করে গরম এবং খুব রক্ষণশীল দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের পরিবর্তনের জন্য এর অবদান অনস্বীকার্য।
অথচ মাত্র এক শতক আগেও খুব কম মানুষই এমন ভবিষ্যদ্বাণী করতে পেরেছিলেন। যদিও উদ্ভাবনের প্রথম ৫০ বছর শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা মূলত কারখানা এবং মুষ্টিমেয় পাবলিক স্পেসে সীমাবদ্ধ ছিল।
এসির প্রাথমিক উদ্ভাবনের কৃতিত্ব দেওয়া হয় উইলিস ক্যারিয়ারকে। তিনি একজন আমেরিকান প্রকৌশলী। একটি হিটিং এবং ভেন্টিলেশন কোম্পানি তাঁকে ১৯০২ সালে ব্রুকলিনের একটি মুদ্রণ কারখানায় আর্দ্রতা কমানোর দায়িত্ব দিয়েছিল। আমাদের ধারণা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের উদ্দেশ্য হলো তাপমাত্রা কমানো, কিন্তু তখনকার প্রকৌশলীরা শুধু তাপমাত্রা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না। তাঁরা শিল্প উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে স্থিতিশীল সম্ভাব্য পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। যেমন, একটি মুদ্রণ কারখানায় বেশি আর্দ্রতা থাকলে কাগজের শিট কুঁচকে যেতে পারে, এতে কালি ঝাপসা বা লেপটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ক্যারিয়ার বুঝতে পেরেছিলেন যে কারখানার বাতাস থেকে তাপ অপসারণ করলে আর্দ্রতা হ্রাস পাবে। তাই তিনি একটি জ্যাক-আপ ফ্রিজ তৈরি করার জন্য নতুন রেফ্রিজারেশন শিল্প থেকে প্রযুক্তি ধার করেন। এরপরে এখনকার মতো, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটগুলো যেমন গরম বাতাস টেনে নেয় এবং একটি শীতল পৃষ্ঠের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেয়, ফলে ঠান্ডা এবং শুষ্ক বাতাসে ঘর ভরে যায়—এমন একটি কৌশল উদ্ভাবন করেন ক্যারিয়ার।
উদ্ভাবনটি বহু শিল্পের বেশ উপকারে আসে। টেক্সটাইল, গোলাবারুদ এবং ওষুধ কারখানাগুলো এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের প্রথম দিকের গ্রাহক হয়। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসর নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে এসি লাগানো হয় ১৯২৮ সালে। পরের বছর এসি পায় হোয়াইট হাউস এবং এরপর সিনেট।
১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে, যখন এসি মানুষের বাসাবাড়িতে প্রবেশ করতে শুরু করে, তখন এয়ার কন্ডিশনার সত্যি সত্যিই আমেরিকা জয় করে ফেলেছে। তবে ইতিহাসবিদ গেইল কুপারের মতে, জনসাধারণকে এটা বোঝানোর জন্য এসি শিল্পকে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে যে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ কোনো বিলাসিতা নয় বরং প্রয়োজন।
শুরুর দিনগুলোর কিছু বিবরণও তুলে ধরেছেন কুপার। তিনি উল্লেখ করেছেন, তখনকার ম্যাগাজিনগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বাজারে ফ্লপ করেছে বর্ণনা করেছে। ফরচুন ম্যাগাজিন তো এটিকে ‘১৯৩০-এর দশকের একটি প্রধান জনহতাশা' বলে অভিহিত করেছে।
১৯৩৮ সাল নাগাদ আমেরিকার প্রতি ৪০০টি বাড়ির মধ্যে মাত্র একটিতে এসি ছিল। আর আজ এটি ১০-এর মধ্যে নয়টির কাছাকাছি চলে এসেছে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এই উত্থান কিন্তু ভোক্তা চাহিদার আকস্মিক বিস্ফোরণের ফলে ঘটেনি। বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর আবাসন শিল্পের উল্লম্ফন এসি শিল্পের জন্য আশীর্বাদ হয়। ১৯৪৬ এবং ১৯৬৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ কোটি ১০ লাখ নতুন বাড়ি নির্মাণ করা হয়। সেই ঘরগুলোতে এসি রাখা একটা আভিজাত্যের ব্যাপার হয়ে উঠেছিল। স্থপতি এবং নির্মাণ সংস্থাগুলোকে তখন জলবায়ু নিয়ে অতো ভাবতে হয়নি। তারা ডেলাওয়্যারের মতো নিউ মেক্সিকোতেও একই শৈলীর বাড়ি বিক্রি করতে পারছিল।
তখনকার প্রচলিত মানসিকতা ছিল, গরম আবহাওয়া, সস্তা নির্মাণ সামগ্রী, বাজে নকশা বা দুর্বল নগর পরিকল্পনার কারণে সৃষ্ট যে কোনও সমস্যাই উতরে যাওয়া যাবে এক এসি দিয়ে! আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস ১৯৭৩ সালে লিখেছিল, বেশি এসি ব্যবহার করেই সব দুর্বলতা ঢাকা যাবে এমন একটা মানসিকতা দেখা যাচ্ছে। ইতিহাসবিদ কুপার যেমন লিখেছেন, ‘স্থপতি, নির্মাণকারী এবং ব্যাংকাররা প্রথমে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন। সাধারণ ভোক্তাদের ব্যাপারটা তখন এমন ছিল যে, তারা মুখ ফুটে চাইলেই হাতের নাগালে চলে আসবে!’
এসির এই উত্থানের সঙ্গে সমানভাবে প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে আরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের গ্রিডে নতুন নতুন বাসাবাড়ি যুক্ত করে আয় বাড়াচ্ছিল। তবে বিশ শতকের গোড়ার দিকে তারা এই নতুন গ্রাহকদের আরও বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করার উপায় খুঁজছিল। এই প্রক্রিয়াটি তখন ‘লোড বিল্ডিং’ নামে পরিচিত ছিল। কারণ বিদ্যুতের খরচ তখন কম ছিল। তাই আয় বাড়াতে বেশি ব্যবহার উৎসাহিত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল কোম্পানিগুলো।
ভার্জিনিয়া টেকের প্রযুক্তির ইতিহাসবিদ রিচার্ড হারশ বলেন, গ্রাহকেরা বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্প্রসারণ এবং নির্মাণ চালিয়ে যাওয়া যাবে—এই ছিল কোম্পানিগুলোর লক্ষ্য।
কোম্পানিগুলো দেখল, গ্রিডে উল্লেখযোগ্য লোড বাড়ায় এসি। ১৯৩৫ সালের প্রথম দিকে, কমনওয়েলথ এডিসন, আধুনিক কন এডিসনের পূর্বসূরী, বছর শেষের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, এয়ার কন্ডিশনারের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বছরে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতের জন্য যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে এতে।
একই বছর শিল্প বাণিজ্য পত্রিকা ইলেকট্রিক লাইট অ্যান্ড পাওয়ারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বড় শহরগুলোর সরবরাহ কোম্পানিগুলো এখন শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহারের জন্য চাপ দিচ্ছে। তারা নিজেদের লাভের জন্যই এটা করছে। সমস্ত বিদ্যুৎ কোম্পানিকে এক্ষেত্রে খুব সক্রিয় হওয়া উচিত।
১৯৫০-এর দশকে, সেই কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ এসে যায়। বৈদ্যুতিক ইউটিলিটিগুলো এয়ার কন্ডিশনারের পক্ষে প্রচার-প্রচারণার জন্য প্রিন্ট, রেডিও এবং সিনেমায় বিজ্ঞাপন দিতে থাকে। সেই সঙ্গে এসি উৎপাদনকারী এবং বিক্রয় ও বিক্রয় পরবর্তী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি অর্থায়ন এবং ছাড়ের অফার দিতে শুরু করে। ১৯৫৭ সালে কমনওয়েলথ এডিসন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, প্রথমবারের মতো, সর্বোচ্চ বিদ্যুতের ব্যবহার হয়েছে গ্রীষ্মকালে। মানুষ যখন এসি চালু রেখেছে তখনই সবচেয়ে বেশি লোড পড়েছে। অথচ আগে শীতকালে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করতো মানুষ, কারণ তারা রুম হিটার ব্যবহার করতো। ১৯৭০ সালের মধ্যে, ৩৫ শতাংশ আমেরিকান বাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ঢুকে পড়ে। যা তিন দশক আগের সংখ্যার ২০০ গুণেরও বেশি!
একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের চাহিদার ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটে। কাচঘেরা আকাশচুম্বি ভবন বা অল-গ্লাস স্কাইস্ক্র্যাপার, এমন একটি বিল্ডিং শৈলী যেটির দুর্বল প্রতিফলন বৈশিষ্ট্য এবং বায়ুচলাচলের যথেষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে এসি অপরিহার্য হয়ে ওঠে। সেন্ট্রাল এসি ও ছোট ইউনিটের জন্য ভবনের চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি বিদ্যুৎ এসির জন্য সংরক্ষিত রাখতে হয়। এই ধরনের ভবনই যুক্তরাষ্ট্রে চল হয়ে ওঠে।
১৯৫০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে বাণিজ্যিক ভবনে প্রতি বর্গফুট হিসাবে বিদ্যুতের ব্যবহার দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ে। নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নির্মাণ সম্পন্ন হয় ১৯৭৪ সালে। তখনকার সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম এসি ইউনিট ছিল সেখানে। ঋতুভেদে শীতল ও গরম করার জন্য নয়টি বিশাল ইঞ্জিন এবং ২৭০ কিলোমিটারেরও বেশি পাইপিং ব্যবস্থা ছিল। সেই সময়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, এই এসি ব্যবস্থা প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার জনসংখ্যার শহর শেনেক্টাডির সমান বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।
যুদ্ধোত্তর যুক্তরাষ্ট্রে পুঁজিবাদের ঢেউয়ে নিরাপদে চড়ে বসে এসি শিল্প, নির্মাণ কোম্পানি এবং বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো। এই কোম্পানিগুলোর প্রচার প্রচারণার কারণেই এসি আমেরিকান জীবনের একটি অপরিহার্য উপাদান হয়ে ওঠে। ‘আমাদের বাচ্চারা এসি সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছে’, ১৯৬৮ সালে একটি এসি কোম্পানির নির্বাহী টাইম ম্যাগাজিনকে এমন কথাই বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এসি নেই এমন বাড়িতে বসবাস করার কথা নিশ্চয়ই ভাববেন না।’ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ নিজের অজান্তেই এসি ভালোবাসতে শুরু করে। দ্রুত এসির ব্যবহার বাড়তে থাকে। ২০০৯ সালের মধ্যে ৮৭ শতাংশ মার্কিন পরিবারে পৌঁছে যায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র।
যুদ্ধোত্তর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে নতুন নতুন আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ হতে থাকে। তখন নীতি নির্ধারকদের বিশ্বাস ছিল, এসব অবকাঠামো প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ করবে কিন্তু এতে ভবিষ্যতে গুরুতর কোনো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। ১৯৯২ সালে এনার্জি অ্যান্ড বিল্ডিংস সাময়িকীতে ব্রিটিশ রক্ষণশীল একাডেমিক গুইন প্রিন্সের একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি যুক্তি দেন, এসির প্রতি এই আমেরিকান আসক্তি তাদের গভীর অবক্ষয়েরই প্রতীক! প্রিন্স আমেরিকার এই প্রবণতার বিষয়ে বলেন, ‘তারা ভাবছে, আমরা ঠান্ডার মধ্যে থাকব, আমাদের প্লেট উপচে পড়বে এবং গ্যাস হবে প্রতি গ্যালন ১ ডলার, আমেন!’
যে সময়ে এয়ার কন্ডিশনার আমেরিকার শহরগুলোকে নতুন আকার দিচ্ছিল, ওই সময় কিন্তু বাইরের বিশ্বে এর প্রভাব তেমন পড়েনি। অবশ্য জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুর শুরুর দিকের গ্রাহক ছিল। যাইহোক, এয়ার কন্ডিশনার শেষ পর্যন্ত বিশ্বের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এসির অগ্রযাত্রা যুদ্ধোত্তর নির্মাণ খাতের উল্লম্ফন এবং মানুষের ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে এই তাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সাম্প্রতিক সম্প্রসারণ বিশ্বায়নের গতিপথ অনুসরণ করছে। বিশ্বের অন্য দেশগুলো নির্মাণ এবং জীবনযাপন পদ্ধতিতে আরও বেশি আমেরিকান হয়ে উঠতে চেয়েছে। তারাও ব্যাপকভাবে এসির ব্যবহার শুরু করেছে।
১৯৯০-এর দশকে, এশিয়ার অনেক দেশ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত হয়, যা অভূতপূর্ব নগর নির্মাণের সূচনা করে। গত তিন দশকে, ভারতের প্রায় ২০ কোটি মানুষ গ্রাম থেকে শহরে চলে গেছে; চীনে এই সংখ্যা ৫০ কোটিরও বেশি। নয়াদিল্লি থেকে সাংহাই পর্যন্ত ভারী এসি যুক্ত অফিস ভবন, হোটেল এবং শপিং মল গড়ে ওঠে রাস্তার মোড়ে মোড়ে। এই ভবনগুলোকে নিউইয়র্ক বা লন্ডনের থেকে আলাদা করা যায় না। তাছাড়া প্রায়শই একই নির্মাতা এবং স্থপতিরাই থাকেন এসব ভবন নির্মাণের পেছনে।
অশোক লাল নামে একজন ভারতীয় স্থপতি দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা বলেন, উঁচু উঁচু ভবনগুলোর জন্য বাইরের বিশ্ব থেকে যখন টাকা আসতো তখন প্রায়শই একজন আমেরিকান বা ইউরোপীয় ডিজাইনার বা পরামর্শক সংস্থাও সঙ্গে চলে আসতো। ফলে ভবনের সঙ্গে প্যাকেজ হিসেবে আসে এসি! এখানকার লোকেরা ভেবেছিল এর মানেই অগ্রগতি!

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
২১ ঘণ্টা আগে
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
২ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
৩ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো! ভাবতে ভাবতে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় এ সময় চোখে পড়ল, যে কোম্পানি থেকে এই ই-মেইল এসেছে, সেখানে আপনি চাকরিই করেন না, কখনো করেনওনি! ভাবুন তো কেমন লাগার কথা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে এক নারীর সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ সাইমন ইনগারি নামের একজন ক্যারিয়ার কাউন্সিলর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা শেয়ার করেছেন।
সাইমন ইনগারি তাঁর টুইটে জানান, তাঁর স্ত্রী এমন একটি কোম্পানি থেকে ছাঁটাইয়ের ই-মেইল পেয়েছেন, যেখানে তিনি কখনো কাজই করেননি। ইমেইল পাওয়ার পর তিনি এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি পুরো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
ইনগারি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিল, সে কি কোনো ডেডলাইন মিস করেছিল, নাকি তাঁর বড় কোনো ভুল হয়েছিল। পরে চেক করে দেখে ই-মেইল প্রেরক কোম্পানিটি তাঁর কর্মস্থলই নয়।’
ইনগারি তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘আমার স্ত্রী একটি টার্মিনেশন ইমেইল পেয়েছে। ইমেইলটি দেখেই তাঁর বুক ধক করে ওঠে। এক সেকেন্ডের জন্য সে থমকে যায়। কোনো ডেডলাইন মিস করেছে? কিছু ভুল বলেছে? শেষে জানা গেল, যে কোম্পানিতে সে কখনো চাকরিই করেনি, সেখান থেকেই তাঁকে “বরখাস্ত” করা হয়েছে।’
এই ঘটনার মাধ্যমে ওই কোম্পানির এইচআর বিভাগের অসতর্কতার বিষয়টি তুলে ধরে ইনগারি অনুরোধ জানান, ভবিষ্যতে ইমেইল পাঠানোর সময় যেন প্রাপকের আইডি আরও ভালোভাবে যাচাই করা হয়। তিনি লেখেন, ‘প্রিয় এইচআর, দয়া করে পরেরবার ইমেইল আইডিটা একটু ভালো করে দেখবেন। এমন ভুলে তো কারও সত্যিই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে।’
এই পোস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী এমন ভুলের সম্ভাব্য গুরুতর পরিণতির কথা তুলে ধরেন। কেউ কেউ ঘটনাটিকে হাস্যরসের চোখে দেখলেও, অন্যরা এটিকে আধুনিক করপোরেট দুনিয়ায় বাড়তে থাকা অসতর্কতা ও চাকরির অনিশ্চয়তার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তাঁর উচিত একটি অপ্রত্যাশিত এবং কঠোর জবাব দেওয়া। এতে করে অন্তত তাঁরা বুঝতে পারার আগেই যে ভুল ঠিকানায় ইমেইল পাঠানো হয়েছে, তিনি নিজের ক্ষোভ উগরে দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘এটা কোনো ছোটখাটো ভুল নয়। একটি ভুল ইমেইল কারও পুরো দিন, সপ্তাহ—এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এইচআর সারাদিন সহমর্মিতার কথা বলে, অথচ স্প্যামের মতো করে বরখাস্তের ইমেইল পাঠায়।’
আরেকজন বলেন, ‘মানবিক কোনো মান যাচাই ছাড়াই যখন কোম্পানিগুলো সব অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় করে ফেলে, তখনই এমনটা ঘটে। এটি অত্যন্ত নিম্নমানের পরিচালনা এবং ব্র্যান্ডের জন্য ক্ষতিকর। ভাগ্য ভালো যে এটি কেবল একটি ভুল সতর্কবার্তা ছিল।’

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো! ভাবতে ভাবতে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় এ সময় চোখে পড়ল, যে কোম্পানি থেকে এই ই-মেইল এসেছে, সেখানে আপনি চাকরিই করেন না, কখনো করেনওনি! ভাবুন তো কেমন লাগার কথা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে এক নারীর সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ সাইমন ইনগারি নামের একজন ক্যারিয়ার কাউন্সিলর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা শেয়ার করেছেন।
সাইমন ইনগারি তাঁর টুইটে জানান, তাঁর স্ত্রী এমন একটি কোম্পানি থেকে ছাঁটাইয়ের ই-মেইল পেয়েছেন, যেখানে তিনি কখনো কাজই করেননি। ইমেইল পাওয়ার পর তিনি এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি পুরো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
ইনগারি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিল, সে কি কোনো ডেডলাইন মিস করেছিল, নাকি তাঁর বড় কোনো ভুল হয়েছিল। পরে চেক করে দেখে ই-মেইল প্রেরক কোম্পানিটি তাঁর কর্মস্থলই নয়।’
ইনগারি তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘আমার স্ত্রী একটি টার্মিনেশন ইমেইল পেয়েছে। ইমেইলটি দেখেই তাঁর বুক ধক করে ওঠে। এক সেকেন্ডের জন্য সে থমকে যায়। কোনো ডেডলাইন মিস করেছে? কিছু ভুল বলেছে? শেষে জানা গেল, যে কোম্পানিতে সে কখনো চাকরিই করেনি, সেখান থেকেই তাঁকে “বরখাস্ত” করা হয়েছে।’
এই ঘটনার মাধ্যমে ওই কোম্পানির এইচআর বিভাগের অসতর্কতার বিষয়টি তুলে ধরে ইনগারি অনুরোধ জানান, ভবিষ্যতে ইমেইল পাঠানোর সময় যেন প্রাপকের আইডি আরও ভালোভাবে যাচাই করা হয়। তিনি লেখেন, ‘প্রিয় এইচআর, দয়া করে পরেরবার ইমেইল আইডিটা একটু ভালো করে দেখবেন। এমন ভুলে তো কারও সত্যিই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে।’
এই পোস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী এমন ভুলের সম্ভাব্য গুরুতর পরিণতির কথা তুলে ধরেন। কেউ কেউ ঘটনাটিকে হাস্যরসের চোখে দেখলেও, অন্যরা এটিকে আধুনিক করপোরেট দুনিয়ায় বাড়তে থাকা অসতর্কতা ও চাকরির অনিশ্চয়তার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তাঁর উচিত একটি অপ্রত্যাশিত এবং কঠোর জবাব দেওয়া। এতে করে অন্তত তাঁরা বুঝতে পারার আগেই যে ভুল ঠিকানায় ইমেইল পাঠানো হয়েছে, তিনি নিজের ক্ষোভ উগরে দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘এটা কোনো ছোটখাটো ভুল নয়। একটি ভুল ইমেইল কারও পুরো দিন, সপ্তাহ—এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এইচআর সারাদিন সহমর্মিতার কথা বলে, অথচ স্প্যামের মতো করে বরখাস্তের ইমেইল পাঠায়।’
আরেকজন বলেন, ‘মানবিক কোনো মান যাচাই ছাড়াই যখন কোম্পানিগুলো সব অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় করে ফেলে, তখনই এমনটা ঘটে। এটি অত্যন্ত নিম্নমানের পরিচালনা এবং ব্র্যান্ডের জন্য ক্ষতিকর। ভাগ্য ভালো যে এটি কেবল একটি ভুল সতর্কবার্তা ছিল।’

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এই বিশ্বব্যাপী আধিপত্য কিন্তু অনিবার্য ছিল না। এই মাত্র ১৯৯০ সালেও বিশ্বে মাত্র ৪০ কোটি এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট ছিল, যার আবার বেশিরভাগই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত শিল্পে ব্যবহারের জন্য নির্মিত শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র শেষ পর্যন্ত মানুষের অপরিহার্য, আধুনিকতা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতী
১৯ জুলাই ২০২২
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
২ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
৩ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।
সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।
পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।
সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।
বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’
লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।
সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।
পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।
সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।
বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’
লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এই বিশ্বব্যাপী আধিপত্য কিন্তু অনিবার্য ছিল না। এই মাত্র ১৯৯০ সালেও বিশ্বে মাত্র ৪০ কোটি এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট ছিল, যার আবার বেশিরভাগই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত শিল্পে ব্যবহারের জন্য নির্মিত শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র শেষ পর্যন্ত মানুষের অপরিহার্য, আধুনিকতা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতী
১৯ জুলাই ২০২২
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
২১ ঘণ্টা আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
৩ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এই বিশ্বব্যাপী আধিপত্য কিন্তু অনিবার্য ছিল না। এই মাত্র ১৯৯০ সালেও বিশ্বে মাত্র ৪০ কোটি এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট ছিল, যার আবার বেশিরভাগই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত শিল্পে ব্যবহারের জন্য নির্মিত শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র শেষ পর্যন্ত মানুষের অপরিহার্য, আধুনিকতা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতী
১৯ জুলাই ২০২২
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
২১ ঘণ্টা আগে
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
২ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের এই বিশ্বব্যাপী আধিপত্য কিন্তু অনিবার্য ছিল না। এই মাত্র ১৯৯০ সালেও বিশ্বে মাত্র ৪০ কোটি এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট ছিল, যার আবার বেশিরভাগই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত শিল্পে ব্যবহারের জন্য নির্মিত শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র শেষ পর্যন্ত মানুষের অপরিহার্য, আধুনিকতা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতী
১৯ জুলাই ২০২২
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
২১ ঘণ্টা আগে
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
২ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
৩ দিন আগে